পাত্রী দেখা এবং দেখানোর গল্প।

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ৩০/০৯/২০০৯ - ৭:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সচলায়তনে লেখায় শুরু করেছি মাত্র দুই-তিন মাস হলো। এর মধ্যে পাত্রী দেখা নিয়ে বেশ কয়েকটা লেখা পড়লাম। সচলায়তনের অনেক মেধাবী, গুণী বন্ধুরা আছেন যারা পৃথিবীর অনেক দেশে থাকেন। এদের অনেকে ছুটিতে বা দেশে বেড়াতে এসে বিয়ে করার জন্য পাত্রী দেখার নামে মেয়ে দেখে বেড়ান। উদ্দেশ্য ভালো, সুন্দরী, মার্জিত ও গুণী মেয়ে খুঁজে বের করা। কিন্তু কেউ নিজের জীবনের কথা ভাবেন না, বাস্তবতা চিন্তা করে না। আজ রেনেট ভাইয়ের লেখাটা পড়ে আমার মনে একটা ভাবনা এলো আর এই কাল্পনিক লেখাটা পোষ্ট দিলাম।

কারো জীবনের সাথে মিলে গেলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আগেই।

ঘটনা-১।

জনাব খালেক সাহেবের এক ছেলে আর এক মেয়ে। সুখের সংসার। ছেলে বাংলাদেশ থেকে গ্রাজুয়েশন করে কানাডা গেছে এমবিএ করার জন্য। মেয়ে বাংলাদেশের একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ করছে। ছেলের নাম সুমন আর মেয়ের নাম স্নেহা। কানাডা থেকে এমবিএ শেষ করে সুমন ঢাকা আসছে বিয়ে করার জন্য। বাবা-মা আত্মীয় স্বজন থেকে শুরু করে ঘটক পাখি ভাই সবাইকে বলে রাখে তাদের ছেলের জন্য সুন্দরী (কেউ কিন্ত আগে বলেনা ভালো), মার্জিত পাত্রী চাই। যথা সময়ে বাবাজী সুমন বাংলাদেশে আসলেন। তাঁর বাবা- মা তাকে এক পাত্রী দেখাতে নিয়ে গেলেন। বর্ষার ঝিরঝির বৃষ্টি মাথায় নিয়ে মিরপুরের এক বাসায় পাত্রী দেখতে গেলেন ফুল ফ্যামিলি। কন্যা পক্ষ যথাসাধ্য সম্মানের সহিত পাত্র পক্ষকে বরন করে নিলেন। সবাই বসার রুমে বসে আছেন। যেমন আমরা ছোট বেলা অধীর আগ্রহ ভরে বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক নাটক দেখার জন্য বিটিভির সামনে বসে থাকতাম। একগাঁদা বিজ্ঞাপন যন্ত্রণার পর যেমন শুরু হত কাংক্ষিত নাটিক। এখানে সেই রকম। অসংখ্য খাবার আইটেমের যন্ত্রণার পর এলো পাত্রী। একেক জনের একেক প্রশ্ন। কেউ জানতে চাচ্ছে গান জানে কিনা, কেউ রান্না জানে কিনা? কেউ আবার জানতে চাচ্ছে নাচ জানে কিনা? কেউ জানতে চাচ্ছে সূরা-কেরাত, কোরআন তেলোয়াত করতে জানে কিনা?পাত্রী হলে যেন সব জানতে হবে। যারা জিজ্ঞাসা করছে তাঁরা কিন্তু এর একটাও জানে কিনা সন্দেহ আছে! পাত্রী যা যা জানে হ্যাঁ বলে গেল। খাবার তাদের কাছে মনপুতঃ হলেও কন্যা তেমন মনপুতঃ হলো না। কারণ মেয়ে সুন্দরী না, বেশী লম্বা না (মেয়ের উচ্চতা ৫ফুট ৩ইঞ্চি)। সেখানে কিছু না বলে পরে জানাবো বলে সেইদিনের মত আয়োজন সম্পূর্ণ হল।

