গুরুচন্ডালী - ০২৫

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর গোধূলি (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/১১/২০০৯ - ১১:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

খোমাখাতায় ইদানিং বালক/বালিকাদের খোমাদর্শন ছাড়াও যে জিনিষটা বেশি হিট পাচ্ছে সেইটা মনে হয় 'জাইঙ্গা'! এই জাইঙ্গার নানা কেরামতি নিজের হাতে একটু নেড়েচেড়েশুঁকে দেখতেই পাবলিকের উপচে পড়া এই ভীড়। বিরাট হাউকাউ।

বলছিলাম খোমাখাতার গেমসের কথা। ফার্মভিলে, ইয়োভিলে সহ এ জাতীয় সামাজিক গেমসগুলোর নিচে জাইঙ্গা নামের সাইনবোর্ড থাকে। জাইঙ্গা একটা কোম্পানী, গেমস কোম্পানী। সামাজিক গেমসের নাম্বার ওয়ান নাকি ওরা। তাতে অবশ্য আমার তেমন কোনো লাভক্ষতি নাই। কিন্তু জাইঙ্গা'র প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মার্ক পিনকাসকে সামনে পেলে তাঁরে তালের রস খাইয়ে মাতাল বানিয়ে তারপর জিজ্ঞেস করতাম কোম্পানীর নাম জাইঙ্গা রাখার রহস্য। আমি নিশ্চিত জনাব মার্ক তখন ডুকরে উঠে, তাঁর পলো র‌্যাল্ফ লরেনের ম্যারূন রঙা শার্টের বাম হাতের খুটিতে চোখ মুছে নিয়ে আমাকে তাঁর 'জাইঙ্গা কাহিনী' বয়ান করতেন। সেখানে হয়তো থাকতো অনেক না বলা আকথা, অনেক বলে ফেলা রহস্য। আমি বিড়ির পাছা(য় টান) মারতে মারতে সেগুলো শুনতাম, মন্দিয়ে।

কথায় কথায় লাইনচ্যুত হয়ে গেছি। জাইঙ্গা নিয়ে তো জাইঙ্গাবাজী করতে বসি নাই আজকে। আজকে বসছি হালচাষ নিয়ে কথা বলতে। ফার্মভিলে নিয়ে কথা বলতে। ঐখানে লোকজন ধুমায়া হালচাষ করে, নিজের ফার্ম হাউস বানায়, গরুটা, ভেঁড়াটা, ঘোড়াটা, মুরগিটা, হাঁসটা পালে। মোদ্দা কথা, জনগণের বিশাল উৎসাহ। যারেই জিগাই, কী করো। কয় ধান কাটি! সার দেই! ক্ষেত লাগাই! মুরগির ডিম লইয়া হাটে যাই! আরো কতো কী! আমি শুনি আর দাঁত কেলাই। ধান গাছের সামনে নিয়া খাড়া করায়ে যদি বলি এইটা হলো কাঁঠাল কাছ, বড় হলে এতে ছোট ছোট কালো কালো টসটসে কাঁঠাল ধরবে, মাননীয় ফার্মভিলচাষী হয়তো বিশ্বাস করেই ফেলবে। অথচ খোমাখাতা খুলে দেখি চাষীর ঝোলায় খালি সাট্টিফিকেট। লাইন ধরে সাট্টিফিকেট। বড়ই নামকরা কৃষিবিদ। ফার্মভিলে তথা জাইঙ্গা প্রদত্ত লাল, নীল, হলুদ, সাদা নানা রঙের রিবন, অমুক তমুক মাস্টারী, প্রফেসরী সহ!

তবে ফার্মভিল ঘুরে ঘুরে একটা জিনিষ চোখে পড়ছে আমার। পোলা কৃষিবিদের চেয়ে নারী কৃষিবিদরা তাদের ফার্মভিলেকে সুন্দর করে সাজাইছেন। দেখলেই ভালো লাগে, মন্টা জুড়ায়। ইচ্ছা করে ইট্টু বইসা বেলের শরবত খাইয়া যাই। নাইলে গাছের ডাবের পানি। আর পোলাগোটা দেখলে মনে হয় রাইতের আন্ধারে গিয়া তাগো ফার্মভিলের বেড়ার চিপায় বইসা হাইগা দিয়া আসি!

