আজ রাতে আক্রান্ত বলাকা ভাস্কর্য আর নজরুলের ম্যুরাল !! স্বদেশ তুমি কি কখনোই জাগবে না ?

আরিফ জেবতিক এর ছবি
লিখেছেন আরিফ জেবতিক (তারিখ: শনি, ২৯/১১/২০০৮ - ১১:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাংবাদিক ফয়সল নোই এর ব্লগ থেকেই প্রথম খবর পেলাম যে আজ রাতে বিমান অফিসের সামনের বলাকা ভাস্কর্যগুলো ভেঙ্গে ফেলা শুরু করেছে আমাদের মোল্লারা ।
আরেকদল রওনা দিয়েছে শাহবাগের মোড়ে নজরুলের ভাস্কর্যটি ভাঙতে ।

অবিশ্বাস্য মনে হলেও অবিশ্বাস করতে পারছি না , হয়তো আজ রাতে অথবা আগামীকাল রাতে ভেঙ্গে ফেলা হতে পারে টিএসসির সামনের রাজু ভাস্কর্য অথবা কলা ভবনের সামনের অপরাজেয় বাংলা ।

আর্মি দিয়ে পাছামোড়া নপুংসক সরকার - জিন্দাবাদ ।
নতুন বছরে আসতে থাকা নপুংসক গনতান্ত্রিক সরকার- জিন্দাবাদ ।


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

মানে? এসব কী শুনছি? বিডিনিউজে তো দেখলাম না। সত্যতা কতটুকু।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

ফয়সল চ্যানেল আইয়ের সিনিয়ার সাংবাদিক । অথেনটিক সংবাদ মনে হচ্ছে । আমি খোঁজখবর নেয়ার চেষ্টা করছি ।
বলাকা পুরোটা ভাঙতে পারেনি , তার আগেই বোধহয় পুলিশ বাধা দিয়েছে । এখনও পুরো খবর পাইনি ।

সবজান্তা এর ছবি

আমিও এই মাত্রই একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। একদম আপনার সাথে একই সঙ্গে। যেহেতু আপনি দিয়েই দিয়েছেন, তাই আমারটা মুছে দিলাম।

ঘটনায় আপাতত বাকরুদ্ধ। কেন যেন মনে হচ্ছে মুম্বাইয়ের আক্রমন, ভাস্কর্য ভাঙ্গা সব একই সুতোয়া গাঁথা...


অলমিতি বিস্তারেণ

রায়হান আবীর এর ছবি

ভাই টেনশন নিয়েন না। আল্লাহ পাক হুজুরদের সাথে সাথে এই দেশের আপমর জনতাকেও বেহেশত প্রদান করবে। দুনিয়াতো কেবল আখিরাতের শস্যক্ষেত্র।

চলেন আমরাও ভাংগা শুরু করি। রাত হয়ে গেছে যেহেতু তাই বাসায় টানানো ছবি দিয়ে শুরু করা যেতে পারে...

কে আছ জোয়ান হও আগুয়ান...

=============================

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

বলেন কি!!! শিট্!!!

এই পোস্টটা স্টিকি করলাম। পোস্টের শুরুতে "লাইভ আপডেট" বা "লাইভ ব্লগিং" জুড়ে দিন। বাকিরা আপডেট জানান প্লীজ।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

আরিফ জেবতিক এর ছবি

স্টিকি কইরেন না ।
শাহবাগে পুলিশ দিয়ে দিয়েছে । এদিকে মোল্লারা আসতে পারবে বলে মনে হয় না । মতিঝিলে সংঘর্ষ হয়েছে কিছুটা । কিন্তু এখন বোধহয় মোল্লারা সরে পড়েছে । ( সূত্র : ভোরের কাগজের জনৈক সাংবাদিক )

মাহবুব লীলেন এর ছবি

মানে কী?

