১২৮৪ সাল। মধ্যযুগের জার্মানির ছায়া ঘেরা, পাখি ডাকা, শান্তিময় ক্ষুদে এক পাহাড়ি শহর হ্যামিলনে দেখা দিল আচমকা মহা উপদ্রব- ইদুর! হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ সুবিশাল ইদুরের পাল, তাদের অত্যাচারে বেড়াল তো বেড়াল, মানুষের অস্তিত্ব টেকানোই দায় হয়ে পড়ল সেই পাহাড় ঘেরা উপত্যকায়। অবশেষে রূপকথার গল্পের মত দেখা দিলেন মহান ত্রাতা, নানা বর্ণের ডোরাকাটা রঙচঙে নকশাদার পোশাক পরা এক বাঁশিওয়ালা। নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে সে আশ্বাস দিল বিনাশ করে ছাড়বে ইদুরের দলকে।
প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ঝোলা থেকে এক অদ্ভুত বাঁশি বের করে অদ্ভুততর সুর সৃষ্টি করে চলল অবিরত, সেই মোহনীয় সুরেই মাতোয়ারা হয়ে দিকবিদিক ভুলে ইদুরের দল শুরু করল তার পিছু চলা। এক পর্যায়ে খরস্রোতা ভাইজার নদীর কিনারে এসে চতুর বাঁশিওয়ালার চালে সমস্ত ইদুরের পাল লাফিয়ে পড়তে লাগল সেই বহমান হিমশীতল জলে, খড়কুটোর মত ভেসে গেল তারা দূর কোন অঞ্চলে অথবা খরস্রোতা অথৈ জলের নিচে ঘটল সলিল সমাধি। হামিলন হল ইদুর মুক্ত।
এবার পাওনা চুকানোর পালা, কিন্তু বেকে বসল শহরের নগরকর্তা, প্রতিস্রুতিবদ্ধ অর্থের চেয়ে অনেক কম দিয়েই বিদায় করতে চাইলেন সেই বাঁশিওয়ালাকে, সেই বা নেবে কেন এত কম মজুরী? দুকথা নগরকর্তাকে শুনিয়ে অদ্ভূত লোকটা বলে গেল এর প্রতিশোধ নেবে সে, হ্যামিলনের লোককে কাঁদিয়ে ছাড়বে।
অবশেষে সেন্ট জন ও পলের দিবসে (ধার্মিক উৎসবের উপলক্ষ) শহরের সকলে যখন গির্জায় তখন অতর্কিতে হাজির হল বাঁশিওয়ালা, পরনে সেদিন তার শিকারির সবুজ বেশ,হাতের কৃষ্ণবর্ণের অন্য বাঁশীতে অদ্ভুত এক মোহময়ী সুর, সেই সুর কানে যাওয়া মাত্রই কি যেন হয়ে গেল শহরের কোমলমতি শিশু-কিশোরদের! সকলে যেন জীয়নকাঠির ছোয়ায় হঠাৎ জেগে উঠে নাচতে নাচতে ছুটল অদ্ভুতুড়ে খ্যাপাটে বাঁশিওয়ালার পানে, পরে তার পিছু পিছু অদূরের পাহাড়ের দিকে।
অভিভাবকদের শত হাঁকডাক, নগরকর্তার চিৎকার কিছুই যে আর কানে যাচ্ছে না তাদের, গ্রীক পুরাণের সাইরেনদের মত পাগল করা সুরের মত তারা হয়ে গেছে বাঁশিওয়ালার সুরের বশ, একে একে ১৩০ জন নিষ্পাপ বালক-বালিকা চলে গেল পাহাড় পেরিয়ে চোখের আড়ালে, কেবল এক পঙ্গু বালক অনেক পেছনে পরে যাওয়ায় ফিরে এল একাকী। হ্যামিলনের বুকে আবার নেমে আসা দীর্ঘশ্বাস আর বুক ফাটা আর্তনাদের চাক্ষুষ সাক্ষী সে। প্রতিশোধ নিয়েই ছাড়ল সেই পাগলাটে বাঁশিওয়ালা!
