হুজুরদের গল্প ৩

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ০৭/০৩/২০১১ - ৫:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হুজুরদের গল্প
হুজুরদের গল্প ২

“বুশ বাহিনীর গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে

লাদেন তুমি এগিয়ে চল, আমরা আছি তোমার সাথে”

শ্লোগানে শ্লোগানে মুখর আমাদের মফস্বলের রাজপথ। জুমার নামাজের পর এলাকার হুজুরেরা সবাই মিলে রাস্তায় নামিয়েছেন এই মিছিল। লুঙ্গি পরিহিত, জোব্বা আচ্ছাদিত, পাগড়ি বিভূষিত- সব পোশাকের; চাপদাঁড়িঅলা, ছাগলা দাঁড়িঅলা এমনকি হরমোনাভাবে শ্মশ্রু-শোভা-শূন্য- সকল শকলের; নবীন, প্রবীণ, ধেঁড়ে, বুড়ো- সব বয়সের- প্রায় সব ধরণের হুজুরই মিছিলে শামিল হয়েছেন। আমি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে কতক্ষন হিসেব কষার চেষ্টা করলাম, কিভাবে এনাদের দ্বারা বুশ বাহিনীর গালে জুতা মারা সম্ভব। প্রথমত, বুশবাহিনী হয়তো বোয়িং কিংবা সিকোর্স্কির উন্নত সব উড়োযানে আসমান গুজরান করে বেড়াবে, নাঙ্গা হাতে তদ্দুর জুতো ছোঁড়া সম্ভব না। নয়তো থাকবে এম-ওয়ান-আব্রাহাম প্রজাতির ভারিক্কি ট্যাঙ্কে, ওখানে দুস্তর লৌহবর্ম টপকে স্পঞ্জের চটি-স্যান্ডেল কোনভাবেই ঢুকবে না। তাছাড়াও একজন মার্কিন সেনার বারুদ-ঝাঁজালো এম-সিক্সটিনের নলের সামনে চোখ রাঙিয়ে, তাকে বাটা বা রুপসার হাওয়াই চপ্পল ছুঁড়ে মারাটা কম হুজ্জতির কম্মো নয়। হয়তো ওনারা এসবকিছু রুপকার্থেই বলেছেন, নয়তো ওনারা ভাবেন মেরিন হয়তো আবু জেহেলের কাফেরগুলোর মত গদা আর খঞ্জর নিয়ে মোল্লা ওমরের সাথে জং লড়তে এসেছে। শ্লোগান দেওয়া ভাল, এতে কন্ঠনালীর ব্যায়াম হয়- ব্যামো হটে, কিন্তু আমাদের এলাকায় কোন সরকারি দপ্তর অব্দি নেই, আমেরিকান এ্যাম্বেসি থাকার গাণিতিক সম্ভাবনা অসীমাংশও নয়- দিব্যি শুন্য, তাই রাস্তার গাড়িঘোড়া আটকে তালেবানতোষী শ্লোগানগুলো কী কার্যে, কাকে শোনানোর জন্য দেয়া হচ্ছে মালুম হল না। আল-কায়েদা, কী কায়দায়, কোন ফায়দা সওদা করতে চায় সে ধারণা এনাদের মগজে তিল পরিমান তোলা আছে কিনা জানিনা। আমি হলপ করতে পারি, টুইন টাওয়ার ধ্বসার আগে লাদেন সাহেবের পাকনামটাও এনারা অনেকে শোনেননি, এইলোক যে কোন বনের কোন প্রজাতির চিড়িয়া তার আগাপাস্তলার সমাচার জানাও এনাদের জন্য দূর-কি-বাত, কিন্তু আচানকই দূর আরবের এই স্বল্পচেনা ব্যক্তিই তাদের হৃদয়-মনের অধিকর্তা হয়ে বসে আছেন। এটাই হয়তো মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধের তৃণমূলীয় স্বরুপ।