আকতার আহমেদ এর ছবি

এটিএন বাংলায় এই নিজউটা স্ক্রল হচ্ছে : রাতে মতিঝিলে পূর্বানী হোটেলের সামনে বলাকা চত্বরে বকের ভাস্কর্য ভাঙচুর । একজন গ্রেফতার

রণদীপম বসু এর ছবি

নজরুলের ম্যুরালটি নাকি ইতোমধ্যে ভেঙে ফেলেছে এবং মতিঝিলে অগ্রণী ব্যাংকের অর্থায়নে করা নতুন ভাস্কর্যটি যা আগামীকাল উদ্বোধন করার কথা তাও ভেঙে ফেলেছে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

রণদীপম বসু এর ছবি

এটা ফয়সল নোই'র ব্লগ আপডেট থেকে জানলাম।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অম্লান অভি এর ছবি

আমি সামওয়ার দেখলাম তারপরে আমার ব্লগে আর তারপরে সচলায়তনে খবরটা পাই। পোষ্ট দিতে ইচ্ছা করল। একটা পাগলকে ফোন দিলাম কিন্তু ওর ফোন বন্ধ। তাই তথ্য ছাড়া কড়চা নাড়তে ইচ্ছা করল না তারপর আবার মডুদের চোখ তারপর সবার জন্য উন্মুখ। আরিফ ভাই -এই মাত্র চ্যানেল ওয়ানে সরাসরি একজন প্রশ্নকারী প্রশ্ন করল-এটা নির্বাচনে প্রভাব পড়বে কি না।?।

মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

তারপর আবার মডুদের চোখ তারপর সবার জন্য উন্মুখ

এটা বলে কি বোঝাতে চাইছেন জানতে পারি?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অম্লান অভি এর ছবি

লেখা নয় লেখকের গ্রহণীয়তা অগ্রগণ্য। এমনই হয়। এটাই চিরতন্ত। কোন এক গীতিকার আকাশ বাণীতে তার গানের স্ক্রীপ্ট জমা দেন- প্রথম বার ফেরত দেয়া হয়, দ্বিতীয় বার ফেরত দেয়া হয়। শেষ পর্যন্ত তিনি রবীন্দ্র নাথের অল্প গীত গান গুলি লিখে জমা দেন। এই বারও ফেরত দেয়া হয়। তখন তিনি বোর্ডে স্মরণাপন্ন হয়ে তার বর্ণনা দেন। তারপর তিনি বিখ্যাত গীতিকার বনে যান (এই মুহুর্তে তার নাম নিয়ে সংশয়ে আছি)।
আর একটু ভিন্নতার জন্যই 'সচলায়তন' সচলায়তন হয়ে আছে। তাই সচলায়তনের পাতায় চোখ রাখলে অন্য এক স্বাদ উপভোগ করি লেখায়। কারণ সেই ছাকনী। মডুদের চোখ বলতে সেই কথাই বুঝাতে চেয়েছি। যদিও ভাস্কর্য ভাংগার পর্বে এসে অন্য প্রান্তে ছুটলাম।
আমি ব্যক্তিগত জীবনে নিয়ম মেনে চলায় বিশ্বাসী। তবে যারা নিয়ম লংঘন করে তাদের নিয়মে আনতে পারার সামর্থ্য নেই। কিন্তু সঙ্গ ত্যাগ করার চেষ্টা করি।
বিষয়টি নিয়ে লিখলে হয়তো অনেক পরে প্রথম পাতায় আসতো( এমন হয়, হচ্ছে)। তাই আরিফ ভাইয়ে লেখায় ঐ মন্তব্য করেছি। অকাতরে স্বীকার করছি ব্লগে আমার পদচারণা নতুন, কিন্তু বক্তব্য প্রকাশ আর প্রতিবাদ সে আমি স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে কর্মজীবনেও করছি। পক্ষান্তরে সুবিধাভোগীরা তাদের রসদ জোগার করে আমায় পিছনে ফেলে তাতে কি। ?। আমার বক্তব্য আর বিশ্লেষন যদি আপনাকে অথবা মডুদের ব্যথিত করে তার জন্য নয় বরং অবস্থা বণর্নার সার্থে ওই লাইনটি লেখা। ( একটু লক্ষ করবেন 'সবজান্তা' তার মন্তবে বোধ হয় লিখেছিল সেও এমন একটি পোষ্ট তৈরী করে শেষে মুছে ফেলেছে) আর আমি শুধু ভাবছিলাম পোষ্ট দিলে কি প্রকাশিত হবে! এই ছিল আমার বক্তব্যে মূল সুর।। আমিও প্রতিবাদ করছি আর আপনিও প্রতিবাদ সভায় অথবা পথচলায় ভিড়ের চোটে আপনার পায়ে আমার পা দেয়া ইচ্ছা নেই। যদি লাগে তবে ভেবে নিবেন যে পথ চলার ত্রুটি মাত্র। একুশের ভোরে আমার সামনের পথচারীর পায়েতো অনেকবারই পা লেগেছে আর আমি স্বশব্দে উচ্চারণ করেছি দুখিতঃ - তাই আপনার জন্যও করলাম। (গতরাতে পড়েছি কিন্তু লেখা হয়নি আজ কাজ করতে পারছিলাম না অফিসে তাই বসের কাছ থেকে সময় নিয়ে এসে এই পোষ্টাংশ দিলাম। অফিস যাচ্ছি এই সময়টুকু পুষিয়ে দিয়ে আসতে।)

মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

...

ইমরুল কায়েস এর ছবি

চোখ রাখছি । আপডেট চাই ।
----------------------------
কেউ একজন অপেক্ষা করে

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

...........

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

এমন আশঙ্কা যে ছিল সেটা বিএনপির নির্বাচন প্রস্তুতি দেখেই বোঝা যায়। ঘটনা মনে হচ্ছে চিন্তার থেকেও দ্রুত ঘটা শুরু করেছে। একদিকে মুম্বাই তারপর এই। এরপর বাংলাদেশ-ভারত-পকিস্তানে কোন সর্বনাশ যে আসতে যাচ্ছে?
লালন ভাস্কর্য ভেঙ্গে হোতারা টেস্ট করেছিল, সমাজটাকে ইসলামী আর আধুনিক এভাবে ভাগ করে বিবাদে লাগানো যায় কিনা। দেখা গেল যায়। এবার তাহলে তার আসল প্রয়োগ শুরু হলো। তবে এসবই নমুনা মাত্র। আসল কাহিনী আরো বিরাট আকারেই ঘটবে।
ভারতের মতো এখানেও সন্ত্রাসের পথে ধর্মীয় ফ্যাসিবাদ জনগণের একাংশ এবং রাষ্ট্রের ফ্যাসিস্ট অংশের পৃষ্ঠপোষকতা অর্জন করছে। লালন ভাস্কর্য ঘটনার পরে লিখেছিলাম; এই ঘটনায় 'জেহাদিরা' ইঙ্গিত পেল যে, সরকার সিভিল সোসাইটির বদলে ইসলামওয়ালাদেরই এখন তার রাজনৈতিক ভিত্তি হিসেবে পেতে চায়। একে কেউ পঞ্চম বাহিনী নিয়োগের ক্ষেত্রবদলও ভাবতে পারেন। কিন্তু মূলগতভাবে আমি একে জরুরি অবস্থা প্রলম্বিত করা এবং নির্বাচন ভণ্ডুলের মওকা হিসেবেই ব্যবহৃত হতে দেখছি।

এখনো সেই কথাই বলছি।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

আকতার আহমেদ এর ছবি

রাতে মতিঝিলে পূর্বানী হোটেলের সামনে বলাকা চত্বরে বকের ভাস্কর্য ভাঙচুর । আটজনকে আটক করেছে পুলিশ । (এটিএন বাংলা'র এই মুহুর্তের নিউজ)

অনিন্দিতা এর ছবি

মুম্বাইয়ের ঘটনাই কি স্টুপিডদের উস্কানি দিল?

সবজান্তা এর ছবি

নজরুলের ম্যুরালের ব্যাপারে এখনো কোথাও কোন সংবাদ পাই নি। এর ব্যাপারে কেউ কিছু জানাতে পারেন ?


