ডিজাইন বাই অমুক পাওয়ার্ড বাই তমুক

আলমগীর এর ছবি
লিখেছেন আলমগীর (তারিখ: সোম, ২১/০৭/২০০৮ - ৭:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ বিটিসিএল সম্পর্কে একটু খোঁজ করছিলাম গুগলে। উদ্দেশ্য তাদের ঘটনা কী, খুঁটি কোথায় একটু জানার ইচ্ছা। প্রথমে যে সাইটটা গুগল দেখাল সেটা হলো ইন্ডিপেন্ডেন্ট বাংলাদেশের একটা রিপোর্ট- বিটিসিএল যখন বিটিটিবি থেকে স্পিন অফ হয় তার উপর। পত্রিকাটির সাইটটা খুব চমৎকার। একটু টোকা দিতেই বুঝলাম জুমলা দিয়ে করা। এক সময় জুমলার পেছনে বহু সময় ব্যয় করেছি, কাজেই ধরতে কোন সমস্যা হয় না। ধাক্কা লাগল টেম্পলেট দেখে। টেম্পলেটটি জুমলাআর্ট নামক কম্পানির ডিজাইন করা। ধরে নিচ্ছি তারা বৈধভাবে কিনেই ব্যবহার করছেন। কিন্তু কৌশলে টেম্পলেটের নামটা পাল্টে দেয়া হয়েছে। ফুটারে টেম্পলেট বাই অমুক একটা লেখা থাকে সেটাও উধাও।

জুমলাআর্টের লাইসেন্সিং শর্ত অনুসারে একজন কেউ একটা টেম্পলেট কেবলমাত্র ব্যবহারের অধিকার পায়। নিজের প্রয়োজনে কিছুটা পরিবর্তনও গ্রহণযোগ্য। অনেকটা লিজের মতো। কিন্তু টেম্পলেটের নাম পরিবর্তন, ফুটারের লেখা সরিয়ে নেয়া অগ্রহণযোগ্য। এসব কিছুই আবার বৈধ হতে পারে যদি জুমলাআর্টকে অনেক টাকা দিয়ে পুরো টেম্পলেটটা এক্সক্লুসিভলি কিনে নেয়া যায়। সেটা কয়েক হাজার ডলারের মামলা। ইন্ডিপেন্ডেট সেটা করেছে কিনা সন্দেহ। কেন সন্দেহ?

জুমলা হলো জিপিএল এর আওতায় নির্মিত সিএমএস সফটওয়ার যেটা দিয়ে সহজেই যে কোন ধরনের ওয়েব সাইট বানানো যায়। জুমলার লাইসেন্সিং শর্ত হলো, জুমলা যে সাইট তৈরি করবে তাতে জেনারেটর নামে একটা অদৃশ্য মেটা ট্যাগ থাকবে, যেটা দিয়ে বোঝা যাবে সাইটটা জুমলাতে করা। কোন অবস্থাতেই এ ট্যাগটা মোছা যাবে না- মানে মুছলে তা বৈধ হবে না। ইন্ডিপেন্ডেন্ট সেই কাজটিই করেছে- মেটা ট্যাগটাকে লাপাত্তা করে দিয়েছে। এটি বাংলাদেশের জাতীয় ইংরেজি পত্রিকা।

উবুন্টু-বিডি হলো অনেকটা উবুন্টুর বাংলাদেশের সাইট। এর সাথে জড়িত রাসেল জন নামে এক বাংলাদেশী। সম্প্রতি সাইটটি নতুন করে সাজিয়েছেন তারা। এ নিয়ে ক'মাস আগে প্রজন্ম ফোরামে একটা ঘোষণাও দেয়। সাইট দেখতে খুবই সুন্দর। ঘোষণাতেও সে কথাটি জোর দিয়ে বলা হয়। ঘোষণার ভাষায় আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় টেম্পলেটের ডিজাইন তাদেরই করা। ছিদ্র অন্বেষণ করা আমার দোষ। আমি খুঁজে বের করি টেম্পলেটটা জুমলাডিটি.কম নামে এক সাইটের করা ফ্রি টেম্পলেট। এ টেম্পলেটেও ডিজাইন বাই অমুক বলে একটা কথা আছে, যেটা কেবল পয়সার বিনিময়েই সরানো যায়। আমি প্রজন্ম ফোরামে এটা মনে করিয়ে দিই সে সময়। কিন্তু এখনো ফুটারে ডিজাইন বাই কথাটা নেই।

