বন্দনা এর ব্লগ

কিশোরীর বেদনা

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৫/১০/২০১১ - ৮:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]তখন আমার বয়স কত ই বা হবে, স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে প্রবেশ করেছি সবে। মনে হল হঠাৎ করে কেউ যেন আমাকে পুকুর থেকে এনে সাগরে ছুড়ে দিয়েছে। ছুড়ে দিয়েছে বলা ভুল হবে, কারণ মাবাবার অবাধ্য হয়ে সেবারই প্রথম নিজের পছন্দের কলেজে এডমিশন নিয়েছিলাম। ওনারা চাইছিলো আমি বাসার কাছেই আইডিয়াল কলেজে পড়ি, সাথে একটু আকটু ধর্মীয় ভাবাপন্ন হই। কিন্তু আমি নাছোড়বান্দার মত একগুঁয়ে হয়ে বললাম হলিক্রসেই এডমিশন নিবো। তখ


হল-বাস

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২২/০৯/২০১১ - ১০:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]আজকের বিষণ্ণ সকালটা ঠিক যেন দেশের শীতকালের কুয়াশাভরা সকাল কিংবা ধূসর বিবর্ণ বিকালের মত, যখন ঘুম থেকে উঠে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ও ঠিক বুঝা যেতোনা যে সময়টা সকাল না বিকেল। এখানে শীতকাল নেই, সারাবছরই গরম আর বৃষ্টি। এখানে আসার পর তাই শীতের দিনের জন্য মনটা কেমন যেনো আইঢাই করে। তবে শীতের দিনে যে খুব ভালো থাকি তা ও না। সবসময়ই শীত আসলে আমার গলায় কিছু একটা গরম কাপড় পেঁচানো থাকতো। সেই কোন ছোটবেলা


আমি আর নেই সেই আমি

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১১/০৯/২০১১ - ১২:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]কদিন ধরেই মাথাটা বড্ডো বেশী খারাপ, বেশ কখানা ডেডলাইন ঝুলছে ঘাড়ের উপর। কোনটা রেখে কোনটা করি ভেবে না পাই কূল টাইপ অবস্থা আর কি। কিন্তু এ যাত্রায় আর রক্ষে নাই বোধহয়, যেমন করেই হোক কিছু একটা ধরায়ে দিতে হবে সুপারভাইজারের হাতে। কারণ বেশ কদিন আগে বেশ মোলায়েমভাবেই বলছিলাম যে পার্টটাইম করে ফেলতে চাই। এই শুনে উনারা ও আমাকে যাকে বলে এক্কেবারে ক্যোঁৎ করে ধরে ফেললেন, বললেন যা হয় আগে একটা ড্রাফট জমা দা


থ্রু দ্যা আল্পস টুওয়ার্ডস সেইন্ট মরিটয

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: রবি, ৩১/০৭/২০১১ - ৯:৩২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]এইবছর ইউরোপের একটা কনফারেন্সে যাবার সুযোগ হয়েছিলো। বিগত বছরগুলাতে ল্যাবের সিনিয়র ভাইদেরকে দেখেছিলাম এটাতে এটেন্ড করে ইউরোপ ভেজে খেয়ে আসতে। যদি ও ভেবেছিলাম আর কোনো কনফারেন্সেই যাবোনা, কারণ কনফারেন্স বাবদ ডিপার্টমেন্ট যে টাকা এলোকেট করে, গতবছর আমেরিকা গিয়ে সেটার পুরাটাই উড়িয়ে দিয়ে আসছি। কিন্তু কনফারেন্স থেকে আবার সব মিলিয়ে দশজনকে ট্রাভেল ফেয়ার দেয় এটেন্ড করার জন্য, যেটা কিনা ৫০০


স্মৃতি জাগানিয়া কিছু চিঠি

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৮/০৭/২০১১ - ১০:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]জীবনের প্রথম চিঠিটা পেয়েছিলাম যখন ক্লাস ফোরে পড়ি। ঠিক পেয়েছিলাম বলা উচিত না। চিঠিটা আমার শ্রদ্ধেয় ছোট মামাজানের হাতে পড়েছিলো, তিনি সেই সময় বিশেষ ক্ষমতাবলে আমাদের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন। তো যাই হোক, পাড়ার একটা ছেলের কোন কারণে আমার মত ডানপিটে বান্দর মেয়েটাকে খুব মনে ধরেছিলো কেন যেনো। বলার সাহস না পেয়ে, একদিন মেলা সাহস করে একখান একপাতার চিঠি লিখে বসে। তারপর দুরুদুরু বুকে ছুড়ে দিয়েছিলো আমাদের