নামাজ পড়ে এসে আব্দুল কাকুর চায়ের দোকানে ঢুঁ মারলাম আমি আর ফরিদ ভাই। ফরিদ ভাই আমারচে ঢের বড়, অনার্স পড়ুয়া, তবে আমরা একসাথেই নামাজে যাই। ভাবলাম চা খাব একটু, সেই ফাঁকে ফাঁকে যদি দোকানের পেপারটা পড়া যায়- আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি বেশ টালমাটাল। কাবুল নিয়ে এলাকার আবুল-বাবুল-মকবুলরাও উত্তপ্ত বাক্যালাপে ছুলবুল করছে। কান্দাহার কান্দে আজ অনল-অশ্রুতে, হেরাতের পরতে পরতে হৃতসর্বস্বের ক্ষয়িষ্ণু হৃৎকম্পন। আকাশ ফুঁড়ে ধেয়ে আসা বিকটদর্শন বোমগুলোর তো আর বিচারবুদ্ধি নেই তাই এগুলো তালেবান সেনা আর নিরীহ দুগ্ধপোষ্য আফগান শিশুদের আলাদা করতে পারেনা।

হঠাৎ দেখি, হুট করে মিছিল ছেড়ে এসে জনপাঁচেক হুজুর চায়ের দোকানে ঢুকলেন, রোদ খেয়ে হাঁপিয়ে উঠেছেন তাঁরা হয়তো। একজন ভোঁ ভোঁ ফ্যানের তলে বোতাম খুলে বসলেন, নাছারাদের আবিষ্কৃত এই বেদাতী যন্ত্র মুলিসাপের লোমশ বুকে ঠেলেহুঁড়ে ঢুকিয়ে দিচ্ছে খোদাতালার বায়বীয় নেয়ামত।

একজনের কাছে দেখলাম আবার ভাল একটা মোবাইল সেট। দোকানে ঢুকেই সেটা টেবিলের উপর 'ঠক' শব্দ করে রাখলেন। এই লোক নিসন্দেহে প্রগতিবাদী চেতনাধারী। তিনি দোকানের রেডিওটা টেনে নিয়ে নব ঘুরিয়ে বাংলা ছবির গান শুনতে লাগলেন, “তুমি আমার সোনা সোনা সোনা রে; নানানা বাবা না, নানানা বাবা না, নানানা।”

আরেকজন হুজুর, বিশাল ঢেঙা সাইজ, দাঁড়িয়েই কয়েকটা সিংগাড়ার অর্ডার দিলেন। উনি হয়তো ফরিদ ভাইয়ের পরিচিত, আমারও তাঁর মুখচেনা। তাঁর শরীর যেমন বিরাট, কণ্ঠও তেমন ভরাট। টুলের উপর বসে ফরিদ ভাইকে বললেন, “বুঝলা ফরিদ মিয়া, এই এম্রিকানগুলারে ভরার জন্য মনে হয় খোদার আরেকটা দোজক এশট্রা বানাইতে হবে। এইগুলা পুরা দুনিয়াভর কী যে ছালিবিছালি শুরু করছে!”

ফরিদ ভাই বললেন, “ক্যান? শুধু বুশের জন্য সবাইকে দোষ দিচ্ছেন ক্যান?”

“আরে ধুর না! এইগুলা সবগুলা ইহুদী, একটাও ভালো না। ওরা নিজেরা নিজেরা ওই একশতলা বিল্ডিংটা বোম মাইরা ভাইঙ্গা এখন মুসলমানদের দোষ দিতেছে। কত বড় হারামীর জাত।”

ফরিদ ভাই ‘হুম’ বলে মাথা দোলালেন। “কিন্তু সবাই যে খারাপ এটা ক্যামনে বলবেন। ওইখানেও তো গুটিকতক মুসলমান আছে।”

“আরে ধুর, ঐগুলা সব নামের মুসলমান, কামের না।" প্রলয়-লয়ে মাথা ঝাঁকালেন ঢেংগা হুজুর। "আসল মুসলমান হইলে কী ইহুদীদের সাথে একদেশে থাকতে পারে।”

