চলুন! আমরাও স্বপ্ন দেখি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৪/১২/২০১০ - ৭:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“আমাদের দেশের এতো নিম্নমানের চলচ্চিত্র দেখতে রুচিতে বাধে। সেজন্য হিন্দি মুভি দেখি। আর বাংলা মুভিগুলাতো হিন্দি মুভিকেই নকল করে“

প্রথমত দেখি হিন্দি ছবির বাজার। ভারতের জনসংখ্যা ১০০ কোটির উপরে, আর সেখানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৫ কোটি। ১টি বাচ্চা ছেলেও জানবে, হিন্দি মুভির বিনিয়োগ আর ১টি বাংলা মুভির বিনিয়োগ কখনও সমান হবে না। ওরা যে টাকা ১জন শিল্পীকে দেয় সেই টাকা দিয়ে আমাদের দেশে হাফ-ডজন মুভি তৈরি করা যাবে। তাহলে বাংলা মুভির সাথে হিন্দি মুভির তুলনা করাটা কতটুকু যৌক্তিক?

বাংলা মুভি হিন্দি মুভিকে নকল করে বানানো হয়-অতি সত্যি কথা। কিন্তু এটা কি জানেন আপনাদের অতি মান সম্পন্ন হিন্দি মুভির শতকরা কতগুলোর কাহিনী মৌলিক? বেশিরভাগ হিন্দি মুভি বানানো হয় হলিউডের কোন না কোন মুভিকে নকল করে। অনেক পরিচালক তো আবার অতি মুন্সিয়ানার পরিচিয় দিয়ে কয়েকটা হলিউড মুভিকে জগা-খিচুড়ি বানিয়ে দর্শককে গিলান। আর আমরা বসে বাহবা দেই! আর বলিউডি নাচ গান! আমাদের মাইলস পর্যন্ত বলিউডের কপি পেস্ট থেকে নিস্তার পায়নি। এবার বুঝুন, মানের কি ঠেলা!

আসলে হিন্দি মুভির মান ভালো, ব্যাপারটা মোটেও তা নয়। জাকজমকপূর্ন নাচ-গান, কিছু বানানো গৎ বাঁধা, বস্তাপঁচা রোমান্টিক দৃশ্যই হিন্দি মুভির মূল উপজীব্য। এগুলো বাদ দিন, হিন্দি মুভির আর কিছু অবশিষ্ট নেই। আর হিন্দি নাটক, সিরিয়াল গুলোর কথা নাই বা বললাম

আমাদের তরুন প্রজন্মকে জিজ্ঞাসা করুন, তারেক মাসুদ কে কিংবা মাটির ময়না কি? শতকরা ১০ভাগ ক্ষেত্রেও সঠিক উত্তর পাবেন না, গ্যারান্টি দিতে পারি। কিন্তু জিজ্ঞাসা করুন করন যোহর কে? এমন কোন বাংলাদেশী খুজে পাবেন না, যিনি এই উত্তরটুকু জানেন না। হিন্দি মুভির অ্যাপলোজিন্সটরা কি এখানেও বলবেন বাংলা মুভির মান খারাপ, তাই হিন্দি মুভি দেখি কিংবা করন যোহরের মুভির মান তারেক মাসুদের মুভির চেয়ে অনেক ভালো? ভারতের অস্কার মনোনিত মুভি লাগান কতজন বাঙ্গালী দেখেছেন আর আমাদের অস্কার মনোনিত মুভির নাম কতজন জানেন? আসলে বলিউডের সাথে আমাদের মুল পার্থক্য এই ১টি জায়গায়। ওরা কখনো নিচুমানের বলে তাদের মুভি ছেড়ে অন্য মুভি দেখতে যায়নি, কখনো নিজের সংস্কৃতিকে ছেড়ে অন্য সংস্কৃতি গ্রহন করেনি। নিজেদের সংস্কৃতিকে আমরা পায়ে ঠেলে দিলে, সেই সংস্কৃতি কিভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে!

