গুরুচন্ডালী - ০০৫

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর গোধূলি (তারিখ: বিষ্যুদ, ১০/০৪/২০০৮ - ১:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঘরে ঢুকে পিসি'র দিকে তাকাতেই দেখি এভিজি তার ছেলেপুলে, নাতিপুতি সহ আমার পেয়ারের ডেলের ওপর খবরদারী করছে। কপাট ভেঙে তার প্রতিটা ঘরে ঘরে হানা দিচ্ছে কী সব আবোল তাবোল সন্দেহজনক হামলাকারীর খোঁজে। পাশে তাকিয়ে দেখি দাঁত কেলিয়ে বিজয়ীর হাসি হাসছে হুকুমের আসামী, এক্ষেত্রে স্বরাস্ট্রমন্ত্রী আমারি স্বনামধন্য ছোট ভাই। ওর হাসি দেখেই আমার ভেতরটা মোচর দিয়ে উঠলো! বুঝলাম ঘটনা খারাপ, শুধু খারাপই না- বেজায় খারাপ।

হাজার চারেক সন্দেহজনক হামলাকারী খুঁজে বের করে দিয়ে যখন এভিজি সাহেব বিদেয় নিলেন, তখন ডাক পড়লো আমার। কারণটা আগেই আন্দাজ করা ছিলো। বেচারা কম্পু স্টার্ট হতে নাকি অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। ঘুরে ফিরে খালি ওয়েলকাম স্ক্রীণে চলে যায়। আমি অবশ্য আমার ডাক পড়ার আগেই হাতুরি-বাঁটাল নিয়ে রেডি হয়ে ছিলাম। ডাক পড়াটা কেবল সময়ের দাবী ছিলো মাত্র! ঘটনা নতুন না তো। এই যেমন নয়া নতুন সনি'র পি-টু হান্ড্রেড কিনে দেয়ার মাস খানেকের মধ্যে ফ্ল্যাশ গন। তারও আগে আমার স্বাধের তোশিবা স্যাটেলাইট সিরিজের কপালেও ভালো কিছু জোটেনি, পিলিপস এমপিথ্রি প্লেয়ার, গেলো তার কন্ট্রোল নষ্ট হয়ে, একটা ডেস্কটপ পড়ে আছে টেবিলের কোণায়, এগুলো অবশ্য কোনোটাই বেচারা ছোটভাইয়ের দোষ না। জিনিষ গুলোই হঠাৎ মানুষের মতো আচরণ করে বিগড়ে বসলো। সেই ধারাবাহিকতায় এই ব্যাটা ডেল ইন্সপাইরন যে গত কয়েকটা মাস কী করে সার্ভাইভ করলো সেটাই অষ্টম আশ্চর্য আমার কাছে।

রাতে ঘরে ফিরে চালিয়ে দিলাম এক্সপি। উদ্দেশ্য এভিজি মিয়া যা যা সাফা করে দিয়েছে, সেই চোর ছেচ্চরগুলোকে লাল কার্পেট সম্বর্ধণা দিয়ে ফেরৎ আনা। দুই নাম্বার উইন্ডোজে এক নাম্বার লেটেস্ট ব্রাউজার আর মিডিয়া প্লেয়ার ব্যবহার করতে গিয়ে অনেক কিছুই করতে হয়েছে দারোয়ানের চোখ ফাঁকি দিয়ে। যাইহোক, ভাগ্য অতীব সুপ্রসন্ন হলে নাকি অতলান্তিকেও চর দেখা দেয়। আমার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হলো না। ঊনচল্লিশ মিনিট রিমেইনিং নামক সাইনবোর্ডটা দীর্ঘ দু'ঘন্টা ধরে মনিটর জুড়ে ঝুলানো দেখে বুঝলাম কাজ হবে না। এরে ধরি, ও ভাই তোমার এক্সপি আছে? উত্তর আসে, পিসিই নাই- এক্সপি দিয়া কী করুম? আরেকজনরে জিজ্ঞেস করি, ভাব নিয়ে উত্তর দেয় ভিসতা ইউজ করি! আমি পড়লাম না মহা গ্যাড়াকলে!

