একটি সচিত্র সচলাড্ডা [এক্সটেন্ডেড ভার্সন]

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি
লিখেছেন অতন্দ্র প্রহরী (তারিখ: মঙ্গল, ০৪/১১/২০০৮ - ১১:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পোস্টটি পড়ার আগে অবশ্যই জেনে রাখুনঃ

সচলাড্ডায় উপস্থিত-

  • কাউকে হিংসাত্মক মনোভাব নিয়ে অভিশাপ দেওয়া যাবে না।
  • কারো খাদ্যানুভূতিতে আঘাত হানে এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না।
  • সুন্দর/সুন্দরী কাউকে দেখলে কমেন্টে বা ব্যক্তিগত মেসেজের মাধ্যমে প্রেম নিবেদন করা যাবে না।
_____________________________________

বাসা তো না, যেন একটা ফুটবল মাঠ! কিন্তু সেইটা খুঁজে পেতে যে কত ঝামেলা পোহাতে হলো তার কোন হিসাব ছিলো না! ভাগ্য ভালো সাথে অফিসের গাড়ি ছিলো, কিন্তু ড্রাইভার বা আমি, কেউই ঠিকানা চিনি না। ফোনে নজু ভাইয়ের ডিরেকশন নিয়েও চলে গেলাম ভুল রাস্তায় (এখানে বলে রাখা ভালো, উনি নাটকে যতোই ভালো ডিরেকশন দিক না কেন, রাস্তার ডিরেকশন দেওয়াতে উনি বড়োই কাঁচা!)। রাস্তার একদম শেষ মাথায় গিয়ে মনে হলো অন্য কোন দুনিয়ায় পৌঁছে গেছি! চারপাশ ঘুটঘুটে অন্ধকার! কিছু সন্দেহজনক চেহারার লোকজন তাকিতুকি করছে। ড্রাইভার ভীত গলায় বলে, “স্যার এই জায়গাডা ভালা না, আপনে কার বাসায় যাইবেন, যে এই জায়গায় থাহে!”

ড্রাইভারকে অভয় কী দিবো, ততোক্ষণে তো আমার নিজেরও সন্দেহ ঘনীভূত হতে শুরু করেছে! আসলেই তো, এ কোন জায়গা! এই জায়গায় কাউকে খুন করে পুঁতে রাখলে তো এক যুগেও তার হদিস মিলবে না! আবার ফোন করি নজু ভাইকে।

অবশেষে ঠিকানানুযায়ী পৌঁছাতে পারলাম। কৃতজ্ঞতা কিছু রিকশাওয়ালা আর নজু ভাইয়ের এলাকার এক দোকানদারকে। কিন্তু ঘড়ি তখন জানান দিচ্ছিলো নির্দিষ্ট সময়ের চাইতেও আধা ঘন্টার বেশি লেট। ভাবলাম গেটে দারোয়ান ধরলে নিজেকে “প্রহরী” পরিচয় দিয়ে ব্যাটা পাহারাদারকে ভরকায়া দিবো! কিন্তু উলটা আমি ভরকালাম সাততলার উপর থেকে নজু ভাইয়ের আন্তরিক “প্রহরী!” চিৎকারে। দেরি করে ফেলায় বাকিদের কী কথা শুনতে হবে না হবে, এসব ভাবতে ভাবতে ঢুকে পড়লাম লিফটে।

লিফট থেকে বেরোতেই দেখি একটা দরজা হা করে খোলা। কমনসেন্স বলে, এটাই নজু ভাইয়ের ফ্ল্যাট, তাও ঢুকতে গিয়েও দরজায় দাঁড়িয়ে যাই। ফিলিপস বাত্তির মতো সব দেখি ফকফকা! উকিঝুঁকি মেরে বা কান পেতে কাউকে দেখলামও না, গলার আওয়াজও পেলাম না! বুঝলাম আমিই প্রথম উপস্থিত ব্যক্তি! মনে মনে বড়োই পুলকিত হইলাম। কারণ আমার পরিচিতমহলের এতোদিনকার “সবার পরে আসে” বদনামটা ঘুচলো, পরে এটাকে রেফারেন্স হিসাবে কাজে লাগানো যাবে। তবে এটাও বুঝলাম, বাকিরা সবাই মনে-প্রাণে প্রকৃত বাঙ্গালী! সময়ের ব্যাপারে তাঁরা ঐতিহ্য ভাঙতে একদমই নারাজ!

নজু ভাই তাঁর স্পেশাল “ভুলভুলাইয়া” ফতুয়া পরে আসলেন, কোলে নিধি নামের পরীটাকে নিয়ে। মাঠে কাউকে না পেয়ে, আমিই ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়া শুরু করলাম। ভাবী তখনো রান্নাঘরে। বেশ কিছুক্ষণ পরে নজু ভাই ভাবীর সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে গিয়ে দেখলেন আমরা ইতোমধ্যেই পরিচিত হয়ে গেছি নিজে নিজেই। আমার ধারণা ছিলো নজু ভাইয়ের মতো মিশুক আর আন্তরিক মানুষ সহজে দ্বিতীয়টা পাওয়া খুবই কষ্টকর হবে। কিন্তু ভুল ভাঙলো উনার বেটার হাফ কে দেখে! বুঝলাম কেন উনি “বেটার”!

একে একে আসা শুরু করলো বাকিরা। লীলেন ভাই এলেন, তারপরেই এলো সবজান্তা। আরো কিছুক্ষণ বাদে আহমেদুর রশীদ ভাই আর ক্যামেলিয়া আপু। পান্থ’দা আর আকতার ভাই-ও। লীলেন ভাইকে দেখেই নিধি-মনি ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়লো। যে মেয়ে মা-বাবা ছাড়া কারো কাছেই যেতে চায় না, লীলেন ভাইয়ের প্রতি তার আগ্রহ দেখে যদি কেউ লীলেন ভাইকে পেশাদার ছেলেধরা (নারীবাদীরা পড়ুন- মেয়েধরা) মনে করে বসে, তাকে মনে হয় মোটেও দোষ দেওয়া যাবে না!

নজু ভাই ফেরিওয়ালার কাছ থেকে কেনা তাঁর ল্যাপটপটা ধরিয়ে দিলেন সবজান্তার হাতে, মেরামতের জন্য। ল্যাপি নাকি কথা বলে না! আরে বাপ, নজু ভাই সব কথা যেভাবে বলে দেন, ল্যাপি বেচারা তো লজ্জাতেই শব্দ করে না! সবজান্তা, আকতার ভাই আর আমি, আমরা তিনজন মিলে সাউন্ডের ড্রাইভার নিয়ে একটু গুঁতোগুঁতি করতে না করতেই ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেলো। তবে একটা কথা বলতেই হয়, সবজান্তা যেভাবে দেশী-বিদেশী লোকজনের ল্যাপটপ ঠিক করে বেড়াচ্ছে, এটাকে পার্ট-টাইম হিসাবে নিলে বেশ ভালো ইনকাম হবে ওর, প্লাস সিভি'টাও যথেষ্ট ওজনদার হবে!

এর মাঝে এক রাউন্ড চা হয়ে গেলো। আমার আবার চায়ের নেশা নাই। আর চা খেয়ে খিদা নষ্ট করবো না ভেবে বলে দিলাম যে আমি খাবো না। তখন ক্যামেলিয়া আপু বললেন, “ও ফর্সা তো, তাই মনে হয় চা খায় না, কালো হয়ে যাওয়ার ভয়ে”! শুনে তো আমি তখন মহা-আমোদিত ও পুলকিত! জীবনে প্রথমবারের মতো কেউ আমাকে ফর্সা বললো। কালা-বদনের কারো যদি নিজেকে ফর্সা শোনার কোন খায়েশ থেকে থাকে, অতি সত্ত্বর ক্যামেলিয়া আপুর সাথে যোগাযোগ করুন!

ক্যামেলিয়া আপু

কিন্তু যার জন্য এতোকিছু, তাঁরই যে কোন দেখা নাই! মৃদুল ভাই, সৈয়দ আখতারুজ্জামান ভাই, কীর্তিনাশা ভাই চলে আসলেন এর মাঝে, কিন্তু মহামান্যা প্রধান অতিথির কোন পাত্তাই নাই। চিরচেনা অবস্থাটা আবার মনে পড়ে গেলো- এক দল মানুষ বসে আছে কিন্তু প্রধান অতিথি না আসার কারণে অনুষ্ঠান শুরু করা যাচ্ছে না! তবে এটা পরিষ্কার বোঝাই যাচ্ছিলো যে, স্নিগ্ধা’পু যতোই বিদেশে থাকুক না কেনো, উনি আসলে পুরোদস্তুর বাঙ্গালী, আমাদের চেয়েও বেশি! না হলে কেউ এভাবে অক্ষরে অক্ষরে সময় মেনে চলতে পারে? তবে উনি যে আমাদের ফেলে বাইরে কোথাও খেতে বসে যাননি এটা সম্পর্কেও কিন্তু আমরা নিশ্চিত ছিলাম, কারণ সবজান্তা যে আমাদের সাথেই বসে ছিলো ওখানে!

