১৯৮২ সাল। রাজশাহীর কাছে খুব প্রাচীন গ্রাম আড়ানির শতাব্দীপুরনো মনমোহিনী হাইস্কুলের হিরণ্ময় বর্ষ পূর্তি। আয়োজকের নাম মুকুট।রাজশাহী ইউনিভার্সিটির ইংরেজির এই ভাবালুতাগ্রস্ত তরুণ আড়ানী কলেজে ঢুকে সমাজসেবায় মন দিয়েছে।তারসঙ্গে এক উন্মূল উদবাস্তু কবি বুলবুল।সেও কলেজে পড়ায় ছাত্রাবস্তায়,তার মুদ্রা দোষ অস্থিধারণ শব্দবন্ধটি।
আয়োজনে কমতি নেই।প্রায় শান্তি নিকেতনের আমে ...
১।
আরেকটা সেমিষ্টার শুরু হয়ে গেল। ক্লাস, রিপোর্ট নিয়ে ব্যাস্ততাও শুরু হয়ে গেছে। দীর্ঘ সামার ভেকেশনের পর ক্যাম্পাসের সবাই আবার আগের ফর্মে। এবার দেশ থেকে পোষ্টগ্রেড ছাত্র/ছাত্রী একদম নাই বললেই চলে। বর্তমান ছাত্রদের সবার মধ্যেই এক প্রশ্ন, ঘটনা কী! দেশের অনেকেরই শুনি এপ্লিকেশন রিজেক্ট। অন্যদিকে চীন বা ভারত থেকে তো প্রচুর ছাত্র/ছাত্রী আসছে। এর মানে রিসার্চ ফান্ড এর অভাব হবার কথা ...
আবেগের খুচরা ব্যাপার গুলো সেরে ঢু্কলাম জিয়া, অধুনা হাসিনা এয়ারপোর্টে। বেকায়দায় পড়ে স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত পচিঁশ পার্সেন্ট বেশি ভাড়া দিয়ে ইত্তিহাদের টিকেট কিনেছি, তাই ভাড়া উসুল করার জন্য ব্যাকপ্যাকে প্রায় দ্বিগুন জিনিস ভরে এনেছি। কিন্তু ব্যাটারা পিশাচ, বাড়তি ওজন নিতে দেবেইনা, শেষ পর্যন্ত হাজার চারেক টাকা বাড়তি দিয়ে রফা করলাম। বাঙ্গালীর ছেলে, বাড়ি থেকে বয়ে নিয়ে আসা চিড়া-গুড়ত ...
আমি রাস্তাঘাট চিনি না। একই রাস্তা দিনের একেক সময় একেক রকম লাগে আমার কাছে। তার উপর আমি, বাংলায় যাকে বলে, দিগ্বিদিজ্ঞানশূণ্য। স্কুলের বাংলা বইয়ে বেগম রোকেয়ার একটা লেখায় ছিল, এক ছাত্রকে জিজ্ঞেস করা হলো তোমার দক্ষিণ হস্ত পূর্বে আর উত্তর হস্ত পচ্চিমে থাকিলে তোমার মুখ কোনদিকে থাকিবে? ছাত্রের উত্তর ছিল, আমার পশ্চাত দিকে (আমার ধারণা সে ‘মুখ’ ব্যাপারটা ভালমত ধরতে পারে নাই)। যাই হোক, ...
যতদূর মনে পড়ে, আমি জীবনে তিনটা সিনেমা দেখে মোটামুটি ভাল কেঁদেছি। প্রথমটা শিন্ডলারস লিস্ট, তখনো কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। অস্কার শিন্ডলারের বিদায় নেয়ার দৃশ্যটা দেখে, যখন ইটজাখ সাহেব তাকে আংটিটা তুলে দেন। একেবারে বালতি ভরে কেঁদেছি যাকে বলে। এবং কেঁদে ভালোও বোধ করেছি। এইটাও তো সিনেমাটার সার্থকতা।
দ্বিতীয়টা হল, কান্নার পরিমানে দিক দিয়ে, যেটা এর পর আসলে বেশ ভালভাবে কমে গেছিল ...