এই হল পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় রূপকথা হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার সারাংশ, দেশ থেকে দেশান্তরে ছড়িয়ে পড়বার সময় এর কলেবর ব্যপক হারে বৃদ্ধি যেমন পেয়েছে, তেমনি হয়েছে নানা ঘটনার সংযোগ-বিয়োগ। কোথাও ফেলে যাওয়া পঙ্গু বালক পরিণত হয়েছে তিনটি অন্ধ, বধির ও পঙ্গু বালকে, কোথাও হারিয়ে যাওয়া শিশুর দল মাথা ঠুকে মরেছে পাহাড়ের গুহায়- কিন্তু মোদ্দা কাহিনী সব প্রায় একই রকম।
আমাদের প্রাইমারী স্কুলের বইতে ছিল এই কাহিনী আর সেই সাথে প্রবাদ প্রতিম শিল্পী হাশেম খানে ঝকঝকে জীবন্ত অলংকরণ শিশুমনের কল্পনাকে দিয়ে ছিল বহুগুণে বাড়িয়ে। সেই প্রথম জার্মানি নামের দেশটার সাথে পরিচয়, আর সেই সুবাদে জার্মানির প্রথম শহর হিসেবে মাথার কোষে কোষে গেথে যায় হ্যামিলন নামটি। গত কয়েক বছরে শিল্প-সাহিত্য-বিজ্ঞানের দেশ জার্মানিতে পা ফেলার সুযোগ হয়েছে বেশ কবার- নানা ঘটনায়- নানা উছিলায়- কার্ল মার্ক্সের বাড়ী থেকে আইনস্টাইনের বিশ্ববিদ্যালয়, বিটোফেনের জন্মস্থান থেকে হিটলারের বাঙ্কার, ফুটবল বিশ্বকাপের উম্মাদনা থেকে ফ্রাঙ্কফুর্টের বইমেলা, বাভারিয়ার পর্বত, ব্ল্যাকফরেস্টের বন, রাইন নদীর অববাহিকা কিছুই বাদ পড়ে না, কিন্তু ছোঁয়া ছোঁয়া করেও কোনবারই যাওয়া হয় না বাচ্চাবেলার স্বপ্নের শহর হ্যামিলনে।
গেলবারে তাই পণ করেই গাড়ীর স্টিয়ারিঙে বসেছিলাম- হ্যামিলন এবার যেতেই হবে। লোয়ার সাক্সনী রাজ্যের বড় শহর হ্যানোভারের অল্প দূরেই পাহাড় ঘেরা বিখ্যাত এই প্রতিবেশী, আমাদের যাত্রাপথ থেকে বেশ খানিকটা দূরে হলেও ঘুরপথে ঠিকই হাজির হলাম এক পাহাড়ি সন্ধ্যায়, গোধূলির মৃদু আলো যায় যায় করছে। দূর দিগন্ত পর্যন্ত দখল করে আছে সবুজে ছাওয়া পাহাড় সারি , সূর্যদেবের উপস্থিতি ম্রিয়মান হলেও লক্ষণীয় এমন সময়ে আমাদের প্রবেশ হ্যামিলনে।
ম্যাপ আর গাইড বই দেখে বার কয়েক ভুল রাস্তায় গোত্তা খেয়ে যখন নদীর পাশের হোটেলটিতে পৌছেছি ততক্ষণে আলোর সহোদরা শত্রু অন্ধকার তার রাজত্বে বেশ জাকিয়ে বসেছেন। হোটেল রিসেপসনিস্টের টেবিলে চোখ যেতেই সহযাত্রীরা লাফিয়ে উঠল তিন হাত, ডাই করে ফেলে রাখা এক গাদা মরা ইদুর! চামড়ায় কেমন একটা ফ্যাকাসে হলদেটে ভাব, গা গুলিয়ে আসার জোগাড়। দেঁতো হাসি দিয়ে আমাদের উদ্ধার করল ছোকরা রিসেপসনিস্ট ল্যুদভিগ, জানাল এগুলো তাদের তৈরি চামড়ার ইদুরের মডেল, নেহাত পর্যটকদের কাছে বিক্রির জন্য। বোঝা যায় ইদুর ও বাঁশিওয়ালা এই শহরের বিশাল বিজনেস আইটেম, মূল আকর্ষণ।
