যে গল্পটা লেখা হতে পারতো অন্যভাবে - (উৎসর্গঃ শিমুল)

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর গোধূলি (তারিখ: রবি, ০১/০৬/২০০৮ - ৮:০৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গ্রীষ্ম, ২০০৪
শনিবার বিকেল, এথেন্সের কোনো একটা জায়গা।

বাতাসটা ঝিরঝিরে অবস্থায় আর নেই। হঠাৎ হঠাৎ ধপ করে এসে গায়ে ধাক্কা মেরে পেছন দিকে চলে যাচ্ছে। উজ্জ্বল শ্যামলা বর্ণের এক মানব সন্তানের কালো চশমায় চোখ ঢেকে রৌদ্রস্নানে বসে থাকা এরিয়েলে'র ঠিক যুতসই লাগছে বলে মনে হচ্ছে না। সে তার লাঠিয়াল বাহিনীকে একটু পরপরই খুঁচিয়ে যাবার জন্য পাঠাচ্ছে। উজ্জ্বল শ্যামলা বর্ণের মানব সন্তান সেদিকে নির্বিকার। বাঁকা ঠোঁটে দুষ্টু হাসি ঝুলিয়ে রেখে হাতের ট্রপিক্যাল জ্যুসের গেলাসে একটু পরপর চুমুক দিয়ে যাচ্ছে।

খুব সন্তর্পণে, বালুর সৈকতে পা ডুবিয়ে উজ্জ্বল শ্যামলা বর্ণের যুবকটির খুব কাছে গিয়ে খুঁটিয়ে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে তার চোখ বোজা। কিছু একটা ভাবছে নির্ঘাৎ। চোখের বল নড়ছে অনবরত, ঠোঁটের কোণায় লেগে থাকা হাসিটার ও রকম পরিবর্তন হচ্ছে। রোদের আঁচে গাল গুলোয় লালচে আভা ধরে এসেছে। বোতাম খোলা হাফস্লীভ শার্টের পতপত শব্দের সঙ্গে ভেসে আসে কোরাসে'র ভোঁতা সুবাস। যুবকটির পেছন থেকে ধীরে ধীরে তার ডান দিক ধরে দৃষ্টি তার দিকে নিবদ্ধ রেখে, সামনে দিয়ে ঘুরে এসে তার এলানো শরীরের সঙ্গে পঁয়তাল্লিশ ডিগ্রী কোণ তৈরী করে পিছিয়ে আসা যাক, এবারও ধীরে ধীরে।

: কী ভাবছে এই যুবক!
: হোয়াট-এভার!

ফেব্রুয়ারীর এক সকাল, কয়েক বছর আগে-
সিডনী, অস্ট্রেলিয়া।

শনিবার। সাধারণত শুক্রবার রাতে সিনেমা টিনেমা দেখে দেরী করে ঘুমানোর ফলে শনিবার দিনটা শুরু হয় একটু বেলা করেই। জুলিয়া রবার্টস প্রিয় নায়িকা। তার সঙ্গে "তুঝে দেখা তো ইয়ে জানা সানাম" গানের শ্যুটিং সবে শুরু হয়েছে, জুলিয়া ঢাকার জামদানী শাড়ি পরে, পাটক্ষেত মাড়িয়ে দৌড়ে যেই না আমার বুকে এসে ঝপাৎ করে পড়বে অমনি নোকিয়া ৫১১০ একঘেঁয়ে ঝিঁঝিঁ পোকার মতো ডাকা শুরু করলো। আর কী! জুলিয়াকে ফেলে ৫১১০কেই তুলে নিতে হলো বাধ্য হয়ে। ঘুমে ভেজা গলায় কথাও শুরু করতে হলো-

: হ্যালো...
: নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ। আমি সিজারের সঙ্গে কথা বলতে চাচ্ছি।

এবারে ঘুম একলাফে বিরাট কাঁচের জানালা দিয়ে পালিয়েছে। ধরমড় করে উঠে বিছানায় বসে-

