“আমার লেখাটা কত দূর?”

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: সোম, ০৭/০৫/২০১২ - ৬:৫০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সচলায়তনে আমি টুকটাক লেখালিখি করি। তেমন আহা মরি কিছু নই। দেশ, সমাজ এবং চারপাশের ঘটনাই আমার লেখার উপজীব্য। কিন্তু এই লেখাই হয়েছে আমার কাল। আমার বউ, তখনও সে বউ হয় নি যদিও, প্রায়ই গাল ফুলিয়ে বলতো, “তুমি এত কিছু নিয়ে লেখ কিন্তু আমাকে নিয়ে তো কিছু লেখ না”। আমি চিন্তায় পড়লাম। ভাবলাম, লজ্জার মাথা খেয়ে হয়তো লিখতে বসলাম, কিন্তু তারপর? হবু বউকে নিয়ে কী লিখবো? চিন্তায় চিন্তায় দিন কাটাই। কিছু লিখতে পারি না। মাঝে মাঝে বউ বলতো, “আমার লেখাটা কত দূর?”। আমি চুপ করে থাকতাম। এক সময় অন্য প্রান্ত থেকে প্রশ্ন করা বন্ধ হয়ে যায়। আমি হাঁপ ছেড়ে বাঁচার পরিবর্তে আরো উদ্বিগ্ন হই। নারীর নীরবতা ভয়ঙ্কর জিনিস!

সময় কাটতে থাকে। এক দিন “হবু” শব্দটা বাদ পড়ে সে “বউ” হয়ে যায়। কিন্তু তাতে হলো আরেক সমস্যা। কিছু লিখতে বসলে বউ পাশ থেকে আড় চোখে তাকায়। তার সে তাকানো তে কৌতূহল আছে, তাচ্ছিল্য আছে, আছে বেদনা। দিনের আর কোন সময় নয়, যখনই সচলায়তনের জন্যে লিখতে বসতাম, তখনই আমার বউকে রবি ঠাকুরের হৈমন্তী মনে হতো। আমি যখন লিখছি তখন হয়তো সে কোন কারণ ছাড়াই বিছানার চাদরটা গোছাতে গিয়ে আমার দিকে তাকাচ্ছে। দেখতে মায়া লাগতো। তাই একদিন বললাম, “বউ, বোঝার চেষ্টা করো। কী লিখবো তোমাকে নিয়ে? প্রেমপত্র হলেও একটা কথা ছিল; কিন্তু এটা তো ব্লগিং। কমিউনিটি ব্লগে বউকে নিয়ে মানুষ লেখে কী করে? তাছাড়া, লিখতে হলে মুড লাগে। সময় লাগে। চট করে কি লেখা যায়?”

বউ অভিমানী স্বরে বলল, “আমাকে নিয়ে তোমার কিছু লিখতে হবে না। কারো সাথে কিছু না হলে তো তুমি লিখতে পারো না। তারেক মাসুদ মারা গিয়েছেন বলেই তুমি তাঁকে নিয়ে লিখেছো। রুমানা মঞ্জুর চোখ না হারালে তুমি লিখতে না, আট বাংলাদেশীর শিরশ্ছেদ না হলেও তুমি লিখতে না। কারো সাথে খারাপ কিছু হলেই কেবল তুমি লেখার বিষয় খুঁজে পাও”।

অভিমানের গভীরতা দেখে আমি বিস্মিত হই কিন্তু কিছু বলি নি সেদিন। একটা বিষয় বুঝতে পারছিলাম, বিষয়টা ছোট থেকে ধীরেধীরে বাড়তে শুরু করেছে। এর মাঝে একদিন তার এক কাছের বান্ধবী, যে এ্যামেরিকায় বেড়াতে যাওয়ার কারণে আমাদের বিয়েতে আসতে পারে নি, ফোন দিল। বৌ আমার পরিচয় দেয়ার সাথে সাথে দেখা গেলো সে চিনতে পারছে। সচলায়তনে আমার লেখা পড়েছে; সেই সূত্রেই চেনা। দেখলাম বউ-এর মুখটা মলিন হয়ে গেলো। সচলায়তনে আমার লিখালিখি ততদিনে বউ-এর কাছে সতীন-তুল্য হয়ে পড়েছে।

বছর শেষ হতেই দেশান্তরী হবার ডাক পড়লো। আগে মাস্টার্স পড়তে গিয়েছিলাম আয়ারল্যান্ডে। এবার পিএইচডি করতে গন্তব্য পাশের দ্বীপ ব্রিটেন। আগেও দ্বীপান্তরী ছিলাম, এবারও দ্বীপান্তরীই রইলাম। পার্থক্য শুধু দ্বীপটা আয়তনে বড় হয়েছে! বউকে সাথে নিয়ে এক সকালে মরুর বাহন এ্যমিরাটস-এ চড়ে পৌঁছে গেলাম লন্ডন এবং সেখান থেকে গ্লাসগো। নূতন জায়গায় থিতু হতে সময় লাগছিল। বাসা নেয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শুরু করা ইত্যাদি কারণে সচলায়তনে লেখাতেও ভাটা পড়লো। বউ-ও আর “আমার লেখাটা কত দূর” জানতে চায় না। এবার সত্যিই হাঁপ ছেড়ে বাঁচলাম। ভাবলাম সত্যিই মনে হয় ভূতটা মাথা থেকে নেমেছে।

