মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার এমন অমিত উপদেশ বাণী বিরোধীদলে গেলে কোথায় হারায়??

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ০৬/১২/২০১০ - ১০:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গতকাল(৫ই ডিসেম্বর'২০১০ইং) রাতে ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া গুলোতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত "রাশিয়া-বেলজিয়াম-জাপান" সফর উত্তোর সংবাদ সম্মেলনের নিউজ দেখলাম। বাংলাদেশের বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের মানষকন্যা শেখ হাসিনার উপদেশমূলক অমিত বাণী শ্রবণ করলাম আর মনে মনে একটা প্রশ্ন করলাম-"ক্ষমতার বাইরে থাকলে আপনার এই উপদেশ বাণী গুলো কোন দ্বীপে নির্বাসনে যায়?" সকালে পত্রিকার মাধ্যমেও সংবাদ সম্মেলনের বিস্তারিত পড়লাম।

তিনি উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান বিরোধী দলের উদ্দেশ্যে বলেন-"ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের মাধ্যমে জনগণকে কষ্ট দেবেন না। দেশের সম্পদ ধ্বংস করবেন না। আসুন অমিত সম্ভাবনার বাংলাদেশকে আমরা বিশ্ব সভায় মর্যাদার আসনে অভিষিক্ত করতে যার যার অবস্থান থেকে একযোগে কাজ করি।" (সূত্র: প্রথম আলো, ৬ডিসেম্বর'১০) সত্য কথা, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। কথাটা শুনে চোখে বন্ধ করে অতীত নিকটের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেশ বাণী গুলো স্বরণ করার চেষ্টা করলাম, এবং আশ্চর্য আমি দু'জনার কথার মাঝে কোন পার্থক্য খুঁজে পেলাম না। মনে মনে ভাবলাম-"পুরানো স্ক্রীপ্টে নতুন করে শব্দ চয়ন ও বক্তার পরিবর্তন ছাড়া আর কিছু না।"

সংসদে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করে বিরোধী দলকে প্রধানমন্ত্রী বলেন-"সংসদে আসুন, যতক্ষণ খুশী কথা বলতে পারবেন। সে সুযোগ আপনাদের আছে।" সত্য কথা সংসদীয় রাজনীতিতে যে কোন দলের কথা বলার অধিকার আছে। তবে সেটা কাগজে-কলমে আর প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীদের কথায়, বাস্তবে চিত্র অনেক ভিন্ন। এটা শুধুমাত্র বর্তমান সংসদের চিত্র নয়, আগেও আমরা একি চিত্রের প্রদর্শনী দেখেছি। সাবেক প্রধানমন্ত্রীও আজকের সরকারীদল যখন বিরোধীদলে থেকে লাগাতর সংসদ বর্জন করেছিলেন, তখন বিনয়ের সাথে একি কথা বলেছিলেন। তখন যেমন আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুনেননি, তেমনি তখনকার প্রধানমন্ত্রী আজকের বিরোধীদলের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও শুনছেন না। ক্ষতি কার হচ্ছে, সেটা ওনারা না বুঝলেও আমরা শালার আমজনতা ঠিক বুঝতেছি, কিন্তু কিছুই করতে পারছি না। আমাদের ক্ষমতা যে শুধু পাঁচ বছরে একবার আসে, সেটাও আবার অনেক সময় টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়ে যায়, কিম্বা আবেগের কাছে, দলের প্রতি আনুগত্যের কারণে, ব্যক্তিস্বার্থের চোরাবালিতে বিপদগামী হয়ে যায়। ফলে দেশের চিত্রের কোন পরিবর্তন হয় না। আমরা সাধারণ জনগণ পাছা দিয়া আইক্কাওলা বাঁশ খাই আর ব্যাথায় কঁকয়ি উঠি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উক্ত সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন-"ব্যক্তিগত ও দলীয় স্বার্থকে জাতীয় স্বার্থের চেয়ে বড় করে না দেখতে বিরোধী দলের প্রতি আহবান জানান।" একি কথা আমরা বহুবার পূর্বে শুনেছি আশা করি ভবিষ্যতেও শুনবো।

বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য মরণ ব্যাধী ঘাতক হরতাল কারোই কাম্য নয়। সাধারণ মানুষও এই ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ থেকে মুক্তি চায়। তবে বর্তমান সরকার যে ভাবে হরতাল বিরোধী বক্তব্য প্রদান করছে তাতে মনে হয় তারা জীবনেও এই অস্ত্রটি ব্যবহার করেননি বা চিনেন না। আজকের বিরোধীদল যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখনও আমরা হুবহু কথাই শুনেছি। এরা ক্ষমতায় থাকলে একরকম কথা বলে আর ক্ষমতায় না থাকলে ভিন্নসুরে কথা বলে। দুই দলেরি ভাষা এবং আচরণে কোন পার্থক্য নেই, আছে শুধুমাত্র অবস্থানগত পার্থক্য।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বাড়ি নিয়ে রসিকতা করে বলেন-" জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর ভাঙা স্যুটকেস আর ছেড়া গেঞ্জি দেখানো হয়েছিল। এখন বাসার মালামাল সরাতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে ট্রাকের পর ট্রাকেও তা শেষই হচ্ছে না। মাল যাচ্ছে তো যাচ্ছেই। দেশি-বিদেশি চোখ ধাঁধানো মালপত্র, শাড়ি-গয়না, সোফাসেট, আসবাবপত্রের যেন শেষ নেই। এক বাড়ির মাল রাখতে কয়েক বাড়িতে যাচ্ছে। শুনলাম বিরোধীদলীয় নেত্রী বাথরুমের কমোড, ও ফিটিংস নিতে চাইছেন। বললাম দিয়ে দাও। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলছি। আর বিরোধীদলীয় নেত্রী তাঁর বাথরুম ডিজিটাল করেছেন। আসলে বিরোধীদলীয় নেত্রীর ভালো বাসার প্রতি ভালোবাসা থেকেই এটা হয়েছে।" -এই যদি হয় ২বারের (মতান্তরে ৩বার) সাবেক প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বাক্য চয়ন, তাহলে পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ থাকায় কোথায়? সম্মিলিত প্রয়াশের যে উদ্বাত্ত্ব আহবান প্রধানমন্ত্রী করেন তার সম্ভাবনাটাই কতটুকু আশা করা যায়। আমার মনে হয়না বাংলাদেশের কোন সংসারের দুই সতীনও এই ভাষায় সমালোচনা করে!! ওনি বলেছিলেন বাড়ি নিয়ে সরকার কিছু করেনি, আদালতের রায়ের বিরোধীদলের নেত্রী পরাজিত হয়েছেন, সুতরাং ওনাকে আদালতের রায় মানতে হবে। বাড়ি নিয়ে সরকারের কোন সিদ্ধান্ত নেই। আমার প্রশ্ন হলো- আপনি বা আপনার সরকার যদি কিছু না জানে তাহলে কমোড নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা আপনার কাছে এলো কি করে, আর আপনিই কি ভাবে নিয়ে যাবার অনুমতি দিলেন? এখমুখে কতকথা বলেন? মানুষকে কি বেকুব বা মূর্খ ভাবেন? আপনি কিছু জানেন না, অথচ কমোড দিবে না রেখে দেবে তার অনুমতিও আপনার কাছ থেকে নিতে হয়। আর আপনি কত মহান বাড়ি থেকে বিতারিত করে কমোডটা হাসি মুখে দিয়ে দেবার অনুমতি দিয়ে দিলন। ধন্যবাদ আপনার মহানুভবতার জন্য।

প্রধানমন্ত্রী জিয়াউর রহমানের ভাঙা স্যুটকেসের কথা বললেন, আমি ওনাকে একটা কথা জিজ্ঞাসা করতে চাই, আমার বাবা একজন কৃষক বলে কি আমি কোনদিন শিল্পপতি হতে পারবো না?? বাবা ছনের চালে ঘুম আসছেন বলে কি কেউ কোন দিন দালান / প্রাসাদ বানাতে পারবে না? যদি বলেন হ্যাঁ পারেন, তাহলে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বা তাঁর দুই সন্তান তারেক -কোকো বানালে দোষ কোথায়? তবে হ্যাঁ সেটা হওয়া উচিত সৎপথে উপার্জনের মাধ্যমে। যদিও তাদের নামে ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগ(এখনো প্রমানীত নয়), রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অর্থ উপার্জনের অপবাদ আছে। সেটা ভিন্নমাত্রা, এর সাথে জিয়াউর রহমানের অবস্থার তুলনা চিত্র কি হীনমন্যতার পরিচয় বহন করে না? তিনি বেগন খালেদা জিয়ার শাড়ি-গয়না, আসবাবপত্র নিয়েও কথা বলেছেন, তিনি কি নিজের ওয়ারড্রপের দিকে তাকিয়ে বলেছেন? নিজের গৃহে আসবাবপত্রের দিকে তাকিয়ে বলেছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঐশ্বর্য্যময় জীবন যাপনের চিত্র তো সাধারণ মানুষ টিভিতে দেখেছে ওনাকে ব্যঙ্গ করে বলার কি কোন দরকার ছিল? এতে কি তার নিম্ম মনের রূচীর পরিচয় বহন করে না?

