যুদ্ধাপরাধী ও বুদ্ধিজীবী।।৪।।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: রবি, ২৯/০৮/২০১০ - ৯:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ফরহাদ মজহার বুদ্ধিজীবী। তিনি একাধারে কবি, এনজিও মালিক, কলামলেখক, গবেষক, গীতিকার, গদ্যকার, গায়ক, ভাববাদী, সুরকার, সমাজসেবক, দার্শনিক, কৃষিবিদ, লালন বিশারদ, পরিবেশবাদী। তাঁর এক সাগরেদ রায় দিয়েছেন, ফরহাদ মজহার বুদ্ধিজীবী হিসাবে আমাদের মধ্যে সব চাইতে গণতান্ত্রিক। তাঁর বই ‘ভাবান্দোলন’ বইয়ের ফ্ল্যাপে লেখা- ফরহাদ মজহার এখন কিংবদন্তি। জীবনযাপন থেকে শুরু করে কর্ম ও কাব্য, সঙ্গীত ও নাটক, ...

ফরহাদ মজহার বুদ্ধিজীবী। তিনি একাধারে কবি, এনজিও মালিক, কলামলেখক, গবেষক, গীতিকার, গদ্যকার, গায়ক, ভাববাদী, সুরকার, সমাজসেবক, দার্শনিক, কৃষিবিদ, লালন বিশারদ, পরিবেশবাদী। তাঁর এক সাগরেদ রায় দিয়েছেন, ফরহাদ মজহার বুদ্ধিজীবী হিসাবে আমাদের মধ্যে সব চাইতে গণতান্ত্রিক। তাঁর বই ‘ভাবান্দোলন’ বইয়ের ফ্ল্যাপে লেখা- ফরহাদ মজহার এখন কিংবদন্তি। জীবনযাপন থেকে শুরু করে কর্ম ও কাব্য, সঙ্গীত ও নাটক, সর্বোপরি চিন্তাভাবনা ও দর্শনচর্চায় তিনি অগ্রদূত। ফরহাদ মজহার নিজেকে হয়তো এভাবেই চেনাতে ভালোবাসেন।

বেশ কয়েক বছর আগে আমাদের সময়(নয় সেপ্টেম্বর, ২০০৫) পত্রিকার হেডলাইনে এসেছিলেন ফরহাদ মজহার। কারণ ছিল তাঁর বক্তব্য। পত্রিকায় সংবাদটি লেখা হয় সংবাদ সুলভভাবে-

১৭ আগস্টের হামলাকারীদের যদি সন্ত্রাসী বলি তবে আমাদের ৫২, ৬৬, ৬৯ বা ৭১ এর আন্দোলন ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহার। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বোমাবাজি সন্ত্রাস- জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এক আলোচনায় তিনি এই কথা বলেন।

বক্তব্যে তিনি বলেছেন- তবে যারা সমাজকে বদলাতে চায় তাদেরকে সন্ত্রাসী বলবো কেন? যারা ইসলামের নাম নেয়, কট্টরপন্থী রাজনীতির মাধ্যমে সমাজকে বদলাতে চায়, আমরা তাদের সন্ত্রাসী বলছি। অথচ আমরা বুশ-ব্লেয়ারকে বলি না যে, তারা খারাপ কাজ করছে। … আগস্টের বোমা হামলাকে প্রথাগত সন্ত্রাস বলা যায় না। … অনেকে বলেন ইসলাম জঙ্গিবাদ সমর্থন করে না। আমি এটার সাথে একমত নই। ইসলাম জঙ্গিবাদ সমর্থন করে। …

scan0001

তালাল আসাদের ‘অন সুইসাইড বোম্বিং’ এর ভুল পাঠ নিয়ে ফরহাদ মজহার সন্ত্রাসীদের পক্ষে রায় দেন। সাথে মেশান বুশ ব্লেয়ার ব্লেন্ড। একাত্তরের মুক্তি সংগ্রামকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলার মতো ঔদ্ধত্য দেখান অকারণে। বইপড়ুয়া এই তথাকথিত দার্শনিক এইসব যুক্তিহীন ফ্যালাসি করেন, কিন্তু ঠিক ব্যাখ্যা দেয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর আক্রমণ ঠেকাতে অস্ত্র তুলে নিতে বাধ্য হয়েছিল বাংলাদেশের মানুষ। তিরিশ লক্ষ লোকের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে সন্ত্রাসী কাজ বলে চালানো পুরোপুরি দেশদ্রোহী আচরণ।

দীর্ঘদিন ধরেই বুদ্ধিভিত্তিক চিন্তাধারার বিভ্রান্তির চূড়ায় বসে আছেন ফরহাদ মজহার। তিনি একাধারে লালন চর্চার সাথে এনজিও চালান, বুর্জোয়াকে গালি দিতে দিতে খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হন। আবার জঙ্গীবাদের পৃষ্ঠপোষক নয়া দিগন্তে নিয়মিত কলাম চর্চা সুন্নত মনে করে জারি রাখেন।

তাঁর আনকোরা সাম্প্রতিক কলাম দিয়েই কথা শুরু করি। এটি প্রকাশিত হয়েছে বিডিনিউজ২৪-এ (২৯ আগস্ট, ২০১০)। ‘আসুন শহীদ মিনারকে একটি মসজিদ অথবা মন্দিরে পরিণত করি’ শিরোনামের কলামে শহীদ মিনারকে পবিত্র স্থান হিসেবে মর্যাদা দেয়ার রায়কে ধর্মীয় সমীকরণে মিশিয়ে পাঠকের কাছে তাঁর স্বভাবসিদ্ধ বিভ্রান্তিকর কথাবার্তা উপস্থাপন করেছেন।

… শহীদ মিনার তাহলে সম্পূর্ণ ভিন্ন আরেকটি রাজনৈতিক অর্থে প্রতীক। প্রতীক কারণ ভাষা ও সংস্কৃতির ধারক ঢাকা শহরের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সঙ্গে গ্রাম, গঞ্জ ও মফস্বলের কৃষক জোলা কারিগরসহ অন্যান্য খেটে খাওয়া শ্রেণীর সংগ্রামী মৈত্রীর চিহ্ন এই শহীদ মিনার। … এই পতন পচনের রূপ ধরেছে যখন একে তথাকথিত সেক্যুলার মধ্যবিত্ত শ্রেণী মসজিদ বা মন্দিরের বিকল্প হিসাবে ভাবতে ও গণ্য করতে শুরু করেছে। শহীদ মিনার হয়ে উঠেছে পাকপবিত্র স্থান, তার আবার একটি মূলবেদীও আছে। ‘পবিত্র’, ‘বেদী’ ইত্যাদি ধর্মতাত্ত্বিক চিহ্নে শহীদ মিনারকে ভূষিত করা হয়।… ২৫ আগস্ট ২০১০ তারিখে বুধবার বিচারপতি মোঃ মমতাজ উদ্দিন আহমদ ও বিচারপতি নাঈমা হায়দারের বেঞ্চের দেয়া রায়ের মধ্য দিয়ে ধরা পড়ে। রায়ে প্রতিষ্ঠিত হোল শহীদ মিনারের তাৎপর্য রাজনৈতিক তো নয়ই এমনকি সাংস্কৃতিকও নয়; শহীদ মিনারকে এখন আমাদের মন্দির বা মসজিদের মত ‘পবিত্র’ গণ্য করতে হবে।… রায়ে শহীদ মিনার এলাকায় ভবঘুরেরা যেন ঘোরাফেরা করতে না পারে বা ‘অসামাজিক কার্যকলাপ’ চালাতে না পারে সে জন্য তিন জন নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ দেওয়ার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মানুষের কী কার্য সামাজিক আর কোনটাই বা অসামাজিক তার নৈতিক মানদণ্ড ঠিক করে দেবার দায়িত্ব আদালতের নয়। ‘অসামাজিকতা’-র আইনী সংজ্ঞা কী? … ভবঘুরেরা বাংলাদেশের নাগরিক, কিন্তু তাদের হাত থেকে শহীদ মিনার রক্ষা করতে হবে, এই যদি আদালতের রায় হয় তাহলে আদালত নাগরিকদের অধিকার রক্ষা করবে কীভাবে? … যেসব ঘরহারা গরিব মানুষ মাঝেমধ্যে শহীদ মিনারে এসে বিশ্রাম নিত, যাদের মাথার ওপর ছাদ নাই, কিচ্ছু নাই, তাদের জন্য শহীদ মিনার নিষিদ্ধ হোল। এই রায় গণমানুষের পক্ষে গেল না।…