পরের ঘটক মারফত পাত্রী পক্ষকে তাদের অপছন্দের খবর জানানো হল। সেই ট্রিপে ছেলে সুমনের আর বিয়ে করা হলো না।
=======
ঘটনা-২।
জনাব খালেক সাহেবের মেয়ে স্নেহা পড়ালেখার শেষ করেছে। একটা প্রাইভেট ব্যাংকে চাকরি করে। খালেক সাহেব মেয়ের বিয়ে দেয়ার জন্য আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে ঘটক পাখি ভাইকে খোঁজ লাগাল। তাদের ভালো পাত্র চাই, শিক্ষিত, মার্জিত, ভালো চাকুরি অথবা ব্যবসায়ী বাবার ছেলে।

যথারীতি এক সন্ধ্যায় তার মেয়েকে দেখতে এলো এক বিদেশ প্রবাসী বাংলাদেশী মেধাবী (যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি) ছেলে। খালেক সাহেব যথাসাধ্য আদর-আপ্যায়ণের মাধ্যমে পাত্র পক্ষকে সম্মান করলেন। একি চিত্রের ফ্ল্যাশব্যাক হলো।

পাত্র পক্ষ পরে ঘটক মারফত তাদের অপছন্দের কথা জানিয়ে দিল। কারণ হিসেবে বলেছে, মেয়ে খাটো (মেয়ের উচ্চতা ৫ফুট ১ইঞ্চি), মেয়ে কালো (যদিও মেয়ে উজ্জ্বল শ্যামলা), মাথায় বয়কাট চুল ইত্যাদি। খালেক সাহেব মনে কষ্ট পেলেন। সেই রাতে ওনি ঘুমাতে পারলেন না। ওনি যখন নিজের ছেলের জন্য মেয়ে দেখতে গিয়েছিলেন, তখন কিন্তু একবারও ভাবেননি ঐ মেয়েটির বাবাও অপছন্দের কথা শুনলে ঘুমাতে পারবে না। নিয়তি কী এইভাবেই শাস্তি দেয়।
=========

আমি বলছিনা একজন মেয়েকে সবার ভালো লাগবে। আর ভালো লাগলেই যে বিয়ে হয়ে যাবে তেমনটাও না। সেটেল্ড ম্যারেজে আরো অনেক কিছু ডিপেন্ডেন্ট ইস্যূ কাজ করে। সেই গুলিও ভেবে দেখতে হয়। কিন্তু পাত্রের বাবা-মা, আত্মীয় স্বজনরা ভুলে যায়, তাদেরকেও একদিন মেয়ে বিয়ে দিতে হবে, একি সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। সবাই যদি একটু সচেতন হই তাহলে পাত্রী দেখা আর দেখানো নিয়ে বিড়ম্বনা গুলো কমে যাবে বলে আশা করি।
=====


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

পাত্রী দেখার আগে পাত্রী শোনা মনে হয় জরুরি। কারণ বিবাহিত জীবনে দেখাসাক্ষাত আসলে খুব একটা হয় না। সপ্তাহে পাঁচ দিন অফিস আওয়ার + যাতায়াতে দিনের দশ ঘন্টা চলে যাবে। বাতি বন্ধ করে ঘুমাতে গিয়ে চলে যাবে আরো আট ঘন্টা। বাকি ছয় ঘন্টাও নানা কাজে পাত্র পাত্রীর চোখাচোখি তেমন একটা ঘটবে না, চোখ পড়ে থাকবে টিভিতে, পিসিতে, রান্নার হাঁড়িতে, টবে ফুলগাছে, টয়লেটে, অতিথির বদখদ হাস্যমুখে। সব মিলিয়ে দিনে হয়তো বড়জোর এক ঘন্টা দেখা হতে পারে দু'জনের।

কিন্তু!

