স্মৃতি বিপর্যয় ৭: সচক্ষে আদম-ঈভ দর্শন

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি
লিখেছেন লুৎফুল আরেফীন (তারিখ: বুধ, ২৩/০৪/২০০৮ - ৩:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

autoআমার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা সম্ভবতঃ বেশ দুর্বল। এটা আমার স্ত্রীর দাবী। আমি নাকি কারো সাথে কারো চেহারার মিল বুঝতে পারি না। মেন্ডেল সাহেব যেখানে মটরশুটির সাথে মটরশুটির চেহারার মিল বুঝতে পারতেন, সেখানে আমি ২টা মানুষের মিল বুঝবো না – এই কথাটা মেনে নেওয়া কষ্টকর! তবে এটা ঠিক যে, লোকজন যেভাবে ভুমিষ্ট হওয়ামাত্র শিশুর মুখ দেখে বলে দেয়, ‘একদম বাবার মতোন হয়েছে’, কিংবা ‘পুরা মায়ের চোখ কেটে বসানো হইছে’ তখন আমার নিজেকে বেশ বেকুব বেকুব লাগে! আমার স্ত্রীর আরোও দাবী, এই সমস্ত মিলগুলো আমি ধরতে পারি শুধু জমজদের ক্ষেত্রে! কথাটা ঠিক হতেও পারে। কারণ, বাংলা সিনেমাতে দেখতাম, রাজ্জাকের ছেলে বড় হয়ে আরেকটা রাজ্জাক-ই হয়। কিংবা অমিতাভের সন্তানকে অবিকল অমিতাভের মতোই দেখায়! এইসব ক্ষেত্রে দাঁড়ি-গোঁফের ছলচাতুরী থাকলেও পিতা-পূত্র মিলিয়ে নিতে আমার তেমন অসুবিধা হয় না।

স্বীকার না করলেও বুঝতে পারি, শুধু মানুষের চেহারা মিলানো নয়, ইমপ্রেশন বুঝতেও আমার মাঝে মাঝে সমস্যা হয়। আমি চট করে কারো চেহারা দেখে বুঝতে পারি না যে, সে আমার ওপর রেগে আছে নাকি খুশী হয়ে আছে। এই সমস্যার কারণে আরবী ক্লাসে স্যার শব্দার্থ জিজ্ঞেস করলে আমি উত্তর দিয়ে ওনার বেতের দিকে তাকিয়ে থাকতাম উত্তরটা সঠিক হয়েছে কি না বোঝার জন্য। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতোন, স্যারের চশমাটা ছিল মোটা লেন্সের। সেটা ভেদ করে স্যারের চোখের ইমপ্রেশন নেওয়া ছিল বিরাট ঝক্কির ব্যাপার! ফলে বেতের গতিবিধি দেখেই উত্তরের সঠিকতা নিরুপন করা লাগতো। সঠিক হলে সেটা নীচু হয়ে থাকতো। নইলে তেড়ে আসতো আমার দিকে।

একই সমস্যার কারণে জার্মানীতে এসে অনেকদিন পর্যন্ত আমি জানতামই না যে, আমার রুমের সামনে, রাস্তার অপরপাশের বিল্ডিং এ একজোড়া আদম-হাওয়া বাস করতো এবং তারা সময়ে অসময়ে জানালার পর্দা না ফেলেই জৈবিক তৃষ্ণা নিবৃত করতো।

ডরমিটরীতে আমার রুমটা ছিল সতীর্থদের আড্ডার জন্য একটা তীর্থস্থল টাইপের জায়গা। আড্ডার জন্য উপযুক্ত সময় ছিল শুক্রবারের রাত। গোটা সপ্তাহের কর্মব্যস্ততা ঝেরে ফেলে আমরা ঐদিনটায় একত্র হতাম। ২০০৩ সালের মাঝামাঝি এমনই এক আড্ডায় জনৈক বড়ভাই আবিষ্কার করলেন যে, আমার রুমের জানালা দিয়ে পাশের বিল্ডিং এর ভেতরের স-ব কিছু (?) নাকি দেখা যায়। ওরা কখন কি করে, কিভাবে করে, কতোক্ষণ ধরে করে – ইত্যাদি স-ব। অবশ্য ঘটনাটা আমার চোখ এড়িয়ে যাবার জন্য আমি নিজেকে যতোটা দায়ী করবো, তার চে অনেক বেশী সাধুবাদ দেবো ঐ বড়ভাইয়ের শকুন চোখকে! কারণ, সরাসরি দৃশ্যটা দেখা সম্ভব না, দেখার জন্য মাছির মতোন বৃত্তাকারে অগুণিত চোখ থাকা চাই। বাসাটা আমার ঠিক মুখোমুখি নয়। যাহোক, ঘটনা জেনে আমি নিজে খুব একটা সারা শব্দ করতে না চাইলেও ঐ বড়ভাই মুহুর্তেই খবরটা চাউর করে দিলো। ভুত থেকে ভুতে গোটা শহরে ঢিঁ ঢিঁ পরে গেল!