: জ্বি, বলছি। বলো তোমার জন্য কী করতে পারি।
: উই হ্যাভ এ সিচুয়েশন...!
: দয়াকরে আমার কাছে ব্যাখ্যা করো-

ওপাশ থেকে ঘটঘট হাসি ভেসে আসে। ফাবিয়ান রিবেইরো, আমার ইমিডিয়েট বস।

: ঝটকা খেয়ে গেলা মাইট?
: তোমাকে ুদি ফাবস্। বলো কোন আনন্দে আমার ঘুমের বারোটা বাজালা?
: তুমি কি আজকে কাজ করতে পারবা, এইটা একটা প্লীজ!
: আজকে তো আমার কাজ করার কথা না। তাছাড়া আমি তো ঘুমাচ্ছি এখনো। কিছু মনে করো না। সম্ভব না বাডি, দুঃখিত।
: হ্যাঁ, অপ্রত্যাশিত ভাবেই তোমাকে ডাকতে হচ্ছে। তুমি দরকায় হয় ঘন্টাখানেক পরেই আসো, ব্যাপার না।
: দুইটার আগে পারবো না মাইট।
: ও.কে তাহলে, দুইটায় ই সই। অনেক ধন্যবাদ বাডি। তুমি আমার ুটকি বাঁচিয়েছ। দেখা হচ্ছে তাহলে।
: ইয়াপ...॥

- উইকএণ্ড, দুপুরবেলা কাজ করলে টিপস পাওয়া যায় অনেক। খুব সম্ভবত ফুল অকুপেন্সী। ঘন্টার টাকাও বেশি, টিপসের টাকায় তেলের খরচ উঠে যাবে। ভাবতে ভাবতেই বিছানা ছেড়ে তৈরী হয়ে সবেধন নীলমনি ফোর্ড ফ্যালকন ৮২তে চড়ে বসলো সিজার।

ফোর্ড ফ্যালকন, সিজারের প্রথম গাড়ি। এক হাজার ডলারে কেনা। চারটা চাকা ছাড়া যার উল্লেখযোগ্য আর কিছুই নেই। ও হ্যাঁ, আছে তো। খুব জোরে বৃষ্টি হলে ছাদ চুঁইয়ে গীয়ার বক্সের উপরে পানি পড়ে, সে পানির ছিঁটায় সীট থাকে স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে। ক্যাসেট তো দূরের কথা রেডিওই ঠিকমতো বাজে না, বাজলেও পোঁপোঁ- ফোঁসফোঁস আওয়াজের জন্য কিছুই শোনা যায় না। স্পীডক্লের লাইট নেই- অন্ধকারে তাই দেখার উপায় নেই কতো দ্রুত যাচ্ছে। সেসময় আন্দাজ আপনা আপনা, আন্দাজই ভরসা। হেডলাইট একটা জ্বলে, আরেকটা জ্বলে না। তবে হাইবীম দিলে দুইটাই জ্বলে কিন্তু তখন রাস্তার আর কিছু দেখা যায় না, সামনের গাছপালার উপরের অংশের সামান্য জায়গা ছুঁয়ে আলো চলে যায় আকাশের পানে। (কে জানে, এই গাড়ি যে বানিয়েছে তার হয়তো নভোচারী হওয়ার শখ ছিলো কিংবা নিদেনপক্ষে নাসায় কাজ করার!) প্রথম যেদিন গাড়ি নিয়ে কাজে গিয়েছিলো সিজার, ম্যানেজার (এবং বন্ধু) মাইকেল হিউস ইঞ্জিনের অবস্থা পরখ করার জন্য এক্সেলেটরে বিশাল এক চাপ দিয়ে বের হয়ে তাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যেই পেছন ফিরেছে, অমনি "জিজাস ক্রাইস্ট" বলে চিৎকার করে উঠেছে। পেছনের রাস্তায় বিশাল একটা জায়গা দখল করে রেখেছে তখন কালো ধোঁয়া!