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার বাবা যে সম্পত্তি রেখে গেছেন তার থেকে কী আপনার সম্পত্তি একটুও বাড়েনি? আপানর ছেলে কি বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়নি? শেখ রেহানা কি সম্পদশালী নন? ক্ষমতা গ্রহণের আগে বলেছিলেন আপনিসহ সকল মন্ত্রীদের সম্পদের হিসেব দিবেন, আজ ২৩মাস অতিবাহিত হচ্ছে, দিয়েছেন কী? তাহলে কি করে সাধারণ মানুষ বুঝবে আপনার সম্পদ বাড়লো না কমলো? আমি সৎ ও নীতিবান কথাটা নিজে বললে যতটুকু শোভনীয় লাগে তার চেয়ে অনেক বেশী মধুর ও মার্জিত লাগে অন্যে বললে। নিজের ঢোল নিজে পিটিয়ে তো লাভ নেই। আপনি যেহেতু ক্ষমতা গ্রহনের পরপর সম্পদের হিসেব দেননি, সেহেতু ক্ষমতা থেকে যাবার পর কেউ যদি বলে আপনি পাঁচ বছরে কোটিকোটি টাকা উপার্জন করেছেন, তার উত্তর দিবেন কি করে? নিজে নিজে সৎ বললে তো হবেনা সেটা যে বাস্তবে প্রমানীত করতে হবে।

ডক্টর ইউনুসকে নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক কথা বলেছেন। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি ওনার এতো কথা না বলে শুধুমাত্র বললেই পারতেন-অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে আমরা তদন্ত করে দেখবো। কিন্তু ওনি বললেন-"বাংলাদেশ অনেক কিছুতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। জনগণের টাকা নিয়ে ভোগবাজির খেলা এটাও একটা দৃষ্টান্ত। দরিদ্র মানুষকে লোন দিয়ে অর্থ চুষে খাওয়া হচ্ছে। কোথাও দরিদ্র মানুষের উন্নয়ন হয়নি। দরিদ্র মানুষকে দেখিয়ে শুধু টাকা নিয়ে আসা হয়েছে।" মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনিতো এর আগেও ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন আপনার এই উপলব্দি কোথায় ছিল?
শুরুতে গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের শেয়ার ৬০ শতাংশ ছিল যা বর্তমানে কমতে কমতে ২৫ শতাংশে এসেছে দাড়িয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি যদি মানুষের রক্ত চুষেই খাবে তাহলে কেন সরকার এর শেয়ার না বাড়িয়ে কমিয়ে আনল?

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী, ও আওয়ামী লীগের অনেকেই ইউনুসকে ঘুষগোর, রক্তচুষা বিভিন্ন উপমায় উমপিত করেছেন। যে প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ডের জন্য নোবেল বিজয়ী ডক্টর ইউনুস ঘুষগোর, রক্তাচুষা বনে গেলেন, সেই প্রতিষ্ঠানের ২৫শতাংশ শেয়ারের অংশীদার বাংলাদেশ সরকারও কি সমান অপবাদে দুষ্ট হলেন না? আর যদি হয়ে থাকেন, তাহলে রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রধান হিসেবে এর দায় কি হাসিনার উপর বর্তায় না। ওনাদের মার্জিত ভাষায় (ওনাদের মতে) যদি গরীবের নামে টাকা এনে ভোগবাজী করা হয়, তাহলে সরকারের প্রতিনিধি ওখানে বসে কি করেন? এই ভোগবাজের ২৫শতাংশ মালিকানা কি সরকারের ঘাড়ে আসে না? আমরা একজন মানুষকে হেয় করার জন্য, সামাজিক ভাবে অপদস্ত করার হীন মানসিকতায় এতোটাই বুদ্ধিহীন হয়ে যাইযে কোথায়, কখন, কাকে কি বলতে হবে সেটাও ভুলে যাই। এটা আমাদের সবারই দোষ, প্রধানমন্ত্রীতো আমাদের মতই মানুষ!!

তবে প্রধানমন্ত্রী যে ঘটনার বা কর্মকান্ডের সমালোচনা করতে গিয়ে এতো গুলো চমকপ্রদ কথা বলে মানুষের মনের মণিকোঠায় জায়গা করে নেবার আপ্রাণ চেষ্টা চালালেন, সেই ঘটনাটি ওনার শাষনামলে (১৯৯৮) হয়েছিল। তখন ওনারা কি ঘুমিয়ে ছিলেন? ওনার প্রতিনিধিরা কি অন্ধ ছিলেন? নাকি টাকার মায়ায় অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে কেন প্রধানমন্ত্রী কিছু বলেন না? কেন ১২ বছর পর ভিনদেশী টিভির প্রতিবেদনের ফলোআপ করতে গিয়ে ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ প্রকাশ করলেন না? শেখ হাসিনাতো এখন শুধুমাত্র কোন রাজনৈতিক দলের প্রধান নন, এখন রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ওনার বক্তব্য কতটুকু যায়?

বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বাচনভঙ্গী, অভিব্যক্তি প্রকাশের ধরন, বাক্য চয়ন, উদাহরণ প্রয়োগের অভ্যাশ, কথা বলার সময় হাতের মুভমেন্ট ইত্যাদি দেখে আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয়, ওনিই দেশের একমাত্র শিক্ষিত, জ্ঞাণী, বুদ্ধিমতি, সর্ববিষয়ে বিশেষজ্ঞ। বাকী সবায় অশিক্ষিত, মূর্খ, বেকুব, যাবতীয় সব কিছুই ওনি একা বুঝেন, সাধারণ মানুষ কেউ বোঝে না। ওনার কথা বলার ধরনের মধ্যে ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধের বহিঃপ্রকাশ থাকে না। মানুষকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যার বহিঃপ্রকাশটা স্পষ্টভাবেই বেড়িয়ে আসে। ওনাকে ভুলে গেলে চলবে না যে ওনি দেশের প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নন। আওয়ামী লীগের কর্মী সদস্যরা পদ বা ক্ষমতার অংশীদার হওয়ার জন্য ওনাকে তোষামোদ করতে পারেন, তেল মারতে পারেন, কিন্তু জনগণ সেটা কখনো করেনা এবং ভবিষ্যতেও করবেন না। ওনাকে ভুলে গেলে চলবে না ওনি ১০০% মানুষের সমর্থনে নির্বাচিত হয়ে আসেন নি। একটা বৃহৎ অংশ আছে যারা ওনার নীতিকে, আদর্শকে, ওনার দলের ম্যানিফেস্টোকে সমর্থন করে না। তাদের মনকেও যে ওনাকে জয় করতে হবে, তাহলেই কেবল সত্যিকারে দেশের প্রধানমন্ত্রী হ্ওয়া যাবে। ওনাকে ভুলে গেলে চলবে না, এদেশে অনেক জ্ঞানী-গুণী, মহাজনেরা আছেন, ওনার চেয়ে ভালো বোঝার লোকেরও অভাব নেই। সুতারং কথা বলার বাচনভঙ্গীটাও মার্জিত ও রূচিশীল হওয়া উচিত। তবে ব্যপারটা যদি ছোট বেলার গল্পের সেই বক্তব্যের মত হয় -"ঐ তুই কান্দোছ কে?- উত্তরে -কান্দি কই আমার চেহারাই এমন," তাহলে কথা নেই।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গতকালের সংবাদ সম্মেলনে আরো একটি কথা বলেছেন-"মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর যে আদর্শ ও লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল, সেই চেতনা নিয়েই দেশ ও সরকার এগিয়ে যাচ্ছে।" সুন্দর কথা, সুন্দর অভিপ্রায়। সুন্দর পরিচালনা দক্ষতা। ওনাকে অভিনন্দন!!

