আস্তিক অথবা নাস্তিকঃ সোফির জগৎ এবং আমি-১

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০৯/০২/২০১০ - ৬:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাত্র গতকাল, বইমেলা থেকে কিনে আনলাম জি এইচ হাবীবের অনুবাদকৃত ইয়স্তেন গার্ডারের লেখা সোফির জগৎ বা SOFIES VERDEN. বইটা হাতে নিয়ে থেকেই আমি খুব বেশী উত্তেজিত! আমার মনের ছন্দটা আসলে সবচেয়ে বেশী উদীপ্ত হয়ে ওঠে মনস্তত্ত্ব আর দর্শনের সমন্বয়ে। আর এই বইটা তেমনি একটি। আমার বিস্মিত হওয়ার ক্ষমতা কতটুকু আমি জানিনা, তবে প্রথম অংশটুকু পড়েই আমি লিখতে বসে গেছি, বিস্ময়ে! গত দশ-এগারো বছর ধরে আমি যে প্রশ্নের উত্তর খুঁজছি, সেই প্রশ্নটি হল, পৃথিবীটা কোথা থেকে এলো? প্রশ্নটা দেখে বিস্মিত হইনি, হয়েছি সোফির ভাবনা দেখে, ঠিক যেভাবে আমি ভেবেছি, হুবহু সেইভাবেই সোফি ভাবছে! সৃষ্টিকর্তা আছেন কি নেই? আরেকটু অবাক হয়েছি, এটা খেয়াল করে, এই প্রশ্নের মুখোমুখি আমি যখন হয়েছি, সেই বয়সটা ছিল তের-চৌদ্দের সন্ধিক্ষণ, সোফির চেয়ে সামান্য কিছু কম! পার্থক্য এটুকুই, আমাকে কেউ চিরকুট পাঠায় নি। আফসোস লাগছে।

জন্মেছি ধর্মভীরু বাবা-মায়ের ঘরে। কিন্তু আমার শৈশবের নায়ক আমার দাদু! কে তিনি? তিনি একজন মানুষ, যিনি কখনও আমাকে সরাসরি কিছু শেখাননি। শুধু আমার এই পূর্বসুরীর কাছ থেকে আমি জেনেছি, চিন্তা করতে হয়। আমি আমার দাদুর সান্নিধ্য আসলেই খুব কম পেয়েছি! কিন্তু যেটুকু দেখেছি তাকে, বুকের নীচে একটা বালিশ দিয়ে উপুর হয়ে শুয়ে কি যেন পড়ছেন নাহয় কি যেন লিখছেন! পেশায় স্কুল শিক্ষক ছিলেন। ১৯৪২ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়তে পড়তে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অসমাপ্ত রেখেই সেই যে গ্রামে ফিরে এলেন, আর কোনদিন ওমুখো হলেন না। সারাজীবন শুধু নিজেই পড়লেন। নিতান্ত সাদামাটা জীবন যাপন করলেন। আমি আমার স্মৃতি ঘেটে কোনদিন দেখিনি দাদুকে ঘরের ভিতরে ঘুমাতে। বারান্দায় একটা চৌকি পেতে তার উপর একটা পাটি আর একটা বালিশ! সাথে ঋতু ভেদে কাঁথা কিংবা লেপ! এইভাবে থাকার কারণ কি তা আমার কাছে একটা রহস্য! উত্তর জানা নেই। শীত গ্রীস্ম, ঝড় বৃষ্টি কিছুই তাকে ঘরের ভিতরে নিতে পারেনি। খোলা বাতাস গায়ে মেখে নব্বই বছর পার করে দিলেন! ওইখানে শুয়ে শুয়ে কি পড়েছেন? তার আগ্রহের বিষয় ছিল, ধর্ম ও দর্শন! সারাজীবনে কি শিখেছেন এতো পড়ে, তা কতটুকু ঠিক ছিল বা ভুল ছিল, আমি তা বিচার করতে যাই না। আমি শুধু জানি, আমি দাদুর কাছ থেকে শুধু তার উপস্থিতির কারণেই কিছু জানার আগ্রহ পেয়েছি। এই না হলে আমি আর এই আমি হতাম না। উত্তরসূরী হিসেবে এই আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া!