অবশেষে তিনি এলেন, এবং জয় করলেন! কারণ খানাখাদ্যের কিছু ছিলো তাঁর কাছেই, আর ছিলো এক বয়াম মেলামিনবিহীন আম্রিকান চকলেট! নিজেই আবার সেটা ভাগবাটোয়ারাও করে দিলেন! অর্ধেকটা ছোট্ট বাচ্চা নিধির, আর বাকিটা এই বড়ো বাচ্চা আমার! তবে আমাকে বড়ো বাচ্চা বলাটা মোটেও যুক্তিসঙ্গত না! নজু ভাই আর মৃদুল ভাই থাকতে আমি খুব বড়োজোর মেজো বাচ্চা হতে পারি! নমুনা দেখুন...

দুই বড়ো বাচ্চা

বাচ্চা নজরুল

এরপরই শুরু হলো “স্নিগ্ধা পলিন ভার্সেস লীলেন ওবামা” মনোরম বিতর্ক! কেউ কারো চেয়ে কম যায় না! মাঝখান থেকে আমরা নির্মল বিনোদন পেলাম! আহা, যে এটা দেখেনি সে জানে না সে কী মিস করেছে! লাখ টাকা দিয়েও এটা পাবে না কেউ! কী বিষয় নাই যে কথা হয়নি তা নিয়ে! ফ্ল্যাজিল-ওরস্যালাইনের উপযোগিতা থেকে শুরু করে কে বেশি মুরুব্বী... আরেকটু হলে তো দু’জন চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট বের করে নিজের বয়স প্রমাণ করে দেখান আমাদের!

আধা... থুক্কু, সোয়া সচল ক্যামেলিয়া আপুর লেকচারদান-প্রীতি নিয়ে মজা করা হলো খানিকক্ষণ। লীলেন ভাই শোনালেন তাঁর যে কোন কাগজ, এমনকি সার্টিফিকেট পর্যন্ত ভাজ করে পকেটে রাখার মজার কাহিনী। সবজান্তার কাছ থেকে আমরা জানলাম মমতাজের "ট্যান্কি ফুটা" নিয়ে ওর নাজেহাল হওয়ার কাহিনী। কথা হলো “ছড়াকার” “আকতার ভাই”-য়ের ছড়া নিয়ে, পান্থ ভাইয়ের হবু নাটক নিয়ে, আখতারুজ্জামান ভাই আর কীর্তিনাশা ভাইয়ের সাইকেল ভ্রমণ নিয়ে, রশীদ ভাইয়ের শুদ্ধস্বর নিয়ে, পাশাপাশি সচলের আরো অনেকজন এবং অনেক বিষয় নিয়েও! আর মৃদুল ভাইয়ের মজার সব কান্ডকারখানা নিয়ে বলতে গেলে তো আলাদা পোস্ট দিতে হয়! ধুমায়া আড্ডা চললো! থাক, এ নিয়ে বেশি বলে বাকিদের আফসোস বাড়িয়ে কাজ নেই আর।

আড্ডা চলছে...

আড্ডা চলছেই...

তবে আড্ডার অন্যতম চমকপ্রদ ব্যাপারটা ছিলো সুপ্রিয় সন্ন্যাসী’দার সুদূর ইউক্রেন থেকে ফোন করা! এমন সারপ্রাইজে আমরা সবাই অবাক, খুশি-ও। নজু ভাই মহানন্দে পারলে লাফিয়ে প্রায় ছাদে গিয়ে ওঠেন! শুধু কথার ফাঁকে জানান, আমাদের সবাইকে সন্ন্যাসী’দা অনেক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সন্ন্যাসী’দা, কৃতজ্ঞতার সাথে আপনার শুভেচ্ছা আমরা গ্রহণ করেছি... আপনি ভাই যতোই বালিকা-অজুহাত দাঁড় করান না কেন, আপনি যে হিংসার চোটেই আমাদের বাকিদের সাথে কথা বলেননি, তা আমরা এমনিতেই বুঝতে পেরেছি!

আমার ঘোরতর সন্দেহ মৃদুল ভাই ঘটক-পাখি মার্কা কোন এজেন্সি খুলে বসেছেন। সেদিন ফেইসবুকে দেখলাম একজনকে বিয়ের টোপ গেলানোর চেষ্টা করছেন উনি। আর আড্ডার মাঝে আমাকে দেখিয়ে আবার বলছিলেন, “এরকম শান্ত-ভদ্র ছেলের (মৃদুল ভাই, এভাবে যদিও গালি দিয়েছিলেন, আমি কিন্তু মাইন্ড খাইনি!) জন্য চলেন একটা পাত্রী দেখে বিয়ে দিয়ে দেই, হাতে ভালো একটা মেয়ে আছে”। স্নিগ্ধা’পুর সদয় হস্তক্ষেপে গলায় দড়ি পরার হাত থেকে বাঁচলাম সে যাত্রা! তবে ধুগো’দা-সহ আরো কেউ যদি বিয়ে করতে ইন্টারেস্টেড হন, তাহলে মৃদুল ভাইয়ের সাথে তাড়াতাড়ি যোগাযোগ করুন!

দুই বালক

আড্ডার এক পর্যায়ে খাওয়ার সময় এসে গেলো। খাওয়া নিয়ে তো নজু ভাই তার পোস্টে বলেই দিয়েছেন সব। আমি শুধু এটুকু বলি, এই খাবার এতোই দারুন, এতোই সুস্বাদু ছিলো যে আমরা অনেকে পরদিনও এটা নিয়ে আলোচনা করেছি! ভাবীর প্রতি সীমাহীন কৃতজ্ঞতা। তবে নজু ভাইয়ের সালাদটাও খেতে বেশ ছিলো! আর তিনি বড়োই কাজের ছেলে। বিশ্বাস না হলে দেখুন নিজেই...

কাজের ছেলে নজরুল

খানাখাদ্যের একাংশ

ঘড়ির কাটার সাথে পাল্লা দিয়ে রাত বাড়ছিলো। কিন্তু কারোরই যেতে ইচ্ছা করছিলো না চমৎকার এই আড্ডা ছেড়ে। বরং আড্ডা আরো জমে উঠলো গান-বাজনার মাধ্যমে। পুরনো এক গীটার আর একটা পাতিল, সাথে মৃদুল ভাইয়ের অসাধারণ গানের গলা। আসর জমতে আর কী লাগে! গান চললো, নজু ভাইও টুং-টাং গীটারে (বে)সুর তুললেন! আরেক রাউন্ড চা-ও হয়ে গেলো। আমি এবারও খাইনি, এবারকার কারণ অবশ্য ভিন্ন... যে কমপ্লিমেন্ট পেয়েছি ক্যামেলিয়া আপুর কাছ থেকে, তারপর কী আর চা খাওয়া যায়?

বিদায় পর্ব নিয়ে বলার কিছু নাই। খুবই খারাপ লাগছিলো এই অসাধারণ মুহুর্তগুলো ফেলে বাসায় ফিরতে, মনে হচ্ছিলো যেন ওখানেই থেকে যাই। আসার আগে নজু ভাইয়ের বাসাটা আমরা ঘুরে দেখলাম। খুবই খোলামেলা, খুবই সুন্দর একটা বাসা। কেউ যদি বাড়িওয়ালাকে ইম্প্রেস করতে চান, তাহলে নজু ভাইয়ের কাছ থেকে তরিকা জেনে নিতে পারেন।

ফেরার পথে এলাম মৃদুল ভাইয়ের গাড়িতে। আকতার ভাই নেমে গেলেন আগে; এরপর আমি, কীর্তিনাশা ভাই আর মৃদুল ভাই গল্প করতে করতে ফিরলাম যার যার গন্তব্যে। এভাবেই শেষ হলো আমাদের অসাধারণ উপভোগ্য এক সচলাড্ডা সন্ধ্যা।