কিন্তু কথাটা হলো মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও লক্ষ্যটা কি ছিল? সেই চেতনাটই এখন কি? এটা কি শুধুমাত্র যুদ্ধাপারধীদের বিচারের মাঝে সীমাবদ্ধ? যে ঝঞ্ঝালের শিকড় আপনার পিতা বা পূর্বসূরী আওয়ামী লীগ রেখে গিয়েছিল, পরে বিভিন্ন সরকারের পৃষ্টপোষকতায় মহীরূহে পরিণত হয়েছে, সেটা নির্ঝঞ্ঝাট করাটা কি দায় পরিশোধের সমপর্যায় পড়ে না? যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কার্য শুরুর সাথে মুক্তিযুদ্ধাদের আদর্শ আর লক্ষ্যের মিল কোথায়। এটাতো দেশদ্রোহীদের বিচারের কাঠ গড়ায় দাড় করানোর দাবীর বাস্তবায়ন মাত্র।

মানুষকে একটি সুখী, সম্মৃদ্ধশালী, শোষন-নিপীড়ন মুক্ত প্রশাসন, নিরাপদে জীবন যাপন ও স্বাধীন মতামত প্রকাশের যোগ্য রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই কি তাদের আদর্শ ও লক্ষ্য ছিল না? সেটা কি প্রকৃত পক্ষে হচ্ছে? বা সেই পথে কি দেশ যাচ্ছে? এর উত্তর জনগণের কাছেই রয়ে গেল।

আজকের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই বলে থাকেন, শুধুমাত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ছাড়া অতীতের কোন সরকার দেশের জন্য কিছু করেন নি। তারা শুধুমাত্র দূর্নীতি করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার দল বাংলাদেশে শুধুমাত্র (সাড়ে ৩বছর+ ৫বছর+ ২৩মাস) বর্তমান সময় নিয়ে দশ বছর, বাকী ২৯বছর অন্যদল গুলো দেশ পরিচালনা করেছে। আজকের বাংলাদেশ কি শুধুই দশ বছরের অবদান? আজকের বাংলাদেশে যে পরিমান রাস্তা ঘাট, শিল্প কারখানা, অফিস-আদালত, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সেটা কি শুধুই আপনার দলের দশ বছরের অবদান, না সবার? বাংলাদেশের আজকের অবস্থানে আসার জন্য আপনার দলের চেয়ে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের অবদানও কম নয়।

এক সময় বাংলাদেশ বিদেশী সাহায্যের উপর নির্ভর করে বাজেট প্রণয়ন করত। সেখানে আজ বাজেটের সিংহ ভাগ আসে অভ্যন্তরীন সম্পদ থেকে। এটা কার অবদান? বালাদেশের সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম সাইফুর রহমানের অবদানকে কি অস্বীকার করবেন? যে ভ্যাটের সমালোচনা করেছিলেন সেটা কি ক্ষমতায় গিয়ে বাদ দিতে পেরেছেন? জাতীয় প্রবৃদ্ধির হার ছয় শতাংশের উপরে, এটা কি আপনাদের দশ বছরের সুশাষনের (যদিও জনগণ আপনাদের সুশাষনের নমুনা দেখে ২০০১সালে প্রত্যাখান করেছিল) জন্যই সম্ভব হয়েছে?

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি কি বলতে পারবেন আপনার দলের কর্মী-সমর্থকরা সাধারণ মানুষকে নির্যাতন করছে না? আপনার মন্ত্রী-সাংষদরা কি ধোয়া তুলসী পাতা? তাহলে কেন ক্ষমতা গ্রহনের পর সম্পদের হিসেব দিয়ে জনগণকে সন্দেহ মুক্ত করলেন না? আপনার প্রশাসন দূর্নীতি মুক্ত না যুক্ত সেটা তো আপনার ক্ষমতা ত্যাগ করলে বোঝা যাবে। নিজের ঢোল নিজে পিঠালে তো হবে না। বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীকে দূর্নীতিবাজ বলবেন, সন্ত্রাসী বলবেন, চাঁদাবাজ বলবেন। আপনার দল কি এর থেকে মুক্ত? বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কি শুধুমাত্র বর্তমান বিরোধীদলীয় নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধে দূর্নীতির মামলা হয়েছে? আপনার দলের নেতা-নেত্রীর নামে কি হয়নি? আপনার নামে কি হয়নি? আপনি ক্ষমতায় এসে সব মামলা প্রত্যাহার করে শুদ্ধ হয়ে গেলেন আর বিরোধীদলের মামলা ঝুলিয়ে রেখে দূর্নীতিবাজ বলে গালি দিবেন এটা কোন রাজনৈতিক সংস্কৃতি, বলবেন কি?

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে দিন বদলের কথা বলে এসেছেন তার কতটুকু পালন করতে পেরেছেন? আপনার দলের সদ্যসরা দিনে-দুপুরে রাস্তায় লাঠি দিয়ে পিটিয়ে নির্বাচিত মানুষকে খুন করে আইনের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় এটা কোন পরিবর্তনের মধ্যে পড়ে? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দখল, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী বন্ধ করতে পেরেছেন? দিন বদলটা হলো কোথায়? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কথা কম বলে কাজে মন দিলে উপকার আপনারই হবে। আমরা যারা ব্লগে বা যারা পত্রিকায় লিখে তাদের হবে না।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসীন হয়ে নরম গদিতে বসে যে কথা গুলো বলেন, সেই কথা গুলো একটু মনে রাখার চেষ্টা করবেন, যাতে নরম গদি ছেড়ে এলেও ভুলে না যান। আজকে যে মধুর অমিয় বাণী প্রদান করছেন এক সময় আজকের বিরোধীদলীয় নেত্রীও বলতেন। দয়া করে ক্ষমতায় বসে ওনার অবস্থাটা একটু ভাবুন, একদিন আপনিও ওখানে যেতে পারেন। তবে সঠিক পথে হাঁটতে পারলে, সত্যিকারের দিন বদল করতে পারলে হয়তো জনগণ আপনাকেই আবার এই চেয়ারেই দেখবে। জনগণের প্রত্যাশার ব্যত্যয় ঘটলে আজকের বিরোধীদলের ভাগ্য আপনাকেও বরণ করতে হবে। তখন আপনিও আজকের বিরোধী দলের মত আচরণ করবেন। কিন্তু আমরা জনগণ এই অদল-বদল চরিত্রের পরিবর্তন চাই। মাঝে মাঝে মনে হয় আপনাদের এতো অমিয় উপদেশ বাণী বিরোধীদলে গেলে থাকে কোথায়? কোন অচিন দ্বীপে এই সব সুন্দর ভাষন আর শব্দগুলো কে নির্বাসনে পাঠান? আশা করি বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে, পরবর্তীতে বিরোধী দলে গেলেও দিন বদলের শ্লোগান দিবেন। বিরোধীদলের ভূমিকার পরিবর্তন ঘটাবেন। পূর্বের ন্যায় সংসদ বর্জন করে পরবর্তী বিরোধীদলেকে পথ দেখাবেন না। আপনার দেখানো পথে যেন পরবর্তী বিরোধীদল হাঁটতে পারে সেই পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে আজকের লেখা শেষ করলাম।


মন্তব্য

সিরাত এর ছবি

উরেব্বাপরে! হাসি

দুর্দান্ত এর ছবি

বুঝতে পারি বর্তমান ঘটনাক্রমে হাসিনার ওপর ঋনাত্মক আবেগ ঠেকিয়ে রাখা কঠিন। কিন্তু যদি হাসিনা-খালেদার পারস্পরিক তূলনায় না গিয়ে দেশের আজকের অবস্থার জন্য এযাবত আসা সকল সরকারের অবদান নিয়ে আলোচনা করতে যাই, তাহলে এই দুজন অথবা এ দুই-পার্টির কোনটিরই কি শাবাস পাবার মত কোন অবদান আছে?

তবে ধন্যবাদ। প্রধানমন্ত্রীদের সমালোচনার একটি টেকসই গদ্য-কাঠামো উপস্থাপন করার জন্য। পরিস্থিতি আমূল না বদলালে, যথাবিহিত প্রধান মন্ত্রীর নাম পালটে দিয়ে এই কাঠামোটি বারবার ব্যাবহার করা যাবে।

আপনার নাম নেই কেন?

