বাগদত্তা

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর গোধূলি (তারিখ: শনি, ০৬/১২/২০০৮ - ৯:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[ এটাকে কেউ এই লেখাটার সিক্যুয়েল বলেও মনে করতে পারেন। ]

: বুঝলি, জীবনটা এতো সোজা নারে।

আমার মতো হীরক ভাগ্নে ফেলে রেখে চশমার কাঁচ তুলে ঘঁষাঘঁষি করতে করতে (কালো ফ্রেমের রিমলেস চশমাটার কাঁচ সুগন্ধি টিস্যুতে মুছতে মুছতে) মতি মামা বলেন। আমি সুস্থিরের অভিনয় করে পিঠাপিঠি মতি মামার বড়োয়ানা লক্ষ্য করি। অনেক বছর পর মতিমামা দেশে ফিরেছেন। সেই উইম্পি ট্র্যাজেডির পর। মতি মামার নায়িকা 'টেষ্টে'ও নতুনত্ব এসেছে বুঝলাম। সে কথায় পরে আসছি।

তো চশমাটা নাকের ডগায় তুলে দিয়ে মতি মামা বলে চলেন, "অনেক চোরাই গলি আছে, অনেক ঘুলঘুলিয়া আছে, অনেক প্রেম ভালোবাসা আছে, তাই অনেক কষ্টও আছে জীবনে। এগুলো পায়ে পিষেই তবে সামনে এগিয়ে যেতে হয়। ঘর বসতির পত্তন করতে হয়, সংসার সাজাতে হয়।"

মতি মামার কথার লাইন ধরতে এমনিতেই আমার খানিক কসরত করতে হয়। কিন্তু তাঁর বেলাইনের কথার মর্মার্থ ধরতে আমাকে হাঁটুজল থেকে ক্রমে মাংকি ক্রলিং করে গলা পানিতে নামতে হচ্ছে এযাত্রা। প্রশ্ন করিনা। কে জানে চশমা চোখে ভারিক্কি চেহারার মতি মামা আমার বুদ্ধির দৌড় নিয়ে হালকার ওপর ঝাপসা লেকচার মেরে বসেন কীনা! তাও বিড়ালের মতো মিঁউমিঁউ করি, "ইয়ে, মামা একটু খুলে বলো না!"

"তোর আক্কেলের তো আর উন্নতি হলো না দেখি। আই কিউ কতো তোর? দশ?"

আমি আবারো মিনমিন করি, "ছিলো তো ভালোই। এখনতো মনে হচ্ছে দশেরও নিচে!"

মতি মামা চোখ পাঁকান, আমি ঢোঁক গিলি।

দুপুরে খাওয়ার পর আমি চ্যানেল ভি খুলে বসি। "জবরস্ত হিটসে" মাধূরীর ইয়ে ধাকধাক নাচ দেখার আশায়। মতি মামাও এসে যোগ দেন।

বুঝলি, সোনালী একটা ইয়ে একেবারে!
আমি প্রশ্নবোধক দৃষ্টি নিয়ে তাকাই। 'মামা, তুমি কি উইম্পি সীন ভুলে গেলা? এই রকম কথার কারণেই তো...'

মতি মামা আমার কথা শেষ করতে দেন না, "এই হচ্ছে তোদের নিয়ে এক জ্বালা। সারাক্ষণ অতীত নিয়ে পড়ে থাকিস। খালি অতীত নিয়ে কপচামী। এই জন্যই এই অবস্থা!" - মতি মামা ঝলসে ওঠেন।

আমি আবার মিঁউমিঁউ করে মিইয়ে যাই। চোখ বড় করে টিভির দিকে তাকাই। সোনালী বেন্দ্রের মাঝে 'ইয়ে' খোঁজার চেষ্টায় মন দেই।

মতি মামা আমাকে সবক দিতে থাকেন। না কোনো ধর্মগ্রন্থের বানী না। মামা আমাকে সবক দেন কী করে, ঠিক কোন এঙ্গেল থেকে মিস বেন্দ্রেকে দেখলে 'ঠিকঠাক' দেখা যায়, কোমরের কোথায় হঠাৎ একটু ঢালু হয়ে ঠিক তার পরেই খাড়ি হয়ে উঠে গেলো, তীক্ষ্ণ চিবুকের ঠিক কোন জায়গাটায় তাকাতে হবে, ব্ল্যাশিং গাল বেয়ে (হাত দিয়ে না, চোখ দিয়ে) ওপরে উঠে যেতে হবে ভুঁরু আর কপালের সৌন্দর্য উপভোগ করতে! আমি বুঝতে পারি, মনের কোণা থেকে মাধুরীকে হটিয়ে সেখানে ধীরে ধীরে জায়গা করে নিচ্ছে মিস বেন্দ্রে, ফ্রাউ সোনালি বেন্দ্রে। ঐদিকে মাধূরীও অবশ্য মা-কালী'র উদ্ধত মূর্তিরূপ ধারণ করেছেন, চুলোচুলি চলছে দুইজনে, দুই বলিউডি সৌন্দর্যে। সেদিকে মনোযোগ না দিয়ে আমি আপাততঃ মতি মামার কথায় মন দেই।