তাঁর মূল সমস্যা বেদী নিয়ে। ইসলাম যেহেতু পৌত্তলিক বিষয় সমর্থন করে না, ফরহাদ মজহার তাই শহীদ মিনারের প্রতীকী উপস্থাপনকে সহ্য করতে পারছেন না। একটু মাথা খাটালে বোঝা যায়, শহীদ মিনারকে পবিত্র বলা মানে সেটাকে মন্দির বা মসজিদ বোঝানো হয় না। তাঁর কাছে একটা সাধারণ প্রশ্ন, পৃথিবীতে ধর্মীয় উপসনালয় ছাড়া কোনো কিছুকে পবিত্র বলা যাবে না কেন? বেদীতে ফুল দেয়া তাঁর অপছন্দ। কাঠমোল্লাদের ও ফুলপূজা পছন্দ নয়। ফরহাদ সাহেব ফ্যানাটিকদের পথে এগোবেন- এটা জানা কথা। তিনি সূক্ষ্ণ চালে পবিত্রস্থান ও মন্দির-মসজিদের মধ্যে একটা ভুল সমীকরণ তৈরি করে পাঠককে বিভ্রান্ত করেছেন। দেশের গরীব জনমানুষ শহীর মিনারের ছায়ায় আর ঘুমাতে পারবে না বলে কুম্ভীরাশ্রু বর্ষণ করেছেন। সচরাচর তাঁর প্রতিটা লেখায় এই ধরণের অশ্রুপাতের দেখা মিলে।

বুদ্ধিভিত্তিক কথাবার্তা থেকে একটু লুঙ্গিভিত্তিক গালগল্পে আসি। ফরহাদ মজহার লুঙ্গি পরেন। ২০০৯ সালের দোসরা অক্টোবর ফরহাদ মজহার তাঁর ভাতিজির প্রথম জন্মদিনের অনুষ্ঠানের দাওয়াত পেয়ে ঢাকা ক্লাবে লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় ঢুকতে গেলে তাঁকে গেইটে আটকানো হয়। পরে এই নিয়ে ঘটে তুলকালাম কাণ্ড। তাঁর স্ত্রী ফরিদা আকতার ‘ড্রেস কোড একান্তই কলোনিয়াল সংস্কৃতি, ভাষাটাও ঔপনিবেশিক’ ইত্যাদি নানা রকম ভারী ভারী কথা বলে ব্যাপারটা নিয়ে আর্টসবিডিতে লিখেন। যদিও সেখানে একটা বিশাল তথ্য ফাঁস হয়ে যায়, ফরহাদ মজহার ড্রেস কোড নিয়ে ঢাকা ক্লাবের নিয়মনীতি জেনেও বিশেষ ব্যবস্থায় ভেতরে ঢোকার আয়োজন করেছিলেন। অর্থাৎ বিশেষ সুবিধা নিয়ে বুর্জোয়াদের মাহফিলে ঢুকতে তাঁর আপত্তি নেই, কিন্তু যখন কোনো এক কারণে ভেতরে ঢোকা গেল না, ব্যস এইবার তাত্ত্বিক বুজরুকি দিয়ে ত্যানা পেঁচানো শুরু -মানে বুর্জোয়া সংস্কৃতিকে গালাও, গরীবকে শুধু ফাঁকা বুলিতে বুকে টানো। হালকা কোট করি ফরিদা আকতারের কথাবার্তা থেকে-

… এই ঘটনাটি তুচ্ছ নয়। এর পেছনে সুস্পষ্ট বর্ণবাদী চিন্তা রয়েছে, সাধারণ মানুষের প্রতি ধনীদের ঘৃণার চর্চা রয়েছে, তা বারুদের মতো সেখানে জমে আছে।… একটি স্বাধীন দেশে, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যে-পোশাক পরে, যে-পোশাক আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ, সেই পোশাক পরার ক্ষেত্রে বাধানিষেধ জারি রাখার বিধান বহাল রাখার ঔপনিবেশিক ‘নিয়ম’ বা ঔদ্ধত্য কোন প্রতিষ্ঠানের থাকতে পারে কি না। … ‘ড্রেস কোড’ একান্তই কলোনিয়াল সংস্কৃতি, ভাষাটাও ঔপনিবেশিক। যে কোন ক্লাব বা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ড্রেস কোডের পক্ষে যাঁরা বলছেন তাঁরা যুক্তি দিতে পারছেন না কেন লুঙ্গি, ধুতি ইত্যাদি সাধারণ মানুষের পোশাকের প্রতি তাদের এতো তীব্র ঘৃণা? অথচ ঘৃণাটা খুবই স্পষ্ট।… আমরা কি এখনও সামন্তযুগে বা রাজারাজড়ার যুগে বাস করছি? ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ অর্জন করতে আমাদের কত রক্ত বিসর্জন দিতে হয়েছে। আজ তো বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও জাতীয় মর্যাদা রক্ষার জন্য যে মুক্তির সংগ্রাম তাকেই চরম ভাবে অপমান করা হলো।…

বুর্জোয়াদের গালাগালি করতে গিয়ে ফরহাদ মজহার ও ফরিদা আকতার মাঝে মধ্যে ভুলে যান তাঁরা একটা এনজিও’র হর্তাকর্তা। তার মানে প্রতিষ্ঠিত বুর্জোয়া।

আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের গ্রেপ্তার নিয়ে নয়া দিগন্তে কলামের পর কলাম নিরলসভাবে লিখে যাচ্ছেন ফরহাদ মজহার। কারণ মাহমুদুর রহমান তাঁর বন্ধুমানুষ। মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি দিতে হবে- এই মূল কথার পেছনে ফ্যাসিবাদ, একনায়কতন্ত্র সহ নানা কথাবার্তা এসে গেছে।

… প্রতিষ্ঠান হিশাবে আদালত বা বিচার ব্যবস্খার একনায়কতান্ত্রিক ক্ষমতা রাষ্ট্রের একনায়কতান্ত্রিক ক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত, যার মধ্য দিয়ে শ্রেণীর একনায়কতান্ত্রিক ক্ষমতার প্রকাশ ঘটে। বুর্জোয়া শ্রেণীর একনায়কতন্ত্র রাষ্ট্রের বিশেষ গঠনের মধ্য দিয়ে দানা বাঁধে। বোঝার সুবিধার জন্য তাকে দুটো দিক থেকে দেখাই রেওয়াজ : রাষ্ট্র শক্তি এবং রাষ্ট্র কাঠামো। যে কারণে লেনিন বলেছিলেন শ্রমিক, খেটে খাওয়া বা সর্বহারা শ্রেণী বিদ্যমান বুর্জোয়া রাষ্ট্রকে ঠিক যেমন আছে তেমন রেখে ব্যবহার করতে পারে না। সেটা জরুরী কিন্তু ভিন্ন বিতর্ক।

পাঠককে বিভ্রান্তিতে ফেলে দেয়া একটি মজহারীয় কৌশল। একটি বিষয়ে কিছুটা আলোকপাত করে সেটা নিয়ে কথা না বাড়িয়ে ভিন্ন বিতর্ক বলে চালিয়ে দেয়া তাঁর একটা কূটপদ্ধতি।

… বাংলায় ‘বিজ্ঞান’ কথাটার মানে কিন্তু বিকৃত জ্ঞান, যে জ্ঞান তার স্বভাব হারিয়ে ফেলেছে এবং জ্ঞান চর্চার উদ্দেশ্য খুইয়েছে। ঠিক। বাংলার বৌদ্ধ দর্শনের মধ্যে ‘বিজ্ঞান’ ধারণার এই ইঙ্গিত আছে। এই সজ্ঞান সচেতনতা বাংলার ভাবচর্চার মধ্যে আজও আমরা টের পাই। সেই প্রসঙ্গ এখন থাকুক।…সেই তথ্যেরই আদান-প্রদান চলে যাতে অল্প কয়েকজন মুনাফা কামাতে পারে এবং মুনাফা কামানোই মনুষ্য জীবনের পরমার্থ, কিম্বা মুনাফাই জগত সংসার সভ্যতার ভিত্তি; এই কাহিনীকেই জগতের প্রধান ও একমাত্র সত্য হিশাবে প্রতিষ্ঠা করবার বয়ান, গল্পগাঁথা, শিল্পসাহিত্য, নাটক থিয়েটার ডিজিটাইল বাইটস হয়ে পৌঁছে যাচ্ছে তাদের কাছে যারা বাস্তব জগতে নয়, ভার্চুয়াল জগতে বাস করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। ওর মধ্যেও প্রতিরোধ আছে অবশ্যই। কিন্তু সেই দিকে আমি এখন যাচ্ছি না।

এই রকম উদাহরণ অজস্র দেয়া যায়।

‘জলের জল্লাদদের বিরুদ্ধে জলদেবতার যুদ্ধের ডাক’ ( নয়া দিগন্ত, ষোল মে, ২০১০) কলামে তাঁর কণ্ঠে ওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়।