জুমলার জন্য তিনটি কাজ করেছিলাম। ভাষা ফাইল বাংলা অনুবাদ, জুমলার পুরো প্যাকেজের বাংলা অনুবাদ আর একটা ভাল বাংলা ফন্ট। ভাষা ফাইল জিনু জিপিএল, ব্যবহারের কোন সীমাবদ্ধতা ছিল না। পুরো লোকালাইজড প্যাকেজের লাইসেন্সও তেমনি ছিল। কিন্তু বাড়তি একটা শর্ত ছিল। সাইটের ফুটারে জুমলা-বিডির একটা লিংক থাকতে হবে। আজ অবধি কয়েক হাজার লোক সেটা নামিয়েছেন, সাইটও হয়ত বানিয়েছেন, কিন্তু লিংকটা আর দেননি- অল্প কয়েকজন ছাড়া।

ফন্টের কাহিনীটা আরো দুঃখের। অভ্রকে একনামে চিনেন সবাই। ধরে নেন, ইন্টারেনেটে বাংলা লিখি তাদের বরকতে। কিন্তু যে জিনিষটা অনেকে ভুলে যান সেটা হলো অভ্রের নিজের কোন ফন্ট নেই। এরা একুশের তৈরী করা সব ফন্ট বিতরণ করে। (যদিও অনেকে মনে করেন ফন্টও সব অভ্রের।) সে হিসাবে ফন্টের যা কৃতিত্ব, প্রায় পুরোটাই একুশের- বিশেষ করে বললে অমি আজাদের। (অবশ্য এক সময় তাকে অভ্রই ফন্ট পাইরেট বলে খুব পঁচিয়েছে।) একুশের ফন্ট না থাকলে লেখা পরের কথা, বাংলা দেখতেই পেতাম না।

একুশে গ্রুপের যে ফন্টগুলো ছিলো তার কোনটাই স্ক্রিনে সুন্দর দেখাত না। অনেকের হয়ত বৈশাখী ফন্টের কথা মনে থাকবে। বৈশাখী ছিল অসম্ভব সুন্দর, কিন্তু ইউনিকোডের যোগ্য না। আমি প্রায় ৬মাস সময় ব্যয় করে একুশের লোহিত ফন্টটাকে স্ক্রিনে সুন্দর দেখানোর উপযোগী করি। (এ ব্যপারটাকে বলে হিন্টিং। ফন্ট ফাইলের প্রতিটি গ্লিফকে প্রতিটি সাইজের জন্য পিক্সেল ঠিক করে দিতে হয়। বাংলা একটা ফন্টে ৫০০ এর মতো গ্লিফ থাকে- তাই প্রচুর সময় লাগে।)

নতুন ফন্ট অপনালোহিত বিতরণের জন্য জুমলা-বিডি সাইটে রেখে দিই। শর্ত হলো, বিনামূল্যে ব্যবহার করা যাবে, কিন্তু কোন সাইট থেকে বিতরণ করতে হলে, যথাস্থানে জুমলা-বিডির একটা লিংক দিতে হবে যাতে লোকজন জানে কোথা থেকে ফন্টটা আসছে, নতুন ভার্শন কোথায় পাওয়া যাবে। খুব অল্প সংখ্যক লোক আমার শর্ত রেখেছে। এর মধ্যে বিখ্যাত একজন আছেন যিনি AponaLohit কী-ওয়ার্ড ট্র্যাপ করে গুগলকে ফাঁকি দিয়েছেন, যাতে গুগলে কেউ সার্চ করলে প্রথমে তাদের সাইট আসে। তাকে অনেক বলে সেটা সরানো সম্ভব হয়েছে।

চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড় ধরা। আমরা চুরি করি, অহরহ ধরাও পড়ি, আবারও চুরি করি। যাদের জিনিষ চুরি করি তারা নিতান্ত একটা লিংক/ধন্যবাদ ছাড়া কিছুই আশা করেন না।

এত কিছুর মধ্যে একটা ছোট্ট বিষয় হলো সচলের প্রকৃতিপ্রেমিক এসব অনেক কিছুর স্বাক্ষী। অনেক সময় তিনিই আমাকে ধরে দিয়েছেন।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি
সৌরভ এর ছবি

আপনালোহিত ফন্টের জন্যে কৃতজ্ঞ।
বিবর্ণ আকাশ এম্বেডেড ফন্ট এর জন্যে জুমলাবিডিকে কৃতজ্ঞচিত্তে সবসময় স্বীকার করেছে।


আহ ঈশ্বর, আমাদের ক্ষোভ কি তোমাকে স্পর্শ করে?


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

খাইছে... কথা বেশিরভাগ মাথার উপর দিয়া গেলো... আমি অবাক হয়া ভাবি... উনারা কতকিছু জানে... আর আমি এখনো কম্পিউটারে উইন্ডোজ ইন্সটল করতে পারি না। মন খারাপ

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

দ্রোহী এর ছবি
ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনে মিয়া কামড়ানি বাদ দেন। কই থাইকা এই কামড়ানি শুরু করছেন সেইটা কইলাম জানি। আমার উক্ত বন্ধুটির কি সারা দেহই পেষণ কর্তে চান! রেগে টং
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সবজান্তা এর ছবি

আজ থেকে বেশ কয়েক বছর আগে আমি নানারকম সিকিরিউটি হোলগুলির ভালনারাবিলিটি এক্সপ্লয়েট নিয়ে বেশ কিছু নাড়াচাড়া করতাম। সে সময়ই দেখতে পেয়েছিলাম অনেকেই অন্যের এক্সপ্লয়েট কোডের মধ্যে কোডেড ভাই অমুক বলে চালিয়ে দিচ্ছে। সে সময় আমি অবশ্য কোন কোডেই এরকম কিছু করিনি, বলা ভালো করতে পারিনি। রুচিতে বেঁধেছিল ভীষণ।

পয়সা না দেই, অন্তত অন্যের প্রাপ্য সম্মানটুকু দেওয়া উচিত।


অলমিতি বিস্তারেণ

রাগিব এর ছবি

বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয় একটা কনফারেন্সের আয়োজক ছিলো, সেই কনফারেন্সের সাইটটা ছিলো হুবুহু বিদেশী আরেক কনফারেন্স সাইট থেকে মেরে দেয়া। মেটা ট্যাগ আর কমেন্ট পাল্টানোর সময় পায়নি, তাই ধরা খেয়ে গেছিলো। হাসি
----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

বিপ্রতীপ এর ছবি

নোকিয়ার মতো...এ শুধু বাংলাতেই সম্ভব!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ওয়েব ও ব্লগ | ফেসবুক | আমাদের প্রযুক্তি

কুচ্ছিত হাঁসের ছানা এর ছবি

চুরি চামারি তো এইদেশে নরমাল।
অন্যের থিম, ফন্ট, সফ্‌টওয়্যার ব্যবহার করব অথচ সেই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করার মত মন টুকুও নেই আমাদের।

*******************************
আমার শরীর জুড়ে বৃষ্টি নামে, অভিমানের নদীর তীরে
শুধু তোমায় বলতে ভালবাসি, আমি বারেবার আসব ফিরে