এই হলো তার ফোর্ড ফ্যালকন। ৮২ মডেল। লাল রঙা বিশাল বপু একটা গাড়ি। একে নিয়েই রওনা দিলো প্যারামাটা রোড ধরে।

হোটেলের স্টাফ চেঞ্জিং রুমে পৌঁছতেই তাকে পেয়ে ফাবস্ দুঃখ প্রকাশ করলো ঘুম থেকে জাগানোর ফলে। সিজারও নো ওয়ারিজ বলে তৈরী হয়ে চেঞ্জিং রুম থেকে বের হয়ে করিডোরে পা ফেললো। লবিতে ঢুকার দরোজার পিতলের হাতলে হাত রেখে যখন সিজার ঢুকছে, সে তখনো জানে না আজকে তার জন্য কী এক অদ্ভুত-আনন্দদায়ক-বেদনাতুর সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে!

(চালাইলে চলতেও পারে) চোখ টিপি


মন্তব্য

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

.
দিল পরিষ্কার করে বলে ফেলেন তো কাকে উৎসর্গ করলেন?
সু.পা. শিমুল , নাকি
আ.সা. শিমুল?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হাহাহা- হোয়াট অ্যা ম্যাটার অফ কনসার্ণ! চোখ টিপি
যে শিমুলের নামটাই বলেছি, দিল সাফা করেই বলেছি। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতিথি লেখক এর ছবি

ধানাই পানাই না কইরা পরিষ্কার করে বলে ফেলেন তো কারে তেল দিলেন?
সু.পা. শিমুল , নাকি
আ.সা. শিমুল?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমারে ধানাই আর পানাইয়ের পানাহ্ দিতে গিয়ে আপনি বোধহয় নিজের নাম ভুলে গেছেন জনাবে অতিথি। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতিথি লেখক এর ছবি

বুজছি আর কইতে হইবো না,
এইহানে দিলকা খেলা শুরু হইছে (মন দেওয়া - নেওয়া)।
চালাইয়া যান, ভালই জমবো।
আমার নাম কামাল ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আরে কামাল ভাই, আপনি তো দেহি এট্টা "ক্যায়া মাল"। খেলাধূলা শুরু হৈয়া গেছে আর আপনে সাইড লাইনের তিন মিটার বাইরে! শুরু কইরা দেন আপনেও, ফি আমানিল্লাহ্! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে যে নেটে দেখছি না,
মনে কি চোট লেগেছে ?
শিমুল আপা আপানাকে একটা ধন্যবাদও দিলনা।
আহারে - আপনার জন্য খারাপ লাগছে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হ, আপনেই বুঝলেন গরীবের দুঃখ। থাক ভাই আর কাইন্দেন না। কী সজ্জন মানুষ আফনে। আসেন ভাইছাব, আপনে আমার বুকে আসেন, ইট্টু কোলাকুলি করি! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

কীর্তিনাশার সাথে একমত।
আপনি আসলেই বদবেরসিক, ধুসর।
দিলকা খেল ভেবে লোকজন একটু আনন্দ পাচ্ছিলো, দিলেন তো তার বারোটা বাজিয়ে !
এই লেখাটা যে আ. সা. শিমুলকে উৎসর্গ করা, সেটা আরো অনেকগুলো পর্ব পার করে তারপর বলা যেতো না?
(আগেরটা পরে পড়া হইলো।)

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

পরশুরামের এক গল্পে একটি চরিত্রের নাম ছিলো লালিমা পাল। সে যে পুরুষ তা বোঝাতে বলা হতো লালিমা পাল পুং! চোখ টিপি

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কিংবা লালিমা পাল আবৃত্তি অথবা লালিমা পাল সঙ্গীত শিল্পী (বাংলা আধুনিক গান)। দেঁতো হাসি