অবশেষে, ৩২ বিটের প্রসেসর আর ৫১২ র‌‌্যাম নিয়ে একটা রিস্ক নিয়েই ফেললাম। দিলাম ভিসতার হোম এডিশন ঢুকিয়ে শালার ভেতরে। এই ভিসতা যোগার হলো এখ বিরাট ইতিহাস নিয়ে। সংক্ষেপে বলে রাখি, পুরা ফাঁকতালে পাইছি, তাও জেনুইন। একেবারে সাইনবোর্ড টানানো।

এখন, পিসিতো দুইদিন পর স্টার্ট করা গেলো কিন্তু নেটে আর ঢুকা যায় না। ঐ দিকে সাদাত অমিত তারেক লাঠি নিয়ে স্বপ্নে তাড়া করে! ডরের চোটে না ঘুমিয়ে রাত কাটাই। নেটে যাওয়াটা ফরযে ক্বেফায়া হয়ে দাড়ায়। এক্সপি'র নেটগীয়ার ভিসতায় কাজ করে না। যাদের নেট ব্যবহার করি, শালারা চৌদ্দটা থেকে বিশটা পর্যন্ত দপ্তর খোলা রাখে। চৌদ্দটা বাজতে বাজতে আমার নিজের ধৈর্য্য ঘড়ির ব্যাটারী শেষ হওয়ার পথে। সলুশন পেলাম, আমার ইমেইল একটা লিংক পাঠানো হলো। সেখান থেকে ড্রাইভার ইনস্টল করে নিলেই হলো। আমি হাসলাম। যে আমি গত আড়াই দিন ধরে নেট সেবা পাইনা তার কাছে পাঠানো হয়েছে ইমেইল, 'ব্যাটা ইতর কোথাকার'। ইতর কথাটার মানে না বুঝে ব্যাটা বলে, "ভি বিটে!" আমি বলি কিছু না, ডাংকে।

কিচেনে গিয়ে আমার সিগারেট মেইট চান্দুকে জিজ্ঞেস করলাম নেট আছে কী না। কয় কাজ করে না। সুন্দরী আনিয়াকে জিজ্ঞেস করলাম খালি মেইল চেক করবো! ছেমরি কয়, "জেয়ার টয়ার!" আমি কই, যা ফোট, মুড়ি খাগা গিয়া!

ড্রাইভার ইনস্টলড হলো। শত্তুরের মুখে পুরা ছাইয়ের স্তুপ ছড়িয়ে দিয়ে আমার নেট আবার আগের অবস্থানে ফিরে এলো। কিন্তু ঝামেলা বাধালো বত্রিশ বিট। একটা ব্রাউজার খুললেই হার্ডড্রাইভের বাতি আর নিভে না। ভাবে মনে হয় এই ব্যাটা টুয়েন্টিফোর-সেভেন সার্ভিস দেবার জন্য জানপ্রাণ! কী আর করা, এক ক্লিক করে আধা ঘন্টার একটা ঘুম দিয়ে উঠে তারপর ক্লিকের ফলাফল দেখতে পারি। মন্দ না। যাত্রা দেখার সাথে কলা বেঁচাও হয়ে যাচ্ছে আমার।

আমার স্কুল বেলায় সারাংশ লিখনে ফাঁকিবাজি এখন টেরপাই হাতেনাতে। পিসি খারাপ হইলো, এই ঘটনা লিখতে গিয়ে পুরা এক মহাকাব্য লিখে ফেললাম। এখন আমি সেই ঘটনাটা লেখি কেমনে? আরে ঐ যে সেদিন ট্রেনে কানে মোবাইলের তার ঠেসে ধরে গান শুনছিলাম যে। তারপর যে একটা কল এলো, আমার মোবাইলে সারাক্ষণই বীপ করা থাকে। সাধারণত কেউ বুঝেনা আমার কল এসেছে। এবারো তাই হলো। আমি বাইরের কন্ট্রোল থেকে রিসিভ করে কথা বলছি। ঠিক সামনে বসেছিলো দজন শুলারিন। একজন আবার দেখতে সেইরম। (আমি যে কেন শুলার হৈলাম না, আফসোস লাগে মন খারাপ ) আমি যখন কথা শুরু করলাম ফোনে, সেইরম চেহারাধারী শুলারিন ললনার চোখের সঙ্গে টু টাইমস নাইনটি ডিগ্রী এঙ্গেল। ললনা আমাকে জিজ্ঞেস করে তাকে কিছু বলছি কিনা। আমি কোনো শব্দ না করে, তার দিকে তাকিয়ে ফোনে কথা চালিয়ে যাই। মেয়েটা জবাব দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ভাষাগত অর্থোদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে ক্ষ্যান্ত দেয়। এবার আমি আস্তে করে মাথা ঝাঁকিয়ে ঠোঁট নেড়ে বুঝাই তোমাকে না, মোবাইলে কথা বলি। মেয়েটা হাসিতে ভেঙে পড়ে, মদন হওয়ার আনন্দে। দুজনেই হাসে। হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ে। ফোনে কথা শেষ করে, জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আমিও হাসি। ওদের মতো না। আমার মতো। তা দেখে তারাও হাসে। আমি খুশী হই। যাত্রা ভালো লাগে। কিন্তু সেটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। নেমে যায় সুন্দর সেই ললনা। আমি আবারও বিষাদে ডুবে যাই। নীল নয়নার ফাঁদে অল্পের জন্য পড়া হলোনা বলে আফসোস হয় বাকিটা পথ!


