[justify]গত আড়াই দিন ধরে টানা রোদ পাচ্ছি। তবে ঠাণ্ডা কমার নাম নাই। কারণ গত শুক্রবার রাতে সর্বনাশ যা হবার হয়ে গেছে। রাত দশটা থেকে ভোর চারটার মধ্যে সপ্তাহখানেকের তুষার একসাথে পড়েছে। তারপর শুরু হয়েছে প্রকৃতির আরেক খাইস্টা রাজনীতি। ভোরবেলা থেকে সকাল দশটা সাড়ে দশটা পর্যন্ত মাইনাস সাত-আট আর তারপরে ফটাশ করে প্লাস শুণ্য থেকে এক-দুই। তুষার গলে রাস্তাঘাট মোটামুটি কাদা হতে হতে আবার সন্ধ্যা স...
এই লেখাটা একটা ঘোরের মধ্যে আচ্ছন্ন থেকে লেখা, এবং তীব্র আবেগ থেকে। প্রথমে ইংলিশে, পরে বাংলায় পৃথক পৃথক ভাবে। ভয় ছিল লাগাম ছুটে যাবে। সম্ভবত তা ছোটেনি, বরং বোধয় একটু কষে গেছে। নিরীক্ষাধর্মী এটাকে বলব কি? সেই মানসিকতা নিয়েই এগোনো যদিও, তার সাফল্য বা ব্যর্থতা ত পাঠকদের ওপরই।
বোদ্ধা পাঠক নিশ্চয়ই এত ফাউ প্যাচাল থেকেই বুঝে ফেলেছেন যে পরবর্তী যা আছে তা খুব একটা সুবিধের হবে না। তবু বলি, ...
২০০০ সালে জানুয়ারিতে দে’জ থেকে প্রকাশিত নির্মল হালদার এর‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’ গ্রন্থের ভূমিকায় নির্মল বলেন— ‘কবিতা লিখতে লিখতে ক্ষয়ের দিকে যাওয়া। কবিতা লিখতে লিখতে আলোর দিকে অন্ধকারের দিকে যাওয়া। আমি আমার দিকেও যাই। কবিতা ছাড়া আমার আর কিছু নেই।’ নির্মলের কবিতা পাঠ করলে পাঠককে ক্ষয়ের দিকেই যেতে হবে; প্রাত্যহিক জীবনই নির্মলের কবিতা...। যতই নির্মলকে পাঠ করি; পুলকিত হই। আমার অনুরোধে ...
মামদো ভূতে ঘুমের ঘোরে
ঘুরছে যে ঢ্যাং ঢ্যাং,
সুযোগ বুঝে ওরাং ওটাং
মারছে তারে ল্যাং!
বাঁদরগুলো রব ভুলে বেশ
করছে ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ,
জিরাফ নাকি জল খাবেনা
চাইছে গরম ট্যাং!
ভীমরুলেরা দল বেঁধেছে,
খুলবে বিরাট গ্যাং,
চিংড়ি হঠাত্ গুমড়ে বলে,
"ডাকবি আমায় চ্যাং!!"
শেয়ালমামার মনটা খারাপ,
চিন্তা যে তার হ্যাং,
তাই না দেখে হুতুম প্যাঁচক
বেশ সেজেছে ঝ্যাং।
আজগুবী সব কান্ড দেখে
পটল তোলে ব্যাঙ,
ভূত...
১৩.
বিহবল বিকেলের শেষ রোদ মরে গেলে ঘাসগুলোর মনে হয়
শামুকের মত অনেকটা পথ পেরিয়ে তারা এসেছে কোন ছায়ায়
কোন পথের ধারে সহসা শ্লথ হয়ে পড়েছে তাম্র নাগরিক প্রাণ
শিশিরের দেহ আজ সহস্রকালের বিস্মৃত উপপাদ্যের ঘ্রাণ।
স্বপ্নের ডাল ছেটে বিষন্নতার দেহ তাকে বলি ঘাস
আমাদের নয় বসন্তবিভ্রাট নিয়ে বেঁচে থাকা।
১৪.
বিধাতা সৃষ্টি করলেন
জলধি, বৃক্ষরাজি, প্রান্তর
বললেন, যেমন খুশি যাপন কর।
সকল প্র...