… পরিবেশ রক্ষা, প্রাণের হেফাজত ও প্রাণের প্রতিপালন রবুবিয়াতের মূল কথা। শব্দটি আরবি হবার কারণে একে মুসলমানি ধারণা গণ্য করবার কারণ নাই, তবে ইসলামের ভাবগত দিকের সঙ্গে এই পরিবেশবাদী চিন্তার মিল আছে অবশ্যই। ধরা যাক যদি আমরা নিজেদের নাস্তিক বলে দাবি করি, মাইকে সারা শহরে চিৎকার করে বলি আল্লাহ বলে কিছু নাই বা সব নবী-রসূল, অলি-আউলিয়া সবাই ভুয়া তাহলে সূর্যের আলো কি আমাদের জন্য বìধ হয়ে যাবে? নদীর প্রবাহ মেঘের বৃষ্টি, কিংবা বাতাস কি আমার জন্য বìদ হয়ে যাবে? আমাদের রিজিক কি পরম শক্তিধর আল্লাহ ধ্বংস করে দেবেন? যিনি নাস্তিক তাঁর কাছে অবশ্য এইসব আদৌ কোন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নয়। এতে তার কিছুই আসে-যায় না, কিন্তু যিনি সত্যি সত্যিই মোমিন তিনি তখন আল্লাহর এই ‘রব’ বা প্রতিপালক রূপে মুগ্ধ হন। তাঁর আশেকী বাড়ে এবং সৃষ্টির প্রতি তাঁর দায়িত্ব সম্পর্কে তিনি আরো যত্নবান হয়ে ওঠেন। আল্লাহকে মানা-না-মানা বা ইসলামপন্থি হওয়া-না-হওয়া এখানে মূল প্রশ্ন নয়। … যে ধর্ম কমিউনিজম বা প্রাণ ও পরিবেশ রক্ষার প্রাথমিক কর্তব্যকে এক নম্বর নীতি হিশাবে গ্রহণ করে না, তাকে যেমন কমিউনিজম বলা ভুল, ঠিক তেমনি যে ইসলাম কমিউনিজমকে শত্রুজ্ঞান করে এবং ইহলৌকিক জীবনে মানুষের জীবন, জীবিকা, প্রাণ ও পরিবেশের শর্ত রক্ষাকে তার ফরজ কাজ গণ্য করে না, তাকে আর যা-ই হোক ‘ইসলাম’ বলা যায় না।…

‘আমাদের কী আর বলার থাকতে পারে!’ ( নয়া দিগন্ত, চৌদ্দ জানুয়ারি, ২০১০) শিরোনামের কলামে তিনি জঙ্গিবাদের উৎস (সচেতনে মোড় ঘুরিয়ে) হিসেবে আওয়ামী সরকারকে অভিযুক্ত করেছিলেন। এখানে কোন তত্ত্বকথা নেই। নিটোল যুক্তি- আওয়ামী আমলে বোমাবাজি হয় না। কিন্তু বিএনপির আমলে হয়। তার মানে বিএনপিকে বিপাকে ফেলতে আওয়ামী লীগ এসব করায়। ফরহাদ সাহেব প্রয়োজনে সহজ কথা সহজে বলে ফেলেন।

… একটি প্রশ্ন এখনও রহস্য হয়ে আছে। একটি তথাকথিত ইসলামপন্থী জোট ক্ষমতায় থাকার সময় ‘ইসলামী জঙ্গিবাদ’ বাংলাদেশ মাথাচাড়া দিয়ে উঠল কেন? এর কারণ কি? কেন জোট সরকার নিজেদের ক্ষমতা দুর্বল করবে? কেন বাংলাদেশ অস্থিতিশীল করবে? এটা হিসেবে মেলে না। বিশেষত যখন ভালো-মন্দে মিশিয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আস্তে আস্তে দাঁড়িয়ে যাচ্ছিল। যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ইসলামী জঙ্গিদের তৎপরতা কমে যায় তাহলে ইসলামী জঙ্গিদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ কিংবা তাদের রাজনৈতিক মিত্র ভারতের কোন সম্পর্ক রয়েছে কিনা সেটাই বরং প্রশ্ন হয়ে উঠেছে। গুরুতর প্রশ্ন হয়েই প্রত্যাবর্তন করবে।…

এখানে একটা ব্যাপার। ২০০৫ সালের বক্তৃতায় তিনি সতেরই আগস্টের বোমাহামলাকারীদের পক্ষে কথা বলেছেন। আবার ইদানীং আওয়ামী লীগ বোমাবাজির মদদ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন। একবার বলছেন ইসলামের পক্ষে জঙ্গিবাদ করা যায়। আবার এখানে বলছেন, আওয়ামী ‘ইসলামি জঙ্গিবাদ’কে পৃষ্ঠপোষকতা করছে। স্ববিরোধী কথাবার্তায় ভরপুর ফরহাদ মজহার আসলে কী বলতে চান!

ধর্ম ও কম্যুনিজম এই দুটোর মধ্যে এক ধরণের বিনিসুতো গড়তে গিয়ে ইসলামিক ফ্যানাটিকদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে তিনি অবিশ্রাম কাজ করে চলছেন। তাঁর বহি ‘ভাবান্দোলন’ আর ‘মোকাবিলা’ কিছু কিছু মজহারীয় ভাবাগোনাকে সমীকরণে নিয়ে আসার প্রয়াস। দুটি বই বিশ্লেষণ দাবী করে।

পরের পর্বে থাকছে মকসুদ-আসিফ নজরুল-বদরুদ্দিন উমর গং এর সাম্প্রতিক কিছু কলাম নিয়ে বিশ্লেষণ।

ফিরে: পত্রিকার স্ক্যানকপি কুলদা রায়ের সৌজন্যে।

--
যুদ্ধাপরাধী ও বুদ্ধিজীবী।।৩।।


মন্তব্য

হাসিব এর ছবি

ফরহাদ মজহার একালের সবচেয়ে বড় প্রতিক্রিয়াশীল ভন্ড। মজহারের মুরিদকুলের নাম পরিচয়ও প্রকাশ হোক।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ফরহাদ মজহার বুদ্ধিজীবী হিসাবে আমাদের মধ্যে সব চাইতে গণতান্ত্রিক। - এই বাক্যটা ব্রারাইলের।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ললিতলোভনকান্তি ব্রাত্যপরিতোষকেরা যারা সাংস্কৃতিক দূষণ করে প্রাক তরুণীদের হৃদয় হরণ করে এবং যে কোন ঐক্যের লেজে তারাবাতি বেঁধে দিয়ে গ্যালারীতে বসে রাজনীতির সমকামিতা এবং বহুগামিতার চর্চা করে।

অবশ্য পাঠক এদের পাত্তা দেয়না। তবে এদের প্লাম্বার বানিয়ে শীতের দেশে পাঠালে বুঝবে কাজ করে খাওয়া কী জিনিস।এই ফ্রিলোডারদের জন্য লেখা শুভাশীষের অবিচ্যুয়ারীটিকে অভিবাদন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি


আমি বাংলাদেশে ২ রকম ইসলাম দেখি। লোকবাদী ইসলাম ও তৈলস্পর্ধী ইসলাম। এই দুই-ই ধর্মের চেয়ে অধিক, সম্প্রদায়। এরা ৮০র দশক থেকে যুদ্ধরত। দ্বন্দ্ব বলতে পারেন। লোকবাদী লালন আর তৈলস্পর্ধী লাদেন এই দুইয়েকেই টোটেম মানা 'কবিরাজ' মজহার দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ আয়ত্ত করতে পারেন নাই অথবা পেরেও ভুল বকে যান - এনিয়ে কোনো সন্দেহ নাই। তাত্ত্বিকভাবে ফরহাদ মজহার একটা জাঙ্ক। একে জাঙ্ক হিসাবেই 'মোকাবিলা' করতে হবে।

___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

১। মজহার সাহেব এগুলো আয়ত্ত না করে প্রথম সারির বুদ্ধিজীবীর লেবাস নিয়ে ঘোরেন। বহিরঙ্গে পঠনব্যাপ্তির অসীমতটে পৌঁছে ফ্যানাটিকদের বুকে জড়ান। প্রতিক্রিয়াশীল তকমা তাঁর জন্য যথেষ্ঠ নয়।

-----------------------------------------------------------

অভ্র আমার ওংকার

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ব্যক্তিটি ব্যক্তি হিসেবে অকিঞ্চিতকর। কিন্তু
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

সচল জাহিদ এর ছবি

চলুকচলুকচলুক

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

পুতুল [অতিথি] এর ছবি

মজহারের চিকিৎসা দরকার।

মূর্তালা রামাত এর ছবি

মজহার সাহেবের ভণ্ডামী বা পাগলামী দিনদিন সীমা ছাড়িয়েই যাচ্ছে............বাম পচলে যে এত ডান হয় তা তাকে না দেখলে বোঝা দায়....

মূর্তালা রামাত

কুলদা রায় এর ছবি

ফরহাদীয় তালবেলেমদের একটি তালিকা করলে কিন্তু মন্দ হত না।
ধরা যাক--
১। সাজ্জাদ শরীফ, ২। ব্রাত্য রাইসু, ৩। সুমন রহমান ওরফে দ্দীনু, ৪। মাহবুব মোর্শেদ ওরফে কলু মোর্শেদ, ৭। মাসুদ খান, ৮। সোহেল হাসান গালিব, ৯। তারিক টুকু, ১০। সাখাওয়াত টিপু, ১১। সৌম্য দাশগুপ্ত, ১২। সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ, ১৩। কোলকাতার কবি গৌতম চৌধুরী, ১৪। জয়দেব বসু, ১৫। কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর ১৬। ভাস্কর আবেদীন, ১৭। চঞ্চল আশরাফ, ১৮। মাজুল হাসান, ১৯। হিন্দোল ভট্টাচার্য (প: ব:)...

এই নামগুলো তাৎক্ষণিকভাবে মনে এল। এগুলো বাছাই করা যেতে পারে। আরও নাম সংযোজন করুন।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

অতিথি লেখক এর ছবি

কস্কি মমিন!! এরা তার মুরিদানগুষ্ঠি নাকি? এখন তো ভয় হচ্ছে, এই ফরহাদ এইদিন থাকবেনা, কিন্তু এই ভাবশিষ্যরা তো ম্যাতকার করেই যাবে...

