এই আমার ঢাকা – ০১

গৌতম এর ছবি
লিখেছেন গৌতম (তারিখ: মঙ্গল, ২৪/০৮/২০১০ - ১১:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

*
আমার অফিস টাইমটা মজার- এখন এই রমজান মাসে সকাল সাড়ে আটটা থেকে তিনটা অথবা সাড়ে নয়টা থেকে চারটা। এক সময় গেলেই হলো-- এমনকি সাড়ে আটটা বা সাড়ে নয়টার মাঝখানে কোনো এক সময় কিংবা একটু আগে বা পরে গেলেও সমস্যা নেই; নির্ধারিত সময়টুকু থাকলেই হয়। আমার যে স্বভাব, প্রতিবারই আগের রাতে ভাবি কাল থেকে সাড়ে আটটায় অফিস করবো; কিন্তু সকালবেলায় মন ঘুমন্ত থাকে‍! গতকাল সকালেও সাড়ে আটটার অফিস ধরার কথা ছিল, কিন্তু সম্ভবত সকালের স্বপ্নে ‘পভা’ এসে সঙ্গ দিচ্ছিল বলে বরাবরের মতোই উঠতে দেরি হল! পভার সাথে স্বপ্নে ইটিশ-পিটিশ করতে গিয়ে দেখি অলরেডি সাড়ে আটটা বাজে- এখন বেরুতে গেলেও সাড়ে নয়টার আগে পৌঁছানো যাবে না; তবুও কোনোমতে জামাটা গায়ে গলিয়ে দৌড়। ভাগ্য ভালো একটা সিএনজি পাওয়া গেল‍!

**
অফিস থেকে বেরুতে বেরুতে বিকেল সাড়ে চারটা। এমনিতেই দেরি করে এসেছিলাম, আবার একটু কাজও ছিল- বেরুতে অন্তত ১৫ মিনিট দেরি। এই সময়টায় ১৫ মিনিট দেরি মানেই বাসায় পৌঁছতে অন্তত এক ঘণ্টা লেট। তারপরও পাশের মার্কেটে সাজানো তরুণী কর্মী দেখতে দেখতে একটা ঠ্যাংছিরা, একটা তবন আর একটা সাতকড়ার আচার কেনার খায়েশে মার্কেটে কাটিয়ে দিলাম আরো অন্তত আধা ঘণ্টা। ততক্ষণে সোয়া পাঁচটা। নাহ্, ইফতারের আগে পৌঁছতে হলে এবার দৌড়াতেই হবে।

***
নিয়মানুযায়ী কোনো সিএনজি যাবে না। নতুনবাজার থেকে বাসাবোর উদ্দেশ্যে ১৩ টাকার টিকিট কেটে রডে হাত ধরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পার হলাম বড়জোড় এক থেকে দেড় কিলোমিটার। এর মধ্যেই ঘড়ি ধরে ৫০ মিনিট পার। ভেতরের গেঞ্জিটা তো বটেই, বাইরের শার্ট পর্যন্ত ভিজে শেষ- প্রচণ্ড রোদ, তার চেয়ে বেশি গরম বাসের ভেতর। ওদিকে পাশের সিটে একটা পিচ্চি বমি করতে করতে যাচ্ছে, ডানপাশের যাত্রী মাঝেমাঝেই হেলে পড়ছেন। চোখমুখ তুলে বাইরে তাকানোর চেষ্টা করলাম- বৃথা! এর মধ্যে আবার বাসে উঠেই একেবারে পেছন দিকে চলে এসেছি যাতে অন্তত শান্তিমতে দাঁড়ানো যায়। কীসের কী! এই দুনিয়ায় শান্তি যা আছে তা তো ওই প্রাইভেটকারওয়ালাদের গাড়ির ভেতর!

