বন্দনা এর ব্লগ

ভীষণ লাগে

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৬/০৬/২০১১ - ৯:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[center]ভালোবাসি এই দুরন্ত দুপুর গনগনে রোদে
ছোঁয়াছোঁয়ি করা পাশাপাশি বসে
একসাথে বাড়ি ফেরা,
আবোলতাবোল বকে যেতে যেতে
হাতপাগুলো এলোমেলো ছুড়ে
এদিক সেদিক অযথাই চেয়ে
একটুখানি ছুঁয়ে দিতে ভীষণ লাগে।

ভরদুপুরে ক্লাসের শেষে
তোমার জন্য অপেক্ষাতে
বসে থাকা ও লাগে ভালো,
বিকেল শেষে তুমি এলে
টিএসসি কিংবা পুরান ঢাকায়
চটপটির ওই সেই দোকানে
খেতে খেতে ঝালের চোটে
চোখের কোণে পানি আসা ও ভীষণ লাগে।


আমার বান্দরবেলা

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১৪/০৬/২০১১ - ৮:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]আজকাল না চাইলেও মাঝে মাঝেই দৌড়াতে হয়। এই যে এখন রাস্তার ওপারের স্টপেজে গিয়ে বাসটা ধরতেই হবে, না হলে আর আধঘণ্টা পরের বাসটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এই একটুখানি পথ দৌড়েই ক্লান্ত লাগে, অথচ একটা সময় ছিল বন্ধুদের সাথে দৌড়াদৌড়ি করতে একটু ও ক্লান্তি লাগতোনা। কত খেলেছি বরফ-পানি, ছোয়াছোয়ি, দাড়িয়াবান্ধা, বউচি কিংবা হা-ডূ-ডু। খুব সকাল কি ভরদুপুর, কি ভরা বর্ষা, কিচ্ছু আমাকে বেধে রাখতে পারতোনা। স্কু


একটি দুর্ঘটনা অতঃপর

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১২/০৫/২০১১ - ৭:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]চেতনার গভীর থেকে বণ্হি জেগে উঠার চেষ্টা করে যাচ্ছে।কিন্তু বারবার যেনো আর ও গভীরে তলিয়ে যাচ্ছে।কিছুতেই যেনো আর জেগে উঠবেনা সে।চোখ খুলে নিজেকে আবিষ্কার করলো মধ্যবয়সী এক ভদ্রলোকের দুহাতের মাঝে।কি হচ্ছে বুঝে উঠতে পারছেনা। কিন্তু সহজাত প্রবৃওি থেকেই বোধকরি লোকটাকে ঠেলে সরিয়ে দিতে চাইলো আর আনমনে বলতে লাগলো আমাকে ছেড়ে দিন, আমি ঠিক আছি।কিন্তু লোকটা তাকে বলছে মা আমি তোমাকে কাশেম ভাই এর বাড়িতে নিয়ে


এলোমেলো সময়ের কথা

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০১/০৫/২০১১ - ৮:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]সযত্নে প্লেটের ভাতগুলো ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দিলাম। প্রায় রাতেই এভাবে খাবার নষ্ট করছি।তারপর সবকিছু ধুয়ে গুছিয়ে, বিছানায় শুতে চলে এলাম।কোনও একটা গল্পের বই পড়তে পড়তে ঘুমানোর অভ্যেসটা কেমন করে যেনো রপ্ত হয়ে গেছে। গল্পের বই হাতে নিয়ে ও আজ নামিয়ে রাখলাম।মাঝেমাঝে আমার ঘরের জানালা দিয়ে তাঁরাভরা রাত দেখা যায়।কিংবা পূর্ণিমার ভরা চাঁদ যেদিন আমার জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে আলোয় ভরিয়ে ফেলে ছোট্ট রুমটা, ব


মিথিলার শাড়ি

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ০২/১২/২০১০ - ১০:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লাল জামদানী, মিথিলার অসম্ভব প্রিয় একটা শাড়ি।ওর দেয়া এটাই ছিল শেষ শাড়ি।কত শাড়িইতো আলমিরাতে এলো গেলো কিন্তু ওর দেয়া শাড়িগুলো যেমন এসেছিল তেমনই রাখা আছে।আলমারিতে রাখা শাড়িগুলোর মাঝে অর্ধেকই বোধকরি ওর দেয়া।যেবার মিথিলার বয়স বিশ হলো একটা সবুজ শাড়ি আর বিশটা সাদা দোলনচাঁপা নিয়ে ও এসে বাসায় উপস্হিত।সে কী সুঘ্রাণ সেই দোলনচাঁপার, সারা বাড়ি যেন মৌ মৌ করছিল।সেই থেকে দোলনচাঁপা মিথিলার ...


তৃষ্ণার্ত

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১৫/১১/২০১০ - ১১:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এখানে বড্ডো বৃষ্টি আজ
মনের কোণে ও যেন
এক টুকরো মেঘের ভেলা
অঝোরে ঝড়বে যখন তখন।

তোমার আকাশ ও কি মেঘে ধরে
আমিতো দেখিনা;
মনের সেই বৃষ্টিতে
তুমি ও কি ভেজ পাগলের মত।

সেবার বৃষ্টিতে যখন
আমাদের শহর ডুবে গেল
পুরো শহরে যেন তুমি আর আমি
আর একটা ছোট্ট রিকশা।
পর্দার আড়ালে তোমার হাত
আমার হাতকে ধরা শক্ত মুঠোয়
দ্বিধা জড়ানো সেদিনের সেই অনভ্যস্ত ঠোঁট
উষ্ণতা খুঁজে নেয়নি আমার ঠোঁটে।
সেই থেকে ...


কষ্টগুলো

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ০৪/০৫/২০১০ - ৮:৩২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ব্যাপারটা কেমন যেনো দুঃস্বপ্নের মতো, বারেবারে ফিরে আসে।কতদিন হয়ে গেল তবু ভোলা যায়না একটি বারের জন্য ও।কবছর হলো বাবার সাথে কথা বলেনা মিতিন, মনে করতে পারছেনা।আশেপাশের মানুষ বাবার জন্মদিন পালন করে, বাবাদিবসে আনন্দ উল্লাস করে, এসব ওর কাছে যেন অর্থহীন লাগে,যন্ত্রনার মত মনে হয়।মায়ের লজ্জায় কুঁকড়ে যাওয়া সেই মুখ মিতিন কেমন করে ভুলে যাবে।মনে মনে ভেবেছিল বাবার উপর প্রতিশোধ নেবে।কিন্ত...