কণ্ঠস্বরের হাত থেকে রেহাই নেই। অফিসে থাকুন, রাস্তায় থাকুন, টয়লেটে থাকুন, "অ্যাই শুনছো!" হাঁকাহাঁকিতে জীবনটা অস্থির হয়ে যাবে। কাজেই সুকণ্ঠী পাত্রী যোগাড় করুন, কান বাঁচান, জান বাঁচান।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

কাজেই সুকণ্ঠী পাত্রী যোগাড় করুন, কান বাঁচান, জান বাঁচান।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

---------------------
আমার ফ্লিকার

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ডিজুস ফ্রী অফারের কল্যাণে আমার বন্ধুরা আমারে জানাইসে সুকন্ঠী কন্যার সাথে সামনা-সামনি দর্শনে গিয়া দেখা যায় সে বিইইশাল মোটা অথবা তার গালে গুটি বসন্তের দাগ আছে...
কাজেই একটু খিয়াল কইরা... !!!

---------------------------------------------------------------------------

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

হিমু এর ছবি

গালে গুটিবসন্তের দাগ থাক্লে সেই নারীর জন্ম ডিসেম্বর ১৯৭৯ এর আগে। তোমার বন্ধুরা মুরুব্বিদের সাথে ডেটায় তাহলে চোখ টিপি



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

মূলত পাঠক এর ছবি

বাঃ এ তো গোয়েন্দা গল্প প্রায়। সরলাক্ষ হিমস!

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ।
দুঃখিত নাম সংযোজন করতে ভুলে গেছিলাম।

আমি দলছুট।
=============বন্ধু হব যদি হাত বাড়াও

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ।
দুঃখিত নাম সংযোজন করতে ভুলে গেছিলাম।

আমি দলছুট।
=============বন্ধু হব যদি হাত বাড়াও

অতিথি লেখক এর ছবি

কোকিল কন্ঠী কিন্তু দেখতে আবার কাকের মত হয়।
ধন্যবাদ।
দুঃখিত নাম সংযোজন করতে ভুলে গেছিলাম।

আমি দলছুট।
=============বন্ধু হব যদি হাত বাড়াও।

নুড়ি এর ছবি

'কাজেই সুকণ্ঠী পাত্রী যোগাড় করুন, কান বাঁচান, জান বাঁচান।'
হায় হায়...........আমার কী হবে মন খারাপ

হিমু এর ছবি

আপনার সমস্যা কি কানে না গলায়?



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

নুড়ি এর ছবি

জ্বি মানে, নতুন কারো সামনে শুধু হাসি দিয়ে কাজ চালাইতে হয় খাইছে

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

চিন্তিত

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

দাঁত ধারালো থাকলেই চলে। হাসি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

হিমু এর ছবি

ঠিক করে বলেন্তো ... আপনি কি কোনো ড়েডিওঝকি???



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ।
দুঃখিত নাম সংযোজন করতে ভুলে গেছিলাম।

আমি দলছুট।
=============বন্ধু হব যদি হাত বাড়াও

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হিমুবাই, আন্নে এট্টা cheese দেঁতো হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

"সুকণ্ঠী পাত্রী যোগাড় করুন, কান বাঁচান, জান বাঁচান।"

ভালোই হবে, তাহলে আর পাত্রী দেখতে হবে না। ফোনে কথা বলে পাত্রী যাচাই হয়ে যাবে। আপনি কী তাই করেছেন, না কী করবেন?

ধন্যবাদ।
দুঃখিত নাম সংযোজন করতে ভুলে গেছিলাম।

আমি দলছুট।
=============বন্ধু হব যদি হাত বাড়াও

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

সাবাশ ! এর চেয়েও কড়া একটা পোষ্ট আশা করেছিলাম। যাইহোক আপনাকে ধন্যবাদ। আমার কষ্ট একটু কমালেন। অতিথি লেখক তারা দাগানোর ক্ষমতা নেই ............

