অযান্ত্রিক(৪)

অনিকেত এর ছবি
লিখেছেন অনিকেত (তারিখ: মঙ্গল, ১২/১০/২০১০ - ৯:০১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[বিজ্ঞপ্তি ১: অনেক আগে একটা সাই-ফাই লেখা শুরু করেছিলাম। নানা কারণে সেইটা শেষ করা হয়নি। একেবারে নবিস টাইপের এই লেখাতেও ক'জন সচল নিয়মিত বিরতিতে তাঁদের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। শুধু তাঁদের কথা ভেবেই এই প্রকল্পটা পুনরুজ্জীবিত করা হল। এই অভাজনের অনিঃশেষ কৃতজ্ঞতা তাঁদের প্রতি।]

[বিজ্ঞপ্তি ২: সাই-ফাই বলে আমি কিছু কিছু জিনিস,কিছু কিছু ধারনা কল্পনা করে নেবার স্বাধীনতা নিয়েছি।এসবের কিছু কিছু সহজেই ধরতে পারবেন। বাকীগুলোর জন্যে প্রতি পর্ব শেষে একটা নির্ঘন্ট দেবার চেষ্টা করব]

(প্রথম পর্ব)
(দ্বিতীয় পর্ব)
(তৃতীয় পর্ব)

~~~~~~~~~~~~~~~~~~0000~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
রানাসের ক্লাশ নিয়ে ব্যস্ততা ইদানিং খুব বেড়েছে। সেমিষ্টারের এই সময়টা সব সময়েই তার খুব ব্যস্ততায় কাটে। নানা কোর্সের পরীক্ষা নেয়া, খাতা দেখা----নানান যন্ত্রনা। এর উপরে আছে তার খুঁতখুঁতামির অভ্যেস। সারা রাগাশ্লুভে মনে হয় সে-ই সবার শেষে গ্রেড জমা দেয়।

দুপুরের দিকে রানাস ঠিক করল অফিসে বসে খাতাপত্র না দেখে বরং কাছের ক্যাফেটেরিয়াতে গিয়ে কাজটা করা যাক। মাঝে-মধ্যে মানুষের ভীড় তার জন্যে টনিকের মত কাজ করে। রানাস খেয়াল করে দেখেছে --কিছুদিন পর পরই এক দঙ্গল মানুষের মাঝে গিয়ে বসে থাকার ইচ্ছা, তার মাঝে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। এমনিতে সে নিজে খুব একটা সামাজিক জীব নয়। অপরিচিত কারোর সাথে দুম করে গিয়ে আলাপ গড়তে পারে না। কিন্তু তারপরও একসাথে অনেক গুলো মানুষকে কিচিরমিচির করতে দেখার মাঝে কী রকম যেন একটা প্রশান্তিদায়ক ব্যাপার আছে----

ক্যাফেটেরিয়াতে গিয়ে একটা নিখটার অর্ডার দিয়ে রানাস দক্ষিনের ছোট্ট টেবিলটাতে গিয়ে বসল। এইটা মোটামুটি তার বাঁধা জায়গা। ছোট্ট টেবিলের পাশেই একটা বিশাল কাচের জানালা। জানালার ওপাশে রাগাস্লুভ ইন্সটিটুটের বিস্তৃত ক্যাম্পাস আর নীলাভ পাহাড়ের সারি। মিষ্টি রোদ এসে রানাসের সামনের টেবিলে পড়েছে।

---এই যে আপনার নিখটার!

বড় একটা কাপে ধোঁয়া ওঠা নিখটার দিয়ে গেল ক্যাফেটেরিয়ার নীল-সাদা পোষাক পরা পরিচারিকা। রানাস ধন্যবাদ দিয়ে সবে মাত্র একটা চুমুক দিয়েছে---দেখল সেই পরিচারিকা আবার তার দিকে ফিরে আসছে। কাছে আসতেই চিনতে পারল রানাস। তার ক্লাসের ঐ সবুজ চোখা পাগলা মেয়েটা! মনে মনে প্রমাদ গুনল রানাস। মেয়েটা কাছে এসেই ঝুঁকে পড়ে বলল, আরে রানাস,তুমি এইখানে? আমি তো প্রথমে খেয়ালই করিনি!