পরিশেষে এটাই বলব, শাহরুখ খান এই পর্যায়ে এসেছেন ভারতীয়দের কল্যানে। ভারতীয়রা টম ক্রুজ কিংবা টম হ্যাঙ্কসকে ছেড়ে তাদের ছেলে শাহরুখের মুভি দেখছেন। আমাদের মত নিম্নমানের বলে হলিঊডি সিনেমা দেখা শুরু করেননি। আমাদের শিল্পীরা তারা আমাদের সন্তান। যত নিম্নমানের হোক আর যাই হোক, কখনো আমাদের । বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেরা দল না, তারপরেও আমরা বাংলাদেশকে সমর্থন করি। কেন করি? কারন তারা আমাদের সন্তান। খারাপ হোক, তারপরেও ওদেরকে ১টি বার সুযোগ দিন। হয়ত আজ পারবে না, কাল পারবে না, কিন্তু ১দিন আমাদের চলচ্চিত্রও মাথা তুলে দাড়াতে পারবে। হয়তো ১দিন আমি আর আপনি সবাই মিলে ২৫ হাজার টাকা খরচ করে শাহরুখ খানকে না, দেখতে যাব আমাদের দেশের কোন সন্তানকে।

নিজের ঘরের চাল ফুটো হলে সেটা নিজেকেই ঠিক করতে হবে, ঘরের চাল ফুটো বলে অন্য ঘরের বারান্দায় উদবাস্তু হব না। আমাদের চলচ্চিত্রের মান খারাপ হলে সেটাকে আমরাই ঠিক করব। অন্যের ঘরের উদবাস্তু হয়ার চেয়ে নিজের ভাঙ্গা চালের নিচে থাকাটা অনেক শ্রেয়। আর যারা উদবাস্তু হয়ে অন্যের বারান্দায় থাকতে চান, দয়া করে আমাদের সংস্কৃতি কিংবা চলচ্চিত্র সম্পর্কে মন্তব্য করতে আসবেন না-সেই অধিকারটুকু আপনাদের নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

---আশফাক আহমেদ

অতিথি লেখক এর ছবি

একেবারে মনের কথাটা বললেন... রেটিং করতে পারলে পাঁচ তারা...

-
বঙ্গসন্তান

অতিথি লেখক এর ছবি

বাংলা ছবি হিন্দি ছবি নকল করে বানায় তাই হিন্দি মুভি দেখতে হবে! তাই!!! আর হিন্দী মুভি হয় মাদ্রাজী আর হলিউডি ছবি থেকে! তাহলে আমরা সেগুলা দেখি... কি বলেন!

--- থাবা বাবা!

অতিথি লেখক এর ছবি

বাংলা ছবি যত ভালোই হোক অনেকে দেখতে চান না! আমাদের এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে!!

কুটুমবাড়ি

তৌফিক হাসান [অতিথি] এর ছবি

ভাই পুরাই মনের কথা বলেছেন। ফেসবুকে শেয়ার করলাম।

কয়দিন আগে মেমেন্টো দেখলাম। বলিউডের যে একজনরে ভাল্লাগে, সেই আমিরও কিনা হলিউডের মামান্টো থেকে কপি করা গাজনিতে অভিনয় করসে। সেইটা আবার সুপারহিটও হইসে। আর এইটা নিয়া কোনো কথাও হয় না। আফসুস। আর শাকিব কবে কোন হিন্দি ছবি কপি করল, সেজন্য বাংলা ছবি খারাপ। বাংলা ছবি দেখা যাবে না।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি সিউর নোলান "গজিনী" দেখলে সাথে সাথে কচু গাছে ফাঁসি দিবে। এইসব মুভি দেখে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের মান বিচার করতে আসেন।
এইবার বুঝুন হিন্দি মুভি, আর আমাদের চলচ্চিত্র সমঝদারদের অবস্থা!