অদ্রোহ।

অকুল নন্দী এর ছবি

তালিকা করে কূলে উঠার এই ধরনের কুলহীন অপচেষ্টা না করে মতের বিরুদ্ধে মত দাঁড় করান। কাজ হবে।

দ্রোহী এর ছবি

কিডা গো আপনে? দ্দীণূ ভায়া না রইচ কবি?


কি মাঝি, ডরাইলা?

মাহবুবুল হক এর ছবি

তালিকা থেকে চঞ্চল আশরাফের নামটা বাদ যাওয়া উচিত। কোন এককালে মজহারের আড্ডায় কিছুদিন আনাজানা করলেও চঞ্চল ওই লাইনের না। নিশ্চিত।
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে লিখি কথা
আমি তো বেকার পেয়েছি লেখার স্বাধীনতা

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হতে পারে।

তবে উনার এই লেখার এপ্রোচ ভালো ঠেকেনি।

---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

তাজ এর ছবি

লিংকটা ঠিক করে দিন।

অতিথি লেখক এর ছবি

ফরহাদ মজহার New Age এর year special magazine "Heroes" এর একজন হিরো ছিলেন। আর আসিফ নজরুলের সাক্ষাতকার নেয়া হয়েছিল 'Face of the Future" সেকশনের আন্ডারে। ওইখানে কিছুদিন কাজ করার সুবাদে এক কলিগের কাছে শুনেছিলাম, নুরুল কবির নাকি ওনার একনিষ্ঠ শিষ্য। আরেকজন কলিগতো দুঃখ করছিল, মানুষজন ফরহাদ মজহারকে আজকাল ভুল বোঝে। তাড়াতাড়ি একটা বড় স্টোরি করা দরকার ওনাকে নিয়ে।

ওডিন এর ছবি

নিউ এজ এর হিরোজ এ তো ফরহাদ মজহারের নাম থাকাটা খুব অস্বাভাবিক কিছু না। কিন্তু আমি বুঝি না নুরুল কবির লোকটারে নিয়া কেনো এখনো লোকজনের মধ্যে বিভ্রান্তি কাজ করে।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

অতিথি লেখক এর ছবি

বিভ্রান্তি 1/11 এর কারণে কাজ করে। কোথাও নিউ এজ এর জার্নালিস্ট শুনলেই মানুষজন ওনার ওই সময়ের ভূমিকার কথা তুলে প্রশংসা করা শুরু করে। কিন্তু উনি আর ওনার কিছু চ্যালা-প্যালার কাজ আর কাহিনী নিজের চোখে না দেখলে বোঝা মুশকিল।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

বিভ্রান্তি কাটানোর মতো তথ্য থাকলে এখানে পোষ্ট করেন।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অতিথি লেখক এর ছবি

www.newagebd.com এ যেয়ে একটু ফরহাদ মজহার আর আসিফ নজরুল এর নাম সার্চ দিয়ে দেখেন। মনে হবে বাংলাদেশে দুই জন মাত্র এক্সপার্ট আছে, আর তারা হচ্ছে এই দুই জন। এমন কোন পাতা বা স্টোরি নাই যেখানে ফরহাদ মজহারের মতামত নেয়া হয় না। মজহার এডিটোরিয়ালেও লেখে। আসিফ নজরুলও। এক ভাইয়া খুব দুঃখ করে বলছিল যে কিভাবে ওনার করা একটা হিউম্যান স্টোরিকে নুরুল কবির হোল্ড করে দিয়ে নিজের এক ফ্রেন্ডের স্টোরি ছাপিয়েছিল। ভাইয়ার করা স্টোরিটা নুরুল কবিরের ফ্রেন্ডের অ্যাটেণ্ড করা এক সেমিনার এর বিপক্ষে যেত তাই এবং এইটা উনি প্রায়ই করে। ওনার পছন্দের মানুষদের বাদে কারো অন্য কারো মতামত নেয়া যাবেনা। আর ওনার পছন্দের মানুষ হচ্ছে ফরহাদ মজহার। ১/১১ এর বিপক্ষে বলে ঊনি সবার চোখের মণি হয়ে আছে। কেউ আর কিছু দেখে না। ঊনি যে কি সেটা ওনার অফিসে কাজ করলে বুঝা যায়।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আমি নুরুল কবীর সম্পর্কে জানতে চাইছিলাম।
সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব ঠেকানোর জন্য আফ্রো-এশিয়ান দেশগুলোতে একটা মার্কিন কৌশল খুব কাজে লেগেছিলো। আসল বিপ্লবীদের আউট অফ ফোকাস করার জন্য মার্কিনী মদদে বিপ্লব সম্ভাব্য দেশগুলোতে ছদ্মবিপ্লবী গড়ে উঠতো। ছদ্মদের বিপ্লবী জোস আর সাজানো মার্কিন বিরোধীতার ঠেলায় আসলরা নাই হয়ে যেতো।

আমাদের ১/১১ এর রূপকাররা সেরকম ছদ্ম বিরোধী যে তৈরী করেনি সেসময়- নিশ্চয়তা কে দেবে?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

হাসান মোরশেদ এর ছবি

অনিন্দ্য,
এই লিংকেকিছু কথাবার্তা আছে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অতিথি লেখক এর ছবি

উনি যে ছদ্ম গিরগিটি সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। স্পেসিফিক কিছু জানতে চান? তিন মাস ওনাদের কর্ম-কান্ড দেখার দুর্ভাগ্য হয়েছে। আর ওইখানে মুখ খোলা নিষেধ। যাকে বলা হয়েছিল, নুরুল কবীর ফরহাদ মজহারের শিষ্য, সেই লোক সন্দেহের দৃষ্টিতে আমার কলিগের দিকে তাকিয়ে ছিল। মেজাজ খারাপ করে আর কথাই বলে নাই। এখানেই নুরুল কবীরের সার্থকতা। হিরো ইমেজ বানিয়ে রাখসে। কেউ সন্দেহ করবে না। আর ওনার পত্রিকা "গুনীজনদের" ব্যাকআপ দিয়ে যাচ্ছে।

কৌস্তুভ এর ছবি

চমৎকার বিশ্লেষণ।

বাংলায় ‘বিজ্ঞান’ কথাটার মানে কিন্তু বিকৃত জ্ঞান, যে জ্ঞান তার স্বভাব হারিয়ে ফেলেছে এবং জ্ঞান চর্চার উদ্দেশ্য খুইয়েছে। ঠিক।

ইনি সত্যি অসাধারণ!

মুস্তাফিজ এর ছবি

এহ্‌ একদম বরবাদ করে দিলেন?

...........................
Every Picture Tells a Story

নামগোত্রহীন এর ছবি

লোকটাকে এত গুরুত্ব দেয়ার কি আছে বুঝলামনা।
মাল'টা তো পাবনার পেশেন্ট;)
তাকে যারা সুযোগ দেয় তারাও কেউ কেউ পেশেন্ট, বাকিরা ধান্দাবাজ দেশদ্রোহী।
খামোখা সময় নষ্ট!

মনমাঝি [অতিথি] এর ছবি

"বজ্জাতিরও একটা সীমা আছে, গাধামির তাও নাই"
- নেপোলিয়ন

## হুম্‌ম্‌ম্‌ম্‌ম্‌ !!! ঐ নেপু ব্যাটা বরবাইদ্যার কাছ থিকা নিঘ্‌ঘাৎ ট্যাকা খাইসে ! বরবাইদ্যার চ্যালা-চামুন্ডা আর ফ্যানক্লাবের আসল চেহারা ফাঁস কইরাও (বাক্যের শেষাংশে), গুরুটারে কেমুন সুড়ুৎ কইরা সেইভ কইরা দিল (বাক্যের প্রথমাংশে) !!!

মনমাঝি [অতিথি] এর ছবি

"গাধামি আর প্রতিভার মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে যে প্রতিভার সীমা আছে।"
- মহাবিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন

# "বজ্জাতি আর বরবাদির মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে যে বজ্জাতির সীমা আছে।"
- মহাফকির মনমাঝি

জাহামজেদ এর ছবি

তিনি একাধারে কবি, এনজিও মালিক, কলামলেখক, গবেষক, গীতিকার, গদ্যকার, গায়ক, ভাববাদী, সুরকার, সমাজসেবক, দার্শনিক, কৃষিবিদ, লালন বিশারদ, পরিবেশবাদী

আর কিছু নাই !