সিরাত এর ছবি

তবে ধন্যবাদ। প্রধানমন্ত্রীদের সমালোচনার একটি টেকসই গদ্য-কাঠামো উপস্থাপন করার জন্য। পরিস্থিতি আমূল না বদলালে, যথাবিহিত প্রধান মন্ত্রীর নাম পালটে দিয়ে এই কাঠামোটি বারবার ব্যাবহার করা যাবে।

হাহাহাহা! দেঁতো হাসি

guest_writter এর ছবি

ক্ষমতায় গেলে মানুষ কত কথাই বলে।

পাঠক [অতিথি] এর ছবি

যারা রেটিং করেছেন, তারা কেউই সদুত্তর দেননি কেন পোস্টে এরকম রেটিং করলেন। আসলে এই পোস্টটি ভালো রেটিং পেলেই বরং অবাক হতাম। যাই হোক, আমাদের সুশিল সমাজের কেন জানি ১টি দলের প্রতি অগাধ টান থাকে। দুনিয়ার সকল ব্যাপারে উনাদের কলমে প্রতিবাদের ফুলঝুড়ি ঝড়লেও ১টি নির্দিষ্ট দলের বেলায় তাদের কলম নামক সেই অস্ত্রটি হারিয়ে যায়। কিছুদিন আগে দেখলাম, ১জন মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুতে ১জন সুশিলের শ্রদ্ধা জানানের অপারগতার কথা এবং তার পক্ষে নানাবিধ যুক্তি। যারা মুক্তিযুদ্ধে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করলেন, তারা নাকি মুক্তিযোদ্ধা না! যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেন নি, তাদের মত সুশিলের কাছ থেকে ১জন মুক্তিযোদ্ধাকে তার সার্টিফিকেট নিতে হবে।

যারা রাজাকারদের প্রশ্রয় দেয় তাদেরকে যেমন ঘৃনা করি, ঠিক তেমনিভাবে ঘৃনা করি যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে নিজের ব্যক্তিগত সম্পত্তি বানাতে চায়, মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে ব্যবসা করে। জানি না, কবে এই ২দল থেকে আমরা মুক্তি পাব

দুর্দান্ত এর ছবি

আমার মনে হয়েছে আপনার লেখাটির গাঁথুনি আরো মজবুত করা যেতো, তারপরেও আপনাকে উতসাহ দিতে গিয়ে ৩ (ভালো) রেটিং করেছি। লেখার বিষয়বস্তু নিয়ে আমার বক্তব্য ওপরের মন্তব্যে দেখেছেন।

আরো লিখুন।

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রথমেই কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

["যারা রেটিং করেছেন, তারা কেউই সদুত্তর দেননি কেন পোস্টে এরকম রেটিং করলেন। আসলে এই পোস্টটি ভালো রেটিং পেলেই বরং অবাক হতাম। যাই হোক, আমাদের সুশিল সমাজের কেন জানি ১টি দলের প্রতি অগাধ টান থাকে। দুনিয়ার সকল ব্যাপারে উনাদের কলমে প্রতিবাদের ফুলঝুড়ি ঝড়লেও ১টি নির্দিষ্ট দলের বেলায় তাদের কলম নামক সেই অস্ত্রটি হারিয়ে যায়। কিছুদিন আগে দেখলাম, ১জন মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুতে ১জন সুশিলের শ্রদ্ধা জানানের অপারগতার কথা এবং তার পক্ষে নানাবিধ যুক্তি। যারা মুক্তিযুদ্ধে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করলেন, তারা নাকি মুক্তিযোদ্ধা না! যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেন নি, তাদের মত সুশিলের কাছ থেকে ১জন মুক্তিযোদ্ধাকে তার সার্টিফিকেট নিতে হবে।"
]
১। লেখায় রেটিং করা সম্পূর্ণ পাঠকের ভালো লাগা- না লাগার সাথে সম্পৃক্ত, এখানে লেখকের ভূমিকা শুধুই লেখাটা পাঠকের ভালো লাগার পর্যায়ে নি যাওয়া। সেই দিক থেকে যদি ব্যর্থ হই, তাহলে কেন রেটিং পাবার প্রত্যাশা করবো? আপনার ভালো রেটিং পেলে অবাক হবের কারণটাই আমার কাছে অবাক হয়ে দেখা দিল।
২। আপনি আমার লেখায় একটি দলের প্রতি আনুগত্য বা সমর্থন কোথায় খুঁজে পেলেন সেটাই আমি পরিষ্কার না। আমি তো দুটি দলেরই ক্ষগতায় গেলে কি রকম আচরণ করেন সেটা বুঝানোর চেষ্টা করেছি মাত্র, সঠিক ভাবে তুলে ধরতে না পারাটা আমার অদক্ষতা বা অক্ষমতা বলতে পারেন, তাই বলে কোন দলের সমর্থক বানিয়ে দিবেন? আরেকটা কথা আমি কোন সুশীল সমাজের লোক না, আমি নেহায়েত পাঠক মাত্র,মাঝে মাঝে লেখার দুঃসাহস দেখাই আর কি? এর জন্য গালমন্দও কম শুনিনা।
৩। মুক্তিযোদ্ধাদের সার্টিফিকেট, একজন সুশীলের কথা কেন এই লেখার সাথে এলো সেটাও আমার কাছে অপ্রাসঙ্গিক মনে হলো, হতে পারে আপনি অন্য কোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন।
৪। যেহেতু বর্তমানে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ তাই ক্ষোভের অধিকাংশ তাদের বিপক্ষে গেছে, তার মানে এই নয় যে আমি অপর দলটির অন্ধ বা সতর্ক সদস্য। আমি বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষমতায় গেলে কিরূপ আচরণ করেন, কথা বলেন আর বিরোধীদলে থাকলে কিরূপ আচরণ এবং কথা বার্তা বলেন সেটাই বোঝাতে চেয়েছি মাত্র। আমার লেখার দূর্বলতার জন্য বোঝাতে ব্যর্থ হয় তাহলে আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

তবে আমি এই বৈপরীত আচরণের সমাপ্তী চাই। ধন্যবাদ।

দিগন্ত বাহার [অতিথি] এর ছবি

বর্তমান সরকার যে ভাবে হরতাল বিরোধী বক্তব্য প্রদান করছে তাতে মনে হয় তারা জীবনেও এই অস্ত্রটি ব্যবহার করেননি বা চিনেন না। আজকের বিরোধীদল যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখনও আমরা হুবহু কথাই শুনেছি। এরা ক্ষমতায় থাকলে একরকম কথা বলে আর ক্ষমতায় না থাকলে ভিন্নসুরে কথা বলে। দুই দলেরি ভাষা এবং আচরণে কোন পার্থক্য নেই, আছে শুধুমাত্র অবস্থানগত পার্থক্য।

আপনার লেখাটি যথেষ্ঠ যৌক্তিক, তবে কিনা, আওয়ামী লীগের একটা বড় ট্র্যাজেডী এই যে, দেশব্যাপী জঙ্গীবাদের উত্থান, দলীয় এমপি হত্যা, সাবেক দলীয় অর্থমন্ত্রী হত্যা, পৈশাচিক গ্রেনেড হামলা, আসাদুজ্জামান নূরের মতো সংসদ সদস্যকে রাস্তায় গরুগম্ভীর ধোলাই, এক কোটি ভুয়া ভোটার সংবলিত তালিকা ইত্যাদি ইস্যুর হরতাল গুলোর তুলনা হয় নেত্রীর বাড়ি-পুত্রের গাড়ি বাচানো হরতালের সাথে। আরো আছে,

শুধুমাত্র বর্তমান সংসদের চিত্র নয়, আগেও আমরা একি চিত্রের প্রদর্শনী দেখেছি। সাবেক প্রধানমন্ত্রীও আজকের সরকারীদল যখন বিরোধীদলে থেকে লাগাতর সংসদ বর্জন করেছিলেন, তখন বিনয়ের সাথে একি কথা বলেছিলেন।

স্পীকারের স্পষ্ট সাপোর্টে সরকারি বক্তব্য ছিল এমন - বঙ্গবন্ধু ২৫এ মার্চে পশ্চিমে পালিয়ে গিয়েছিলেন, ৮১তে হাসিনা দেশে ফিরে গোলাম আযমের পায়ে ধরে সালাম করে রাজনৈতিক অভিষেক করেছিলেন, ২১এ আগষ্ট হামলা আওয়ামী লীগ নিজেই করেছিল, জেএমবী মিডিয়ার সৃষ্টি ইত্যাদি কারনে সংসদ বর্জনের তুলনা হয় সীট সংকটের বর্জনের সাথে।

তিনি কি নিজের ওয়ারড্রপের দিকে তাকিয়ে বলেছেন? নিজের গৃহে আসবাবপত্রের দিকে তাকিয়ে বলেছেন।

আজ্ঞে হ্যা। বন্ধুর আত্মীয়তার সুত্রে আমার সুধা-সদনে যাবার সুযুগ ঘটেছিল। ছাপোশা মধ্যবীত্ত বাড়ির আসবাবপত্র ছাড়া আর কিছুই দেখিনি। আর আমাদের বিলাসীনির সঙ্গে তুলনা করলে তাকে বস্তী বলতে কোন বাধা থাকবে না।

এতে কি তার নিম্ম মনের রূচীর পরিচয় বহন করে না?