দাদু পনের সন্তানের গর্বিত জনক। উনার পাঁচ কন্যা জানেনই না, আস্তিকতা বা নাস্তিকতা ভাবার মত একটা বিষয়। তিনপুত্র ধর্মভীরু, প্রকৃত অর্থেই উনারা ধর্মকে ভয় পান। একজন গোঁড়া ধার্মিক। দুইজন বুঝে উঠতে পারেন না ধর্ম আসলে কি, আস্তিকতা বা নাস্তিকতা এইসব নিয়ে ভেবে কি হবে, জীবন তো সুন্দর চলে যাচ্ছে। আর অবশিষ্ট তিন পুত্র নাস্তিক। আর আমি হলাম ভাগ্যবতী, এমন একটা বহুমাত্রিক পরিবারের অংশ বলে। তাই ছোটবেলা থেকেই এইসব নিয়ে ভেবেছি। চোখের সামনে এমন বিশ্বাসের বিভিন্নতা দেখে স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তা করেছি, ঈশ্বর আছেন কি নেই? অনেক জায়গাই যুক্তি দিয়ে ঈশ্বর কে খুঁজে পাইনি, আবার যুক্তি দিয়ে খুঁজে পাইনি বলে ঈশ্বর নেই, এটাও ভেবে বসে থাকিনি। ভেবেছি, অনেক ভেবেছি। অবশেষে বিগ ব্যাং থিওরী যখন আমাকে শেখালো, একটা কেন্দ্রীভূত ভর থেকে মহাবিশ্বের বিস্ফোরণ, গ্রহ নক্ষত্রের ক্রমাগত বিস্তৃতির ব্যাপারটা যখন জ্যোতির্বিজ্ঞানের পর্যবেক্ষণ সমর্থন করে বলে জানলাম, তখন বিগ ব্যাং কে মেনে নিলাম। কিন্তু একটা কেন্দ্রীভূত ভর থেকেই যদি সবকিছু সৃষ্টি হয়ে থাকে তাহলে সেই কেন্দ্রীভূর ভর এলো কোথা থেকে? ওইটা কি শূন্য থেকে এলো? না তা হতে পারে না। নাকি নিজে নিজেই তৈরী হল? না, তা হতে পারে না। তাহলে কি আসলেই কেউ ঐ কেন্দ্রীভূত ভর সৃষ্টি করেছে? কে সে? সে-ই কি ঈশ্বর? তাহলে কি আসলেই ঈশ্বর আছেন? এই জায়গাই গিয়ে আমার যুক্তি যে থেমেছে... আমি এখনও তা অতিক্রম করতে পারিনি। কোন যুক্তি দিয়ে এই প্রশ্নের সন্তুষ্ট হবার মত উত্তর পাইনি বলেই ঈশ্বরের অস্তিত্বকে স্বীকার করে নিয়েছি। সেই প্রথম বিশ্বাস করেছি, ঈশ্বর হয়ত আসলেই আছেন। যেহেতু বিশ্বাস করি, তাই আমি আস্তিক। কিন্তু এখনও কিছু বিশ্বাসের মাঝেও কিছু জায়গা রেখেছি, যুক্তির জন্য। আমার ছোট কাকার সাথে এসব নিয়ে আমার অনেক কথা হয়। কাকুকে ক্লাস এইটে পড়ার সময় একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনি যদি আমাকে যুক্তি দিয়ে বুঝাতে পারেন, সৃষ্টির রহস্য অন্যকিছু, আমি নির্দ্বিধায় যুক্তির কাছে মাথা নত করে দেব। কাকু সেদিন পারেনি। আবারো জিজ্ঞেস করেছিলাম, দ্বাদশ শ্রেনীতে পড়ার সময়, কেন আপনি নাস্তিক? সৃষ্টিরহস্য নিয়ে আমি যে প্রশ্ন করেছি আপনাকে, এর উত্তরে কিছু বলেন আমাকে। উত্তরে বলেছিলেন, তুমি বড় হও, নিজেই বুঝবে। এরপর আরো ছয় বছর কেটে গেছে। আমি আজো যুক্তি দিয়ে সমাধান পাইনি। অনেকেই অনেক রকম উত্তর দেয়। আমি সন্তুষ্ট হতে পারিনা। আর যারা কঠিন ধর্মভীরু, তাদের সাথে তো যুক্তি দিয়ে কথাই বলা যায় না। আমি জানিনা, মৃত্যুর আগে পদার্থবিজ্ঞান বা গণিতের সূত্রের মত কোন নিশ্চিত প্রমাণ পাব কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে। আশাই আছি।

আমি আস্তিক বা নাস্তিক কোন দলকেই অসম্মান করি না। এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার, সে কি বিশ্বাস করে। আমি শুধু বলতে চাই, বিশ্বাস এবং প্রমাণ দুটো আলাদা জিনিস।

[কাউকে না বুঝে আঘাত করে থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।]

-নীরবতা

February 9, 2010


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব ভালো লাগলো শেষের কথা গুলো। লেখা খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর ভাবে কঠিন বিষয়টা লেখার জন্য।

