Archive - 2007

May 9th

:: সে রাতে পূর্ণিমার সাথে আমি তোমাকেও দেখেছি ::

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: বুধ, ০৯/০৫/২০০৭ - ১:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


১.
তখনও বুঝিনি আকাশে অতটা উজ্জলতা ছিল। হঠাত করেই ইলেকট্রিসিটি চলে গেল। মুমু বল্ল সে ছাদে যাবে। বন্ধ ঘরে তার ভাল লাগছেনা। দম বন্ধ হয়ে আসছে। বাধ্য হয়ে তাই বেরিয়ে আসি। মোমের আলোয় যতটা দেখা যায় ততটা দেখে সিড়ি বাইতে থাকি। একহাতে মোম অন্য হাতে ধরে রাখি মুমুকে।

সিড়িটা বেশ খাড়া। অন্যবাড়ির দেড় সিড়ি সমান এর একেকটা সিড়ি! মুমুকে বলি, কষ্ট হচ্ছে উঠতে। ম্লান হাসি হেসে বলে, তুমি জিজ্ঞেস করতেই উধাও হয়ে গেল! আমি দাঁড়িয়ে যাই। ওর চোখে চোখ রাখার চেস্ট


May 8th

স্খলিত আপেলের জন্য আশংকা-২

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: মঙ্গল, ০৮/০৫/২০০৭ - ১১:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


জানালার ফাঁক গলে দেখা ঘাসের পাপোষে লেপ্টানো রৌদ্রের উজ্জ্বলতা যতটা মনে ধরেছিল রাস্তায় বের হয়ে আসার পর তা আর স্থায়ী হয়না বরং ফুটপাত থেকে ঠিকরে আসা আলোর গনগনে উষ্ণতাকে কষে থাপ্পড় লাগাতে ইচ্ছে করে আজাদের তারচে‘ সকালের মিঁউ মিঁউ বেড়ালছানার মত উম উম নরোম আলোটাকে সহানুভূতিমাখা বলে মনে হয় ওর হয়তোবা ওর পাংচারড্ মনের আকুল অবস্থার সাথে খাপ খায় বলেই। গলায় আটকানো কাঁটার মতো মনপিন্ডের ভেতরে খচ খচ করে খোঁচাচ্ছে মিথ্যাটা এখন, কেন যে হঠাত্ করে নিজের এথন


স্খলিত আপেলের জন্য আশংকা-২

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: মঙ্গল, ০৮/০৫/২০০৭ - ১১:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


জানালার ফাঁক গলে দেখা ঘাসের পাপোষে লেপ্টানো রৌদ্রের উজ্জ্বলতা যতটা মনে ধরেছিল রাস্তায় বের হয়ে আসার পর তা আর স্থায়ী হয়না বরং ফুটপাত থেকে ঠিকরে আসা আলোর গনগনে উষ্ণতাকে কষে থাপ্পড় লাগাতে ইচ্ছে করে আজাদের তারচে‘ সকালের মিঁউ মিঁউ বেড়ালছানার মত উম উম নরোম আলোটাকে সহানুভূতিমাখা বলে মনে হয় ওর হয়তোবা ওর পাংচারড্ মনের আকুল অবস্থার সাথে খাপ খায় বলেই। গলায় আটকানো কাঁটার মতো মনপিন্ডের ভেতরে খচ খচ করে খোঁচাচ্ছে মিথ্যাটা এখন, কেন যে হঠাত্ করে নিজের এথন


May 7th

সিধকাঠির বিনিয়োগ,কাশিমবাজার কুঠির পুনারবৃত্তি

আরিফ জেবতিক এর ছবি
লিখেছেন আরিফ জেবতিক (তারিখ: সোম, ০৭/০৫/২০০৭ - ৭:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অত:পর বিনিয়োগ আসছে। বিনিয়োগের মিটারে মাপা হচ্ছে সরকারের সাফল্য,অর্থসচিবের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ,অর্থমন্ত্রীর মেয়াদ।বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান মনের সুখে ঘুরে বেড়াচ্ছেন দেশ থেকে দেশে,প্রথম আলোর পিচ্চি সাংবাদিকরা টাটা নগর দেখে এসে যে বর্ণনা দিচ্ছে, বেহেশত ঘুরে এসেও সাঈদী সেই বর্ণনা দিতে পারবেন না তার রসনায়,সেমিনারে দেবব্রত বাবু গ্রাফ একে আমাদের চোখ ঝলসে দিচ্ছেন; আর আমরা ভেবে যাচ্ছি,আর মাত্র কয়েকটা দিন,একটু রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা,একটু অবকাঠামোকে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা,তারপরই শুরু হবে দুধে ভাতে পেটপুরে রাম ঢেকুর।