আমি ভাবলাম এ ফাঁকে একটু সাধারণ জ্ঞান কপচাই। একটু কারদানীর ফুসরত পেয়ে বললাম, “ইহুদী না, ইহুদী না। আমেরিকার ম্যাক্সিমাম হচ্ছে খৃষ্টান।”

“ওই হইসে” বললেন ঢেংগা হুজুর, “ওইগুলা সবই এক।”

আমি বলি, “আরে না। ইহুদীরা হচ্ছে মূসা নবীর আর খৃষ্টানরা ঈসা নবীর উম্মত।”

ঢেংগা হুজুর সামনে পাওয়া সিংগারার অর্ধেকটা মচমচিয়ে খেয়ে নিলেন। এক ঢোঁক পানি খেয়ে তারপর বললেন, “শুনো বাইচ্চা। ওনারা সবাই আসলে ইসলাম ধর্মই প্রচার করসিলেন। কিন্তু ওনাদের ওফাতের পর সেই মুরতাদগুলা নিজেদের মত করে ধর্ম বানায়ে নিছে। এইগুলা সবগুলা একরকমেরই ধর্ম। খিরিস্টান আর ইহুদীদের মধ্যে তেমন একটা ফারাক নাই। ওদের ক্যাবলা হচ্ছে ওই ইবলিশের দিকে।”

আমি দেখি, অন্যসব হুজুররাও ঢেংগা হুজুরের কথায় মাথা দুলিয়ে সায় দিচ্ছিলেন।

ফরিদ ভাই দেখি মুচকি হাসছেন। উনি বললেন, “ঠিকাছে, তাইলে আম্রিকাকে এখন মারার কি দরকার। মওতের পর তো এমনিতেই ওদেরকে চিকেন রোস্ট বানানো হবে। তখনের জন্য ছেড়ে দেন...”

ঢেংগা হুজুর মুখটা খানিক মুছে নিয়ে বললেন, “আরে না না। জামাতুল মুসলেমীনের এক্ষন থেকেই একশন নিতে হবে। আগে তো ওদের মওত নিশ্চিত করা দরকার। এদের সবগুলা শয়তান। শয়তানদের মওত সিধা আসে না।”

আমি বলি, “কিন্তু সবাই যে শয়তান সেটা কিভাবে বুঝলেন? দেখেন আপনারা যে কি সুন্দর বাতাস খাচ্ছেন, এইটা বানাইসে তো আমেরিকান বিজ্ঞানী ফিলিপ ডিল। যদি এই ভালো কাজটা উনি না করতেন, তাহলে তো মিছিল থেকে এসে আপনে হিটস্ট্রোক করতেন।”

ঢেংগা মুসল্লির পাশে সবুজ পাঞ্জাবীর একজন বসে ছিলেন। এবার উনি গর্জে উঠলেন, “শুনো। তুমি বলতেছ এইসব বিজ্ঞানী-টিজ্ঞানী, আবিষ্কার-মাবিষ্কার এতকিছু। এইগুলা ওরা ক্যামনে করছে জানো?”

আমি নতুন তথ্যের গন্ধ পেয়ে একটু উদ্বাহু হয়ে উঠি। “ক্যামনে?”

“ক্যামনে আবার, কোরান-হাদীস থেকে রিসাচ করে। ওরা যতশত আবিষ্কার, যতশত কেরামতকার কিসসা-কাহিনী করছে, সব তো কোরান-হাদীস রিসাচ করে করছে। কিন্তু বদমাইশগুলা এইসব প্রকাশ করে না, কারণ এসব প্রকাশ করলে তো ওয়াল্ডের সব মানুষ ঈমান্দার হয়ে যাবে, বুঝছ।”

তথ্যটা পেয়ে খুব একটা ঘাবড়ালামনা। কারণ, এমন কথা আগেও শুনেছি। মাথা নেড়ে সায় দিয়ে ক্ষান্ত দিলাম।

তারপর আবার তিনি বলে উঠলেন, “শুনো, এইসব বিধর্মী বিজ্ঞানীগুলা অনেক মিথ্যা কথা বলে, আমাদের মুসলমানদেরকে দাবায়ে রাখার জন্য।”

আমি কৌতুহলী হয়ে বলি, “কি মিথ্যা কথা!”