****
গাড়ি আগাচ্ছেই না! ত্যক্তবিরক্ত হয়ে পেছন থেকে কোনোমতে ঠেলেঠুলে বেরিয়ে এলাম। সামনে পুরো রাস্তাটাই পড়ে আছে। এই বাসে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না। বাস থেকে নামামাত্রই মনে হলো এসিরুমে ঢুকলাম। ৫০ টাকা দিয়ে মধ্য বাড্ডা থেকে বাসাবো পর্যন্ত রিকশা ঠিক করলাম। উদ্দেশ্য, রিকশা যদি ফাঁকফোকর দিয়ে যেতে পারে। আর যেতে না পারলেও অন্তত বাইরের বাতাসটা তো লাগবে! তো, রিকশা মোটামুটি এ গলি-ও গলি দিয়ে, একটু বড় রাস্তায় উঠে, আরেক রিকশাকে ধাক্কা দিয়ে, দু-চারটা গালিগালাজ করে বাসাবো চলে আসলো, এবং হ্যাঁ, বাসের আগেই।

*****
বাসাবোতে যখন নামলাম তখন ইফতার শেষ, সবাই চা-পান-বিড়ি খাচ্ছে। রাস্তার ধারের দোকান থেকে এক গ্লাস পানি মেরে চা-টা খেয়ে যখন বাসার দিকে হাঁটা শুরু করবো, তখন দেখি ১৩ টাকার টিকিট কাটা সেই সালসাবিল বাস বৌদ্ধমন্দির পার হচ্ছে। সামনে লাগানো একটা বিজ্ঞাপনের স্টিকার, বাইরের বডিতে লাগানো দুটো পোস্টার আর সামনের লুকিং গ্লাসের নিচের ডান্ডায় লেগে থাকা ছোট এক টুকরা সবুজ কাপড় দেখে চিনতে পারলাম- এই বাসেই উঠেছিলাম আমি নতুনবাজারে।

******
যে শহরে ঠেলা গাড়ির (রিকশা তো পা দিয়ে ঠেলেঠেলেই চালাতে হয়!) গতি ইঞ্জিন গাড়ির চেয়ে বেশি, সেই শহরে বাস করি আমি। এই আমার ঢাকা!


মন্তব্য

রায়হান আবীর এর ছবি

ছোট বেলায় শুনতাম এভাবে চলতে থাকলে দেশে জনসংখ্যা বিস্ফোরণ ঘটবে। জনসংখ্যা তখনও অনেক ছিলো, কিন্তু এখন ঢাকায় থেকে বুঝি জনসংখ্যা বিস্ফোরণের আসল মানে মন খারাপ

স্কুল কলেজ বন্ধ করে দেওয়ায় এখন মিরপুর রোড খালি থাকে মোটামুটি সকাল দশটার দিকে। বাসাতেও রাতে মাত্র দুই ঘণ্টা লোড শেডিং হয় সার কারখানা আর সিএনজি স্টেশন (নির্দিষ্ট সময়) বন্ধ থাকার কারণে। সরকারের উচিত ভোট বাঁচানোর জন্য সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া- বেহুদাই।

গৌতম এর ছবি

আপনার দ্বিতীয় প্যারা পড়ে মনে হচ্ছে ঢাকা শহরে ভাগ্যবানদের মধ্য আপনি অন্যতম। গত রাতেও আধা ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং হয়েছে সারা রাত ধরে। আমি সাড়ে আটটার মধ্যে অফিসে পৌঁছতে চেষ্টা করি, তখন যে জ্যাম দেখি তাতে আপনাকে হিংসা না করে উপায় নেই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

রায়হান আবীর এর ছবি

হা হা হা। আমি যে কি পরিমান ব্যাড লাকি ছিলাম সেইটা যদি বুঝতেন ...

আজকে দেখি অবস্থা খারাপ। নয়টা তেতাল্লিশ বাজে, ইফতারের পরে থার্ড টাইম চলতেছে!