মন্তব্য

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

ফান্দে না পড়িয়া বগা কান্দে রে হো হো হো
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- না পড়িয়া না কিংকং, পড়িয়াই।

সব সাইট ঠিক মতো পড়তে পারি। মাগার সচলায়তনের য-ফলা, র-ফলা গুলো ভেঙে ফালাফালা হয়ে যায়। কেনো, কিছুই বুঝি না। মুক্তি ইন্স্টল করা, আইই'র ফন্টে খুঁজতে গেলে কেবল সোলাইমান আর ভৃন্দা দেখায়, বাকী গুলা পাই না। অযৌক্তিকভাবে কমপ্লেক্স স্ক্রীপ্ট ইনস্টল করতে গেছি, কান ধইরা বাইর কইরা দিছে। কয়, হালায় পাগল নি? ভিস্তা লৈয়া আইছে এই জিনিষ ইনস্টল করতে, যা ফোট!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

আমারও এই একই সমস্যা ভিসতা নিয়ে। কী উপায় কে জানে! মন খারাপ

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

স্বপ্নাহত এর ছবি

গুরু এই চান্সে শুনায়া দিল তার ঘরে কি কি আধুনিক মালমসলা আছে চোখ টিপি

সারাংশে ফাঁকি দিবার ফল আমিও টের পাই।হান্ড্রেড মিটার স্প্রিন্ট দিতে গিয়া দেখি ২৬ মাইলের ম্যারাথন হয়া গ্যাসে দেঁতো হাসি

জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আমিও হাসি। ওদের মতো না। আমার মতো।

যা কয়েছেন গুরু...

---------------------------
দুঃখ সুখের স্পর্শ নীরে
সাঁতরে বেড়াই;
নিঃসংগ এক,নিঃসংগ মেঘ।

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ঘরে কিছুই নাই গুরু, এই এক ডেল ছাড়া।
ও হে ফিলিপ্সটা আছে, তবে ওটার কাজ এখন সিম্পলী মেমোরী স্টিক হিসেবে। সনি বীন একটা ছিলো, ওটার অবস্থাও তথৈবচ, মানে নাই আরকি! পি-টু হান্ড্রেড দেশে। সম্প্রতি তার ফ্ল্যাশ ঠিক করা হয়েছে।

এইতো আর লেটেস্ট মডেলের একটা বধুভাবী খুঁজতেছি আপনাদের জন্য। পেলেই না তবে টরেটক্কা, না পেয়ে যে রোজ রোজ পাচ্ছি আমি অক্কা! মন খারাপ
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

রাগিব এর ছবি

উবান্টুর লাইভ সিডি দিয়ে কাজ শুরু করেন। ভালো লাগলে ইন্সটলই করে ফেলেন। বিড়াল দিয়ে মই টানানো আর লাগবে না ... বিশঠা বাদ দেন জলদি।

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এদিকেই ট্রাই দেয়া লাগবে রাগিব ভাই। পিসি'র ভেতরের লিমিটেড রিসোর্স নিয়েই যুদ্ধ জয়ে বেরুতে হবে। ভিসতা লাগালাম, কয়টা দিন ইউজ করেই দেখি। যখন পিসি আর চলবে না, তখন বিগ বি কে টাটা বাই বাই করে দিবো! হাসি
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

পরিবর্তনশীল এর ছবি

নেমে যায় সুন্দর সেই ললনা। আমি আবারও বিষাদে ডুবে যাই। নীল নয়নার ফাঁদে অল্পের জন্য পড়া হলোনা বলে আফসোস হয় বাকিটা পথ!

