ছাত্রদের গায়ে হাত তোলাঃ কতটুকু যুক্তিসংগত?

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২৮/০৩/২০০৮ - ৮:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি নিজে ছাত্রজীবনে খুব একটা মার খাইনি। যাও খেয়েছি ২/১ বার, তা পুরো ক্লাসকে শাস্তি দেয়া হয়েছে, এমন অবস্থায়। বরং ক্লাসের ছেলেরা আমার বিরুদ্ধে নালিশ করতে পারে তাদের মার খাবার পিছনের কারন হিসাবে।
স্কুলে থাকতে মোটামুটি ভাল ছাত্র হবার সুবাদে ক্যাপ্টেন হতাম প্রায় বছর, আর আমাকে ক্লাসের বিরতিতে যারা হৈচৈ করত, তাদের নাম লিখতে হত বোর্ডে, পরবর্তী শিক্ষক এসে তাদের শায়েস্তা করতেন। সচলায়তনের এক সচল নিঝুম তার জীবনের কত মার যে আমার কারনে খেয়েছে, তার কোন ইয়ত্তা নেই।
ছোট থাকতে এগুলো নিয়ে মাথা ঘামাতাম না, আমার কাজ আমি করে যেতাম,শিক্ষকের কাজ শিক্ষক করে যেতেন, যারা মার খাওয়ার তারা মার খেয়েই যেত।
আর মার যে শুধু নাম বোর্ডে উঠলেই খেত তা না, পড়া না করে আসা, বাড়িকাজ না করা, স্কুলে দেরি করে আসা, ইত্যাদি ইত্যাদি।
আর মারার মধ্যেও প্রকারভেদ আছে। অল্প-সল্প মার, মাঝারি মার, ভয়াবহ মার। আমাদের স্কুলে এক বাংলা শিক্ষক ছিলেন, কামরুল স্যার, তিনি সবচেয়ে বেশি পিটাতেন। কতবার যে কত কাঠের স্কেল তিনি ভেঙ্গেছেন, স্টীলের স্কেল বাকা করেছেন তার হিসাব নেই। ক্লাসে কারও কাছে স্কেল না থাকলে অন্য ক্লাসে গিয়ে স্কেল ধার করে নিয়ে আসতে হত। তবুও মারতেই হবে! যার কাছ থেকে স্কেল ধার করে আনতাম, সে বেচারা হয়ত তার স্কেল আর ফেরতই পেত না, কারন স্কেল ভেঙ্গে গেছে।
এখন আসা যাক কোন বয়স থেকে পিটানো শুরু হয়। এর কোন নির্দিষ্ট সীমা আছে বলে মনে হয় না। ক্লাস টু তেও বেতের বাড়ি দেয়ার ঘটনা দেখেছি, তাও কোন মায়া দায়া করে মারা না...একেবারে শরীরের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে মারা।
এখন কিছু সত্যিকারের উদাহরনে আসি। তখন ক্লাস টেন এ পরি। রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে, ডে শিফট। দুপর ১ টা থেকে ক্লাস শুরু। আমার আসতে একটু দেরি হয়ে গেছে, তাড়াতাড়ি পা চালাচ্ছি। ক্লাস থ্রীর সামনে দিয়ে যাচ্ছি, দেখি থ্রীর একটা ছেলে ও দেরী করে এসেছে, তাকে শাস্তি স্বরুপ মার দেয়া হচ্ছে। চিন্তা করুন একবার, বাচ্চা একটা ছেলে, ক্লাসে ২ কি ৩ মিনিট দেরি করেছে, ক্লাসে ঢুকতে না ঢুকতেই মার খেতে হচ্ছে। তার বাকিটা দিন কেমন যাবে একবার চিন্তা করুন তো! একি অপরাধ করে আমাকে অবশ্য সেদিন মার খেতে হয়নি, কারন শিক্ষকরা আমাকে পছন্দ করতেন। তাই ২/১ তা খোচা মারা কথা শুনিয়েই আমার অপরাধ মওকুফ। জীবনে প্রথমবারের মত সেদিন স্বেচ্ছায় মার খেতে ইচ্ছা হয়েছিলো।
এই আমি, ওর থেকে কমপক্ষে ৭ বছরের বড়, আমিও দেরি করে স্কুলে গেছি, ধরা যাক, আমাকেও মার দেয়া হল। অপরাধ ২ জনেরই সমান, তাই বলে কি শাস্তিও সমান?যে মার একটা ১৫/১৬ বছরের ছেলে সহ্য করতে পারবে, ৯/১০ বছরের একটা ছেলেও কি একি মার সহ্য করতে পারবে? অনেকে বলতে পারেন ২ জনকে একই মাত্রার মার দেয়া হয়নি, হয়তবা বয়স বুঝে মারা হয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে একথা হয়তোবা সত্যি, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই নয়। তা না হলে আমরা পত্রিকায় পিটিয়ে ক্লাস টু থ্রীর বাচ্চা মেরে ফেলার কাহিনী দেখতাম না।
এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই ছোট ক্লাসগুলোতে উকি দিতাম আর দেখতাম কিভাবে ছোট অবুঝ শিশুগুলো মার খাচ্ছে ।
অনেকে বলবেন, শিক্ষকরা না মারলে আমরা আজকের এই অবস্থায় আসতে পারতাম না। হয়তোবা সত্যি, কিন্তু সব শিক্ষকরাই যে ভবিষ্যত গড়ার মহৎ চিন্তা করে মারেন তা কিন্তু নয়। যে শিক্ষক ক্লাস টু বা থ্রীর বাচ্চাকে মারছে, সে শিক্ষক কি তার নিজের ছেলেকে এই বয়সে এভাবে মারবে তার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে? আমার বিশ্বাস হতে মন চায় না।
আর শাস্তি হিসাবে মারই যে একমাত্র পন্থা তাও না। তাই ছাত্রদের গায়ে হাত তোলাকে আমার কাছে এখন বর্বরতা ছাড়া কিছুই মনে হয় না।
এখন আমার মনে হয় সেই ক্লাস ফাইভ বা সিক্সের সহপাঠী বন্ধুদের এখন যদি কাছে পেতাম, সবার কাছে হাত জোর করে ক্ষমা চাইতাম।
আপাতত একজন হাতের কাছে আছে। নিঝুম, আমাকে ক্ষমা করে দিস।

