আব্দুল গাফফার রনি এর ব্লগ

ভালোবাসা কারে কয়-১

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২০/০৪/২০১৪ - ১২:০৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

‘ভালোবাসা ভালো নয়’-- কথাটা আমার নয়, সমাজের। সমাজ যাই বলুক অর্ধেক জীবন পার করে হিসেব কষতে বসি ভালোবাসাটা শিখলাম কবে? আমার স্মৃতি বড়ই প্রখর। একেবারে দিন তারিখে হিসাব মেলাতে না পারলেও বয়স-বছরের হিসাব সে দাখিল করতে পারে। শৈশব কেটেছে ৮০-৯০ দশকে। বাংলা রোমান্টিক সিনেমার তখন রমমনা যুগ। ঠিক উত্তম-সূচিত্রার মতো প্রেমকাহিনি না হলেও তখন বড়লোকের মেয়ে ফকিরের ছেলে টাইপের সিনেমার রস গেলানো হচ্ছে ৮০ বছরের বুড়ো থেকে ৮ বছরের শিশুদের পর্যন্ত। সেই সাথে এও গেলানো হচ্ছে, প্রেম মানে পূত-পবিত্র সম্পর্ক--আদিম যৌনতা সেখানে কড়াকড়িভাবে অবাঞ্ছিত।
বুড়োদের কাছে কেমন ছিল জানি না, আমাদের কাছে সিনেমা মানে সিনেমাই। বাস্তবতার ছিটেফোঁটা সেখানে খোঁজার চেষ্টা করিনি। খুঁজব, সেই মগজ কোথায় তখন?


বাংলার তরু-লতা-গুল্ম-২৯ : কাঁঠাল

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১৫/০৪/২০১৪ - ৮:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


বৈশাখের ঘুঘু ডাকা দুপুর। নানা বাড়িতেই কাটত গরমের দিনগুলো। কাটত, মানে কাটাতাম। আমাদের গ্রামের জনসংখ্যা একটু বেশি। ঝোপ-জঙ্গলও কম। তাছাড়া মা-বাবার চোখ ফাঁকি দিয়ে গণগণে দুপুরে মাঠে বেরিয়ে পড়ার সুযোগ কম ছিল। নানা বাড়িতে ধরা বাঁধার বালাই নেই। তাছাড়া গ্রামটা একেবারে মাঠের ভেতরে। লম্বা একটা রাস্তা। দু’ধারে সার দিয়ে বসতি। বাড়ির পেছনে বাড়ি নেই। মাঠ আর মাঠ। কোথাও বুনো ঝোপে আচ্ছাদিত বাঁশবন, মাঠকে মাঠ খেজুর বাগান। বাঁশ আর উলুঘাসে একাকার হয়ে যাওয়া অবারিত প্রান্তর।


বাংলার বনফুল-১

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ০৮/০৪/২০১৪ - ৩:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


বাংলার তরু-লতা-গুল্ম-২৭ : লজ্জাবতী

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০২/০৪/২০১৪ - ৫:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


কুসুম ভরা বসন্তে-২

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৩/০৩/২০১৪ - ১১:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ঢাকা শহরের অলিতে-গলিতে ফুটে রয়েছে অজস্র ফুল। কিন্তু সেসব ফুলের ছবি তোলাও কম ঝকমারি নয়। কখনো বা হৈ হৈ করে তেড়ে আসছে দারোয়ান, কখনো পুলিশ। সাধারণ মানুষ তেড়ে না এলেও মাঝে মাঝে বাঁকা মন্তব্য করতে ছাড়ছে না।


কুসুম ভরা বসন্তে-১

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২১/০৩/২০১৪ - ১০:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


সীমান্তরেখা-৬

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৩/০৩/২০১৪ - ৬:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হুজুর এতক্ষণ হামদ-নাত গাইছিলেন। যথেষ্ট জন-সমাগম হয়েছে বুঝতে পেরে হুজুর গলার স্বরটাও বাড়ালেন। মাইক অপারেটরও বাড়িয়ে দিল মাইকের ভলিউম। হুজুর বয়ান করছেন আর মাঝে মাঝে শ্রোতাদের উদ্দেশে বলছেন--‘জোরে বলুন সোবানাল্লাহ।’
শ্রোতারাও সমস্বরে বলে উঠছে--‘সোবানাল্লাহ।’
তেমিন হুজুর কখনো বলছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ’, তখনও মুসুল্লিদের বলতে হচ্ছে সোবানাল্লাহ। মাঝে-মাঝে হুজুর শ্রোতাদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেন, ‘জোরে বলুন ঠিক কি না।’
ঠিক নয় এ কথা বলার ধৃষ্টতা বা বিদ্যা-বুদ্ধি কারো নেই। হুজুরের কথাটাকে শিরোধার্য মেনে তারা বলছে, ঠিক, ঠিক। কিন্তু হুজুর আওয়াজটা পছন্দ করলেন না। তাঁর ধারণা, মুসিল্লিরা আরো জোরে আওয়াজ দিতে পারে, কেউ কেউ হয়তো আওয়াজ করছেই না। তিবি আবার হাঁকলেন, ‘শুনিনি, আবার বলুন ঠিক কি না?’
এবার আওয়াজটা অনেক জোরালো হল। হুজুর বোধহয় এমন আওয়াজই চাইছিলেন।


ক্যামেরা কিনতে চাই, সচলদের পরামর্শ চাই আগে

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২৪/০২/২০১৪ - ৩:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বছর তিনেক আগে কিনেছিলাম স্যামস্যাং জিটিএস-৫৬০০ মডলের একটা মোবাইল ফোন। আমার সাধ্যের মধ্যে এটাই সবচেয়ে ভালো ক্যামেরার ফোন। অবশ্য ফটোগ্রাফীর উদ্দশ্যে আমার ছিল না। বুনো গাছপালার প্রতি আমার দুর্ণিবার আকর্ষণ সেই ছেলেবেলা থেকে। ফোনটা হাতে পাওয়ার পর পর অসনকটা খেলাচ্ছলে ঝোপঝাড়ের ছবি তুলতাম, বিশেষ করে গ্রামে গেলে। দু’বছরে হাজার তিনেক ছবি তোলার পর মনে হঠাৎ একদিন মনে হলো, ছবি যখন রয়েছে তখন বুনো গাছপালাগুলো নি