_______________________________
বৃষ্টির মধ্যে রোদ হয়ে তুই
পাতার গায়ে নাচ
কষ্টের রঙে সুখ হয়ে তুই
আমার মাঝে বাঁচ...

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

অতিথি লেখক এর ছবি

খালি নৃত্যশিল্পী হওয়া বাদ আছে খাইছে

সৈয়দ আফসার এর ছবি

চমৎকার বিশ্লেষণের জন্য অভিবাদন আপনাকে।
ফরহাদ মজহার এসব বিষয় নিয়ে 'সূনৃত'-৩ (২০০৩) সংখ্যার
সম্পাদকীয়তে দীর্ঘ আলোকপাত ছিল। দূর্ভাগ্য সংখ্যাটি এখন
হাতের কাছে নেই। পাঠকের জন্য এ লেখাটি
পোষ্ট করলে আরো ভালো হতো।
আবারও ধন্যবাদ।

__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!

__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!

কুলদা রায় এর ছবি

আমার সংগ্রহে আছে। ইমেজ কপি দেওয়া যাবে।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

অতিথি লেখক এর ছবি

মজহারকে পড়া বাদ দিয়েছি চার-পাঁচ বছরের উপরে হবে। চরম বিরক্তিকর তার লেখা গুলা।তবে এটা দারুন কাজ হয়েছে। ব্লগের মাধ্যমেই এদের চিনিয়ে দেয়া দরকার। ৪-৫ বছর আগে যখন ব্লগ ছিল না তখন মানুষকে এই অখাদ্য গিলতে হয়েছে। কারণ প্রধান মিডিয়াগুলো এখনকার মত তখনো মজহারিয় ফ্যালাসি বিক্রি করে আখের গোছাতো।

অনন্ত

দ্রোহী এর ছবি

বিজ্ঞান যখন আঁতুড় ঘরে ছিল তখন দেখা যেত একজন মানুষের পক্ষেই পর্দাথ, রসায়ন, গণিত, উদ্ভিদবিদ্যা, প্রাণীবিদ্যাসহ বিজ্ঞানের প্রায় সব শাখায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সম্ভবপর ছিল।

আমাদের দেশীয় বুদ্ধিজীবিদের টাইটেলের তালিকার দিকে তাকালে স্পষ্ট ভাবে বোঝা যায় আমাদের বুদ্ধিজীবী সমাজ যে এখনো আঁতুড় ঘরে আছে। বুদ্ধিবৃত্তিক দিক থেকে আমরা এতটাই দৈন্যতায় ভুগি যে ফরহাদ মগবাজারের মত একজন বাটপারকেও বুদ্ধিজীবীর তালিকায় উঠাতে হয়।

মন খারাপ

বেড়ে ওঠার কালে শিখেছি "দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য"। ফরহাদ মগবাজারের সবচেয়ে বড় পরিচয় সে একটা ছাগু। সে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দার্শনিক হলেও কিছু যায় আসে না। কারণ, ছাগলরে প্যান্ট পরালেও সে ছাগলই থেকে যায়।


কি মাঝি, ডরাইলা?

পৃথিবী [অতিথি] এর ছবি

ফরহাদ মজহারের বয়স দিন দিন কমছে, তিনি মনের দিক দিয়ে আস্তে আস্তে কিশোর হয়ে যাচ্ছেন। তার প্রবন্ধগুলোর কনসিস্টেনসীর সাথে একজন কিশোরের চিন্তা-ভাবনার ব্যাপক মিল পাওয়া যায়।

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

ফরহাদ মজহারের প্রতিভা নিয়ে কিন্তু আহমদ ছফাও নিঃসন্দিগ্ধ ছিলেন। এমনকি, দুর্মুখ হুমায়ুন আজাদও। কিন্তু, নেহাৎ রামছাগল বলেই বোধহয় আমি তাঁর কাব্যপ্রতিভা কিংবা রাজনৈতিক প্রবন্ধের গুণগ্রাহী হতে পারি নি। রং-বদলানো মজহার সাহেবের ভেক যে ভিখের জন্যেই এব্যাপারে মগজসাফা হই বিশেষদলীয় পত্রিকাগুলোয় তাঁর বিশেষ 'উত্তরাধুনিক ধোঁয়াশা'ময় কলামে। তবে, গিরগিটি যে তিনি নন, তার প্রমাণ মেলে তসলিমার 'ক'-তে। আগে থেকেই তিনি ধর্মময় জীবন ও রাজনীতি গড়তেই আগ্রহী ছিলেন। বামপন্থী মোল্লাপনার তিনি আক্ষরিক ও সৎ উদাহরণ।

এবার কিছু পদাবলি বর্ণনা করি তাঁর সিলসিলায়, আপনাদের খেদমতে। খোন্দকার আশরাফ হোসেনের লেখা, সদানন্দ ছদ্মনামে, প্রায় পনের বছর আগের, আশ্চর্য!! পুরোটা পেতে এই রঙিন লেখায় খোঁচা দিন। আরো মজার জিনিসও আছে।

সদানন্দকৃত দরজাল কবির হুলিয়ানামাহ্

আখেরের বাত কহি শুন মমিনগণ।
না হলে পস্তাইতে হবে শুধু অকারণ॥
সে এক কঠিন কাল আসিবে জগতে।
কবিরা কলম ছাড়ি ছুরি নিবে হাতে॥
দরহাম হরজাফ নামে আসিবেন কবি।
নিজেরেই দাবী তিনি করিবেন নবী॥
এক হাতে রবে তার কিতাব শায়েরি।
অন্য হাতে গণহত্যা চালানো ডায়েরি॥
হাঁকিয়া বলিবেন তিনি, সন্ত্রাস যে ন্যায্য।
পুরানা এ রাষ্ট্র ভাঙো কেননা সে ত্যাজ্য॥
সদানন্দ বলে শুন তার বিবরণ।
কেমন দেখিতে হবে সেই বিভীষণ॥
মধ্যম যে কদ হবে দৈর্ঘ্যে পাঁচফুট।
দিবারাত্র তার পায়ে শোভা পাবে বুট॥
ভুরু দুটি জোড়া হবে খাড়া হবে নাক।
কপালের শেষভাগে অল্প অল্প টাক॥
তাহার জবান হবে এরকম মধু।
যেমন চিনির রসে ভিজাইলে কদু॥
পেসানি কোসাদা হবে, হবে দুই জরু।
শাভাগ মোকামে তারা চরাইবে গরু॥
তার দুই শিষ্য হবে বরযাদ বারুতি।
তাহার বাহন হবে সুজুকি মারুতি॥
যদিও ফয়সালা ছিল খাতমে নবুয়ত।
ঐ পাপী করবে দাবী নব কবুয়ত॥

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ফরহাদ মজহারের প্রতিভা নিয়ে কিন্তু আহমদ ছফাও নিঃসন্দিগ্ধ ছিলেন।

কথাটা সর্বাংশে ঠিক নয়।

আর ফরহাদ মজহারের ইসলামিক জঙ্গিবাদের প্রতি প্রবল পক্ষপাত ২০০৩-২০০৪ সাল থেকে স্পষ্ট হয়।

---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

কুলদা রায় এর ছবি

ফরহাদ মজহার বিষয়ে আহমদ ছফার একটি মন্তব্য দেখুন--
হুমায়ুন কবিরের মৃত্যুরহস্য বিষয়ে আহমদ ছফা
by Raisul Musafir on Saturday, June 27, 2009 at 2:36am
'খান ব্রাদার্স এ্যান্ড কোম্পানি'অলারা নূরুল আনোয়ারের সম্পাদনায় ২০০৪ সালে আহমদ ছফার ডায়েরি নামে একটা বই ছাপাইছিল। বইডা অনেক আগেই কিনছিলাম, কিন্তু পড়তে পারি নাই। আজকে বইডা পড়তে পড়তে '১৮ মার্চ, ৭৩'-এর এন্ট্রিডার একটা জাগায় আইয়া চইমকা গেলাম। ছফা সাহেব লিখতেছেন--

"ভাত খেলাম। কাপড় ধুয়ে দিলাম। ঘুমোলাম। মনওয়ার এবং মসি এসে জাগালো। মসি ছেলেটাকে আমি ভয়ঙ্কর অপছন্দ করি। মনে হয় ছেলেটা কি একটা মতলবে ঘুরছে। আমার ধারণা হুমায়ুনের মৃত্যুরহস্যটা সে জানে। দিনে দিনে এ ধারণাটা আমার মনে পরিষ্কার রূপ লাভ করছে। কেমন জানি মনে হয়, ছেলেটার হাতে রক্তের দাগ লেগে আছে। এ ধরনের ছেলেদের কি করে এড়িয়ে চলবো সেটা একটা সমস্যা। রেবুদের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে সম্ভবত। এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত করতে পারিনি। আশা করছি এরই মধ্যে নতুন কোনো তথ্য জেনে যাবো। ফরহাদ মজহারের আমেরিকা পলায়ন, সালেহার সঙ্গে স্বামীর পুনর্মিলন এসবের সঙ্গে বোধ হয় হুমায়ুনের মৃত্যুর একটা সম্পর্ক জড়িত রয়েছে।"

তথ্যডা ভয়ানক না কন তো! আমি তো ভাবতাম ফেইসবুকে হুমায়ুন কবিরের মৃত্যুর লগে ফরহাদ মজহাররে জড়িত করা অইতাছে বোধয় কেবল মুখের তথ্যে, কোনোখানে বোধয় কোনো লেহা দলিল নাই। অহন তো দেখতাছি এইডা একটা বড় দলিল।

আচ্ছা এই 'মসি' লোকটা কেডা কইতে পারেন? রেবু এবং সালেহা ম্যাডাম বিষয়ে জানা গেলেও সুবিধা অয়।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

এর নিচে বিপ্লব রহমানের একটা কমেন্ট দেখছিলাম। এখন আর দেখছি না। চিন্তিত

---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

অতিথি লেখক এর ছবি

দুইদিন পর লগ ইন করে আপনার লেখাটাই প্রথমে চোখে পড়লো!
এক্কেবারে ফাটাই দিছেন শুভাশীষ দা! বলতে লজ্জা নেই আমিও একসময় এই লোকটারে বেশ পছন্দ করতাম, না বুইঝাই করতাম! একটু জ্ঞান হওয়ার পর তাঁর ভীমরতি গুলা চোখে পড়তে শুরু করে।