(রেনেট)

ranet_usa@yahoo.com


মন্তব্য

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমার ইতিহাসটা একেবারেই বিপরীত
যত রকমের মার আছে তার প্রায় সবগুলোই স্কুলে আমাকে খেতে হয়েছে

ক্লাস ফোরে থাকতে ইলিয়াস স্যারের প্রিয় মার ছিল মাথাটা ধরে ডেস্কের সাথে চেপে ধরে টানানো ঘাড়ে ডাস্টার দিয়ে মারা। প্রায় এমন কোনো দিন নেই যে ইলিয়াস স্যার আমার ঘাড়ে ডাস্টার চর্চা করেননি

ক্লাস সিক্সে হুজুর স্যার দুইহাতে সমানে দুগালে থাপড়াতেন। আর আমার গালগুলো বোধহয় তার খুবই প্রিয় ছিল। পুরো বছরে দুযেকদিন ছাড়া সবদিনই তিনি আমার চর্মচর্চা অব্যাহত রেখেছিলেন বীরদর্পে

ক্লাস সেভেন থেকে পড়তাম ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে। আমি ছিলাম একমাত্র সিভিলিয়ান (তাদের ভাষায় ব্লাডি সিভিলিয়ান)

যখন ক্লাস এইটে পড়ি তখন একদিন তাগড়া তাগড়া চারজন টিচার একসাথে আমাকে পিটিয়েছিল চারপাশ থেকে। প্রত্যেকের হাতে দু তিনটা করে বেত। যখন বেতগুলো ভেঙে গেছে তখন কেউ কেউ আমাকে লাথি ঘুসিও মেরেছে