ইদানিং সিনেমা দেখি আর না দেখি, সিনেমা নামানোর রোগে পাইছে। লাইন ধরে ৭২০পি, ১০৮০পি, এম-এইচডি সিনেমা নামাই। পুরানগুলো মুছি, নামানো শেষ হলে নতুনগুলোও একসময় মুছে ফেলি। জায়গার বড়োই অভাব যে! আর দেখতে যে ইচ্ছে হয় না, তা না। আমার পিসি সাব আবার ঐসব সিনেমা আমারে দেখতে দেয় না। গুলির শব্দ শোনার আধামিনিট পরে দেখি বন্দুক তাক করতে। নায়ক নায়িকার অন্তরঙ্গ দৃশ্যের শব্দ শোনার সময় পর্দায় দেখি নায়ক ভিলেনের গুষ্টি শুদ্ধা পিডাইতেছে। এই দুঃখে গিয়া কিনে আনলাম এমএসআইয়ের একটা গ্রাফিক কার্ড। এইচডি সিনেমা ভালো করে দেখা যাবে, এমনকি ১০৮০পি সিনেমাও। মহা খুশিতে ঘরে এসে লাগাতে গিয়ে দেখি মেইনবোর্ডে স্লটের ছড়াছড়ি, কিন্তু যেটা দরকার সেইটাই নাই। আবার গিয়া ফেরত দিয়া আসলাম। এখন অবশ্য কম ক্ষমতার একটা লাগাইছি। শব্দের সাথে দৃশ্য মিলিয়ে আমাকে এইটা দেখাবে কিনা এখনো বুঝতেছি না। তবে আমি মোটামুটি ঠিক্করে ফেলছি, এই পিসি হালার্পুতের পিছনে আর একটা কড়িও খরচ করবো না। যা গিয়া মুড়ি খা।

ফাইভ পয়েন্ট ওয়ান স্যারাউন্ড সিস্টেম বানাইছি ঘরে। চারদিকে যেদিকে তাকাই সেদিকেই খালি তারতোর। কোনো রকমে এর ভেতরে তারে ঢুকায়ে দিয়ে আরাম করে চেয়ারে বসে নিজের পিয়ানো বাজানো শুনলাম স্যারাউন্ড স্পিকারে। আহা, বড়ই মজা! ফেসবুকে লিংক দিয়ে বেড়ানো মহামান্য গাতক নাঁকিরামের নিদেনপক্ষে একটা গানও শুনবো, নিয়ত আছে, ফাইভ পয়েন্ট ওয়ান স্যার‌াউন্ড এনভায়রনমেন্টে। মোটকু সামির দুইটা গানের বাঁশি ভার্সন শুনলাম, খারাপ এমনিতেও লাগে না। আর এখানে তো ঘুরেফিরে শব্দ আসে, ভালোই লাগে। জো সাত্রিয়ানিও দেখছি ভালোই লাগছে!

[বিরতির পর....]

নেহায়েত বাঁটে না পড়লে নারী দৃশ্য উপেক্ষা করে চলার দীক্ষা গ্রহণ করেছি তাও তিন শুক্কুরবার হয়। সন্ন্যাসব্রত নেয়া হয় নাই। শীতের কারণেই এই দীক্ষা। গরমকাল চলে যাওয়ার পর এইসব দেশে নারীদের দিকে তাকানোর কোনো মানে হয় না। হুদাই চরিত্রের উপর একটা অক্সফোর্ড কালির অমোচনীয় পোচ নেওয়া! পরিচিত কেউ তুর্কী স্টাইলে টাকুশটুকুশ করতে আসলে শোয়াইন ফ্লু'র দোহাই দিয়ে কেবল হাত মিলিয়েই খালাস হই। এদিকে সেদিকে তাকানিতেও ক্ষান্ত দিয়েছি। একজন তো সেদিন বলেই বসলো, আমি নাকি বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় দার্শনিকের মতো 'কী জানি' ভাবি! বাসের জানালায় টোকা মায় থাবড়া মেরেও নাকি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায় না আজকাল! তো সেদিন একজনের সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় টুক করে কোত্থেকে দু'জন বালিকা বের হলো। এদের একজন এসে আমার সাথে কুশল বিনিময় শুরু করলো স্বভাবজাত নিয়মে। এটা সেটা নিয়ে কথা বলে চলে যাবার পর আমার সাথে থাকা জন জিজ্ঞেস করলো, এই ললনা ক্যাঠা? কাঁধ বাঁকিয়ে মাথা ঝাঁকিয়ে 'জানি না' বোধক মত জানানো ছাড়া কোনো গতি ছিলো না। এই বালিকাকে আমি চেহারায় আর হাই-হ্যালোতে চিনলেও নামধামআতাপাতা কিছুতেই চিনি না। চলে যাবার পর অবশ্য মনে হয়েছিলো, "আহা এবারেও নামটা জিজ্ঞেস করা হলো না!"