---আরে, 'ইয়ে' (প্রবল বেগে মাথা চুলকায় রানাস, নাম মনে করার চেষ্টায়),---- কেমন আছো তুমি? আমি তো এইখানে মাঝে মাঝেই আসি নিখটার খেতে।

---তাই বুঝি? আমি তো আগে কখনো তোমাকে এখানে দেখি নি! অবশ্য আমি মাত্র গত মাসে এখানে কাজ শুরু করেছি।

রানাস ঠিক বুঝতে পারে না এই জায়গায় তার কী বলা উচিত। তাই সে এই রকম পরিস্থিতিতে বরাবর যা করে থাকে, তাই করল----হাসিমুখে তাকিয়ে রইল মেয়েটার দিকে।

----খাতাগুলো কিসের? আমাদের মিড-টার্মের নাকি?

স্মিতমুখে মাথা নাড়ে রানাস।

---বাহ, দারুণ তো! কেমন করেছি আমি? পরীক্ষা অবশ্য ভয়াবহ দিয়েছি। তোমাকে দেখে যতটা ভাল মানুষ মনে হয়,তোমার প্রশ্নগুলো একেবারে তার উলটো। আমার মনে আছে তোমার এই পরীক্ষা দিয়েই দৌড়তে দৌড়তে পাবে গিয়েছি। পর পর তিন গ্লাস নিখটার খেয়ে তারপরে একটু সুস্থির হলাম।

----আমি আমার প্রশ্নগুলোর তরফ থেকে আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি!

--- হা হা হা---!!! রানাসের অন্তরাত্মা কাঁপিয়ে দিয়ে মেয়েটা হেসে ওঠে।
---তুমি আসলেই খুব মজার কথা বল----যাকগে আমি কাজে গেলাম--

আশু মুক্তির আনন্দে রানাস নড়েচড়ে বসে। হাসিমুখে বলে, হ্যাঁ হ্যাঁ, তুমি কাজ কর। পরে কথা হবে---

মেয়েটা চলে যেতে গিয়েও আবার ফিরে আসল। খানিক মাথা চুলকে বলল, আসলে তোমাকে এইখানে এইভাবে জিজ্ঞেস করাটা হয়ত ঠিক হচ্ছে না, তবুও জিজ্ঞেস করেই ফেলি----

----চিন্তা কর না। আমি খুব উদার হাতেই গ্রেডিং করি।

---আরে ধুর! গ্রেডিং নিয়ে তোমাকে কে প্রশ্ন করছে?

রানাস থতমত খেয়ে গেল। সে ভেবেছিল পরীক্ষার খাতা সাথে দেখে হয়ত মেয়েটা গ্রেডের ব্যাপারে কথা বলতে চায়। রানাসের অপ্রস্তুত অবস্থাটা কিছুখন উপভোগ করে মেয়েটা। তারপরে হাসিমুখে বলে,আসলে আমি ভাবছিলাম এই বছরের শেষের দিকে গ্রাজুয়েট করব। গ্রাজুয়েশানের পর আমার ইচ্ছা নুরিয়ামে গিয়ে ইকোনমিক্স নিয়ে আরেকটু পড়াশোনা করার। তোমার বন্ধু ইঙ্ক্রা শুনেছি ওখান থেকেই পাশ করেছে। তুমি কি একটু তার সাথে আমার যোগাযোগ করিয়ে দিতে পারো? নুরিয়াম নিয়ে আমার কিছু কিছু জিনিস জানার ছিল। কেন্দ্রীয় তথ্য ভান্ডার কেবল অদরকারী তথ্য দিয়ে ভর্ত্তি। আমার দরকার ওখানে থেকেছে এমন কারো কাছ থেকে কিছু খবরাখবর নেয়া।

রানাস ব্যস্ত সমস্ত হয়ে বলে, হ্যাঁ হ্যাঁ অবশ্যই। কখন দেখা করতে চাও তার সাথে? তুমি চাইলে আজই আমি তার সাথে দেখা করিয়ে দিতে পারি। আজ সকালেই তার সাথে দেখা হয়েছে। যতদূর জানি সে আজ সারাটা দিন কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতেই কাটাবে।

মেয়েটা বলে, আমার ডিউটি এখানে শেষ হচ্ছে আর একঘন্টার মাঝে।
তুমি কতখন এইখানে থাকবে?