কিছুদিন পর আবার কী-বোর্ড হাতে বসলাম। বাহিরে উচ্চশিক্ষার জন্যে আসতে ইচ্ছুকদের জন্যে কিছু পোস্ট লিখলাম। লক্ষ্য করলাম ব্লগিং-এর আগের সেই মাদকতা ফিরে পেতে শুরু করেছে। ফলে বিভিন্ন টপিকে লিখতে শুরু করলাম। সীমান্তে বিএসএফ-এর হত্যা, এপ্রিল ফুল হোক্স, বাংলাদেশ দলের পাকিস্থান সফর – কোন কিছুই বাদ যাচ্ছিল না। কিছু পোস্ট খসড়া আকারেও পড়ে থাকলো, কিন্তু ভবিষ্যতে লেখা হিসেবে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা সেগুলোরও প্রবল রইলো। মোট কথা লেখালিখিতে ভালো ভাবে ফিরে এসেছি। ঠিক এমন সময় বউ-এর নজর পড়লো।

একদিন ডিনারের পর আমি লিভিং রুমে বসে একটা পোস্ট লিখছি। বৌ মাটিতে বসে সোফায় হেলান দিয়ে এ্যালবামে ছবি সাজাচ্ছিল। আমাদের বিয়ের প্রায় ছয়শ ছবি সে ডেভলপ করিয়েছে। সাথে বড় বড় পাঁচটা এ্যালবামও কিনেছে। সেগুলোতে ছবি সাজাতে সাজাতে বলছিল, “আমি শুধু দেখছি, আমার লেখাটা কবে আসে। আমার মনে হচ্ছে লেখাটা কোন দিনও আসবে না”। প্রথমে গুরুত্ব দেই নি। কিন্তু দেখলাম একই কথা সে বারবার বলছে। বুঝলাম ভূত আসলে নামে নি, শীতনিদ্রায় ছিল! প্রথমে কয়েকবার হেসে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলাম। কিন্তু ক্রমাগত যখন ঐ প্রসঙ্গে ভাববাচ্যে কথা বলে যাচ্ছিল তখন বিরক্ত না হয়ে পারলাম না। বৌ-কে বললাম আমি যে লেখাটা তখন লিখছিলাম সেটায় মনোযোগ দেয়ার চেষ্টা করছি, সে যেন একটু চুপ করে। কিন্তু তাতে হলো উল্টো ফল। চুপ করার পরিবর্তে সে আরো জ্বলে উঠল। বিরামহীন স্বরে বলতে লাগল, “চট করে নাকি লেখা যায় না; তো হিমু ভাই লেখা দিতে বললেন, সেটা চট করে লিখা হলো কী করে?”। এবার আমি চরম বিরক্ত হলাম। বললাম, “হিমু ভাই-এর একটা পোস্টে আমিই মন্তব্যে বলেছিলাম সীমান্তে বিএসএফ এর হত্যা নিয়ে একটা লেখা লিখবো। পরে লেখাটা শেষ করা হচ্ছিল না। হিমু ভাই যখন জানতে চাইলেন, লেখাটা কত দূর, তখন দ্রুত শেষ করে পোস্ট করি। ওটা সব সময় আমার মাথাতেই ছিল”। “হ্যা, আমার লেখাটাই শুধু মাথাকে থাকে না।” – বৌ তার স্বরটা এফএম রেডিওর RJ-দের মত করে বলতে লাগলো।

আমিও আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না। চিৎকার করে বললাম, “তুমি যদি এভাবে পেইন দিতে থাকো, তাহলে আমার আর লেখালিখি হবে না। তুমি পাশে থাকলে কার সাধ্য লেখালিখি করবে?”। তারপর রাগের একাংশ ল্যাপটপের উপর ঝেড়ে, অর্থাৎ স্ক্রিনটা জোরে বন্ধ করে, চলে গেলাম ঘুমোতে। এত রাগ লাগছিল যে বৌ ঘুমোতে এসেছে কিনা দেখারও প্রয়োজন বোধ করি নি। হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেলো রাত দুটোর দিকে। দেখি বৌ বিছানায় নেই। দ্রুত লিভিং রুমে গিয়ে দেখি লাইট জ্বলছে। বৌ এর সামনে ছবি-এ্যালবাম সব ছড়ানো। সে যেভাবে মাটিতে বসে ছিল, সেভাবেই সোফায় হেলান দিয়ে বসে বসে ঘুমিয়ে পড়েছে। দুচোখে চোখের পানি গড়িয়ে পড়ার দাগ স্পষ্ট। বুঝতে অসুবিধা হলো না, সে কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়েছে। নিজেকে তখন খুব অপরাধী মনে হচ্ছিল। এই পরদেশে আমি দেশান্তরী হয়েছি স্বেচ্ছায়। কিন্তু সে তো আমার কারণে তার বাংলাদেশের জীবনটা ফেলে এখানে এসেছে। এখানে তার পরিচিতও তেমন কেউ নেই। আমার সাথেই তো সে কথা বলবে। আমার সাথেই তো সে রাগ করবে। একটা লেখাই তো সে চেয়েছিল যেখানে সে তাকে খুঁজে পাবে। অথচ আমি তার সাথে পশুর মত ব্যবহার করলাম। অপরাধবোধ তখন আমাকে প্রবল ভাবে গ্রাস করছিল। তবে সকাল বেলা রাতের আবেগ এবং অপরাধবোধ যখন কিছুটা কমে এলো, তখন আমি বুঝলাম লেখার মত তেমন কোন উপজীব্য আমার হাতে নেই। অতএব “আমার লেখাটা কত দূর” এর উত্তর দেয়ার থেকে প্রশ্নটা এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয় মনে করলাম।