আর হবে নাই বা কেন, সারা বিশ্বের কোন দেশের শিশুরা এই গল্পটা শোনেনি? গ্রীম ভাইদের রূপকথা, গ্যেটে আর ব্রাইনিং-এর অমর পংক্তিমালায় এই ঘটনা পরিভ্রমণ করেছে সারা পৃথিবী, জাকিয়ে বসেছে স্বপ্নময় শিশুমনে। ব্যাগপত্র রেখে নদীর তীরে খানিকটা হেটে চললাম পেটপূজোর আশায়। যদিও চারিদিকে ঝকেঝকে তকতকে রাস্তাঘাট, নদীর পাড়ে ইদুরের চিহ্নমাত্র নজরে আসল না, মনের কোণে যেমন খুশীর বান ডেকেছে এতদিনের হ্যামিলন ভ্রমণের স্বপ্নপূরণ হওয়ায়, ঠিক তেমনি আঁধারে ঢাকা ক্ষুদে গলি-তস্যগলি পার হতে গেলেই শরীর কেমন যেন ছম ছম করে উঠছে। বলা তো যায় না, হয়ত কোন মোড়েই দেখব বিশালাকায় এক লোক, আমাদের অপেক্ষায় ঠাই দাড়িয়ে আছে তার বাঁকানো শিঙ্গা হাতে! আর কে না জানে, সব কিংবদন্তীর পিছনেই খুব ছোট্ট হলেও একটা সত্য ঘটনা সাধারণত থেকেই যায়।
৮৫১ খ্রিস্টাব্দে তৈরি এক ধর্মাশ্রমকে ঘিরে গড়ে ওঠা ছোট গ্রামই আস্তে আস্তে ক্ষুদে শহরের রূপ নেয় দ্বাদশ শতাব্দীতে, এখনো শহরকেন্দ্রে রেনেসাঁ আর প্রাক-রেনেসাঁ যুগের স্থাপত্যগুলো সগর্বে দাড়িয়ে আর সুবিশাল জার্মানির হিসেবে হ্যামিলন এখনো এক ছোট শহরের গণ্ডিতেই আছে, জনসংখ্যা মাত্র ৬০ হাজার, যদিও পর্যটকের অভাব নেই কোন সময়েই।
খাবারের দোকানেও দেখা গেল কিংবদন্তীর বাঁশিওয়ালার উপরে রঙ ঝলমলে পুস্তিকার সমারোহ, জানা গেল গ্রীষ্মের প্রতি সপ্তাহেই সেই রূপকথার উপর ভিত্তি করে মঞ্চনাটক অনুষ্ঠিত হয় শহর কেন্দ্রে, আর বিশেষ বিশেষ দিনে মনোরঞ্জনের জন্য শহরময় হেটে বেড়ায় রহস্যময় এক আগন্তক, পরনে কখনো রঙদার ডোরাকাটা পোশাক বা পুরনো সবুজ বস্তা ধরনের আলখেল্লা, হাতে সেই সুপরিচিত বাঁশি।
কিন্তু আসলে কি প্রোথিত ছিল এই রূপকথার গভীরে, কেন হ্যামিলন ঘিরেই তৈরি হল শিশুহীন সমাজের বিষাদময় ভয়ালচিত্র! শহরে রক্ষিত ১৩৮৪ সালের প্রাচীন নথিতেও উল্লেখ আছে- আমাদের সন্তানেরা আজ একশ বছর হল আমাদের ছেড়ে বিদায় নিয়েছে!! শতাব্দী প্রাচীন গবেষণাপত্রগুলো জোড়া লাগালে হয়ত সেই গুমোট রহস্যে খানিকটা আলোকরশ্মি ফেলা সম্ভব, আর সেখান থেকেই জানা যায় হয়ত সেই সময়ে কোন অজানা কারণে শহরের সমস্ত শিশু মৃত্যুবরণ করেছিল, হয়ত বা মরণব্যধি প্লেগে অথবা অন্য কোন রোগে, হয়তো বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে- ভূমিধ্বস বা পাথরধ্বসে।