============
কামরুজ্জামান স্বাধীন।

অতিথি লেখক এর ছবি

আচ্ছা তাহলে বয়ঃসন্ধিকালে সব মানুষের মনেই কি এই ধরণের চিন্তাগুলো আসে?? কে জানে? আগে এই সব নিয়ে প্রচুর ভাবতাম। ধর্মভীরু বাবা মার ঘরে জন্মাবার সুবাদে তীব্রভাবে ধর্মে মানতাম।কিছু কিছু ক্ষেত্রে অসংগতি দেখলে নিজে নিজেই একটা ব্যাখ্যা দাড় করাতাম। যখন ব্যাখ্যা দাড় করাতে পারতাম না খুব অসহায় মনে হত নিজেকে। যাই হোক পরিণত বয়সে এই সব প্রশ্নের উত্তর একটা খুঁজে পাই অবশ্য। আমার সেই উত্তর নিয়েই আমি সন্তুষ্ট।
লেখা ভাল লাগল। আরো লিখুন।

তার্কিক

সিরাত এর ছবি

আমি শুধু বলতে চাই, বিশ্বাস এবং প্রমাণ দুটো আলাদা জিনিস।

আমেন।

বইটা ওকে লাগসে আমার। আমি মূল ইংরেজিটা পড়সি। কিন্তু যে আমাকে দিসে তার খুব ভাল লাগসে আবার।

অমিত এর ছবি

বইটার মূল কিন্তু ইংরেজিতে না, নরওয়েজিয়ান।

পদ্মজা এর ছবি

সোফির জগত ...... অসাধারণ বই।
যে প্রশ্নগুলো এই বইতে করা হয়েছে এবং উত্তর দেয়া হয়েছে ......... ভীষণ ভাল লেগেছে। এই প্রশ্নগুলো কখনো না কখনো মনে এসেছে। উত্তর খুজে নেয়ার চেষ্টা করেছি নিজের মত করে।
সমস্যা হোল আমার আগেই এই পৃথিবীতে এই একই চিন্তা যুগে যুগে আরও অনেকেই করে গেছেন।

স্নিগ্ধা এর ছবি

খুব গোছানো একটা লেখা, ভালো লাগলো হাসি অনেকবার অনেকের কাছে প্রশংসা শুনলেও বইটা পড়া হয় নি, ওটা সম্পর্কে আরো কিছু লিখলে খুব ভালো হয়!

রণদীপম বসু এর ছবি

সোফির জগৎ একটা অসাধারণ বই। ইউরোপিয় বিভিন্ন দর্শনের জন্ম রহস্য উন্মোচনই নয় কেবল, দর্শনপাঠের এরকম চমৎকার ও বৈচিত্র্যময় উপস্থাপন আমাকে খুবই আকৃষ্ট করেছিলো। প্রায় সাড়ে পাঁচশ পৃষ্ঠার ঢাউস সাইজের এ বইটা আমি সংগ্রহে নেই খুব সম্ভবত ২০০৩ সালে। আজ থেকে বছর তিনেক আগে আরজ আলী মাতুব্বরকে নিয়ে একটা লেখা তৈরি করতে গিয়ে শুরুতেই সোফির জগৎ থেকে উদ্ধৃতি দেয়ার লোভ সামলাতে পারিনি। সেই লেখাটা আপনি আপনার চিন্তার সাথে মিলিয়ে দেখতে পারেন। এবারের বইমেলা যদি প্রকাশের সুযোগ পায়, তাহলে আমার প্রবন্ধের বই 'উল্টোস্রোতের কূলঠিকানা'য় এই লেখাটাও থাকবে।
তবে আমি আশা করবো, গোটা 'সোফির জগৎ' বইটা আগে খুব মনোযোগ দিয়ে পাঠ করে এর উপর একটা লেখার মাধ্যমে ভাবনা শেয়ার করার জন্য।
আপনার লেখার শৈলী ভালো, চিন্তার ভঙ্গি আগ্রহোদ্দীপক। আর বক্তব্য প্রকাশে আশা করি প্রাচীন গ্রিক কবি ইউরিপিডিসের নিচের উদ্ধৃতিটা আপনাকে সাহস যোগাবে।
ধন্যবাদ একটা ভালো লেখার সূত্রপাত করার জন্য। ভালো থাকবেন।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অতিথি লেখক এর ছবি

*ঈশ্বর ও ধর্মকে যারা যুক্তি দিয়ে বিচার করতে চায় এই লেখাটি শুধুমাত্র তাদের জন্য,যারা ইশ্বর ও ঔশ্বরিক ধর্মকে যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে চায় তাদের জন্য নয়।এই পোস্টটি খুব তাড়াহুড়া করে লেখা,কিন্তু একজন সচল বন্ধু কোন পথ খুজে পান না,তাই ধর্মের পথে হাটঁছেন জেনে চুপ করে থাকতে পারলাম না।