গৌতম এর ছবি

...তাহলে আপনার এলাকায় স্বাভাবিক অবস্থা (Normal Condition) বিরাজ করছে। হাসি
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নাশতারান এর ছবি

*
কদিন আগে গুলশান থেকে হেঁটে রওনা দিয়েছিলাম বাসার পথে। বিজয়সরণি এসে দেখি 'দুলদুল' আর 'বৈশাখী' দুটা বাসই আমার পিছে পিছে আসছে। সেদিন বাসায় পৌঁছাতে আড়াই ঘন্টা লেগেছিলো। বাসে আসলে লাগত দুই ঘন্টা, তার সাথে ভাপানো গরম আর ঘামের গন্ধ ফ্রি। ঢাকার রা্স্তাঘাট দেখলে এখন আতঙ্কে ভুগি। আর পাঁচটা বছর পর কী দশা হবে কে জানে!

**
ঠ্যাংছিরা কী?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

গৌতম এর ছবি

...আপনার এই রাস্তাটা অবশ্য ভালো। হাঁটা যায়। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে আগারগাঁওয়ের ফুটপাতটা আমার খুবই পছন্দ। কতোদিন যে হেঁটেছি এই আর্মির ধূসর জগতে!

××
ঠ্যাংছিরা হইলো যে বস্তু ঠ্যাং মানে পা-কে দুইভাগে চিঁড়ে দেয়, অর্থাৎ প্যান্ট। হাসি
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

ঢাকার চাইতেও নাকি খারাপ শহর আছে পৃথিবীতে!!!! সবই 'বোতলি শয়তান'-এর ব্যাপারস্যাপার।

আর...ইয়ে...প্যান্ট আবিষ্কৃত হওয়ার আগে কি পাগুলো জোড়া থাকতো মৎস্যকন্যাদের আদলে?
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

গৌতম এর ছবি

...তবনের কথাটা কি ভুলে গেলেন! চোখ টিপি
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নাশতারান এর ছবি

সন্ধ্যাবেলা এই হাঁটাপথে কোনো বাইক-আরোহী অথবা কোনো আধবুড়া চাচামিয়া পিছে লাগলে বুঝতেন কেমন মজা লাগে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

গৌতম এর ছবি

আহারে! আমাদের পেছনে যদি কেউ লাগতো! মন খারাপ
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

এই রোজার মাসে অফিস থেকে ফেরাটা যে কি ভয়াবহ ব্যাপার ... ইশ ...

আমার ভাই খুব ইচ্ছা সিলেট গিয়ে সেটেল হওয়া ... জানিনা সেটা কোনোদিন পূরণ হবে কিনা ... ... ...!!!

===============================================
ভাষা হোক উন্মুক্ত

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

গৌতম এর ছবি

আমার সব অফিসকেই আমি প্রস্তাব দিই- এই বেতনে ও এই পজিশনে ঢাকার বাইরের কোনো শাখায় আমাকে বদলি করে দিতে। কোনো অফিস রাজি হয় না। মন খারাপ

আগে অফিসে যাওয়ার পথে গাড়িতে বসে বই-টই পড়তাম। এখন গরমে এমন অবস্থা যে বই পড়তেও ইচ্ছা করে না। সুতরাং সব মিলিয়ে ৩-৪ ঘণ্টার যাওয়া-আসাটা কী যে ভয়াবহ হয়ে উঠছে দিন দিন!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নৈষাদ এর ছবি

মুনতাসির মামুনের লেখা ঢাকার সেই সব দিনের স্মৃতিময় কোন লেখা মনে করে পড়লাম – কোথায় কী?