---আমি ভাবছিলাম আধ-ঘন্টাটাক। কিন্তু আরো আধাঘন্টা থাকতেই পারি। কোন ব্যাপার না।

মেয়েটার মুখ আলোয় ভরে উঠল। রানাসের কাঁধে আলতো করে চাপ দিয়ে মেয়েটা বলে, উফফ, তুমি যে আমার কী উপকার করলে, তুমি জানো না। আশা করছি তোমাকে বেশি ঝামেলায় ফেলছি না----

---আরে না না ---এইটা কোন ব্যাপারই না!

মেয়েটা তার কাঁধে আবারো একটা আলতো চাপ দিয়ে কেমন জানি ফুরফুর করে উড়ে চলে গেল।চলে গেল---কিন্তু রেখে গেল এক অন্যমনস্ক রানাস। সে চলে যাবার অনেকখন পরও রানাসকে দেখা গেল জানালা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে থাকতে। নীল পাহাড় গুলোর গায়ে কেমন যেন নীলাভ কুয়াশার মত কিছু জমেছে। সেই কুয়াশার চাদর ফুঁড়ে মাঝে মাঝেই পাহাড় গুলোর মাথা দুষ্টু ছেলের মত উঁকিঝুঁকি মারছে। হঠাৎ করেই রানাসের মনে পড়ল কতদিন তার ছুটি নেয়া হয়না।

পরীক্ষার খাতা দেখায় মন দিতে না দিতেই আবার কাঁধে টোকা পড়ল। দেখল হালকা নীল রঙের একটা পোষাক পরে হাসিমুখে সবুজ চোখো মেয়েটা দাঁড়িয়ে আছে। মেয়েটার হাসিটা বেশ অদ্ভূত--ভাবল রানাস। হাসিটা কেবল মুখে নয়, তার সারাটা অবয়বে যেন ছড়িয়ে আছে। কী যেন একটা চেনা জিনিসের সাথে মেয়েটার মিল আছে।

--আমার কাজ কিন্তু শেষ। তুমি আরো কিছুখন অপেক্ষা করতে চাও? নাকি এখনি আমরা বেরিয়ে পড়তে পারি?

মেয়েটার কথায় চিন্তার স্রোতে বাঁধা পড়ল রানাসের। দ্রুত কাগজ-পত্র গোছাতে গোছাতে বলল,
--আরে না, আমার কাজও প্রায় শেষ। চল যাওয়া যাক।

ক্যাফেটেরিয়া থেকে বেরিয়ে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে যাবার পথটা বেশ জনবহুল। সব সময়েই ছাত্র-ছাত্রী না হয় শিক্ষকরা যাওয়া আসা করছেন পথটা ধরে। মাঝে মাঝে অনেক রাতে এসেও রানাস দেখেছে এই পথটা নিরালা নয়। পথটা এম্নিতে বেশ অদ্ভূত। দু'রঙ্গা কঙ্ক্রিটের আস্তর দেয়া পথ। পথটার ঠিক মাঝবরাবর একটা হালকা কমলা রঙের আস্তর আর সেটার দু'পাশে হালকা ধুসর রঙের আস্তর। খুব ঝলমলে দিনে সে মাঝে মাঝে পথটার রঙ বদলাতে দেখেছে। হেমন্তের পড়ন্ত বিকেলে মাঝেই মাঝেই ঝরাপাতার রঙ্গে সাজে পথটা। পথটার দুইপাশের গাছগুলো থেকে ঝরে পড়া পাতাগুলোর সাথে পথটা মিশে এক হয়ে যায়। সবচাইতে মজা হয় যখন মধ্যদুপুরে হঠাৎ করে পথটা বিনা নোটিশে রঙ বদলে ফেলে। পথের সকল পথচারীরা তখন বেশ হৈ-চৈ চিৎকার চেঁচামেচি করে ব্যাপারটা স্বাগত জানায়।

আজ পথে নামার কিছুখনের মাঝেই সেই পরিচিত চিৎকার শুনে রানাস খেয়াল করল যে পথটা হাল্কা কমলা থেকে বদলে হাল্কা নীল হয়েছে। সবুজ চোখো মেয়েটা খুশিতে হাততালি দিয়ে উঠল। রানাস তাকাতেই মেয়েটা বলল, এমন চোখ গোল গোল করে তাকানোর মত কিছুই হয় নি। রানাস আমতা আমতা করে বলল, ইয়ে এত খুশি হবার কারণটা কী ? নীল রঙ তোমার পছন্দের রঙ বলে?
