গুরুচন্ডালী - ০৩০

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর গোধূলি (তারিখ: মঙ্গল, ১০/০৮/২০১০ - ৯:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অ মোর ময়না গো...

"তাকে আদর করে আমি ময়না ডাকি"। কিছু একটা লিখবো বলে প্রতিদিনই এডিটরটা খুলি। কিন্তু এই লাইনটা লিখার পর আর কিছু খুঁজে পাই না। তিনদিন ধরে এই লাইনটাই তাই জ্বলজ্বল করতে থাকে আমার নাকের সামনে, মনিটরের জমিনে। তাকে মাঝে মাঝে 'নারী' বলেও ডাকি—  এই লাইনটাও যোগ করা হয় না। যোগ করা হয় না আরও অনেক কিছুই। সাদামাটা এডিটরে কার্সরটা কেবলই হাঁপানীর রোগীর মধ্যচ্ছদার মতো ওঠানামা করতে থাকে। বর্ণমালার কিছুই তাতে আর ভেসে ওঠে না।

 শেষবার কোনো একটা জটিল বিষয়ে আমাদের মাঝে মল্ল হয়েছিলো। জনৈকা পাপিষ্ঠা ঘটক এই মল্লের আয়োজন করেছিলেন। আমি অবশ্য মল্লে ময়নাকে ওয়াকওভার দিয়ে দৌড়ে কলোসিয়াম ছেড়ে পালিয়েছি প্রাণ এবং ল্যাংগোট হাতে নিয়ে। ময়না পারে নি। সে এখন কলোসিয়ামের প্রস্থান পথের বদ্ধ দরোজার সামনে পা ছড়িয়ে বসে গান গাইছে, "আমি যে হেরেমের বন্দিনীইইইইই..." 

 বাতাসে জোর গুঞ্জন, কালু (ভিথা) রানা এই বছর শেষ না হতেই নতুন ইনিংস ওপেন করতে নামবেন। তবে সাথে মে.জে.অব. রাহাতসুরিয়া খান থাকবেন কি-না সেটা বলা না গেলেও জনৈকা ইসলামী ব্যাংক হাই অফিসিয়াল তনয়া প্যাড পায়ে, ব্যাট হাতে ড্রেসিং রুমে স্ট্যান্ডবাই আছেন, সেটা বিশ্বস্ত সোর্স মারফত নিশ্চিত হওয়া গেছে। 

 কংগ্রাচুলেশন্স ময়না।


২১৯০ দিন...

 সুবিশাল আরব্য রজনী রচিত হয়েছিলো এক হাজার এক রাতের গল্প নিয়ে। এরকম দুইটি আরব্য রজনী সাইজের গল্পের বই লেখার পরেও হাতে পুরো একশ আটাশিটা দিন থেকে যাওয়ার কথা। অর্থাৎ প্রায় সোয়া ছয়টা মাস। এই সোয়া ছয় মাসে কী না করা যায়! কিন্তু যেখানে কর্তার জায়গায় আমি থাকি সেখানে কর্ম আসলে কিছুই হয় না। আমার ঘড়ি আটকে থাকে ঠিক আমার বয়সের মতোই। আমি যেমন বয়সে কৈশোরকে পেরোতে পারি না। আমার ঘড়িও পারে না। সময় তাই আটকে থাকে আমার ক্যালেন্ডারে। অন্যের ক্যালেন্ডারের সময় চলে যায় দ্রুত। আমার ভাই বিয়ে করে, তার একটা ফুটফুটে মেয়ে বেবি হয়। সেই বেবি একসময় দৌঁড়াতে শেখে। হঠাৎ ভাইয়া একদিন ফোন করে বলে ফ্রি হয়ে ফোন দিতে, তার মেয়ে আমাকে কবিতা শোনাবে যে! আমি ফোন করি উদ্বেল হৃদয়ে প্রবল হৃদস্পন্দন নিয়ে। ভাইয়া ফোন তার মেয়ের কানের কাছে ধরে। আমি শুনতে পাই একটা কোমল, অস্পষ্ট কণ্ঠস্বর, "আতা গাছে তোতা পাখি..."। তার নানা বিচিত্র সব কাজকর্মের কথা শুনে ঠা ঠা করে হাসতে হাসতে আমার চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। আম্মা জানায় 'দাদু বাড়ি যাবো' বলে প্রতি শুক্রবারেই তার বাবার কাছে বায়না ধরে। বাড়ি নিয়ে এলে সারা বাড়ি ছুটে বেড়ায়। গাছ থেকে লেবু টেনে ছিঁড়ে দাঁত-মুখ খিচিয়ে। নিজের বুকে হাত চাপড়ে স্বভঙ্গিমায় বলে, "আমি চাচুর আম্মা"। আমি আশ্চর্য হয়ে যাই, এতো কথা ও কবে শিখলো! এই সেদিন না ও জন্মালো! আম্মা বলে, "তোর তো হিসাবের কাঁটা চলে না।" এই কথাটা আম্মা আমাকে প্রতি বছরই শোনায়। আগস্টের দশ তারিখ এলেই। আমার মনে থাকে না, কিন্তু আম্মার মনে থাকে— আরও একটা বছর হয়ে গেলো আমার দেশ ছাড়ার!