আমাদের কেউ বলছে না,বা আমরাই শুনতে আগ্রহী নই,আমরা চাইও না ইতিহাস পড়তে ,(অন্যদের তো পরের কথা,আমাদের নিজেদের ইতিহাস পড়লেও পরষ্পরকে গালি


টেকিং লিবার্টিজৎৎ যে ছবি প্রশ্নবিদ্ধ করবে, বৃটিশ বিচারব্যবস্থা'কে

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: রবি, ০৬/০৫/২০০৭ - ৭:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


অধিকৃত উপনিবেশগুলোতে চরম নিষ্ঠুরতার উদাহরন সৃষ্টি করলে ও বৃটিশরা নিজেদের ভু-খন্ডে, নিজেদের জন্য একটা জবাবদিহি মুলক বিচার ব্যবস্থা সফল ভাবে তৈরী করেছে অনেক আগেই ।

সেই ১২১৫ সালের 'ম্যাগনা কার্টা' তে ব্যক্তিস্বাধীনতার ঘোষনা এসেছে যা ' হ্যাবিয়াস কর্পাস' নামে বহুল পরিচিত । এর মুল বক্তব্য হচ্ছেঃ
কোন অবস্থাতেই একজন সাধারন নাগরিককে বিনা বিচারে আটকে রাখা যাবেনা ।

কালক্রমে বৃটেন পরিনত হয়েছে ব্যক্তিস্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার


আমার বাবার আমিই মা এবং আমার স্বামী আমারই সন্তান (উত্সর্গঃ সুমন চৌধুরী)

দীক্ষক দ্রাবিড় এর ছবি
লিখেছেন দীক্ষক দ্রাবিড় (তারিখ: রবি, ০৬/০৫/২০০৭ - ৭:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


আমিই প্রথম এবং আমিই শেষ
আমিই সম্মানিতা এবং আমিই ধিক্কৃতা
আমিই পতিতা এবং আমিই পবিত্রা
আমিই স্ত্রী অথচ আমিই কুমারী
আমিই মাতা এবং আমিই কন্যা
আমিই আমার মায়ের সন্তান-সন্ততি
আমিই বন্ধ্যা এবং শত সন্তানের জননী
আমারই বিবাহ-উত্সব ছিল ভুবনখ্যাত
এবং আমিই কোনো স্বামী গ্রহণ করিনি

আমিই ধাত্রী এবং যে কিছুই ধারণ করে না
আমিই আমার প্রসব বেদনার শান্তনা
আমিই বর এবং আমিই কনে
আমার স্বামীই আমাকে জন্ম দিয়েছে
আমার বাবার আমিই মা এবং
আমার স্বা


May 6th

বৃষ্টি অথবা সুর্যালোক

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: রবি, ০৬/০৫/২০০৭ - ৪:০০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

( সুমেরু'র ভয়ে, নেট চুরি করে ছবি ঝোলানোর খায়েশ বাদ দিয়ে দিলাম )

তিনটে শকুনী ।
বৃহৎ বৃক্ষে উপবিষ্ট ছিলো তারা ।
বৃক্ষ ছিলো বৃহত্তম খাঁচায় পুরা ।
পুর্ন উদরে তৃপ্ত শকুনীগন,অতীব মহান
আমাদের করের টাকার উত্তম সম্প্রদান ।

তারপর, পরবর্তী খাঁচা দর্শন ।
একটি মানুষ ।
নিজের বিষ্ঠাই তার আয়োজন ।
চিনলাম ।
পাড়ার সাবেক ডাক পিয়ন ।
প্রতিটি দরজায় যে কড়া নাড়তো,
আর বলতো- 'শুভ দিন আসুক,সবার জন্য '

হুররে!আমাদের শুভ দিন এসে গেছে । ।

***লেখার অণুবীজ সংগৃহীত, চার্লস বুকস্কির কবিতার খামার থেকে ।


যে চাইনিজ রুপকথাটি আমাকে প্রেরণা যোগায়

আরিফ জেবতিক এর ছবি
লিখেছেন আরিফ জেবতিক (তারিখ: রবি, ০৬/০৫/২০০৭ - ৩:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক পথিক হেটে যাচ্ছিলেন পথ দিয়ে।পথে দেখতে পেলেন এক চড়ুই পাখি চিৎ হয়ে শুয়ে আছে তার পা দুটি শূণ্যে মেলে দিয়ে।

ফেরার পথে পথিক আবার সেই একই দৃশ্য দেখলেন।এবার পথিক কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলেন,'' চড়ুই,কী হয়েছে তোমার?