সবশেষেঃ
নুপুর ভাবীঃ হাসিমুখে আমাদের যাবতীয় অত্যাচার সহ্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আবার কবে আসবো? দেঁতো হাসি
নজু ভাইঃ আপনাকে কিছুই বলবো না রে ভাই! কিচ্ছু না!
স্নিগ্ধা আপুঃ আপনার ওই দুই মিনিটের কথাটুকু আমাকে কী আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে, তা বলার মতো না। আপনি অসম্ভব দারুন একজন মানুষ। বিপদে পড়লে কিন্তু আপনার কাছেই দৌঁড়াবো!
মৃদুল ভাইঃ অবশেষে আপনার সাথে দেখা হলো! অনেক ভালো লাগলো। যা ভেবেছিলাম আপনার সম্পর্কে, কোনই ভুল ছিলো না তাতে!
লীলেন ভাইঃ ডাক্তাররা বলে, আপেল খেলে নাকি হার্ট ভালো থাকে। আমার ধারণা, আপনার সাথে প্রতিদিন আধা ঘন্টা করে আড্ডা দিলে হার্ট আরো বেশি ভালো থাকবে, সাথে মনটাও!
ক্যামেলিয়া আপুঃ প্লিজ, এভাবে আমাদের ফেলে সচল ছেড়ে বেশিদিন দূরে থাকবেন না।
আকতার ভাইঃ সত্যি কইরা কন তো, আপনিই কী... চোখ টিপি
কীর্তিনাশা ভাইঃ আপনি ভাই যেভাবে কেকটা জবাই করলেন, আসলেই পার্ট-টাইম হিসাবে কোথাও কসাইয়ের কাজ করেন না তো? চোখ টিপি
আখতারুজ্জামান ভাইঃ এক্সিকিউটিভ হিসেবে আপনাকে একদমই কেমন যেন লাগে, আপনি প্লিজ ‘কবি’ হয়ে যান আবার!
সবজান্তাঃ এতো পরিষ্কার চিন্তাভাবনা আপনার, এতো দারুন লেখেন, তাও মাঝেমাঝে এরকম হতাশাবাদীর মতো কথা বলেন কেন! হাসি
পান্থ ভাইঃ আমাকে কী আপনার নাটকে একটা ছোট্ট পার্ট দিবেন? চোখ টিপি
রশীদ ভাইঃ একদিন শুদ্ধস্বরে আসবো ভাই, আপনার সাথে গল্প করতে।
রায়হান আবীরঃ আসো নাই জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, এই সুবাদে স্নিগ্ধা’পুর কাছ থেকে “ডলু নদীর হাওয়া ও অন্যান্য গল্প” বইটা আমি পেতে যাচ্ছি!
জিহাদ, মহিব, মুহাম্মদঃ তোমাদের ভেতর আমার অতীত দেখতে পেলাম, কিন্তু আমার ভেতর একবার নিজেদের ভবিষ্যতটা দেখার চেষ্টা করলেও তো পারতা!


মন্তব্য

তানভীর এর ছবি

হুম পড়লাম। বর্ণনা ভালৈছে। 'কাজের ছেলে নজরুল' - এই শিরোনামে নজু ভাই একটা বাংলা সিনেমা করতে পারে। হো হো হো

= = = = = = = = = = =
ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য
ধ্বংসের মুখোমুখি আমরা
চোখে আজ স্বপ্নের নেই নীল মদ্য
কাঠ ফাটা রোদ সেঁকে চামড়া

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

উত্তম প্রস্তাব, তানভীর ভাই! এই সিনেমাতে নজু ভাই তাঁর সমস্ত প্রতিভা খরচ করবেন, নিশ্চিত! "স্বামী কেন চাকর"-মার্কা সিনেমার কথা মনে পড়ে গেলো... হাসি আটকাতে পারছি না আর! হো হো হো

আনিস মাহমুদ এর ছবি

নিজেকে খুবই অভাগা মনে হচ্ছে।

.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...

.......................................................................................
Simply joking around...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আনিস ভাই, কী যে বলেন! নিজেকে বরং অভাগা মনে হচ্ছে আমার! আপনার সাথেও আশা করি দেখা হবে খুব তাড়াতাড়ি! দাওয়াত দিয়ে ফেলেন আমাদের... ক্যাক আর কুক পেলে আমরা যে কোন জায়গাতেই যেতে রাজি আছি! দেঁতো হাসি

আনিস মাহমুদ এর ছবি

হোক তাহলে, হয়ে যাক...
.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...

.......................................................................................
Simply joking around...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আনিস ভাই, "হোক" বললে হবে না, হওয়াতে হবে! টাইম, ভেন্যু সব জানান... আমরা দলবল নিয়ে এসে একটু ক্যাক-কুক খাই, আড্ডাই দেঁতো হাসি

[আপনার অফিস যদি গুলশান-বারিধারা'র দিকে হয়, তাহলে অবশ্য এমনিতেও দেখা করা সম্ভব যে কোন দিন]

হিমু এর ছবি

দেখি ক্যামেলিয়া আপুকে জিটকে অ্যাড করি। শুভ কাজে দেরি করা ঠিক্না।


হাঁটুপানির জলদস্যু

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ওজু করে বিসমিল্লাহ্ বলে অ্যাড করে ফেলেন! চোখ টিপি

স্নিগ্ধা এর ছবি

সুন্দর/সুন্দরী কাউকে দেখলে কমেন্টে বা ব্যক্তিগত মেসেজের মাধ্যমে প্রেম নিবেদন করা যাবে না।

কিন্তু খামচি বা ঠোনা বা গাট্টা প্রদান করা যাবে? নূপুর আর ক্যামেলিয়াকে তো আমার তাইই করার ইচ্ছা, খেয়েদেয়ে কাজ নাই সুন্দর হয়ে বসে আছে ! রেগে টং

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনার নিজের আবার কবে থেকে খামচি বা ঠোনা বা গাট্টা খাওয়ার শখ হলো!! অ্যাঁ
তাই তো আমিও বলি, আপনাদের কী খেয়ে-দেয়ে আর কোন কাজই নাই! দেঁতো হাসি

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

আখতারুজ্জামান ভাইঃ এক্সিকিউটিভ হিসেবে আপনাকে একদমই কেমন যেন লাগে, আপনি প্লিজ ‘কবি’ হয়ে যান আবার!

খালি বাইরেরটাই দ্যাখলেন!
(দাঁড়ান আবার কলম হাতে নিচ্ছি। কবিতা আমার কী বোর্ডে আসে না।)
লেখা তুফান হইছে।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কলম লাগলে ভাই খবর দিবেন খালি! ওইদিন আমরা ইকোনো ডিএক্স, রাইটার বলপেন নিয়ে কথা বলসিলাম, মনে আছে নিশ্চয়ই হাসি

আপনার 'তুফানী' কবিতা চাই তাড়াতাড়ি! দেঁতো হাসি

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

খাড়ান, সব কিছু নিয়া রেডি হইয়া আছি। খালি এখন ভাবের অপেক্ষা। ভাব আসলেই তুফান আসবে........

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনারে ভাব সাপ্লাই দিলাম... এইবার তুফান নামান! দেঁতো হাসি

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

আপনি নিজে ছবি তুলতে গিয়ে আপনার ছবি মিস করছে পাঠকরা। যদি থাকে একখানা পোষ্ট করুন না। লজ্জা কিসের!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কী দরকার বলেন! শেষে দেখা যাবে হাজারো হাজারো ব্যক্তিগত মেসেজে আমার ইনবক্স সয়লাব হয়ে যাবে! চোখ টিপি

আড্ডায় আমার ছবি নাই, আর আড্ডার বাইরের ছবি দিতে পারি, কিন্তু সেটা ঠিক মানাবে না এখানে হাসি

রণদীপম বসু এর ছবি

“স্নিগ্ধা পলিন ভার্সেস লীলেন ওবামা”

এইটা বুঝি নাই।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

এই রকম আরো যে কত কিছু মজার মজার ছিলো সেই রাতে, যা ভাষা দিয়া শুধু বিডিআর ভাই না, কেউ ই আপনারে বুঝাইতে পারবো না। কি, ঠিক কইছি না বিডিআর ভাই?

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

এক্কেবারে ঠিক কথা বলসেন... কারো পক্ষেই বোঝানো সম্ভব না ওই আড্ডাতে কী মজাটাই না করলাম আমরা! আমি তো খালি বৃথা চেষ্টা করলাম একটু ধারণা দেওয়ার... হাসি

রণ'দা, আমাদের স্নিগ্ধা'পু আর লীলেন'দা যে মনোরম বিতর্ক শুরু করসিলেন ওইদিন, সেইটাই আর কী একটু মজা করে বলার চেষ্টা করলাম... হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

প্রথম-এ ভাবছিলাম এইটা কোনো জাতীয় পত্রিকার ব্লগ সাইট... তাই ভয়ে ঢুকি নাই। পরে দেখি, না ঠিকাছে।

কানে কম শুনলে আর চোখে কম দেখলে দোষ আমার? বাকি সবাই তো একদানেই চিনলো... আপনে কোন নারীর কথা ভাবতে ভাবতে দুনিয়ার শেষ মাথায় গেছিলেন? ঠিক্কইরা কন...