আর সেই স্কুলের হেডস্যার আমার জন্য বরাদ্দ করেছিলেন কমপক্ষে ৫০টা এবং সর্বোচ্চ ১০০টা বেত
একদিন পিটির গ্রাউন্ডে আমার বামহাতে একটানা ১০০টা বেত মেরে যখন দেখলেন আমি হাত নড়াইও না। কোনো রিএ্যাকশনও দেই না তখন তিনি বেত ফেলে চলে গেলেন

তখন পড়ি ক্লাস নাইনে। ক্লাস টিচার রব্বানী স্যার পেটের চামড়া ধরে মোচড় দিতেন। তিনি ক্লাসে এসেই দিলেন আমার পেটের চামড়ায় মোচড়। আমি চিৎকার দিয়ে উঠলাম। তিনি বললেন- লাগে?
- লাগবে না কেন স্যার?
_ হেডস্যার তোকে ডাক্তার দেখাতে বলেছেন। তোর নাকি মারলে লাগে না। চামড়ায় কোনো সেন্স নেই

অবশ্য সেই দিনের পর থেকে হেডস্যার আর আমাকে মারার কোনো বৃথা চেষ্টা করেননি। কারণ যাকে মারলে লাগে না তাকে মেরে কোনো আরাম নেই

এগুলোতে বিশেষ মাইর। এর বাইরে প্রতি সপ্তাতেই আমি গড়ে চারদিন মাইর খেতাম

অবশ্য পড়ার জন্য মাইর খাবার কথা তেমন মনে নেই। ছাত্র মোটেও ভালো ছিলাম না। কিন্তু পড়া না করে এলেও টিচারদেরকে ভুলিয়ে ভালিযে পড়া ফাকি দেবার কৌশলটা বেশ রপ্ত করে ফেলেছিলাম ছোটবেলা থেকেই

ইফতেখার নূর এর ছবি

মৃদু মারের অসম্ভব দরকার আছে ছাত্র জীবনে। আমি এই মৃদু মারই খেয়েছি। আসলে সব কিছুই নির্ভর করে শিক্ষকের বিবেকের উপর--যে তিনি কেন শাসন করবেন, কতটুকু শাসন করবেন। 'নিয়ত' এর উপরই নির্ভর করছে 'পরিনতি'। কিন্তু অনেক সময় শিক্ষকরা উন্মাদের মত আচরন করেন, ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার ঝাল ঝাড়েন পুত্র-কন্যার বয়সী শিশুর উপর।

জাহিদ হোসেন এর ছবি

স্কুলে মার তেমন খাইনি। কিন্তু বাসায় একজন গৃহশিক্ষক ছিলেন আমাদের ক'ভাইকে পড়াবার জন্য। যেদিন তিনি প্রথম পড়াতে এলেন সেদিন আমার অতীব স্নেহশীলা মাতামহী তাকে বললেন,"বাবা, আমার এই তিন নাতির তিন দুগুণে ছ'টি চোখ আমার। বডির বাদবাকীটুকু তোমার। যা করা লাগবে করো।" কাহিনীর বাকীটুকু জানে আমার শরীর।
তবে একই সাথে এটাও স্বীকার করছি যে আমাদের ক'ভাইয়ের লেখাপড়া যতটুকু হয়েছে সেটার পিছনে ঐ মাস্টারমশাইয়ের বিরাট অবদান রয়েছে। উনি না থাকলে এখনো হয়তো আমার বাড়ীর পিছনের গলিতে মার্বেল খেলতেই থাকতাম। অবশ্য সে জীবনটাও খারাপ হোত না এক অর্থে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

অতিথি লেখক এর ছবি

উদ্বৃতিঃ
"হেডস্যার তোকে ডাক্তার দেখাতে বলেছেন। তোর নাকি মারলে লাগে না। চামড়ায় কোনো সেন্স নেই।"

হা হা। জটিল।

ডাক্তার দেখিয়েছিলেন?