চড়ুই বললো,''আমি খবর পেয়েছি,আজ আকাশ ভেঙ্গে পড়বে পৃথিবীর বুকে।আমি তাই পা আকাশের দিকে তুলে দিয়েছি।আকাশটাকে ঠেকাতে হবে।''

পথিক হেসে বললেন,''বোকা চড়ুই,তুমি কি মনে করো তোমার কাঠির মতো সরু ঐ দুইটি পা দিয়ে তুমি আকাশকে ধরে রাখতে পারবে?পারবে পতন ঠেকাতে?''

চড়ুই বললো,'' তা হয়তো পারবো না।তবু মৃত্যুর আগে আমি এ সান্তনা নিয়ে যাবো,আমি আমার সীমিত সাধ্যের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছিলাম।''


নারী-ঈশ্বরকে মাটিচাপা দেয়ার জন্য শুধু পুরোহিতরা নয় প্রত্নতাত্ত্বিকরাও দায়ী

দীক্ষক দ্রাবিড় এর ছবি
লিখেছেন দীক্ষক দ্রাবিড় (তারিখ: রবি, ০৬/০৫/২০০৭ - ৩:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


(নারীকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে একক ঈশ্বরের প্রবক্তারা-৩)
মূল কথা ছিল নারীপ্রধান ‌বা মাতৃতান্ত্রিক একটা সমাজ যদি আদিকালে থেকে থাকে তবে সে সমাজে মাতৃমূর্তি বা নারী-ঈশ্বর বা দেবীদের উপাসনা হওয়ারই কথা। এখন আমরা একক ঈশ্বরের ধারণা পৃথিবীতে চালু হওয়া ও তার সাথে মহাদেবী বা নারী-ঈশ্বর পূজার বিরোধের সন্ধান করতে পারি।

বাইবেল ও কোরানে আদম-ইভের যে ঈশ্বরের গল্প আমরা পাই তার বয়স মানুষের চেয়ে অনেক কম। নবী মুহাম্মদকে আদমের ২৫ তম প্রজন্ম ধরে আদম ও তার সন্ত


May 5th

মধ্যরাতে কতিপয় প‌্যাসিভ গাজিঁতা জাতীয় শের!

আরিফ জেবতিক এর ছবি
লিখেছেন আরিফ জেবতিক (তারিখ: শনি, ০৫/০৫/২০০৭ - ২:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক(গাজিঁতা সংস্করন)
নি:শ্বাসের কার্বন বৃক্ষ হন্তারক ,কে বললো ?
আরিফের দীর্ঘশ্বাসে তো গাছেদের মড়ক লাগলো না।

এক(হুশ সংস্করন)
নি:শ্বাসের কার্বন বৃক্ষ বর্ধক ,কে বললো ?
আরিফের দীর্ঘশ্বাসে তো সুন্দরবনের গাছগুলি সাতআসমানের উপরে গেল না এখনো।

দুই.
একটা জীবন যদিও ডাকে,
আরেক জীবন আটকে রাখে;
হায় আরিফ,তুমি পড়ে গেছ দুই সতিনের ফাকে।

তিন.
এইটুকু পথ যাবে বলে,এতো জোরে দৌড়েছিলে?
অথচ আরিফ,জীবনকে নিয়ে একদিন তুমি কতো কিছুই না ভেবেছিলে।

(অদ্য রাতে সাধক শন্কুর আগমনে ব্লগে যে ধোয়াঁশা সৃষ্ঠ হইয়াছে,তাহাতে প‌্যাসিভ ধুমপানে দুষ্ট হইয়া কিছু শের ঝাড়িয়া দিলাম।কাব্যামোদীরা পড়িয়া ব্যথা পাইলে এক চিলিম টানিয়া যায়েন অধমের সাথে)