ক্যামেলিয়া আপনেরে ফর্সা ক্যান কইসে বুঝতে হবে... ধাধা দিলাম দেখি বাইর করতারেন কি না...

আর নিজের ছবি না দিয়া আমার এই অঞ্জু ঘোষ মার্কা ছবি দেওনের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাই। অশ্লীষ...

কাজের ছেলে নজরুল সিনেমাটা দেখতে হবে... পছন্দ হইছে নামটা...

সত্যিই... মজাটা এত বেশি হইছিলো যে শব্দ বাক্যর ক্ষমতা নাই তা ধারণ করে। লাইভ ভিডিও করলে ভালো হইতো। ভুল হইছে... ভিডিও করলাম না কেন? আমি ব্যস্ত ছিলাম বইলা কেউ আমারে মনে করায়ে দিলো না... মন খারাপ

আর লেখা অসাধারণ হইছে... আপনাকে জাঝা... আপনাকে (বিপ্লব)

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হৈ মিয়া, "ঝিকিমিকি সাইনবোর্ড"- এইটা কোন ডিরেকশন হইলো?! আপনি যদি খালি চারমাথা'র কথা বলতেন, তাইলেও তো সহজেই বুঝতাম... এত্তো সহজ ডিরেকশনটা দিতে পারেন নাই, এখন আবার আমার কল্পনাশক্তিকে দোষারোপ করতেসেন... দেঁতো হাসি

"অঞ্জু ঘোষ" মার্কা ছবি! গড়াগড়ি দিয়া হাসি
তবে যাই কন না কেন বস, আপনার ওই বাদরামী-মার্কা ছবিগুলা যা মজারু হইসে না! নিজের ছবি দেই নাই, কারণ আছে দেঁতো হাসি
তবে আমি এখনো একটা রহস্যের সমাধান করতে পারি নাই... ছবিতে আপনাকে বাস্তবের চাইতেও এতো মোটা ক্যামনে লাগে! চিন্তিত

"কাজের ছেলে নজরুল" নামটার কপিরাইট কইরা রাখলাম তাইলে। আমাকে কিন্তু রয়্যালটির টাকা দিতে হবে চোখ টিপি

ভিডিও! এখন নিজেরে পিটাইতে ইচ্ছা করতেসে! আমি একবার আমার ক্যামেরাতেই ভিডিও করতে চাইসিলাম, কী মনে করে আর করিনি... তবে আপনাকে বললেই হইতো... খুবই ভালো হইতো ব্যাপারটা... মিস হয়া গেলো... মন খারাপ

লেখা নিয়ে যে প্রশংসা করলেন, তাতে আমি অত্যন্ত.... কী কমু... (লজ্জার স্মাইলীটার শর্টকাট ভুইলা গেছি)

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আচ্ছা... ক্যামেলিয়া আপু আমারে ফর্সা কেন বলসে, সেই ধাধাঁর উত্তর একটা মনে মনে পাইসি, কিন্তু কমু না... আপনে বলেন, দেখি মেলে কী না... দেঁতো হাসি

ঝরাপাতা এর ছবি

আপনার লেখা থেকেই আড্ডাটা উপভোগ করলাম। চমৎকার।


যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনাকে যে এই সামান্য লেখার মাধ্যমে আড্ডার আমেজটা দিতে পেরেছি, তা জেনে অসম্ভব ভালো লাগছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে... হাসি

তানবীরা এর ছবি

আসার আগে নজু ভাইয়ের বাসাটা আমরা ঘুরে দেখলাম। খুবই খোলামেলা, খুবই সুন্দর একটা বাসা। কেউ যদি বাড়িওয়ালাকে ইম্প্রেস করতে চান,

আমার যদি এমন একটা খোলামেলা বাড়ি থাকত, তাহলে আমি মন খুলে সবার জন্য পার্টি দিতাম। হ, ঈমানে কইতেছি।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমার যদি এমন একটা খোলামেলা বাড়ি থাকত, তাহলে আমি মন খুলে সবার জন্য পার্টি দিতাম। হ, ঈমানে কইতেছি।

আপনার তো দেখি কোন ঈমানই নাই! বৈদেশে এমন প্রাসাদের মতো বাড়ি নিয়া মাত্র ৩ জন মানুষ থাকেন... আর মজায় মজায় জায়ান্ট স্ক্রীনের টিভি দেখেন... খুব খারাপ... আপনে দেশে আসেন আগে... দেখেন আড্ডা কারে কয়... বাড়ি নিয়া চিন্তা কইরেন না... কথায় আছে না.. "যদি হয় সুজন, তেতুল পাতায় দশজন"... দেঁতো হাসি

অমিত আহমেদ এর ছবি
অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দারুন মন্তব্য। [স্টাইলের কপিরাইট: সন্ন্যাসী'দা] চোখ টিপি

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

খুবই চমত্কার লেখা। অতীব সরস বর্ণনা। বড়ো এই লেখাটা পড়ার পুরোটা সময়ই মুখ হাসি-হাসি হয়ে ছিল আমার। ছবিগুলোও দারুণ! আর "কাজের ছেলে নজরুল" ক্যাপশনটা ফাটাফাটি।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

সন্ন্যাসীদা, একদমই বুঝতে পারছিলাম না আপনার মন্তব্যের কী জবাব দিতে পারি! তাই সবার জবাব দেয়া শেষ করে এলাম আপনারটাতে...

"খুবই চমৎকার লেখা", "অতীব সরস বর্ণনা"- জাতীয় প্রশংসা পেয়ে, তাও আবার আপনার কাছ থেকে, আমি যে কতোটা খুশি... কতোটা... তা আপনাকে একদমই বলে বোঝাতে পারবো না... আমার অসম্ভব ভালো লাগছে... হাসি

সত্যি একটা কথা বলি, লেখাটা লিখেছি এক সচল বন্ধুর চাপে পড়েই... তাও আবার অফিসে বসে... সবার নজর এড়িয়ে... মাঝে আবার কাজের প্রয়োজনে অফিসের বাইরেও যেতে হয়েছে... তাই এতোসব ইন্টারাপশনের পরও, প্লাস অতি তাড়াহুড়োয় আমি নিজেও সন্দিহান ছিলাম কয়েক ঘন্টার ওই আড্ডার হাজারটা বিষয় কিভাবে তুলে আনা যায় লেখায়... আমার জন্য এটা অনেক কঠিন একটা কাজ ছিলো... আপনার মন্তব্যে সেই চেষ্টাকে সার্থক বলে মনে হচ্ছে...

"কাজের ছেলে নজরুল" ক্যাপশনটা আমারও পছন্দ হয়েছে... ভাবছি এটার কপিরাইট করাতে হবে... চোখ টিপি

এরপর কোন আড্ডা হলে, যদি ফোন করেন আবার, তাহলে অবশ্যই কিন্তু আমার সাথে এক মিনিট হলেও কথা বলবেন... সেদিন কিন্তু কোন বালিকা-অজুহাত মানা হবে না, বলে দিলাম! দেঁতো হাসি আর কোন একদিন কোন এক সচলাড্ডায় আপনার সাথেও আড্ডা দিতে চাই... মনের মধ্যে ইচ্ছাটা পুষে রাখলাম... হাসি

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে, আর কৃতজ্ঞতা... হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হ। মৃদুল ভাই আমারে খোঁচা দিছে কয়েকবার। কয় তাঁর নাকি কোন দুসম্পক্কের এক শালি আছে তবে কিঞ্চিৎ ইয়ে আরকি! প্রথম শব্দ শুনে এগিয়ে গেলেও শেষের শব্দ শুনে ত্রিগুণ বেগে ছুট লাগাইছি। মৃদুল ভাই আমারে দেখ হইলেই ধরে, 'কী মিয়া, উত্তর কি 'হ্যাঁ' নাকি 'না'!' আমি কিছু কইনা, বাইম মাছের মতো একটা গোত্তা দিয়া ফুট লাগাই। দেঁতো হাসি

আড্ডাটা আসলেই জমছিলো। সবার সাথে দেখা করে আসলেই ভালো লাগছে! হাসি

লেখা আগুন হইছে। ইয়া হাবিবি চলুক
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

খাইসে.. আপনারেও! চোখ টিপি
চলেন মৃদুল ভাইরে ধরি... দেখি আমাদের জন্য উনি কী পাত্রী পছন্দ করে রাখসেন... দেঁতো হাসি