১৫-২০ মিনিটের মধ্যে আমার রুমটা ঢাকা শহরের পাসপোর্ট অফিসের মতোন লোকে লোকারণ্য হয়ে গেল। ডরমের বিবাহিত এবং অবিবাহিত নির্বিশেষে গোটা ১৫ পোলাপাইন আমার রুমের জানালায় ঝাঁপিয়ে পরলো। হাশরের ময়দানে নাকি সূর্য দেড় হাত ওপরে থাকবে। অথচ ঐরকম তেজী আলোতেও কেউ নাকি কাউকে চিনবে না! ঘটনার সত্যতা খানিকটা হলেও উপলব্ধি করলাম কারণ, এই জীবদ্দশাতেই সেই দৃশ্য আমাকে দেখতে হলো! নিজ গৃহে চরমভাবে উপেক্ষিত আমাকে কেউ তেমন পাত্তাই দিচ্ছিল না। শারীরিকভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী না হওয়াতে জানালার কাছাকাছি হবার কোনও সুযোগ পাচ্ছিলাম না। উপরন্তু, ‘এতোদিন আমি সব একা একা ভোগ করছি’, ‘কাউকে কিছুই জানাই নাই’ – জাতীয় অভিযোগের তুবড়ি ছুটতে থাকায় ভয়েই আর এগোবার সাহস পেলাম না! সবাই চা ফেলে এখন অন্য সুধা পানের তৃষ্ণায় ব্যকুল। জার্মানীতে জানালায় গড়াদ থাকে না। ফলশ্রুতিতে একেবারে আন-ইন্টারাপ্টেড ওয়াইড স্ক্রীণ ভিউ!

মনে মনে ভাবছিলাম, ‘শালার এইরকম লাইভ বায়োস্কোপ আমার চোখে এদ্দিন ক্যান পরলো না! বাইরের রাষ্ট্রের লোকজন এসে সব সম্পদ আবিষ্কার করে ফেলছে, অথচ আমি বেকুবের মতোন হাত-পা মুঠ করে বসেছিলাম?!!’
এরই মধ্যে হঠাৎ কে একজন বললো, এইখান থেকে দেখা গেলে তো ব্যালকনি থেকে আরো ভালো দেখা যাবে। বলা দরকার যে, আমাদের কিচেনের সাথে একটা লাগোয়া ব্যালকনি ছিল। ওখানে সামারে ‘গ্রীল পার্টি’ করতাম আমরা। ব্যালকনিতে গেলে ঘটনাস্থলের সাথে কৌনিক দূরত্ব আসলেই অনেকটা কমে যাবে! সুতরাং যেই বলা সেই কাজ। আমার জানালা প্রায় ফাঁকা হয়ে গেল! ২/১ জন লেগেই রইলো, ব্যালকনি থেকে ‘ভালো দেখা যাচ্ছে’ –সূচক রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত তারা এই জায়গাটি হারাতে চায় না।

ব্যালকনি থেকে পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেল। সবাই ছুটলো সেদিকে।

সন্ধ্যা বেলা। কিন্তু শীতপ্রধান দেশে এই সময়টা গাঢ় অন্ধকার গ্রাস করে সবকিছু। অন্ধকারের মধ্যেই দেখছিলাম ভুতের ছায়ার মতো ব্যালকনিতে গোটা ১৫ মাথা খালি এদিক থেকে সেদিক করছে। বিবাহিত একজনকে দেখলাম চেয়ার টেনে ওইটার ওপর দাঁড়িয়েছে। বুঝলাম না, বিবাহিতদেরও এতো আকর্ষণ কেমনে থাকে! আর অদূরে রাস্তার অপর পাশের বাড়ির ভেতরটাতে তখন ২জন মানুষ গোসল শেষ করেছে। ব্যালকনি থেকে বাড়িটার বেডরুম, বাথরুমের খানিকটা আর সংলগ্ন করিডোরটা পরিস্কার দেখা যাচ্ছে। হালকা কমলা আলো জ্বলছে বেডরুমে। ‘বস, এটা কি আগের গোসল, নাকি পরের?’ বিবাহিত বড়ভাইয়ের উদ্দেশ্যে প্রশ্নটা ছুঁড়ে দিল কেউ একজন। ‘চুপ! জানি না। এহন ডিস্টার্ব দিও না। দেখতে থাকো’।