সহমত। আমাদের রাজনীতিবিদদের নিম্ন মনের সাথে আমরা সর্বৈব পরিচিত। জাতির পিতার মৃত্যু বার্ষিকিতে মিথ্যা জন্মদিন পালন আমাদের রাজনীতিবিদদের নিম্ন মনেরই বহিপ্রকাশ।

ইউনোসীয় বক্তব্য, মন্ত্রীদের সম্পদের হিসাব, দিন বদলীয় ভাবধারা এসব কথায় সহমত, তবে শেখ রেহানার অতিরিক্ত সম্পত্তি, জয়ের আভিজাত্তিক জীবনযাপন এসবের সুস্পষ্ট রেফারেন্স থাকলে আমরা জানতে পারতাম। তা না হলে লেখকের বক্তব্যও যে একেবারে রাজনৈতিকই রয়ে গেল!

রুশো এর ছবি

জ্বী শেখ হাসিনার বাসায় আমিও গেছি। আপনি যেভাবে বললেন তা মনে হয় সঠিক হলনা। একটু বেশী, বেশী হয়ে গেল না ? যেভাবে বস্তির কথাটা আপনি টানলেন, তাতে মনে হয় আপনি, বাসায় গেলেও নীচের ড্রইয়িং রুমের ওপরে হয়ত আপনি যান নি। আর তাছাড়া শুধুমাত্র বন্ধুর হাত ধরে শেখ হাসিনার বাসায় অন্দরমহলে যাওয়া যায় বলে আমার জানা ছিলনা। শেখ হাসিনার বাসার নিরাপত্তা ব্যবস্থাটা যথেষ্ট শক্তিশালী। আপনি কি নীচের আর্চওয়ে মেটাল ডিটেক্টর পার হয়েছিলেন ? যেটা পার হলে নেতা কর্মীদের বসার জন্য ঘরটা পাওয়া যায় ?
আশা করি, গণভবন আপনার নেত্রীর চাহিদা মেটাতে পারবে। এবার বিদেশের চাইতে তার দেশটা কে কিছুটা হলেও ভাল লাগবে। পাঁচ বছর এর মধ্যে দেড়বছর উনি বিদেশে কাটাবেন না।
একটা দেশের প্রধানমন্ত্রীর তার মেয়ের বাচ্চা হওয়া উপলক্ষে যেভাবে সরকারী পয়সায় মায়ামিতে প্রায় দুমাস থাক্লেন, তাতে বিলাসী জীবনের প্রতি তার নির্মোহ টের পাওয়া যায়।
ভাল থাকুন।

দিগন্ত বাহার [অতিথি] এর ছবি

আজ্ঞে না ব্রাদার...বন্ধুর হাত ধরে বেড়াতে যাইনি। আইনী ব্যাপারে নির্দিষ্ট কাজ ছিল, তার সহকর্মী হিসেবে গেছি, সেটা এখানে বিস্তারিত বলার প্রয়োজন বোধ করিনি। বিলাসীনির সাথে তুলনা করলে বিশেষণ যা আসে তাই বলেছি।
আমি এখানে দলবাজী করতে আসিনি। তবে সচলায়তনের মতো একটা প্লাটফর্মে কেউ এভবে দলবাজী করলে চোখ কপালে না উঠে উপায় কি? এখানে ইদানীং নির্লজ্জদের ভোট চাইতেও দেখা যাচ্ছে।
আপনিও ভালো থাকবেন। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

দিগন্ত বাহার ভাই আমি আপনার মতের সাথে একমত সচলায়তন কোন ভাবেই রাজনৈতিক প্লাটফর্ম হতে পারে না। তবে দেশের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে নিশ্চয়ই মানা নেই???

দেশের দুই শীর্ষ দলের অবস্থানগত আচরনই আমাদের দেশের প্রধান সমস্যা। আমি আগেই বলেছি, যেহেতু বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ তাই ঋনাত্বক মনোভাবটা সেই দিকেই বেশী ঝুলেছে। এখানে আপনি আমার রাজনৈতি সমর্থন কোথায় পেলেন সেটা কি একটু পরিষ্কার করে বলবেন?

খালেদা জিয়া, ওনার ছেলেদের কুকীর্তি, আর ওনার বিলাশবহুল জীবনের কাহিনীতো এখন খোলা আকাশের মত সবার কাছে পরিষ্কার, সেটা নিয়ে আর কিছু বলার দরকার আছে কি???

আপনার কাছে একটা প্রশ্ন "আপনার প্রিয় নেত্রী কেনো জনগণের কাছে নিজের সম্পত্তির হিসেবটা দিয়ে ক্ষমতায় বসলেন না, যেটা তার একটা প্রতিশ্রুতি ছিল, সেটা বলবেন কি? আর এই কথা জিজ্ঞেস করার জন্য কি এখন আপনি আমাকে বিএনপির সমর্থক বানায় দিবেন???

অপেক্ষা করুন সময় এলে এর উল্টাও দেখবেন।

ধন্যবাদ।

কামরুজ্জামান স্বাধীন।

দিগন্ত বাহার [অতিথি] এর ছবি

আমি হাসিনাকে ডিফেন্ড করতে আসি নাই ভাই, তিনি বিবিধ দোষে দুষ্ট। কথা হচ্ছে আপনার লেখ নিয়ে। আপনার মন্তব্যের শেষ থেকে শুরু করি, আপনি আমার প্রথম মন্তব্যটা পড়ে এই কথা বলেছেন তো-

আপনার প্রিয় নেত্রী কেনো জনগণের কাছে নিজের সম্পত্তির হিসেবটা দিয়ে ক্ষমতায় বসলেন না, যেটা তার একটা প্রতিশ্রুতি ছিল, সেটা বলবেন কি?

আমি কি বলেছিলাম -

ইউনোসীয় বক্তব্য, মন্ত্রীদের সম্পদের হিসাব, দিন বদলীয় ভাবধারা এসব কথায় সহমত

মন্তব্যে বলেছেন -

খালেদা জিয়া, ওনার ছেলেদের কুকীর্তি, আর ওনার বিলাশবহুল জীবনের কাহিনীতো এখন খোলা আকাশের মত সবার কাছে পরিষ্কার, সেটা নিয়ে আর কিছু বলার দরকার আছে কি???

লেখায় বলেছেন -
তাদের নামে ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগ(এখনো প্রমানীত নয়)

স্ববিরোধীতা কে করছে?

মন্তব্যে বলেছেন,

আপনি আমার রাজনৈতি সমর্থন কোথায় পেলেন সেটা কি একটু পরিষ্কার করে বলবেন?

লেখায় বলেছেন,

আপানর ছেলে কি বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়নি? শেখ রেহানা কি সম্পদশালী নন?

তারেক-কোকো'র বেলায় ব্র্যাকেটে লিখলেন 'এখনো প্রমানিত নয়' আর জয়-রেহানার বেলায় নিশ্চিত? তথ্য উপস্থাপন না করলে সমর্থক ভেবে নিতে বাধা কোথায় মশাই?

আপনার সুবিধার্থে আমার প্রথম মন্তব্য থেকেই কোট করলাম,

শেখ রেহানার অতিরিক্ত সম্পত্তি, জয়ের আভিজাত্তিক জীবনযাপন এসবের সুস্পষ্ট রেফারেন্স থাকলে আমরা জানতে পারতাম। তা না হলে লেখকের বক্তব্যও যে একেবারে রাজনৈতিকই রয়ে গেল!

মন্তব্যে বলেছেন,

দেশের দুই শীর্ষ দলের অবস্থানগত আচরনই আমাদের দেশের প্রধান সমস্যা।

আমি দুই দলের কর্মসুচী প্রয়োগের অবস্থানগত পার্থক্য দেখিয়েছি, প্রথম মন্তব্যটা আবার একটু কষ্ট করে পড়ে দেখবেন কি?