তবে,

তিনি একাধারে কবি, এনজিও মালিক, কলামলেখক, গবেষক, গীতিকার, গদ্যকার, গায়ক, ভাববাদী, সুরকার, সমাজসেবক, দার্শনিক, কৃষিবিদ, লালন বিশারদ, পরিবেশবাদী।

এমন বিরল প্রতিভাধরকে নিয়ে এত অল্প লিখলে হবে!! প্রতিটা বিষয় নিয়ে আলাদা আলাদা করে সিরিজ লেখা উচিত!
লেখাটা ফেইসবুকে শেয়ার করলাম।

কাজী মামুন

পাঠক আমি এর ছবি

কালের কন্ঠ, আগষ্ট ২৭, ২০১০, প্রথম পাতা

জামায়াতের ঢাকা মহানগরের আমির রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে উদ্ধার করা গোপন নথি অনুসারে জামায়াতের 'নিজস্ব' বিশিষ্টজনদের তালিকায় আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল, কমরেড সাইফুল হক ও ফরহাদ মজহার।

auto

যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম ব্যাহত করতে বিশেষ গোপন পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে জামায়াত ইসলামী। এ লক্ষ্যে 'বেসরকারি পর্যায়ের যুদ্ধাপরাধ অনুসন্ধান কমিটি' ব্যানারে একটি কমিটি গঠনের পাশাপাশি ১১ দফার কর্মপরিকল্পনা সাজিয়ে কাজও শুরু করেছে তারা। মুুক্তিযুদ্ধে জোরালো ভূমিকা রেখেছিলেন কিন্তু এখন মহাজোট সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো নয়, এরকম কয়েকজন ডাকসাইটে রাজনৈতিক নেতাকে ব্যানারে ভেড়ানোর চেষ্টা তাদের অন্যতম লক্ষ্য। এসব নেতার একটি তালিকা তৈরি করে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার গ্রেপ্তার অভিযানের সময় জামায়াত মহানগর আমির রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে এ-সংক্রান্ত কাগজপত্র জব্দ করেছে পুলিশ। জামায়াতের এই নেতা নেপথ্যে থেকে কথিত এই কমিটির সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করছিলেন বলেও পুলিশ দাবি করেছে। রফিকুল ইসলামকে রমনা থানায় দায়েরকৃত ফারুক হত্যা মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মনিরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে জানান, জামায়াত নেতা রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে যুদ্ধাপরাধের বিচার ঠেকানোর পরিকল্পনা সংবলিত কিছু কাগজপত্র পাওয়া গেছে। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
১১ দফা কী কী : উদ্ধারকৃত কাগজপত্র অনুসারে ১১ দফা কর্মপরিল্পনার মধ্যে প্রথমেই বলা হয়েছে, জামায়াত তাদের নিজের মতো করে তথ্য-প্রমাণসহ ৭৭ যুদ্ধাপরাধীর একটি তালিকা তৈরি করবে। আওয়ামী লীগ, মহাজোটের শরিক কোনো দল বা বামপন্থী দলগুলোর মধ্য থেকে নেতাদের খুঁজে বের করে এ তালিকা করা হবে। এসব নেতার মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা গণমাধ্যমে প্রকাশের পাশাপাশি প্রচারপত্র তৈরি করে জনসাধারণের মধ্যে বিলি করা হবে। যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে মন্ত্রীদের পরস্পরবিরোধী বক্তব্যের ওপর ভিডিও রিপোর্ট তৈরি করে তা প্রচার করা হবে।

এ ছাড়া যুদ্ধাপরাধের বিচার ইস্যু নিয়ে ঘন ঘন সেমিনার করা হবে। যারা সরাসরি জামায়াতের রাজনীতি করেন না এরকম বিশিষ্টজনদের এসব সেমিনার বা আলোচনায় হাজির করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নিলেও কোনো কারণে এখন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহজোট সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো নয়_এরকম ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের সঙ্গে সুসম্পর্ক করে সেমিনারে টানতে হবে। এ ক্ষেত্রে জামায়াতের লক্ষ্য হচ্ছে_বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ও শাহাজাহান সিরাজ। উদ্ধার করা নথি অনুসারে জামায়াতের 'নিজস্ব' বিশিষ্টজনদের তালিকায় আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল, কমরেড সাইফুল হক ও ফরহাদ মজহার। সেমিনারে দেওয়া তাঁদের বক্তব্য ধারণ করে বুকলেট ও ভিসিডি তৈরি করে ব্যাপকভাবে প্রচারের ব্যবস্থা করার কথা রয়েছে কর্মপরিকল্পনায়।

জামায়াতের গোপন পরিকল্পনায় বলা হয়, বর্তমানে যাঁদের যুদ্ধাপরাধী বলা হচ্ছে, তাঁদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে অনেকের ছবি আছে_ যেগুলো বিভিন্ন সভা-সেমিনার থেকে ধারণা করা। এসব ছবির মধ্যে আছে স্বাধীনতার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে গোলাম আযম, বিভিন্ন সময় শেখ হাসিনার সঙ্গে নিজামী, মুজাহিদের সঙ্গে রাশেদ খান মেনন, জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের ভিডিও বা স্থিরচিত্র, ইসলামী ঐক্যজোটের (একাংশ) চেয়ারম্যান মিজবাউর রহমানের সঙ্গে নিজামীর ছবি। এসব ছবি বা ভিডিও সংগ্রহ করে তা প্রচারপত্র ও ভিডিও আকারে তৈরি করে তা বিলি করার কথা রয়েছে কর্মপরিকল্পনায়। রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে পাওয়া নথিতে আরো বলা হয়, বর্তমান আওয়ামী লীগের যেসব নেতা যুদ্ধাপরাধ ইস্যু নিয়ে 'অতিউৎসাহ' দেখাচ্ছেন, তাঁদের তালিকা ও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে প্রচার করতে হবে।

রিমান্ডে রফিকুল : আমাদের আদালত প্রতিবেদক জানান, জামায়াত নেতা রফিকুল ইসলামকে গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে ফারুক হত্যা মামলায় সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক জিয়া উজ জামান। শুনানি শেষে ঢাকার তিন নম্বর অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. আলী হোসাইন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করলেও আদালত তা নাকচ করে দেন। এ ছাড়া উত্তরা থানায় ১৯ এপ্রিল দায়েরকৃত রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

২৭ জুন বিএনপির ডাকা হরতালের আগের রাতে গাড়িতে আগুন দেওয়া হলে পথচারী ফারুক গুরুতর অগি্নদগ্ধ হয়ে পড়ে মারা যান। এ ঘটনায় রমনা থানায় হত্যা মামলা করা হয়।

নামগোত্রহীন এর ছবি

দ্রোহী লিখেছেন:
আমাদের দেশীয় বুদ্ধিজীবিদের টাইটেলের তালিকার দিকে তাকালে স্পষ্ট ভাবে বোঝা যায় আমাদের বুদ্ধিজীবী সমাজ যে এখনো আঁতুড় ঘরে আছে। বুদ্ধিবৃত্তিক দিক থেকে আমরা এতটাই দৈন্যতায় ভুগি যে ফরহাদ মগবাজারের মত একজন বাটপারকেও বুদ্ধিজীবীর তালিকায় উঠাতে হয়।

মন খারাপ

বেড়ে ওঠার কালে শিখেছি "দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য"।


কি মাঝি, ডরাইলা?

আপনার জবাব নাই। এবার ধূগো'র পোষ্টে আপনার করা প্রশ্নের জবাব আপনিই এখানে দিয়ে দিয়েছেন। হাসি শুধু দেশের জায়গায় ব্লগ বসিয়ে নিলেই চলবে।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ব্লগ নিয়ে তো আপনার ব্যাপক সমস্যা দেখা যাচ্ছে।
এতো সমস্যা নিয়ে তো সহবাস হয়না ভ্রাতঃ। আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মঙ্গলময় হচ্ছে ব্লগ থেকে দূরে থাকা।
ব্লগে যারা লেখে তার কেউ বুদ্ধি বেঁচে খায়না তাই ব্লগে কোন বুদ্ধিজীবি নাই। ব্লগে কিছু ফাতরা পোলাপাইন আছে খালি, যারা বুদ্ধিজীবিদের ল্যাঞ্জা ধইরা টান মারে।
যাদের দৃশ্য কিংবা অদৃশ্য ল্যাঞ্জা আছে তাদের জন্য ব্লগ বিরাট সমস্যাই বটে।
দূরে থাকাই নিরাপদ তবে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

হিমু এর ছবি

শাহরিয়ার লীন নামের এই নির্লজ্জ লোকটা লোমপড়া কুত্তার মতো ঘুরেফিরে আসতেই থাকবে যতক্ষণ মডুরা তাকে পাছায় লাত্থি মেরে বের করে না দিচ্ছে। এই ব্যাটা আগে স্বনামেই মন্তব্য করতো, সম্ভবত মডুরা চিবি দেয়ার পর এখন নাম পাল্টে এসেছে ফোড়ন কাটতে।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ইনি?