হঠাৎ মতি মামার কথার প্লট বৃটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে এসে থামে। বলিউড থেকে কোনো টিকেট ছাড়াই কথা কেমনে বৃটিশ এয়ারওয়েজে উঠে গেলো, এই ভেবে আমি একটু পেরেশান হই। প্রশ্নবোধক দৃষ্টি নিয়ে মতি মামার দিকে তাকাতেই মামা অগ্নিদৃষ্টি দিলেন। আমি ঢোঁক গিলে নিজেকে বুঝালাম, "এইটা বুঝতে হবে, বুঝে ইজি থাকতে হবে...!

মামা বকে যান।

এটা তার জীবন থেকে নেয়া। সেই ফ্লাইটেই পরিচয় হয় বিমানবালা সেঁজুতি ইসলামের সঙ্গে। মতি মামা ভুল করে ফেলেছিলেন, বুঝি স্বয়ং বোম্বে থেকে সোনালি বেন্দ্রেকেই ইমপোর্ট করা হয়েছে মতি মামার সার্ভিসের খাতিরে। মামা তখন উইম্পি ঘটনার সেই দগদগে ঘা নিয়ে বৈদেশ যাচ্ছেন বনবাসে। কিন্তু এই বেন্দ্রে রূপী বঙ্গললনাকে দেখে মতি মামার বহুল আলোচিত লেডি কিলিং খোমা ঝিলিক দিয়ে ওঠে। এস কিস মি, বলে আগুয়ান হন মামা। সেঁজুতি বেন্দ্রেও সেইরকম ত্যাড়া হাসি দিয়ে মতি মামার ভার্চুয়াল কোলে পটাশ করে বসে পড়েন। ব্যস হয়ে গেলো! এর পরের ঘটনাসমূহ বাই মতি মামা ইন ডিটেইল প্রোভাইডেড না বলে জানা গেলো না।

তবে সংক্ষেপে মতি মামা যা জানালেন তা হলো। সেঁজুতি যখনই ফ্লাইটে মতি মামার প্রবাসী শহরে যেতো, দুজন একসঙ্গে রাস্তায় ফুঁচকা খেতো, রিক্সা করে ঘুরতো, ভাঁপা পিঠা খেতো- মানে একসঙ্গেই সময় কাটাতো তারা। কয়েকদিন মতি মামার কাছে থেকে সেঁজুতি আবার দেশে ফিরে যেতো। আবার পরের মাসে তার ফ্লাইট থাকতো। এভাবেই কাটছিলো দিন-মাস-বছরগুলো। মতি মামার দিল থেকে দিক ধাক ধাক করা মাধুরী বিদায় নিলো, সোনালি বেন্দ্রেও নক-আউট হলো, নতুন এন্ট্রি হলো সেঁজুতি ইসলাম!

কিন্তু মতি মামা যায় বঙ্গে, কপাল যায় সঙ্গে। সেঁজুতি প্রেম তার সইবে কেনো? হঠাৎ একদিন মতি মামা তার ঠিকানায় একখানা পত্র আবিষ্কার করলেন। প্রেরকের ঠিকানায়, শ্রীমতি মোসাম্মৎ সেঁজুতি ইসলাম। মতি মামা খামে চুমো টুমো খেয়ে চিঠি খোলেন, এবং পড়েন-

" ডিয়ার মতি,

তোমাকে ঠকানোর কোনো ইচ্ছে নেই, ছিলোও না আমার। কিন্তু কী করবো বলো। কোনো ঘোর প্যাচে না গিয়ে খুব সরাসরিই বলি তোমাকে। আমার দুঃসম্পর্কের এক কাজিনের সঙ্গে পরিচয় হলো সেদিন। সে আমাকে প্রপোজ করলো। আমি রাজী হয়ে গেলাম। আমি খুব খুব খুবই দুঃখিত তোমাকে হার্ট করার জন্য। কিন্তু বিশ্বাস করো, আমার কিছুই করার নাই। আউল্লাভিউ, অলওয়েজ...