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এই প্রসংঙ্গে বলতে চাই, সচলায়তন প্রথম থেকেই স্বীকার করে এসেছে যে এটি ড্রুপাল বেইজড এবং এন্ড্রিয়াস থীম দিয়ে করা। কপিরাইট বা অন্য কোন স্বত্ত্ব কখনই সরানো হয় না। উপরন্তু অতিরিক্ত কিছু ফীচার তৈরী করলে আমি ড্রুপালে গিয়ে কন্ট্রিবউট করে আসি।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

বিপ্রতীপ এর ছবি

মাহবুব ভাই,
এই সাইটটি তৈরি করা হয়েছে ড্রুপালে-এই জাতীয় একটা লাইন ফুটারে ছোট্ট করে যুক্ত করে দিলে মন্দ হয় না।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ওয়েব ও ব্লগ | ফেসবুক | আমাদের প্রযুক্তি

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

করা যায়। কিন্তু টেমপ্লেটে বা কোথাও এই রকম কৃতজ্ঞতা স্বীকারের ব্যাপারটি কখনও চোখে পড়েনি। আমার ধারনা ছিল ড্রুপালের ক্ষেত্রে এরকম কোন রিকয়ারমেন্ট নেই। যদিও এই ধারনার পক্ষে কোন এভিডেন্স নাই।

একটু গুগল করে দেখি দাঁড়ান।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

কয়েকটা ওয়েবসাইট দেখলাম যারা ড্রুপালকে সম্পূর্ণ ভাবে সরিয়ে নিজেদের মত কাস্টোমাইজ করেছে ()()। উপরন্তু: এই নোডে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছ, যাতে প্রতিয়মান হয় এটি জিপিএল লাইসেন্সের পরিপন্থী।

"Software makers can't *require* an advertisement like that and still release their software under the GPL. In fact, any license that requires an advertisement like that is incompatible with the GPL."

সুতরাং আলমগীর ভাইয়ের লেখায় আংশিক ভুল আছে। জিপিএল ভিত্তিক যে কোন সিএমএসে কৃতজ্ঞতা স্বীকারে তারা বাধ্য নয়।

তবুও তর্কের খাতিরে, ভবিষ্যতে সচলায়তনে এটা করব বলে আশা রাখি।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

আলমগীর এর ছবি

সুতরাং আলমগীর ভাইয়ের লেখায় আংশিক ভুল আছে। জিপিএল ভিত্তিক যে কোন সিএমএসে কৃতজ্ঞতা স্বীকারে তারা বাধ্য নয়।

লেখার ঠিক কোন পয়েন্টটাকে ভুল মনে হচ্ছে, তা নির্দিষ্ট করে দিন। তাতে আমি বাড়তি কিছু বলতে পারি। আমি দ্রুপালের লাইসেন্সিং বিস্তারিত জানি না, তাই এ নিয়ে কিছু বলতে পারব না।

জিপিএলের মানে বুঝাটা কঠিন:
১. আমি যদি কিছু লিখি এবং জিপিএলে বিতরণ করি, জিপিএলের শর্তের অতিরিক্ত শর্ত আমি যোগ করতে পারি। জিপিএল প্রত্যাহারও করতে পারি। (কিন্তু অলরেডি যা করে বিতরণ করে ফেলেছি তা প্রত্যাহার করা যাবে না।) জিপিএলের মূল কথা হলো, বাইনারির সাথে সোর্স কোড পাবার সুযোগ থাকতে হবে। মাগনা হবে এমন কোন কথা নেই।

২. জুমলা লাইসেন্সের শর্ত হলো মেটা কোড সরানো যাবে না। এটা বিজ্ঞাপন না। জুমলা ফোরামে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সর্বসম্মত মত ছিল, কেউ যদি মেটা কোড সরায় তবে তা জঘণ্য অকৃজ্ঞতা।

৩. সফটওয়ারের জিপিএল আর টেম্পলেট ডিজাইনের জিপিএল এক কথা না। বস্তুত ডিজাইনের কোন জিপিএলই হয় না। ফুটারে ডিজাইন বাই জুমলাআর্ট লেখা সরানোটা জুমলাআর্টের লাইসেন্সের নীতির বিরোধী। ওরা জিপিএল না।