তেনারা

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২০/০৭/২০১১ - ২:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]ছোটবেলা থেকেই আমি আবার তেনাদের ব্যাপারে একটু ডোরপোক কিসিমের। প্রায় রাতেই হাবিজাবি স্বপ্ন দেখে চিৎকার করে জেগে উঠা ছিলো তখনকারদিনের নিত্যনৈমিওিক ঘটনা।। আর যেটা মজার ব্যাপার ছিলো তা হোল, রাতের বেলা নাকি আমি একা একা নাটক ফাটক করতাম। আপুরা ডাকাডাকি করলে নাটক বন্ধ করে আবার নাকি ঘুমিয়ে পড়তাম। কিন্তু বেশিরভাগ সময় নাকি আপুরা ফ্রিতে সেই রাতের শো দেখতো আর হাসাহাসি করতো। সকালে উঠে যদি ও আমার কিছুই


চিঙ্কু উপাখ্যান

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১৫/০৭/২০১১ - ১:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]আমি যেই ল্যবে বসি, ওটাকে মোটামুটি চৈনিক অধ্যুষিত এলাকা বলা যায়। আসে পাশে, ডানে বামে, পিছনে যেদিকেই তাকানো যায় সব সিটেই তেনারা আছেন।আজকের এই পোস্ট লিখতে বসলাম আমার চিঙ্কু ল্যবমেটদের কাজ কর্মের বিচিত্র কিছু নমুনা দেবার জন্য। আগে যখন ল্যবে বাংলাদেশি সিনিয়র ভাইরা ছিলেন এসব অত্যাচার সহ্য করা লাগেনাই। ওনারা ও গেছেন, পুরা ল্যব এখন চিঙ্কু দিয়ে ভরে গেসে, সারাদিন তাদের কিচিরমিচির শোনা এখন বাধ্


শুধুই আমার মায়ের জন্য

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ০৮/০৭/২০১১ - ১০:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]আজকাল কেমন যেনো বড্ড তৃঞ্চা লাগে। গ্লাসের পর গ্লাস পানি খেয়ে ও মনে হয় গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। এমনিতে সারাদিন ল্যবের এসির নিচে থাকার সুবাদে পানি খাওয়ার তৃঞ্চা অনেকটাই কম বোধ করি। কিন্তু এই কয়দিন কেন যে এমন হচ্ছে, আমার স্বল্প জ্ঞানে সেটা বুঝে উঠতে পারছিনা। ঘনঘন এই তৃঞ্চা আমার মাঝে আতংকের সৃষ্টি করছে। কারণ ডায়াবেটিকস ধরা পড়ার আগে আম্মা ও এই একি কথা বলতেন। আমরা কেউ তখন ও জানতামনা যে


টোনা-টুনির সংসার

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: শনি, ২৫/০৬/২০১১ - ১:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]গত মঙ্গলবার মানে ২১ জুন ছিলো আমার বাবা মায়ের বিবাহবার্ষিকী। যদি ও আমি তাদের সাথে নেই, দিব্য চোখে দেখতে পাচ্ছিলাম, বাবা তার বউ এর জন্য একগুচ্ছ রজনীগন্ধা নিয়ে আসছেন, আর মা যথারীতি লজ্জায় লাল হয়ে গেছেন। ছোটবেলা থেকেই বিশেষ দিনে এই একই কাহিনী দেখে আসছি। এর ব্যতিক্রম হয়নি কখনও। তখন তো বুঝতামনা কি কারণে এই ফুলটুন আনা আনি।তো যাই হোক একটু বড় হয়েই আমরা বাবাকে জিজ্ঞাসা করে ফেললাম। উনিতো আ


একজন মুনিয়া

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২২/০৬/২০১১ - ৮:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি: