আব্দুল গাফফার রনি এর ব্লগ

পাখিদের সুখদুখের কথা

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১১/০৬/২০১৫ - ৩:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


আমাদের মতো পাখির মনেও অনেক আনন্দ। আবার কিছু দুঃখও আছে পাখির মনে। মানুষের হাতে পাখি কষ্ট পায়। অনেক সময় না জেনেই মানুষ পাখির ক্ষতি করে। তবে পাখি মানুষের বহু উপকার করে। বীজ ছড়িয়ে পাখি বন বানায়। পোকা খেয়ে এরা গাছপালা ও ফসল বাঁচায়। বর্জ্য খেয়েও দেশটাকে সাফ রাখে। তাই আমার কোনও পাখির কষ্ট দেইনে। আমরা পাখির মঙ্গল চাই। আমরা বনের পাখিকে খাঁচায় ভরি না। পাখির ডিম ও ছানা নষ্ট করি না। পাখি কখনও শিকার করি না। বুনো পারি মাংস খাই না। পাখি দেখেই আমাদের অনেক আনন্দ। পাখির ছবি তুলে তো আরও মজা। পাখির গান শুনে আমরা খুশি হই। মুক্ত পাখি উড়তে দেখে আমাদের মন ভরে যায়।


ক্ষুদে ব্যাঙের আস্তানায়

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: রবি, ৩১/০৫/২০১৫ - ৬:৩২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

IMG_1901
এক পা করে এগোই ওই ছোট ছোট ঘাসের ফাঁক দিয়ে কী যেন উচ্চিংড়ের মতো লাফিয়ে পালিয়ে যায়। খেয়াল করে দেখি উচ্চিংড়ে নয়। ছোট্ট ছোট্ট ব্যাঙ। এতদিনে আবার দেখা। পারভেজকে বললাম, ‘থাম, ছবি তুলব।’
তুললাম ও। কিন্তু এই ছবি দেখালে কেউ বিশ্বাস করবে না এগুলো এত ছোট। অতএব একটা ধরে হাতে তুলে নিলাম।


হুকোমুখো কানকোয়া

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২৫/০৫/২০১৫ - ১২:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


বাঁশবনের নিচে শুকনো পাতার জঞ্জাল। তার ওপর খসখস করে খাদ্য খোজে ছাতারে পাখির দল। ওদের ক্যাঁচম্যাচানিতে বিরক্ত হয়ে পাখি গুলোকে তাড়িয়ে আবার ছুটতাম শাহবুলবুলির পেছনে। আনমনে ওপরের দিকে মাথা উঁচু করে খুঁজছি। হঠাৎ আবার খসখস করে উঠলো শুকনো বাঁশপাতা। এবার আর ছাতারের দল নয়। কমলা-কালচে রঙের মেশানো একটা পাখি। দ্রুত পায়ে চলে গেল। তখন শাহ বুলবুলিকে বাদ দিয়ে এর পিছু নিলাম। কিন্তু না, কোথাই হাওয়া হয়ে গেছে।


কালাধুঙ্গির আতঙ্ক-শেষ পর্ব

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১৩/০৫/২০১৫ - ৬:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মতি সিং নামের বছর ত্রিশের এক যুবক চুরাইলের খপ্পরে পড়েছিল। সকালে জঙ্গলে কাজ করতে গিয়েছিল মতি। হঠাৎ এক সুন্দরি মেয়ে উদয় হয় কোত্থেকে। তার চোখে চোখ রেখে হাতছানি দিয়ে ডাকে। চুরাইলের গল্প জানে মতি। সন্দেহ হয় তার। মেয়েটার চোখ থেকে চোখ সরিয়ে পায়ের দিকে নজর দেয়। সত্যিই মেয়েটার পায়ের পাতা পেছন দিকে ঘোরানো। মনে পড়ে যায় চুরাইলের কবল থেকে বাঁচার উপায়। সঙ্গে সঙ্গে দুহাত দিয়ে নিজের চোখ ঢেকে ফেলে মতি। শুরু হয় চুরাইলের চিৎকার। তীক্ষ্ণ রক্ত হীম করা। ভয় পেলেও চোখ খোলেনি মতি। চুরাইল চিৎকার করতে করতে বনের গভীরে চলে যায়। এক ছুটে বাড়ি ফিরে আসে মতি।
জেনে নিলাম কোন্ জঙ্গলে মতি গিয়েছিল। আঙুল দিয়ে পশ্চিম দিকটা দেখাল।


কালাধুঙ্গির আতঙ্ক-৩

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০৩/০৫/২০১৫ - ১০:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যা দেখলাম, বিস্ময়ে একেবারে ‘থ’! দুটো পায়ের ছাপ। মানুষের। খুব বড় নয়। মহিলার। কিন্তু আশ্চর্য এবং আতঙ্কের বিষয় হলো পায়ের পাতা পেছন দিকে ঘোরানো! নানুষের পায়ের ছাপ যখন ভেজা মাটিতে পড়ে তখন ডান পায়ের বুড়ো আঙুল বাঁদিকেই থাকে। সবার শেষে কড়ে আঙুল। আর বাম পায়ের একেবারে বাঁয়ে কড়ে আঙুল এবং সবার শেষে বুড়ো আঙুল। দুই পা পাশাপাশি রাখলে বুড়ো আঙুল দুটো পাশাপাশি থাকবে। ছাপের বাইরে দিকে থাকবে দুই কড়ে আঙুল। কিন্তু এখানে ঠিক তার উল্টো। দুটো ছাপ পাশাপাশি রাখলে হিসাবটা দাঁড়াবে কড়ে আঙুল দুটো পাশাপাশি আর বুড়ো আঙুল দুটো বাইরের দিকে।
শরীরে একটা শীতল স্রোত বয়ে গেল। সত্যিই তা হলে চুরাইল আছে! মাছ ধরা লোকটা কি দেখেছে তাকে। আবার জিজ্ঞেস করার জন্য পেছন দিকে ফিরলাম। কিন্তু নেই লোকটা! চারদিকটা ভালো করে দেখলাম। কোথায় গেল? এই পাহাড়ি পথে এক মিনিটে একটা লোক উধাও হয়ে যাবে! অসম্ভব? কী ঘটছে এসব!


কালাধুঙ্গির আতঙ্ক-২

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২২/০৪/২০১৫ - ৬:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

টনকপুর থাকতে চেয়েছিলাম আরও একটা দিন। রহস্যটা ভালো করে বোঝার জন্য। কিন্তু সন্ধ্যায় পাণ্ডের মোবাইলে ফোন এলো। বুধা সিংয়ের। দোকান থেকে ফোন করেছে। আশ্চর্য ব্যাপার ঘটেছে নৈনিতালেও। ওঁর চাচা কুঁয়ার সিংকে নাকি দেখা গেছে নৈনিতালে।
কথাটা বিশ্বাস হলো না আমার। বললাম, ভুল দেখেছেন। কিন্তু বুধা সিং ভগবানের দিব্যি কেটে বলল। সে সত্যিই কুঁয়ার সিংকে দেখেছে। শুধু সে-ই নয়। নৈনিতালের যেসব বুড়োরা ছোট বেলায় কানওয়ার সিংকে দেখেছে সবাই নাকি চিনতে পেরেছে তাকে।


কালাধুঙ্গির আতঙ্ক-১

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১৯/০৪/২০১৫ - ৬:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

‘কালাধুঙ্গির আতঙ্ক!’ এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম খবরটা--
‘ভারতের উত্তরাখণ্ডেডর কালাধুঙ্গিতে মানুষখেকো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকাবসীরা জানিয়েছে হঠাৎ করেই নাকি একটা কেঁদো বাঘ পাহাড়ী উপতক্যা ধরে নেমে অজ্ঞাতনামা এক যুবককে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে নৈনিতাল ফরেস্ট রেঞ্জার অমরেশ দেশাই জানিয়েছেন, গত বিশ বছরে এ ঘটনা এই প্রথম। তবে হতভাগা লোকটার কোনো পরিচয় মেলেনি।’
আমার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কালাধুঙ্গি নামটাই যথেষ্ট ছিল। মানুষখেকো বাড়তি পাওনা। ‘কালাধুঙ্গি’, ‘মানুষখেকো’ শব্দগুলো মনে আবেগের ঝড় বইয়ে দিল।


নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজে

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৬/০৪/২০১৫ - ৭:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

21
সামনে কিছুদূর এগুতেই অন্য ধরনের একটা পাখি উড়ে গেল দূরে একটা শিমুল গাছের দিকে। ওড়াটা অন্যরকম। শাহেদ-সোহানও দেখেছে। ওরাও চিনতে পারল না। ও পাখির আশা বাদ দিয়ে একটা আম বাগান লক্ষ করে এগুতে শুরু করলাম। হঠাৎ বাঁধা এলো সোহানের কাছ থেকে, ‘ভাইয়া কী পাখি দেখেন?’
চোখে পড়তে সময় লাগল, শাহেদ অনেকটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। কলা পাতায় বসে আছে অদ্ভুত সুন্দর নীল রংয়ের পাখি। আগে কখনওই দেখিনি এ পাখি। ওরাও দেখেনি। ট্রাইপড নামিয়ে ক্যামেরা ফোকাস করতে করতে পাখি উড়ে গেল ক্রাক ক্রাক ডাকতে ডাকতে। আফসোসের অন্তত নেই! একেবারে অচেনা পাখি। আছিই বা আর কদিন! এর মধ্যে পাবো কিনা তার ভরসা কোথায়।


শিয়ালের রাহাজানি

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১২/০৪/২০১৫ - ১১:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


১ এপ্রিল ২০১৫। বিকেল তখনও হয়নি। আকাশে মেঘের ঘনঘটা কয়েকদিন ধরেই। ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা মাথায় নিয়ে চললাম গাঁয়ের একেবারে পশ্চিম প্রান্তে। সকালে সেখানে একটা শাহবুলবুলি পাখি দেখে এসেছি। কিন্তু ছবি নিতে পারিনি। আজকাল এই পাখিটা বড় দুর্লভ হয়ে উঠেছে। তাই আবার ওই মাঠে অভিযান। এদিকটাই বড় বড় বাগান আছে, আছে শিমুল গাছ। হরিয়ালেরও বড় আড্ডা নাকি এদিকে। তাই একবারে অনেকগুলো ছবি নেওয়া যাবে। আমার সাথে আছে খালাতো ভাই শাহেদ।
ইছামতীর পাড়ে বড় বাগানটায় এসে শাহেদ চেঁচিয়ে উঠল, ‘ভাইয়া শিয়াল!’


বৈঁচি : কুড়ি বছর পর দেখা বুনোফল

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০৫/০৪/২০১৫ - ১১:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি: