১.
আমার অন্য সব গল্পের মত এটাও একটা বানোয়াট গল্প। বানোয়াট গল্প লিখতে বসার কিছু ঝামেলা আছে।কাহিনী কিছুদূর এগোনোর পরই দেখা যায়, আর আগামাথার ঠিকুজি রাখা যাচ্ছে না।বৈরাম খাঁ হয়ে যাচ্ছে হরতন বিবি, দস্যু বীরাপ্পণের গপ্প গিয়ে ঠেকছে রাজা হরিশ্চন্দ্রের শবযাত্রায়।
যেমন আজকের গল্পটা সম্পূর্ণ অবান্তরভাবে শুরু হবে নিখিল হাজরাকে নিয়ে। নিখিল হাজরা যদি বাস্তবের কোন চরিত্র হতো, তাহলে এতদিনে তার আমার মতই গলায় টাই ঝুলিয়ে রিয়েল এস্টেট কোম্পানির চাকরি করার কথা, বিবাহবার্ষিকীর দিন বউ নিয়ে পুরান ঢাকায় ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে বেড়াবার কথা। ছেলেবেলায় আমাদের অবশ্য দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, নিখিল বড় হয়ে রবীন্দ্রনাথ হবে। রবীন্দ্রনাথের মত কবিতা লিখতো ও। বিশেষ করে ক্লাস সিক্সে ইদ্রিস স্যারের পেটের অসুখের কাহিনী নিয়ে তার লিখা কবিতাটাতো ছিল রীতিমত অসাধারণ।
মোটামুটি ভালোভাবেই রোযা প্রায় শেষ। অফিসে ঝামেলা কম। ছুটির মৌসুম তাই কলিগদের অনেকেই ছুটি কাটাচ্ছে। প্রায় মাসদুয়েক কোন মিটিং হয়নি তাই নতুন কোন প্রজেক্টে কাজ করতে হয়নি। পুরাতনগুলো ঝালাই হচ্ছে। কাজ কম এজন্য দেরী করে আসি, তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরি। ফলাফল, ঘন্টা জ্যামিতিক হারে নিম্মমুখী।
আসছে ঈদ। বাড়ি যাবো। চিন্তা করলেই মন ভাল হয়ে যায়। অকারনে পা মাড়িয়ে দেয়া সহকর্মীটিকেও ক্ষমা দেয়া যায় অনায়াসে। কিংবা বসের কঠোর চেহারার দিকে তাকিয়েও খুঁজে পাওয়া যায় মেঘের কোলে এক চিলতে রোদের মত উঁকি দিয়েই মিলিয়ে যাওয়া হাসির ঝলক (উনিও বাড়ি যাবেন কিনা!)।
কিন্তু বাড়ি ফেরার টিকেট পাওয়া যাবে তো?
সকল আনন্দের সামনে উদ্যত ফণা তুলে আছে এই প্রশ্নরূপী কালকূট!
একবার পিকনিকে গিয়েছিলাম ইন্ডিয়ান বর্ডারের কাছে এক জায়গায়। লোকাল এক লোক আমাদের বলল সামনের আখ-খেত পার হলেই ওপার থেকে গুলি করবে। ক্লাস এইট কি নাইনে পড়ি তখন, খেতের শেষ মাথায় কি আছে দেখতে নেমে পড়লাম। মাঝপথে হঠাত খুব জোরে বাঁশী বেজে উঠল, ভয়ে দৌড় দিলাম। কিভাবে যেন আমি পড়ে গেছি নালায়। এক বন্ধু টেনে তুলল। একটু দূরে দাড়িয়ে এক ফকির এইসব দেখে হাসছে, রাগ করতে পারলাম না, একটা দশ টাকার নোট ধরিয়ে দ
বুড়িগঙ্গার কালচে পানি, হকারদের অবিরত ডাক আর এঞ্জিনের বিরক্তিকর শব্দ ছাপিয়ে মিষ্টি কণ্ঠটা নাহিদের কানে অনুরনন সৃষ্টি করল।
'একটু হেল্প করবেন প্লিজ।'
চাঁদপুরগামী স্টীমার ঈগলের স্টার্ন সাইডের রেলিংএ একা একা দাঁড়িয়ে ছিল নাহিদ। বর্ষাকাল দেখে স্টীমারে স্বাভাবিকের থেকে লোকজনের সমাগম কম। খোলা আকাশ আর উন্মুক্ত বাতাসের সংস্পর্শ
অনেকদিন পরে আনমনা করে দিচ্ছিল সবকিছু। তখনি এই আহবান।
মেডিকেল কলেজে এবার ভর্তি পরীক্ষা হবে না, এটা মোটামুটি এতখনে সবাই জেনে গেছেন। এই সীদ্ধান্তের স্বপক্ষে-বিপক্ষে অনেক আলোচনাও ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। যদিও মনে হচ্ছে বিপক্ষের পাল্লাটাই অনেক ভাড়ি।
মেডিকেলে Admission Test এর duration কতটুকু? মাত্র ১ ঘন্টা!! আর ১০০ টা MCQ!! ব্যাপারটা একটু কেমন অদ্ভূত না?? আপনার ১২ বছরের চেষ্টা-সাধনার ফলাফল নির্ভর করছে মাত্র ১ ঘন্টার একটা পরীক্ষায়, আর ১০০ টা MCQ এর উপর!!!! সত্যিই কি এই রকম একটা Admission Test পারে, সত্যিকার মেধাবি খুজে বের করতে??
মাদক গোপনে নষ্ট করে কিছু মানুষকে,টেলিভিশন প্রকাশ্যে নষ্ট করে কোটি কোটি মানুষকে।
ক'দিন আগে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম.... সাদা-কালো ছবি নিয়ে। তাই আজকে আবার লিখতে বসলাম। বরাবরের মতই ছবি নিয়ে। নাহ.... এইবার ঠিক সাদা-কালো না। বলা চলে পাঁচ মিশালি।
(বিনীত অনুরোধ ঃ এটি সেই অর্থে কোনও লেখা নয়, নিজের বিচ্ছিন্ন কিছু ভাবনাকে প্রকাশের চেষ্টা মাত্র। মোডারেটর এর কাঁচি ফাঁকি দিয়ে যদি পাঠকের মুখ দেখে (যদিও আশা কম) দয়া করে সবধরনের ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন )
আমাদের দেশে বোধহয় না মরলে খেতাব টেতাব পাওয়া যায় না !!!!
না না, আমার কোন খেতাব পাওয়ার শখ হয়নি, এতো আগে মরার তো নয়ই ; খুব খুব প্রিয় আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে বলছি।
দেবতার গল্প
সে অনেককাল আগের কথা। কত আগের কথা তা আজ আর মনে নেই। তুমি আজগুবি গল্প বলে যদি উড়িয়ে দেও, দিতেই পারো। এমন কোন শক্ত প্রমান ও আমার নেই যা দিয়ে গল্পটাকে বাস্তবের জমিনে পুঁতে রাখতে পারবো। আর এত সত্য শুনেই বা কি করবে, ভায়া! ওই ধাঁধাটা কি ভুলে গেছো, সবচে ভালো মিথ্যাটা হয় সত্যের খুব কাছাকাছি আর সেই হিসেবে সত্য নিজেই হচ্ছে সবচে বড় মিথ্যা।