১।কোন কিছুর অস্তিত্ব প্রমান সাপেক্ষ,অস্তিত্বহীনতা নয়।তাই ঈশ্বরে বিশ্বাস করার জন্য ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ করা প্রয়োজন,যতক্ষন না ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণিত হচ্ছে ততক্ষন ঈশ্বর সম্পর্কে প্রচলিত ধারনাকে অবিশ্বাস করাটাই আমার কাছে বেশি যৌক্তিক মনে হয়।

২।ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমানিত হলেই কিন্তু কোন ধর্ম ঔশ্বরিক বলে প্রমানিত হয় না।কারণ সব ধর্মই ঈশ্বরের কথা বলে কিন্তু এক ধর্মের ঈশ্বরের সাথে অন্য ধর্মের ঈশ্বরের মিল নেই।তাছাড়া ধার্মিকতা ও আস্তিকতা এক নয়।যেমনবৌদ্ধধর্ম ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না।

৩।ঈশ্বর আছেন কি নেই-এই প্রশ্নের উত্তর আমরা কখনো জানতে পারব কিনা জানি না তবে সমাজে প্রচলিত ধর্মগুলি যে যুক্তিহীন আবেগের উপর টিকে আছে তা খুব সহজেই বুঝা যায়।একটু লক্ষ করলেই দেখবেন মানুষের জ্ঞান বৃদ্ধির সাথে সাথে ধর্মগুলি বিবর্তিত হয়েছে।যখন মানুষ সাপকে বশ করতে শেখে নি, তখন সাপই ছিল ঈশ্বর;যখন মানুষ আগুনের ব্যাখ্যা জানত না তখন ঈশ্বরের অস্তিত্ব ছিল আগুনে,সৌরজগতের ব্যাখ্যা না জানা মানুষের কাছে সূর্যই ছিল ঈশ্বর।যা আমাদের কাছে এখনো ব্যাখ্যাহীন,তাকে ব্যাখ্যা করেই ধর্ম বেঁচে আছে।

৫।আজ সমাজে যে ধর্মগুলি টিকে আছে সেগুলি খুব পুরোনো নয়,মোটামুটি দুই হাজার বছরের মতো।পৃথিবীর বয়সের কাছে দুই হাজার বছর খুব নগন্য সময়।তাই এই ধর্মগুলিকে সুপ্রতিষ্ঠিত ভাবার কিছু নেই।হয়তো আরো দশ হাজার বছর পরে এই ধর্মগুলি থাকবে না,তখনকার ধর্মগুলি সেই সময়ের জাগতিক-মহাজাগতিক রহস্যকে ব্যাখ্যা করে টিকে থাকবে,যদি না বিবর্তনের হাত ধরে এই মহাজাগতিক সবকিছু রূপ বদলায়।

শাফিন হক

রায়হান আবীর এর ছবি

কিন্তু একটা কেন্দ্রীভূত ভর থেকেই যদি সবকিছু সৃষ্টি হয়ে থাকে তাহলে সেই কেন্দ্রীভূর ভর এলো কোথা থেকে? ওইটা কি শূন্য থেকে এলো? না তা হতে পারে না। নাকি নিজে নিজেই তৈরী হল? না, তা হতে পারে না। তাহলে কি আসলেই কেউ ঐ কেন্দ্রীভূত ভর সৃষ্টি করেছে? কে সে? সে-ই কি ঈশ্বর? তাহলে কি আসলেই ঈশ্বর আছেন?

একদম হাজার বছরের চর্বিত কথা বলি, বিগব্যাঙ্গের মাধ্যমে বিশ্বের সৃষ্টি যদি একজনকে করতেই হয় তাহলে তাকে অর্থাৎ ধরে নিলাম সৃষ্টিকর্তাকেও একজনের সৃষ্টি হতে হবে। এভাবে আমরা কতদূর যাবো?

অক্কামের ছুরি বলে একটা মজার টার্ম আছে বিজ্ঞানে। অনুরোধ থাকলো এখানে ক্লিক করে লেখা পড়ে নেবার

s-s এর ছবি

সোফি'স ওয়ার্ল্ড সুন্দর বই, আর বাকীটা সম্পর্কে এই টে দেখুন হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

@ কামরুজ্জামান স্বাধীনঃ ব্যাপারটা আসলে কঠিন কি সহজ আমি জানিনা... তবে কঠিন কিছু হলে বলতে হয়, আমি কঠিন কিছু দেখলে ভয় পাই... মন খারাপ