কিছুটা ঘরকুনো হয়ে পড়ছি। সাথে এক চিমটি অসামাজিকতাও ভর করছে বৈশিষ্ট্যে। শামুকের মতো গুটিয়ে যাচ্ছি কিনা বুঝতে পারি না। পোলাপানের সাথে ফ্রি স্টাইলে আড্ডা পেটানো হয় না অনেকদিন হয়। খুব সম্ভবত আস্তে আস্তে বাড়তে থাকা শীতের কামড় এর একটা কারণ। দেশে ফোন করলে মা তাঁর স্বভাবজাত নিয়মে হাউকাউ করে। আমি পাশ কাটিয়ে ভাইঝি'র কথা জিজ্ঞেস করি। মা বুঝে যায় কথা ঘুরাচ্ছি। একটা নিরব দীর্ঘশ্বাস হয়তো বেরিয়ে যায় দুজনের একই সাথে। মা তাঁর নাতনীর কথা বলে। মা হাঁচি দিলে সেও হাঁচি দেয়, আব্বা পেপার পড়ার সময় সেও পেপার পড়তে চায়। সবাই ফোনে কথা বলে, সেও টিভি, সিডি প্লেয়ারের রিমোট নিয়ে কানে ধরে 'এই নেহ্, এই নেহ্' করে। আমার সাথে কথা বলতে দিলে চুপ করে থাকে। আমি 'মা' বলে ডাক দিলে নাকি কান থেকে ফোন সরিয়ে সেটার দিকে তাকিয়ে দেখে আবার সেটা কানে চেপে ধরে, আবার একটু পর সরিয়ে তাকিয়ে দেখে। কী দেখে কেবল সেই জানে। ডেস্কটপে তার ছবির দিকে তাকিয়ে থেকে আমি এসব শুনে খিলখিল করে হাসি, হাসতে হাসতে চোখের কোণ ঝাপসা হয়ে ওঠে। আমি তারপরেও শুনতে চাই তার ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠার কথা। চোখের সামনেই ও আমার চোখের আড়ালে বড় হচ্ছে। একসময় হয়তো কথাও বলতে শিখে যাবে। নানা বায়না করবে 'মাজি' চাচার কাছে। সে জানবেও না তার মাজি চাচা দেখতে কেমন, কেমন করে কথা বলে, কেমন করে হাসে, কেমন করে তাকে মা ডাকে! মা'রে তুই বড় হয়ে যখন পড়তে শিখবি, যখন এই লেখাটা দেখবি, তোর এই অক্ষম চাচাকে ক্ষমা করে দিস তোর বড় হবার সময় তোর কাছে না থাকার জন্য...


মন্তব্য

নিবিড় এর ছবি

সচলে চায়ের দোকান খুললে ব্যবসা হয়ত খারাপ হইত না মন খারাপ


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- চায়ের দোকান আবার কী দোষ করলো! আমি খানাদানার জন্য না বিরতি নিলাম চা-বিরতি নাতো! আর বিরতির পরে তো কাহিনী খাল্লাস করলামই মিয়া।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

দুগোকে দিক্কার !!!

______________________________________________________

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- দিক্কার না দিয়া দুই তিন প্যাকেট বাদাম কিনেন। তারপর খাইতে থাকেন। বিরতির সময় দিক্কার না দিয়া বাদাম/চানাচুর খাওয়ার নিয়ম আছে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নজমুল আলবাব এর ছবি

জাইঙ্গা জিনিসটা খ্রাপ না। কিন্তু খোমাখাতা জিনিসটা খ্রাপ।

তোর ইদানিঙ গ্রমজলের পিপাসা বেড়ে গেছে ক্যানরে? মুত বেশি হয়?