৪. জিপিএলের কোড ফর্ক করলে তা সুস্পষ্ট করে উল্লেখ করতে হয়। সোর্স কোডের প্রিঅ্যাম্বল যথাযথ অবিকৃত রাখতে হয়।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আলমগীর লিখেছেন:
চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড় ধরা। আমরা চুরি করি, অহরহ ধরাও পড়ি, আবারও চুরি করি। যাদের জিনিষ চুরি করি তারা নিতান্ত একটা লিংক/ধন্যবাদ ছাড়া কিছুই আশা করেন না।

এইটা পড়ে নিজে একটা অপরাধ বোধে ভুগছিলাম। পরে প্রমান পেয়ে রিলিভড হলাম। তখনই দাবী করলাম যে, আপনার সবগুলা কথা ঠিক না।

যাই হোক, এ ব্যাপারে আপনার জ্ঞ্যান সুস্পষ্টভাবে আমার চেয়ে বেশী। তবে ড্রুপালের জন্য ব্যাপারটা সত্য নয়। আর সেখানেই আমার সবচেয়ে বড় রিলিফ।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

আলমগীর এর ছবি

সেই কথা।
আমি আগেই বললাম, দ্রুপালের ঘটনা আমি বিশদ জানি না। তবে আপনি যে ইংরেজি কোটেশন দিলেন, সেটাও একজনের মুখের কথা বলেই মনে হল আমার। তার কথার কোন প্রমাণ তিনি দেননি।

দ্রুপালের মূল রাইট ছিল ড্রাইসের। পরে আরো যারা কোড লিখেছে তারা। জুমলাতে একটা ফাউন্ডেশন সব সত্ত্ব রাখে। দ্রুপালে কীভাবে করা হয় জানি না।

পাওয়ার্ড বাই কথাটা লিখা থাকতে হবে এরকম শত শত সফটয়ার পাবেন আপনি, জিপিএলের মধ্যেই।

আবারও, আমি সচলায়তন সম্পর্কে কিছু বলিনি, দ্রুপালের সাথে অত পরিচিতি না বলে। আর সচলাতন যে দ্রুপালে চলছে এটা গোপন করার কোন চেষ্টা কখনও চোখে পড়েনি।
কাজেই গ্লানিবোধের কোন কারণ নেই।

দ্রোহী এর ছবি

চুরি ব্যাপারটা গা সহা হয়ে গেছে। ধরা পড়লেও লজ্জা লাগে না। আর কৃতজ্ঞতাবোধ? আমাদের সংস্কৃতিতে ধন্যবাদ ব্যাপারটুকুও প্রচলিত নয়। কেউ উপকার করলে সেটাকে আমরা অধিকার ধরে নিই।


কী ব্লগার? ডরাইলা?

ঝরাপাতা এর ছবি

ছিদ্রান্বেষণ কিন্তু বেশ ভালো কিছু তথ্য দিচ্ছে।


রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করাটাই আমাদের জাতিগত ঐতিহ্য। কাজেই জাতিগত ঐতিহ্য ভাঙতে পারেন খুব কম লোকই।

____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

আলমগীর এর ছবি

এ লেখার সূত্র ধরে আশাবাদী নিচের বক্তব্য প্রকাশ করেছেন আমাদের প্রযুক্তি ফোরামে। তার অনুরোধে এখানে তুলে দিলাম।


ধন্যবাদ আমাদেরকে অবিহিত করার জন্য। আমি ভাই সাইটের বিশেষ কিছু বুঝি না। তবে নিচে তো জুমলার লিঙ্ক দেয়াই ছিলো। তাছাড়া আমার যতদূর মনে পরে সাইট ডিজাইনটি আমরা নিজেরাই করেছি এমন কোন অনেয্য দাবি আমরা করিনি। তারপরও সেরকম মনে হলে দুঃখিত।