ফেইসবুকে একটা স্ট্যাটাস আপডেট দিলাম। সেটা ছিল "I give up"।
দিয়েই লগ-আউট করে রাতে ঘুমিয়ে গেলাম। সকালে অফিসে গিয়েই কাজে ব্যস্ত ছিলাম সারাদিন। দুপুর গড়িয়ে বিকেল সন্ধ্যা পার করে অফিস শেষে বাড়ির পথ ধরলাম। পথে ফোন পেলাম বান্ধবী নাতাশার। 'কি রে রিখি? তোর গলা এমন শোনাচ্ছে কেন?' আমি অবাক হয়ে গেলাম। 'কিরকম শোনাচ্ছে বল্ তো?'
'শোন রিখি আমার কাছে লুকোস না। তুই একা একা এমন একটা কষ্ট বয়ে বেড়াবি আর আমরা ...
কলিক পেইনঃ
"শোন প্রায় নয়টা বাজে, এখন ফোন রাখতে হবে।"
"কেন কেন, নয়টার সময় কি হবে?"
"বাচ্চা কাঁদতে শুরু করবে"।
"বলিস কি...আজব তো...ঠিক নয়টার সময় কাঁদবে কেন?"
"এইটাকে বলে কলিক পেইন...যন্ত্রণার আরেক রূপ, ঘড়ি ধরে বেদনা"।
"আশ্চর্য, জীবনে প্রথম শুনলাম...কি ওষুধ দিব বাচ্চার এইটা হলে?"
"ওষুধ হচ্ছে...জোরে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার বা টিভি ছেড়ে দেওয়া"।
"আরে...এতো আরো আজীব..."।
"রোগ আজব আর তার চিকিৎসা অদ্ভুত হবে ...
[justify]বেহায়া সখ গুলো এখনও মাথাকুটে মরে... যতই বলি, 'এত্তদিন গেলো, জানিসই তো তোকে কেউ মেনে নিবেনা... ' কিন্তু না...তারপরেও ঘিড়িঙ্গিবাজী করবেই! জায়গায় বেজায়গায় ফাল না পাড়লে তার পেটের ভাত হজম হয়না!
কী যন্ত্রণা!
সমস্যা হলো এক সখ আমার টানা বেশিদিন থাকে না। অনেকদিন পরে হয়তোবা মাথাচাড়া দিবে কিন্তু লাফাঙ্গা স্বভাবের কারনেই বোধহয় কোনও কিছু নিয়ে বেশী গুতাইনা! প্রথম সখ হিসেবে নাম নেয়া যেতে পারে আ...
এ কেমন রূপকথা শোন,
নেই কোন দত্যি দানো।
আছে কুয়াশা আর চন্দ্রকলা,
আছে ভুবন ভরা ভালোবাসা।
দেশের নাম চন্দ্রালোক। পরীর রাজ্য চন্দ্রালোক। রাজ্যে এখন ঘোর দুর্দিন। চন্দ্রালোকের বুড়ি রাজমাতার কথায় চলে রাজা আর রাজ্য। কি জাদুর জালে এমন হয়ে গেল রাজা, কেউ জানে না।
মাস তিনেক আগেও ছিল সব ঠিক ঠাক। রাজ্য জুড়ে আনন্দের ফোয়ারা। আর ক’মাস পরেই রানীর কোল জুড়ে আসবে ফুঁটফুঁটে এক শিশু। গোটা রাজ্যের ...
পাঠক হিসেবে প্রতিদিনই সচলায়তনে আসি কিন্তু লেখার সাহস হয় না। আজ কেমন করে যেন লিখছি, তাও কাজের কিছু না। ছন্দময় কিছু অর্থহীন প্রলাপ বকে যাই। "আপনারা সুন্দর হইলে আমি বান্দর হইবো না কেনো?"
সতর্কীকরণঃ আমার মত অপরিণামদর্শী লোকের লেখা পড়া মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তবে তা না হলেও, ট্রিমড প্রিভিউ কমিয়ে দিয়েছি আবজাব বকে; এই কি বেশী না?
১
ফাগুন শেষের গরমে,
মেজাজ এখন চরম...