----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

দ্রোহী এর ছবি

আপনার জবাব নাই। এবার ধূগো'র পোষ্টে আপনার করা প্রশ্নের জবাব আপনিই এখানে দিয়ে দিয়েছেন। হাসি শুধু দেশের জায়গায় ব্লগ বসিয়ে নিলেই চলবে।

বস আপনের দেখি কথাই হয় না। আমি ধুগোর ব্লগে আপনেরে জিগাইছি আপনে শিবির করেন কি না। আর আপনে সে প্রশ্নের উত্তর না দিয়া শুরু করলেন বকরবকর।

আবারও প্রশ্নটা করছি। ব্লগের অভিজ্ঞতায় দেখেছি শিবির সমর্থক ব্লগারদের বাপ-দাদারা বিরাট বড় মুক্তিযোদ্ধা। তারা নিজেরা এককালের ডালনেটের তালেবে-এলেম। আপনি এই "ব্লগ ছাগু" ছাঁচে খাপে খাপে বসে যাচ্ছেন। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে আপনি কি শিবির/জামাত করেন?

আপনার উত্তর যদি না হয় তাহলে পাঁচজন রাজাকারের নাম বলেন দেখি?


কি মাঝি, ডরাইলা?

ডোবারব্যাং এর ছবি

কয়েক বছর আগের কথা। “আমি বামপন্থী, কিন্তু আমি নাস্তিক না” পাবলিক লাইব্রেরির বড় অডিটোরিয়ামে অধুনা নিষিদ্ধ ঘোষিত হিজবুত তাহরির আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত হয়ে উক্ত মাদকউক্তি দিয়ে বক্তব্য শুরু করেন ফরহাদ মজহার। ফল যা হবার, তাই হয়েছিলো। পরের দেড়’দুমিনিট চতুর্দিকে কেবল পোঁদকাঁপানো-হলফাটানো-গগনবিদারি-করতালি। সময়টা তখন গরম। তালেবান বনাম মার্কিন। যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা। সাম্রাজ্যবাদ বনাম ইসলাম। ইহুদিবাদ বনাম মুসলিম সভ্যতা। লাড়ায়ে টাকবীড়। যুদ্ধ হয়। মৃত্য হয়। ধবংশ হয়। চাঙ্গা হয় যুদ্ধ-অর্থনীতির চাকা। নতুন কন্সট্রাকশনের খিদের নিচে দুমড়ে যায় লোকায়ত সভ্যতা। তেলের বাজার সামনে আসে। আরো হয় অনেক কিছু। তবে সবকিছুর অলক্ষ্যেই ঘটতে থাকে আরো অনেক কিছু। ধর্ম দিয়ে সাম্রাজ্যবাদ মুকাবিলা করাটাই একবিংশ শতকের শিক্ষা। বর্তমান সময়ের যুদ্ধ হলো মুসলমানবাদের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদের যুদ্ধ। এমন সব ঝালমুড়িতত্ত্ব প্রবল বিক্রমে আবারো সামনে আসে। মার্কেট পায়। পাইয়ে দেয়া হয়। আর এসবের মধ্যমনি হয়ে শহুরে শিকখ্যাত নাগরিক মধ্যবিত্তদের একুশ শতকীয় দার্শনিক হিসেবে লুঙ্গির নীচে জাঙ্গিয়া পরে নিয়ত ওয়াজরত থাকেন ফরহাদ মজহার। কে এই ফরহাদ মজহার? মুহুর্মুহু হস্তমৈথুনের ফলে ঠিকমতো বাল গজানোর আগেই ধোন বেঁকে যাওয়া শহুরে আবালোকদের তিনি সাক্ষাত লালন। সাক্ষাত মার্ক্স। সাক্ষাত মুহাম্মদ। ক্রুসেড জেহাদ আর শ্রেণী সংগ্রামের এক অতিপ্রাকৃতিক সম্মিলন। চিন্তা ও ততপরতার এক অকুতোভয় সিপাহশালার। এসব শহুরে শিকখ্যাত আর নাগরিক আবালোকরা বেশিরভাগই অনেক কষ্টেসৃষ্টে বাপের নাম বা সর্বোচ্চ দাদার নাম পর্যন্ত বলতে পারলেও, পোঁদে বোমা ফাটালেও দাদার বাপ কি তার বাপের নাম মনে করতে পারে না বিধায় ফরহাদ মজহারই হ্যাগোর পয়গম্বর। কসমপলিটন ঢাকায় সক্রিয় মুসলমান বিবেকানন্দের প্রেতাত্মা। এনজিওর কর্মসূচি। বিরাজনীতিকরণের আফিম। ইসলামের সুবাঁশ। সমাজতন্ত্রের রোমাঞ্চ। কোটি কোটি টাকার বাজেট। শুধু বাংলাদেশে না, সারা দুনিয়াতেই এনজিওর চরিত্র এক। (যেসব ভদ্রবাঞ্চোতগণ এনজিওর মধ্যেও অনেক ইতিবাচক বালছাল খুঁজে পান, বা এনজিও ধারার মাধ্যমে গরীবের উন্নতি কিম্বা সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা করা সম্ভব বলে ভাবেন; তাঁদের কথা আলাদা) বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, এনজিওর কার বেতন কত কিম্বা কার কি পদ, তা থাকে রহস্যাবৃত। যে এনজিও যত বেশি দুই নম্বরি, সেটা সম্পর্কে তথ্য তত অপ্রতুল। ফরহাদ মজহার ওরফে উবিনীগ ওরফে নয়াকৃষি আন্দোলোন ওরফে নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা ওরফে নবপ্রাণ আন্দোলন ওরফে চিন্তা ওরফে একগাদা ধুর্তামি সম্পর্কিত তথ্যও সঙ্গত কারণে অপ্রতুল। গিরিলের ফাঁক দিয়ে কেবল সামান্য কিছু জানা যায়। মজহারের কর্মচারিরা অবশ্য নানা জায়গায় উবিনীগকে এনজিও নয় বলে দাবি করেন। অন্যান্য নানান ধুনফুন আলাপ ০দান। আসল ঘটনা কি? বাংলাদেশের সরকার হলো বহুজাতিক কম্পানিগুলোর হুকুম পালনের দাস। তারা বিদেশী প্রভুদের / পরাশক্তির স্বার্থ সংরক্ষণ ও এজেন্ডা বাস্তবায়নে সদা ততপর। এ জাতীয় গলা কাঁপানো কলম ফাটিয়ে রক্ত বেরুনো বুলিই আমরা মজহার ওরফে ইত্যাদি ইত্যাদির কাছ থেকে শুনে থাকি। ভিত্রের ঘটনা কি সত্যিই এরকম? এনজিও মাত্রই সরকারের সাথে অম্লমধুর সুসম্পর্ক মেইন্টেইন করে। মজহারও বেতিক্রম তো ননই বরং আরেককাঠি চড়া। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চীন সফরের সময় এই লোক ছিলেন অন্যতম বিশ্বস্ত সফরসঙ্গী। সরকারের কোনো সুনির্দিষ্ট পদে না থেকেও তিনি সেই সফরে সরকারের একজন পলিসিমেকার। (খালেদা জিয়ার অত্যন্ত গুণী পুত্র তারেক রহমানের পরামর্ষক ও দার্শনিক হিসেবেও তিনি সাগ্রহে কর্মরত ছিলেন এবং তারেক রহমান একাধিকবার টাঙ্গাইলে উবিনীগের দুকানে শিখ্যাদীখ্যা নিতে গিয়েছিলেন; এমন গুজবও বাজারে আছে। কোনো ডকুমেন্ট না থাকায় এ প্রসঙ্গটিকে আলাপের বাইরে রাখছি) খালেদা জিয়া তথা বাংলাদেশ সরকারের এই উন্নয়ন সহযোগীটি নানাসময় নানাভাবে পুরস্কৃত হয়েছে। আগস্ট ২০০৪ সালে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। “ন্যাশনাল বায়োডাইভার্সিটি স্ট্রাটেজি এণ্ড একশন প্লান ফর বাংলাদেশ” শিরোনামের সেই ১১৩ পৃষ্ঠার সেই সরকারি প্রতিবেদনে সচরাচর যেসব সরকারি আগডুম বাগডুম ধুনফুন গাঁজাখুরি থাকে সেসবই আছে। কিন্তু অত্যন্ত তাতপর্যপূর্ণ ব্যাপার হলো এই সরকারি প্রজেক্টে উবিনীগ ওরফে নয়াকৃষি’র উদ্দেশ্যমূলক প্রশংসা। ২২ নম্বর পৃষ্ঠায় আলাদা বক্স করে বিশেষ মহব্বতের সাথে জেনেটিক ডাইভারসিটি রক্ষায় নয়াকৃষির পর্বতপ্রমাণ ভূমিকা লিপিবদ্ধ হয়েছে। মজার ব্যাপার হলো ১১৩ পৃষ্ঠার এই ঢাউস প্রতিবেদনে আর তেমন কোনো এনজিওর উল্লেখ নেই। (পুরো প্রতিবেদন পাওয়া যাবে ইউএসএইডের ওয়েবসাইটে http://www.usaid.gov/bd/files/7b.NBSAP.pdf )। অধুনা পরাশক্তি ও দাতা এজেন্সিগুলোর কাছে বায়োডাইভারসিটি প্রসঙ্গটা বেজায় গরম। সরকারি দীর্ঘসূত্রিতা বাইপাস করে কোনো ‘মহান’ ডোনার যদি বাংলাদেশে এ বিষয়ে দান করতে চান তাহলে এই সরকারি রিপোর্ট পড়ে প্রথমেই তার মনে হবে ফরহাদ মজহার ওরফে নয়াকৃষির কথা। দাতা সংস্থাটির কাছে মনে হবে নয়াকৃষি’ই তাদের ফান্ড পাবার জন্য সবচে যোগ্য এনজিও। ঐ প্রতিবেদনে সরকার বিশেষ আশা প্রকাশ করেছে যে তারা গ্লোবাল এনভায়রন্মেন্ট ফেসিলিটি (GEF), ইউএন্ডীপি (UNDP) ও এনজিওদের সহায়তায় এই প্রজেক্টের (NBSAP) মাধ্যমে পিয়ারেসপি (PRSP) বাস্তবায়নেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে। পরিহাস হলো, সরকারি প্রজেক্টে প্রশংশিত এই মুনাফেকটাই আবার রাস্তায় পিয়ারেস্পি বিরোধী কথাবার্তা বলে লঙ্কাকান্ড ঘটায়। ধোনব্যাকা স্বঘোষিত বালপন্থী’রা তা আবার হাঁ করে শোনে আর ঠপাঠপ তালিয়া বাজায়।
২০০১ সাল থেকে শুরু করে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ফাও ও উবিনীগ এর সরাসরি ফান্ডিং ও প্রত্যক্ষ সক্রিয়তায় এক বিশাল প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়। (দেখুন এই লিঙ্কে http://www.mcgill.ca/files/cine/ProcedureManual_Introduction.pdf ) লোকায়ত জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও স্বাস্থ্য বিষয়ক এই প্রজেক্টের অন্যতম কোলাবরেটর ছিলো উবিনীগ তথা নয়াকৃষি ধান্দালোন। জাতিসঙ্ঘ আর সহযোগী এসব প্রতিষ্ঠানগুলো দারিদ্র বিমোচোন আর ক্ষুধার বিরুদ্ধে কি কি বাল ছিঁড়ে আটি বান্ধে তা সবাই জানেন। মঝার রাও লুঙ্গির নিচে জাঙ্গিয়া পরে মানুষের সামনে কি টক শো’তে কি নয়াদিগন্তের পাতায় নিয়মিত এসবের বিরুদ্ধে বলেন। আর গোপনে তার কাজের নমুনা দেখুন ঐ ১২১ পৃষ্ঠার বিশাল ম্যানুয়ালে। পড়ুন। ছবিগুলোও দেখুন। ঘৃণ্য এনজিওবাজির সেই বস্তাপচা প্রেজেন্টেশন। কৃত্তিমভাবে বানানো এন্ডোজিনাস পপুলেশন। সাজানো সঙস্কৃতি। ফান্ডবান্ধব সব তরিকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা আর এনজিও আর জাতিসঙ্ঘের সংস্থা আর ডোনার গ্রুপ সবকিছু মিলেমিশে খাওয়াখাওয়ির খ্যামটা নাচ। জাতিসংঘ আর বহুজাতিক ফান্ডদাতাদের ভাড়ায় খাটা এই নিকৃষ্ট পতিতাবৃত্তিকেই বাপমার ঠিক না থাকা (ভদ্রোভাষায় আইডেনটিটির ক্রাইসিসে থাকা) কোনো কোনো ধোনবেকা নাগরিক শিকখ্যাতগণ বেজায় বৈপ্লবিক কিম্বা একদম মৌলিক ও অভূতপূর্ব কর্ম বলে রায় দেন!
২০০৪ সালে এডিবি একটি বই প্রকাশ করে। এডিবির স্নেহভাজন ও গুডবুকে থাকা বাংলাদেশের কয়েকটি এনজিওর বিষয়ে। এসব এনজিওগুলো কিভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নে রগরগে ভূমিকা রাখছে, তার তৈলাক্ত বিবরণসমৃদ্ধ সেই বই। (লিঙ্ক http://www.adb.org/documents/books/investing_in_ourselves/ban/bangladesh.pdf ) বইটিতে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে প্রশংসিত হয়েছে ফরহাদ মজহার ওরফে উবিনীগের ভূমিকা। সেমিনার সিম্পোজিয়াম টকশো নয়াদিগন্তে অহর্নিশ বহুজাতিক কম্পানি এডিবি বিশ্বব্যাঙ্কের মুণ্ডপাতের ভণ্ডামিরত ফরহাদ মজহারের প্রতি এডিবির স্নেহ ঝরে পড়েছে বইটির উবিনীগ চ্যাপ্ট্যারের ১৩৯ থেকে ১৪৮ পৃষ্ঠায়। এনজিও গঠনের শুরুর দিকে ১৯৯৯ সালে মজহার বিভিন্ন খ্রিস্টান মিশনারি সংস্থা থেকে পান অর্ধ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (দেখুন পৃষ্ঠা ১৪৬, শেষ প্যারা)। এনজিও খুলে, শুরুতেই মাত্র একটি সূত্র থেকে যে লোক এই পরিমাণ টাকা বাগায়, সেই লোক ধীরে ধীরে ডালপালা গজিয়ে আজ পর্যন্ত কত টাকা বানিয়েছে; তা তো অনুমান করাও দুরূহ। এডিবির গুডবুকে থাকা এই উবিনীগ ওরফে ফরহাদ মজহার কতটা হিংস্র ভয়ঙ্কর আর চতুর তা এডিবির ভাষ্যেই জানা যায়। নয়াকৃষি ওরফে ফরহাদ মজহার নানান সোর্স থেকে এনজিওবাজি করে অর্থের পাহাড় বানালেও মূলত এটা কাজ করে ক্রিশ্চিয়ান এইড সহ একাধিক খ্রিস্টান / বিতর্কিত এনজিওর পার্টনার হিসেবে (লিঙ্ক http://www.pwrdf.org/fileadmin/fe/files/uts_sepf09.pdf , http://www.3churches.net/magazine/oct2005/ , আরো প্রচুর পুরোনো পিডিয়েফ আছে যেগুলোর লিঙ্ক এখন কাজ করছে না; আগ্রহী হলে মেইল করে দেয়া যাবে) এই ক্রিশ্চিয়ান এইড বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন আর মুক্তিকামী মানুষের বিরুদ্ধে নানান নিপীড়ন আর চক্রান্তের জন্য কুখ্যাত। হাইতিতে ২০০৪ সালের রক্তাক্ত গণহত্যার জন্যও ক্রিশ্চিয়ান এইডের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। তো এরকম এক হিংস্র খ্রিস্টান সংস্থার বাংলাদেশ পার্টনার হলেন তালেবানদের সাম্রাজ্যবাদবিরোধী শক্তি হিসেবে মনে করা কি কবি হুমায়ুন কবীরের খুনের ঘটনায় একজন সন্দেহভাজন কি জেএমবিদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের ফারাক খুঁজে না পাওয়া আপাতএলোপাথাড়িঅসংলগ্ন বামপন্থি শব্দ আওড়ানো ফরহাদ মজহার।
ডোবারব্যাং