আড্ডাটা আসলেই অনেক জমসিলো... সেইরম মজা হইসে! তবে সামান্য এই লেখা আর ছবির মাধ্যমে আপনাকে যে "সবার সাথে দেখা করা"-র মতো ভালো লাগা অনুভূতি দিতে পারসি, তাতেই আমি নিজেকে সার্থক মনে করতেসি... হাসি

ইয়া হাবিবি... দেঁতো হাসি

রানা মেহের এর ছবি

সবগুলো বদ
পার্টি করে খায় দায় লেখা দেয় ছবি দেয়
বদের বদ
আমার কেন যেন ধারনা ছিল নজরুল খুব কালো হবেন।
বাচ্চা নজরুলের দ্বিতীয় ছবিটা.....
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

ধুসর গোধূলি এর ছবি

-

বাচ্চা নজরুলের দ্বিতীয় ছবিটা.....
ইলিয়াস কাঞ্চনের কথা মনে পড়ে না? আমার ফেভারিট নায়িকার ফেভারিট নায়ক! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমার ফেভারিট নায়িকার ফেভারিট নায়ক! চোখ টিপি

ইলিয়াস কাঞ্চন! তা যা বললেন ধুগো'দা... হাসতে হাসতে গড়াগড়ি... গড়াগড়ি দিয়া হাসি
তবে নজু ভাইয়ের ওই বাদরামীর ছবি দুইটা আমার খুবই পছন্দ... হেভি মজারু...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

রানা আপু, আসলেই পোলাপাইনগুলা খুবই বদ! দেখেন না কেমন করে পার্টি করসে, খাইসে, মজায় মজায় আড্ডাইসে... ছবিতে যারা যারা আছেন শুধু তাঁরাই কিন্তু উপস্থিত ছিলেন ওইদিনের পার্টিতে! চোখ টিপি

তবে একটা জিনিস বুঝলাম না... নজু ভাইকে খুব কালো ভাবসিলেন কেন আপনি?! দেঁতো হাসি

রানা মেহের এর ছবি

হা হা হা!!!!!!!!!
আমার একটা গানের কথাও মনে পড়ছে।
হাজি ইলিয়াস কান্চনের না অবশ্য

এতো ছোট জনম নিয়া জগতে আসিয়া
মেটেনা মেটেনা সাধ ভালোবাসিয়া
তুমি কি সেকথা বোঝনা (টাঃ টাঃ)
আরো বেশী বেশী ভালোবাসোনা (টাঃ টাঃ)
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

এতো ছোট জনম নিয়া জগতে আসিয়া
মেটেনা মেটেনা সাধ ভালোবাসিয়া
তুমি কি সেকথা বোঝনা (টাঃ টাঃ)
আরো বেশী বেশী ভালোবাসোনা (টাঃ টাঃ)

আপনি যে বাংলা সিনেমার, আর তার গানের এমন মুগ্ধ দর্শক/শ্রোতা... তা তো জানা ছিলো না চোখ টিপি

কনফুসিয়াস এর ছবি

মনের এক্কেবারে গহীন থেকে ( মানে পাকস্থলীর একদম তলানীর কাছ থেকে) আপনাদের সবাইরে অভিশাপ দিলাম!
এক অভিশাপ, দুই অভিশাপ, তিন অভিশাপ!
------
( প্রহরী, লেখা অতীব চমৎকার হয়েছে। খুব মজা পাইছি পড়ে। কিন্তু এই অপরাধে আপনার ওপর অভিশাপের মাত্রা বেড়ে গেলো। )

একটু মন খারাপ আসলেই হলো। এই আড্ডার কথা জানা ছিলো না, জানলে অবশ্যই ফোন করে কথা বলতাম। মন খারাপ
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনি পোস্ট পাঠের নিয়ম ভঙ্গ করায় আপনাকে কাল্পনিক ব্যান করা হলো... দেঁতো হাসি
দেন দেন, যতো পারেন অভিশাপ দেন... ডরাই না... কারণ গুরুজনেরা বলে গেছেন, শকুনের অভিশাপে নাকি গরু মরে না! চোখ টিপি

কনফু ভাই, আপনার এই মন্তব্য যে আমার জন্য কতোটা আনন্দদায়ক, তা বলে বোঝাতে পারবো না! সত্যিই! আপনাকে আনন্দ দিতে পারসি জেনে, আমি যে কোন মাত্রার অভিশাপ গ্রহণ করতেও রাজি! হাসি

আমি বুঝতে পারতেসি... মন খারাপ হওয়াটাই তো স্বাভাবিক... তবে এক কাজ করতে পারেন... আপনার কোন কন্ট্যাক্ট নাম্বার আমাকে পিএম করে দিতে পারেন... তাহলে পরবর্তীতে কোন সচলাড্ডা হলে আপনাকে আগে থেকেই না হয় জানায়া দিবো... ফোন করতে পারবেন... সবার সাথে কথাও বলতে পারবেন... হাসি

তুলিরেখা [অতিথি] এর ছবি

বাপরে! বাড়ীতে নজরুল এমন সেজেগুজে থাকে নাকি?
একেবারে বাসন্তী জামা! হো হো হো)

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

নজরুল ভাইয়ের সাজুগুজুর দেখেছেন কী! চোখ টিপি ধীরে ধীরে আরো অনেক কিছুই দেখবেন... হো হো হো

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

ফাটাফাটি বর্ণনা হয়েছে প্রহরী ভাই।
খুব ভাল লাগল এই এক্সটেনশনটা পড়ার পর।
আচ্ছা, স্নিগ্ধা আপুনির কোনো ছবি পেলাম না আমরা ঘটনা কি ?
ক্যামেলিয়া আপাকে আগেই দেখেছিলাম। আর আপনি যেন কোনটা ?

--------------------------------------------------------

স্নিগ্ধা এর ছবি

বাচ্চা ভূত-কাচ্চা ভূত, যতই হা হা হি হি করে থাকি না কেনো আমি আসলে বেশ অসুস্থ ছিলাম সেদিন। মানে, বলতে চাচ্ছিলাম কি - আমার একটা ছবিও যে ভালো ওঠেনি সেটা পুরোটাই ঠান্ডা আর জ্বরের কারণে, 'আমার' কারণে না দেঁতো হাসি

আর, অতন্দ্র প্রহরীর লেখাখানা খুবই ভালো হইসে, আমিও একমত।

দয়া করে কেউ আর কোন ছবিটবি দিয়েন না রে ভাই ......

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

স্নিগ্ধা'পু, আপনি ওইদিন অসুস্থ থেকেও যে মজাটা করলেন, তার জন্য আপনাকে একটা স্পেশাল থ্যাংকস... আর চকলেটের জন্যও! [আমি কিন্তু অনেকগুলো পকেটে ভরে নিয়েও আসছিলাম..] দেঁতো হাসি

লেখাখানা আপনার খুবই ভালো লাগায় আমি যারপরনাই আনন্দিত... আফটার অল, আপনার কারণেই এই আড্ডা সম্ভব হলো... তবে আপনার কাছ থেকে পোস্ট চাই একটা! মাস্ট! প্রধান অতিথির বক্তব্য না পেলে তো আমাদের আড্ডার মজাটা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে! হাসি

ভয় নাই, ছবি আর আসবে না... [কারণ স্লো নেট নিয়ে ছবি আপলোড করতে গিয়ে কাল রাতে আমার জান কাবাব হয়ে গেছে!] চোখ টিপি

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

ও আচ্ছা,জ্বর আসলে বুঝি আপনার হাতের আঙুল এইভাবে পেখম মেলে?

---------------------------------------------------------

আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

স্নিগ্ধা এর ছবি

আসলে কি বলবো, মানে আপনাকে বলছি না - মানে বলার কিছু নেইও - মানে এটা আসলে পুরোটাই আমার দোষ -
আপনাকে যে ভুল করে ভালো-মানুষ ভেবেছিলাম, সেটা নিতান্তই আমার হাবামি ছাড়া আর কিছু না !!!

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

হায় হায় হায়।জীবনে একমাত্র সাট্টিফিকেট পাওয়ার যা একখান সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিল-তাও গেলো-একেবারে খিচুরি আর গরুর মাংসের ঝোলের ভিতর ডুবে এক্কেরে ভর্তা হয়ে গেলো।তার উপর আবার একপশলা সালাদ+খেগ+খোক।সবমিলিয়ে অনবদ্য স্যান্ডউইচ।এরই ভিতর চিড়ে চেপ্টা হয়ে গেলো আমার একমাত্র সম্ভাবনা।তারপরো এই স্যান্ডউইচটির নির্মাতা স্নিগ্ধাকে ধন্যবাদ।

---------------------------------------------------------

আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

ঘুষ হিসেবে চকলেট নাইবা দিলেন লেখাটেখা তো দিবেন রেগুলার, তাতেই হবে।

--------------------------------------------------------

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

স্নিগ্ধা'পুর কাছে ঘুষ চাচ্ছেন! দাঁড়ান, 'দুদক'-এ খবর দিচ্ছি! চোখ টিপি

রণদীপম বসু এর ছবি

আপামনি, ছবি না দিয়া অতীব ভালো কাজ করেছেন। নইলে যাগো হার্টের ব্যমো আছে তাগোর কী অবস্থা হইতো বুঝতে পারতেছেন ?
ছবি উঠার সময়ে সবসময় আপনে অসুস্থ থাইকেন ! কেমন ?

