যে পথ গেছে সন্ধ্যাতারার পারে----

অনিকেত এর ছবি
লিখেছেন অনিকেত (তারিখ: বুধ, ২১/১১/২০১২ - ৬:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি মাঝেই মাঝেই একটা স্বপ্ন ঘুরে ফিরে দেখি।

স্বপ্নের দৃশ্যপটে হয়ত সামান্য অদল-বদল হয়। কিন্তু মোটের উপর স্বপ্নটা প্রায় একই রকম থাকে।
স্বপ্নটা দেখতে শুরু করলেই চেনা মানুষকে ভীড়ের মাঝে খুঁজে পাবার মতন আনন্দ হয়। কিন্তু একই সাথে কোথাও যেন একটু দুঃখ ফুলের পাপড়ির ওপর জমে থাকা শিশিরের মত টলমল করতে থাকে।

আমার পৌনঃপুনিক স্বপ্নটা খুব সাদামাটা।

আমি দেখি একটা ছোট্ট মেঠো পথ। সময়টা হল বিকেলবেলা। স্বপনে আমি সূর্য দেখিনা কখনোই। বরং দেখি একটা ছোট কুড়ে ঘরের শনের ছাতে ঝিলমিল করতে থাকা স্বর্ণাভ আলো। আলোটা খুব মিঠে মিঠে। বেশ বুঝতে পারি এইটা হয়ত আমার দেশের হেমন্ত কালের কোন বিকেল বেলা। সরু যে পথটা দেখেছিলাম, একটু পরেই দেখি সেইটে একটা বিশাল সবুজ ধানের মাঠের মধ্যে দিয়ে এক ছুটে চলে গেছে দূরে। হঠাৎ করে দেখলে মনে হয় যেন একমাথা সবুজ চুলের কারোর মাথার হয়ত সিঁথি এই পথটা। আমার স্বপ্নে আমি এই পথ ধরে হাঁটতে থাকি। কোন কোন দিন, মাঠের ধানের ঘ্রাণটা পর্যন্ত পাই । আমি দেখি-- আমি খালি পায়ে হাঁটছি এই মেঠো পথে। দু'পায়ে অলস মায়ায় জড়িয়ে আছে ধুলো, হঠাৎ আসা একটা দমকা হাওয়ায় পরনের পাঞ্জাবীটা পত পত শব্দ করতে করতে নৌকার পালের মতন ফুলে ফেঁপে উঠতে চায়।

আমি হাঁটতে থাকি--হাঁটতে থাকি--হাঁটতে থাকি---

আমি অলস পায়ে হাঁটি--আমি বুঝতে পারি, আমার এই হাঁটার উদ্দেশ্য কোথাও পৌঁছানো নয়--আমি কোন গন্তব্যে যাচ্ছি না--আমার ফেরার কোন টান নেই--আমার আছে কেবল পথ হাঁটা---দু'পাশে ভীষন সবুজ অবুঝ ধানের ক্ষেত, মাঝে দিয়ে চলে যাওয়া ধুলোময় ছোট্ট পথ---আর সেই পথের অলস পথিক আমি--

স্বপ্নটার এই জায়গাটাতে এসে প্রতিবার কেন জানি চোখটা জলে ভরে আসে। জানিনা কী কারণে একটা অবুঝ শিশুর মত অভিমান হতে থাকে--কোন কারণ ছাড়াই। ছোটবেলার মত অভিমান হয়--যে অভিমানের কোন সুনির্দিষ্ট কারন থাকে না--থাকে শুধু আকাশ সমান উঁচু অভিমান---

স্বপ্নটা এইটুকুই।

যতবার স্বপ্নটা দেখি ততবার ঘুম ভেঙ্গে উঠে দেখেছি বালিশ ভিজে আছে চোখের জলে।

স্বপ্নটার নানান মানে হয়ত করা যায়। কিছু কিছু মানে নিজেও হয়ত বের করেছি। নিজের দেশটা খুব মিস করি বলেই হয়ত এমন একটা খাঁটি দেশজ চিত্র দেখি স্বপ্নে। নিজের ভেতরের মানুষটা, যে আজ এগারো বছরেও 'বাইরে'টাকে আপন করতে শিখল না--হয়ত স্বপ্নে আমার উপর প্রতিশোধ নেয়। এরকম অনেক ব্যাখ্যা দিতে পারি---কিন্তু সেটা করতেও ক্লান্তি লাগে---মনে হতে থাকে, সব কিছুর কেন ব্যাখ্যা থাকতে হবে? থাকুক না কিছু জিনিস আলো-আঁধারির মায়ায়!