কুলদা রায় এর ছবি

গ্রেট জব। ওনার কৃষি, নয় কৃষি নিয়ে কিছু আলাপ সালাপ করার চেষ্টা করছি সচলায়তনে--লিংক
প্রভু তাহফিক দিলে ওনার ভাবান্দোলনসহ অন্যান্য অপকর্মাদি বিষয়ে পর্বে পর্বে বর্ণনা করার চেষ্টা করা হবে।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

সত্যান্বেষী এর ছবি

ডোবারব্যাং ভাই আপনার কমেনটই একটা পোষ্ট হওয়ার যোগ্য ব্লগে না আসলে এগুলার লুঙ্গির নিচের কাহিনী অজানাই থেকে যেতো আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ

কাজী মামুন [অতিথি] এর ছবি

মগবাজারী আলাপ শুনুন- http://bangla.irib.ir/index.php?option=com_content&task=view&id=13844&Itemid=68

রণদীপম বসু এর ছবি

ভয়ঙ্কর !!!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সিরাত এর ছবি

সেইরকম লেখা!

মুক্তি মণ্ডল এর ছবি

সামহোয়ারের লিংক ধরে এখানে আসলাম। লেখাটা পড়ে আরাম পাইলাম। লেখককে ধন্যবাদ জানাই।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

মজহার মিয়ার চান্ডি কাইটা ঘিলুটা বুড়িগঙ্গার পানিতে ধোওনের কাম, এত ময়লা ঐখানে, পরিষ্কার কইরা চিন্তা করবে কেম্নে? আরো হাসি পাইল ছাগুর ম্যাৎকার দেইখা! এরাম পোস্ট আইলের কইথিকা জানি সব ছাগুগুলান শিং উচায় ছুইট্টা আসে গড়াগড়ি দিয়া হাসি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

শহুরে কাক এর ছবি

এক কথায় অসাধারন
আমাদের মুক্তি কবে হবে এইসব ভন্ডদের কাছ থেকে?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।