@তার্কিকঃ হাসি

@সিরাতঃ হাসি

@পদ্মজাঃ

সমস্যা হোল আমার আগেই এই পৃথিবীতে এই একই চিন্তা যুগে যুগে আরও অনেকেই করে গেছেন।

তাই বলে আমাদের ভাবতে কিন্তু বাঁধা নেই।

@স্নিগ্ধাঃ পড়ি আগে... ইচ্ছা হলে আবারো লিখব। হাসি

@রণদীপম বসুঃ অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক কমেন্টের জন্য... লেখায় আমার প্রশংসার চেয়ে সমালোচনা বেশী পছন্দ! তাহলে কিছু বুঝতে পারব।। আসলে কি ভাবছি এবং লিখছি আমি।

@ শাফিন হকঃ

কিন্তু একজন সচল বন্ধু কোন পথ খুজে পান না,তাই ধর্মের পথে হাটঁছেন জেনে চুপ করে থাকতে পারলাম না।
হাসি

আমি কিন্তু আমার ধর্মবিশ্বাস নিয়ে কথা বলিনি, বলেছি আস্তিকতা বা নাস্তিকতা নিয়ে কথা। ধর্ম নিয়ে এখন বলছি, আমি নিয়মের মাঝে চলা মানুষ না, মন যা চাই তাই করা মানুষ। কোন কিছুই আমার কাছে অপরিবর্তন যোগ্য না। আমার ধর্মটা আমার মনের মধ্যে লেখা, কোন নির্দিষ্ট বই বা নিয়মে সীমাবদ্ধ না। সচারাচর মানুষ যা পালন করে, তা সংস্কৃতি বলেই আমি আমি মানি।

@রায়হান আবীরঃ এটা আসলেই একটা ধাঁধা! ব্যাপারটা আসলে এমন ... ঈশ্বর, তারপর একজন মহাঈশ্বর, তারপর একজন মহামহা ঈশ্বর!...
এক ঈশ্বরের রহস্য সমাধান হয়নি, সিরিজে যাওয়ার কথা ভাবলেই তো ভয় লাগে!

@s-s: হাসি

-নীরবতা

অমিত এর ছবি

তাহলে কি আসলেই কেউ ঐ কেন্দ্রীভূত ভর সৃষ্টি করেছে? কে সে? সে-ই কি ঈশ্বর? তাহলে কি আসলেই ঈশ্বর আছেন? এই জায়গাই গিয়ে আমার যুক্তি যে থেমেছে... আমি এখনও তা অতিক্রম করতে পারিনি। কোন যুক্তি দিয়ে এই প্রশ্নের সন্তুষ্ট হবার মত উত্তর পাইনি বলেই ঈশ্বরের অস্তিত্বকে স্বীকার করে নিয়েছি।

আমি ব্যাখ্যা দিতে না পারা মানে এই না যে ব্যাপারটার কোনও ব্যাখ্যা নাই।
ধর্ম জিনিসটা আসলে সারাজীবন থাকবে যতদিন মৃত্যূ থাকবে। মৃত্যূতেই সব শেষ, ব্যাপারটা হজম করা বেশ কঠিন।

স্বাধীন এর ছবি

লেখাটির জন্য ধন্যবাদ। আপনার দাদুর কথা পড়ে মনে পরে যায় আমার এক নানার কথা। আমার নিজের জীবনেও উনার অবদান অনেক বেশি। আপনার লেখা পড়ে মনে হল আসলে আমাদের সমাজে এরকম দাদু/নানা/কাকা ছড়িয়ে রয়েছেন, শুধু আমরা জানি না। অন্যথায় সভ্যতা এগুতে পারতো না।

সোফির এই প্রশ্ন সেই আদিম কাল হতেই মানুষের মনে মনে। বিজ্ঞান এখনো সম্পূর্ণভাবে জবাব দিতে না পারলেও অনেকটুকু এগিয়েছে। হয়তো আর বেশি প্রজন্ম অপেক্ষা করতে হবে না এই ধাঁধার জবাব বের করতে। ততদিন মানুষকে ঈশ্বর নিয়েই থাকতে হবে। ধর্ম, সমাজ ও দর্শন নিয়ে আমার নিজের একটি লেখা ছিল, পড়ে দেখতে পারেন।

সোফির জগৎ বইটি বইমেলায় কোন স্টলে পাওয়া যাচ্ছে?