অলমিতি বিস্তারেণ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভাস্ককের্যর ভাঙা রডগুলা গরম কইরা খানকির পোলাদের পেছন দিয়া ঢুকায়া দিতে ইচ্ছা করতেছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ধ্রুব হাসান এর ছবি

চলুক

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ব্যানারে বলাকা আর নজরুলের ভাস্কর্যের ছবি দিতে চাইছিলাম। কিন্তু কোথাও খুঁজে পেলাম না। কেউ পেলে জানাবেন।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

সবজান্তা এর ছবি

http://media.somewhereinblog.net/images/sushantablog_1227983009_1-29_N66.jpg

এটা পেয়েছি সামুতে সুশান্তদার ব্লগে। চলবে ?


অলমিতি বিস্তারেণ

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ধন্যবাদ। বলাকা পেয়েছি।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

সৌরভ এর ছবি

ধর্মানুভূতির শিশ্ন তাহলে এবার উত্তেজিত হলো?
শ্রদ্ধেয় হুমায়ুন আজাদ কে মনে পড়ে।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বিডিনিউজ২৪ এর রিপোর্ট

ঢাকা, নভেম্বর ২৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- রাজধানীর মতিঝিল এলাকার 'বলাকা' ভাস্কর্য শনিবার রাতে ভাংচুর করেছে আল বাইয়িন্যাত নামে ধর্মভিত্তিক একটি সংগঠনের কর্মীরা।

রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভাস্কর্যটির ওপর হামলা চালানো হয়। পুলিশ ও র‌্যাবের বাধায় প্রায় আধঘণ্টা পর হামলাকারীরা 'নারায়ে তকবির' শ্লোগান দিয়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে যায় বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী এলিফ্যান্ট রোডের দোকান কর্মচারী গুলজার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "পাঞ্জাবি পরা টুপি মাথায় প্রায় শ'খানেক লোক রাত সাড়ে ৯টার দিকে বলাকা ভাস্কর্যের ওপর চড়াও হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজন ভাস্কর্যের বকের প্রতিকৃতির ওপরে উঠে এর ডানা ভাংচুর করে। অন্যরা বকের পায়ে রশি বেঁধে টানছিল।"

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী মো. শাওন জানান, হামলার শুরুতে ওই এলাকায় থাকা স্বল্প সংখ্যক পুলিশ সদস্য বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এরপর অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিপেটা করে ভাংচুরকারীদের হটিয়ে দেয়।

লাঠিপেটায় যুগান্তরের সাংবাদিক সারওয়ার আলমসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। ভাস্কর্য ভাংচুরের ঘটনায় আল বাইয়িন্যাতের কয়েকজন কর্মীকে আটক করা হয়েছে।

মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফজলুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আল বাইয়িন্যাতের বেশ কয়েকজন কর্মী রাতে 'বলাকা' ভাস্কর্যে হামলা চালালে লাঠিচার্জ করে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আমরা কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছি।"

কত জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে- তা তিনি তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিনিধি জানান, মতিঝিলে লাঠিপেটায় আহত আল বাইয়িন্যাতের আট কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য রাত ১১টার দিকে তাদের পুলিশি হেফাজতে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো. হাসিবুর রহমান (২৮), মুফতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন (৩০), শাহ নেওয়াজ দীপু (৩০), মোহাম্মদ বিল্লাল (৪০), আব্দুল বারী (৩২), জিয়াউর রহমান (৩২), আরাফাত (২৩) ও মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী (৫১)।

মুফতি জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের বলেন, আল্লাহর হুকুম জারির জন্য'ই তারা ভাস্কর্যটি ভাঙতে গিয়েছিলেন।

মতিঝিল এলাকায় ১৯৮৯ সালে ৪১ ফুট উচ্চতার বলাকা ভাস্কর্যটি নির্মিত হয়। এর স্থপতি মৃনাল হক ভাংচুরের নিন্দা করে বলেন, "শিল্প সংস্কৃতির ওপর একের পর এক আঘাত আসছে। কিন্তু সরকার এ ব্যাপারে চুপচাপ। সংস্কৃতিকর্মীসহ দেশের সব মানুষকে এখন মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।"

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে মৌলবাদীদের চাপের মুখে বিমানবন্দরের সামনে থেকে মৃনাল হকের বাউল ভাস্কর্য সরিয়ে নেয় সরকার।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/জিএমএ/এলএইচ/ডিডি/এসএনডি/এমআই/১২১২ ঘ.