সেঁজুতি"

মতি মামা এই পর্যন্ত বলে তব্দা খেয়ে থাকলেন কিছুক্ষণ।

আমি সব শুনে বললাম। ব্যাপার না মামা। মেয়ে মানুষ হলো টিস্যু পেপার, একটা গেলে আসবে হাজার হাজার। মতি মামা হুংকার দিয়ে উঠলেন, রাখ তোর তত্ব কথা মর্কট কোথাকার! তোর কী ধারণা আমি সেঁজুতি চলে গেছে, এই জন্য ভ্যাব্দা হয়ে গেছি? এবার আমার তব্দা খাওয়ার পালা। "সেঁজুতি ওই চিঠি দেয়ার আগের বারই তারে আমি হোয়াইট গোল্ডের একটা আংটি কিনে দিছিলাম, পরিণয়ের নিশানা হিসাবে!"^- মতি মামা কাতর স্বরে হুঁহুঁ করে উঠলেন, "আমার এতো দামের আহাংটিইই...!"

আমি একটু নড়েচড়ে বসলাম। কয়েকবার বিষম খেয়ে বেশ জোরে গলা খাকারি দিয়ে চ্যানেল ভি'র ভিজে সোফিয়ার দিকে তাকালাম। জবরদস্ত হিটস্-এ সোনালি বেন্দ্রের 'উঁ ধাকধাক' এই গানটা চালানোর ঘোষনা দিলো তখন...।

সর্বশেষ আপডেটঃ

* মতি মামা সোনালি বেন্দ্রেকে হটিয়ে আবার মাধুরীকে স্থান দিয়েছেন হৃদয়ের মণিকোঠায়।
* সেঁজুতি'র সেই দুঃসম্পর্কের কাজিনটা ছিলাম আমিই। সেঁজুতি অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে গেলেও মতি মামার দেয়া সেই হোয়াইট গোল্ডের আংটিটা এখন আমার কাছেই আছে। হাসি


মন্তব্য

অভ্রনীল এর ছবি

গুরু মাইন্ড খাইয়েন না... এইটা আগেরটার মত পরম না হইলেও চরম হইসে...

_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- সব সিক্যুয়েলের দ্বিতীয় পর্ব তো আর টার্মিনেটরের মতো হয় না বস। দেঁতো হাসি

তার চাইতে গানটা দেখেন। সোনালি বান্দরনিরে দেখেন, সেইরম এক্কারে হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

স্বপ্নাহত এর ছবি

শেষ লাইনে এরকম তার ছিড়া টাইপের মিথ্যাটা না বললেও পারতেন গুরু হাসি

---------------------------------

বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি
স্বপ্নাহত এর ছবি

যেই লাইনে চাপা মারসেন সেইটা চোখ টিপি

---------------------------------

বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি
স্বপ্নাহত এর ছবি

এইবারও একই কথা। তাইলে যেই চাপাটা শেষে মারসেন। দেঁতো হাসি

---------------------------------

বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি
মুশফিকা মুমু এর ছবি

চোখ জামা দেখে ডরাইসি ইয়ে, মানে...
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

ধুসর গোধূলি এর ছবি
মুশফিকা মুমু এর ছবি

আমিও সোনালীর ফ্যান ছিলাম ছোট বেলায়। ভাবতাম ইসস যদি এমন সুন্দর হাসি, এমন লম্বা স্লিম হতে পারতাম। রানী মুখার্জি আসার আগ পর্যন্ত, যখনো সবাই কাজল কে নিয়ে লাফালাফি করত, তখনো আমি সোনালীর ফ্যান ছিলাম।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমি আপনার ইয়ের দূর সম্পর্কের কাজিন হইতে চাই

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হেহ হেহ হেহ

যেইহারে আমার ইয়ে প্রথমে কাকে জানিনা, তারপর মতি মামাকে, তারপর আমাকে, এবং তারপর আবার কাকে জানিনা- ছ্যাঁকা দিয়ে দূর্বারক্রমে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে অচিরেই আপনার পালা এলো বলে! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সৌরভ এর ছবি

গঠনা কী?


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

ধুসর গোধূলি এর ছবি
সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

মতি মামার গামছাখানি কোন হাটে হারাইলো?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এইটা এট্টা কথা !



অজ্ঞাতবাস

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

তাই নাকি! এটা আপনি কী করলেন ভাই? আহারে মতি মামা!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

কী করলাম পিপিদা? চিন্তিত

এখন মতি মামাও খোশ, মতি মামার ভাগিনাও খোশ। আংটি এখন মতি মামার কাছে। ঐটা দিয়াই তাঁর এনগেজমেন্ট হইছে। মামী দারুণ সুন্দরী। দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কী জানি, সবকিছু ক্যামন জানি পেঁচায়ে গেল।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- প্যাচাক, অসুবিধা নাই।
কাহিনীতে ইট্টু টুইষ্ট-মুইষ্ট না থাকলে কেমনে বলেন দেখি পিপিদা! হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