যানজট নিয়ে অনেক কথাই হয়েছে। কিন্তু গত সপ্তাহে আমার দুটা অভিজ্ঞতা বলতেই হয়।

১। গত সপ্তাহে মহাখালি অফিস থেকে মতিঝিলে একটা অফিসে যাব, দুপুর ১২ টা থেকে আমার ‘কাজ’। সকাল ১০ টায় রওয়ানা হলাম মহাখালি থেকে, একটু আগে গিয়ে কিছু প্রিপারেশন নিব। ঠিক ১ টায় পৌছেছি মতিঝিলে, ৩০ জন আমার জন্য অপেক্ষা করে বসে আছে – কোন এক্সকিউজ দেখানোর কিছু নেই, শুধু ...।

২। গত শনিবার দুপুর ৩;৩০ এ সাত-মসজিদ রাস্থা থেকে ধানমন্ডি সাতাশে ঢুকেছি, এ মাথায় মাইডাসের নতুন যে বিল্ডিংটা হচ্ছে সেখান পর্যন্ত আসতে ঘড়ি ধরে পাক্কা ৪৫ মিনিট লেগেছে। (পায়ে হেটে ৫ মিনিটের বেশি লাগার কথা না)।

প্রশ্ন আসে ৩;৩০ এ বাইরে বের হওয়ার সাহস কোথায় পাই। আসলে তাই।

গৌতম এর ছবি

মুনতাসির মামুনের লেখা ঢাকার সেই সব দিনের স্মৃতিময় কোন লেখা মনে করে পড়লাম – কোথায় কী?
আসলেই তো! এই মনে করার জন্যই আপনাকে জরিমানা করা দরকার। হাসি
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

অনটপিকঃ কালকে থেকে ছুটি, কাজেই জ্যাম নিয়ে পরে মাথা ঘামামু...

অফটপিকঃ ঢাকা নিয়া মুন্তাস্যার মামুনের লেখা বইগুলোর নাম কী বলতে পারেন ?? মানে অনেকগুলাই তো আছে মনে হয়... কোনগুলো বেশি তথ্যবহুল ??

_________________________________________

সেরিওজা

গৌতম এর ছবি

নাম তো সব ভুলে গেছি! আমার সংগ্রহেও নাই। জানতে পারলে পরে জানামুনে। আপনার অফটপিকটা মাথায় থাকলো। হাসি
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সিরাত এর ছবি

আপনি নিচে নজরুল ভাই যা করে তা করলেই পারেন!

গৌতম এর ছবি

তা তো করিই, কিন্তু দূরত্বটা যখন বেশি, তখন তো আর উপায় থাকে না। মন খারাপ
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

তিথীডোর এর ছবি

এইজন্যেই চাঁটগাঁয়ে তোফা আছি! দেঁতো হাসি

_______________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

গৌতম এর ছবি

তোফা আছেন? বলেন কি! জিইসি মোড় পেরুতে কতোক্ষণ লাগে?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

চাঁটগার সুখের দিন ফুরাল বলে, নিয়ম করে প্রতিদিন যদি ৫০ টি গাড়ি রাস্তায় নামে, তাহলে চাঁটগার আর ঢাকা হয়ে ওঠার বাকি থাকবেনা। এবার ছুটিতে গিয়ে কী হাল দেখতে হয় কে জানে ? মন খারাপ