স্বপ্নটা কখনো দুই মাসে একবার দেখি, কখনো হয়ত ছ'মাসে একবার---
কিন্তু দেখি।

যদিও জানি স্বপ্নের শেষে চোখের কোনে টলমল করবে অশ্রু, তবুও কেন জানি স্বপ্নটা বার বার দেখার এক ধরনের ইচ্ছা মনের মাঝে নিঃশ্বাস ফেলে। কেন জানি বার বার দেখতে ইচ্ছে করে সেই ধুলোমাখা পথটাকে---বার বার ইচ্ছে করে খালি পায়ে হেঁটে যেতে সেই পথ ধরে, যে পথ গেছে সন্ধ্যাতারার পারে--

হঠাৎ আসা দমকা বাতাসে শ্বাস নিতে নিতে আমি গুনগুন করি--'মন, মন রে আমার--'

এই গানটা আমার সেই স্বপ্নটার জন্যে, সেই পথটার জন্যে---

কথা ও সুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সঙ্গীতায়োজন,বাদন ও কন্ঠঃ অনিকেত


মন্তব্য

রিক্তা এর ছবি

আমার অনেক অনেক অনেক পছন্দের একটা গান! ভদ্রলোক কি খেয়ে লিখতেন কে জানে?
আপনার কল্যাণে অনেক দিন পর আবার শুনলাম। ধন্যবাদ।

--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

অনিকেত এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ রিক্তা
শুভেচ্ছা নিরন্তর

পুতুল এর ছবি

টুং টুং টা টা রিদমটা খুব কানে লাগল দাদা। এই গানটায় বড় জেড় তবলা চলতে পারে, খোলের বিকল্প হিসাবে। রবীন্দ্র নাথের রবীন্দ্র নাথ হওয়ার পেছনে মূল কারণ মনে হয় তিনি বাউল-লোক-ভাওইয়া সব কিছু একটা প্রমিত প্রস্তাবনায় আনতে পেরছিলেন। হয়তো তার ধারাবাহিকতায় রবীন্দ্র সংগীতকে একটা সর্বজনীন বা বিশ্বায়নের পথে এগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হিসাবে এই আধুনিক যন্ত্র যোগ।
জাপানী এক মেয়ে পেরিসে আর্কেটেক্ট পড়তে ভারত নাট্যমের সাথে পারিচিত হয়ে, সে ভারতে গিয়ে ভারত নাট্যম শিখে আসে। সেই অনুষ্ঠানে আমি আমার জাপানী কলিগকে আমন্ত্রন করারয় সে বলল; ভারত নাট্যম দেখতে যাব যদি ভারতীয় কোন মেয়ে সেটা করে।
রবীন্দ্র নাথকে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করার বা আধুনিক করার চেষ্টা এখন বেশ টের পাচ্ছি। টের পাচ্ছি, পশ্চিমাদের কৌতুহল; এখানে বাংলা-ভারতীয় বা রবিন্দ্র সংগীত আসলে কোনটি? এই প্রশ্নও।

সেই অভিযোগ আপনার প্রতি না। চলমান আত্ম পরিচয় সংকটের প্রতি। সম্ভবত চার মিনিটের সময় আপনার কণ্ঠ দুটো চ্যানেলে শোনা যায়। রেকর্ড করে আবার গাওয়ার সময় রেকর্ড বাজিয়ে গেয়েছেন। আমাদের গানে এই টেকনিকের দরকার হয় না দাদা। লয়টাও সেই শুরু করা দ্রুত রিদমে রাখতে গিয়ে আয়েস করে গাইতে পারছিলেন না সেটা টের পাওয়া যায়।

ভালইছে বা বুড়ো আঙ্গুল দেখানো টাইপের মন্তব্য আপনি অনেক পাবেন। আমি শুধু আমার অনুভূতি জানিয়ে গেলাম।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

অনিকেত এর ছবি

বস প্রথমে একটা লম্বা চওড়া সেলাম ঠুকে দিই আপনাকে-- এত যত্ন করে বিষদ একটা মন্তব্য করার জন্যে।

