নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ব্লগ

ডিজিটাল মৌলবাদঃ রুখে দেয়ার সময় এখনই

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: সোম, ১১/০২/২০১৩ - ৭:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইন্টারনেট এবং বিকল্প মিডিয়া বিশ্বের সামনে উন্মুক্ত করেছে এক নূতন দুয়ার। এই মিডিয়া এতটাই শক্তিশালী যে এখন মূল ধারার মিডিয়া কোন ভ্রান্ত বা ভুল সংবাদ পরিবেশন করলে এই বিকল্প মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষের সামনে খুব সহজে সত্য বেরিয়ে আসছে। এ কারণে সেলিব্রেটিদের নিয়ে ট্যাবলয়েড পত্রিকাগুলোর রমরমা ব্যবসাও বেশ ভালো ভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এখন মূল ধারার মিডিয়ার কোন রকম সাহায্য ছাড়াই সেলিব্রেটি এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান খুব দ্রুত টুইটারের মাধ্যমে নিজেরাই নিজেদের মতামত সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারছে।


কার পার্কের নীচে অবহেলিত ইংরেজ রাজার কঙ্কাল

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: মঙ্গল, ০৫/০২/২০১৩ - ৬:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সম্প্রতি দুটা খবর ব্রিটিশ পত্রিকার শীর্ষ সংবাদ হয়ে তোলপাড় শুরু করেছে। এর মধ্যে একটা হচ্ছে লিভারপুলের ২০০৯ সনে ইংল্যান্ডের নিজ মাঠে চ্যাম্পিয়ান্স লীগে খেলা একটা ম্যাচ পাতানো ছিল। আর অন্যটা হচ্ছে ইংল্যান্ডের লেস্টার শহরের এক কার পার্কের নিচ থেকে ইংল্যান্ডের রাজা তৃতীয় রিচার্ডের কঙ্কাল আবিষ্কৃত হয়েছে। আবিষ্কারের কাজটা করেছেন লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিওলজিস্টরা। নিঃসন্দেহে দুটা খবরই প্রচুর আলোচনা এবং সমালোচনার অবকাশ রাখে; এবং সেটা হচ্ছেও। তবে যে কারণে এই লেখার অবতারণা, সেটা মূলতঃ দ্বিতীয় সংবাদটা। রাজা তৃতীয় রিচার্ড নিহত হয়েছিল ১৪৮৬ খৃষ্টাব্দতে যুদ্ধে পরাজিত হবার পর। ছয়শ বছরের অধিক সময়ের পুরনো এই রাজার কঙ্কাল নিশ্চিত করা সহজ কথা না। মনে রাখা জরুরী যে এটা মমি বা কোন ঐতিহাসিক সমাধি নয়। খুবই অবহেলায় কবর দিয়ে রাখা এক মানুষের কঙ্কাল। এ সব কারণে কাল গভীর রাত পর্যন্ত গবেষকদের কাজ নিয়ে ঘাটাঘাটি করলাম। ফলাফল যা দাঁড়ালো তা এই লেখাটা।


মুভি রিভিউঃ লুপার

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: রবি, ৩০/০৯/২০১২ - ৪:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঠিক এই সময়ের সায়েন্স ফিকশন মুভিগুলার দুটা ভিন্ন রূপ খুব দেখা যাচ্ছে। প্রথম রূপটায় অসাধারণ গ্রাফিক্সের সাথে দুর্দান্ত এ্যাকশন থাকছে কিন্তু অনেক সময়ই গল্প খোঁড়া হয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু যে ভালো গল্প থাকছে না, তা নয়। তবে অধিকাংশ সময়ই চাকচিক্যের সাথে গল্পের গভীরতার সরল রৈখিক সম্পর্ক দেখা যায় না। অন্যদিকে আরেকটা রূপ দেখা যাচ্ছে যেখানে গল্পই মুভির মূল উপজীব্য। মুভিকে চাকচিক্য দিয়ে সাজানোর দিকে পরিচালকের নজর তেমন একটা থাকে না। “ডিসস্ট্রিক্ট নাইন”-এর কথা হয়তো মনে আছে অনেকের। এরপর এসেছে “মুন”, “সোর্স কোড”, “সুপার এইট” কিম্বা একদম নূতন “লুপার”। এই মুভিগুলোতে সায়েন্স ফিকশনের মাধ্যমে শুধুই চাকচিক্য দেখানোর পরিবর্তে মানবিক আবেদনকে একটা বড় ফ্রেমে বাঁধিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।


অলিম্পিক আলোচনা – ৩

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: মঙ্গল, ২১/০৮/২০১২ - ৮:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শেষ হয়ে গেলো ২০১২ লন্ডন অলিম্পিক। ২০০৮ এর অলিম্পিকের সাথে প্রথম চারের তেমন বেশি পার্থক্য দেখা গেলো না। ৪৬ সোনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে, ৩৮ সোনা নিয়ে চীন দ্বিতীয়, ২৯ সোনা নিয়ে আয়োজক ব্রিটেন তৃতীয় এবং ২৪ সোনা নিয়ে রাশিয়া চতুর্থ হলো। ২০০৮ এর অলিম্পিকেও এই চার দেশই প্রথম চারটা স্থান দখল করেছিল। পার্থক্য শুধু তাদের অবস্থানে। সেবার নিজেদের মাটিতে চীন ৫১ সোনা নিয়ে প্রথম হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় (৩৬ সোনা), রাশিয়া তৃতীয় (২৩ সোনা) আর ব্রিটেন চতুর্থ (১৯ সোনা)।