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ।
দুঃখিত নাম সংযোজন করতে ভুলে গেছিলাম।

আমি দলছুট।
=============বন্ধু হব যদি হাত বাড়াও

স্নিগ্ধা এর ছবি

প্রিয় অতিথি লেখক (নাম দেন নি, অতএব এরকম জেনেরিক সম্বোধনই করতে হলো হাসি ) - আপনার পোস্টের মূল বক্তব্য নিয়ে আমি কিঞ্চিৎ দ্বিধাগ্রস্ত। বুঝেছি কিনা তাই বুঝছি না।

কিন্তু পাত্রের বাবা-মা, আত্মীয় স্বজনরা ভুলে যায়, তাদেরকেও একদিন মেয়ে বিয়ে দিতে হবে, একি সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। সবাই যদি একটু সচেতন হই তাহলে পাত্রী দেখা আর দেখানো নিয়ে বিড়ম্বনা গুলো কমে যাবে বলে আশা করি।

আপনি কি বলতে চাচ্ছেন যে পাত্রী দেখানোর সময় পাত্রপক্ষের আরো একটু সহনশীল/সহমর্মী/... এধরনের ব্যবহার করা উচিত? নাকি বলছেন যে পাত্রী দেখানোটাই উঠিয়ে দেয়া উচিত?

এ প্রশ্নের উত্তর পেলে আমার মন্তব্যের বাকি পয়েন্টগুলো বলা যাবে ......

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি দিনক্ষণ ঠিক করে দল বেধে পাত্রী দেখার বিপক্ষে। বাংলাদেশে যেহেতু এখনো সেটেল্ড ম্যারেজ বিদ্যমান সেই ক্ষেত্রে আমি পাত্রী দেখার ক্ষেত্রে আরো মার্জিত, ভদ্র এবং সহনশীল আচরণ আশা করছি।

তবে আয়োজন করে লোকবল নিয়ে এসে পাত্রী দেখার আগে অনানুষ্ঠানিক আয়োজন করলে মনে হয় ভালো হয়।

ধন্যবাদ।
দুঃখিত নাম সংযোজন করতে ভুলে গেছিলাম।

আমি দলছুট।
=============বন্ধু হব যদি হাত বাড়াও।

সৌরভ এর ছবি

লেখার সুরটা বোধহয় ধরতে পারছি। আমার ভুল না হলে, অতিথি লেখক পাত্রী দেখা নিয়ে উপভোগ্য রম্য রচনার উল্টো পিঠে "কন্যা-দায়ে" পড়ে যাওয়া পরিবারের কষ্ট বা দুর্ভোগটুকুর কথা যেন আমরা ভুলে না যাই - সেটা মনে করানোর চেষ্টা করেছেন। সাধুবাদ জানাই।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি জানি না আপনি কাকে মনে করেছিলেন।
ধন্যবাদ।
দুঃখিত নাম সংযোজন করতে ভুলে গেছিলাম।

আমি দলছুট।
=============বন্ধু হব যদি হাত বাড়াও

হিমু এর ছবি

অতিথির পরবর্তী লেখার শেষে নিবন্ধিত নাম বা নিক উল্লেখের অনুরোধ রইলো।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অতিথি লেখক এর ছবি

হিমু ভাই ধন্যবাদ। আমার লেখা কেমন হয়েছে কেউ বলেনি। মনোকষ্ট পাইলাম।

দুঃখিত নাম সংযোজন করতে ভুলে গেছিলাম।

আমি দলছুট।
=============বন্ধু হব যদি হাত বাড়াও

হিমু এর ছবি

দলছুট ভাই, নাম সংযোজন করতে ভুলে গেসিলেন, তাই না হাসি ?



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

রেনেট এর ছবি

হো হো হো
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

অতিথি লেখক এর ছবি

হুম। কষ্ট করে পড়ার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

দলছুট।
==========বন্ধু হব যদি হাত বাড়াও।

রেনেট এর ছবি

সত্য কথা বলতে...প্রথম দিনইে দলবল সহ মেয়ে দেখতে যাইনি...ওটা লেখার খাতিরে ওভাবে লেখা। এরকম আরো ছোটখাতো যোগ-বিয়োগ করেছি, যেন লেখাটি উপভোগ্য হয়।
আপনার অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে থাকলে দুঃখিত।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