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাই ভূঁতের বাচ্চা... আপনার ভালো লাগসে জেনে আমারো খুব ভালো লাগলো... স্নিগ্ধা'পুর ছবি জরুরী বিধিমালার আইন মোতাবেক দেয়া হয়নি এখানে চোখ টিপি
আর আমাকে চিনতে পারলেন না! আরে আমি তো ওইটা.. ওই যে ক্যামেরার পেছনে দাঁড়িয়ে! চোখ টিপি

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

হুমম, ক্যামেরার পেছনটাই সবচে উপযুক্ত ধান্দাবাজির জায়গা কিনা !

--------------------------------------------------------

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

সেটা তো ভিডিও ক্যামেরা! চোখ টিপি
আমি তো স্রেফ ডিজিক্যাম দিয়ে কিছু ছবিই তুলেছি... তবে যাই বলেন, ক্যামেরার পিছে থাকার মজাই আলাদা হাসি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আড্ডায় নজু ভাই সার্টিফিকেট দিছে পান্থ আর বালক নাই। দিন কয়েক আগে অপায়া তেরোতে পা দিছে। তাই পান্থ'কে বালক বলায় তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

বারো'তে বালক হইলে কী তেরো'তে না-বালক? চিন্তিত

অতো বুঝি না.. নজু ভাইয়ের সার্টিফিকেট পাইসেন তো কী হইসে... চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট ছাড়া কাজ হবে না চোখ টিপি

নাটকের আপডেট দিয়েন নিয়মিত... দেঁতো হাসি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

নজু ভাই আমাদের বড়ো ভাই। তাকে আমরা মান্য করি। তাছাড়া তিনি সচল পাড়ার একজন মানী লোক। তার দেয়া সার্টিফিকেটকে দাম না দেয়ার ঘটনার নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে নূপুর আপা'র পরবর্তী খানাপিনায় বিডিআর'কে বয়কট করার একটি (স)বালকোচিত হুমকি দিচ্ছি ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ওরে নজু ভাই, দেখেন... আপনারে মুরুব্বী বানায়া দিলো! চোখ টিপি

পান্থ'দা, আপনি হুমকি দিলেই নূপুর ভাবী সেইটা শুনবে এমনটা ভাবতেসেন কেন! চিন্তিত অতো-শতো বুঝি না, চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট লাগবেই, না হইলে আপনাকে "বালক" বলেই আখ্যা দেওয়া হবে... দেঁতো হাসি

তবে সত্যি কথা বলি... প্রথম দেখার দিন (ওই যে বৃষ্টি হইতেসিলো... অনেক সচল উপস্থিত হইসিলাম আমরা উত্তরাতে) আপনারে যতোটা বালক মনে হইসিলো, সচলাড্ডার দিন অতোটা লাগে নাই.... মনে হয় আসলেই বড়ো হয়া যাইতেসেন! হো হো হো

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

সত্যি কইছেন, বড়ো বড়ো লাগতেছিল...
আপনার মুখে ফুলচন্দন পড়ুক। আসেন কোলাকুলি করি। আর কোরাস গাই, আমরা দু'জনে ভাই ভাই, আমাদের মাঝে কোনো বিরোধ নাই।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

সত্যিই কইসিলাম দেঁতো হাসি

আরিফ জেবতিক এর ছবি

হিমু মানুক আর না মানুক , আবার মাইনাস দাগাইলাম ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অন্য কেউ মানুক বা না মানুক, আপনার মাইনাস সাদরে গ্রহণ করা হইলো.. দেঁতো হাসি

রাফি এর ছবি

দারুন লেখা। আড্ডার এত ভালো বর্ণনা দেয়া যায় জানতাম না।
আড্ডাবিমুখ আমিও লোভে পড়ে গেলাম!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আড্ডার এত ভালো বর্ণনা দেয়া যায় জানতাম না।

রাফি ভাই, এই কমেন্ট আমি বান্ধায়া রাখবো... অবশ্যই... অনেক ধন্যবাদ আপনাকে... আর কৃতজ্ঞতা...

আর এই লেখার ভেতর দিয়ে আপনাকে আড্ডার প্রতি যদি সামান্যতমও আগ্রহী করে তুলে থাকতে পারি, তাহলে সে তো আমার জন্য এক বিশাল পাওয়া! লেখা তাহলে পুরাই সার্থক! হাসি

আপনার সম্পর্কে জানি না... ঢাকাতেই থাকেন? তাহলে পরবর্তী কোন আড্ডাতে আপনাকে অবশ্যই দেখতে চাই...

কীর্তিনাশা এর ছবি

আড্ডা বড় ভালো লাগে দেঁতো হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আবার জিগায়! দেঁতো হাসি

দৃশা এর ছবি

কুনু গজব দিমু না... কুনু বদনজর দিমু না... কুনু গীবত গামু না!!
আশা করি এরকম সচল আড্ডা আরো আসুক, আরো খানাপিনার আয়োজন হোক...আরো বেশী খানা খাইতে খাইতে আপনেরা পত্যেকে খোদার খাসিতে পরিণত হন, নূসরাত ফাতেহ আলীর নাম রাখেন (সাইজের দিক দিয়া), আপনাগোরে যেন দেইখায় মানুষ কয় "বাহ! খানেপিনে ওয়ালা পরিবারের পোলা মাইয়া এরা"।
পুস্ট উমদা হইছে।
-------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনে কিন্তু পোস্টের শুরুতে উল্লেখ করা শর্ত ভঙ্গ করসেন! দেঁতো হাসি

চিন্তা কইরেন না, এর পরের আড্ডায় আপনাকেও অবশ্যই রাখা হবে, যাতে কইরা আপনিও নূসরাত ফতেহ আলীর নাম রৌশন করতে পারেন চোখ টিপি

আপনার "উমদা" কমেন্ট পায়া আনন্দে লাফাইতে ইচ্ছা করতেছে! দেঁতো হাসি

কল্পনা আক্তার এর ছবি

পান্থ বালক!! তেরোতে পা দিছে!!! তিন কি এক এর বাম পাশে হইবো নাকি??

কেমনে কি, আউলা লাগতাছে...দয়া কইরা কেউ কি একটু বুঝাইয়া কইবেন "পান্থ কেমনে তেরো'তে পা দিলো!!

.....................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

এতো প্রশ্ন করলেন যে আমার মাথাও আউলা হয়া গেলো... পান্থ ভাই, আসেন... জনতা জানতে চায় আপনি কিভাবে ১৩-তে পা দিলেন... জবাব দিয়ে যান হো হো হো

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আমি বালক মানুষ, এতো হিসাবকিতাব বুঝি???!!!

নজরুল ভাইকে ডাকেন, সেই কইবো।
এদিকে নূপুর আপা কইছে, সেই আড্ডাতে মাত্র দু'জন কিশোর-কিশোরী ছিল। একজন পান্থ, অন্যজন নূপুর। কাজেই পান্থ'র বয়স কেমনে তের ইইলো তা জানতে নূপুর আপাকেও ডাকা যেতে পারে।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আড্ডায় নজু ভাই সার্টিফিকেট দিছে পান্থ আর বালক নাই। দিন কয়েক আগে অপায়া তেরোতে পা দিছে। তাই পান্থ'কে বালক বলায় তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

আমি বালক মানুষ, এতো হিসাবকিতাব বুঝি???!!!

পান্থ'দা, আগে আপনি ডিসাইড করেন আপনি কী বালক নাকি না... দেঁতো হাসি

চলেন আমরা আবার নূপুর ভাবীর দ্বারস্থ হই... এই প্রশ্নের উত্তর মনে হয় তিনিই দিতে পারবেন...