অতিথি [অতিথি] এর ছবি

দরজা জানালা বন্ধ করে দিয়ে উন্নতি হয় না। বাংলা চলচ্চিত্র যে পরিমান রক্ষাকবচ পেয়েছে স্বাধীনতার পর তা অকল্পনীয়। এরা ধরেই নিয়েছে যে, যাই বানাই, আর কিছু খাবার নাই; সুতরাং, মানুষ খাবে। দিনে দিনে আমরা মান নিচে নামাতে নামাতে কিছু বাকি রাখি নি। চলচ্চিত্র নাকি সমাজের প্রতিচ্ছবি। ভাবলেও আতকে উঠতে হয় যে, দেশীয় চলচ্চিত্র নাকি আমাদের সমাজের কথা বলে। বিকল্প ধারার চলচ্চিত্র অনেক পুরষ্কার পেতে পারে, সাধারণ আমজনতার কাছে সমাদৃত হয় না; যেটা তারেক মাসুদের ছবির জন্য প্রযজ্য। দুয়ার খুলে দিন, প্রতিযোগিতা করতে দিন, দিনে দিনে মানের উন্নতি হবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

কেনরে ভাই? আপনার এটা কেন মনে হইল বাংলা মুভি প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে যাইতেছে না। গ্রামের চায়ের দোকানে পর্যন্ত ডিশ কানেকশান আছে। আমাদের মুভিগুলো হিন্দি মুভির সাথেই প্রতিযোগিতা করে যাচ্ছে সেখানে। আর মধ্যবিত্ত কিংবা উচ্চবিত্তের কথা বাদই দিলাম। তাদের টিভি রুমে হিন্দি চ্যানেল ছাড়া অন্য কিছু চলে নাকি সন্দেহ আছে!

আমাদের টিভি চ্যানেলগুলো ভারতে নিষিদ্ধ কেন? ওরা আমাদের টিভি চ্যানলেগুলো বন্ধ করে রেখছে, আর আমাদের দেশের কিছু কসমোপলিটান মানুষ জন এদেশে কেন হিন্দি মুভি প্রদর্শনের অনুমতি দেওয়া হয় না সেটা নিয়ে আঁতকে উঠেন।

প্রতিযোগিতা কেন সম্ভব না সেটা উপরেই বলা হয়েছে। তারপরেও আপনার জন্য আরেকবার বলি, ১০০ কোটি মানুষের জন্য যে পরিমান টাকা লগ্নি করবেন, ১৫ কোটি মানুষের বাজারের জন্য সেই টাকা লগ্নি করবেন না। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতারা এটা জানেন তাদের দর্শকরা কখনো মানের ধুয়া তুলে ভারতীয় মুভি ছেড়ে অন্য মুভি দেখতে যাবে না। কিন্তু আমাদের দেশের অতি সমঝদার চলচ্চিত্র বোদ্ধারা সেই কাজটুকু করতে পিছপাও হবে না। এমনকি নিজের "সোহেল" নামখানা বদলিয়ে "সাহাল" করে নিতেও বাধবে না।

যাই হোক, আপনার প্রতিযোগিতার জন্য এই ব্লগটি পড়ে আসতে পারেন
http://www.sachalayatan.com/himu/32067

মানের কথা যখন উঠলোই তখন ১টা প্রশ্ন করি, হিন্দি মুভিগুলাতে জাঁকজমক পুর্ন নাচ গান ছাড়া আর মানসম্পন্ন কি আছে বলবেন?

ব্লগ পাঠক এর ছবি

ভারত সরকার কোন ভাবেই বাংলদেশের কোন চ্যানেল বন্ধ করে রাখেনি। ভারতের কেবল টিভির ডাইনামিক্স না বুঝে এরকম মন্তব্য অনেকেই করে থাকে। ভারতে স্যটেলাইট টিভির ডাউনলিংক ট্রান্সমিশনের বেশ কিছু গাইড লাইন আছে সেগুলো মেনেই ডয়েচে ভেলে/টিভি ফাইভ মন্ডে ইত্যাদি সেদেশে তাদের চ্যনেল ডাউনলিংক কেবল টিভিতে দিতে পারছে। সেটার জন্য প্রথমে সরকারের কিছু গাইডলাইন যেমন

১ ভারতে নিজেস্ব অফিস।
২ বছর প্রতি কয়েক লক্ষ/কোটি রুপি ডাউনলিংক লাইসেন্স ফি।

এর পর তদের খুশী করতে হয় ক্যবল অপারেটরদের। ক্যবল ওপারেটরদের সাথে দরকষাকষি করে যার টিকে যায় তাদের চ্যনেলই ক্যবল টিভিতে যায়। বাংলদেশের চ্যনেলগুলো এতো ঝক্কিতে যেতে চায় না। আর মনে রাখবেন ভারতের নিজেস্ব চ্যনেলের সংখ্যাও নেহাত কম নয়, সকল হিন্দি এবং ইংরেজি চ্যনেলের সংখ্যাও অনেক। আর মেট্রো এরিয়াতে বহু ভাষাভাষি জনগন বসবাস করে সবার জন্য ৫ টা করে ভিন্ন রিজিওনাল চ্যনেল দিলে খুব সহজেই ১৫০ চ্যানেল ছাড়িয়ে যায়। এরপর আছে বিদেশী পয়সাআলা ডয়চে ভেলে/ আল জাজিরা।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি যতদুর জানি, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে একসময় বাংলাদেশী চ্যানেলগুলো চলত। পরে সেখানকার ব্যবসায়ীদের আপত্তির কারনে বন্ধ হয়ে যায়। আমার জানা ভুল ও হতে পারে।

ভারতে স্যটেলাইট টিভির ডাউনলিংক ট্রান্সমিশনের বেশ কিছু গাইড লাইন আছে সেগুলো মেনেই ডয়েচে ভেলে/টিভি ফাইভ মন্ডে ইত্যাদি সেদেশে তাদের চ্যনেল ডাউনলিংক কেবল টিভিতে দিতে পারছে। সেটার জন্য প্রথমে সরকারের কিছু গাইডলাইন যেমন

১ ভারতে নিজেস্ব অফিস।
২ বছর প্রতি কয়েক লক্ষ/কোটি রুপি ডাউনলিংক লাইসেন্স ফি।

ভারত ঠিক তার চ্যানেলগুলোকে রক্ষা করে যাচ্ছে বিভিন্ন রকমের বাধা নিষেধ আরোপ করে। বলতে পারবেন বাংলাদেশে ১টা বিদেশী চ্যানেল চালু হতে গেলে কোন নিয়ম নীতি মানতে হয় কিনা। আমার তো মনে হয় এক্ষেত্রে কোন বাধা নিষেধ নেই। তারপরেও নাকি বন্ধ দরজা জানালায় উন্নতি হয় না, দরজা জানালা খুলতে হবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

একখান লিঙ্ক পাইলাম। পড়ে দেখতে পারেন। এইখানে তো ভালোমত লেখা আছে বাংলাদেশী চ্যানেলগুলো ভারতে বন্ধ।
http://www.bangladesh-pratidin.com/?view=details&type=single&pub_no=167&cat_id=3&menu_id=12&news_type_id=1&news_id=31104

দুঃখিত, হিন্দি বুঝি না, তাই হিন্দি কোন পত্রিকার লিঙ্ক দিতে পারলাম না। অবশ্য বাংলাদেশের পত্রিকা আপনাদের কাছে কতটুকু মানসম্পন্ন হবে, সেটা নিয়ে ভয়ে আছি!

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

দরজা জানালা বন্ধ করে দিয়ে উন্নতি হয় না।

হয়, উন্নতি হয়। সুপার পাওয়ার ও হওয়া যায়। ভারতকেই দেখুন না কেনো?
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

মনমাঝি [অতিথি] এর ছবি

ভালোই বলেছেন ! ট্রয়ের ঘোড়ার পেটে যে শত্রু-সৈন্যরা লুকিয়ে ছিল তাদেরও এই একই যুক্তি ছিল।

হিমু এর ছবি

আজকে থেকে রাতে দরজার ছিটকিনি, বাসার নিচে কোলাপসিবল গেইট এইসব খুইলা ঘুমায়েন ভাইজান। দুয়ার খুইলা রাখেন, প্রতিযোগিতা করতে দেন, উন্নতি হবে।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই, আপনে কি সাহাল নাকি? হুট করে হিন্দি ছেড়ে বাংলা বলা শুরু করলেন যে!