মন খুলে লিখে চলুন।

অতিথি লেখক এর ছবি

আরজ আলী মাতুব্বর আর প্রবীর ঘোষের বইগুলো যদি কষ্ট করে পড়তেন।
সৈকত

মূলত পাঠক এর ছবি

আপাতত সংক্ষেপে বাহবা জানিয়ে যাই, এমন চমৎকার লেখার জন্য। সোফির জগৎ নিয়ে তো লিখবেনই, কিন্তু আপনার জীবনের ছবিও কিছু আঁকুন। আপনার হাতে ঐ বস্তু খুব ভালো আসে।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

আমি বইটা ইংরেজিতে পড়েছিলাম, ভালো লেগেছে বলে অনুবাদে-ও হাত দিয়েছিলাম; পরে জানতে পারি যে ইতিমধ্যে বাঙলায় অনুদিত হয়ে গেছে। তাই ক্ষ্যামা দিয়ে দিয়েছিলাম।
ধর্ম, ঈশ্বর নিয়ে আমি কম ভাবি; কারণ, ভাবনার পর্যাপ্ত উপকরণ নেই; আর না ভাবলে-ও নিজে মানবিক রাখি- সেটাই আমার কাছে মুখ্য।

==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

যা আমরা দেখতে পাই না বা কোনভাবেও অনুভব করতে পারি না, তার নিয়ে যুক্তি-তর্ক সম্ভব কিনা সে নিয়েও ভিন্ন ভিন্ন দর্শন আছে। যেমন নৈয়ায়িক/যৌক্তিক প্রত্যক্ষবাদীরা (logical positivist) মনে করেন যা আমাদের পর্যবেক্ষণ করতে পারি না, তা নিয়ে তর্কের মানে নেই। বিজ্ঞানের দর্শন অনেকটাই এই দর্শনের সাথে যায়। বিজ্ঞান কেবল পর্যবেক্ষণ করা যায় এমন বিষয়েরই মীমাংসা করতে পারে। আপনি বিজ্ঞানের কাছে আবদার করলেন দেখে বললাম।

তাহলে যেগুলো আমরা পর্যবেক্ষণ করতে পারছি না, সেগুলো কি বিজ্ঞান ব্যাখ্যা করতে পারবে না? বৈজ্ঞানিক গবেষণা এমন অনেক তত্ত্ব দিয়েছে পূর্বে যা পরে পর্যবেক্ষণ করা গেছে।

তবে সেই বিষয়গুলো, যেগুলো কখনই আমরা পর্যবেক্ষণ করতে পারব না? সেগুলো নিয়ে আমাদের কি এসে যায়? সেগুলোর অস্তিত্ব আছে এমনটা কেন আমরা ভাববো? আমাদের কোনো ঘটনার ব্যাখ্যায় তো তার প্রয়োজন পড়ছে না। 'সেইসব' বিষয়, যার কোনো আঁচ-আলামত আমরা কখনো দেখতে পাই না বা পাবো না, তার আলোচনা বিজ্ঞানসম্মত না। তার কোনো মানেও আসলে নেই। কারণ কোনো ঘটনার ব্যাখ্যায় তার প্রয়োজন হচ্ছে না এবং 'সেইসব' বিষয়গুলোর অস্তিত্ব কখনই কোনো পর্যবেক্ষণ দিয়ে প্রমাণ করা সম্ভব না।

তথাপি, একটা সময়, যৌক্তিক বা বৈজ্ঞানিক দর্শনসম্মত চিন্তা করার ক্ষমতা যখন মানুষের ছিল না, মানুষ তার সামনে ঘটে যাওয়া অনেক আপাত-রহস্যপূর্ণ ঘটনার জন্য অলৌকিক কর্তার কল্পনা করেছে। আজগুবি জিনিস চিন্তা বিজ্ঞানসম্মত নয়, কিন্তু সেগুলো চিন্তার জন্য তো আর মানুষের চিন্তাশক্তির কোনো বাধা নেই।

বিগ ব্যাং নিয়ে আমার সরল বক্তব্য, এর পূর্বের কোনো ঘটনা পর্যবেক্ষণ-সাধ্য নয়, এর পূর্বের কোনো ঘটনার কোনো প্রকার প্রভাব নেই এর পর মুহূর্তগুলোতে এবং অদ্যাবধি এই বিশ্বে। বিগ ব্যাং ঘটে যাওয়ার পরের ঘটনাগুলোর প্রভাব রয়েছে এই বিশ্বে এবং সেগুলোর অনেকাংশই পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব। এবং বিগ ব্যাংএর পরের সকল ঘটনাই কার্য-কারণ দ্বারা ব্যাখ্যাসাধ্য। তাহলে 'বিগ ব্যাং ঘটেছিল একটা হাতির কাশি ঝাড়ার কারণে', কি মূল্য এই তথ্যের?