অলিম্পিক আলোচনা – ২

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: শুক্র, ১০/০৮/২০১২ - ১১:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লন্ডন এখন পুরোপুরি উৎসবের নগরী। “রথ দেখা ও কলা বেচা” প্রবাদটা ভারতবর্ষ থেকে এলেও সম্ভবত চর্চাটা পুরো পৃথিবী জুড়ে রয়েছে। আর সেজন্যেই লন্ডন অলিম্পিক দেখতে যাওয়া মানুষের ভিড় লন্ডনের নাম করা টুরিস্ট স্পটগুলোতেও দেখা যাচ্ছে। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো থেকে ইংল্যান্ডের লন্ডন ভার্জিন ট্রেনে সাড়ে চার ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত। তাই আমিও রথ দেখা ও কলা বেচা – দুই উদ্দেশ্য নিয়েই গত ৩১ জুলাই লন্ডন যাত্রা করি। তবে এ পর্বে সে প্রসঙ্গে যাবো না। সেখানে তোলা ছবি ও ঘটনা নিয়ে লিখবো এই সিরিজের শেষ পর্বে। এই বেলায় আলোচনা করবো কয়েকটা ইভেন্টে নিয়ে যেগুলো অলিম্পিক মধ্য গগনে পৌছানোর সাথে সাথেই শেষ হয়ে যায়। তবে রেশ রেখে গিয়েছে অনেক অনেক আলোচনার।


অলিম্পিক আলোচনা – ১

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: সোম, ৩০/০৭/২০১২ - ৩:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত ২৭ তারিখ উদ্বোধন হলো লন্ডন অলিম্পিক ২০১২। অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে জানানো হচ্ছিল এবারের “ওপেনিং” অলিম্পিকের ইতিহাসে অন্যতম সেরা হতে যাচ্ছে। স্লাম ডগ মিলেনিয়ারের জন্যে অস্কার বিজয়ী ব্রিটিশ পরিচালক ড্যানি বয়েলের নেতৃত্বে সমসাময়িক থিমের উপর গুরুত্ব দিয়ে সাজানো হয়েছিল এবারের ওপেনিং। সেখানে জেমস বন্ড থেকে মি. বিন, স্যোশাল নেটওয়ার্কিং থেকে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব, রাগবী থেকে ক্রিকেট এবং শিল্প বিপ্লব থেকে শেক্সপিয়ারের টেমপেস্ট – সবই কোন না কোন ভাবে এসেছে। তবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে পাওয়া গেলো মিশ্র প্রতিক্রিয়া। গত বেইজিং অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের তুলনা করে অনেকেই বলল এবারের ওপেনিং ভালো লাগে নি।


সদ্য প্রকাশিত ফিফা র‌্যাঙ্কিং এবং কিছু কথা

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/০৭/২০১২ - ১২:৪৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

র‌্যাঙ্কিং বিষয়ে মানুষের প্রতিক্রিয়া খুবই বিচিত্র। যেমন, বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাঙ্কিং-এ নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেমে গেলে সেই র‌্যাঙ্কিং “গাঁজা খাওয়া” র‌্যাঙ্কিং হিসেবে উপাধি পায়, আবার একই র‌্যাঙ্কিং-এ নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উপরে উঠলে লোকে মুচকি মুচকি হাসে।


লন্ডন অলিম্পিক ২০১২ এর মশাল ভ্রমণ (ছবি ব্লগ)

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: রবি, ১০/০৬/২০১২ - ৭:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এ বছর লন্ডনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে অলিম্পিক প্রতিযোগিতা। সে কারণে আলিম্পিকের মশাল লন্ডন থেকে যুক্তরাজ্য এবং আয়ারল্যান্ড ভ্রমণে বেরিয়েছে। এ দুই দেশের বিভিন্ন শহরে ঘুরে মশাল আবার ফিরে যাবে লন্ডনে।


“আমার লেখাটা কত দূর?”

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: সোম, ০৭/০৫/২০১২ - ৬:৫০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সচলায়তনে আমি টুকটাক লেখালিখি করি। তেমন আহা মরি কিছু নই। দেশ, সমাজ এবং চারপাশের ঘটনাই আমার লেখার উপজীব্য। কিন্তু এই লেখাই হয়েছে আমার কাল। আমার বউ, তখনও সে বউ হয় নি যদিও, প্রায়ই গাল ফুলিয়ে বলতো, “তুমি এত কিছু নিয়ে লেখ কিন্তু আমাকে নিয়ে তো কিছু লেখ না”। আমি চিন্তায় পড়লাম। ভাবলাম, লজ্জার মাথা খেয়ে হয়তো লিখতে বসলাম, কিন্তু তারপর? হবু বউকে নিয়ে কী লিখবো? চিন্তায় চিন্তায় দিন কাটাই। কিছু লিখতে পারি না। মাঝে মাঝে বউ বলতো, “আমার লেখাটা কত দূর?”। আমি চুপ করে থাকতাম। এক সময় অন্য প্রান্ত থেকে প্রশ্ন করা বন্ধ হয়ে যায়। আমি হাঁপ ছেড়ে বাঁচার পরিবর্তে আরো উদ্বিগ্ন হই। নারীর নীরবতা ভয়ঙ্কর জিনিস!


প্রবাসী আয় (রেমিটেন্স) এবং অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: সোম, ২৩/০৪/২০১২ - ৫:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গতকাল আগামী অর্থবছরের বাজেট বিষয়ে দেশের অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় মাননীয় অর্থমন্ত্রী দেশে প্রবাসীদের পাঠানো টাকা তথা রেমিটেন্সকে কালো টাকার অন্যতম উৎস হিসেবে উল্লেখ করেছেন [১]। অর্থমন্ত্রী বলেছেন,

অন্য দেশে আয় করে আমার দেশে পাঠাচ্ছে। এদের ওপর কোনো কর আরোপ করা হয় না। এতে টাকা কালো হচ্ছে।