একদিন আমিও...

 বছর দশেক আগে যখন প্রথম প্রবাসী হই, ইনিয়ে বিনিয়ে একদিন আপাকে বলেছিলাম, একা থাকার কষ্ট, খাওয়ার কষ্ট, ঘুমানোর কষ্ট...। আপা বলে, তোর বক্তব্য কী, এক বাক্যে বল। এক বাক্যে না, এক শব্দেই বলেছিলাম। সেই শব্দ শুনে আপা দিয়েছিলো বিশাল এক ঝারি। নাক টিপলে দুধের নহর বইবে, এমন উপমাও শুনতে হয়েছিলো। ঝারি টারি খেয়ে টালমাটাল হয়ে সেই যে সিধা হয়েছি, এক শব্দ তো দূরের কথা, এক প্যারাতেও সেই কথা পাড়ার সাহস হয় নি আর। অথচ এই আপাই এখন বলেন, "বিয়ে টিয়ে কর শীগ্গির। নাইলে তো তুই বড় হবি না"। আপার কথা শুনে আমি আমার নাক টিপি অন্যমনষ্ক হয়ে। বলা তো যায় না, দুয়েক ফোঁটা কালো গাইয়ের দুধ বের হয়ে গেলেও তো যেতে পারে!

 আম্মা একদিন জিজ্ঞেস করেছিলো পছন্দের কেউ আছে কি-না! না থাকলে তারা এগুবে কি-না! আমি হুঁ-হাঁ করেছিলাম কেবল। পরে বাঁটে পড়ে দুইটা শর্ত দিয়েছিলাম।

 ১) পাত্রীর কোনো গুন থাকা চলবে না। একবোরে নির্ভেজাল বেগুন হতে হবে।

 ২) সচলে কমপক্ষে ৫টা লেখা প্রকাশিত হতে হবে। এবং সেগুলোতে ইউনিক গড় মন্তব্য দশ ছাড়াতে হবে। 

 জবাবে আম্মা ফোনটা আব্বার হাতে পাচার করে দিয়ে বলেছিলো, "এই বান্দইরা পোলা আমারে জীবনেও শান্তি দিলো না। দেখো কী সব কয়!"