মুশফিকা মুমু এর ছবি

হবেনা .... হবেনা ..... খেলবনা .... মন খারাপ
আপনাদের কি আর খেয়ে দেয়ে কাজ নেই নাকি যে এত মজা করেন মন খারাপ
লেখা খুবি মজা লাগল, সাথে জেলাস ও মন খারাপ
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

না খেললে কিভাবে হবে? চোখ টিপি জোর করেই খেলায়া ছাড়বো আমরা! দেঁতো হাসি
আপনি দেশে আসলে আবার আড্ডা হবে... আর আমি তো এমনিতেও আপনার কাছে খাওয়া পাই! চোখ টিপি
সেই সচলাড্ডার পোস্ট আপনি লিখবেন... অনেক মজা হবে... হাসি

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

হায় আল্লা।আমি ভাবছিলাম প্রহরী আগামীবার এস এস সি দিবে।বুঝছি,এই ভাবে বড় বালক সেজে চকলেট হাতানোর তাল।

খুব খুব ভালো লিখেছেন অতন্দ্রী প্রহরী।

---------------------------------------------------------

আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমাকে দেখে আপনার এস.এস.সি পরীক্ষার্থী মনে হইসিলো! বাহ্, আজ তো দেখি আমারই দিন... খালি কমপ্লিমেন্ট আর কমপ্লিমেন্ট... বয়স যাতে না বাড়ে তার জন্য আমার যে কতো চিন্তা! চকলেটগুলা যা মজার ছিলো না! হাসি

আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ টুটুল ভাই... ভালো থাকবেন।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

কাজের ছেলে নজরুল... হো হো হো
এইরকম একটা জব্বর সিনেমার নাম পেট থেকে বের করার জন্য প্রহরীকে সাধুবাদ।
এই পরথম আমারো সিনেমা বানাইতে ইচ্চা করতাছে। খাইছে
আর আড্ডার এইরকম বিবরণ দেখে সত্যিই হিংসে হচ্ছে।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

সিনেমা বানাইবেন- বহুত ভালো কথা! কিন্তু আমারেও একটা ক্যারেক্টার দিতে হবে কিন্তু! দেঁতো হাসি

আড্ডার আরো অনেক মজার মজার ঘটনা আছে যেগুলা জায়গার সন্কটে উল্লেখ করা গেলো না... তবে এইটুকুতেই আপনাদের চক্ষুশূলে পরিণত হইতে পেরে আমরা অত্যন্ত আমোদিত! চোখ টিপি

পরের আড্ডায় আশা করি পাওয়া যাবে আপনাকে... আর তা না হলেও হাত/পা-ভাঙ্গা প্রোগ্রামে তো দেখা হবে নিশ্চিত! হো হো হো

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

নায়িকাটা ভালো দেইখা নিয়েন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনার কোন স্পেশাল চয়েস থাকলে এখুনি জানান দেন... চোখ টিপি

রায়হান আবীর এর ছবি

মিয়া অতি উত্তম লিখছেন। নিজের উপর পচুর মিজাজা খারাপ লাগতেছে। কি করলাম এইটা।

স্নিগ্ধা আপা কি বলছে, আমিও শুনতে চাই।

=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অতি উত্তম না আর কিছু তা জানি না, তবে তোমারে ধইরা উত্তম-মধ্যম দিতে পারলে ভালো লাগতো! রেগে টং

স্নিগ্ধা আপু বলসেন, বইটা তিনি আমাকে সানন্দে দিবেন, উইথ হার অটোগ্রাফ দেঁতো হাসি

থ্যাংকু রায়হান চোখ টিপি

[তোমাকে প্রাইভেট মেসেজ পাঠাতে গেলেই এরর মেসেজ পাই "রেসিপিয়েন্ট ডাজন্ট এক্সিস্ট"] চিন্তিত

রায়হান আবীর এর ছবি

যাইতে না দেওনের প্রতিশোধ তো পরের দিনই নিলাম। আর কি চান?

জাপানি একটা এনিমিতে দেখছিলাম টোকিও টাওয়ারকে াক করে। আমার জ্বালা মেটানোর জন্য উদয় টাওয়ারের সাথেও সেইটাই করা লাগবে।

বইটা সুন্দর মতো আমারে দিয়া দিয়েন মিয়া।
=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

তুমি না হয় ঝাল মিটাইসো, আমাদের রাগ তো আর যায় নাই... মাইর তোমাকে খাইতেই হবে! চোখ টিপি

এইসব দুষ্টু অ্যানিমি দেখা ঠিক না। ছেলেপেলে সব বিপথে যাচ্ছে! দেঁতো হাসি

আইছে বই নিতে! দূরে যাও মিয়া! হো হো হো

রায়হান আবীর এর ছবি

তুমি না হয় ঝাল মিটাইসো, আমাদের রাগ তো আর যায় নাই... মাইর তোমাকে খাইতেই হবে

কি জানি একটা কথা আছেনা, টিট ফর ট্যাট... চোখ টিপি

=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

টিট খাবা না ট্যাট... নিজেই ঠিক করো চোখ টিপি

রায়হান আবীর এর ছবি

মুড়ি খাব হো হো হো

=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

পানি খা ব্যাটা বদমাশ... হো হো হো

আনিস মাহমুদ এর ছবি

কিক ফর ক্যাক না হইলেই হয়!

.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...

.......................................................................................
Simply joking around...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

নাহ্, তা হবে না দেঁতো হাসি

স্নিগ্ধা এর ছবি

স্নিগ্ধা আপা কি বলছে, আমিও শুনতে চাই।

স্নিগ্ধা আপা বলসে - এইসব ছেলেপিলেদের ঝালমুড়ি বানানোর কৌটায় ভরে, নাগা মরিচ+বিছুটি পাতা মাখায়, ঝাকায় ঝাকায় সিধা বানানো উচিত রেগে টং

বই আমি অতন্দ্র প্রহরীকেই দিবো!

তবে, একমাত্র যদি হ্নদয়ঘটিত কোন ব্যাড়্গোড়ের কারণে না এসে থাকতে পারেন, তাইলে মাফ পাইলেও পাইতে পারেন চোখ টিপি

রায়হান আবীর এর ছবি

কোন ছেলেদের আপু? অতন্দ্র প্রহরীর মতো বদ ছেলেদের নিশ্চই। আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন। দেঁতো হাসি

=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অতন্দ্র প্রহরী বদ, না? রেগে টং
ওরে ব্যাটা বদমাইশ... স্নিগ্ধা আপু যখন তোমারে ঝালমুড়ি বানানোর কৌটায় ভরে, নাগা মরিচ+বিছুটি পাতা মাখায়, ঝাকায় ঝাকায় সিধা করবে, তখন বুঝবা "কোন ছেলে"! দেঁতো হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

থ্যাংক্যু আপু, বইটা আমাকেই দিয়েন... কবে কোথায় কিভাবে পাবো? দেঁতো হাসি
আর এইসব বদ ছেলেদের এইভাবেই শায়েস্তা করা উচিত! কোন সাহায্য লাগলে বলবেন খালি। বান্দা হাজির হয়ে যাবে! কারণ স্রেফ ভাব মাইরা ওইদিন আসে নাই পোলা'টা...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

যত্টুক জানি এই রকম রেসিপির মুড়ি হিমু খুব পছন্দ করে... এবং মাঝে মাঝেই এইরম স্বাদের মুড়ি খাইতে আকুলি বিকুলি করে... তারেও দিয়েন কিছুটা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হিমু ভাইয়ের কাছ থেকে "যত্ন করে" রান্না-বান্না শিখতে হবে... চোখ টিপি

ক্যামেলিয়া আলম এর ছবি

আমার মনিটরের পিকচার টিউব(কম্পু ভাষায় কি জানি কয়) নষ্ট হয়া গেছে-----সেদিন তো বুঝি নাই সবজান্তা ল্যাপ ঠিক করতাছে-----এখন তো মনে হচ্ছে আমার বাড়ির আয়োজনটা আগে করতে হবে -----তবে সবজান্তার সময় মত-----

আমি সারাজীবন যা পারিনি তা হচ্ছে সুন্দর করে কথা বলতে ------- তাই সুন্দর কথার মানুষ দেখলেই আমি প্রেমে পড়ি -------- স্নিগ্ধা/স্নিগ্ধা আপু ' এই রকম একটা মানুষ ---------- যে অসাধারণ মজা করতে পারে আর করাতে পারে------ এই মেয়েটি আসার আগে পর্যন্ত বাড়িটি ছিল পুরনো সচল আড্ডা ------ পা দেবার সাথে সাথেই পুরো বাড়ির চেহারা বদলে গেল ----- আর সাথে মানুষগুলো এক নিমিষেই আপন হয়ে গেল -------- মনে হচ্ছে আর ঘন্টাখানিক থাকলেই সবার গলাগলি ছবি দেখতো আড্ডার -------