সাইটটি নিয়ে মাঝে মধ্যে আমিও গুতাই (যদিও আমার কোন জ্ঞান নেই)। সেজন্য হয়তো কোন সময় ভুলক্রমে বাদ দিয়ে দিয়েছি। আমি এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো রাসেল ভাইয়ের সাথে।

বিষয়টি প্রজন্মে মন্তব্য করায় আমার দৃষ্টিতে আসেনি, আমি অনেকদিন প্রজন্মে যাই না তাছাড়া সেখানের গোপন বার্তাও আমি দেখিনি কোনদিন। এক্ষেত্রে আমাদের প্রযুক্তিতে গোপন বার্তা পাঠালে ভালো হতো।

আমার সচলায়তনে একাউন্ট নেই এজন্য আমি এখানেই পোস্ট করছি।

আলমগীর ভাই আমার এই পোস্টটি কি বক্তব্য আকারে আপনার সচলায়তনের ব্লগে দিবেন? তাহলে সুবিধা হতো আমাদের উবুন্টু বাংলাদেশের সাইট সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচার হতো না। (ভুল হতেই পারে আমরা সেই ভুল শুধরাতে আগ্রহী।)

[পুনঃসম্পাদনা]
এই মাত্র প্রজন্মের লিঙ্কটা দেখলাম। বুঝাই যাচ্ছে এটা সম্পূর্ন আমার দোষ। আমি দুঃখিত। তখন উৎসাহের অতিসাহ্যে বোধহয় বিষয়টি উহ্য রয়ে গিয়েছিলো। এখনই ইমেইল করছি রাসেল ভাইকে।

[পুনঃসম্পাদনা ২]
মেইল পাঠানো হয়েছে। ধন্যবাদ সবাইকে বিষয়টি পুনরায় আমার নজরে আনার জন্য। এবং আমরা খুবই লজ্জিত এমন একটি ঘটনা ঘটেছে বলে।

আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। (এরকম একটি বিষয় আমাদের জন্য কত বড় ক্ষতি করতে পারে তা নিশ্চয়ই আর নতুন করে বলা লাগে না)

হিমু এর ছবি

এ মন্তব্য যিনি করেছেন, তাঁকে আমি অভিনন্দন জানাই। আপনাদের প্রতি শুভকামনা রইলো।


হাঁটুপানির জলদস্যু

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বৈশাখী ফন্টটা আসলেই অনেক সুন্দর। সুন্দর গোলগাল মুখের কোনো কিশোরীর মতো মনেহয় আমার।

অপনালোহিত আপনার করা, আগে জানতাম না বস!

অপনালোহিতকে সামহাউ বৈশাখী'র মতো সেইরম বানানো যায়না আলমগীর ভাই!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

হিমু এর ছবি

আলমগীর ভাই, নতুন ইউনিকোড কমপ্যাটিবল ফন্ট তৈরির প্রক্রিয়া নিয়ে একটি পোস্ট কি আপনার কাছ থেকে পেতে পারি? কিছু পরিকল্পনা ছিলো মাথায়।


হাঁটুপানির জলদস্যু

বিপ্রতীপ এর ছবি

হিমু ভাই,
ইউনিকোড ফন্ট ডেভোলপ নিয়ে আমাদের প্রযুক্তি-তে এই পোস্টটি দেখতে পারেন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
http://biprodhar.com

আলমগীর এর ছবি

@ধুসর গোধুলি
ইচ্ছা আছে। থিসিটা শেষ করে নিই। বৈশাখী দেখেই মূলত শুরু করেছিলাম।

@হিমু ভাই
ফন্ট তৈরির পুরো প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমারও বিস্তারিত জানা নেই। আমি কেবল হিন্টিংএর কিছু জানি। ইউনিকোডের ফন্টে কিছুটা প্রোগ্রামিং করতে হয়, বেশ কিছু টেবিল সাজাতে হয়- ভাল সময় লাগে। তবে সমস্যা না, দরকার হলে অমিকে অনুরোধ করলে কিছু একটা ব্যবস্থা হবে। আমার কাছে টুল, টিউটোরিয়াল কিছু আছে। নেই যা তা হলো সময়।