___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍এটাই কি, ভাই, একটা ট্রেলার পোস্ট?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ধুসর গোধূলি এর ছবি

-নাহ, ট্রেলার আগেরটা ছিলো।

এটা সাইজে বড় হইয়া যাইতেছিলো দেইখা ইশটপ করাইয়া দিছি। বাকীটাও হয়তো লেইখা ফেলুম, ফিলিং বুইঝা। জনগণ পড়ুক মোললে আমারে কাঁচা ডিম দেউক। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍কইতে চাইসলাম "এটাও", আর লেখসি "এটাই"। স্লিপ অফ দ্য ফিঙ্গার হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ধুসর গোধূলি এর ছবি
সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍এটা ভেম না, টাইপো।

প্রেমের কথা বলছেন? প্রেমে তো পড়েই আছি এই জীবনের হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

স্পর্শ এর ছবি

আরে মিয়া সারপ্রাইজের মাথায় আইনা ছাইড়া দিলেন যে!!
লেখা জটিল লাগতেছে। এতদিন এইরক লেখা কই ছিল??
চালান চালান। জোরে সোরে চালান। দেঁতো হাসি
[][][][][][][][][][][][][][][][][][]
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ, কোরো না পাখা।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- সারপ্রাইজ হইছে কিনা কইতে পারুম না। এই পর্যন্ত লেইখা আর ধৈর্য্যে কুলাইলো না। দেঁতো হাসি
বিসাইডস, মনে হৈতাছিলো জিনিষটা একটা হোমারীয় এপিকে রূপ নিতাছে। লম্বা জিনিষ আমি নিজেই পড়ি বাঁটে পইড়া, জনগণরে কেমনে পড়ামু? চিন্তিত

আপনের মতো দারুন এবং প্রিয় একজন লেখকের কাছ থেকে উদ্দীপনা পেয়ে ভালো লাগছে অবশ্যই। ধন্যবাদ সেজন্য।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রায়হান আবীর এর ছবি

২০০ পরিচ্ছেদের পাংখা একটা উপন্যাসের প্রথম পরিচ্ছেদ পড়লাম। গুরু জটিল। চালায়া যান। খুব গোছানো হচ্ছে।

------------------------------

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হ, ইতিহাসে শুরু হোক আরেকটা অ্যারাবিয়ান নাইটস! চোখ টিপি
গুরু, আর খাইয়া কাম নাই। আপনে কি আমারে আরব্য রজনীর দুনিয়ারজাদী (কী জানি আছিলো বেটির নাম?) পাইছেন?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সৌরভ এর ছবি

ফ্রিজে ডিম নাই। থাকলে মনিটরের উপরে মারতাম।

এইটা মাঝপথে শেষ হইলো ক্যানো?


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ফ্রিজে ডিম নাই, আমারে কইতেন। আমার থাইকা ধার নিয়া তারপর আমারেই মারতেন! চোখ টিপি
মাঝপথে শেষ হয়নাই তো, এইটা হৈলো ইশটপ! ফুলুশটপ না কৈলাম! চোখ টিপি

সালাম দিতে ভুইলা গেছিলাম। দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

এনকিদু এর ছবি

শুরু তো ভালই করেছেন মাইট, দেখি কি খেল দেখান আপনি ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

ধুসর গোধূলি এর ছবি
তীরন্দাজ এর ছবি

কেইস বেশ জটিল মনে হচ্ছে। খোলাসা করেন, আর চালাইয়া যান!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কাজী মোতাহার হোসেন কইছিলেন, বিশেষতঃ সমর কাণ্ড যেমন জটিল তেমনি কুটিল!