“শুনো, ওরা জানে যে সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে। কিন্তু এইসব কথা প্রকাশ করে না। কারণ আল্লার বয়ানের সাথে মিলে যাবে।”

এই পর্যায়ে ফরিদ ভাই ফোড়ন কাটলেন, “কেন, এমনো তো হতে পারে বিজ্ঞানীরা যা বলছেন ইসলামিক কিতাবগুলাতে তাইই আছে। কিন্তু সেগুলার ভুল ব্যাখ্যা করে ব্যাপারটাকে অন্যভাবে বলা হইছে।”

“আরে ধুর মিয়া। তুমি শুধু প্যাঁচাইল্লা কথা বল। বড় বড় আলেমরা ভুল করবেন কেন? বিজ্ঞানীরা যে কত বড় মোনাফেক এইটার আরেক প্রমান হইল- ওরা নাকি বলছে বান্দর থেকে মানুষ আসছে। আসলে বান্দর নিজে কেমনে আসছে সেইটা জানো?”, আমাদের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন সবুজ-পাঞ্জাবী হুজুর।

“ক্যামনে?”, ফরিদ ভাই বলেন।

“দাঊদ নবী যখন যবুর পড়তেন তখন ওই আওয়াজে দেওয়ানা হয়ে সেই জায়গায় দরিয়া থেকে মাছ উঠে আসত। এই সুযোগে কতগুলা চোট্টা সেই মাছগুলাকে ধইরা নিয়ে যাইত। পরে সেই মজলুম মাছগুলা খোদার দরবারে ফরিয়াদ করে, ‘ইয়াল্লা, তুমি এর বিচার কর’। পরে খোদার বদদোয়ায় সেই চোরগুলা বান্দর হয়ে যায়। এইভাবেই বান্দর আসছে, বুঝছ। আর বদমাইশগুলা বলে আরেক কথা, ওরা কিন্তু সহীহ ঘটনা ঠিকই জানে।”

আমি মাথা নেড়ে সায় দেই। বলি, “এই ঘটনা আমার দাদু আমাকে বলছিলেন, ধর্ম বইয়েও মনে হয় পড়ছি। কিন্তু...”

আমাকে এগুনোর সুযোগ না দিয়েই আবার তাল ধরলেন ঢেংগা হুজুর, “শুনো, ওরা যেসব জিনিস-টিনিস বানাইছে ওইগুলার জন্য ওদের ইসলামের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। আমাদের কিতাবগুলি যদি না থাকত তাইলে ওরা রিসাচ করত ক্যামনে? কিন্তু, ঐ আছেনা, মোনাফেকের সেই তিনটা লক্ষন। এইজন্য এদের কোন কৃতজ্ঞতা বোধ নাই।”

এবার ফরিদ ভাই কথার লেজ ধরে এগুলেন। তার স্বরটা কেমন যেন মশকরামূলক, “শোনেন হুজুর। সব জিনিস যে এইভাবেই রিসার্চ করে বানাইছে এটা আপনি বলতে পারতেন না যদি আপনি প্রযুক্তিবিজ্ঞানের মহান একটা আবিষ্কারের কথা জানতেন।”

ঢেংগা হুজুর বলেন, “কি জিনিস?”

“ভাইব্রেটর”

আমি সন্দিগ্ধ চোখে ফরিদ ভাইয়ের দিকে তাকালাম। কারণ ওরকম নামের যন্ত্রের কথা আমি তখনো শুনিনি। হুজুরগুলোও দেখি বেবুঝের মত তাকিয়ে আছে। কপালের ভাঁজ আর গণ্ডদেশের খাঁজ মিলে সদ্য সেঁকা তন্দুর-রুটির মত বন্ধুর হয়ে আছে সবুজ-পাঞ্জাবী'র অবয়ব। জিজ্ঞাসু অভিব্যক্তিকে জিভের আগায় টেনে তিনি লঘুস্বরে শুধালেন, "ওই... মুবাইলে যে দেয়...তখন মোবাইল যে গিরগিরগির করে কাঁপে....সেইটা?"

