দেশকে নিয়ে অনেক গর্ব আমাদের। স্বপ্ন আমাদের। কিছু ক্ষমতালোভীর স্বেচ্ছাচারিতার কাছে আমরা জিম্মি করতে পারি না আমাদের স্বপ্নকে। আমাদের মুক্তচিন্তার, স্বাধীনতার অধিকারকে। বর্বর, মধ্যযুগীয় আচরণকে মেনে নিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ধূলিস্মাত্ করতে পারি না।
শুধু সত্য প্রকাশের জন্য, শুধু সাংবাদিক হওয়ার জন্য কেন তাসনিম খলিলকে আটক করবে সেনাবাহিনী? একজন তাসনিম খলিলের চেয়ে সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা দেশের জন্য বেশি কি করছে? আমরা কি মধ্যযুগে বাস করি যে আমাদের মত প্রকাশের অধিকার থাকবে না। তথ্য জানার অধিকার থাকবে না।
এই গ্রেফতার এরকম আরো প্রশ্ন, আরো বিষয়কে সামনে নিয়ে আসে। সেই বিষয়গুলো নিয়ে লিখুন। সহব্লগার তাসনিম খলিলের প্রতিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চা
আমার মনটা পুনরায় বিষন্ন হয়ে উঠে।রক্তের ভেতরে খেলা করে ক্রোধ,হতাশার কুয়াশা ছিড়ে আবার আমার নিওরোনের অলিতে গলিতে আসে সেই প্লাবন,আর সেই প্লাবনের জোয়ারে আমি আবার অসহায় হয়ে পড়ি ।হে প্রভু,আমাদের কি মুক্তি নেই?আমাদের কি শান্তি নেই?
আবার রাজপথ আমাকে ডাক দিয়ে যায়,আমার কোন গত্যন্তর নেই।
আমাদের নামতে হবে রাজপথে,খালেদা বা হাসিনার জন্য নয়;নামতে হবে একজন আহমেদ নূর আর একজন তাসনিম খলিলের জন্য।কাফকার সেই বিষন্ন শহর এখন আমাদের জনপদ।
মাঝরাতে তুলে নিয়ে যাচ্ছে সন্তানের কোল ঘেষে শুয়ে থাকা পিতা,পড়ায় মগ্ন অবোধ তরুন ভাই,দরজায় সেই একই বুটের লাথি ;৭১ থেকে ৮২,৮২ থেকে ৯০,আর এখন এই দুইহাজার সাতে।আমাকে ঘর ছেড়ে বের হতে হবে কারন ঘর আর আমার জন্য নিরাপদ নয়,আমার
সহ ব্লগার হিসেবে তাসনিম খলিলের গ্রেফতারের প্রতিবাদ করাটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
তার আগে, দু'টো বিষয় নিশ্চিত হওয়া দরকার:
১. এক তার গ্রেফতার হওয়ার সংবাদটা যাচাই করা হয়েছে কিনা। আমাদের বন্ধু সহ-ব্লগার কোনো সাংবাদিক দয়া করে নিশ্চিত করুন।
২. কী কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে? ব্যক্তিগত, রাজনৈতিক কারণে নাকি তার রিপোর্টিং-য়ের জন্য?
সেইসাথে এটাও জানা দরকার যে তাকে কে গ্রেফতার করেছে, পুলিশ না সেনাবাহিনী?
কোনো পত্র-পত্রিকায় বা সংবাদ সংস্থার রিপোর্টে এ গ্রেফতারের খবর এসেছে কিনা?