লেখায় বলেছেন -

তিনি কি নিজের ওয়ারড্রপের দিকে তাকিয়ে বলেছেন? নিজের গৃহে আসবাবপত্রের দিকে তাকিয়ে বলেছেন।

এক্ষেত্রে লেখকের কোন স্পষ্ট বক্তব্যও পাওয়া যায়নি যে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ওয়ারড্রপ আর আসবাবপত্রের বিলাসীভাব পরিক্ষীত বা অন্তত তিনি নিজে দেখেছেন। আমি কিন্তু সুধা-সদনের দোতালা পর্যন্ত হলেও নিজে দেখেছি বলে জানিয়েছি।

দেশের সমস্যা নিয়ে লিখতে অবশ্যই কেউ মানা করবে না, তবে এইরকম রাজনৈতিক বক্তব্যের মুল্য কেই বা দেয় জনাব?

অপেক্ষা করুন সময় এলে এর উল্টাও দেখবেন

ধরে-বেধে উল্টা-পাল্টা দেখার আগ্রহ নেই সম্মানিত লেখক, সিধা-সুধা হইলে 'জনম-জনম তব কাদিব'
ভালো থাকবেন। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

দিগন্ত বাহার ভাই আদালতে বিচারাধীন বিষয়টা কি প্রমাণের অপেক্ষায় থাকে না? আর রেহানা এবং জয়ের ব্যাপারে লেখার শেষে প্রশ্নবোধক চিহ্ন কি নিশ্চিত বোঝায়?

আপনি যে সাধারণ জীবনের কথা বলেছেন সেটা কি একটু খোলাসা করে বলবেন? আমি যাইনি তবে আমার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধ (অতিরিক্ত পরিচালক, এনএসআই) যে হাসিনা এবং খালেদার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল, অনেক কিছু জেনেছি যা কখনই শেয়ার করা যাবে না, কারণ কোন রেফারেন্স নাই। আপনি কোন প্রকার রেফারেন্স ছাড়াই করেছেন।
আমিও রেফারেন্স ছারা কিছু কথা বলেছি, তবে সেই গুলার শেষে একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন ছিল।

যাক ভাই তর্ক করলেই তর্ক বাড়ে, বুঝলাম আপনিও কোনদলীয় লোক না আমিও না। আমরা এই ধরনের দলাদলির রাজনীতির অবসান চাই। এটা যেন সফল হয়। ধন্যবাদ।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লেখার টোনটা কিছু কিছু ক্ষেত্রে এগ্রেসীভ মনে হইসে। এজন্যে হয়তো রেটিং কম দিয়েছেন কেউ কেউ।

তবে ড. ইউনূস প্রসঙ্গে মহিলার বক্তব্য নিয়ে আপনার-আমার চিন্তাধারা মিলে গেছে। মহিলার কমন সেন্স কম। উনি এ ব্যাপারে সরাসরি কোন মন্তব্য না করলেই বেটার হত। একটু কি ডিপ্লোম্যাটিক হওয়া যেতো না? আজকে আমরা বাসায় সবাই এটা নিয়েই কথা বলছিলাম।

---আশফাক আহমেদ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

১ দিলাম। দিতাম না, রেটিং নিয়ে মুখ খুললেন বলেই দিলাম। এবার আসুন বলি, কেনো ১ দিলাম আপনার লেখায়।

কারণ,

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বা তাঁর দুই সন্তান তারেক -কোকো বানালে দোষ কোথায়? তবে হ্যাঁ সেটা হওয়া উচিত সৎপথে উপার্জনের মাধ্যমে। যদিও তাদের নামে ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগ (এখনো প্রমানীত নয়), রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অর্থ উপার্জনের অপবাদ আছে।
সমালোচনা করেন ঠিকাছে, কিন্তু সেই সমালোচনার ধূঁয়া তুলে তার ভেতর থেকে আরেকজনকে স্টিমবাথ করায়ে আনবেন, সেইটা কেনো হবে! কোনো চোর-বাটপার-সন্ত্রাসী'র পক্ষে কলম ধরলেই কারো আসল রূপ বের হয়ে যায়। বলাই বাহুল্য, উদ্ধৃতাংশের পর আর আপনার লেখা পড়া সম্ভব হয় নি।

ভাবছিলাম দেশের স্বার্থ নিয়ে কথা বলবেন! পরে দেখলাম, না; ধারণা ভুল। আপনি আসলে কথা বলবেন তারেক চোট্টা আর কোকো চোট্টা'কে নিয়ে। এইসব চোর-চোট্টার অ্যাপোলজিস্ট না হয়ে দেশের হয়ে কিছু কথা লিখুন, সমালোচনা করুন, দিক নির্দেশনা নিয়ে আলোচনা করুন। তখন আপনাকে অপার হয়ে আপোষহীন দেশনেত্রীর মতো গালে হাত দিয়ে রেটিং নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

অতিথি লেখক এর ছবি

গোধূলি ভাই প্রথমেই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ভাই আমি সমালোচা করেছি এবং দুই দলের চরিত্রগত যে কোন পার্থক্য নেই সেটা বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আমি তারেক-কোকোর গুণগান গাওয়ার জন্য লেখতে বসেনি। তারা যে দু'জনেই দূর্নীতি করে, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছে সেটা আপনি যেমন জানেন, আমিও তেমনি জানি, আপনার চেয়ে আমার ঘৃণা কোন অংশেই কম নয়। যেহেতু ব্যপারটা আদালতে বিচারাধীন সেহেতু বন্ধনীর ভেতরে ঐ কথাটি জুরে দিয়েছি। এখানে সবাইতো আর এক মতাদর্শের লোক না, ভিন্ন মতের মানুষও তো আছে, তাই নিরপেক্ষ থাকার জন্যই এটা স্বেচ্ছায় করা।

"সমালোচনা করেন ঠিকাছে, কিন্তু সেই সমালোচনার ধূঁয়া তুলে তার ভেতর থেকে আরেকজনকে স্টিমবাথ করায়ে আনবেন, সেইটা কেনো হবে! কোনো চোর-বাটপার-সন্ত্রাসী'র পক্ষে কলম ধরলেই কারো আসল রূপ বের হয়ে যায়। বলাই বাহুল্য, উদ্ধৃতাংশের পর আর আপনার লেখা পড়া সম্ভব হয় নি।"

এই দেশের কোন রাজনীতিবিদ আপনার এই কোটেশনের বাইরে পরে বলবেন কি? আমি ব্যক্তিগত ভাবে তো কারোর পক্ষেই কথা বলিনি। যেটা রাজনীতিবিদদের চরিত্র সেটা বুঝাতে চেয়েছি। দেশের যিনি প্রধানমন্ত্রী হোন তাঁর আচরন ও কথা বলার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে বলতে গিয়েই একথা বলা। লেখা পড়া
বা না পড়া এটা সম্পূর্নই আপনার ব্যক্তিগত ইচ্ছা, তবে সব লেখকই চায় তাঁর লেখাটা সবাই পড়ুক, আমিও তার ব্যতিক্রম নই।

"ভাবছিলাম দেশের স্বার্থ নিয়ে কথা বলবেন! পরে দেখলাম, না; ধারণা ভুল। আপনি আসলে কথা বলবেন তারেক চোট্টা আর কোকো চোট্টা'কে নিয়ে। এইসব চোর-চোট্টার অ্যাপোলজিস্ট না হয়ে দেশের হয়ে কিছু কথা লিখুন, সমালোচনা করুন, দিক নির্দেশনা নিয়ে আলোচনা করুন। তখন আপনাকে অপার হয়ে আপোষহীন দেশনেত্রীর মতো গালে হাত দিয়ে রেটিং নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।"

আমিও দেশের কথা ভেবেই লেখাট সাজানোর চেষ্টা করেছি। আমি তেমন দক্ষ লেখক নই, আমার লেখায় অনেক সীমাবদ্ধতা আছে, আছে বানান ভুল, ব্যকরণের ভুল, শব্দের ব্যবহারেরও দূর্বলতা। এই কারণে আমার কপালে সচলায়তনে অপবাদও কম জুটেনি। নিজেকে কোন পর্যায়ের লেখক কোন কালেই মনে হয়নি। আমি শুধুমাত্র আমার মনের ভাবনাটা শেয়ার করার চেষ্টা করেছি মাত্র।

আমি লেখায় রেটিং নিয়ে কোন কালেই উদ্বিগ্ন ছিলাম না। আমার কোন লেখা যদি আপানাদের মত সিনিয়র সচল ভাইদের বিন্দুমাত্র ভালো লাগে সেটাই আমার জন্য অনেক বড় রেটিং।