এতক্ষন অনেকটা বিচ্ছিন্ন থাকলেও, একটু দূরে বসা সেই মোবাইলওয়ালা-রেডিওশোনা-প্রগতিচেতা হুজুর হঠাৎ কথা বলে উঠলেন। “আরে ফরিদ, তুমি যেইটা বলছ সেইটা কিন্তু কামের জিনিস। মসজিদে ঢুকলে আমিও এইটা দিয়ে রাখি...”

(এগুবে ইনশাল্লা...)

(কমেন্ট বক্সে হুজুর সংক্রান্ত স্বীয় অভিজ্ঞতা সমূহ আলোচনা করা জায়েজ ঘোষনা করা হইল )

ধৈবত


মন্তব্য

নিভৃত_সহচর এর ছবি

ফাটাফাটি হইসে হো হো হো !

[মডুরাঃ প্রথমদিকে নিয়ম না বুঝে রেজিস্ট্রেশন করসিলাম, নাম নিসিলাম নিভৃত সহচর কিন্তু এখন ওই নামে এখন আর আগের মত যাচাই না করা অতিথি হয়ে পোস্ট করতে পারিনা, বলে The name you used belongs to a registered user. তাই নিভৃত_সহচর দিয়ে পোস্ট দিতে হয়। ঘটনাটা কি কেউ বুঝায় বলবেন?]

সাফি এর ছবি

contact@sachalayatan.com এ মেইল দেন বস

তারাপ কোয়াস এর ছবি

মজা পেলাম। সিরিজ চলুক।


love the life you live. live the life you love.

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হো হো হো
চলুক। আপনি দারুণ লেখেন। পরের পর্ব তাড়াতাড়ি ছাড়েন।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

কৌস্তুভ এর ছবি

হাততালি

এই লোকগুলা... পারেও বটে!

অতিথি লেখক এর ছবি

ব্যাপক গুরু। চালিয়ে যান।

তবে একটা প্রশ্ন ছিলো। সেই শ্লোগানের মিছিলে কি আপনি আর ফরিদ সাহেবও ছিলেন?

অতীত

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

“ভাইব্রেটর”

হো হো হো

ভাগ্যিস ফরিদ ভাই ভাইব্রেটরের অন্য উদাহরনগুলো দেননি। প্যাদানি নিশ্চিত ছিলো। প্রযুক্তিবিদ উগ্রাধুনিক হুজুর হলে হয়তোবা মোবাইলটা ভাইব্রেশন মোডে সেট করে জায়গামতো ঢুকিয়ে দিয়ে তারপর একটার পর একটা কল দিতো।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অপছন্দনীয় এর ছবি

দেঁতো হাসি

“ওই হইসে” বললেন ঢেংগা হুজুর, “ওইগুলা সবই এক।”

এই কারণেই ওনারা 'রিইউজ স্পেশালিস্ট'ও বটেন। আফগানিস্তানে আমারিকার হামলার সময় খুলনায় একটা পোস্টার দেখেছিলাম, "বিশ্ববাসী জেগে ওঠো, রুশ বাহিনী উৎখাত করো"। ১৯৭৯ আর ২০০১, পার্থক্য তো এটুকুই, আর সবই এক দেঁতো হাসি

একজন পাঠক এর ছবি

দারুন

একজন পাঠক এর ছবি

দারুন

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

জটিল হইয়াছে ভ্রাতঃ। হাসি

ভাইব্রেটরের জায়গায় আইসা আমি ভাবলাম ঘটনা 'ভিন্ন' ... কিন্তু নাহ, আপনার ফরিদ ভাই ভালু লুক ... ...

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

অদ্রোহ এর ছবি

জব্বর হইসে মনা...