----------------------------------
~জীবন অনেকটা জড়ই, কিন্তু অনন্য!~

অতিথি লেখক এর ছবি

@অমিতঃ

মৃত্যূতেই সব শেষ, ব্যাপারটা হজম করা বেশ কঠিন।

ব্যাপারটা আসলেই হজম করা কঠিন। মৃত্যুটা যদি দৈহিক হয়, মানতে কষ্ট হয় না। কিন্তু আত্মিক হলে কষ্ট হয়। দৈহিক মৃত্যুর সাথে সাথে আত্মার সাথে জীবিতদের যোগাযোগ শেষ হয়ে যায়... এটাই সমস্যা। আত্মার আর কোন অস্তিত্ম অবশিষ্ট থাকার কথা না, কারন মস্তিস্কের কার্যক্ষমতা শেষ হয়ে যায়, পচে গলে মাটিতে মিশে যায়... যৌক্তিক ভাবে...

কিন্তু জীবিত দেহগুলো যখন তাদের মৃত আত্মা নিয়ে চলে ফিরে ঘুরে বেড়ায়... তখন কেমন লাগে?

আর, ঈশ্বর ব্যাপারটার ব্যাখা নাই, এটা ভাবি না... অবশ্যই আছে/থাকবে, একদিন হয়ত সেই ব্যাখা পেয়ে যাবো আমরা, অথবা, পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরছে, এমন ধ্রুব সত্যের মত প্রমাণ হয়ে যাবে, কেন্দ্রীভূত ভরের উৎস কি?... সেদিন হয়ত আরেকটা প্রশ্ন সামনে চলে আসবে, কিন্তু আগের প্রশ্নটার উত্তর আমরা পেয়েও যেতে পারি... হাসি

-নীরবতা

অতিথি লেখক এর ছবি

@স্বাধীনঃ

আপনার লেখাটা পড়লাম। ভালো লেগেছে, কিন্তু একটা ব্যাপার আছে, শক্তির উৎস হিসাবে যারা ঈশ্বরকে বিশ্বাস করেন তারা, ঠিক ঈশ্বরকে নিয়ে ঘাটাঘাটি করেন না, তারা আসলে শক্তির পূজারী, সে আগুন হোক আর অলৌকিক ক্ষমতা হোক।

বিগ ব্যাং পৃথিবীতে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ব্যাপার। কিন্তু দর্শন বিজ্ঞান কে উসকে দেয়। দার্শনিক চিন্তা না থাকলে বিজ্ঞানের কিছু মৌলিক আবিস্কার এবং এতোদূর পথ চলা হয়ত হত না। উত্তরের আগে প্রশ্ন লাগে। দর্শন সেই কাজটাই করে।

বইটা কিনলাম সন্দেশ এর স্টল থেকে... হাসি

@সৈকতঃ আমি গতকাল যখন পোষ্টটা দিচ্ছিলাম, তখনই আমার এক বন্ধুকে বলেছি, "আপনি আমার দর্শন গুরু হবেন? আমাকে চিরকুট পাঠাবেন।" বন্ধুর নামটা কিন্তু আপনার মতই... হাসি

আমার সেই দর্শন গুরু তো থাকলই... সাথে আমি আরো অনেক কে পেয়ে যাবো বলেই মনে হচ্ছে... ধন্যবাদ হাসি

@মূলত পাঠকঃ আঙ্গুলের ডগায় যাই আসবে তাই লিখে যাবো, লিখতে লিখতেই হয়ত এই নিতান্ত শিশু মানুষটার অনেক কথা লেখা হয়ে যাবে... হাসি

@আশরাফ মাহমুদঃ ঈশ্বর কে নিয়ে ভাবি বা নাই ভাবি, তিনি আছেন কি নেই, তা নিয়ে বিতর্ক আছে। কিন্তু মানুষের মাঝে মানবতা সত্য। এর চেয়ে বড় আর কোন ধর্ম/চর্চা নেই।

-নীরবতা

অতিথি লেখক এর ছবি

@ধ্রুব বর্ণনঃ

আপনার উচ্চতা আমার চেয়ে বেশী... হাসি একাধিকবার পড়তে হল আমি ঠিক বুঝতে পারছি কিনা। আসলে চোখ তুলে আপনার চোখের সোজাসুজি তাকাতে পারছিলাম না কিনা।

আসলে আপনি যা বলেছেন তার সবই সত্যি। কিন্তু তারপর বিজ্ঞানের কাছে আবদার না করে পারিনি। আমি যখন বিতর্ক করতাম তখন আমার এক সহ-তার্কিক বলেছিল, যুক্তি যদি অখন্ডনীয় হয় তাহলে তা যুক্তি নয়, সিদ্ধ তত্ত্ব!... কথাটা আমার মনে দাগ কেটেছিল। আমরা যতক্ষন বিতর্ক করব, ততক্ষন যুক্তির বিপরীতে পালটা যুক্তি আসবে। এটা তখনি থামবে, যখন আমাদেরই একটা যুক্তি বিজ্ঞান সিদ্ধ তত্ত্ব বলে প্রমাণ করে দেবে। তাই শেষ ভরষা বিজ্ঞানে... কিন্তু ওই পর্যন্ত যাওয়ার আগ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক ও দার্শনিকদের বিতর্ক করে যেতেই হবে।