আর বাকি সবার সম্পর্কে আলাদা কথা বিভিন্ন সময়ে সময়ে বলা যাবে ------ তবে একটা কথা না বলা পাপের হবে, অতন্দ্র সব সময় পাত্র পাত্র (বিবাহের) চেহারা নিয়ে হাসে --- চলে --- বসে ---- খায় ------। সেজন্যই সে চা না খেয়ে ফর্সা থাকে। আর লাজুক চোখে হাসে। যেখানে লজ্জা পাবার না সেখানেও মাথা নীচু করে লাজুক হাসি হেসে বসে থাকে (আল্লার কসম)

(দয়া করে লীলেনকে দিয়ে পাত্রী খোঁজানোর কাজটি করতে পারেন------ওর হাতে এখন বহু পাত্রীর লিস্ট আছে)

আপনার লেখা আর ছবিগুলোর জন্য -------------
(ঐ যে উপরে অনেকেই পুতুল কোত্থেকে যোগাড় করে দিছে সেইটা ভাল দেখে দিয়ে নেন-----আমি বের করতে পারিনাই আজ পর্যন্ত)
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপু, তাড়াতাড়ি একটা পার্টির আয়োজন করেন... আমরা সবাই আসি, খাই-দাই, গানা-বাজনা করি, পোস্টায়া লোকজনরে চ্যাতাই... আর সেই সাথে আপনার কম্পুও ঠিক করা হবে দেঁতো হাসি

স্নিগ্ধাপু সম্পর্কে যা বললেন, একদম আমারও মনের কথা। উনি আসার পর পুরা আড্ডার চেহারাই যেন বদলে গেলো!

তবে আমি একটা সত্যি কথা বলতে চাই, আপনাকে দেখার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই কেন যেন আপনাকে খুউব আপন কেউ মনে হইছিলো... আপনার ভেতর অদ্ভুতরকম একটা আন্তরিকতা আছে... নিশ্চয়ই অনেকের কাছেই তা শুনসেন... আর ফেরার পথে আপনার সাথে ওই আলাপটুকুও খুব ভালো লাগসে... হাসি

কী! আমি সবসময় পাত্র-পাত্র মার্কা চেহারা নিয়ে চলাফেরা করি! আমি তো নিতান্তই বোকা-সোকা মানুষ... তাই তো মাথা নিচু করে থাকি হো হো হো আপনে আমার প্রেস্টিজ পাংচার করে দিলেন... এখন আর কেউ আমার জন্য পাত্রী খুঁজবে না! এই দায়িত্ব তাই আপনাকেই দিবো ভাবতেছি চোখ টিপি
[তবে অবাক ব্যাপার, ফেইসবুকে আমার প্রোফাইল ছবিটা নিয়েও প্রায় গাদাখানেক কমেন্ট শুনতে হইসে আমারে, ওইটা নাকি জামাই-মার্কা ছবি! কই যাই!]

পুতুল-টুতুল লাগবে না, আপু... আপনার মুখের কথাই অনেক...

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

অতন্দ্র সব সময় পাত্র পাত্র (বিবাহের) চেহারা নিয়ে হাসে --- চলে --- বসে ---- খায় ------

আর বলবেন না, ক্যামেলিয়া! প্রহরী তো পুরা বর্বর! মানে বর-বর ভাব নিয়া থাকে সব সময়। কাজেই ওরে নতুন নামে ডাকা যায়: বর্বর বিডিআর দেঁতো হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

সন্ন্যাসী'দা! আপনার কী কোন ক্ষতি করসি আমি? দেঁতো হাসি
ওইদিন আড্ডাতে আখতারুজ্জামান ভাই বলতেসিলেন, আমার আসল নাম জানার পরও বিডিআর নামে ডাকতেই নাকি উনি বেশি সাচ্ছন্দ্য বোধ করেন! সচলে এরকম আরো অনেকেই আছেন আমি জানি...
ধুগো'দা আমার নাম বিডিআর দিসিলেন আমার সেই প্রথম পোস্টের পরেই... এখন আবার আপনি সেটার সাথে বর্বর লাগায়া দিলেন! আপনি তো আমাকে দেখেন নাই কখনো, তাইলে বুঝলেন ক্যামনে যে আমি আসলেই বর-বর ভাব নিয়ে ঘোরাঘুরি করি কী না! তবে যাই বলেন, নামটা খারাপ হয় নাই চোখ টিপি
আর আগেই তো একবার বলসি, গুরুজনের কথা শিরোধার্য! হো হো হো

[আমার কোন পোস্টের প্রথম শততম কমেন্টটা বোধহয় আপনাকে জবাব দিতে গিয়েই করলাম। ভালোই লাগলো] হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এতো ভণিতা করার কিছু নাই তো... কবে আসবো বলেন... আপনার সেই স্পেশাল গরুর মাংস খাইতে তো উদগ্র বাসনা নিয়া বইসা আছি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

গরুর মাংস আমারও বড়োই পছন্দের... নজু ভাই, আমারে না নিয়া কিন্তু যায়েন না দেঁতো হাসি

মাহবুব লীলেন এর ছবি

সব নাহয় ধরে নিলাম ঠিকাছে
কিন্তু স্নিগ্ধা ভাইয়া যে এক প্লেট খায় আর সাথে একটা করে বিদেশি হজমি খায় আর দশ প্লেট খাওয়ার পরে তিনটা ফ্লাজিল আর দুই প্যাকেট ওর স্যালাইন (দেশীয়) খেয়ে বাথরুম পরিদর্শন শেষ করে এসে আবার খেতে বসলো সেই বর্ণনা বাদ পড়ে গেছে

স্নিগ্ধা এর ছবি

আচ্ছা 'জ্ঞানী' লীলেন মহাশয়, "স্নিগ্ধা ভাইয়া"র ওই একপ্লেট+বিদেশী হজমি+ দশপ্লেট+ফ্লাজিল & ওর স্যালাইন = !!@# এই ফর্মূলায় খেতে ঠিক কত সময় লাগে? মানে, নিছক কৌতূহল থেকেই জানতে চাইছি আর কি, আপনি তো সারাটা সময় কেকের দিকেই তাকিয়ে ছিলেন তারপরও যে এতো কিছু খেয়াল করলেন কখন তাই ভাবছি অ্যাঁ চিন্তিত

আপনি আবার জ্ঞানের আধার কিনা, কিছু না বুঝে চোখে আঁধার দেখলেই তাই আপনার কথা মনে পড়ে দেঁতো হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

লীলেন'দা আপাতত লাপাত্তা। আপনি বরং গোয়েন্দা ঝিকিমিকি-কে নিয়োগ করেন, ঠিক-ঠিক জবাব বের হয়ে আসবে দেঁতো হাসি

রণদীপম বসু এর ছবি

লীলেন ভাই, আপনার দুরবর্তী রাশিফলে শনির প্রভাব দেখতে পাচ্ছি। নারীমুষ্ঠিতে লাঞ্ছিতদশা সন্নিকট। রমণী হইতে কমপক্ষে বিশহাত তফাতে থাকুন।

তবে রমণীদেরকে 'ভাইয়া' ডাকার মাজেজাস্বরূপ শনির দশা কাটার ইতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। আপাতত এটাই সাময়িক সমাধান। বেশি বেশি করে ডাকুন আর বাহুর দৈর্ঘ্য পরিমাণ ব্যাসার্ধ এড়াইয়া চলুন। আশা করা যায় সপ্তাহান্তে দশা কাটিয়া যাইবে।
আর হাঁ, তার আগ পর্যন্ত রমণীমুষ্ঠি হইতে দাড়িগুচ্ছকেও নিরাপদ দূরত্বে রাখুন।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

হিমু এর ছবি

আর হাঁ, তার আগ পর্যন্ত রমণীমুষ্ঠি হইতে দাড়িগুচ্ছকেও নিরাপদ দূরত্বে রাখুন।

ছবিতে দেখলাম লীলেন ভাইয়ের মাথায় ঝাঁকড়া চুলের বাবরি অনুপস্থিত। মনে হলো কোন নির্দয় রমণীমুষ্ঠির কবলে পড়ে গজারির বনে স্টেডিয়াম নির্মাণ চলছে দেঁতো হাসি ...।


হাঁটুপানির জলদস্যু

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- স্টেডিয়াম নির্মান শেষ হলে খবর দিস। ঐখানে একটা অফিশিয়াল টুয়েন্টি-টুয়েন্টি ম্যাচ আয়োজন করা হবে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

খালি স্টেডিয়ামই না, যে অবস্থা, তাতে 'অলিম্পিক ভিলেজ' বানানোটাও খুব একটা কঠিন হবে না! চোখ টিপি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

দেখতে যাবো। দেঁতো হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অবশ্যই! আপনি সাদরে আমন্ত্রিত। সঙ্গে খালি মনে করে বগুড়ার দই নিয়ে আইসেন! হো হো হো

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।