যারা জড়িত তারা দয়া করে এগুলোর উত্তর খুঁজে বের করুন।
জরুরী অবস্থার কালে সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণা নিষিদ্ধ তা'বলে সেনাবাহিনীকে আমরা মাথা দিয়ে দিত
এসব বিষয় বাংলায় পড়িনি। তাই জানি না ডিসকোর্স শব্দটির জন্য পাঠ্যপুস্তকে কোনো বাংলা পরিভাষা ব্যবহার হয় কিনা।
পরিভাষার বিষয়ে আমরা, মানে বাঙাল সমাজ, খুবই মৌলবাদী। পুরনো শব্দ নতুন অর্থে ব্যবহার করতে গেলে অনেকে তেড়ে আসেন। তাই এই সাবধানতামূলক পোস্ট।
ডিসকোর্স এবং ডিসকোর্স এ্যানালাইসিস ভাষাতাত্ত্বিকরাই ব্যবহার করা শুরু করেছিলেন টেক্সট এ্যানালাইসিসের কৌশল হিসেবে। এখন সমাজবিজ্ঞানীরা হরদম ব্যবহার করছেন। আমি একে টেনেটুনে নীতি বিশ্লেষণে ব্যবহারের চেষ্টা করেছি। আমি বলছি না, আমিই প্রথম, তবে আমার মত বেপথু কমই আছেন।
এখন সেই কথাগুলোই বাংলায় বলতে চাই, কিন্তু বাংলা শব্দ ব্যবহারের পক্ষে আমি। বারবার ডিসকোর্স লেখতে নারাজ। এর অর্থ হিসেবে চ
এসব বিষয় বাংলায় পড়িনি। তাই জানি না ডিসকোর্স শব্দটির জন্য পাঠ্যপুস্তকে কোনো বাংলা পরিভাষা ব্যবহার হয় কিনা।
পরিভাষার বিষয়ে আমরা, মানে বাঙাল সমাজ, খুবই মৌলবাদী। পুরনো শব্দ নতুন অর্থে ব্যবহার করতে গেলে অনেকে তেড়ে আসেন। তাই এই সাবধানতামূলক পোস্ট।
ডিসকোর্স এবং ডিসকোর্স এ্যানালাইসিস ভাষাতাত্ত্বিকরাই ব্যবহার করা শুরু করেছিলেন টেক্সট এ্যানালাইসিসের কৌশল হিসেবে। এখন সমাজবিজ্ঞানীরা হরদম ব্যবহার করছেন। আমি একে টেনেটুনে নীতি বিশ্লেষণে ব্যবহারের চেষ্টা করেছি। আমি বলছি না, আমিই প্রথম, তবে আমার মত বেপথু কমই আছেন।
এখন সেই কথাগুলোই বাংলায় বলতে চাই, কিন্তু বাংলা শব্দ ব্যবহারের পক্ষে আমি। বারবার ডিসকোর্স লেখতে নারাজ। এর অর্থ হিসেবে চ
কোনো সন্দেহ নাই, তার বক্তৃতা লিডারশিপের ক্লাসে পড়ানো হবে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার বক্তৃতার ধোঁয়াশা নিয়ে অনেক আলোচনা হবে। কোনো প্রতিশ্রুতি উচ্চারণ না করেও কিভাবে শুধু সুন্দর শব্দ জোড়া লাগিয়ে জনগণকে সন্তুষ্ট করা যায় তার এক উজ্জ্বল উদাহরণ টনি ব্লেয়ার। তবে আজ তার বিদায়ের ভাষণটা আমার কাছে অন্যরকম শুনিয়েছে।
সবচে' আবেগঘন যে বাক্যটা ছিল, যার পর সবচে' তালি পড়েছে এবং টনি ব্লেয়ার থেমে ছিলেন অনেকক্ষণ তালি থামার জন্য সেটি হলো, H