মন খারাপ

---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- গুরু, কাইন্দা তো চশমা ভিজাইয়া ফেললেন। এইবার ইট্টু মুইছ্যা লন।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

পরিবর্তনশীল এর ছবি

হ...মুছতাসি। কিন্তু লাভৈতেসেনা মন খারাপ
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

স্বপ্নাহত এর ছবি

সমস্যা তো চশমায় না,চোখে।
চোখ খুইলা টিস্যু দিয়া মুইছা আবার লাগা।
কাম শেষ হইলে আমারে একটা থ্যাংকস দিতে ভুলিস না চোখ টিপি

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- চোখ খুলবেনই যখন তাইলে টিস্যু ক্যা, এক্কেবারে কূয়ার পানিতে ভালো কইরা ধইয়া লইয়েন। যেই হাবিজাবি জিনিস দেখে, খাটনী কি আর কম হয় তাগো?
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

রায়হান আবীর এর ছবি

যাত্রা দেখার সাথে কলা বেঁচাও হয়ে যাচ্ছে আমার।

কি কলা?

আরেকটু লেখতেন। ভালৈ তো লাগছিল...

সময় কইরা একদিল ফেসবুকে আপনার লগের ঐ চোখ টিপি ললনারে নিয়া একটা পোস্ট দিয়েন...

---------------------------------
এভাবেই কেটে যাক কিছু সময়, যাক না!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কলা আমি খাই ভালো, দেখাই ভালো, ইয়েও করি ভালো তবে সবগুলার নাম জানি না। মাছের মতো প্রায় সব কলাই একই রকম লাগে। লোকে আমারে তাই কালার ব্লাইন্ড কইতে সাহস না পাইলেও কলাব্লাইন্ড ঠিকি কয় আড়ালে!

কোষ্ঠকাঠিণ্য চলতাছে বস। লেখা বাইর হয় না। বিচিকলা খাইলে যেমনটা হয় আরকি!

ফেইসবুকে কোন ললনার কথা কইন ওস্তাদ (হৈ মিয়া সবার সামনে না কৈলে হয় না!)? পোস্ট ক্যান, আপনে কৈলে ছন্দে ছন্দে তারে কোলে নিয়া দুলতেও পারি আনন্দে। চোখ টিপি
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আহারে !

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ধুসর গোধূলি এর ছবি
স্বপ্নাহত এর ছবি

হ... আমাগো এই আফার অতি দুঃখ এবং আনন্দ দুই টাইমেই আহারে! টাইপ এক্সপ্রেশন এর বাহার দেখা যায়।
মাগার কখন দুঃখে আর কখন সুখে কইতাসে সেইটা বুঝাই বিডিংগিলি ব্যাপার ইয়ে, মানে...

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

বিডিংগিলি ব্যাপার তো মনে হইবোই অখন। ক্লাস ফাঁকি দিয়া তো খালি চিপায় বইসা হাবিজাবি লেখো। কামের কথা তো কানে ঢুকবো না। নাইলে ঠিকই শুনতা টাকলু স্যারে সেদিন কি কইছে। উনি কইছিলেন " মানুষ তার অতি দুঃখ এবং আনন্দ দুই টাইমেই, মূলত একই ধরণের এক্সপ্রেশন দেখায়। যার কারণে বেদনায় মানুষ যেমন কাঁদে, তেমনি আনন্দেও তার চোখে চিকচিক করে জল। ভালবাসার রঙ তার কাছে নীল, আবার বেদনার রঙও নীল।"
আর আমি "আহারে" কইলেই নানা রঙের কথা !