কয়েকদিন পর হঠাৎ আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছোট ভাই ফেইসবুকে ম্যাসেজ পাঠালো। তারা নারীদের জন্যে একটা ওয়েব সাইট খুলেছে। সেখানে আমার বৌ-কে লেখা দিতে অনুরোধ করলো। আমি দেখলাম বৌকে ব্যস্ত রাখার এটা একটা ভালো উপায়। তাহলে হয়তো সে আর “আমার লেখাটা কত দূর” জানতে চাইবে না। কিন্তু বৌ-কে লিখতে বলার পর সে যেন আকাশ থেকে পড়লো। “আমি লিখবো? আমি কি লিখতে পারি নাকি?” – বউ এর উত্তর। আমি বোঝালাম, চেষ্টা করে দেখো। সব কিছু শুরু করতে হয়। বৌ কয়েকদিন চেষ্টা করে জানাল তার দ্বারা লেখালিখি সম্ভব নয়। বরং এর থেকে লেখা “চাওয়া” টাই তার কাছে প্রিয়। আমি আতঙ্কিত হলাম। কিন্তু যা ভয় পেয়েছিলাম তাই। ঘুরে ফিরে সে আবার ঐ প্রসঙ্গে ফিরে গিয়েছে। তবে এবার আর হৈমন্তীর মত আবেগী গলায় নয়, রীতিমত থ্রেট দিয়ে জানালো তার লেখাটা কয়েকদিনের মধ্যেই সে দেখতে চায়। যত দ্রুত সম্ভব। না হলে ঘরে রান্না হবে না! আমি দেখলাম, শান্তির পায়রা সংসার থেকে আবার উড়ে “চলে যাবার” দশা। তাই আমতা আমতা করে বললাম, “তোমার লেখাটা আসলে লিখতে শুরু করেছি।”
বউ-এর মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো। দ্রুত বলল, “কী লিখছো?”
এবার এক নূতন বেকায়দায় পড়লাম। কী লিখছি সেটা কি আমিই বা জানি? এত দিনতো প্রশ্ন ছিল, “আমার লেখাটা কত দূর” কিন্তু এবার তো “কী লিখছো”-তে চলে এসেছে। দ্রুত রহস্য করে বললাম, “সেটা তো বলবো না। তাহলে তো আর মজা থাকবে না। যখন পোস্ট দেব, তখন পড়বে।”

বোঝা গেলো এই যাত্রায় রক্ষা পাওয়া গিয়েছে। তাছাড়া তাকে নিয়ে লিখতে বসেছি, এ কারণেই হয়তো সচলায়তনের প্রতি তার রাগও প্রশমিত হতে শুরু করলো। দেখলাম সে বসে বসে সচলদের নূতন-পুরোনো লেখা পড়ছে। বিভিন্ন সচল যাঁরা আমার ফেইসবুকে আছে তাদের প্রোফাইল দেখছে। একটা ব্যাপার বুঝতে পারছিলাম তার রাগটা কখনোই সচলায়তনের প্রতি ছিল না। রাগটা ছিল মূলতঃ তাকে নিয়ে না লেখার প্রতি। এখন যেহেতু সেটা হচ্ছে (অন্তত সে তাই জানে), তাই সে সচলায়তনকে পরিবারের মত আপন করে নিচ্ছে।

স্রোত আর সময় নাকি কারো জন্যে অপেক্ষা করে না। আমার জন্যেও করে নি। আমাকে পেছনে ফেলে গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খরস্রোতা কেলভিন নদীর স্রোতও বয়ে যাচ্ছিল, সময়ও। দ্রুত পার হয়ে যাচ্ছিল দুটোই কিন্তু আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে কাজ ফেলে বৌ-কে নিয়ে লেখার মত কোন টপিকই খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আমার অসহায়ত্ব হয়তো কিছুটা বৌ-ও বুঝতে পারছিল। বার কয়েক সে লেখাটা কবে পোস্ট করবো জিজ্ঞেস করেছিল বটে, কিন্তু তারপর আমার মুখের অবস্থা দেখে আশাহতই হয়েছে প্রতিবার। ফলে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মানুষের মত সে একদিন হঠাৎ এক ঘোষণা দিল। প্রথম আলো পত্রিকায় এক মেয়ের আত্মহত্যার খবর বেরিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল কিন্তু তার ছেলেবন্ধু হিন্দু এবং মেয়েটা মুসলিম হওয়াতে তাদের বিয়ে সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে সে আত্মহননের পথ বেঁছে নিয়েছে। এই খবরের নীচে মন্তব্য পড়ে বৌ-এর মেজাজ খারাপ হয়েছে। মানুষ এত “মিন-মাইন্ডেড” কেমন করে হয় সেটা সে বুঝতে পারছে না। তাই সে ঠিক করেছে, যে লেখালিখি তার দ্বারা হবে না বলে সে ভেবেছিল, সেটাকে ভুল প্রমাণ করবে। “আমার লেখাটা কত দূর” প্রশ্নটা আর নয়। এবার সেই লেখকের ভূমিকায় নামবে এবং সেটা সচলায়তনে। তার প্রথম লেখার বিষয়বস্তু হবে সম্পর্ক, বিয়ে এবং ধর্ম – এই তিনের মধ্যে কোনটা বড় সেটা আলোচনা করা। বলাবাহুল্য, তার মতে সম্পর্ক সবচেয়ে বড়। তারপর বিয়ে এবং তারও পরে ধর্ম। বৌ-এর কথা শুনে মনে মনে আমি প্রমাদ গুনলাম। এই বার আর রক্ষা নাই। এতদিন ছাগ-সম্প্রদায় আমাকে গালমন্দ করতো কমেন্টে, ফেইসবুক ম্যাসেজে এবং ইমেইলে। এবার পারিবারিক গালমন্দের মেইল পাওয়া শুরু হবে!