~রেনেট

অতিথি লেখক এর ছবি

মার খাই নি কখনো তবে কলেজে স্যারদের মার দেয়ার এনার্জি দেখেই চোখে পানি চলে আসতো।মারছে তো মারছে ই............।

-নিরিবিলি

শীলা এর ছবি

আমার মনে হয় শিখ্খদের এই পেটানোর রীতি তাদের বিকৃত মানসিকতার প্রতিচ্ছবি। ছাত্রজীবনে তারা মার খেয়েছে, তাই তারা ছাত্র-ছাত্রীদের পেটায়।

কই, বিদেশে তো কোন ছাত্র-ছাত্রীদের পেটায়না। তারা কী মানুষ হয়না?

শীলা
(shilablog@yahoo.com)

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আজকালকার পোলাপাইনরে পুরা মাইরের উপরে রাখতে হইবো। ক্লাস ক্যাপ্টেন আর যেগুলা ১ থেকে ১০ রোল থাকে, এগুলার জন্য ইস্পিশাল শাস্তি। কারণ, এইগুলাই বড় হইয়া দেশটারে বেশি বাঁশ দেয়।

যারা একটু গুন্ডাটাইপ অগোরে কিছু ছাড় দেওন যাইতে পারে। কারন; অরা ভবিষ্যতে মাইর খাইবো, মাইর দিবো, এমনে কইরাই চলবো। স্কুলে মাইর দিয়া তেমন লাভ নাই।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

মাহবুব লীলেন এর ছবি

মারামারি পেছনের মূল কারণ টিচিং লার্নিং মেথড- প্রসেস এবং চাইল্ড সাইকোলজি সম্পর্কে শিক্ষকদের না জানা

শিক্ষক নিয়োগ করা হয় তার রেজাল্ট দেখে এবং বিষয় সম্পর্কে সে কতটুকু জানে তার পরীক্ষা নিয়ে
কিন্তু সে পড়ানের ক্ষমতা তার আছে কি না এবং টিচিং লার্নিং প্রসেস সম্পর্কে সে জানে কি না তা মোটেও খেযাল করা হয় না

আর টিচাররা মনে করে আমার কাছে যেহেতু বিষয়টা একেবারেই সোজা তাহলে ওই গাধাটার মাথায় ঢুকছে না কেন? যেহেতু ঢুকছে না সেহেতু তার মনোযোগ নেই সুতরাং পিটাও। পিটালেই সোজা হবে

আর টিচাররা যেহেতু নিজেরা দুষ্টামি করে না এবং করতে পারে না (বুড়াদের দুষ্টামি করার ক্ষমতা থাকলে তো?) সেহেতু মনে করে স্টুডেন্টরা করবে কেন?
টিচারা সব সময় আশা করে সে যে রকম আচরণ করে স্টুডেন্টরাও সেরকম করবে। আর তা না করলেই তার নাম হয় বেয়দবি...

০২

বর্তমানে টিচার ট্রেনিংগুলোতে যথেষ্ট রকমে কগনেটিভ সাইন্স এ্যানড্রাগজি পেডাগজি সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়। সাইকোলজি সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয় কিন্তু অনেকেই ফিরে এসে বেছে নেয় সেই প্রাচীন টোল পদ্ধতির শিক্ষাদান প্রক্রিয়া। যার মূল কথা হলো গাধা পিটিয়ে ঘোড়া বানানো

০৩

আমাকে পিটাননি এমন আমার এমন কোনো শিক্ষকের কথা মনে পড়ে না। তখন তাদের উপর আমার রাগ ছিল। কিন্তু এখন করুণা হয়। কারণ এখন বুঝি তারা আসোলে আমার কাছ থেকে ঠিক তাদের মতো আচরণ আশা করতেন
আর আমি সেটা করতাম না বলেই তারা আমাকে পিটাতেন। এবং পিটানোর মূল উদ্দেশ্যই ছিল আমার আচরণকে তাদরে আচরণের মতো বানানোর চেষ্টা করা

কিন্তু সেই ছাগলগুলো জানতই না মানুষের আচরণ কীভাবে বদালায়- কখন বদলায় আর কীভাবে বদলাতে হয়

ফলে তারা মেরেই গেছে আমাকে। কিন্তু জীবনেও অনুমাণ করতে পারেনি যে অত মাইর যাকে দেয়া হলো মানুষ বানানোর জন্য সেই ছেলেটার উপর তার টিচারদের বিন্দুমাত্র প্রভাবও পড়লো না

