[justify]৫ জানুয়ারীর নির্বাচন হচ্ছেই। সমঝোতা হবে না এটা সেপ্টেম্বরে সুপ্রীম কোর্টে কসাই কাদেরের রায়ের পরেই বোঝা গেছে। কিন্তু সেটা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাথে প্রধান বিরোধিদল বি.এন.পি'র সমঝোতা। কারণ বি.এন.পি.
মানুষের চিন্তা, চেতনা, বুদ্ধি, বিবেচনাবোধ ইত্যাদিকে বয়স নানাভাবে প্রভাবিত করতে পারে বলেই আমার মনে হয় । বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের শারীরিক অক্ষমতা প্রকট হতে থাকে। শুধু শারীরিক দিক না মানসিক দিক দিয়েও মানুষ দুর্বল হতে থাকে। এই শারীরিক এবং মানসিক দুর্বলতা প্রকট আকারে ধরা পড়ে যখন মানুষ কোন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আসীন থাকে। দায়িত্বে থাকাকালীন অবস্থায় একজন বয়স্ক মানুষ যতই চেষ্টা করুক সুন্দরভাবে তার কাজ
আজ একঝাক সুশীল গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত হওয়াতে মুখে ফেনা তুলতে ব্যস্ত। মানবাধিকার কর্মীরা রিপোর্ট লিখতে লিখতে কলম ভাংছে শত শত। দেশের বিশাল এক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী একটি রাজনৈতিক দলকে তার আন্দোলনের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। বঞ্চিত করা হয়েছে তার সহিংস কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতাকে। বাসের ভেতর গন্তব্যগামী মানুষ পুড়ুক, বাসটি পুড়ুক, রাস্তার উপর কর্তিত গাছেরা কাঁদুক, ট্রেন পুড়ুক, মনির নাহিদ সিদ্ধার্থদের মনুষ্যমেদ যজ্ঞে বিকষিত হোক শুদ্ধ গণতন্ত্র।
মাত্র পাঁচ মিনিটের জন্য বাসটা মিস্ করলাম। পরের বাস আরো ঘন্টাখানিক পর। অলরেডি অফিসের জন্য লেইট হয়ে গেছি। এই দেশে বাসের কঠিন সময়ানুবর্তীতার উপর সঙ্গত কারণেই মেজাজ খারাপ হলো। ‘ইশ্, আর মাত্র পাঁচটা মিনিট দেরি করে এলে বাসের কি এমন ক্ষতিটা হতো’ ভাবতে ভাবতে বাস স্টপে বসলাম। স্টপে আমার পাশেই আরো একজন বৃদ্ধ ভদ্রমহিলা বসে আছেন। রুপ দেখলেই বোঝা যায়, এক সময় ডাকসাইটে সুন্দরী ছিলেন তিনি। দুইজনই পাশাপাশি চুপচ
রাজনীতির প্রশ্নে আমাদের অনেকেই বলে, ভাই আমি রাজনীতি বুঝি না অথবা এই নোংরা রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে আমার ভাল লাগে না অথবা ভাই এইসব কথা বাদ দে আজাইরা পেইন ভাল্লাগে না ইত্যাদি ইত্যাদি অনেককিছু । আমি একটা জিনিস বুঝতে পারি না, এইভাবে ইচ্ছা করে রাজনীতিকে এড়িয়ে চলা আর কতদিন চলবে। আমরা কথায় কথায় রাজনীতিবিদদের গালি দেব আবার রাজনীতির প্রশ্নে এসে এইসব কথা বলে এড়িয়ে যাব। এভাবে চললে কি একদিন আমাদের সব সমস্যার সমা
[আজকে শুধুই সিরিজটির ভূমিকা]
সুশীলের ত্যানাসমগ্র
আনু-আল হক
------------
১. “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই” বললেই বিষয়টা ‘রাজনৈতিক’, আর থামায়া দেয়াটা খুব অ-রাজনৈতিক!