বৌ এখনও তার লেখালিখির প্রস্তুতি পর্বে রয়েছে। তাকে থামাতে হবে। যেকোন উপায়ে থামাতে হবে। কিন্তু সেই উপায় খুবই অপ্রতুল। তাকে থামানোর একটাই উপায় এই মুহূর্তে আমার মাথায় আসছে। আমি কীবোর্ডে বসে আঙ্গুলের নখ কামড়ে চিন্তা করছি, তবে কি লিখেই ফেলবো “আমার লেখাটা কত দূর” এর জবাব?

গ্লাসগো, যুক্তরাজ্য
৭ মে ২০১২


মন্তব্য

ভালো মানুষ এর ছবি

নিয়াজ ভাই ভাবির লেখাটা থামাবেন না প্লিজ ।
আবেগ দিয়ে লেখা (একটা লেখাই তো চেয়েছিল যেখানে সে থাকে খোজে পাবে)।
লেখাটা এক টানে পড়ে ফেললাম।।।।।

উত্তম জাঝা!

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

লেখাটা ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। আমি তাকে লেখা থামাতে বলছি না, দেখি তার শেষ পর্যন্ত উৎসাহ থাকে কিনা? হাসি

ইয়াসির এর ছবি

আপনি কি পারফেকশনিস্ট? শুধুমাত্র নিখুঁত লেখা লিখতে পছন্দ করেন? যদি তাই হয় তবে আপনি ভাবীর লেখাটা কোনদিনই শেষ করতে পারবেন না, কারণ কোন লেখাই আপনার কাছে সম্পুর্ণ বলে মনে হবে না। অথচ আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে যতদুর বুঝতে পারছি ওনার চাওয়া খুব বড় কিছু নয়, গুরুত্ব পাওয়া নয়, সাড়া জাগানো কোন কালজয়ী অনুভুতির অভিব্যক্তি নয়, সহজ সরল দুটো আবেগ যা আপনি তার জন্য লালন করেন, সেটার একটা মৃদু প্রকাশ, এই। আপনি শক্তিমান লেখক, এটুকু তো আপনার এক চুটকিতেই বেরিয়ে আসবে। নিজের ব্যক্তিগত অনুভূতি নিয়ে জনসমক্ষে আলোচনা হলে আপনি কি বিব্রত বোধ করেন? আপনার কারণে দেশান্তরী হওয়া প্রিয় মানুষটির জন্য এটুকু বিড়ম্বনা মনে হয় সহ্য করা যায়, কি বলেন? হাসি

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

মন্তব্যটা ভালো লাগলো। একটা বিষয় আসলেই খুব সত্য। লেখা হোক বা অন্য কিছু, সব সময়ই আমার মনে হয় আরেকটু চেষ্টা করলে আরো ভালো হবে। আমার খসড়াতে এমন বেশ কিছু লেখা পড়ে আছে যা 'আরেকটু ঘষামাজা'-এর জন্যে রাখা। কিন্তু সেই আরেকটু শেষ করা হচ্ছে না।

অস্বীকার করবো না, ব্যক্তিগত লেখা লিখতে কিছুটা বিব্রত হই। তবু প্রিয় মানুষটার ইচ্ছের কথা ভেবেই এই লেখাটা। হাসি

ইয়াসির এর ছবি

এই লেখাকে "সেই লেখা" বলে চালিয়ে দিচ্ছেন? ফাঁকি মেরে বোধহয় পুরোপুরি পার পাবেন না। দেঁতো হাসি

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

এই রে, ধরা মনে হয় খেয়েই গেলাম! ইয়ে, মানে...

বনের রাজা টারজান এর ছবি

একমত। ভাবীর জন্য ভালবাসা।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

শুভেচ্ছা রইলো।

হাফিজ  এর ছবি

লেখাটা পড়ে মজা পেলাম. হো হো হো

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

নিতান্তই ব্যক্তিগত লেখা। পড়ার জন্যে ধন্যবাদ হাসি

মরুদ্যান এর ছবি

হাহাহা। ভাবির লেখা চাই দেঁতো হাসি

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

সবাই যেভাবে উৎসাহ দিচ্ছে, এখন মনে হয় সে লিখেই ছাড়বে!

মাহমুদ.জেনেভা এর ছবি

লেখার শেষ প্যারাগ্রাফে এসে মন খারাপ হয়ে গেল
সাম্প্রদায়িকতা থেকে আমাদের মুক্তি নেই
এই ভিডিও টা দেখেন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের কিভাবে গালাগাল দেয়া হয়

এই সমস্ত লোকজন না থাকলে সাম্প্রদায়িকতা বিষয়টা হতে হয়তো কিছুটা দূরে চলে যাওয়া যেত
ভিডিও টার ১০ এবং ১৬ মিনিট সময়ে দেখেন সে কি বলে
[১] এইখানে ১০ মিনিট: ০০ সেকেন্ডে হুজুর ইংলিশ মিডিয়ামে বাচ্চা পড়ানো যে বেদাত এ বিষয়ে জ্ঞান দিচ্ছে, সে বলছে যে, ইংলিশ মিডিয়ামে গিয়ে বাচ্চারা শিখে বাবাকে ড্যাডি বলে, মা কে মামি বলে। ত, মাকে যদি মামি বলে, তাইলে মামার স্ত্রীকে কি ডাকবে ? হাসি
[২] হাফপ্যান্ট পড়ে ম্যাথর শ্রেনির লোকজন

[৩] ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া সম্পূর্ণ হারাম!!