------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- গ্রম জল নাগো বাউল, আমার ঠান্ডা জলের পিপাসা বাড়ছে। আর স্বভাবত মুতও বেশি লাগে তাই। মন খারাপ
খোমাখাতা আসলেই খারাপ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রানা মেহের এর ছবি

শেষ? মন খারাপ
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

সাইফ তাহসিন এর ছবি

হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো
গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
জাইঙ্গা কাহিনী পইড়া পুরাই শেষ হইয়া গেসিগা। আর আমার ক্ষেতে আইয়া কি সব করবার চান শুইনা তাড়াতাড়ি ঐ ক্ষেত-খামার বিদায় করলাম। কওয়া যায় না, রতনে রতন চেনে কিনা দেঁতো হাসি

আপনার সারাউন্ডে সিনিমা দেখবার মন চায়।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আইসা পড়েন বস। সিনেমা তো বোনাস। আমি আপনেরে আমার নিজের গলায় গাওয়া গান শুনামু সারাউন্ডে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

যূথচারী এর ছবি

নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। ফার্মভিলে এপ্লিকেশনটা ব্লক করে রাখসি, ধূগোকেও ব্লক করে রাখতে কোন বাটনে ক্লিক করতে হবে?

মাইনাস ৫


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আমিও পত্থমদিকে জাইঙ্গা'র ভেতরে কি আছে দেখার চেষ্টা করছিলাম। উপভোগ্য লাগেনাই দেইখা নিশ্চিত হইছি আমি স্বাভাবিক দেঁতো হাসি খাইছে
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অতিথি এর ছবি

এহ ! আমি যে দেখলাম ধুগো নিজেও হাস মুরগি সাজায় ফারমভিল খেলতেছে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
সাফি এর ছবি

ফার্মার গুলার অত্যাচারে বাঁচা দায়। তারা আবার একে অন্যের কাছে গাছের চারা চুরা গিফোট চায়। চিন্তা করতাসি শাইখ ভাইরে ধইরা ওগো জন্য একটা ফারাম ও মানুষ বা ফার্মের মানুষ মার্কা অনুষ্ঠান বানাইতে হইব।

ধুগোদা, আপ্নেতো তাও ভাগ্যবান, নিরীহ বন্ধু বান্ধবীসব দেখা যায়, আমার গুলাতো দিন রাত আঁচড় কামড় আর ভ্যাম্পায়ার ও পাঠায়!

বিরতির পরে ললনা আইসা সেই যে মুড়ি খাইতে নিয়া গেল, আর ফিরা আইলেন না!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ললনা মুড়ি খাওয়াইবো কইয়া নিয়া গিয়াও শেষে খাওয়ায় নাই। ললনারে কইষ্যা মাইনাস। মন খারাপ

ঈশ! আপনের মতো ভাইগ্যবান হৈলে কতো কতো ললনার কামড়, আঁচর পাইতাম! আমার কাছে কেউ গিফুট চায় না।

শাইখ ভাই এইখানে আইসা হার্টফেইল মারবো কনফার্ম। যে পরিমান উৎপাদন হয়! ঐটা দেখলেই চ্যানেল আই কাইত। তবে এটিএন বিবিরে নিয়া একটা কনসার্ট করা যাইতারে। ঐটার টিকেট বেচলে কিছু কয়েন পাওন যাইবো। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সাফি এর ছবি

ধুর মিয়া কি লেখারে কি বানাইলেন বিরতির পরে? মনটাই খারাপ কইরা দিলেন।
কইষ্যা মাইনাস।

ফাহিম এর ছবি

গজব পড়ুক...
=======================
ছায়ার সাথে কুস্তি করে গাত্রে হলো ব্যাথা!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি আবার হাল্কা পাতলা মাফিয়া গডফাদার। দেঁতো হাসি
/
ভণ্ড_মানব

ধুসর গোধূলি এর ছবি
মূলত পাঠক এর ছবি

খাসা লাগলো, বেশ ঢিলাঢালা, মনের আনন্দে লিখছেন বুঝলাম। ফার্মভিল (এরে লোকে বাংলায় ফার্মভিলে কয় ক্যান?) শুনলে গা জ্বলে, তরা খেলবি খ্যাল না, সেই ইতিহাস খোমাখাতায় পাবলিশ কইরা হগ্গলেরে না জানাইলে চলে না?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আরে মূলা'দা, আমি তো আবঝাব যা-ই লিখি, মনের আনন্দেই লিখি। আনন্দ একেবারে উপচে পড়ে, আক্ষরিকই। দেঁতো হাসি