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ধুসর গোধূলি এর ছবি
আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

খুব ভালো লেখা।
নস্টালজিক করে দেয়ার মতো।

ঘটনা কবে ঘটতেছে, ব্লগে জানাইয়েন ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এর মইধ্যে আবার আপনে নস্টালজিকের কী পাইলেন?
জনৈক শিমুলের মতো আপনিও মজা লৈতাছেন, না! শিমুল নামের জনগণ যে ক্যান এমন করে!! মন খারাপ

ন'য়ে নথির কথা মনে আছেতো জনাব! স'য়ে সব, ফ'য়ে ফাঁস কইরা দিমু কইলাম! চোখ টিপি
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

কনফুসিয়াস এর ছবি

ভিস্তা এক্টা আখাস্তা জিনিস!
৫১২ র‌্যামে এক্সপি যেখানে দৌড়ায়, ভিস্তা সেখানে হাই তোলে।
আমার ল্যাপটপে ভিস্তা ইউজ করি, বাধ্য হইয়া। উবুন্টু ইন্সটল করছি, কিন্তু ঐটায় যাইতে পারি না একমাত্র অভ্র-র কারণে। লিনাক্সে অভ্র ইউজ করা যায় না। ওরা যেদিন অভ্রর লিনাক্স ভার্শন বের করবো, ভিস্তাকে সেইদিন ইয়ারা নদীতে ভাসাইয়া দিয়া আসমু!

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

রাগিব এর ছবি

বাংলা উইকির একটা পেইজ এডিট মোডে খোলা রেখে দেন। ঐখানে কিন্তু অভ্র বিল্ট ইন। এই সচলায়তনেও কিন্তু অভ্র বিল্ট ইন আছে।

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

কনফুসিয়াস এর ছবি

রাগিব ভাই,
সচলায়তনের অভ্র এখনও অসম্পূর্ণ। বাংলা উইকি খোলাটা একটা বিকল্প হতে পারে অবশ্য, তবে আমার সমস্যার সমধান হবে না। অভ্র দিয়ে জিটকে লিখি, বেশি ব্যবহার করি গুগল ডক, আজাইরা সময়ে ফেইসবুকতো আছেই। গুগল ডকে কপি-পেস্ট দিয়ে কাজ হলেও জিটক বা ফেইসবুকে অনেক ঝামেলা।
এই সমস্ত হাবিজাবির কারণে ভিস্তায় আটকে আছি। অভ্রর ফোরামে আওয়াজ দিয়েছিলাম, কিন্তু তেমন সুফল পাই নি। তাই এখন গালে হাত দিয়ে অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন উপায় দেখছি না।

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কুংফু, আমি কিংবা যুবায়ের ভাই যেসব পিরোবলেম ফেস করতাছি ভিস্তা নিয়ে (সচলে), সেটা কি আপনিও ফেস করতাছেন?

সমাধান পাইয়া থাকলে আওয়াজ দিয়েন জনাব।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

কনফুসিয়াস এর ছবি

ভিস্তা নিয়ে সচলে? তেমন কোন প্রবলেম পাই নাই। কি রকম প্রবলেম জানান দেখি।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- সব সাইট ঠিক মতো পড়তে পারি। মাগার সচলায়তনের য-ফলা, র-ফলা গুলো ভেঙে ফালাফালা হয়ে যায়। কেনো, কিছুই বুঝি না। মুক্তি ইন্স্টল করা, আইই'র ফন্টে খুঁজতে গেলে কেবল সোলাইমান আর ভৃন্দা দেখায়, বাকী গুলা পাই না। অযৌক্তিকভাবে ওমনিক্রন থাইকা কমপ্লেক্স স্ক্রীপ্ট ইনস্টল করতে গেছি, কান ধইরা বাইর কইরা দিছে। কয়, হালায় পাগল নি? ভিস্তা লৈয়া আইছে এই জিনিষ ইনস্টল করতে, যা ফোট!

সমস্যার কথা জানাইতে গিয়া সম্ভাব্য সমাধানও জানাইয়া দিলাম। আপনে লুকাস ব্যাটারী কোন দোকান থাইকা কিনেন, জানাইলে বাধিত হৈতাম।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

বিপ্লব রহমান এর ছবি

সুন্দরী আনিয়াকে জিজ্ঞেস করলাম খালি মেইল চেক করবো! ছেমরি কয়, "জেয়ার টয়ার!" আমি কই, যা ফোট, মুড়ি খাগা গিয়া!