অনেকদিন পর ব্লগে আসলাম। আমার এখন সারাদিন কাটে ওয়াজ শুনে। কি যে অবস্থা

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

আপনি ওয়াজ শুনেন, সাথে আমিও। হ্যা, ফেইসবুকে আপনার শেয়ার করা ভিডিও, ইরানী মেয়ের গল্প নিয়মিত ফলো করি। চোখ টিপি

অরফিয়াস এর ছবি

এইটা সেইদিন দেখে শেয়ার করলাম, দারুন ওয়াজ, এর থেকে ভালো ওয়াজ হয় নাকি?? শয়তানী হাসি

বাংলা ভাষার এরকম চমত্কার অপপ্রয়োগ কমই দেখা যায়, আর সাম্প্রদায়িকতা তো পুরনো জিনিস !!

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

সহমত। অথচ দেখুন, এই মানুষটা বা এদের মত মানুষদের কথা কত সহজ-সরল মানুষ বেদবাক্যের মত বিশ্বাস করে। ঐ মানুষগুলোর বিশ্বাসকেও এরা পদে পদে চপটাঘাত করছে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

ক্যান বিয়া করলেন রে ভাই! ক্যান বিয়া করছিলেন! আগে সেই জবাব দেন।
তারপর আপনের বউরে সচলায়তনে ক্যামনে কমেন্ট করতে হয়, সেইটা ধরায়ে দেন। মন্তব্যবাজীতে যেই মজা, সেইটা একবার টের পেয়ে গেলে লেখালেখির ধারকাছ দিয়েও কেউ যাবে না। সারাজীবন কমেন্টবাজী করেই কাটিয়ে দিতে পারবে। আপনার বউ যদি কোনোভাবে কমেন্টবাজীর মজা বুঝে যান, তাইলে দেখবেন আপনাকে 'লেখাটা কতদূর'- সেইটা নিয়ে আর ঘাটাচ্ছে না। নিজেই কমেন্ট করে ফাডায়া ফেলতেছে। আপনারে জিগানোর টাইম কই!

ইয়াসির এর ছবি

চলুক

এটা ভালো বিকল্প

অচল  এর ছবি

এখন আর ভাবী রাগ করবে না নিশ্চয়ই । (গুড়)

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

ধুগো-দা, আইডিয়াটা দারুণ দিয়েছেন। তাছাড়া, সম্প্রতি মুর্শেদ ভাই মনে হয় ফেইসবুক দিয়ে লগ ইন করার একটা অপশন চালু করতে যাচ্ছেন সচলায়তনে। বৌ-কে এবার সেটাই দেখিয়ে দেব। দেঁতো হাসি

চরম উদাস এর ছবি

মন ছুঁয়ে যাওয়া লেখা চলুক

আমি এজন্য বাসায় লেখালেখি না করে অফিসে বসে লিখি। মনে হয় যেকোন দিন বস এসে গাল ফুলিয়ে বলবে, আমার লেখাটা কতদূর খাইছে

আমার বউ বরং উল্টা আতঙ্কে থাকে, আমি কখন তারে নিয়ে কি লিখে ফেলি। জীবনে কাউরে নিয়ে ভালো কিছু লিখিনাতো তাই দেঁতো হাসি

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

আপনার কমেন্টগুলো লেখার মতই মজার হাসি । আপনি একটা লেখা দিলে আমার ফেইসবুকের হোম পেইজ ভরে যায় সেটার শেয়ারে।

ভাবীর আতঙ্কে থাকার কিছুটা কারণ আছে বৈকি! সুপারভাইজারের মুরগী নিয়ে আপনি যা লিখেছে গড়াগড়ি দিয়া হাসি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

দেঁতো হাসি

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

সচলায়তন এখন তার পরিবার। হাসি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

কি পাষাণ!
বউ যে আপনাকে এখনো রেঁধে খাওয়া এই তো বেশি! চোখ টিপি

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

সে কী! আমিও তো রান্না করে খাওয়াই। কাল রাতেই বাসায় ফিরে ডিনার রান্না করলাম। হাসি আসলে, রান্না বিষয়ক আমাদের একটা নীতিমালা আছে! যেমন, সে রান্না করলে আমি ক্লিন করবো; আর আমি রান্না করলে সে। যদিও আমার রান্না কতটা খাওয়া যায় সে বিষয়টা প্রশ্ন সাপেক্ষ ইয়ে, মানে...

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

উত্তরটা আমরাই দিতে পারি, ব্যবস্থা করেন। চোখ টিপি

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

ব্যবস্থা করতে কোনই আপত্তি নেই। বরং সে আমাদের সৌভাগ্য হবে। হাসি

ধুসর জলছবি এর ছবি

এটাই ভাল হয়েছে। ভাবি লেখা শুরু করবে, তারপর কয়েকদিন পর আপনি তাকে প্রশ্ন করবেন "আমার লেখাটা কত দূর" । হাসি দেঁতো হাসি

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

বুদ্ধিটা কিন্তু ভালো! সে লেখা শুরু করলে আমিও বলতে শুরু করবো, "আমার লেখাটা...." হাসি

তানভীর এর ছবি

সুমন-আনিলার এলবামে একটা গান আছে -

'সবার জন্য লিখছো তুমি, আমার জন্য লিখবে কবে
কবে তোমার গল্প মাঝেও আমায় নিয়ে কথা হবে...'