মাধুরী'র জো পেয়ার করতা হ্যায়, যো যৌবন যাতা হে... গানটা এট্টু আপলোড দেন না ধূগোদা। এট্টু দেহি।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- গানটা ভালোই। আপলোড দেয়া যায় এইখানে কিন্তু এইটাতো ধুগো টাইপের উ ধাক ধাক করা গান না। মাধুরী বিরাট পর্দানশীন হইয়া ধুগোর পছন্দের রঙের শাড়ি পইড়া মডারেট নড়াচড়া করে। আমি ভালো হইয়া গেলেও মাধুরীর পর্দানশীন নাচানাচি দেখামু পাবলিকরে, এতো ভালো তো এখনো হই নাই বস। দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দময়ন্তী এর ছবি

হেহে
হেহেহে
হেহেহেহে
হেহেহেহেহে
হেহেহেহেহেহে
হেহেহেহেহেহেহে
হেহেহেহেহেহেহেহে
হেহেহেহেহেহেহেহেহে
হেহেহেহেহেহেহেহেহেহে
--------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

ধুসর গোধূলি এর ছবি
দ্রোহী এর ছবি

"* সেঁজুতি'র সেই দুঃসম্পর্কের কাজিনটা ছিলাম আমিই।"

হ!!!!!!! আমগোরে ভোদাই পাইছেন??????

কী ব্লগার? ডরাইলা?

কীর্তিনাশা এর ছবি

ছ্যাঁকামাইসিন দেঁতো হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আমার কাছের সম্পর্কের কাজিঙ্কে নিয়ে এসব লিখার এবং পরে বেদাতি গান দিয়ে মশকরা করার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- মিস বেন্দ্রের সেইরম কিছু গান দিতে চাইলাম, কিন্তু এখন ভালো হইয়া গেছি বইলা দিতে মঞ্চাইলো না। এিটা একসময় প্রিয় গান আছিলো।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

দেঁতো হাসি
অনেক মজার গল্প!
আগেরটাও প'ড়ে এলাম লিংক ফলো ক'রে। বেশ আনন্দদায়ক।
লেটেস্ট আপডেট সত্যিই একদম ঝাকানাকা হইসে।
আর, আমারও বাল্যযৌবনের হার্ট-ধাকধাকওয়ালি মাধুরী যে ফিরে এলো, তাতে ভালো বোধ ক'রেছি। তবে, হ্যাঁ, সোনালিও কিন্তু ... চোখ টিপি

------------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

'আকবর' লিখি মাঝে,
এই নামে তবু প্লিজ ডাইকেন না ভাই!
কসম লাগে আপনের আমার মাধুরী'র!- মাফ চাই, মাফ চাই। হাসি

আহ্লান সাহ্লান! চোখ টিপি

-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আগের লেখা আর এইটা, দুইটাই গত শনিবার রাতে পড়সিলাম। রবিবার সকালে ঢাকা ছাড়সি জন্য আর কমেন্টানো হয় নাই।

কী আর বলব! খালি একটা কথাই বলি- "চাপা মারা চলিবে, কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক" দেঁতো হাসি

তা, মতি মামা আর আপনার নেক্সট আইটেম কে? চোখ টিপি


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- নেক্সট আইটেম হিসেবে বিপাশা বসুরে ধরা যায়! দেঁতো হাসি
কিন্তু পিরোবলেম হৈলো, বিপাশার ছিঃনামা খুবেকটা দেখা হয় নাই, না আমার- না মতি মামার। তাইলে কি 'শিতেবী'রেই শেষে ধর্তে হইবো? চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কী কন মিয়া! আপনি "জাদু হ্যায় ন্যাশা (নেশা) হ্যায়" শোনেন/দেখেন নাই? যান, এইগুলা দেইখা আসেন চোখ টিপি
তারপর দেরি না করে অতি সত্ত্বর বিপাশা প্রজেক্টে হাত দেন দেঁতো হাসি


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আরে এই গান দেখছি তো!

কিন্তু সমস্যা হইলো, বিপাশারে দেইখা আমার দেড়টনি কাঠবডি ট্রাকের মতো লাগে। ঠিক আরাম পাই না। পক্ষান্তরে শীতেবি নাইলে উহি কাওলা রে দেইখা মনে বেশ একটা ইয়ে ইয়ে ভাব জমে! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

তাইলে বস, এইটা দেখেন:


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ঠিক বলসেন বস! দেঁতো হাসি
উহি কাওলার ফেভার-হিট গান কোনটা আপনার? দেঁতো হাসি


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

অচিন্তা এর ছবি

মানুষ এত পড়ে কেমনে??? আসলেই পড়ুয়া মা বাবা পাওয়া ভাগ্যের ব্যপার। দেখি আপনার এত পড়ার কথা শুনে নিজের পড়ার আগ্রহটা জাগে কিনা। শৈশবের অনেক কথা মনে পরে গেল।

অচিন্তা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।