আপনি কি তীরুদা এই লেখায় যে দুই ক্ষেত্রে কোনো অন্যায় নাই তার একটার গন্ধ খুঁজে পাইছেন! চিন্তিত
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রেনেট এর ছবি

না চালাইলে কিন্তু খবর আছে!
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

ধুসর গোধূলি এর ছবি
মুশফিকা মুমু এর ছবি

ফেব্রুয়ারী, কয়েক বছর আগে- সিডনী, অস্ট্রেলিয়া।

মাত্র কয়েক বছর আগে সিডনী আসলেন আর দেখা করলেন না? খাইছে
লেখা অবশ্যই চলতে হবে, আসল ঘটনাইতো বললেন না ....
-------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হারুন কিসিঞ্জারের একটা কৌতুক মনে পড়ে গেলো রুটি বিষয়ে। দুই বন্ধুর প্রবল জেরার মুখে অন্য বন্ধুটি বলছিলো, "তোগোরে ডাকছি কি আর কম? কী করুম ক', তোরা তো একজন চতুর্থ আসমানে আরেকজন পঞ্চম আসমানে বিচরণ করতাছিলি। মর্ত্য থাইকা আমার ডাক তোগো কানে পৌঁছাইলে তো!"

এই কৌতুকটা হঠাৎই মনে পড়ে গেলো। এর সঙ্গে এই পোস্ট কিংবা তোমার কমেন্টের কোনো সাজশ নেই। খাইছে

লেখা চলতে পারে। পাঠিকার আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতিথি লেখক এর ছবি

ধুসর গোধূলি-
অশ্লীল শব্দটা ছাড়াই তো গল্পটার বাঁধুনী চমৎকার মনে হয়! নাকি ওই শব্দটা কাহিনীটাকে নতুন কোনো মর্যাদায় আসীন করলো। বুঝতে পারতে সি না।
অশ্লীল শব্দের ব্যবহার সাহিত্যিক আমেজ নষ্ট করে দেয় বলেই আমার মত অনেকেরই মনে হতে পারে। আপনি কি একমত?
আর যদি দ্বিমত থাকে, তাহলে এক বালতি দুধে এক ফোঁটা গো-চোনা- কোন দৃষ্টিতে দেখবেন? ধন্যবাদ।
-জুলিয়ান সিদ্দিকী

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

শব্দে শ্লীল-অশ্লীলতার বিচার অনেক জটিল প্রসঙ্গ। এই লেখায় যে শব্দগুলির দিকে ইঙ্গিত করছেন বলে অনুমান করি, সেগুলি ইংরেজির সরাসরি বঙ্গানুবাদ, ওদের কাছে এ ধরনের শব্দগুলি প্রতিদিনের ব্যবহার্য সাধারণ শব্দ।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- জুবায়ের ভাই সম্পূর্ণরূপে আমার ভাবনাকে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা তাঁর প্রতি। চলুক
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

খবর করার দলে আমারও নাম রেজিষ্ট্রেশান করালাম। থুক্কু, 'রেজিষ্ট্রেশান' বইলা ফালাইছি, মানে, নাম লেখালাম (দেশে এখন আবার রেজিষ্ট্রেশানের হিড়িক পড়ছে কিনা, কথায় কথায় শব্দটা চইলা আসে)।

অতিথি লেখক এর ছবি

এতক্ষণ ধইরা পড়তাছি লেখাটা।ভাবছি কিনা কি হইবো। কিন্তু আতকা এইডা কোন যায়গায় আইসা থামাইলেন ধুগো ভাই? আপনি তো একটা বদবেরসিক। তারাতারি লেইখা ফালান নাইলে কিন্তুক মিনিট হিসাব কইরা টেকা দিতে হইবো - কয়া দিলাম।

কীর্তিনাশা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কোন জায়গায় থামলো আবার? পিতলের হাতলে আইসাই তো থামছে (আমি আবারো চেক করে দেখলাম)। চোখ টিপি

কত টেকা মিনিট আমারে পে করবেন বস? দেইখেন গরীবরে ঠকাইয়েন না কইলাম! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ভোর রাতে নাজিল হওয়া জিনিসে বিশ্বাস নাই। শয়তানও স্বপ্ন দেখায়।