 মাঝখানে আম্মার এই 'ব্যামো' ভালো হয়েছিলো। কিন্তু ইদানিং আবার সেটা মাথাচারা দিয়ে উঠছে। ভাইয়ার মেয়েকে ফোনের সামনে ধরে তাকে দিয়ে বলায়। আমি এবার বেশ শান্ত হয়ে আম্মাকে বলি, "আমার বাবা পরাধীন দেশে বিয়ে করেন নাই। দেশ স্বাধীন না হলে কীসের বিয়ে! আমি আমার বাবার মতামতকে শ্রদ্ধা কারি। যতোদিন পর্যন্ত এই স্বাধীন দেশে রাজাকারদের বিচার না হচ্ছে ততোদিন আমি কী করে বিয়ে করি মা?"

 আমার মা কী বুঝলো কে জানে! কিন্তু আমার কাছে যুদ্ধাপরাধী-রাজাকারদের বিচার হওয়াটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ, সম্ভবতঃ আমার বিয়ের চেয়েও। তাছাড়া নিজের সাথে বোঝাপড়া সম্পন্ন করার ব্যাপারটা তো আছেই!


 ছড়িয়ে দিন

 ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে উচ্চ আদালতের রায় হয়েছে। সেই রায় বাস্তবায়নে সরকার মিউজিক্যাল বালিশ খেলা শুরু করেছে। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বলতে মূলতঃ জামাতের রাজনীতি। জামাতের যেখানে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দল হিসেবেই অন্তর্ভুক্ত হবার কথা ছিলো না সেখানে তারা দাপিয়ে রাজনীতি করে, সরকারে যায়। পবিত্র সংসদে তাদের নোংরা উপস্থিতি জানান দেয়। এতে করে সরকার আর বিরোধী দলের কিছু হয় কি-না জানি না, কিন্তু এদেশের ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মা কষ্ট পায়। আর আমরা, এই প্রজন্ম হই আশাহত। অথচ সরকার গঠন করার পেছনে এই আপাত আশাহত জনগোষ্ঠীরই অবদান ব্যাপক। সরকার কিংবা বিরোধী দল কেউই যেনো এই কথাটি বিস্মৃত না হোন!

 


মন্তব্য

দ্রোহী এর ছবি

জায়গা বুকিং দিলাম। পড়ে মন্তব্য এডিট করুম।


কি মাঝি, ডরাইলা?

কৌস্তুভ এর ছবি

মিম্বর, আপনে জায়গা পাবেন কিন্তু সুযোগ পাবেন না, মুহাহাহাহা...

দ্রোহী এর ছবি

গরররররররর........


কি মাঝি, ডরাইলা?

অতিথি লেখক এর ছবি

"আমি যেমন বয়সে কৈশোরকে পেরোতে পারি না। "

প্রিয় লাইন। মনের কথা। আমার কথা।
...............।
শ্যামল

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

বস আপ্নের এই লেখাটাতো 'বিবাহের আশায় প্রয়োজনীয় প্রার্থনা' নামক গ্রন্থে সংকলিত হইসে চোখ টিপি

জোকস অ্যাপার্ট। লেখাটা ভালো লাগসে। লিঙ্কটা শেয়ার করার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

মিউজিক্যাল বালিশ খেলাটা বন্ধ হবে বলে মনে হয় না!

কৌস্তুভ এর ছবি

কালুভিথারানা নতুন ইনিংস শুরু করলে জয়সূর্যই বা পিছিয়ে থাকবেন কেন?

দ্রোহী এর ছবি

ওরে ভায়রা ভাই। লেখাটা আসলেই জব্বরালি হইছে!

কালুভিথারানার জ্বরের কী অবস্থা? খোঁজ-খবর নিয়েন। প্রয়োজনে বাড়িতে গিয়ে সেবাশুশ্রূষা করতে পারেন। কারণ এই দুনিয়ায় একমাত্র কালুর শালিই আপনাকে ধূসর থেকে গুলাবিতে পরিণত করতে পারবে।

শ্বশুর আব্বা ইসলামী ব্যাংকের কর্মকতা নাকি? আমি তো শুনছিলাম বিগ্রেডিয়ার (অবঃ)! হো হো হো


কি মাঝি, ডরাইলা?