বাংলায় কেনো ভিল'কে ভিলে বলে লোকজন আমি জানি না। ফ্রেঞ্চ শব্দটা যতোদূর জানি 'ভিল'ই। আমি ফার্মভিলে বলি, কারণ বলতে ভালো লাগে। মনে একটা শান্তি পাই। মনে হয় শব্দটা পুরো হলো। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

আপ্নের হইসেটা কী? চিন্তিত

আজাইরা এইসব অ্যাপ্লিকেশন ফেলায় দিসি বহু আগেই! জ্বালাতনের একশেষ!

-----------------------------
লুঙ্গি, বিড়ি আর শুকনা মরিচ! খাইছে

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমার আবার কী হবে!

মজাই আছে। ট্যাক্সি খেলতেয়াছিলাম কয়দিন আগে। বেশি আগাইতে পারি নাই। সামনের ট্যাক্সির পিছনে অনিচ্ছা সত্বেও গুঁতা মারতে হয়। এই গুঁতাগুঁতি ভালো লাগে নাই বেশি দিন। ফার্মভিলে ভালো, কারো পিছনে গুঁতা মারার সিস্টেম নাই। হাসি

আপনের সিগনেচারের লাইনটা কি এই গরীবরে উৎসর্গ মারলেন?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

আপ্নের কী হইসে তা আপ্নেই জানেন! আমি নগইন্য মানুষ সাহস কইরা কোশ্চেনটুকুই কর্লাম আর্কি!

আর কইয়েন না! এই ট্যাক্সি, আর এ-জেড টাইপিং এই দুইখান নিয়া বড় জ্বালাতনে আছিলাম! শেষমেশ দুরাত্মা তানিম, ভিরু আর অপ্ররে কষে গাইলানোর পরেই এদের দৌরাত্ম্য কমছে!

হ! আপ্নেরেতো আগেই কইসি! আপ্নেরে দেখলেই এই তিঙ্খানের কথা মনে পরে! দেঁতো হাসি

----------------------------
ইহাসনে শুষ্যতু মে শরীরং
ত্বগস্থিমাংসং প্রলয়ঞ্চ যাতু।
অপ্রাপ্য বোধিং বহুকল্পদুর্লভাং
নৈবাসনাৎ কায়মেতৎ চলিষ্যতি।।

- ললিতবিস্তর

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

মৃত্তিকা এর ছবি

কীবোর্ডের একখান পিস এখানে ছাইড়া দেন, শুনতে মঞ্চায়...........

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- পড়ার জন্য কীবোর্ডের একখান পিস তো ছাড়লামই, বিরতি সহ। কর্ণের বারোটা বাজাইতে হলে আগের কোনো এক গুরুচন্ডালীতে ঢুঁ মারতে হবে যে! ঔখানে দিছিলাম একটা। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

আপনি মিয়া লুকটা ভালানা ... যাইঙ্গা-কে জাইঙ্গা বানায় দিলেন ... দেঁতো হাসি :D দেঁতো হাসি
--------------------------------------------------------

--------------------------------------------------------

ধুসর গোধূলি এর ছবি
হিমু এর ছবি

কোনো লাভ নেই বৎস। যতোই সাধু সাজো না কেন। ঠেরেজিয়েনভিজেতে তোমার বেলাল্লাপনার ১০ মেগাপিগজেল নমুনা এই অধমের গুদামে বন্দী। তোমার সাধুতার বর্ণনা পড়ে আর একবার সেগুলি খুলে দেক্লুম। বর্ণনা দিতেও লজ্জায় কান লাল হয়। অহো, কী দৃশ্যাবলি!