কোনো সন্দেহ নাই, তার বক্তৃতা লিডারশিপের ক্লাসে পড়ানো হবে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার বক্তৃতার ধোঁয়াশা নিয়ে অনেক আলোচনা হবে। কোনো প্রতিশ্রুতি উচ্চারণ না করেও কিভাবে শুধু সুন্দর শব্দ জোড়া লাগিয়ে জনগণকে সন্তুষ্ট করা যায় তার এক উজ্জ্বল উদাহরণ টনি ব্লেয়ার। তবে আজ তার বিদায়ের ভাষণটা আমার কাছে অন্যরকম শুনিয়েছে।
সবচে' আবেগঘন যে বাক্যটা ছিল, যার পর সবচে' তালি পড়েছে এবং টনি ব্লেয়ার থেমে ছিলেন অনেকক্ষণ তালি থামার জন্য সেটি হলো, H
হ্যালো,
খুব ব্যস্ত নাকি? অনলাইনে দেখছি না একদম। আমরা বন্ধুরা প্রায় প্রতি রাতেই নেটে থাকি। ইয়াহু ম্যাসেঞ্জারে কনফারেন্স হয়। ভেবেছিলাম আপনার সাথে কথা হবে। সপ্তাহ পার হলো, কথা হলো না।
মেইল করছি - ধন্যবাদ জানাতে। সামিনা চৌধুরীর গানটা শুনলাম। খুব ভালো লাগলো। ঐ ফোল্ডারে আরেকটা গান পেলাম - 'জায়গা কিনবো কিনবো করে পেয়ে গেলাম জায়গা শুদ্ধ জমি'। এ গানটাও সুন্দর।
এনিওয়ে ভালো থাকবেন। ম্যাসেঞ্জারে আসলে দেখা হবে। আর নিজেকে ইনভিজিবল করে রাখলে - মেইল করে জানাবেন ধন্যবাদটুকু পেলেন কি-না। গুড বাই।
< বেলা >
--------------------------------------------------------
বেলা:
আপনার মেইল পেলাম।
পেলাম মানে আজকেই পেলাম।
তারিখের হিসেবে পাঁচদিন পর রিপ
বিকেল থেকে মেজাজ খিটমিটে হয়ে আছে। অহনা-চৈতি-শীলা সবাই গেছে সুমাইয়ার কাজিনের গায়ে হলুদে। বেলাও যাওয়ার কথা ছিল। সকালে হঠাৎ নানু অসুস্থ হয়ে গেল, যাওয়া হলো না। আম্মু যেতে দিলো না।
একটু আগে অহনা এসএমএস করেছে - 'তোকে খুব মিস করছি, খুব মজা হচ্ছে, শীলা অলরেডি ফলেন উইথ অ্যা সাদা বিড়াল, রাতে ফোনে ডিটেইল বলবো'।
শীলার প্রেমে পড়ার অভ্যাস খুব বেশী। মুহুর্তে মুহুর্তে প্রেমে পড়ে যায়। একবার বেইলী রোডে পাশের রিক্সার ছেলেকে দশ-বিশ সেকেন্ড দেখেই প্রেমে পড়ে গেলো, পরের কয়েকদিন কেটেছে ঐ ছেলের মোহে। এই প্রেম-পড়ুনী বান্ধবী শীলাকে নিয়ে অনেক মজার মজার গল্প চালু আছে।
জিটিভিতে 'কসম সে' সিরিয়াল চলছে। বেলার দেখতে ইচ্ছে করে না। ভাবে - কিছুক্ষণ অনলাইনে থাকা যায়
এক.
ছোট্ট একটা শহর।পাশাপাশি দুইটি বাড়ি। রাত ১০টা ।পাড়াগায়ের জণ্য বেশ রাত।মেয়েটি জানালায় দাড়িয়ে চুল আচড়ায়।ছেলেটি ও এসে দাড়ায়।ত্রস্ত চলাচল।দুজনের মাঝখানে লোহার গরাদ।
ইতি উতি উকিঁ।মেয়েটি জানতে চায়,`কেমন আছো?' ছেলেটি তাকিয়ে থাকে চুলের দিকে। আনমনা হয়ে বলে `এতো লম্বা চুল!' হাত বাড়িয়ে চুলে ডুবাতে চায় আঙুল,হাত আটকে যায়।মাঝখানে লোহার গরাদ।
মেয়েটি হেসে বলে,নেবে?
দাও।
মেয়েটি এক গোছা