দুর্দান্ত এর ছবি

ধুরো মিয়া, এই মেঘলা দিনে তোমার লেখা পড়ে মন দিল আরো মেঘলা হয়ে যায়।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

মেঘলা দিন নিয়ে আমি একটা গান গুনগুনাই প্রায়ই। গানটা প্রচলিত কিন্তু সুর সংযোজনা ও সঙ্গীত পরিচালনায় যথারীতি আমি।
কখনো সুযোগ পেলে গানটা গেয়ে শোনাবো নি। তখন দেখবেন দুঃস্বপ্নেও আর মেঘলা দিন, মেঘলা আকাশের কথা মনে আসবে না। দেঁতো হাসি



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড

বাউলিয়ানা এর ছবি

আহা অনেকদিন পর লেখলেন...ভাল পাইলাম।

আপার কথা শুনে আমি আমার নাক টিপি অন্যমনষ্ক হয়ে। বলা তো যায় না, দুয়েক ফোঁটা কালো গাইয়ের দুধ বের হয়ে গেলেও তো যেতে পারে!

হো হো হো

ফারুক হাসান এর ছবি

গুরুচন্ডালি ভাল লাগছে।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনার বয়স কতই বা হয়েছে-- বায়ো কি তেয়ো। পরিবারের উপর খোঁজাখুঁজির ভার দিয়ে নিশ্চিন্তে ব্লগাতে থাকেন।

অনেকদিন ওনাকে দেখছিনা। ধারণা করেছিলাম সিজনাল জ্বরে আক্রান্ত। আমার মনে হয় ওনাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে থরো চেকআপ করানো দরকার। জ্বর তো ভালো কথা নয়।

গুরুত্বপূর্ণ চন্ডালী ভালো লেগেছে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- পরিবারের ওপর খোঁজাখুঁজির ভার দিয়ে আসলে লাভ নেই পিপিদা। মূল ঝামেলা অন্য জায়গায়। কেউ সিডনীর বিখ্যাত মারুবরা বিচ দেখার পরে তার কাছে পতেঙ্গা ভালো লাগার কথা না। অপেক্ষা করতে হবে মারুবরার অনুভূতির চেয়ে আকর্ষণীয় অনুভূতির কোনো জায়গা দেখার অথবা মারুবরার অনুভূতি মিইয়ে যাওয়ার।

আমার এখনকার যে যাপিত সময়, এটার চেয়ে আকর্ষণীয় কিছু পেলেই না তবে আমি সময় পরিবর্তন করবো। কিন্তু পাণ্ডব'দা যে ভয় দেখিয়েছেন, তাতে আমি ড্যাম শিউর আমার এখনকার সময়ের চেয়ে উৎকৃষ্ট আর কিছু নেই। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

কৌস্তুভ এর ছবি

কিন্তু পাণ্ডব'দা যে ভয় দেখিয়েছেন

এই আন্দাজ করেই আমি পান্ডবদারে গিয়া কইছিলাম, যে দুধ, বেগুন সব ফকফকা, আসলে আপনার পোস্ট পড়ি ধুগোদার ডর হইছে। জবাবে তেনায় কি কইছেন দেখেন:

ধুগো "বিয়ে কর্তে চাইনা" বল্লেইতো আর হলনা। একবার দেশে আসতে দেন, দেখেন ওর বিয়ে দিতে পারি কিনা।

এইবার?

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

এটা সেরকম হয়েছে, কেমন আছেন ধুগো ?
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

ধুসর গোধূলি এর ছবি
সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ওস্তাদের মাইর বিয়ের আগে...

দারুণ লাগ্লো বস !!

_________________________________________

সেরিওজা

দ্রোহী এর ছবি

"আর জামাইয়ের মাইর খাটের উপ্রে" খাইছে


কি মাঝি, ডরাইলা?