-নীরবতা

অভিষেক [অতিথি] এর ছবি

লেখা ভাল লেগেছে। আপনার লেখা আরো পড়তে চাই।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- মজার ব্যাপার হলো, আমি মনে করি জিনিষ যেমন চলছে তেমন যদি চলে তাইলে ক্ষতি কী? ঈশ্বরের অস্তিত্ব আছে কি নেই, সেটা প্রমাণ করে কী হবে? না করলেই বা কী হবে? কেউ যদি ধর্ম পালন করে যেতে চায়, তাহলে ক্ষতিটা কোথায়? কেউ যদি মৃত্যুকে সবকিছুর শেষ ধরে নেয়, তবে ঝামেলাটা কোথায়?

ঈশ্বর বসে বসে বাইনোকুলার লাগিয়ে আমাদেরকে দেখেন নাকি সামার ব্রেকে গায়ে জংলী ছাপার হাওয়াই শার্ট লাগিয়ে, চোখে রে-ব্যান লাগিয়ে ভূমধ্যসাগরে ছুটিতে চলে গেলেই কি? পৃথিবীর আহ্ণিক গতির কি দিক পরিবর্তন হবে? হবে না। সবকিছুই একই ভাবে চলতে থাকবে।

লোকজন খালি জটিল জিনিষপাতি নিয়া ভাবে। আরে বাপ, জগতে সোজা সোজা এতো জিনিষ থাকতে জটিল জিনিষ ক্যান?

হে হে হে দর্শন বিদ্যা আমাকে দিয়ে হবে না, বুঝাই যায়। হাসি

তবে আপনার লেখাটা ভালো লাগছে। আপনি কি সাধারণত এইসব জটিল বিষয় নিয়েই লিখেন?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতিথি লেখক এর ছবি

@অভিষেকঃ হাসি

@ ধুসর গোধূলিঃ

কি জানি বাপু! আমার কেমন ডর ডর লাগে! আমি তো এতো কিছু ভেবে লিখি নাই। যা মনে আসছে লিখে ফেলছি... মনে রঙ্গিন রঙ্গিন জিনিশ আসলে তাও লিখব নে... এমনি তে আমি আড্ডাবাজ, কঠিন কথায় না, আমার চারপাশে সাধারণত আমার জুনিয়র বন্ধুরা থাকে, এত্তো ভাবের কথা কইলে ওরা আর আমার ধারে কাছে আসত না... হাসি

আমি তো কঠিন কিছু ভাবতে চাই না... মাথায় এসে গেলে কি করা! চেষ্টা করে দেখি, মগজটা কে একটু শাসন করা যাই কিনা... চোখ টিপি

-নীরবতা

অর্ঘ্য এর ছবি

"সোফির জগৎ" আমার খুব প্রিয় বই ৷ তাই দেরিতে হলেও দু'কথা না বলে পারলাম না ৷ বইটা পড়া হয় মনে হয় কলেজে থাকতে ৷ বেশ নাড়া দিয়েছিল, ঘোরের মধ্যে ছিলাম ৷ এখনও এর ইংরেজি ই-বুক আর অডিও-বুক টা আমার মোবাইলে আছে ! তবে সবচে বড় ধাক্কাটা খেয়েছিলাম ক্লাস এইটে পড়ার সময় "আরজ আলী মাতুব্বর" পড়ে ! যদি না পড়ে থাকেন, পাঠক সমাবেশ থেকে রচনাসমগ্রটা কিনে নিতে ভুলবেন না ৷ আর যারা ঈশ্বরকে নিয়ে বেজায় সংশয়ে আছেন তাঁদের জন্য বোধ করি আহমাদ মোস্তফা কামালের "সংশয়ীদের ঈশ্বর" বইটা বেশ কাজে দিবে ৷ হাসি

লেখা বেশ ভাল হয়েছে ৷ চালিয়ে যান ৷ অনেক শুভকামনা রইলো ৷ হাসি

------------------------------------------
যাহা চাই যেন জয় করে পাই ... গ্রহণ না করি দান ...

------------------------------------------------------
পুষে রাখে যেমন ঝিনুক ... খোলসের আবরণে মুক্তোর সুখ ...

সাব্বির শওকত এর ছবি

আপনার লিখাটি পরে ভাল লাগল।আশা করি আরো লিখবেন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।