আহা রে! কী ছেমড়াটা কী হইয়া গেলো! কেম্নে কী? মন খারাপ


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আপনি কি গল্প লিখলেন না কম্পিউটার বিদ্যা জাহির করলেন?
চামে চামে তো অনেক কিছু শিখানোর ধান্দা করে ফেললেন

শোনেন
শান্তিপূর্ণ জীবন যাপনের জন্য একটা ভারো সাবকান্ট্রি দেই:
যা যা ইউজ করেন সেই জিনিসের তিনজন বিশেষজ্ঞের তিনটা ফোন নম্বর রেখে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাবেন
কোনো সমস্যা হলেই ফোন করে বলবে_ এক্ষুণি আয় বেটা ঠিক কইরা দে

তার পর ওরা যখন ঠিকঠাক করবে তখন বলবেন_ ভালো করে ঠিক না করলে কিন্তু খবর আছে
তারপর আরেকটা ঘুম দেবেন

কমিন কামলাদের মতো নিজে কম্পিউটার গুতাগুতি করতে যান কেন?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এইটা আপনে কী শোনাইলেন?
গল্পও লেখি নাই, কম্পু বিদ্যাও না। গরীবের পেরেশানির কথা কইলাম। মন খারাপ

আর জনগণ পামু কই? একটা এক্সপি'র সিডি চাইলাম, দিলো না। মেইল ইউজ করতে চাইলাম, সেইটাও দিলো না। সব হালায় স্বার্থনিজ হৈয়া গেছেগা। মন খারাপ
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

তীরন্দাজ এর ছবি

"নীল নয়নার ফাঁদে অল্পের জন্য পড়া হলোনা বলে আফসোস হয় বাকিটা পথ!"

অল্প অল্প করতে করতেই পুরোটা হয়ে যাবে।

**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- পুরোটা হবে বটে, তবে তখন পরোটায় মাখন লাগিয়ে খাওয়ার জন্য আমি আর থাকবো না তীরুদা। আমার নায়-নাতিনরা খাবে সেসব।
এইটা এট্টা দুঃখের কথা! মন খারাপ
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

অতিথি লেখক এর ছবি

ইসস...আমারও আফসোস লাগছে...।
-নিরিবিলি

ধুসর গোধূলি এর ছবি
সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

মাহবুব লীলেন লিখেছেন

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍যা যা ইউজ করেন সেই জিনিসের তিনজন বিশেষজ্ঞের তিনটা ফোন নম্বর রেখে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাবেন
কোনো সমস্যা হলেই ফোন করে বলবে_ এক্ষুণি আয় বেটা ঠিক কইরা দে

এই নীতিই মেনে চলি। তবে তিনজন নয়, আমার আছে ইউক্রেনীয় দুই বিশেষজ্ঞ-বন্ধু। কম্পিউটার বিষয়ে সকল কাজের কাজী।

নিজে কম্পু-বিশেষজ্ঞ নই, তবে আমার ওই বন্ধুদের উপদেশে ভিসতা ব্যবহারে উত্সাহ বোধ করিনি কখনও। তাছাড়া কম্পু-বিষয়ক এক ব্রিটিশ ম্যাগাজিনে ভিসতাকে গেল বছরের এক নম্বর হতাশা হিসেবে আখ্যা দেয়া একটি লেখা পড়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি: আমার এক্সপি-ই ভালো।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
কী যে করি! আবার ফোন করেছিল মাদাম ত্যুসোর মিউজিয়াম থেকে... হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ভিস্তা নিয়ে একটা ব্যাপারে আমার পূর্বানুভূতি কাজ করে। এক্সপি যখন প্রথম প্রথম এলো, সবাই নাক সিঁটকিয়েছে। ২০০০ ভালো, এক্সপি'র এটা সমস্যা- ঐটা সমস্যা, এরকম নানা কিছু। পরে একটা সময় এক্সপি হয়ে গেলো উইন্ডোজের বেস্ট প্লাটফরম। ভিস্তাও মনেহয় এরকম একটা স্টেজই পার হচ্ছে। ঝামেলা ঝোমেলা পার হৈয়া গেলে ভিস্তাও তার জায়গা করে নিবে বলে বিশ্বাস করি। কিন্তু প্রথম দিকের সমস্যা গুলো আমাদের মতো সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য হতাশাজনক।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

মুশফিকা মুমু এর ছবি

হাহাহা ।। আপনি পি সি'র গল্প খুব মজা করে লিখেছেন।
ললনা যখন এত ইন্টারেস্ট নিয়ে কথা বলল তখন আপনার উচিৎ ছিল ফোন ওফ করে তার সাথে কথা বলা, নাকি ফোনেও ছিল আরেক ললনা খাইছে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

ধুসর গোধূলি এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।