অতিথি লেখক এর ছবি

ধুগোদা, সরকার এখন আজাইরা কামে সময় নষ্ট করতেসে ধুমায়া। পরের দফা ভুটের আগে আবার বিচারের কথা কইয়া ভুট চাইবে। এই কুটচাল আর ভাল্লাগে না। এইদিকে শুয়োরগুলাও বেপরোয়া ভাবে ফিকির কইরা যাইতেসে। এমনকি এই বিচার ঠেকানোর জন্য তারা তাদের সর্বোচ্চ শক্তিও ব্যবহার করার চিন্তা করছে।

---- মনজুর এলাহী ----

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- শুয়োরগুলো ব্যাপক ফন্দি করে কোনো ফল পাবে না। তাদের হুজুরে আব্বা দেশ এর মধ্যেই বলে দিয়েছে, এইটা বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন বিষয়। এ বিষয়ে তারা নাক গলাবে না।

আর সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগের হুমকি তো কয়দিন আগে তাহের নামক এক শিবির নেতাদের পাছাপ্রেমী জামাত নেতা প্রকাশ্যেই বললো। এইটাও কোনো সমস্যা না। এইটারে ধরে নিয়ে গিয়ে কয়েকটা ডিম জায়গামতো ঢুকালেই হুমকি ধামকি সব বাতাসের তোড়ে উড়ে যাবে।

বাকি থাকে সরকারের সদিচ্ছা। এইটাতে ঘাপলা থাকলে কিংবা জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধ কিংবা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে চুদুরবুদুর করলে হাতেনাতে ফল পাবে এই সরকার। বাংলার জনগণ এতো বোকাচোদা না। এইসব ইস্যুতে 'রাজনীতি' করা শুরু করলে সেটা হবে সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা সরকারের।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতিথি লেখক এর ছবি

আমাদের (ম্যাংগো পাবলিকের) সবচে বড় সমস্যা মনে হয় জাতিগত স্মৃতিভ্রষ্টতা। জাতি হিসেবে যে আমরা বড়ই ভুলোমন ধুগোদা! প্রতিবার ভোটের আগে ভোট চাইবার সময় প্রতিশ্রুতির যে নহর নেতারা বইয়ে দেন তার কয়টাকে মনে রেখে আমরা পরবর্তী নির্বাচনের সময় তাদের প্রশ্নের সামনে দাঁড় করাই ধুগোদা?

এখন সময় এসেছে সময় থাকতে সরকারকে স্মরণ করিয়ে দেবার যে- আমরা রাজাকার শুয়োরদের বিচার চাই। তাদেরকে জগতের সবচাইতে নিকৃষ্টতম মৃত্যুর স্বাদ দিতে চাই। আমরা আমাদের স্বাধীনতা যোদ্ধাদের, স্বজনহারা মানুষের, প্রতিটি স্বাধীনতাভোগী মানুষের চাওয়াটুকুকে সম্মান দিতে চাই।

সত্যি বলছি ধুগোদা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে যে খামখেয়ালি আর পিলো পাসিং খেলা চলছে তা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

---- মনজুর এলাহী ----

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ভোট চাইবার প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে আপনি যা বললেন, দ্বিমত করার কোনো অবকাশ নেই। কিন্তু আশার কথা হলো, গত ইলেকশনের সময় বেশ বিপুল পরিমান ভোটার আমাদের প্রজন্ম থেকে হয়েছে। যারা ভোট প্রার্থীদের প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাবার সাহস, যোগ্যতা রাখে। খুব সম্ভবতঃ ভোট প্রার্থী নেতাদের মাথায় সেটা আসছে না। তাঁরা বোধ'য় ভাবছেন অবস্থা বুঝি সেই আদ্দিকালের মতোই আছে।