আমি ব্যক্তিগত ভাবে কোন দলেরই সমর্থক নই। আজ হয়তো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বলে তার বিরুদ্ধে লেখাটা একটু বেশি গেছে, অন্য একসময় হয়তো এর বিপরীত চিত্রও দেখতে পারবেন। যদিও এই ধরনের ঘটনা ঘটুক সেটা কোন কালেই চাই না। চাই সবাই সকলের কাঙ্ক্ষিত চাওয়ার মত আচরণ করুক। রাজনীতিবিদরা আমাদের প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে যাক।

ধন্যবাদ সময় নষ্ট করে পড়ার জন্য।

কামরুজ্জামান স্বাধীন।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক কিছুই না প্রায় পুরোটাই ঠিক কিন্তু সেটা আরো ভালভাবে, বলিষ্ঠভাবে প্রকাশ করা যেত।
আর দূর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ না হলেই তারেক, কোকো ভালমানুষ হয়ে যায় না।
কিছু বানান ভুল লেখাটাকে আরো দুর্বল করে দিয়েছে।

আমার হিসেবে এই দুই মহিলা দিয়ে দেশের আর কোন উন্নতি হবে না। কথাটা আগেও আমি বলেছি, আবারও বলছি- এদের এই দেশের প্রতি কোন মায়া-মমতা নেই কারণ একজনের প্রায় পুরো ফ্যামিলি আর আরেকজনের স্বামী এই দেশের মানুষের হাতেই মারা গেছে। এখন সময় হয়েছে অন্য কোন দল/নেতা খুঁজে বের করার।

পাগল মন

চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী এর ছবি

উদ্ধৃতি:

"আজকের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই বলে থাকেন, শুধুমাত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ছাড়া অতীতের কোন সরকার দেশের জন্য কিছু করেন নি। তারা শুধুমাত্র দূর্নীতি করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার দল বাংলাদেশে শুধুমাত্র (সাড়ে ৩বছর+ ৫বছর+ ২৩মাস) বর্তমান সময় নিয়ে দশ বছর, বাকী ২৯বছর অন্যদল গুলো দেশ পরিচালনা করেছে। আজকের বাংলাদেশ কি শুধুই দশ বছরের অবদান? আজকের বাংলাদেশে যে পরিমান রাস্তা ঘাট, শিল্প কারখানা, অফিস-আদালত, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সেটা কি শুধুই আপনার দলের দশ বছরের অবদান, না সবার? বাংলাদেশের আজকের অবস্থানে আসার জন্য আপনার দলের চেয়ে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের অবদানও কম নয়।"

হাসিনাকে জবাব :-

এসো পাপ, এসো সুন্দরী!
তব চুম্বন-অগ্নি-মদিরা রক্তে ফিরুক সঞ্চরি।
অকল্যাণের বাজুক শঙ্খ,
ললাটে, লেপিয়া দাও কলঙ্ক,
নির্লাজ কালো কলুষপঙ্ক
বুকে দাও প্রলয়ংকরী! LOL...

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটা পড়ার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন চেষ্টাই আমার নেই। আমি আমার ভাবনা শেয়ার করার চেষ্টা করেছি মাত্র। লেখাটা পড়ে কেউ আমাকে কোন বিশেষ দলের সমর্থক ভাবতে পারেন, আবার কেউ বিশেষ দলের প্রতি বিরাগভাজন ভাবতে পারেন। কিন্তু আমি কোনটার ধারে-কাছেও নাই।

তারেক-কোকোর কৃচ্ছা-কাহিনী দিবালোকের মত স্পষ্ট, যখনি আপনি সেটা প্রমানের জন্য আদালতে যাবেন তখন সেটা কী বিচারধীন নয়? সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই আমি বন্ধনীতে প্রমানীত নয় কথাটা লিখেছি। এতে যদি কেউ আমাকে তাদের দলের বা তাদের প্রতি আমার অনুরাগ খোঁজে পান তাহলে আমার উপস্থাপনের ব্যর্থতা মনে করে দুঃখ প্রকাশ করছি।

আমি রাজনৈতিক দল গুলোর অবস্থানের বৈপরিত্যে যে কথা বা ব্যবহারিক আচরণেরও পরিবর্তন হয় সেটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আওয়ামী লীগ কেন হরতাল করেছে বা বর্তমানে বিএনপি কেন হরতাল করছে আমি সেই দিকটা নিয়ে আলোচনা করিনি। হরতাল নিয়ে রাজনৈতিক দল গুলো ক্ষমতায় থাকলে কি মনোভাব পোষন করে আর বিরোধী দলে থাকলে কি মনোভাব প্রকাশ করে সেটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কারো হরতালের সমর্থন নিয়ে আমার লেখায় কোন ব্যপার ছিল না। এখানেও যদি আমি আমার উদ্দেশ্য বোঝাতে ব্যর্থ হই, তাহলে দুঃখিত।

পরিশেষে শুধু এইটুকু বলবো, যেহেতু বর্তমান আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় তাই লেখার বেশী ভাগ দিকটাই তাদের প্রতি ঋনাত্মক ভাবে গেছে, তবে আমি আন্তরিকভাবে অনুরোধ করবো, পাঁচ বছর আগে/পরে বিএনপিকেও আপনি আজকের জায়গায় চিন্তা করেন কোন পার্থক্য কি পাবেন? দু'য়েকটা জায়গায় হয়তো একটু এদিক -ওদিক হবে, আসল চরিত্র কি সমপর্যায়ের না? আমি দেশের কথা ভেবে, ভবিষ্যতে যাতে এর থেকে মুক্তি পাই সেই কথাটাই লেখার উপসংহারে বলার চেষ্টা করেছি। আমি এমন কোন খারাপ দৃষ্টান্ত আর দেখতে চাই না যেটা পরবর্তী সরকারকে অনুপ্রানীত করবে। আমি দুই দলের আচরণগত পরিবর্তন প্রত্যাশা করি।

বানান ভুলের দোষটা আমার চিরদিনের, এর জন্য দুঃখিত হতেও লজ্জাবোধ করছি। লেখক বা ব্লগার হিসেবে আমার অবস্থান আনাড়ি পর্যায়ে সেটা সচলায়তনে অনেকবার প্রমানীত হয়েছে। সেই কারণে সচলাতনে লেখা পড়ার মাঝেই নিজিকে সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করছি। আজ কেন জানি মনে হল ভাবনাটা শেয়ার করা দরকার, তাই পোষ্ট দিয়েছিলাম, লেখাটা আলোর মুখ দেখানোর জন্য মডারেশন ভাইদের অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আবারও সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

কামরুজ্জামান স্বাধীন।

সাফি এর ছবি

পেন্নাম জানিয়ে গেলুম

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

লেখা পড়ে ভাবছিলাম চেনা চেনা লাগে ক্যান। এখন বুঝলাম।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

অছ্যুৎ বলাই ভাই পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

এটা কি একটু বেশি বলে ফেললেন না?? এই ধরনের লেখা এটাই আমার প্রথম, সুতরাং অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেলো না???

আপনার যদি খারাপ লেগে থাকে তাহলে স্পষ্ট ভাবে বললেই আমার বেশী উপকার হত। ব্যঙ্গ বিদ্রুপ থেকে কি উপদেশটা বেশী কার্যকরী হয় না?

আমি আপনাদের উপদেশটাই প্রত্যাশা করি।

কামরুজ্জামান স্বাধীন।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আপনারে উপদেশ দেওয়ার সামর্থ্য নাই রে ভাই। ব্যঙ্গবিদ্রুপ করি নাই, বেশিও বলে ফেলি নাই, লেখার বিষয়বস্তুতে কোনো বৈচিত্রও নাই, লেখা খারাপও লাগে নাই, আর আপনার লেখা খারাপ বলার মতো বুকের পাটাও নাই। বাংলাব্লগে আপনার লেখা বরং বলা উচিত লেখার স্টাইল একটা আলাদা টাইপ, পদ্মার ইলিশের মতো ভিন্ন স্বাদের খোরাক। সেই স্বাদ সচলে প্রায় বিস্মৃত হয়ে গিয়েছিলাম, মনে পড়ে আবার পড়ে না কেস। মন্তব্যে আপনার নাম দেখে সব মনে পড়ে গেলো। সেটাই বললাম।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার মন্তব্যের ধরন যদি ব্যঙ্গ বিদ্রুপ না হয়, তাহলে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ কাহাকে বলে নতুন করে শিখতে হবে।

ধন্যবাদ।

কামরুজ্জামান স্বাধীন।

সুমন চৌধুরী এর ছবি
শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

মুরগি দিয়ে চিকেন টিক্কাই বানাক বা ঝাল ফ্রাই, মাংস বদলে খাশি হয় না কিন্তু চোখ টিপি
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

দ্রোহী এর ছবি

ওয়েলকাম ব্যাক। আপনার লেখা পড়ার জন্য লালায়িত ...