-- সেটা তো আছেই, তার উপর আমার ড্রেসের রংটা দেখো---এইটাও নীল। পথটা যেন আমার জন্যেই তার রঙ বদলে ফেলল---হি হি হি--
-- হুম, এই ভাবে ভাবলে অবশ্য খুশি হবার যথেষ্ট কারণ আছে। কিন্তু তোমার কি মনে হয় না এইটা সম্পূর্ণ একটা র‍্যান্ডম ঘটনা--মানে বলছিলাম কি--
--তোমার সমস্যাটা কী? ভ্রু কুঁচকে মেয়েটা রানাসকে থামায়। তুমি আমার খুশিটা নষ্ট করার জন্যে উঠে পড়ে লেগেছ কেন?
রানাস থতমত খেয়ে বলল, আরে না। সে রকম কিছু না। শুধু বলছিলাম যে রাস্তার রঙ বদলের ঘটনা সম্পূর্ণ দৈব-চয়নের ভিত্তিতে করা হয় বলে শুনেছি। সে জন্য এই ব্যাপারটা একটা আনন্দদায়ক কাকতালীয় ঘটনা---
মেয়েটার কটমটিয়ে তাকানো দেখে রানাস আর বক্তব্যটা বেশিদূর টেনে নিয়ে যাবার সাহস করে না। একহাতে মাথার এলোমেলো চুল ঠিক করতে করতে বলে, অন্যভাবে চিন্তা করলে বলা যায়, তোমার ড্রেসের সাথে আসলে রঙ মিলিয়েই পথটার রঙ বদলেছে--

মেয়েটা চট করে খুশি হয়ে উঠল। তার পিঠে বেশ বড়সড় একটা চাপড় বসিয়ে বলল, এইবারে তুমি ঠিকঠাক চিন্তা করতে পারছ। রানাস পিঠের ব্যথা নিয়ে অনুযোগ করার আগেই মেয়েটা তাকে রাস্তার মাঝখান থেকে টেনে এনে একপাশে দাঁড় করিয়ে দিল। বলল, তুমি রাস্তার এই পাশ ধরে হাঁট। আমি হাঁটব মাঝখান দিয়ে। মিনমিন করে রানাস বলল, ঠিক আছে কিন্তু তুমি রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাঁটবে আর আমাকে হাঁটতে হবে একধার দিয়ে তার কারণ হল--
এইটুকু বলে সপ্রশ্নে তাকিয়ে থাকে রানাস।
--কারণটা একেবারে সোজা। আমার ড্রেস নীল। রাস্তার মাঝখানটা নীল। কাজেই আমিই তো হাঁটব মাঝখান দিয়ে। তোমার ড্রেসের রঙের মত যেদিন রাস্তার মাঝখানটা হবে সেদিন তুমি মাঝখান দিয়ে হেঁটো, ঠিক আছে?