এই বিপুল পরিমান নতুন ভোটারের দাবী নিয়েই এই সরকার ক্ষমতায় বসেছে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে। এখন এই ভোটারদের দাবীকে কাঁচকলা দেখালে এই ভোটাররাও সরকারকে বর্জন করবে, হিসাব সোজা। সরকার হয়তো ভাবছে, "আমাকে ভোট দিবে না তো কাকে দিবে!" এই ধারণার জবাবও বোধকরি সরকারে থাকা মাথামোটা নীতিনির্ধারকেরা পাবেন সময়মতো। আসুক খালি ভোটের সিজন।

সরকারকে স্মরণ করিয়ে দেবার দায়িত্ব আমাদের। এই ইস্যুটাকে সামনে আনতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে বিপুল পরিমান জনদাবী তৈরী করতে হবে।

যে যেভাবে পারি আমরা ছড়িয়ে দেবো, "ত্রিশ লাখ স্বজন হত্যার বিচার চাই"। "জামায়াতের রাজনীতি করার অধিকার আমাদের বাংলাদেশে নেই। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে"।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালু পাইলাম... হাসি

"চৈত্রী"

ধুসর গোধূলি এর ছবি
হাসিব এর ছবি

কিন্তুক মনির একটা কথা। এই পোস্ট দিছো সকাল কয়টায়? কিকর্তেছিলা ঐসুম?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনেও কি 'নারী'র মতো 'সেরকম' একটা নাম চান? চোখ টিপি

কী আর করুম সকাল কয়টায়‌? আমার পিসিতে ট্রয়ান ডাউনলোডারের আছর হইছিলো। ব্যাংক থাইকা বার্তা আসছে। নিম পাতা আর পোড়া মরিচ দিয়া সেই জিনিস খেদানির পরে মনের আনন্দে পোস্ট মারলাম।

বাই দ্য ওয়ে, আপনে কি মনে করছিলেন? আপনের লুলের ইস্কিন শট নেই?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

ধুগো , লেখাটা ভাল লাগল ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
তিথীডোর এর ছবি

এ বছর সচল পরিবারে বিবাহের ধুম পড়িতেছে তবে? (তালিয়া)
জগতের সকল জীব সুখি হোক...
আমিন!

লেখা ভাল্লাগসে|

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ধুসর গোধূলি এর ছবি
তিথীডোর এর ছবি

উড়োকথায় কানে তো আসে বেশ কজনার নাম, ফাঁস করে শেষে বিপদে পড়ি আর কি! চিন্তিত

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

বইখাতা এর ছবি

আপনার পাত্রী পছন্দের শর্ত তো অভিনব! চোখ কান বন্ধ করে বিয়ে করে ফেলেন। হাসি লেখা মজার হয়েছে।
উচ্চশিক্ষিত মানুষরাও ধর্ম নিয়ে এতটাই সেনসেটিভ যে ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতির প্রসঙ্গে বেশিক্ষণ কথা চালিয়ে যাওয়া যায় না। এভাবেই জামাতিরা পার পেয়ে যায়।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

ধর্ম নিয়ে সেনসিটিভিটিতে আমার কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা আছে ধর্মের নাম ভাঙিয়ে রাজনীতি করার সেন্সিটিভিটিতে। উচ্চ শিক্ষিত মানুষেরা এই জায়গায় এসে আৎকা সেন্সিটিভ হয়ে গেলেই যতো ঝামেলার কথা। এবং সেটাই হচ্ছে। ডক্টরেট করা লোকজন সব বাণী দেয়া শুরু করেছেন টকশো'তে, কলামে। দুঃখের কথা হলো, সেই বাণীগুলো অধিকাংশই ম্যাৎকারসুলভ। ম্যাৎকার করবে ছাগলেরা, সম্মানিত ব্যক্তিরা সেটা শুরু করলে ক্যামনে কী!