অদ্রোহ।

গৌতম এর ছবি

সুখের দিন কি ফুরোয় নি? আমি চট্টগ্রামে প্রতি ছয় মাস পর পর যাই গত তিন বছর ধরে। ফলে সেখানকার পরিবর্তনটা খুব ভালো করে টের পাই। তিন বছর আগের চট্টগ্রামের তুলনায় বর্তমান চট্টগ্রামকে তো নরক মনে হয়!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আমি একটা জিনিস দেখে ভীষণ মজা পেয়েছি গেল দুই বছর, তা হল ঠিক রোযার প্রথম দিনটায় মানুষজন কেমন অস্থির হয়ে দৌড় দেয় এই বেলা তিনটার একটু পরপরই, আর তারপর সব রকম যানবাহন, পদাতিক আর রাস্তার পাশের রকমারী ইফতারের পশরা সহ সবাই মিলে আটকে থেকে হইচই-চিল্লাফাল্লা করতে থাকে, কিন্তু কেউ আর সামনে এগুতে পারে না! দেঁতো হাসি হতে পারে ব্যপারটা অতন্ত্য কষ্টদায়ক, কিন্তু আমি হাসছি, কারণ এই পুরা ঘটনাটার আইরনিটা বাস বা গাড়ির চাইতে রিকশা থেকে ভাল দেখা যায়, আর সবার এক্সপ্রেশনগুলি অতুলনীয় হয়ে থাকে!!
আমি প্রথম প্রথম চেষ্টা করতাম বারিধারা থেকে গুলশান-১ পর্যন্ত সিএনজি বা বাসে চাপতে, পরে দেখলাম এইটুকু যেতেও আমার লাগে ৫০-৮০ মিনিট। তো বাদ দিলাম, ওর চেয়ে রিকশা তাও গলি দিয়ে একে ওকে মেরে-কেটে সুন্দর ৩০-৪০ মিনিটে পৌঁছে দেয়! আর রিকশায় আলো-হাওয়া ফ্রি, আর তার সাথে মোড়ে মোড়ে জটলা, ফেরি করা জিনিস আর সবার 'হায়-হায় গেল-গেল' দেখতেও মজা বেশি। তবে ইফতারির আগে বাড়ি পৌঁছানোর আশা তখনই রাখা উচিত যখন বাড়ি থেকেই বের হব না! খাইছে
এই বছর আল্লাহ রহম করেছে, আমাকে ঢাকায় থাকতে হচ্ছে না!

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

গৌতম এর ছবি

আপনার পর্যবেক্ষণ তো দারুণ! এভাবে তো দেখা হয় নি‍! দাঁড়ান, আজকে থেকেই খেয়াল করবো। হাসি
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আমি গ্রামের পোলা গ্রামে থাকি। পায়ে হেঁটে অফিসে যাই - ১০ মিনিট লাগে। অফিস থেকে ফিরতে আরেকটু কম সময় যায়।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

গৌতম এর ছবি

আসার পথে কি পায়ের স্পিড একটু বেড়ে যায়? চিন্তিত
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

ঢাকা হচ্ছে সেই শহর যেখানে সব সময় মন পড়ে থাকে। বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ শহর গুলোর মধ্যে একটা হওয়ার পরেও আমি বলি "ঢাকা ইজ দ্যা বেস্ট"।

আকাশনীলা

গৌতম এর ছবি

বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ শহরগুলোর মধ্যে একটা হওয়ার পরেও কেন ঢাকা ইজ দ্যা বেস্ট বলেন? শুধু আবেগ থেকে?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

হুম, আবেগ, ভালোবাসা আর স্মৃতিকাতরতা থেকে।

নীলা

গৌতম এর ছবি

সেজন্যই এভাবে বলতে পেরেছেন। প্রতিনিয়ত বাস করলে তখন আর আবেগ থাকে না!

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

আমিও বলাইদা'র মত জীবন-যাপন করি দেঁতো হাসি
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

গৌতম এর ছবি

আপনারে মাইনাস। শত্রুনিধনপর্বে আমারে ডাকেন না। মন খারাপ
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

কোলকাতায় হোটেলে জিগাইলাম ঢাকুরিয়া যাইতে কতক্ষণ লাগবে, বললো আজকে তো জ্যাম হবে আধা ঘন্টা লেগে যাবে। আমি পুরা রাস্তায় কোনো জ্যাম পাইলাম না, সিগনাল বাতিতে খাড়ানো ছাড়া।
দমুদি কইলো কোলকাতায় নাকি জ্যাম বাড়ছে। আমি বললাম দিদি একবার ঢাকায় আসেন, বুঝবেন জ্যাম কাহাকে বলে কতো প্রকার ও কী কী!