রেকর্ডের জন্য তুলে রাখলাম।

ইমরুল কায়েস এর ছবি

ব্যানারের লেখাটা অন্য কালারের দিলে ভাল লাগত মনে হয় । অস্পষ্ট লাগতেছে ।
মন্তব্যটা প্রকাশের দরকার নাই ।
----------------------------
কেউ একজন অপেক্ষা করে

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ব্লুর সাথে ইয়েলো গ্লো দিয়েছি। সঠিক কম্বিনেশনটা পাচ্ছিনা কিছুতেই। তবে এতেই চলবে মনে হয়।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ইমরুল কায়েস এর ছবি

ঠিকাছে ।
----------------------------
কেউ একজন অপেক্ষা করে

অতিথি লেখক এর ছবি

হুমমম ... এইটা আমার দেশ???

~

ইমরুল কায়েস এর ছবি

এবার কি শহীদ মিনারে হামলা হবে ?
----------------------------
কেউ একজন অপেক্ষা করে

সবজান্তা এর ছবি

মোল্লাদের মত প্ল্যান করে কেউই চলে না। একটা ভাস্কর্য ভাংচুর, হয়তো জনগনের সম্পত্তি ভাংচুরের দায়ে সামান্য কিছু সাজা হবে কিংবা বড় হুজুরের নির্দেশ পেলে তাও হবে না।

কিন্তু এক রাতের অন্ধকারের এই ভাংচুরের মধ্যেই নিমিষেই আবার মৌলবাদ আবার সক্রিয়ভাবে আমাদের মিডিয়াতে চলে আসলো। এভাবেই ওরা জানান দিলো আমরা আছি। আর সবচেয়ে যৌক্তিক বিশ্লেষণ হচ্ছে ফারুক ওয়াসিফ ভাইয়ের। এসব আর কিছুই না, মানুষের দৃষ্টি অন্য দিকে সরানো। ধরুন ভাস্কর্য ভাঙ্গার এই ক্রমে, কোন এক রাতে মোল্লারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য ভাংগতে গেল। কী হবে ভাবতে পারেন ? রক্তক্ষয়ী সেই সংঘর্ষে দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতির ধুয়া তুলে হয়তো জরুরী আইন প্রলম্বিত করা এবং মঈন উ এর ক্ষমতা দখল প্রশস্ত হয়ে যাবে।

আমরা সবাই আসলে একটা বৃহৎ কন্সপিরেসী থিয়োরির অংশ।


অলমিতি বিস্তারেণ

রাবাব এর ছবি

কি শুরু হইল এইগুলা? মোল্লাদের শূলে চড়াও।

রণদীপম বসু এর ছবি

২৯-১১-২০০৮ তারিখের 'সমকাল' পত্রিকার ১৯ পৃষ্ঠায় চোখে পড়ার মতো একটা নিউজ- 'না'গঞ্জে ওলামা পরিষদের ঘোষণা, প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতা না হলে ভাস্কর্যগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।' সমকালের অনলাইন ভার্সনে খুঁজলাম, নিউজটা পেলাম না। খবরটির আংশিক-
'নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনের সঙ্গে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে শহরের সৌন্দর্যবর্ধনে পৌরসভা কর্তৃক নির্মিত ভাস্কর্যগুলো অপসারণের ব্যাপারে সমঝোতা না হলে যে কোনো মূল্যে সেগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা ওলামা পরিষদ। গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা শহরের ডিআইটি মসজিদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ওলামা পরিষদ ওই ঘোষণা দেয়।...' ইত্যাদি ইত্যাদি।
অতএব সাধু সাবধান ! কাহিনী সামনে আরো বাকি রয়ে গেছে....