মোটে তো দুইটা শর্ত দেখলেন। এরকম আরো আছে। পাত্রী ফাইনাল হয়ে গেলে তার সাথে কথোপকথনেরও বেশ কয়েকটা আছে। ওগুলা জনসন্মুখে বলা যাবে না। মহারাজের বারণ আছে। দেঁতো হাসি



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড

অনিকেত এর ছবি

খুব চমৎকার লাগল ধু গো।

আমি এবার বেশ শান্ত হয়ে আম্মাকে বলি, "আমার বাবা পরাধীন দেশে বিয়ে করেন নাই। দেশ স্বাধীন না হলে কীসের বিয়ে! আমি আমার বাবার মতামতকে শ্রদ্ধা কারি। যতোদিন পর্যন্ত এই স্বাধীন দেশে রাজাকারদের বিচার না হচ্ছে ততোদিন আমি কী করে বিয়ে করি মা?"

--অসাধারণ!

আর আগাম জানিয়ে রাখলাম

শুভ জন্মদিন!!

নৈষাদ এর ছবি

ধুগোর লেখা একসময় বুঝি বলে বড় গলায় বলতাম। অনেকবার পড়ার পরও ‘অ মোর ময়না গো’ অংশটা বুঝি নাই।

কোন কারণ ছাড়াই একটা লাইন মনে হল, "নদীর এপাড় বলে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস…।

লেখা ভাল লেগেছে।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আমি ভাবতেসি অন্য কথা... ইসলামী ব্যাংক তনয়াটা কে?! এইটা কি ময়না-ই? নাকি ত্রিভুজের (থুক্কু, এইটা মনে হয় চতুর্ভুজ?! ) অন্য একজন?! চিন্তিত

যাউকগা, গান শোনেন, এই গানের কথাগুলি খুউপ খিয়াল কইরা!

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নৈষাদ এর ছবি

'খুউপ খিয়াল কইরা' গানটা শুনলাম।

পরিচিত গানটার রিমিক্স তেমন একটা ভাল লাগে নাই।

এই গানের প্রেক্ষিতে, মাসুদ রানা বিষয়ক লেখাটা, এই লেখাটা, মন্তব্য গুলি, লেখাতে যে আকুতি আছে... সবকিছু মিলিয়ে একটা প্যাটার্ন পাওয়া যাচ্ছে মনে হয়...দেঁতো হাসি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

নৈষাদদা, আমি আসলে আপনাকে 'খুউপ খিয়াল কইরা' বলি নাই। আপনার মন্তব্য পড়ে, নিজেও যে এই ময়না অংশ বুঝি নাই সেকথা ধুগোদারে বলতে গিয়ে এই গানের কথা মনে পড়ল। দেঁতো হাসি তবে গানের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য ধুগোদা বুঝছে মনে হয়... নাইলে মাসুড রানা আর রাহাত ফাতেহ আলি খানের মাঝে হারেরেরে করে তেড়ে গেছে, নাইলে গেল কই, আওয়াজ নাই! চিন্তিত হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

দ্রোহী এর ছবি

আয়হায় ময়নাকে চিনলেন না? কালুভিথারানাকে ধুগো আদর করে (!!!!) ময়না ডাকে।


কি মাঝি, ডরাইলা?

দ্রোহী এর ছবি

আয়হায় ময়নাকে চিনলেন না? কালুভিথারানাকে ধুগো আদর করে (!!!!) ময়না ডাকে।


কি মাঝি, ডরাইলা?

দ্রোহী এর ছবি

আয়হায় ময়নাকে চিনলেন না? কালুভিথারানাকে ধুগো আদর করে (!!!!) ময়না ডাকে।


কি মাঝি, ডরাইলা?

দ্রোহী এর ছবি

আয়হায় ময়নাকে চিনলেন না? কালুভিথারানাকে ধুগো আদর করে (!!!!) ময়না ডাকে।


কি মাঝি, ডরাইলা?