অতিথি লেখক এর ছবি

রেনেট ভাই আমার অনুভূতিতে আঘাত লাগেনি। আমি আমার অনুভূতিটা শেয়ার করলাম। মানে বাস্তবতা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনার লেখার বিপরীতে লেখা দিয়ে আমি বরং আপনাকে কষ্ট দিলাম, তার জন্য দুঃখিত। আপনার লেখাটা আমার ভালো লেগেছে এবং এটা আমাদের সমাজের আসল চিত্র। আমি শুধুমাত্র কাল্পনিক ভাবে এর রিভার্সটা তুলে ধরে একটা ব্যালেন্স করার চেষ্টা করেছি।

কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমা করবেন।

ধন্যবাদ।

দলছুট।
======বন্ধু হব যদি হাত বাড়াও।

মুশফিকা মুমু এর ছবি

লেখাটা খুব ভাল লাগল দলছুট হাসি
আসলেই মেয়েটার বাবা ছারাও মেয়েটার কেমন লাগে যখন তাকে না করা হয় কারন সে কালো বা মোটা বা খাটো। কাউকে এভাবে কষ্ট দেয়া খুবি খারাপ। আরেকটা করা যায় যেমন বাসায় না দেখা করে পরিচিত কারো বাসায় ইনফরমালি দেখা করা বা বাইরে কোথাও। বেশি ফরমাল হলে পরে ব্যাপারটা না আগালে খারাপ দেখায়।
তবে নিজের এক্সপেরিয়েনস থেকে একটা ঘটনা বলছি, একবার আমার চাচা একটা ছেলে ঠিক করে আমাকে দেখানোর জন্য আমি রাজি না তবুও দেখতেই হবে, দেখলেই তো বিয়ে না আরো কত কিছু বলল। যাইহোক পরে চাচার বাসায় যাই সেখানে আমরা দু ফ্যামিলিই মেহমান তারপর সবাই খাবার নিচ্ছে আমি ভাবলাম থাক পরে খাব। তখন ছেলেটা বলে আপনি নিচ্ছেন না, আমি নরমালি বললাম না আমি সারাদিনই বেড়ালাম তাই ফুল খাবো না। তখন ঐ ইডিয়েট বলে যে হুম দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আমি তো কথা শুনে একদম 'থ' বলে কি? আসে পাশে সবাই নিজেদের মাঝে কথা বলছিল দেখে শুনতে পায়নি আমাদের কথা। যাইহোক ওরা চলে গেলে আমি চাচাকে বলি এই ছেলে অসম্ভব! আমাকে একথা বলল। চাচা বলে আরেহ না এটা তোমার সাথে জোক করল, আমি বলি এটা জোক? ওকি আমার ফ্রেন্ড যে আমার সাথে জোক করলো? এটা কি ধরনের ম্যানার, চিনেনা জানেনা আমাকে একথা বলল, তাও যদি আমি ইয়া মোটা কেউ হোতাম। যাইহোক পরে সে অনেকবার ফোন করে জানতে চাইলো কেন আমি রাজি না আমি ভদ্র ভাবেই কাটিয়ে নিয়েছি যেন সে মন খারাপ না করে কিন্তু এখনো আমার এই ছেলের কথা মনে হলেই রাগ লাগে।

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

অতিথি লেখক এর ছবি

মুমু আপু আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো।

ধন্যবাদ আরেকবার আপনার জীবনের একটা সত্য ঘটনা শেয়ার করার জন্য। আমি মূলত এই ব্যাপারটাই বোঝাতে চেয়েছি। যদিও আমি লেখায় বাবা-মার কষ্টটা তুলে ধরেছি, এর সাথে মেয়ের কষ্টটাও জড়িত। এই কষ্ট সেই বোঝে যে এর ভোক্তভোগী।

ধন্যবাদ।
দলছুট।

তানবীরা এর ছবি

পাত্রীর ভালো টাইপিং স্পীড থাকলেও চলবে। গলা, মুখ বাদ। এস। এম। এস আর মেসেঞ্জার আছে না ....।।...। অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, হেলাইয়েন না আমার কথা

**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অতিথি লেখক এর ছবি

দারণ বলেছেন আপু।

নূতন একটা প্রশ্ন যোগ হলো পাত্রী দেখার সময় করা যাবে।

ধন্যবাদ।

দলছুট।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।