পরের পর্বের অপেক্ষায়।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- খাইছে, এক্কারে আলেকজান্ডার বো'র লাহান পোজ দিছেন দেখি জনাব। চোখ টিপি

আপনার উৎসাহ অনেক বড় উপরী! গুরু গুরু
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রণদীপম বসু এর ছবি

চাইরদিকে আউলা রোগে পাইছে দেখছি ! পচা ডিম যে মারুম, যদি দেখি পচা ভাইবা ভালাটাই মাইরা দিছি, তহন তো শালার আফসোস কইরাও ডিম ফেরৎ পামু না। মারি কেমনে ?
তয় গাড়ি চলতে থাকলে আমার ডিমও বাঁইচা যায়, আর.... । হুঁম !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- গাড়িও চলুক, ডিমও মারেন। পরে নাহয় দুইজনে যাত্রাবাড়ির কোণায় বইসা সেই ডিমে অমলেট বানায়া খামুনে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দশদিন বসায়া একটা যাও দিলো... তাও আবার আধাটা... একটা জোক্স মনে আইছিলো... কিন্তু এইখানে দেখলাম শ্লীল অশ্লীল বিবেচনা হইতেছে... এইসবের থেকা আমি দূরেই থাকি...
কিন্তু পরের পর্ব কই?
পাঠ দেখান না? জলদি ছাড়েন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আরে নজু ভাই, কীসের শ্লীল কীসের অশ্লীল। ছাইড়া দেন যা ছাড়ার। না শুনলে ঠিক করুম কেমনে কী কৈতে চাইলেন। এমনও তো হৈতে পারে আপনে (সাবেক প্রধানমন্ত্রীর) ওমরাহ্ হজ্জ্ব করার কথা কওয়া শুরু করলেন। আগে তো শুনি! হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

হিমু এর ছবি

সিজারকে আমি বিলক্ষণ চিনি। সে মোটেও উজ্জ্বল শ্যামলা নয়, বরং নীলচে গুলাবি। এইসব ভুলভাল গোঁজামিল দিয়ে উপন্যাস লেখার পেছনে কী অসদুদ্দেশ্য কাজ করছে জনগণ তা জানতে চায়।


হাঁটুপানির জলদস্যু

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- দোস্ত, তোমারে তো দেখি গল্পের কাহিনী রাইখা ভেতরে অঙ্গুলী প্রবিষ্ট করণের আমার সেই খাইষ্টা রোগটায় পাইয়া বসছে! হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

জনগন জানতে চায়...হু!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- রাজপথে কোনো তাফালিং নয়।
জনগণের দাবী-দাওয়া নিয়ে সংসদে আসুন মাননীয় বিরোধী দল।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তানবীরা এর ছবি

২০০৪ সালে এথেন্স, তারও কয়েক বছর আগে সিডনী। নায়ক কি বুড়া? যদি বুইড়া হয়, তাহলে এই গল্পে আমার আগ্রহ নাই ঃ-}

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- সালটা দুইহাজার ছিলো, আঠারশো সনের কথা বলছিনা তো! চোখ টিপি
তবে আইডিয়াটা ভালোই দিছেন। ব্যাটাকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসা যায় হেলেন, প্যারিস, একিলিসদের সময় থেকে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মুশফিকা মুমু এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
নায়ক সিজারকেতো তানবীরা আপু বুইড়া বানায়ে দিল গড়াগড়ি দিয়া হাসি
আসলেই নায়ক সিজারের বয়সও জনগন জানতে চায় খাইছে
-------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

ধুসর গোধূলি এর ছবি
দ্রোহী এর ছবি

হিমুর মন্তব্যের পর কেমন জানি সন্দেহ হইতেছে। সিজারকে মনে হয় চিনতে পারতেছি!!!


কি মাঝি? ডরাইলা?

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অমিত আহমেদ এর ছবি

এই হৈলো পরে পড়ার সুধিধা...
নেক্সট পর্বে যাইগা...


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।