আজকাল গানের লিরিক বেশিরভাগ আমার কাছে উদ্ভট লাগে (বুড়া হয়ে যাওয়ার লক্ষণ হয়তো খাইছে ), এটা রিলেট করে বেশ মজা পেলাম। হাসি

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

উদ্ভট লাগার দলে আপনি আমাকেও পাবেন হাসি । সময়টাই হয়তো এমন যাচ্ছে যে ভালো লিরিক আসছে না অথবা যারা গান করেন, তারা লিরিকের প্রতি নজর দিচ্ছেন না। তবে সুমনের গানগুলোর লিরিক আমার বেশ লাগে। এ গানটাও চমৎকার।

নৈষাদ এর ছবি

দেঁতো হাসি

আমার অনেকদিনের ইচ্ছা 'লেখালেখি, বিয়ে এবং স্পাউস'। নবীন লেখকদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে।
সচলের কিছু 'ভাল লেখক' এবং পরবর্তী বৈবাহিক অবস্থার বিশ্লেষণ করলেই ব্যাপারটা ক্লিয়ার হবে। মন খারাপ

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

এ রকম একটা গবেষণা-লব্ধ-প্রবন্ধ হলে কিন্তু দারুণ হয়। হাসি

সাফি এর ছবি

সচলের আবিয়াত্যা পুলাপাইন এম্নেই বিয়ার জন্য লাফায় সকাল বিকাল। আপনে একন বউ নিয়া মায়াময় লেখা নামাইলেন, এগুলারে তো আর বাইন্ধা রাখন ও যাইবেন না। দেঁতো হাসি

অফ টপিক, নিয়াজ ভাই ভাবী সচলে এসে পড়লে তো আর যত্রতত্র লুল ফেলা যাবেনা চোখ টিপি

ভাবী, এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যের জন্যে বিবাহ উপযুক্ত ভগ্নি থাকার প্রমাণসহ যোগাযোগ করুন, ধুগো ইন্টারন্যাশনালের সাথে।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

অফ টপিক, নিয়াজ ভাই ভাবী সচলে এসে পড়লে তো আর যত্রতত্র লুল ফেলা যাবেনা

ফেইসবুকে কারো পেইজ ভিজিট করতেও এখন চিন্তা করতে হয়। অবস্থা বড়ই করুণ মন খারাপ

ভাবী, এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যের জন্যে বিবাহ উপযুক্ত ভগ্নি থাকার প্রমাণসহ যোগাযোগ করুন, ধুগো ইন্টারন্যাশনালের সাথে।

চলুক (ভগ্নি আছে হাসি )

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেলো রাত দুটোর দিকে। দেখি বৌ বিছানায় নেই। দ্রুত লিভিং রুমে গিয়ে দেখি লাইট জ্বলছে। বৌ এর সামনে ছবি-এ্যালবাম সব ছড়ানো। সে যেভাবে মাটিতে বসে ছিল, সেভাবেই সোফায় হেলান দিয়ে বসে বসে ঘুমিয়ে পড়েছে। দুচোখে চোখের পানি গড়িয়ে পড়ার দাগ স্পষ্ট। বুঝতে অসুবিধা হলো না, সে কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়েছে।

খুব মায়া লাগলো মেয়েটার জন্যে যে তার সবকিছু বাংলাদেশে ফেলে রেখে এসেছে।
লেখাটা ভালো লেগেছে নিয়াজ।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

রিটন ভাই, আপনার মন্তব্য দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনি আমার অসম্ভব প্রিয় একজন ছড়াকার। আপনার ভালো লেগেছে জেনে তাই অনেক বেশি ভালো লাগলো আমার।

ইমা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি লেখাটা অসাধারণ হয়েছে। ভাবির জন্য লেখা চাই। দেঁতো হাসি

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

আবারও লেখা ? ওঁয়া ওঁয়া

তাপস শর্মা এর ছবি

ছুঁয়ে যাওয়া লেখা! খুবই ভালো লাগল।

যাই হোক বৌদিকে আগাম সচল শুভেচ্ছা।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

শুভেচ্ছা আমি পৌঁছে দেবো। তবে ধারণা করছি ইতিমধ্যে সে নিজেই হয়তো মন্তব্য পড়েছে।

ভালো থাকবেন।

ব্রুনো এর ছবি

বিয়ে জিনিসটা একেবারে খারাপ বলে মনে হচ্ছে না। নেমে পড়া যায়, কি বলেন? চিন্তিত

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

সে আবার বলতে! চোখ বন্ধ করে ঝাঁপ দিন। কথায় বলে না, দিল্লির লাড্ডু। খেলেও পস্তাবেন, না খেলেও পস্তাবেন। তো, পস্তাতে যখন হবেই, খেয়েই না হয় পস্তানো চোখ টিপি

তিথীডোর এর ছবি

'লেখার দিকে তাকিয়ে দেখি, এক পৃথিবী লিখব বলে একটা খাতাও শেষ করিনি!'
#জয় গোস্বামী

খুব মায়া মায়া লেখা..
আপনাদের জন্য শুভকামনা। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

জয় গোস্বামীর কবিতার লাইনটা অসম্ভব সুন্দর। অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা রইলো।

অরফিয়াস এর ছবি

নিয়াজ ভাই, লেখাতে দারুন আবেগ, ভালো লেগেছে সত্যি হাসি

ভাবীরে লেখা উপহার কেনো দেন নাই সেই অপরাধে আপনার শাস্তি নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন হাসি

আর ভাবীর নিজের লেখার অপেক্ষায় রইলাম, সাহসী পদক্ষেপ, একদম প্রথমেই বিপ্লব হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

অনেক অনেক শুভেচ্ছা হাসি । তবে আপনাদের মন্তব্য পড়ে সে এখন শাস্তি নিয়েই একপাক্ষিক-আলোচনা(!) শুরু করবে বলে মনে হচ্ছে ইয়ে, মানে...

প্রীতম  এর ছবি

ভাইয়া, বৃটেন এবং আয়ারল্যান্ড-এ উচ্চ শিক্ষা – ৪ কবে পাব?