০৪

আহারে আমার অসহায় শিক্ষকের দল। তোমাদের কথা মনে পড়লে এখন আমার হয় করুণা হয় না হলে শুধুই হাসি পায় তোমাদের ক্রমাগত ব্যর্থ চেষ্টার কথা মনে করে

নিঝুম এর ছবি

রেনেট,
ক্ষমা কেন? এইসব স্মৃতি গুলো আছে বলেই বেঁচে আছি।এটা সত্যি প্রচুর মার খেয়েছি।আমার অবস্থা তো ছিল "যা কিছু হারায় গিন্নি বলেন, কেষ্টা বেটাই চোর" অবস্থা।এত দুষ্টামি করতাম!!!এখন প্রাই ভাবি...আসলেই সহ্য করার মত ছিলো না।ক্লাসের সবচাইতে ডানপিটে আমি তোর কারনে অবশ্য প্রচুর মার খেয়েছি।

কাম্রুল সার যখন তোকে বেত আনতে পাঠাত ,তখন তোকে দেখলেই মনে হোতো পৃথিবীর কুত্‌সিত তম মানুষ!! আর ভাবতাম ক্লাসের ফার্স্ট -সেকেন্ড বয় রা এত বদ কেন?খুব আশা নিয়ে থাক্তাম,তুই মনে হয় একটু নরম হবি।স্যার কে এসে বলবি বেত পাওয়া যায় নাই।কিন্তু কোন দিন তা হয় নি।বেত সব সময় পাওয়া যেত আর বেতের সাথে আমার বোঝা পড়াটা একটু কম হত বলেই তা পিঠে চালান দেওয়ার পর ভেঙ্গে যেত।

তবে তুই যখন খুব থুর থুরে বৃদ্ধ হয়ে যাবি,রাস্তায় দেখা হলে হয়ত চিনতে পারব না।তবে কোন কারনে তোর যদি সেই সময় একটা দাঁতও অবশিষ্ট থাকে আর কোন কারনে যদি তা একটু বের হয়ে যায় তোকে চিনে নিতে আমার একটু কষ্টও হবে না।

কেননা বেত পাওয়া গেলে তুই দাঁত বের করে একটা চমত্‌কার হাসি দিতি কি না!!!

সেই দাঁত কি আর ভোলা সম্ভব???

(রাগায়া দিলাম।হা হা হা হা হা)
--------------------------------------------------------
শেষ কথা যা হোলো না...বুঝে নিও নিছক কল্পনা...

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

অতিথি লেখক এর ছবি

গল্পকার নিঝুম, মন্তব্যের ঘরে গল্প লেখা থামা! আমি জিন্দেগিতেও বেত নিয়া আইসা দাঁত বাইর কইরা হাসি দেই নাই!
(খাড়া...কামরুল স্যাররে কইতাছি...)
~রেনেট

অতিথি লেখক এর ছবি

আসলে দোষটা কাকে দেবেন বলেন।মাস্টাররা মার খেয়েছে তাদের মাস্টারদের হাতে।ফলে তাদের ছাত্ররা তো তাদের হাতে মার খাবেই।সুতরাং এই পদ্ধতিটাকে ভাঙতে হবে।কিন্তু সমস্যা হল শুরুটা হবে কিভাবে।

eru

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

মাইরের মধ্য ভাইটামিন নাই?

তুলিরেখা [অতিথি] এর ছবি

যেসব বদমাইশেরা ছাত্রদের মারে,তাগোরে ধইরা বা‌শ আর গরম শিক দেোয়া দরকার। বুঝুক।
বিদেশে এরা েকউ কিছু পারবে করতে,সাথে সাথে পুলিশ!দেশে মওকা পেয়ে করে,তঅ powerful লোকের ছেলেপিলেরে কিছু করে না,যারা কিন তত power এর না তাদের করে। ছি।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

এত মাইর খাইসি, কি কমু, অবস্থা কিছুটা নিঝুমের মত। আলাদা পোস্টে দিমুনে। লেখা বিয়াফক মজা লাগল

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।