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

খেকশিয়াল এর ছবি

ফারুক ওয়াসিফ ভাইয়ের বিশ্লেষণই ঠিক

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সৌরভ এর ছবি

বাংলাদেশ, আমার মা, ক্ষত-বিক্ষত অসহায় নয়নে তার কুলাঙ্গার সন্তানের পানে চেয়ে থাকে।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

হযবরল এর ছবি

মুম্বাই আক্রান্ত নিয়ে ব্লগ লিখবার সময় এই ভয়টাই পাচ্ছিলাম। যেকোন মুহূর্তে
এ ধরণের কিছু একটা আশা করছিলাম। দুঃখজনক হলেও সত্যি আমরা মধ্যযুগের দিকে অগ্রসর হচ্ছি।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

দুঃখজনক হলেও সত্যি আমরা মধ্যযুগের দিকে অগ্রসর হচ্ছি।

ভুল করে ঠিক কথা বলে ফেলেছেন। আমরা মধ্যযুগেরও পেছনে পড়ে আছি। মধ্যযুগও অনেক বড় অ্যাচিভমেন্ট হবে!

উন্মাতাল তারুণ্য এর ছবি

বাহ, আল্লাহর আইন জিন্দা হবে। এতো খুবই ভাল কথা! কিন্তু প্রশ্ন হইল এই আইন জিন্দা করনেওয়ালাদের রাতের অন্ধকার এত পছন্দ ক্যান? দিনের আলোতে আসার মত ঈমানের জোর নাই? নাকি দিনের বেলা বেহেশতের দরজা বন্ধ থাকে? আবার ছবিতে দেখলাম তিনারা মুখ দেখাইতে লজ্জা পাচ্ছেন! যত্তসব ভন্ডামি!! ইহুদী নাসারা সব বাজে কথা, দুনিয়া জুড়ে এই 'ধর্মবাজ' লোকগুলাই ইসলামের সবচেয়ে বড় শত্রু। আল্লাহ এইসব ধর্ম বেচে খাওয়া ভন্ডদের হাত থেকে আমাদের হেফাজত করুন।

রেনেট এর ছবি

মুখ দিয়ে খালি গালি চলে আসে। আমরা কি তবে ধর্মান্ধদের হাতে জিম্মি?
---------------------------------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ধর্মান্ধদের এত শক্তি নাই। সম্ভবত ধর্মান্ধদের রক্ষাকর্তা বা উৎসাহদাতাদের হাতে জিম্মি।

Nodi এর ছবি

একটি অসম্পূর্ন যুদ্ধের দায় বহন করছে দেশ ।
যুদ্ধে গা বাঁচিয়ে তারপর অনেকে স্বাধীন দেশ 'ভোগ ' করেছে । তবে যারা সব সময় ঘি খেয়েছে তাদেরো দূর্দিন আসতেছে । শুধু সময়ের অপেক্ষা ।

Nodi

নিঝুম এর ছবি

ফারুক ওয়াসিফ ভাই লিখেছেন,
কিন্তু মূলগতভাবে আমি একে জরুরি অবস্থা প্রলম্বিত করা এবং নির্বাচন ভণ্ডুলের মওকা হিসেবেই ব্যবহৃত হতে দেখছি।

এইটাই সহজ সমীকরণ মনে হয় । দুইয়ে দুইয়ে চার ।
--------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

আমি চাই আমার কথা ভুল প্রমাণিত হোক। কিন্তু বিএনপির প্রার্থী তালিকা দেখুন, ৫০ প্রার্থীই হয় আসামী নয়তো অভিযুক্ত। ওদের আচরণ দেখুন। ভেতরের নড়াচড়া গুলো সম্পর্কে জানুন। নির্বাচন হওয়া এবং না হওয়া দুটোই এখন শক্তিশালী ট্রেন্ড। আগামি কয়দিনেই এর ফয়সালা হবে। এখানে বিস্তারিত বলার সুযোগ পাচ্ছি না, কেবল এইটা বলে রাখি: এই আদলের ঘটনার মূল ডিজাইন হলো সমাজটাকে ইসলাম ও ইসলামবিরোধী বলে বিভক্ক বরা। বাউল ভাস্কর্য নিয়ে সেই বিভাজনের টেস্ট করা হয়েছিল। তারা দেখেছে যে, ওটা কাজে লাগে। এখন তার বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এর ফল শেষপর্যন্ত জাতিসংঘের ব্লু হেলমেটের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি সেনা নিয়ন্ত্রণে দেশ চলে যাওয়া। অনেক বড় খেলা চলছে রে ভাই।

তারপরও চাই, আমিই ভুল প্রমাণিত হই। কেননা তাতে কিছু আশা থাকে। পারলে লিংকদুটো দেখবেন : ভাস্কর্য বিবাদ

বাংলাদেশের ইসলামপন্থি

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

তারেক এর ছবি

ঘুম ভেঙেই এ সংবাদ পেতে হল! জানি না কি বলব...
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

................................