ঐ যে মাইয়াডা বাইর হইছে বাথরুম থেকে!
হায় হায় … … সব দেখা যায় তো!
ঐ চুপ! কিসের সব দেখা যায়! তয়লা আছে গায়ে। বেশি দেহস না?!
ওহ্ সরি। স্কীন কালার তো, বুঝি নাই।
আস্তে!....শ.শশশশশ….
ঐ যে পোলাডাও বাইর হইছে বাথরুম থেকে …
হু … ঐ যে
রুমের দিকে যায়!
হু…এহনি হবে!

এরপর কিছুক্ষণ আর কথাবর্তা নেই কারো মুখে। ঘরটার গরাদবিহীন জানালা গলে দুর্বল মৃদূ কমলা আলো খুব বেশী দূর যেতে পারেনি। ফলে অদূরে কোনও বিল্ডিং এর অন্ধকার ব্যালকনিতে সেই সময় ১৫ জন যুবকের রুদ্ধশ্বাস হৃৎকম্পন জানালার ওপাশের ২ জন শুনলো না। কিন্তু সেই কম্পন ক্রমশঃ বাড়ছিল -- প্রাচীনতম যুগলবন্দী’র তালে তালে।

দৃশ্যগুলো যুবকদের পরিচিত। খুবই পরিচিত। কম্পিউটার-মনিটরের জায়গাটা দখল করেছে গরাদবিহীন কাঁচের জানালা। পার্থক্য শুধু ঐটুকুই।


মন্তব্য

অয়ন এর ছবি

জার্মানী যাওয়া দরকার মন খারাপ

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

একদম ঠিক কথা অয়ন। এখানে আসার আগে যা যা কুকথা শুনেছি এই দেশটা সম্পর্কে, তার সবই সত্যি!

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

পরিবর্তনশীল এর ছবি

আব্বু ! আমি জার্মানী যাব!

---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

যাদের দেশেই এতো প্রাপ্তি, তাদের আবার বিদেশ লাগে?!
দেঁতো হাসি

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

বিপ্রতীপ এর ছবি

বাপরে...এতো দেখি স্মৃতির ভয়াবহ বিপর্যয়! দেঁতো হাসি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান…

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

দেঁতো হাসি

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

স্বপ্নাহত এর ছবি

ব্যাপক হইসে বস।

খুব ভাল লাগসে... আর মনে একটা প্রশ্ন জাগছে...

জর্মন দেশের মত এরকম বেসম্ভব কায়কারবারের জায়গায় থেকেও আমাগো ধু.গোধু গুরু খালি শালী শালী করে ক্যান ইয়ে, মানে...

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

কোথায় শা-দা চামড়া আর কোথায় শা-লী।
বুঝেন না?! হাসি

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

অতিথি লেখক এর ছবি

ক্যান যে জর্মন দেশে গেলাম না!!

=========
স্পর্শ

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

সবার দেখি একই আফসোস!

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

দৃশা এর ছবি

দুইটা গামছা বুরখা বানাইছি প্রখ্যাত ডিজাইনার রাসেন ভাইকে দিয়ে থুক্কু আপা কে দিয়ে... এবার কন কেমতে ফাঠামু আফনার কাছে?

দৃশা

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

হা হা হা!
অনেক বুরখা লাগবো তাইলে। দিয়া কুলাইতে পারেবন না!

আপাততঃ ছবির ২জনের ব্যবস্থা হইতে পারে!

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

হ, জার্মানি এইবার যাইতেই হইবো। ওই ঘটনার পরে কে কে বাইনোকুলার কিনেছিলো, সেই কাহিনী কবে পাচ্ছি?

লেখা মারাত্মক সাবলীল এবং রসালো।

আরবী ক্লাসে স্যার শব্দার্থ জিজ্ঞেস করলে আমি উত্তর দিয়ে ওনার বেতের দিকে তাকিয়ে থাকতাম উত্তরটা সঠিক হয়েছে কি না বোঝার জন্য।
এই অংশটা পইড়া প্রায় চেয়ার বিপর্যয় ঘটতে যাচ্ছিলো!

