[ লেখাটি কাগজে-কলমে লিখেছিলাম ফেব্রুয়ারির পয়লা দিনেই, কিন্তু পেশাগত ব্যাস্ততা আর অন্তর্জালিক সংযোগের সাময়িক দুষ্প্রাপ্যতায় হাতে-কীবোর্ডে উপস্থাপন করা হয়ে ওঠেনি। আর বোধহয় দেরি করা যায়না, কারন (চারদিন আগেই চলে যাওয়া) জন্মদিনের শুভেচ্ছা বেশি বাসি করা ঠিক না। সময়-সংক্রান্ত এই অনাকাঙ্ক্ষিত গোলযোগ আশা করি পাঠকেরা ক্ষমা করবেন। ]
একটু আগে টেলিভিশন দেখছিলাম। চ্যানেল পাল্টাতে যেয়ে একটা আলোচনা অনুষ্ঠান চোখে পড়লো। শব্দ বাড়িয়ে ভালো করে শুনলাম ওটা ভাষার মাস নিয়েই হচ্ছে। ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব, তাৎপর্য, জাতীয় জীবনে এর ভুমিকা ইত্যাদি ইত্যাদি যা হয় আর কি । কিন্তু কষ্ট পেলাম চ্যানেলটার নাম দেখে। সম্পূর্ণ আমাদের দেশীয় একটা টেলিভিশন চ্যানেল এর নাম কেন ইংরেজিতে হতে হবে ?
আসছে টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপে গত ক্রিকেট বিশ্বকাপের মত বাংলাদেশে প্রচুর বিদেশী আসবে। ঢাকা শহর কখনই বিদেশী বা পর্যটক বান্ধব শহর না। ক্রিকেট বিশ্বকাপে এসেছিল এমন ২জন বিদেশী বন্ধু কাম পর্যটকের সাথে কথা বলে জেনেছি বাংলাভাষা বিষয়ক জটিলতার কারণে এখানে চলা বেশ কষ্ঠকর।
বিশেষ করে ঢাকা শহরের বাসগুলো, যেখানে সব বাসের গন্তব্যস্থলগুলো খাঁটি বাংলা আবার কখনও ভুল বাংলাতে লেখা থাকে।
১.
জাফর ইকবাল স্যার আমার খুব প্রিয় মানুষের একজন। ছোটবেলায় স্কুলে টিফিন না খেয়ে, স্কুলে হেটে হেটে গিয়ে রিক্সার ভাড়া বাচিয়ে জমানো টাকা দিয়ে যতগুলা বই কিনেছিলাম, বোধকরি তার ৬০ ভাগ বই জাফর ইকবাল স্যারের লিখা। ওনাকে আমার যত না তার লেখার জন্য ভাল লাগে তার চেয়ে বেশি ভাল লাগে তার সাধাসিধে কথাগুলার জন্য। খুব অবলীলায় এবং খুব সহজ ভাবে অনেক অনেক কঠিন কঠিন কথা খুব সহজেই উনি বলে ফেলেন। স্যারের একটি সাধাসিধে কথা
একটা কাটা দাগের চিহ্ন মুছে যেতে কতদিন সময় লাগে? কিংবা আদৌ কি মুছে যায়?
গত দুদিনে মিডিয়ার কল্যাণে বাংলাদেশের আকাশে সবচেয়ে দুর্যোগের ঘনঘটা নিয়ে হাজির হয়েছে আইসিসিকে কাটাকুটি করে নোতুন করে সাজানো গোছানোর একটা থ্রিস্টুজেস আইডিয়ার ড্রাফট প্রস্তাব। ২৪শে জানুআরি প্রথম আলো ঘোষণা দিয়েছে ‘জমিদার’দের পক্ষে বিসিবি! আর একই তারিখে ডেইলি স্টার সরাস
১৮ দলীয় জোটে বিম্পি আর জামাত ছাড়া বাকি দলগুলোকে পাবলিক দুধভাতই মনে করে। তাই পাবলিকের জবানে ঘুরে ফিরে এদের বিম্পি-জামাত জোটই বলা হয়। এতে করে একটা জিনিস বোঝা যায়, বিম্পি আর জামাত পাবলিকের চেতনায় এখনও দু'টি পৃথক সত্ত্বা, কার্যত তারা কতটুকু ভিন্ন, সে আরেক তর্ক।
সুপারম্যান আমার প্রিয় সুপারহিরো। কিছু হবার সুযোগ থাকলে সুপারম্যানই হতাম। নো ডাউট।
আজ একটা এনিমেশন মুভি দেখছিলাম, সুপারম্যান ভার্সাস দ্য এলিট। দেখতে দেখতে মাঝপথে গিয়ে এক জায়গায় আটকালাম। সুপারম্যান এবং এলিটদের লিডার ম্যানচেষ্টার এর মাঝে তর্ক চলছে। ম্যানচেস্টার আইন নিজের হাতে তুলে নেবার পক্ষে, কারন হিসেবে তার বক্তব্য, সুপারম্যান অনেক বেশি রেসট্রিক্ট মানুষ, সে আইনও মেনে চলার চেষ্টা করে লাইন বাই লাইন। আর তাই বিভিন্ন সময়ে সে অসহায়। চোখের সামনে অনেক কিছু হতে দেখেও তাকে চুপ করে থাকতে হয়।
আবার বিভিণ্ন সময়ে সুপারম্যান সাংঘাতিক সব সুপারভিলেনকে থামিয়েছে, তারাও রেগুলার বেসিসে জেলখানা থেকে পালিয়ে ঝামেলা করেই যাচ্ছে। সবার প্রশ্ন, কেন তুমি তাদের মেরে ফেলছ না? সুপারম্যান বলছে, আমি আইন হাতে তুলে নেব না। আই ওন্ট বি দ্য জাজ।
সবাই আবার প্রশ্ন তুলছে, ওরা তো বার কার পালাচ্ছে, মানুষ মারছে শয়ে শয়ে... কি করবে তুমি এই বিষয়ে? কেন তাদের পারমানেন্ট ভাবে চুপ করিয়ে দেয়া হচ্ছে না?
[justify]যৌন নির্যাতন আমাদের দেশে এমন একটি ট্যাবু যা নিয়ে আমরা কেউ প্রকাশ্যে কথা বলতে চাইনা, প্রসঙ্গটা সবসময় এড়িয়ে যেতে চাই। আর তা যদি শিশু যৌন নির্যাতন হয় তাহলে তো আর কথায় নেয়... খুব কম পরিবারই রয়েছে যারা নিজ শিশুর যৌন নির্যাতনের কথা জানতে পেরেও নির্যাতকের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করে থাকে। কারন বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই শিশুটি নির্যাতিত হয় তার আশেপাশের আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী চেনা পরিচিত মানুষ দ্বারা। আর এক্ষেত্রে সামাজিকতার বা লোকলজ্জার ভয়েও অনেক সময় অনেক অভিভাবক নির্যাতকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় না।
শিশুটির সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে আমাদের সচেতন হতে হবে তার সাথে সাথে বাচ্চারা একটু বুঝার বয়স হলেই তাদের কিছু জিনিষ বুঝাতে হবে। কিছুটা সচেতন হলে হয়তবা আমরা আমাদের আদরের শিশুটিকে সহজেই নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করে তার নির্মল,সুন্দর, হাসিখুশিতে ভরপুর একটি শৈশব নিশ্চিত করতে পারব।