চোখ টিপি


কাকস্য পরিবেদনা

সুমন চৌধুরী এর ছবি

লেখকের নামঠিকানা ছাড়া পোস্ট প্রকাশের ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে একটা আলোচনা প্রয়োজন।



অজ্ঞাতবাস

দিগন্ত বাহার [অতিথি] এর ছবি

আপ্নেগর কথা শুইন্যা এইবার বুঝছি, পাব্লিক সে এক বিরাট ইতিহাসের সেই সেই সেই, মনে পরছে...হে হে হে...

অতিথি লেখক এর ছবি

দিগন্ত বাহার ভাই, আমাকে আপনি কতটুকু চিনেন? যেই ভাবে হে হে হে করে হাসলেন তাতে কতটুকু সম্মানবোধ প্রকাশ পেল একটু বলবেন কি?

আমি যে আনাড়ী লেখক, বানান, ব্যাকরনগত ও বাক্য গঠনে ভুল করি সেটা কায়মনোবাক্যে স্বীকার করি, এটা আমার সীমাবদ্ধতা। তাই বলে একজনকে ব্যক্তিগত ভাবে না চেনে কোনো প্রকার হাস্যাত্বক মনোভাব প্রকাশ কোন শালীনতার মাঝে পরে আমার জানা নেই।

দিগন্ত বাহার ভাই আপানর সাথে আমার এর আগে কোন প্রকার কথা হয়নি, বা মন্তব্য -প্রতিমন্তব্যও হয়নি, সুতারং পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি লেখায় ভুল থাকতে পারে, যুক্তির অভাব থাকতে পারে, বানান ভুল থাকতে পারে, লেখার গাথুনী দূর্বল হতে পারে, কিন্তু উদ্দেশ্য আপনার চেয়ে আমার কোনো অংশেই খারাপ না। আপনার মত আমিও দেশের কথা ভাবি এবং ভেবেই বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন চাই।

ধন্যবাদ।

সুমন চৌধুরী এর ছবি
আরিফ জেবতিক এর ছবি

দুর্দান্ত এর ছবি

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

সাইফ তাহসিন এর ছবি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

স্বাধীন এর ছবি

সহমত জানালাম।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

প্রত্যাবর্তন স্মরণে ৫ তারা খাইছে

পোস্ট টা স্টিকি করা হউক
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

সাইফ তাহসিন এর ছবি

বালাদেশের সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম সাইফুর রহমানের অবদানকে কি অস্বীকার করবেন?

"বালাদেশ" কোনটা? এতো দেশপ্রেম আপনার যে দেশের নামটাই ঠিকমত লিখতে পারেন না। দেশপ্রেমের চোটে হাত কাঁপে মনে হয় লিখার সময়। বিস্তারিত বলেন সাইফুর রহমানের অবদানতো মনে করতে পারলাম না, খালি দূর্নীতির কথাই মনে পড়ল। পোস্ট লেখকের কাছে তার অবদান সম্পর্কে জানতে চাই।

বানান সংক্রান্ত ব্যাপারে ব্লগার বুনোহাঁস আর তিথীডোরের দৃষ্টি আকর্ষন করছি, তারা যদি লেখাটাকে ২ভাগে ভাগ করে মন্তব্য আকারে ভুল বানানোগুলো দিয়ে দেন তো খুব ভালো হয়। আমি পুরা ঘামায়া উঠছি প্রথম ২ প্যারার পরে।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

তাহসিন ভাই পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

বাংলাদেশের জায়গায় "বালাদেশ" লিখেছি, এটা যে নেহায়েত টাইপো সেটা আপনি নিজেও বুঝেছেন, কিন্তু বিদ্রুপ করার জন্য উল্লেখ করেছেন সেটাও বুঝেছি।

আমি কেবল মাত্র পরনির্ভরশীল বাজেট থেকে বের হয়ে এসে সিংহভাগ আভ্যন্তরীণ সম্পদের উপর ভর করে বাজেট প্রণয়নে যে তার প্রবর্তিত ভ্যাট ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে সেটা বুঝিয়েছি মাত্র, যদিও ভ্যাট সাধারণ জনগণের বিপক্ষেই গেছে। বিরোধীদলে থাকতে সাইফুর রহমানের এই ভ্যাট আবিষ্কারের ব্যাপক সমালোচনা করে ক্ষমতায় গিয়ে কেন বাতিল করলনা সেই বিষয়টা বুঝানোর জন্য কথাটা বলেছি। এখানে কারো গুণকীর্তন করার জন্য বলেনি। অতীত সরকারের কে দূর্নীতি করেনি? তাদের প্রতিটি রন্ধে রন্ধে দূর্নীতির বিষবাস্প ছরিয়ে ছিল। যার উচিত শিক্ষা সাধারণ জনগণ দিয়েছে এবং বর্তমানেও সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত থেকে বের হয়ে আসতে পারে নি। ভবিষ্যতেও পারবে বলে মনে হয় না। তবে কেউ যদি তা থেকে শিক্ষা না নেয়, তাহলে ভুল করবে, আর তার দায়ভার কিন্তু জনগণকেই ভোগ করতে হবে।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ভাইরে, বাংলাদেশ লিখতেও টাইপো! এইটার তো কোন মাফ নাই! আমার মনে হয় কিছু বানান সংক্রান্ত ব্যাপারে আপনার কোন ধারণাই নাই। যেমন উপরে বার বার আপনে 'একই' কে 'একি' লিখেছেন! এভাবে বানান ধরিয়ে দিয়েছেন আগেও, কিন্তু আপনার কোন উন্নতি দেখি নাই। তারমানে আপনে এসব গা করেন না। ট্রাক বাস রিক্সার পিছে আর্টিস্টরা যেমন ভুল বানানে ক্যাপশন লিখে থাকেন কারণ তাদের সেই ধারণাই নেই। ভাই আপনার লেখা পড়লে মোহাম্মদ জাকারিয়া নামক মশারি বিক্রেতার কথা মনে পইড়া যায়।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

শামীম এর ছবি

প্রায় সব সরকারের সময়েই ভাষনগুলো একই প্রতিষ্ঠান থেকে লেখা হয় - কাজেই কপি-পেস্ট দেখে কেউ অবাক হলে সেটা আমাকে বেশি অবাক করে। যেহেতু ভাষনগুলো নিজের তৈরী করা নয়, শুধুমাত্র পড়া হয়, তাই সেগুলো পরবর্তীতে মনে রাখার এবং উপলব্ধির সম্ভাবনা কম।
==

বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বাচনভঙ্গী, অভিব্যক্তি প্রকাশের ধরন, বাক্য চয়ন, উদাহরণ প্রয়োগের অভ্যাশ, কথা বলার সময় হাতের মুভমেন্ট ইত্যাদি দেখে আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয়, ওনিই দেশের একমাত্র শিক্ষিত, জ্ঞাণী, বুদ্ধিমতি, সর্ববিষয়ে বিশেষজ্ঞ।

১৩টা ডক্টরেট ডিগ্রী থাকলে বিশেষজ্ঞ হইতেই পারে (!) ... ... অধিক ডিগ্রীগুলোর সাথে সাথে অধিক শিক্ষা নিশ্চিত করা গেলে হয়তো বিনয় দেখতে পেতাম।
==
লেখাটা পড়ে নতুন কিছু জানা গেল না, তাই রেটিং কম।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

শামীম ভাই, প্রচন্ড ভাবে একমত! গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

২৮ অক্টোবর লগিবৈঠার তাণ্ডবটা বাদ পর্সে মনয়!
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

নাশতারান এর ছবি

আপ্নে প্রতিবার নিজের নাম নিয়া সলনা করেন ক্যান? পাঠকের আবেগ নিয়ে সিনিমিনি খেলা ঠিক না মন খারাপ

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

কেউ উনারে 'সিউলি' ফুলের মালা দ্যায়না দেইখ্যা উনি এরাম করেন। তবে মানতেই হবে, 'সলনা' উনারে বেশ মানায়! হাজার হইলেও 'বালাদেশের' মানুষ তিনি! 'সিনিমিনি' নিয়া 'একি' কথা আমিও কইতে নিছিলাম, পরে ভাবলাম, সব কইয়া দেওয়া ঠিকনা!

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

কল্যাণ এর ছবি

এই পোস্ট পড়তে পড়তে দুই কাপ লালা শেষ হয়ে গেলো ইয়ে, মানে...

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।