-- এইরকম একটা শক্ত যুক্তির বিরুদ্ধে আমি আর কীইবা বলতে পারি!!
মেয়েটা এবার খিলখিল করে হেসে উঠল আর সাথে সাথে রানাসের মনে পড়ে গেল---মেয়েটা দেখতে একেবারে মেঘের মতন!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~০০০০~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

নির্ঘন্টঃ

নিখটার (কাল্পনিক) : এক রকমের স্নায়ু-প্রশান্তকারী পানীয়।


মন্তব্য

সাইফ তাহসিন এর ছবি

যাক, আবারো দেখা পাওয়া গেল 'অযান্ত্রিক' এর। আপনার আকাশে লক্ষ-কোটি তারা এই সিরিজ পুনরুজ্জীবিত করার জন্যে।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ বস। দেখি এইবার এইটা টেনে কত দূর নেয়া যায়।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

মেকানিকের স্লাইড ট্রে বানায় দিব দরকার পড়লে, ঐটার মধ্যে শুয়ে ধাক্কা দিবেন। আর আসল কথা বলার আগেই ভুল করে ক্লি করে দিয়ে ভেজালে পড়ছি। আপনার এই লেখাটা পড়লে আমার একটা অদ্ভুত অনুভূতি হয়, হাবিবের 'মায়া' গানটা মনে আছে? যখন বলে না, "কলিজের মধ্যে কয়লা দিয়া আগুন জ্বালাইছে" তখন হেলালের গলায় একটা অপার্থিব টান থাকে, শুনলে আমার কলিজার মধ্যে টান লাগে।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অনিকেত এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ বস।

তিথীডোর এর ছবি

বড় একটা সাই- ফাই ভক্ত নই...
উদ্ধৃতি
'মেয়েটা দেখতে একেবারে মেঘের মতো'
লাইনটা পছন্দ হয়েছে! চোখ টিপি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অনিকেত এর ছবি

পড়ার জন্যে ধন্যবাদ তিথী--

শুভেচ্ছা নিরন্তর

মর্ম এর ছবি

সাই-ফাই হিসেবে আলাদা করতে হয়নি, গল্প হিসেবে পড়েই তৃপ্তি পেলাম।
চলুক অযান্ত্রিক।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

অনিকেত এর ছবি

পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ মর্ম

ভাল থাকুন সকল সময়

বইখাতা এর ছবি

যাক, বহুদিন পরে হলেও আবার সাইফাইটাতে হাত দিলেন অনিকেতদা। ধন্যবাদ এজন্যে। পুরোপুরি মনে পড়ছিল না তাই তৃতীয় পর্বটাতে ঘুরে এলাম। এ পর্বটাও ভালো তো লেগেছেই, পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহও যেন কিছুটা আন্দাজ করতে পারছি। সাগ্রহে অপেক্ষা করছি পরের পর্বগুলোর জন্য।

অনিকেত এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ বইখাতা।
এইবার আর বেশি সময় নষ্ট না করে শেষ করে ফেলব ভাবছি।
পড়ার জন্যে আবারো অনেক ধন্যবাদ।

ভাল থাক সকল সময়।

তারাপ কোয়াস এর ছবি

প্রথম খণ্ডে ইশতিয়াক রউফ এর মন্তব্য পড়ার পর বুঝতে পারলাম ভুল যা হওয়ার তা হয়ে গেছে! সামনে আর রাস্তা নাই বাকি খণ্ডগুলো পড়া ছাড়া!
একটানে পড়লাম প্রত্যেকটি সুখপাঠ্য খণ্ডগুলো, এখন বাকি পর্বগুলো দ্রুত বের হবে এই দাবি নিয়ে বসে আছি অনিকেতদা। ভালো থাকবেন।


love the life you live. live the life you love.