নিঃসঙ্গ গ্রহচারী [অতিথি] এর ছবি

দ্রোহীদাতো মনে হয় তিথীপুর রেকর্ড ব্রেক করে ফেললেন! খাইছে

দ্রোহী এর ছবি

খাইছে! কমেন্ট করলাম একটা! পোস্ট হইলো তিন বার!!!! গঠনা কী?


কি মাঝি, ডরাইলা?

তিথীডোর এর ছবি

দুঃখিত @গ্রহচারী,
এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ রেকর্ডধারী আরেক 'আপু' রেগে টং
পুরোনো ব্লগ ঘাঁটুন, চোখে পড়বে..

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নিঃসঙ্গ গ্রহচারী [অতিথি] এর ছবি

আরে, রাগ কইরেন না!
রেকর্ড হয়ইতো ভাঙ্গার জন্য... দেঁতো হাসি
আপনি হলেন গিয়ে এই সেক্টরে লিজেন্ড! খাইছে

তিথীডোর এর ছবি

আরে, ব্যাপার না...
আপনার মতো এমন 'চামে মন্তব্যকারী'ও খুব বেশি নেই তো! দেঁতো হাসি
খিপিটাপ খাইছে

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নিঃসঙ্গ গ্রহচারী [অতিথি] এর ছবি

'চামে মন্তব্যকারী' !?
সুন্দর ট্যাগ... ধন্যবাদ।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

এই মন্তব্য আর নীচে তিথীডোরের শেষ মন্তব্য- দুইটাই পুরা অ-সম !!!

_________________________________________

সেরিওজা

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ভিডিওটা দেখে থেকে ভাবছিলাম এটার সাথের লেখাটা কই?
ভিডিও মতামত আগেই জানিয়েছি, এখন থাকল ধন্যবাদটা। আর ভাল লাগল খুব পড়তে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

আয়নামতি [অতিথি] এর ছবি

সবুর করেন, আপনারও নম্বর আসবে ভাইয়া। আপনারে বধিবে যে
পিত্যৃগৃহে বসিয়া সে' তবে অন্যের ভরসায় না থেকে...নিজেরটা নিজেই করতে হয়, 'এসো নিজে করি' করেননি বুঝি ঠিকঠাক? গুরুচন্ডালী মজারু হইছে।..........জন্মদিনের বিলম্বিত শুভেচ্ছা জানবেন। আপনারও বিবাহের ফুল জলদি ফুটুক সে কামনা করে গেলেম.......

ধুসর গোধূলি এর ছবি

পিতৃগৃহে বসিয়া সে? বলছেন আপনি? কিন্তু একটা টেকনিক্যাল সমস্যা হয়ে গেলো যে, পিতৃগৃহে বসিয়া আমারে বধ করবে ক্যামনে? স্টার ওয়ার্স করবে নাকি? দূরপাল্লার ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ! চিন্তিত



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

আপনি লুক্টা বিশেষ ভালু না... বড়ই পিছলা! ইয়ে, মানে...

-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

৩০এর পরে ক্রাংকেনফেয়ারসিশারুংও ঝামেলা করে, মাইয়ার বাপেরা তো আরো কঞ্জুস হয়। শুভস্ব শীঘ্রম।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ধুসর গোধূলি এর ছবি

বলাই'দা, আপনার চাচাতো শালীর ফুফাতো বোনের আপন খালাতো ননদের কথা কী যেনো বলেছিলেন একবার! সে গতি না করেই তো উড়াল দিলেন। মন খারাপ

আমার দলে আপনিও নাই আর ময়নাও আমারে হুমকি-ধামকি দেয়। কয় বিয়ার পরে নাকি আমারে মডারেশনের আওতায় নিয়া যাবে। আমারে নাকি তার বাড়ির সামনে খাড়ায়া অতিথি লেখকের মতো বার বার কলিং বাটনে প্রেস করে যেতে হবে। কিন্তু সদর দরোজা নাকি কভু খুলবে না!

আপনে আসেন, এর একটা বিহিত করে দিয়ে যান। মিটিং ডাকুম?



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।