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

হে হে হে...ভাইব্রেটরের কথা শুইন্যা আমিও একটু ডরাইছিলাম, ফরিদ ভাই আসলেই বিশিষ্ট ভদ্দরলুক। তবে আপনের মিয়া দয়া-মায়া নাই, পুরান কথা সব দিছেন মনে করাইয়া।

সাধারন জ্ঞ্যানের অনেক ইস্যুর লাইগ্যা আমি কিন্তু হুজুরগর কাছে কৃতজ্ঞ, যেমন ধরেন, কবি নজরুল গীতাঞ্জলি নামে একটা বই লেখছিলেন, রবি ঠাকুর ইংরেজগরে ফিটিং দিয়া নজরুলরে গ্রেফতার করাইয়া ঐ পান্ডুলিপি মাইরা নোবেল কামাইয়াছেন, এইটা কি আপনে জানেন? নিল আর্মস্ট্রং, মাইকেল জ্যাকসন যে মুসলমান হইছে এইটা জানেন? বঙ্গবন্ধু হিন্দু আছিলেন, এই ইনফর্মেশনও আমি ঐখানেই পাইছি, কিতাব রিসাচ কইরা বৈজ্ঞানিক আবিস্কারের ফিরিস্তি তো মগজে আছেই...আর আমারে পায় ক্যাডা? বিসিএসে টিকলে হুজুরগরে আবারো দাওয়াত দিয়া খাওয়ামু ভাবতাছি। ইয়ে, মানে...

- দিগন্ত বাহার

অতিথি লেখক এর ছবি

শুধু কী তাই। নজরুল যাতে বেশি উরপে না উঠতে পারে, এই জন্য রবিবুড়া নাকি তার ভাগনীরে নজরুলরে গছাইয়া দিয়া সেই বেডির দ্বারা কী কী জানি কুফরি দাওয়াই খাওয়াইয়া তারে লুলা বানাইয়া দিছিল।
ভারতীয় বংশদ্ভূত দঃআফ্রিকান গায়ক জায়ান বিখা'র একটা গান আছে, "গিভ থ্যাঙ্কস টু আল্লাহ"। ওটা জ্যাকসন গেয়েছে- এই মর্মে দাবী করে নেককার কিছু মুসল্লি একটা ভিডিও আপলোড করেন, সেখান থেকেই মাইকেল সাহেব 'মীকাঈল' হয়ে গেছেন- এই ধরণের প্রপাগাণ্ডা ছড়ান তারা। নিল আর্মস্ট্রঙের ঘটনা আরো কেরামতের। তিনি নাকি চাঁদে নুড়ি কুড়াতে গিয়ে দেখেছেন সেই বিখ্যাত "চন্দ্রদ্বিখণ্ডিতকরণ" এর উছিলা। মতান্তরে, চাঁদ ছুঁয়ে অ্যাপোলো ১১ তে চেপে পৃথিবীতে ফেরার পথে নভোচারীরা মহাজাগতিক আযান শুনেছিলেন, তারপর পৃথিবীতে ফিরে সেই মুরতাদগুলো একটা আম্রিকান মসজিদের পাশ ধরে যাবার সময় যখন একই ধ্বনি শোনেন, তখন তোবা করে সবাই মুসলমান হয়ে যায়।...সুভানাল্লা বলেন।

'বঙ্গবন্ধু হিন্দু আছিলেন' এই তথ্য যে দিয়েছে সে নিশ্চই সাধারণ কোন হুজুর না। সে নিশ্চই 'তিন ভূজ বিশিষ্ট' প্রজাতির কোন প্রাণী।
ধৈবত

তাসনীম এর ছবি

দারুণ হয়েছে। লেখা চলুক...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

তুমি আমার সোনা সোনা সোনা রে

দেঁতো হাসি

দৃপ্র

সাফি এর ছবি

হাহা পরের পর্ব ছাড়েন বস

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

একটি জাঝাকাল্লাহু খাইরান দিলেম তোমায় বাবা।

নিয়মিত লেখা পেতে এই লেখককে হাচল করবার জন্যে মডুমহলে তীব্র দাবি জানাই- তবে কখনো সচল করা না হোক, তাতে লেখক শীতনিদ্রায় চলে যেতে পারেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

হা হা হা

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

মজা পেলাম

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

কুটুমবাড়ি [অতিথি] এর ছবি

মজা প্লাম অনেক। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

পাঠক এবং মন্তব্যকারী সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ধৈবত

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।