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

জার্মানী যাইতেইইই হইবো?!! চোখ টিপি

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

সাদামাটা ঘটনার সরস বর্ণনার ক্ষেত্রে জেরোম কে জেরোম-মার্কা প্রতিভা আপনার আছে। তাই আপনার লেখা পড়তে গেলে মুখটা হাসি-হাসি হয়ে যায় আপনা থেকেই হাসি

তবে

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍জানালার পর্দা না ফেলেই আদিম তৃষ্ণা নিবৃত করতো।

আমার আপত্তি "আদিম তৃষ্ণা" শব্দযুগলে। তৃষ্ণাটি কি ঘোরতর বর্তমানও নয়? চোখ টিপি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি একগামী পুরুষ। একমাত্র নারীদের ভালোবাসি চোখ টিপি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

গুরু অপরাধ মার্জনা।
তয় একটা অজুহাত কিন্তু দিতে পারমু।

লেখার ঐ জায়গাটা থেকে পাঠককে অন্যরকম কিছুর স্বাদ দেওয়া শুরু করছি।

অর্থাৎ তৃষ্ণাটার কাল সম্পর্কে আপনার সাথে আমি পুরা একমত, শুধু পাঠকের সাথে যোগাযোগের সুবিধার্থে ... ...
আপনিই কন, আদিম শব্দটা বাদ দিলে লেখাটার "ফোর্স" অর্ধেক কমে যায় কি না!

আপনি যদি তাও না মানেন, তাইলে এডিট করুমনে।

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍আমি শব্দটা বাদ দিতে তো বলিনি। তবে বদলানোর চিন্তা করে দেখতে পারেন। ‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍জৈবিক, জান্তব টাইপ কোনও শব্দ ব্যবহার করে।

অযাচিতভাবে নাক গলানোর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি একগামী পুরুষ। একমাত্র নারীদের ভালোবাসি চোখ টিপি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

অযাচিত মোটেই নয় সন্যাসী জী।
আপনার মন্তব্য/অনুযোগ/উপদেশ সবই শিরোধার্য।

বদলে দিলাম শব্দটা হাসি

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍শিরোধার্য? ঠিকাছে চোখ টিপি
ভাগ্যিস অন্য কোনও অঙ্গে ধারণের কথা বলেননি হো হো হো

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি একগামী পুরুষ। একমাত্র নারীদের ভালোবাসি চোখ টিপি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

হো হো হো

আপনার সাথে কথায় পারবো এই দুরাশা আমি করি না।

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

তারেক এর ছবি

জার্মানি তে তাইলে কোন ভেজাল নাই। সবই লাইভ! আহা! স্বপ্নের দেশ...
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

হায়রে যদি পুরাপুরি বুঝাইতে পারতাম আপনারে! ... কতোখানি নির্ভেজাল ..

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

জাহিদ হোসেন এর ছবি

যে কয়জন দেশে থাকতো তারাও এই লেখা পড়ার পর পাসপোর্ট অফিসের সামনে লাইন দিয়েছে। শাকের খেতটা কি না দেখালেই চলছিল না আপনার?
লেখাটা দারুণ। সবচেয়ে বেশী হেসেছি "বস, এটা কি আগের গোসল, নাকি পরের?" লাইনটি পড়ে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

হাহাহাহাহা!
আপনার মন্তব্যে (বিপ্লব)
আর বেশী কিছু বলার নেই হো হো হো

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

ক্যামেলিয়া আলম এর ছবি

আমি মুগ্ধ হয়ে বেদম হাসতে হাসতে লেখাটা পড়লাম। অসম্ভব মজার!
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

বেদম আনন্দ নিয়ে আপনার কমেন্ট পড়লাম।
ধন্যবাদ।:-)

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

খেকশিয়াল এর ছবি

হাহাহা বেশি জোশ লেখসেন গড়াগড়ি দিয়া হাসি

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বড় হইছি মিরপুরে... গাবতলী টার্মিনাল আর মাজারের মাঝখানে... ঐ অঞ্চলে তখন সর্বোচ্চ ভবন ৪তলা... তাও হাতে গোনা... বেশিরভাগই টিনশেড... বাঁশের বেড়া... অথবা ইঁট সিমেন্টের দেওয়ালে টিনের চালা... দেওয়ালেও আস্তর থাকতো না অনেক বাড়িতেই...