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

আমি আসলে খুবই লজ্জ্বিত। লেখার শেষ পর্বটা নিয়ে বসাই হচ্ছে না। তবে ওটা মূলতঃ ভিসা প্রসেসিং এবং আরো কিছু আনুসাঙ্গিক বিষয় নিয়ে। স্কলারশিপ নিয়ে না।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

দারুণ লেখা!
ভাবীকে নিয়ে লেখাটা লিখে ফেলেন।
আমিও আপনাদের বৌমাকে নিয়ে একটা লেখা লিখব ঠিক করলাম। কিন্তু আপনাদের সহযোগীতা ছাড়া লিখতে পারতেছি না মন খারাপচোখ টিপি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

কী যে লিখবো সেটা ভাবতে ভাবতে আমার সারা বেলা যায়। কিন্তু এখনও ঠিক করতে পারি নাই মন খারাপ

তবে, আমি তো কিছু একটা শুরু করে দিলাম। এবার আপনার লেখার অপেক্ষায় থাকলাম। হাসি

তাসনীম এর ছবি

খুব মায়া ভরা লেখা। চমৎকার লাগলো।

বছর তিনেক আগে এক অসুখে একবারে শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে ছিলাম। ওই গৃহবন্দী সময়ে বউয়ের পরামর্শেই টুকটাক লেখা শুরু করি। সেই লেখা এখনো অব্যাহত আছে। এই রকম কতো ব্যাপারেই বেটার হাফের সুপরামর্শ নিয়েছি, কখনো কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে এক লাইনও কোথাও লিখিনি হাসি

আপনি স্ট্যান্ডার্ড সেট করে দিলেন, বিপদ সমাগত দেঁতো হাসি

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সৌরভ কবীর  এর ছবি

চলুক

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

লেখাটা পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। লিখতে গিয়ে সংকোচ বোধ করছিলাম। তবে এখন সচলায়তন পরিবারের সবার মন্তব্য দেখে অনেক ভালো লাগছে।

মন্তব্যে সহমত। আমাদের লেখায় বেটার হাফের আপাত অদৃশ্য অবদান অনেক।

স্ট্যান্ডার্ড সেট করালাম? খাইছে! আমি নিজেই তো পালিয়ে বেড়ানোর জন্যে এই লেখার অবতারণা করলাম।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

সচলে লেখালেখি তো নিজের ভালোলাগা থেকেই। অর্থাৎ নিজের জন্যই। তাঁদের জন্যও কিছু আমরা না হয় লিখি।
ধন্যবাদ আপনাকে, তাঁর জন্য লেখা এবং তাঁর প্রতি আপনার অনুভূতিটি সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য।
আরে, বউ এর প্রতিই তো ভালবাসাটা প্রকাশ করছেন, পরকিয়া তো নয়।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ। খুবই ভালো লাগলো কথাগুলো।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আপনার লেখা পড়ে ঠিক করলাম আপনাদের ভাইকে নিয়ে একটা লেখা লেখবো। খালি সুযোগ পাচ্ছি না, এই যা! দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

আমি কিন্তু পড়ার জন্যে লাইন দিয়ে দাঁড়ালাম। সুযোগ তৈরি করে ফেলুন হাসি

আশরাফুল কবীর এর ছবি

# অনেক সুন্দর, অনেক সুন্দর।।।।। রজনীগন্ধা ফুলের ঘ্রান আপনার জন্য।।।।।

>ভাল থাকুন সবসময়, ভালবাসা সর্বক্ষণ বাঘের বাচ্চা

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা। হাসি

প্রীতম  এর ছবি

লেখাটা মন ছুঁয়ে গেল। আবেগ দিয়ে লেখা সব কিছু ভালো হয়, আমি ভাবীর সাথে একমত।

সবার উপরে মানব ধর্ম তাহার উপরে নাই।

জীবে প্রেম করে জেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।

কোথাও কিন্তু ধর্মের কথা লেখা নেই। এগুলো আমাদের ভণ্ডামি।
আমার ব্যক্তিগত মতামত।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

আমারও ব্যক্তিগত মতটা অমনই। শুভেচ্ছা রইলো। হাসি

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

দারুণ, মায়াবী লেখা। লিখে ফেলেন ভাবীকে নিয়ে। এটা দিয়ে ফাকিবাজি চলবে না।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এখন আরেকটা লিখতে হবে! সে গতকাল তাই বলছিল। তার ভাষায়ও এটা নাকি ফাকিবাজি মন খারাপ

সাবেকা  এর ছবি

আহা, খুব মায়া মায়া লেখা । আবেগটা সুন্দরভাবে এসেছে। তবে এই লেখা দিয়ে ফাঁকিবাজি করলে হবে না , সত্যিকারের একটা লেখা দেন ভাবীকে নিয়ে, আমরাও মজা করে পড়ি হাসি
আর অতি অবশ্যই উনাকে লিখতে উতসাহ দিবেন । বিশেষ করে সচলায়তনে উনার লেখা পড়তে চাই ।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

আবার একটা লেখা? মন খারাপ

উৎসাহ দিচ্ছি তাকে। তবে শুরুতেই ওমন বিষয় নিয়ে লেখা দিয়ে ছাগুদের গাল শুনে না আবার লেখা বন্ধ করে দেয়, সেই ভয় পাচ্ছি।

শামীম এর ছবি

লেখাটা ভাল লাগলো।

ভাবীর কোনো স্পেশাল রেসিপি থাকলে সেটা লিখে ফেলেন .... ভাবী কিভাবে করে আর টিপিকাল পদ্ধতি কী, এর ফজিলত কী - এই দুইয়ের তুলনা থাকতে পারে।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