শেষমেশ ঘটক পশু ভাইয়ের দোকান থেকেই তোমাকে মুড়ি কিনতে হবে মনিরোশেন! মুহুহুহুহু।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমারে কি পাগলা শেফার্ডে কামড়াইছে যে আমি পাপিষ্ঠ হাবশী পশু ভাইয়ের দোকান থাইকা মুড়ি কিনুম! না না না, হারাজীবন মুড়ি না খায়া থাকলেও আমি ঐ দোকানে যামু না। মুড়ির বদলে আমি ইউরিয়া চিবাইতে চাই না দোস্ত! তুই চিবা।

আর সাধু সন্ন্যাসীদের নামে এইত্তা গুণকীর্তন করা বাদ দে। এই দুনিয়া আর কয়দিন। সত্য আর সুন্দরের পথে আয়, আলো ও ন্যায়ের পথে আয়। 'তওবা কইরা এইত্তা কেলা চার' এইবার।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

মন খারাপ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

না মন খারাপ না। সারাদিন পরে লেখাটা পড়লাম। কিন্তু ফেসবুকের কোন গেমসই আমি কখনো খেলিনা (কারণ প্রাইভেসিতে তাদের এ্যাকসেস দিতে আমি ইচ্ছুক না), তাই লেখার ওই অংশটা ধরতে পারলাম না। সেকারণেই ওই ইমো হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি
প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এই গানের এই ভার্সন আগে শুনিনি। সুন্দর গান, লো ভলিউমে শুনতে ভালো লাগছে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হাসি
শোনেন নি বলেই তো দেয়া। আমি একটা মজার ব্যাপার খেয়াল করেছি। আমার দেয়া যেকোনো গান আপনি সেভাবেই শুনে মজা পান যেভাবে আমি সাধারণতঃ শুনি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অনিকেত এর ছবি

সারাটা লেখা ঠাট্টাবাজি করতে করতে শেষে এসে এক খোঁচায় আমাদের হৃৎস্পন্দন থামিয়ে দিলে-----

তোমার লেখার ক্ষমতাটা এইখানেই টের পাওয়া যায়।
বিস্তর শুভাশীষ রইল।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এতো শুভাশীষ দিয়ে কী করবো অনিকেত'দা‌? হাসি

তারচেয়ে আপনি আমার একটা খোয়াব ব্যাখ্যা করে দেন তো দেখি। আমি ইদানিং যতোবারই প্লেনে ওঠার স্বপ্ন দেখতেছি, ততোবারই আমার প্লেনটা ক্র্যাশ করতে দেখছি। বছর খানেক হয়ে গেলো, একই স্বপ্ন ঘুরে ফিরে আসছে। পারিপার্শ্বিকতা বদলালেও ক্র্যাশ করাটা বদলাচ্ছে না। এতোদিন ধরেও কোনো প্লেইনই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারলো না!

আরও কিছু জিনিষ দেখতেছি আজকাল। এই যেমন কালকে একটা দেখলাম। এইটা ভালো না খারাপ, জটিল না কুটিল বুঝতেছি না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

প্রবাসিনী এর ছবি

লেখার শুরুটে কী ভাবে হলো আর শেষে কী হলো?

খুব ভালো হয়েছে আর পড়ে ব্যাপক আনন্দ পেলাম।
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

তানবীরা এর ছবি

চোখের সামনেই ও আমার চোখের আড়ালে বড় হচ্ছে।

বড় ক্লান্তিকর এই অনুভূতিটা সারাবেলা সারাক্ষন।

**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

ধুসর গোধূলি এর ছবি
আলমগীর এর ছবি

হ, ঠিক।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

সামাজিক নেটওয়ার্কে আমি কিচ্ছু খেলি না! এখন দেখি খেলা যায় কী'না!
......................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- সামাজিকতা নিয়া শামসুন্নাহারের কাছেধারে ব্যস্ত থাকলে সামাজিক নেটওয়ার্কে ব্যয় করার সময় কৈ! হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সাকিব [অতিথি] এর ছবি

খোমাখাতার অন্য কোন গেম ভাল লাগে না... কিন্তু ফার্মভিল আমার খুব ভাল লাগে... ডেইলি একবার হার্ভেস্ট না করলে রাত এ ঘুম আসে না।

চাইলে আমার নেইবার হতে পারেন... খোমাখাতা.কম/ri.sakib

যথারীতি আপনার অন্য সব লেখার মত এই টা ও খুউউউউব ভাল লেগেছে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনারেও জাইঙ্গা রোগে ধরছে, বুঝছি। নেইবার হওয়া নিয়া কতো কথা যে শুনছি রে ভাই!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।