আপনার পর্যবেক্ষন যথার্থ।

আমি যন্ত্রানুষঙ্গে কিছু নিরীক্ষা করার চেষ্টা মাত্র করেছি। বাউলাঙ্গের গান বিধায় এইখানে আপনি একতারার আওয়াজ যেমন পাচ্ছেন, তেমনি পাচ্ছেন খোলের আওয়াজ। আমি এর সাথে যোগ করার চেষ্টা করেছি গভীর খাদের ড্রামের আওয়াজ--যেটা অনেকটা ব্যাকগ্রাউন্ডে হালকা হয়ে বাজে। প্রথাগত সাউন্ডের বাইরে কিছু একটা করার চেষ্টায় এই জিনিসটার অন্তর্ভুক্তি। যে জায়গায় দু'টো চ্যানেলে শোনা যাচ্ছে বলেছেন, ঐখানে খুব সম্ভবত কোরাসে গাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম।

আর লয়ের ব্যাপারে আপনার পর্যবেক্ষন মোক্ষম--আরেক্টু ধীরে করা যেত গানটা।

সবশেষে আবারো অকুন্ঠ ধন্যবাদ মনোযোগ দিয়ে গানটা শোনার জন্যে এবং আপনার মূল্যবান অভিমত যোগ করার জন্যে।

শুভেচ্ছা নিরন্তর

পুতুল এর ছবি

বস, মন্দিরা বাজবে শুধু সম-এ, অন্য কোথাও বাজলে কানে লাগে। কিন্তু গভীর খাদের বাদনটা আমার ল্যাপটপে আসেনি। আমার মতে গভীর বা বেশী খাদে বেজ গিটার কন্ট্রাবাস এ সবের উপরে হচ্ছে ঘাটম। তবলায় যেমন করে তে রে বাজিয়ে বায়ায় বাজান "কে" । কে এর মতো করে ঘাটমের গলায় (খোলা মুখ) কে বাজিয়ে হাত তুলে নেবেন। এর চেয়ে মিষ্টি খাদ আর হয় না।
কেন যেন এই গানটা ভাল লাগল; শুনে দেখুন-
http://www.youtube.com/watch?v=7Bo8l6LIf2Q&feature=related

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

অনিকেত, লেখা ও গানে পাঁচতারা । বরাবরের মতই লেখা শুদ্ধ বিষাদের মত সুন্দর !

মন খারাপ করা স্বপ্ন । কিন্তু তবু স্বপ্নে হলেও তো যাওয়া যায় সেই ধূলোমাখা পথের...

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

অনিকেত এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ জোহরা ফেরদৌসী আপনার সহৃদয় মন্তব্যের জন্যে
শুভেচ্ছা নিরন্তর--

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

অনিকেত, আজ সারাদিন আপনার এই লেখা ও গানটা আমাকে দখল করে রেখেছিল । কতটা প্রোডাক্টিভ ছিলাম কাজে বুঝতেই পারছেন ।

রবীন্দ্রনাথ জন্মেছিলেন একটা অদ্ভুত ক্ষমতা নিয়ে । বর্ণমালা দিয়ে চিত্রকল্প আঁকার এক অনন্য ক্ষমতা । ভেবে দেখুনতো "সন্ধ্যাতারার পারে"র কী মানে হয় ? রবীন্দ্রনাথের আগে কেউ কখনো জানতো না সন্ধ্যাতারার এই মায়াময় "পারে"র কথা । সে কারনেই বোধহয় লেখক, শিল্পী, কবিরা এক অসীম ক্ষমতার অধীশ্বর ।

যাক গে, আপনার লেখার কথায় ফিরে আসি । দেশ থেকে, দেশের মাটি থেকে, রাঙ্গা ধূলো ওড়ানো পথ থেকে দূরে গেলেই এমন করে টান লাগে... যে পথে আসা হয় সেই পথও দিনে দিনে হারিয়ে যায়...

শ্রীকান্ত আচার্য্যের একটা গান আপনাকে শুনাতে ইচ্ছে করছিল । ইউ টিউবে খুঁজে পেলাম না । কখনো সুযোগ পেলে শুনবেন... "স্বাধীনতা ভাংলোরে দেশ, মধ্যে কাঁটার তার"...