আমি এখন গুলশান ধানমন্ডি এসব অঞ্চল পর্যন্তও হেঁটে যাতায়াত করি। সময় বাচেঁ, টাকা বাঁচে, ভূড়ি মশাইয়ের হয় অবনতি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

গৌতম এর ছবি

আমিও প্রচুর হাঁটি। অন্তত দশ টাকার রিকশা ভাড়ার দূরত্ব হাঁটি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সিরাত এর ছবি

দারুণ লাগলো লেখাটা! হাসি

গৌতম এর ছবি

ধন্যবাদ সিরাত। হাসি
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

মর্ম এর ছবি

হাঁটা আসলেই ভাল।

কালকেই জ্যামের হাল দেখে কালবিলম্ব না করে সোজা হাঁটা ধরলাম। মতিঝিল থেকে টি এস সি পৌঁছাতে ৪০ মিনিট লাগলো, বাসে লাগে ১ ঘন্টা। আবার হেঁটে গেছি বলেই বাসায় না এসে ক্যাম্পাসে বন্ধুর সাথে দেখা করে যাবার ইচ্ছেটা বজায় থাকল।

সব মিলিয়েই বলছিলাম, হাঁটাই ভাল।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

গৌতম এর ছবি

একসময় যখন ব্যাগ বহন করতাম না, তখন প্রচুর হাঁটতাম। এখনো মোটামুটি দশ টাকা রিকশাভাড়ার দূরত্ব হেঁটেই যাই। তবে রেঞ্জটা মনে হয় বাড়াতে হচ্ছে!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটা ভালো লাগলো। মূল সমস্য হচ্ছে সবার ঢাকামূখীতা (দু-একজন বাদে, যেমন আমি ঢাকায় আসলে পাগল হয়ে যাই)। তবে এই ঢাকামূখীতা মূলতঃ জীবন ও জীবিকা কেন্দ্রিক। আর জানজটের কারনও হচ্ছে ঢাকার ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা।

আমি আফ্রিকার ছোট্ট একটা দেশ মালাউইতে কিছুদিন বসবাস করেছি। ওখানে কোনও জ্যাম নেই শুধু বিকেলের দিকে সামান্য একটু সহনীয় জ্যাম ছাড়া, কারণ ওখানে শহরের মেইন রাস্তা একটাই। মালাউইতে সমস্ত সরকারী অফিস আদালতগুলো দুটো শহরের ভাগ করে দেয়া। মাঝখানে দূরত্ব ৪ ঘন্টার ড্রাইভ। মন্ত্রণালয়, সচিবালয়, বিশ্ববিদ্যালয়, দূতাবাস, সায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, সবকিছুই দুটো শহরে ভাগাভাগি করা, আমাদের মতো ঢাকায় প্যাকড না। সরকার চাইলে এধরণের উদ্যোগ নিতে পারে। এতে কিছুটা ভোগান্তি বাড়লেও বেনিফিট তার থেকে বেশি। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে এর একটা বেনিফিট-হার্ম এ্যানালাইসিস করা যায়। নেদারল্যান্ডসের কথা ভাবুন, কি সুন্দরভাবে তারা সারা দেশের সমস্ত কর্মকান্ড আমষ্টারডাম, রটারডাম ও দ্য হেগের মধ্যে সমন্বয় করছে।

মোটকথা ঢাকায় মানুষ হাউস করে যায়না, যায় ঠ্যাকায় পড়ে। সরকারের যদি সদিচ্ছা থাকে তবে সমস্যা সমাধানে কিছু পদক্ষেপ তার নিতে পারে। যদিও এগুলো পুরোনো রেকর্ডের গান, তবু আরেকবার বাজালাম।

রাতঃস্মরণীয়

গৌতম এর ছবি

সরকার যদি অন্তত দুটো কাজ করে- গার্মেন্টস সেক্টরকে ঢাকার বাইরে সরিয়ে দেয় এবং মন্ত্রণালয়গুলো বিভিন্ন জেলায় ডিস্ট্রিবিউশন করে দেয়, তাহলেই ঢাকার যানজট অনেকটা দূর হয়ে যায়। কিন্তু এ কাজ কে করবে? আমি তো বুঝে পাই না কেন বন মন্ত্রণালয়কে ঢাকায় থাকতে হবে? কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ঢাকায় থাকতে হবে?

একেকটা মন্ত্রণালয়কে যদি একেকটা জেলায় পাঠানো হয়, তাহলে আবশ্যিকভাবেই প্রতিটা জেলায় একটা গ্রহণযোগ্য মানের অবকাঠামো গড়ে উঠবে। আর এই নেটের যুগে সচিব না অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারিদের তো উর্দ্ধতনদের সাথে যোগাযোগের জন্য হাপিত্যেশ করে বসে থাকতে হবে না। একসময় এসব কারণে সবকিছু ঢাকায় স্থাপনের যৌক্তিকতা হয়তো ছিল, কিন্তু এখন আর নাই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শাওন [অতিথি] এর ছবি

নিউমার্কেটের জ্যামের কারনে প্রায় সময়ই ভার্সিটি থেকে হেঁটে ফার্মগেটে আসতে হত। মন খারাপ কি যে বিরক্ত লাগত মাঝে মাঝে। রাস্তায় গাড়ি, রিক্সা সব একসাথে জ্যামে পড়ে থাকত।

জ্যাম ঢাকার নিত্যসঙ্গী।

গৌতম এর ছবি

হুম, আর এখন তো অনেক সময় মার্কেটের সামনে দিয়ে হাঁটাই যায় না!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সাইফ শহীদ এর ছবি

গৌতম,

তোমার লেখাটা পড়ে এখন সব কাজ ফেলে চুপচাপ ভাবছি - এ কোন ঢাকার বর্ণনা তোমার এই লেখাতে? আমার ৩০ বছরের স্মৃতি বিজড়িত ঢাকার সাথে কি এর কোন মিল খুঁজে পাচ্ছি?

১৯৬৬ সাল। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। দুই বন্ধু মিলে গুলিস্তানে স্পেশাল শো সিনেমা দেখে পলাশীতে হলে ফিরছি। সামনে দুই জন মেয়ে। তারাও সিনেমা দেখে ফিরছে। বিকেল বেলা। রাস্তা ফাকা। খুব সামান্য একটা দু'টো রিক্সা চলছে। আমরা একটা খালি বাস পেলাম, কিন্তু ঠিক করলাম যতক্ষণ মেয়ে দু'টি রিক্সা খুঁজে না পায়, আমরা তার পিছন পিছন চলবো।

হাটতে হাটতে সেগুন বাগিচার কাছে চলে এলাম। যেহেতু রাস্তায় খুব সামান্য মানুষ জন, আমার বন্ধু মেয়েদের উদ্দেশে গান ধরলো - 'আর কত দূর নিয়ে যাবে মোরে হে সুন্দরী'।

মেয়েদের মুচকি হাসি দেখে আমাদের উৎসাহ আরও বেড়ে গেল।

সেই দিনের স্মৃতির সাথে তোমার বর্ণনার আজকের ঢাকার এ কি রূপ?

কি ঢাকা রেখে এসেছিলাম, আর তারে কি ঢাকা বানালে তোমরা।

[তোমার লেখাতে এই শহরের রূপ খুব সুন্দর ভাবে ধরা পড়েছে। অনেক ধন্যবাদ এমন একটা লেখা দেবার জন্যে]

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

গৌতম এর ছবি

সাইফ ভাই, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। তবে কিনা, এখন আর কাউকে সুন্দরী বলা যাবে না। আইন করে এটা নিষিদ্ধ করা হয়েছে মন খারাপ । মেয়েরাও আমাদের মতো তরুণ-যুবকদের দেখে দিল-চমকানো ও ধড়কানো হাসি হাসতে ভুলে গেছে।

ঢাকার জন্য আমার নিজেরও মায়া লাগে। আপনি যে ঢাকার বর্ণনা দিলেন, সেই ঢাকা এখন আমাদের কাছে কষ্টকল্পনা!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