একেই বোধ হয় বলে গোড়ায় গলদ। বাংলা ভাষার প্রথম পাঠই স্বরবর্ণ। অথচ বর্ণমালাতেই ভুল! কারণ আমাদের স্বরবর্ণের তালিকাটিই এখন পর্যন্ত যথেষ্ট অসামঞ্জস্যপূর্ণ! তাহলে আমাদের শিশুরা কী শিখছে? একটা উদাহরণ দিলেই কিছুটা পরিষ্কার হবে আশা করি। 'অ্যা' একটি মৌলিক স্বরধ্বনি অথচ স্বরবর্ণের তালিকায় আজও তার স্থান হয়নি! এদিকে 'ঐ' এবং 'ঔ' যৌগিক স্বরধ্বনি হওয়া সত্ত্বেও বর্ণমালায় এখনও স্বরবর্ণ হিসেবে র ...
…
আগেভাগে ভয় পাবেন না কেউ ! নিউজিল্যান্ডের সাউদার্ন Hawke’s Bay এর পার্শ্ববর্তী ৩০৫ মিটার বা ১০০১ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট একটি পাহাড়, যার স্থানীয় মাউরী ভাষার নামটিকে ইংরেজি হরফে লিখলে মাত্র ৮৫ অক্ষর বিশিষ্ট একটি ইংরেজি নাম দাঁড়ায়। যার উচ্চারণ হয় ‘Taumatawhakatangihangakoauauotamateaturipukakapikimaungahoronukupokaiwhenuakitanatahu‘ এরকম।
ইতোমধ্যে বিশ্বের দীর্ঘতম নাম হিসেবে এটি গিনেস বুক অব রেকর্ডসে স ...
ছোটদের মুক্তবাজারঃ
“আব্বু তুমি নিক জুনিয়র (nickjr.com) ডট কম লিখতে পারো?" একটু উত্তেজিত প্রশ্ন মেয়ের।
এটা টিভি দেখার সরাসরি ফলাফল বলেই মনে হল। বাচ্চাদের চ্যানেলগুলোতে প্রচুর বিজ্ঞাপন চলে, সেই সঙ্গে কোম্পানিগুলোর ওয়েবসাইটটাও দিতে ভুলেন না উনারা। অর্থাৎ বিজ্ঞাপনগুলো ছোট গল্পের মত, শেষ হয়েও হলো না শেষ, একটা ব্রাউজার বের করে ওয়েবসাইটটা উঠালে আবার সেই কেনা আর বেচার হাটবাজারে ঢুকত ...
ফরহাদ মজহার বুদ্ধিজীবী। তিনি একাধারে কবি, এনজিও মালিক, কলামলেখক, গবেষক, গীতিকার, গদ্যকার, গায়ক, ভাববাদী, সুরকার, সমাজসেবক, দার্শনিক, কৃষিবিদ, লালন বিশারদ, পরিবেশবাদী। তাঁর এক সাগরেদ রায় দিয়েছেন, ফরহাদ মজহার বুদ্ধিজীবী হিসাবে আমাদের মধ্যে সব চাইতে গণতান্ত্রিক। তাঁর বই ‘ভাবান্দোলন’ বইয়ের ফ্ল্যাপে লেখা- ফরহাদ মজহার এখন কিংবদন্তি। জীবনযাপন থেকে শুরু করে কর্ম ও কাব্য, সঙ্গীত ও নাটক, ...[justify]ফরহাদ
আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি)র পঞ্চাশ বছর পূর্তি উৎসব বাংলাদেশে পালিত হয়েছে। এক সেমিনারে ইরির মহাপরিচালকও উপস্থিত ছিলেন। সেই সেমিনারের বক্তব্যে ক্ষিপ্ত হয়ে নয়া কৃষি আন্দোলন নামে একটি এনজিও সংবাদ সম্মেলনে খুব গোস্মা করে কিছু কথাবার্তা বলেছে। এবং তার একটি লিখিত ভাষ্য ফরিদা আখতার নাম্মী এক মহিলা চিন্তা প ...