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি এবং বিভিন্ন রকম প্রোপাগান্ডার পেছনে যে অপশক্তি অনলাইনে তৎপর, বিশেষ করে ধর্মের ছদ্মাবেশে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে যে বিশেষ গোষ্ঠী তৎপর – সেসব দাতাল শুওরদের কাজ কর্মের কিছু উদাহরণ দেখেছি আমরা এ লেখার গত পর্বে। আজ আমরা জানবো এসব শুওরছানাদের নিয়োগ, বিকাশ এবং অনলাইন প্রোপাগান্ডার কিছু নমুনা।
১।
২৩ বছরের একজন যুবক কেমন হওয়া উচিত? বুকভরা দেশপ্রেম থাকবে, মানুষের প্রতি ভালবাসা থাকবে, নম্র হতে পারে কিংবা উদ্ধত। যেমনই হোক না কেন, ২৩ বছরের যুবক শুনলে আমরা কল্পনা করি দু’চোখ জোড়া বিশাল বিশাল স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকা প্রাণপ্রাচুযর্ময় একজন মানুষকে। আসুন আমরা দু’জন ২৩ বছরের যুবকের সাথে পরিচিত হই।
[left]একটি গল্প দিয়ে শুরু করি...
বছর পনের আগের কথা। তখনও অনেক ছোট আমি, ক্লাস সেভেন কি এইট এ পড়ি। সেই সময়ে প্রতিদিন গভীর আগ্রহে সন্ধ্যার জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকতাম, কখন আব্বা অফিস শেষে বাসায় ফিরবে। প্রতি রাতে খাবার পরে আব্বা আমাদের তিন ভাই বোন কে নিয়ে গোল হয়ে বসতেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতেন, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ,কখনো বা নিছক রুপকথা,গল্প বলার ফাঁকে ফাঁকে নানান রকম দুষ্টুমি ও করতেন, আবার মাঝে মাঝে নিজ থেকেই যুদ্ধের দিনগুলোর গল্প বলতে থাকতেন...সেই সময় আমার ছোট ভাই আবিরের বয়স হবে বছর তিনেক/চারেক।
০০১।
অগ্রজ মাহবুব আজাদ সচলের অবস্থান-তখতে স্বগতোক্তি ঝুলাইয়া রাখিয়াছেনঃ “কসাই কাদের মরিয়া প্রমাণ করিল যে সে কত্তবড় কেপিটেস্ট”। পীরবাবা আবার সত্যের ডালি উজাড় করিয়া বেশরমের ন্যায় বঙ্গালমুলুকে মুত্রবিসর্জন করিয়া অলৌকিকভাবে পাকমুলুকের সবুজ তৃণ নাপাক করিবার উপক্রম করিয়াছেন। এই প্রেক্ষিতে আরেক ব্যাঘ্রশাবক, সহাচল সুমন ভ্রাতঃ ফরমাইয়েছেন, উহাদিগকে (Dark lords, They who must not be named) ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপের সুনিপুণ পাঁচালী। এক্ষণে বলিয়া রাখি, পরের মতখানার সঙ্গে আমি কিঞ্চিৎ দ্বিমত প্রকাশ করিতেছি। আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপের আগে তাহাদিগের প্রয়োজনীয় উপাদানসমুহ আমাদিগের ভবিষ্যতের নিমিত্তে দ্রাক্ষারসের ন্যায় শুষিয়া নেওয়াই উত্তম- ইহাই আমার মত। স-মাংস অস্থি কেউ কখনও কি সারমেয় ভক্ষণের নিমিত্তে সম্প্রদান কারকে চতুর্থী বিভক্তি সহযোগে ব্যাবহার করে? কিংবা স-মৎস্য কণ্টক কি পোষ্য মার্জারটিকে স্বত্ত ত্যাগ করিয়া দান করা হয়? মোটেই তাহা নহে। উহা আদতে সমীচীনও নহে। কিরুপে? উহাই আলোচনা করিব, বোকাবাক্সের বিজ্ঞাপনপূর্ববর্তী লাস্যময়ী উপস্থাপিকা কিংবা অতিউত্তেজনায় গাঁজন অপচয়কারী (গ্রন্থ মোতাবেক- শয়তানের ভ্রাতঃ) উপস্থাপকের ন্যায় বলিতেছি- “সঙ্গেই অবস্থান করুন”।