এলাকার বর্ণনা দেওনের কারন হইলো... প্রত্যেক রাইতেই গোটা দুয়েক টিম বাইর হইতো... তাদের নাম ফুটা বাহিনী... প্রত্যেক ঘরের কোথায় কোথায় ফুটা তাহা তাহাদের মুখস্ত... কোন ঘরে দম্পত্তি শোয় সেইটাও... ফুটা না থাকলে কায়দা কইরা ফুটা করা হইতো বিশেষ বিশেষ এ্যাঙ্গেলে... সে এক অসাধারণ শিল্পকর্ম...
এই নিয়া আবার সিনিয়র জুনিয়র ঝামেলাও হইতো...

তবে আমি কিন্তু অতীব ভালো ছেলে... পরনারীর দিকে তাকাই না...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

বাহিনী আকারে না থাকলেও এরকম ফুটা সন্ধানী বয়স সবাই বা অনেকেই পার করে বলে আমার ধারণা হাসি

পরনারীর দিকে তাকাইলে কি হয়?

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

কানাডায় থাকুম না মন খারাপ
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

হু অতো ঠান্ডায় ওইখানে নিশ্চই কেউ আদম-ঈভের ড্রেস পরতে চা্য় না। দেঁতো হাসি

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এক শুক্কুরবার রাইতে ঘরে ফিরতাছি। হঠাৎ লগের জন কয় 'ঐ যে দেহ, দুষ্টুকাম করতাছে...' চোখ তুইলা চাইয়া দেখি- পুরা ফকফকা আলোতে, পর্দাহীন জানালার পাশে, আদমের ব্যাটা আর হাওয়ার কন্যা। আমি কই, আমার ওযুর বদনাটা কই?

আরেক সন্ধ্যায়, এক বন্ধুর ছোট্টতম গৃহের বারান্দায়। ঝুলন্ত বিছানায় শুইয়া শুইয়া চানাচুর ভর্তা খাইতেছিলাম। সর্বদা নড়ন্ত চোখের কোণায় ধরা পড়লো আবরনহীন হাওয়া সন্তান, জলকেলীতে মগ্ন। গরমের কাল হওয়াতেই কি না বুঝা গেলো না, জানালায় বিন্দুমাত্র বস্ত্র নাই। উপভোগ করলাম সেই অপরূপ দৃশ্যও মুখ খুলিয়া। বন্ধু আসিয়া কহে, "থাকিলাম আমি এতোদিন ধরিয়া, কখনোই দেখিলাম নাতো বাহে।" হাসি
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

১. আপনার এই কমেন্টগুলা টেস্টিমোনিয়ালের কাজ করবো আমার লেইগা।
২. আপনিও বোধ করি আমার সেই বন্ধুর মতোন মাছি চক্ষুবিশিষ্ট্য দেঁতো হাসি
৩. ধন্যবাদ ধূ.গো.

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

সংসারে এক সন্ন্যাসীর এই মতটির সঙ্গে আমি ভয়াবহরকমে একমত, আপনার লেখায় একটা জেরোম কে. জেরোম টাইপ দুর্ধর্ষ বর্ণনার ভঙ্গি আছে। বিনা দ্বিধায় পাঁচ তারা! বর্ণনার এই সহজতা শক্তিটাকে কাজে লাগিয়ে আরো কিছু দিন না এরকম...
--------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

মৃদুল, আরও কিছু অলরেডি আছে। স্মৃতিবিপর্যয় সেকূয়েলটা পড়তে পারেন।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ হাসি

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অসম্ভব রকম ভালো লাগল। সত্যি! মুগ্ধ হয়ে পড়লাম। এবং ভক্ত হয়ে গেলাম হাসি আপনার বাকি লেখাগুলাও খুব তাড়াতাড়ি পড়তে হবে। আপনার গল্প বলার ধরণটা এত সাবলীল!
বিনা দ্বিধায়, পাঁচ তারা হাসি

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। হাসি
অনেক ধন্যবাদ।

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

রায়হান আবীর এর ছবি

বেশী জোশ একটা লেখা। সকালে পড়ছিলাম। কিন্তু কারেন্ট চলে যাওয়ার কমেন্ট দিতে পারি নাই। সারাদিন খালি চিন্তা করছি কি কমেন্ট দিমু...

এই রকম হালকার উপরে ঝাপ্সা অভিজ্ঞতা বংগদেশে থাইকাই আমি পাইছি... দেঁতো হাসি

বস আপ্নে কঠিন লিখেন।

---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

লোড শেডিং নিয়ে কিছু একটা লিখতেই হয় কি বলেন?

ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য।

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

দারুণ লেগেছে!

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

যাক এযাত্রা পার পেয়ে গেলাম!
কোনও প্রত্যয় যোগ ছাড়াই ভালো মন্তব্য চোখ টিপি

দেঁতো হাসি

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

দারুণ লেখা !
ধুসর গোধূলি তো তাইলে জায়গা মতোই আছে !!

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হ, ঠিকই। এয়ারপোর্টে নামোনের পরে দৈনিক পত্রিকায় হাওয়ার বেটির এক্কেরে সেইরকম ফটুক দেইখাই ধুসর গোধূলি ভাবছে, এইবার আইছো বাবা জাগামতো! চোখ টিপি
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

সে আর বলতে।
ধন্যবাদ!

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

অনিন্দিতা এর ছবি

বেতের গতিবিধি দেখেই উত্তরের সঠিকতা নিরুপন করা লাগতো। সঠিক হলে সেটা নীচু হয়ে থাকতো। নইলে তেড়ে আসতো আমার দিকে।

আমি একা একা এত হাসছি যে কেউ দেখলে অবাক হয়ে যেত।
এরকম মজার ঘটনা আরও পড়তে চাই।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

হাসি

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

হিমু এর ছবি

দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ...।

অনেক হাসলাম, বস! সিরিজ থামাবেন না।


হাঁটুপানির জলদস্যু

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

চেষ্টা করবো বস হাসি

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

দ্রোহী লগইন করবে না আপাতত এর ছবি

হুম! তাইতো বলি, হিমু কেন জার্মানী গেল!

তারেক এর ছবি

দ্রোহী তুমি ফিরিয়া আইস - বস বোধহয় এই টাইপ একটা পোস্টের অপেক্ষায় আছে। উর্ধমূল্যের বাজার, খালি দাম বাড়ানোর ধান্দা দেঁতো হাসি
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

দ্রোহী অফলাইনে এর ছবি

নারে ভাই। পরীক্ষার সপ্তাহ চলছে।

মে মাসের দশ তারিখের পর থেকে "প্রতিদিন একটি পোষ্ট" টাইপ অ্যাকশনে গেলে কইলাম কাইন্দাও কুল পাইবেন না।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

হো হো হো

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার শৌচাগার বিপর্যয় পড়ে প্রথমে ভক্ত হই আপনার, যখন প্রথম সচলায়তনে আসি। এরপর আরো কতজনকে যে ওটার লিঙ্ক পাঠিয়েছি, তার হিসাব নেই।
আপনার এই লেখা পড়ে আমার ও কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেল, কোন কালে সচল হলে বলব নে, অচল থাকা অবস্থায় সেন্সর বোর্ডে আটকে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা।
~রেনেট

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

ধন্যবাদ আমাকে এতো বড় মাপের ভক্ত জুটিয়ে দেবার জন্য।
আমার কিছু একটা লিখছি এবং কিছু লোক সেটা আগ্রহ নিয়ে পড়ছে, এই অনুভূতির ব্যপকতা অসীম।

আমি আপনার কাছে গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।

আপনার সন্দেহর সাথে একমত। আশা করি সচলায়তনের এই নীতির সাথে আপনার সহমত আছে। ধৈর্য ধারন করুন। ভালো একটা গ্রুপে লিখতে এবং পড়তে এইটুকু ত্যাগ স্বীকার আপনার নিশ্চই করতে খারাপ লাগবে না।

আবারও অনেক ধন্যবাদ হাসি

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

zia shams এর ছবি

Sujan,
I am reading your blog for the first time. I didn't know that you are keeping up your writing. Very good writing. Hope to read your blog regularly from now on.

Zia Shams

সজীব [অতিথি] এর ছবি

সুজন, তুই তো versatile লেখক রে!! ঠাকুর থেকে গুপ্ত, সবই তোর নখদর্পনে।

তাহমিনা এর ছবি

হাসতে হাসতে যায় বেলা ঃ-)

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
When I'm right nobody remembers; when I'm wrong nobody forgets!

When I'm right nobody remembers; when I'm wrong nobody forgets!

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

আপনার কারণে পুরোনো লেখায় আমিও একটু চোখ বুলিয়ে নিচ্ছি! ভালো থাকেন! হাসি

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

আপনার লেখা খোমাখাতায় শেয়ারে দিলাম। মানুষ হাসতে হাসতে শেষ!!
আপনি পারেনও বটে দেঁতো হাসি

---------------------
আমার ফ্লিকার

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।