কীর্তিনাশা এর ছবি

কিছু বলার ভাষা নেই............

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

টকশো বিশেষজ্ঞ নাঈমুল ইসলাম খান গতকাল টিভি চ্যানেলের টকশোতে মধ্যরাতে জানিয়েছেন যে , এই ধরনের ঘটনা উদ্বেগজনক এবং এগুলোকে দমিয়ে রাখার জন্যই দেশে জরুরী অবস্থা জারি থাকা দরকার । হাসি

সবজান্তা এর ছবি

ভদ্রলোক আবার গিয়ারে আসলেন। যতদূর মনে পড়ে উনি এই সরকারের প্রথমদিকে উনার পত্রিকার সম্পাদকীয় কিংবা কোন কলামে, সেনাপ্রধানের রীতিমত হাতে পায়ে ধরে অনুরোধ করেছিলেন যাতে তিনি রাষ্ট্রপতি হন, নইলে বাংলাদেশের ভবিষ্যত অন্ধকার !!


অলমিতি বিস্তারেণ

আমি  এর ছবি

দুই টাকার পত্রিকার সম্পাদকের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি আর কি আশা করা যায়?

ধ্রুব হাসান এর ছবি

যতই সরকার আর অন্তর্নিহিত নিগূঢ় উদ্দেশ্য খুজেঁ বেড়ান না কেন, সেদিন আর বেশী দূরে নয় এই মোল্লারাই (বেচারাদের জন্য খারাপই লাগে, মাদ্রাসা নামক ঐ খোয়ার থেকে এই প্রডাক্ট ছাড়া অন্য কিছু বের হওয়া প্রায় অসম্ভব) আপনার বেডরুমে সুন্দর ফ্রেমে বাধাঁনো ছবিটাতেও হাত দিবে! হয়তো ঐ ঘটনাও এই জনমেই দেখে যেতে পারবো ইনশাল্লাহ্‌।

আবির আনোয়ার [অতিথি] এর ছবি

ফারুক ওয়াসিফ এর সাথে একমত।নিজামি মুজাহিদ সহ অন্যান্য রাজাকার এবং মোল্লারা যত বড় জারজ সন্তান ই হোক না কেন তারা নিশ্চয়ই চাইবেনা যে নিরবাচন বাতিল হোক আর মইন উ আহমেদ রাষ্ট্রপতি হলে মোল্লাদের জন্য বালাখানা বানানোর চুক্তি হয়েছে বলে মনে হয়।

কল্পনা আক্তার [অতিথি] এর ছবি

এই মোল্লাদের শক্তি কি এতো বেশী যে, আমরা তাদের সাথে পেরে উঠবো না!!! আসুন, আমরা এদের দেখাই সভ্যতা, ধর্ম কাকে বলে....

এয়ারপোর্টের লালন ভাস্কর্যটি ভাঙ্গার পর আমার একটা বন্ধু বলেছিল "চল আমরা কমপক্ষে ১০০ জন লালন সেজে (মানব ভাস্কর্য) ওখানে দাড়িয়ে থাকি, তারপর দেখী ওই মোল্লা হারামিরা আমাদের কিভাবে সরায়!" কিন্তু কেন জানি এটা আর করা হয়নি....কিন্তু এখন ইচ্ছে করছে সব জায়গায় এমন মানব ভাস্কর্য সেজে দাড়িয়ে থাকি আর দেখি ওই জানোয়াররা আমাদের কি করতে পারে! রেগে টং

...........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

তানবীরা এর ছবি

কাতর নই এখন পাথর

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।