রাজনীতি, অভিবাসন যে সব মানুষকে বাস্তুচ্যূত করে, তারাই জানে ফিরে যাওয়ার পথটি হারিয়ে যাওয়ার হাহাকার ।

অনেক দীর্ঘ মন্তব্য করে ফেললাম । ভাল থাকুন নিরন্তর ।

ও হ্যাঁ, আমাকে শুধু জোহরা ডাকলেই চলবে ।

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

পুতুল এর ছবি

রাজনীতি, অভিবাসন যে সব মানুষকে বাস্তুচ্যূত করে, তারাই জানে ফিরে যাওয়ার পথটি হারিয়ে যাওয়ার হাহাকার ।

দশ বছর হল মা-কে দেখানি।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

পুতুল, দশ বছর মাকে দেখেননি ? কাজের শেষের আমার এই ঘরে ফেরার সন্ধ্যাটা এমন বিষন্ন হয়ে গলায় আটকে গেল ।

আমার মা হারিয়ে গেছে চিরতরে । এই পৃথিবীর কোথাও আর সে নেই, শুধু আমার ভেতরে ছাড়া ।

এখন আর দেশে না গেলে কেউ বলার নেই, "কবে আসতে পারবি ? কবে ছুটি ? একবার যে খুব দেখতে মন চায় ।"

ফিরে যাওয়ার পথ যে কত ভাবে ফুরিয়ে যায় !

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

পুতুল এর ছবি

ফিরে যাওয়ার পথ যে কত ভাবে ফুরিয়ে যায় !

অথচ আমি এসেছিলাম তাঁর অভাব দূর করে তাঁর মূখে হাসি ফোটাতে। কিন্তু দূরের দুষ্ট পথ শুধু কন্টকাকীর্ণ। আমার সে পথ যেন "সন্ধ্যা তারা পরে" শেষ না হয়। আপনার মায়ের জন্য শুভ কামনা।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

অনিকেত এর ছবি

রাজনীতি, অভিবাসন যে সব মানুষকে বাস্তুচ্যূত করে, তারাই জানে ফিরে যাওয়ার পথটি হারিয়ে যাওয়ার হাহাকার ।

কথাটা হৃদয় স্পর্শ করল
ভাল থাকুন জোহরা--এই ভাল-না-থাকার সময়েও

লাবণ্যপ্রভা এর ছবি

গানটা আপনার ক্লাওডে আগেও শুনেছি। আপনার বাদন-কন্ঠ সবই দারুন গো দাদা গুরু গুরু

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ লাবণ্যপ্রভা
ভাল থাকুন, সকল সময়ে---

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

কোথাও যেন একটু দুঃখ ফুলের পাপড়ির ওপর জমে থাকা শিশিরের মত টলমল করতে থাকে।

কয়েক ফোঁটা শিশির এবার সুখের কনা হয়ে ঝলমল করুক! হাসি

লেখা বিষাদসুন্দর!

আপনার এই গানটি প্রতিদিন অন্তত একবার শুনি। গানের কম্পোজিশন, গায়কী সবই ভীষণ ভালো!
আপনি আর সুমনা আপা দুই ভাইবোন এতো ভালো করেন, ঈর্ষনীয়! গুরু গুরু গুরু গুরু

অনিকেত এর ছবি

সুমিমা'পু, অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সহৃদয় মন্তব্যের জন্যে।
আমার বোনটা হয়ত ভাল গায়--তবে নিজের দৌড় আমি ভালই জানি। হে হে হে --
একজন শখের গায়ককে আপনি এবং আপনারা যে অগাধ ভালবাসায় ডুবিয়ে রেখেছেন, তার ঋণ শোধ করা সম্ভব নয়।

অনিঃশেষ শুভ কামনা

তানিম এহসান এর ছবি

ভোকাল পাঞ্চ করার সময় কি অস্থিরতা ছিলো নিজের ভেতর? মনে হয়েছে কোথায় যেন পুরোটা পাইনি। মন্দিরা ব্যবহার ভালো লাগলো, রবীন্দ্রনাথের গানে এমনভাবে হামিং এই প্রথম শুনলাম মনে হয়! শুভকামনা। হাসি

অনিকেত এর ছবি

প্রথমেই অনেক ধন্যবাদ এতটা মনোযোগ দিয়ে গানটা শোনার জন্যে।
সব গান গাইবার সময়েই একটু অস্থিরতা কাজ করে--এখানেও তাই হয়ে থাকবে হয়ত। ব্যাপারটা নজরে রইল।
মন্দিরার ব্যবহার ভাল লেগেছে শুনে আমারো ভাল লাগল।
উৎসাহ আর অনুপ্রেরণা দেবার জন্যে অশেষ ধন্যবাদ, আবারো।

শুভেচ্ছা নিরন্তর

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আমি চলুক দিয়ে যাই। আমি গানের ব্যকরণ বুঝি না, শুনতে ভাল লাগলেই আমার কাছে ভাল। উপরে পুতুল ভাইয়ের মন্তব্য দেখে একটু মন দিয়ে শুনে বোঝার চেষ্টা করলাম দেঁতো হাসি । বুঝলাম সব কিছুতেই শিক্ষিত লোকের ব্যাপারই আলাদা। আপনার আরও গানের অপেক্ষায়। ভাল থাকুন।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অনিকেত এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ বস!
শুভেচ্ছা নিরন্তর---

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আপনার গানগুলো কপি করার সুযোগ পেলে ছাড়ি না। এটা অফিসে বসে শুনতে পারলাম না। নামাবার কায়দা কি?