অনিকেত এর ছবি

বস,
অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্যে এবং এমন কিছু সহৃদয় মন্তব্য করার জন্যে।
আসলে মাঝে অনেক গ্যাপ পড়ে যাওয়ায় নিজেই ভুলে যাচ্ছিলাম কোথায় কী করেছি, কী লিখেছি। আসলে ধারাবাহিক লেখাগুলোতে দেরী করলেই লেখক এবং পাঠক দুই পক্ষেরই সমস্যা।

আবারো অনেক ধন্যবাদ এইটা এবং কষ্ট করে বাকি পর্বগুলো পড়ার জন্যে।

ভাল থাক সকল সময়।

অতিথি লেখক এর ছবি

আগের কোন পর্ব পড়ি নাই, এটা দিয়েই শুরু করলাম। পুরোনো কোন বই পড়তে গেলে কখনও কখনও আবিস্কার করি মাঝখানে কতগুলো পৃষ্ঠা নাই; তখন হারানো পাতায় কি লেখা আছে নিজে নিজে কল্পনা করতে বেশ লাগে।
সাই-ফাই আমার ভাল লাগে আসিমভের কিছু কিছু সাই-ফাই নিয়ে আমি এমনও হয়েছে মাসের পর মাস চিন্তা করেছি (অবশ্য আমার মত আকাইম্যা লোকের কাছে মাস ও যা বছরও তা।) আর মুহম্মদ জাফর ইকবালের কোন সাই-ফাইটা আমার বাদ গেছে সেটা বলা খুব মুশকিল।
আপনার লেখা ভাল হচ্ছে; মন্তব্য করা যদিও আমার শোভা পায় না (কারন গল্প লেখার কোন রকম যোগ্যতাই আমার নাই) তবুও মনে হয় খটমট শব্দ একটু কম ব্যবহার করলে একটানা পড়ে যেতে সুবিধা হয়। কারন আমার মত দুই টাকার পাঠকরা খটমট লেখা বানান করতে সমস্যা দেখলে বাকী অংশ আর পড়তে চায় না।

অনন্ত আত্মা

অনিকেত এর ছবি

পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ বস।

খটমট শব্দ একটু কম ব্যবহার করলে একটানা পড়ে যেতে সুবিধা হয়।

একেবারে সত্যি কথা। শুধু তুমি না (বয়েসে ছোট ধরে নিয়ে তুমি করে বলে ফেলছি কিন্তু), আরো অনেকেই এইটা নিয়ে বলেছেন। আমার যুক্তি ছিল খানিকটা এই রকমের---সাই-ফাই গুলোতে খটমটে নাম অনেকটা পরিবেশ জমানোর কাজ করে। 'জহির' বা 'কুদ্দুস' নাম হিসেবে ভাল, নিশ্চিত--কিন্তু যখনই জাফর স্যারের লেখায় আমি 'কিম জুবান' বা 'শ্যালক্স গ্রুন' এর কথা পড়ি সাথে সাথেই মনটা জেনে যায়--এ আমার পরিচিত আঙ্গিকের কোন গল্প নয়।

তবে যুক্তি হিসেবে এটা বেশ দুর্বল মেনে নিচ্ছি। আমার পরের লেখাগুলোতে (যদি আর কোনদিন লেখা হয়) এইটা অবশ্যই মাথায় রাখব।

আবারো ধন্যবাদ অনন্ত!

তুলিরেখা এর ছবি

মাঝে অনেকটা সময় ধরে গল্প থেমে থাকায় কেমন একটু খেই হারিয়ে গেছে আমার। পড়তে গিয়ে ভাবলাম পুরানো পর্বগুলো আবার পড়ে নিই। তো তাই পড়ে আবার হারানো সূত্র খুঁজে পেলাম।
খুব ভালো হচ্ছে। চালিয়ে যান। অনেক শুভেচ্ছা।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অনিকেত এর ছবি

আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় ছিলাম হাসি
এখন কিছুটা ভরসা পেলাম

আপনাকে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ---এবং কেন সেটা আপনি নিশ্চিত জানেন,
তাই না?

ভাল থাকুন, সকল সময়--

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।