শামীম ভাই, আপনার পরামর্শটা আজই তাকে দেব। সে রান্না করলে অনেকটা এভাবেই করে, অর্থাৎ তারমত এবং টিপিকাল পদ্ধতি। তাকে বলবো দুটো রেসিপি দিয়ে পার্থক্য বুঝিয়ে একটা লেখা দিতে হাসি

বন্দনা এর ছবি

এমন মায়াজাগানো লিখা ভাবীকে নিয়ে। ভাবী কি এই লিখা পড়েছেন? উনি এখানে এসে মন্তব্য করলে বেশ হত। আপ্নারা দুজনে অনেক অনেক ভালো থাকুন।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

আজ তাকে ফেইসবুক থেকে কানেক্ট করিয়ে দেব। আমি নিশ্চিত আপনাদের মন্তব্যগুলো সব পড়লে সেও অনেক খুশি হবে এবং মন্তব্য করতে চাইবে।

শুভকামনার জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আপনার বউয়ের দাবীটা অতীব ন্যায্য। দাবীর প্রতি পাঁচতারা দিলাম।
আমার বউও মনে মনে চায় তাকে নিয়ে মাঝে মাঝে লিখি। কিন্তু বুঝতে হবে বিবাহপূর্ব বউকে নিয়ে পদ্য লেখা যত সহজ বিবাহত্তোর বউকে নিয়ে গদ্য লেখা তার চেয়েও কঠিন। কিন্তু এ কথা প্রকাশ্যে বললে রান্নাঘরে তালা হো হো হো

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

বিবাহপূর্ব বউকে নিয়ে পদ্য লেখা যত সহজ বিবাহত্তোর বউকে নিয়ে গদ্য লেখা তার চেয়েও কঠিন। -- এ কথা বৌ-কে কে বোঝাবে? মন খারাপ তবে বড় খাঁটি কথা!

(এ মন্তব্য দেখে না জানি আমার রান্না ঘরে আবার তালা পড়ে!!!)

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

খুবই ভালো লাগলো লেখাটা, ভাইয়া হাসি

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

সংকোচ আর জড়তা থেকে লেখা, কিন্তু ভালো লেগেছে জেনে সেই জড়তা অনেকটা কেটে গেলো হাসি

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

দুর্দান্ত ভালো লাগলো লেখাটা। যেন নিজের সংসারের ছবি দেখতে পাচ্ছিলাম! ভাবীর লেখার অপেক্ষায় রইলাম।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

প্রথমেই ধন্যবাদ। হাসি

আমিও চাই বৌ লিখুক কিন্তু শুরুতেই সে যে বিষয় বেছে নিয়েছে, তাতে ছাগসম্প্রদায়ের গাল খাবার সম্ভাবনা আছে প্রচুর। সেটা সে নিতে না পারলে হয়তো আবার লেখার আগ্রহই হারিয়ে ফেলবে। তবে সচলায়তনে সব সিরিয়াস লেখা দেখে সেও সিরিয়াস লেখাতেই বেশি আগ্রহী। দেখি সে কী দাঁড় করায় শেষ পর্যন্ত!

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

প্রতিটি ঘরেরই গল্প মনে হয় চোখ টিপি

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

দোস্তো, আর বলো না! তবে, তুমিও একটা লেখা ছাড় তাহলে হাসি

রু_ এর ছবি

দারুণ একটা লেখা। আপনারা ভাল থাকবেন।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

ভাবী লেখালেখিতে আসুক, ঐ পোস্টখান 'সম্পর্ক-বিয়ে-ধর্ম' লিখতে আপনিও সাহায্য কৈরেন। আর মন্তব্যে তো আসা সহজ, পুরনো লেখা গুলো পড়লো আর এক-দুকথা মন্তব্যে লিখে গেলো........লিখতে লিখতে লেখক............ হাসি

আর ভাবীকে নিয়ে পোস্ট কিন্তু একটা লেখা হয়ে গেলো, আরো লিখতে পারেন প্রণয়ের/বিশেষ কিছু ঘটনার গল্পের মতো করে............ দেঁতো হাসি

সচলায়তন আমার প্রিয়ও ভালো পায় কিন্তু আমি যখন সচলে বসে আর উঠতে চাই না, ফোন ধরি না, তখন কাহিনি ভিন্ন........সচলের চেয়ে খ্রাপ তার কাছে আর কিছু থাকে না..........

শুভেচ্ছা আপনাদের জন্য অনেক অনেক।


_____________________
Give Her Freedom!

সৌরভ কবীর  এর ছবি

চলুক

আশালতা এর ছবি

কি মিষ্টি একটা লেখা ! চলুক

আপনি ভাবিকে সচলে নিয়ে এসে আমাদের সাথে ভাব করিয়ে দিন। বন্ধু হয়ে গেলে উনি আমাদের সবার ওপর আর কিছুতেই রাগ করে থাকতে পারবেন না। বেশ হবে। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

খুব চমৎকার একটা লেখা। খুব ভালো লাগলো। চলুক

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

বর্ণনাগুণে আপনার লেখাটি এত প্রাঞ্জল হয়ে উঠেছে যে, দারুণ লাগল।
আর ভাবীকে লেখার জন্যে আগাম শুভেচ্ছা।

কল্যাণ এর ছবি

যাক খানিক বল ভরসা পাইলাম। ঠেলা খালি আমিই খাই না, আরো অনেকেই খায় তাইলে দেঁতো হাসি । এইবার আপনিও হাতে অস্ত্র পাইছেন, ভাবীরে তাত্তাড়ি লেখা পোস্টাইতে কন।

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।