স্বপ্নের বর্ননাটা ঘোর লাগা।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অনিকেত এর ছবি

নীড়'দা, আপনার মন্তব্য আমার জন্যে সব সময়েই একটা বাড়তি অনুপ্রেরণা বয়ে আনে
অসংখ্য ধন্যবাদ এমন ছেড়া খোড়া পালেও আশার হাওয়া পুরে দেবার জন্য।
গানটা সাউন্ড ক্লাউডে downloadable করে দিয়েছি।
এরপরেও নামাতে ঝামেলা হলে আমাকে আপনার ইমেইল আইডি মেইল করে দিন--সানন্দে পাঠিয়ে দেব।

শুভেচ্ছা নিরন্তর

তাপস শর্মা এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

বদ্দা ... শুধু ভালো লাগাটা জানিয়ে কি লিখতে হবে জানিনা। আমার সারাদিন গানময় হয়ে থাকে প্রায়শই। হুদামিছা যা সামনে থাকে সব শোনা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী ছেয়ে থাকেন দুইটা মানুষ এক) কবীর সুমন, দুই ) ব্রায়ান এডামস। এখন তৃতীয়জন চলে এসেছেন অনেকদিন হল.........

দাদা, এভাবেই গানে গানে থাকেন। আর কিছুর দরকার নাই। একদিন একসাথে একটা অন্তত কাজ করব ভেবে রেখেছি

[ রেড এলার্ট - এক্ষুনি পাচার করা হৌক এটাও। আশা করি বুঝে গেছেন কি বলেছি শয়তানী হাসি ]

অনিকেত এর ছবি

তাপস বস,
অনেক ধন্যবাদ তোমার মন্তব্যের জন্যে।
আমিও অপেক্ষায় রইলাম এক সাথে কাজ করার দিনটির জন্য।
শুভেচ্ছা নিরন্তর

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লেখা দেখে আর তর সইলো না! ক্লাসের মধ্যেই পড়ে ফেললাম। গানটা বাসায় গিয়ে শুনবো। আপনার ভালো থেকো ফুল গানটা এখনো কানে বাজে। নিজের অজান্তেই গুনগুন করে গাই।

-ছাইপাশ

অনিকেত এর ছবি

ছাইপাশ, ধন্যবাদ জানাই।
ভাল থাকুন সকল সময়ে

পদব্রজী এর ছবি

স্বপ্ন খুবই কম দেখি, যেগুলো সারাজীবন মিলিয়ে দেখেছি তার প্রত্যেকটাই ভয়াবহ---,, আপনার স্বপ্নের কথাগুলো ভালো লাগল---।

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ পদব্রজী
অনিঃশেষ শুভ কামনা

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আপনার লেখা পড়ে মনে হল আপনি এই দেশটাকেই ফেলে গিয়েছেন ! গানে চলুক

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ প্রৌঢ় ভাবনা
শুভেচ্ছা জানবেন

অতিথি লেখক এর ছবি

দেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে বাস করলে ঐ সব স্বপ্ন বার বার এসে টোকা দেয় ঘুমের মাঝে। মন ছোঁয়া লেখা ও গান চলুক

আসমা খান

অনিকেত এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ আসমা খান
শুভেচ্ছা নিরন্তর

আয়নামতি এর ছবি

'কতদিন তুমি কাঁদো না মানুষ! কতদিন বুকে মাখো না স্বদেশ?'
আপনার স্বপ্নের আল ধরে যেতে যেতে কেউ ফিসফিসিয়ে গেলো যেনো!
ওয়াটসাপের দেশে বসে গানের চর্চাটা ধরে রেখেছেন, এবং সেটা বেশ মায়াভরেই; বোঝা যায় ভাইয়া।
একটা অ:ট: প্রশ্ন, আপনি কোনভাবে কী ইরেশ জাকেরের(আলী জাকের তনয়) আত্নীয় হন? আপনার প্রোফাইল পিকটা দেখলে
ইরেশ জাকের বলে ভ্রম হয়।