সৌরভ এর ছবি

আলমগীর ভাই, আমি আপনালোহিত পছন্দ করি।
কিন্তু কিছু সমস্যা অনেকদিন থেকেই খেয়াল করেছি। জুম করলে অনেকসময় ভচকে যায়, একটা গ্লিফ আরেক্টার উপরে উঠে পড়ে। লিনাক্সে বেশি সমস্যা হয়।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- একটা গ্লিফ আরেক্টার উপর উঠে পড়ে মানে?
জুম কইরেন না। অরিজিনাল সাইজ পছন্দ হয় না, খালি খাইষ্টা আলাপ করার সুযোগ খোঁজে পাবলিক! রেগে টং
আর পাঠকরে একটা করে স্পেয়ার চোখ প্রদান করেন তাবিজ তাবিজ লেখা পড়ার লাইগা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আলমগীর এর ছবি

জানি, কিন্তু সেটা ঠিক করতে গেলে প্রচুর সময়ের প্রয়োজন। এ মুহূর্তে পারছি না।

রায়হান আবীর (অফ্লাইন) এর ছবি

আলমগীর ভাই লেখাটির জন্য ধন্যবাদ।

আর এই ক্ষমা চেয়ে যিনি মন্তব্য করেছেন তাকে আমার শুভেচ্ছা। ইস আমরা সবাই যদি তার মতো হতে পারতাম।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

১৯৯৯ এর শুরুর দিকে চোরাই ফ্রন্টপেজ দিয়ে প্রথম যখন সাইট বানাতাম তখন একটা টেন্ডেন্সি ছিল যে কোথাও থেকে কিছু নিয়ে তার সূত্র না দেয়া। সময়ের সাথে সেটার পরিবর্তন হয়েছে। নিরানব্বইয়ে যেটা আমার কাছে স্বাভাবিক ছিল এখন সেটা ততটাই অস্বাভাবিক। আমার মনে হয় ইন্টারনেট-টেকনোলজি নিয়ে প্রথম দিকে যারা কাজ করে (মানে নতুন আরকি) তাদের অনেকেই এই 'চুরি' বিদ্যা ফলিয়ে থাকে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে এই হয়তো সয়ে যায়, কিন্তু কর্পোরেট লেভেলে সেটা চিন্তার বাইরে।

আপনি তো অপনালোহিত নিয়ে ঘটনার কিছুই বললেন না, হয়তো ভদ্রতা করেই। একুশের ফন্ট না হলে আমরা বাংলা লেখতেই পারতাম না সেটা ঠিক; কিন্তু সেই একুশের মেইলিং লিস্টে একদিন কেউ একজন জানতে চেয়েছিল কোনটি সবচেয়ে পরিস্কার বাংলা ফন্ট। আমি প্রায় সাথে সাথেই সেটার উত্তর দিয়েছিলাম এবং বলেছিলাম অপনালোহিতের কথা। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্যি একুশের মত বড় কাজ যারা করেন তারা সেদিন বড়ত্বের পরিচয় দিতে পারেননি। আমার মেইলটাকে মডারেটর আটকে দিয়ে একুশের একটা ফন্টের প্রশংসা করে মেইল পোস্ট করে। আমার খুবই রাগ লেগেছিল এই কারণে যে, যিনি প্রশ্নটা করেছিলেন তাঁর কাছে কিভাবে আমার মেইলটা ব্লক করা হয়েছিল।

পোস্টের জন্য চলুক

ফাহিম মুরশেদ এর ছবি

২বছর পর লেখাটি আবার পরলাম। একটু খোচাই?

উবুন্টু ডট কম সাইটে কিন্তু কোথাও লেখা নাই যে ওটা দ্রুপাল দিয়ে করা হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।