বস! আপনি যে সালে এ ঘটনার সাক্ষী; তার ও ৪০ বছর পরে আমরা (অনেকেই) এমন কাজ করার মত এলেম হতে না হতেই সরকার সুন্দরী বলা নিষিদ্ধ করে দিলো, ঢাকা শহরকে আধুনিক জীবন-যাপনে ভরপুর আর মনোরম এক বস্তি বানিয়ে ফেলল... কি করা, সময়ের ফোঁড় ছাড়া বলার মত আর কিছুই খুঁজে পাচ্ছিনা মন খারাপ
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

গৌতম এর ছবি

ঢাকা শহরকে আধুনিক জীবন-যাপনে ভরপুর আর মনোরম এক বস্তি বানিয়ে ফেলল..

ক'দিন আগে জাপান-গার্ডেন সিটি নামক একটা জায়গায় গিয়েছিলাম। ইট-পাথরের বিশতলা বস্তি ছাড়া আর কিছুই মনে হয় নি।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

গৌতম লিখেছেন:
সরকার যদি অন্তত দুটো কাজ করে- গার্মেন্টস সেক্টরকে ঢাকার বাইরে সরিয়ে দেয় এবং মন্ত্রণালয়গুলো বিভিন্ন জেলায় ডিস্ট্রিবিউশন করে দেয়, তাহলেই ঢাকার যানজট অনেকটা দূর হয়ে যায়।

খুবই দামি কথা বলেছেন গৌতম ভাই। গার্মেন্টসগুলো ঢাকার বাইরে সরিয়ে দিলে জানজট ছাড়াও অন্য লাভ আছে। গার্মেন্টসকর্মীরা অপেক্ষাকৃত কম লিভিং কস্টে বেঁচে থাকতে পারবেন, স্থানীয় জনগোষ্টির জন্যে কিছু কর্মসংস্থান ও অন্টারপ্রেনিউরশিপেরও ব্যবস্থা হবে। পাশাপাশি ঢাকাকেন্দ্রিক মাফিয়াচক্রেরও তৎপরতা কমবে। আর মন্ত্রণালয়গুলোও যদি ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয়া হয় তবে সচিবালয়কেন্দ্রিক ঠিকাদার ও তদবিরবাজ মাফিয়াচক্রের হাত থেকেও জনগন কিছুটা হলেও নিষ্কৃতি পাবে। আন্তঃমন্ত্রনালয় দুর্নীতিচক্রও আর তেমনভাবে সক্রিয় থাকতে পারবে না।

তবে কথা হচ্ছে কে এগুলো নিয়ে ভাবে! ভাবি শুধু আমরা ভূক্তভোগিরা। আমি ঢাকায় গেলে সারাদিন ঘুমাই আর রাতে সোসালাইজেশনে বের হই। সরকার কিন্তু ইচ্ছে করলে একটা একটা করে অধিদপ্তর ঢাকার বাইরে পাঠানো শুরু করতে পারে। অন্য দেশ যদি পারে তবে আমাদের সমস্যা কোথায়।

রাতঃস্মরণীয়

গৌতম এর ছবি

এগুলো আসলে আমার কথা না; রাষ্ট্রের নানা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি অনেক আগে থেকেই এই কথাগুলো বলছেন- কিন্তু কেউ গা করছে বলে মনে হয় না। গার্মেন্টস সেক্টরের মালিকরা প্রতিপত্তিতে এমন অবস্থায় পৌঁছে গেছে যে, তাদেরকে গার্মেন্টস সেক্টর ঢাকার বাইরে থেকে সরিয়ে নিতে বলার সাহস কেউ পাবে বলে মনে হয় না।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শান্ত [অতিথি] এর ছবি

ঢাকা আমার কাছে সবসময়ই বিরক্তিকর। তারপরও ঠেকায় পড়ে থাকতে হচ্ছে।

গৌতম এর ছবি

হ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।