অনিকেত এর ছবি

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ আয়নামতি
আর, না রে ভাই-- ইরেশ সাহেবের কোন রকম আত্মীয় হই না আমি হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখা ও গানে চলুক

অমি_বন্যা

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ অমি_বন্যা
ভাল থাকুন সকল সময়ে, সকল কে নিয়ে

সাবেকা  এর ছবি

গানটা কয়েকবার শুনলাম আরো যে অনেক বার শুনব তাতে কোন সন্দেহ নেই গুরু গুরু

অনিকেত এর ছবি

অশেষ ধন্যবাদ সাবেকা
শুভেচ্ছা রইল

স্যাম এর ছবি

গান গাইতে পারলে আর কিছুই করতাম না ---
আপনার মিউজিক এর সাথে শুধু আপনার লেখা না - অন্য একটা ট্যাব এ অন্য লেখা পড়েও দেখলাম বেশ ভাল লাগছে।

অনিকেত এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ প্রিয় স্যাম ব্যানার্জি
শুভেচ্ছা নিরন্তর

অরফিয়াস এর ছবি

পরীক্ষা নিরীক্ষায় ভালো লাগা জানালাম। এর আগেও জানিয়েছি, চলুক।

কিছু ব্যক্তিগত অভিমত জানাই,

গভীর খাদের ড্রামের শব্দটা কেন জানি আমার কাছে অতিরিক্ত মনে হলো, যেন না থাকলেও কোন পার্থক্য হতোনা। বরং ড্রাম বিট গুলোর মাঝে যে সময়টুকু সেগুলোতেই সুর আর লয় ভালো পেলাম। হয়তো ড্রামটা ব্যাকগ্রাউন্ডে না হলে ভালো হতো।

লয় আরও ধীর হতে পারতো, না হওয়াতে আপনার সুরের গভীরতা অনেকাংশে অনুপস্থিত ছিলো। যে জায়গাগুলোয় সুর আরো গভীরে নামতে পারতো তা সম্ভব হয়নি লয় ধরে রাখার জন্য, মনে হলো।

খোল আর একতারার সমন্বয় ভালো লেগেছে, তবে টুং-টাং বাদ্যটা যদি একটু মোলায়েম করা যায় তাহলে হয়তো কানে লাগবেনা।

ভালো লেগেছে।

[অনিকেতদা, এতো গুণ নিয়ে কেমনে ঘুমান? !!! চিন্তিত ]

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অনিকেত এর ছবি

অরফিয়াস বস,
অনেক ধন্যবাদ সময় নিয়ে এমন ডিটেইলে মন্তব্য করার জন্যে।
--ড্রামের ব্যাপারটা মাথায় রইল, লয়ের ব্যাপারটা অবশ্য গান শেষ হবার পরেই বুঝেছিলাম। আলসেমী করে আর বদলানো হয় নি--হে হে হে---

--যে জিনিস গুলো শুনতে ভাল লেগেছে, সেগুলো আমাকেও অনুপ্রাণিত করল, ধন্যবাদ।

অনিঃশেষ শুভ কামনা
[আর ঘুমের কথা বলছ রে ভাই? ঘুমের ঔষধ খাইয়া বাতি নিভায়া ঘুমাইতে হয়---হে হে হে ]

ধুসর জলছবি এর ছবি

গুরু গুরু এরকম ঘোর লাগা লেখা পড়লে এবং গান শুনলে আমি আসলে মন্তব্য করতে পারি না, কি লিখব ভেবে পাই না।

অনিকেত এর ছবি

অশেষ ধন্যবাদ অনুপ্রাণিত করার জন্যে
সতত ভাল থাকুন ধুসর জলছবি!

সাফিনাজ আরজু  এর ছবি

গুরু গুরু
কি বলব খুঁজে পেলাম না অনিকেতদা, শুধু অসম্ভব ভাললাগা জানিয়ে গেলাম, লেখায়, গানে!
ভালো থাকবেন সবসময়!

অনিকেত এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা সাফিনাজ আরজু

ভাল থাকুন সকল সময়ে, সকলকে নিয়ে--

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আপনার এই ধরনের লেখাগুলো কেমন একটা ঘোর তৈরি করে, অনিকেত'দা।
গানটাও গেয়েছেন কি দরদ দিয়ে... চলুক

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অনিকেত এর ছবি

সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ শিমুল
শুভেচ্ছা নিরন্তর

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।