অপছন্দনীয় এর ছবি


আর যারা উদবাস্তু হয়ে অন্যের বারান্দায় থাকতে চান, দয়া করে আমাদের সংস্কৃতি কিংবা চলচ্চিত্র সম্পর্কে মন্তব্য করতে আসবেন না-সেই অধিকারটুকু আপনাদের নেই।

এই জায়গাটায় আপনার সাথে আমার দ্বিমত আছে, বলা উচিত ছিলো যাঁরা উদ্বাস্তু হয়ে অন্যের 'স্বর্গীয়' বারান্দায় থাকতে চান, দয়া করে সেই স্বর্গেই চলে যান, শুধু শুধু এই নরকে থেকে আমাদের আর নিজেদের কষ্ট বাড়ানোর দরকার নেই।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই, চরম একটা লেখা দিয়েছেন। মনের কথা বলেছেন একেবারে
__________________
রুদ্র

হিমু এর ছবি

আবদুল জলিল অনন্তকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করলেও লোকটার উদ্যোগের প্রশংসা করি। চেষ্টা তো করছে ব্যাটা।

আমাদের আসলে এখন দরকার আত্মবিশ্বাসী দর্শক আর ভালো স্ক্রিপ্ট। খুব উঁচু বাজেটের ছবি টার্গেট না করে কম বাজেটের অভিনব সিনেমা তৈরিতে উদ্যোগ নিতে হবে। বাজেটের দৌড়ে আমরা এগোতে পারবো না, আমাদের এগোতে হবে আইডিয়ার দৌড়ে।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

অতিথি লেখক এর ছবি

হিমু ভাই,
জলিল ভাই বস। বিশেষ করে তার ছবির নায়িকাকে দেখে মনেই হয় না, বাংলাদেশী!!! গানও দারুন হইছে। সে চেষ্টা করছে, টাকা খরচ করছে। এখন তাকে দেখে আরেক জন উদ্যোগী হলে আরও ভাল কিছু বের হবে। এভাবেই আমরা এগিয়ে যাব।
আর বসের নেক্সট ছবি- Speed- Do or Die সেইরকম!! ট্রেলার এখানে।
-হুতোম প্যাঁচা।

রু [অতিথি] এর ছবি

বিশেষ করে তার ছবির নায়িকাকে দেখে মনেই হয় না, বাংলাদেশী!!!

এটাকে আমি ভয়ের চোখেই দেখি। যতদিন না বাংলাদেশি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে রেটিং এর ব্যবস্থা হচ্ছে, ততদিন বাংলাদেশি নায়িকাকে বাংলাদেশি করে রাখাই ভাল।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমাদের চলচ্চিত্রকে সময় দিতে হবে, সুযোগ দিতে হবে। বাসায় বসে হিন্দি চ্যানেল দেখবেন, ২৫হাজার টাকা দিয়ে শাহরুখকে দেখতে যাবেন। কিন্তু সামান্য কিছু টাকা খরচ করে ১টা দেশী চলচ্চিত্র দেখতে পারবেন না। উপদেশ আর সমালোচনার বেলায় ঠিক জ্ঞানের ঝুড়ি বের করবেন। আমাদের সংস্কৃতিকে আপন করে না নিতে পারলে দয়া করে "সোহেল" নাম বদলিয়ে "সাহাল" করে নিবেন। আপনাদের তো আবার "সোহেল" নামটিকে যথেষ্ট মান-সম্পন্ন মনে হয়না। আশা করি, "সাহাল" নামটি মান-সম্পন্ন মনে হবে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।