অনেকেই আশঙ্কা করে থাকেন কোন ধর্মোম্মাদ হয়ত ফুসলিয়ে কোমলতিদের নিয়ে গিয়েছিল ধর্মযুদ্ধ ক্রুসেডে অংশ নেবার জন্য, আর ডোরাকাটা পোশাকের বাঁশিওয়ালা ছিল মৃত্যুর প্রতীক, কোন দিন ফিরে না আসা শিশুদের বাবা-মার দুঃখ-বেদনার কল্পরূপ। মৃত্যু বা ভয়াবহ রোগকে মানুষ হিসেবে কল্পনা করার চল তো ছিল বা আছে বিশ্বের সব জায়গাই-ই, চিন্তা করে দেখুন আমাদের অঞ্চলের শেতলা বা ওলাওঠা দেবীর কথা। আর নিবিড় গবেষণায় প্রকাশ পায় গল্পের আদিরূপে ইদুরের পালের কোন অস্তিত্বই ছিল না, কোন উর্বর মস্তিস্ক থেকে এই ধারনা বের হয়ে গল্পের ফাকে চিরতরে জায়গা করে নেয় ১৫৫৯ সালে ! এত মতের মধ্যে কোনটা যে সত্য তা সম্ভবত চিরতরে হারিয়ে গেছে কালের অতল গর্ভে এর স্রষ্টাদের মতই।
পরদিন কাকভোরেই বের হয়ে পড়লাম হ্যামিলনের নদী, পাহাড় ও শহরের সৌন্দর্য উপভোগের আশায়। শহরের যে প্রান্তেই যায় না কেন ইদুর অথবা বাঁশিওয়ালা অথবা হারিয়ে যাওয়া শিশুদের কোন না কোন স্মারক ছিল সব জায়গাতেই। অবশেষে নগরভবনের সামনের খোলা চত্বরটিতে দেখা মিলল এইখানকার সবচেয়ে বিখ্যাত ধাতব ভাস্কর্যের, লম্বাকৃতির এক বাঁশিওয়ালা শুন্যে বাঁশীতে ফু দিচ্ছে, তার পিছনে অনুসরণরত আনন্দে উদ্বেল কিশোর-কিশোরীরা, সবগুলো ভাস্কর্য প্রমাণ আকৃতির। ততক্ষণে সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়েছে উপত্যকার বুকে, ভাস্কর্যের সামনের খোলা আঙ্গিনায় জমে উঠেছে রকমারি পণ্যের দোকানগুলো। আমাদেরও দূর গন্তব্য বাভারিয়ার পর্বতে যাবার সময় হয়ে এসেছে, বাঁশিওয়ালার মূর্তির পানে চেয়ে কেবল অবাক বিস্ময়ে বললাম- কি তোমার এই অপার রহস্য, শিশুকাল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত নানা কল্পনার জাল বুনেই চলেছ মনের গহনে, আমরা কি কোনদিনই জানতে পারব না তোমার সত্যিকারের পরিচয় !!
মন্তব্য
যথারীতি ভালো লাগল....................![চলুক চলুক](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/yes.gif)
কিছু পিক দিতেন!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
Hamelin এর উচ্চারণ হ্যামেলিন তো শুনি। ইংরেজরা নাকি বলত Hamlin, সেখান থেকে ছোটবেলায় পড়েছিলাম হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা।
লেখা ভাল লাগল। সাথে আবারও এক বালতি ঈর্ষা।
'হ্যামিলন'টা সম্ভবত 'হ্যামলিন'এর অপভ্রংশ... মুখে মুখে উচ্চারণে হয়েছে। অণু ভাই যে পাঠ্যবইটার কথা বলছেন, তাতে 'হ্যামিলনের' বাঁশিওয়ালা লেখা ছিল যতদূর মনে পড়ছে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
মনে পড়ে গে ল সে ই গান,
"আমি হ্যামিলনের সেই বাশিওয়ালা/ বাজাব বাশি সুরে সুরে"।
ধন্যবাদ।
এম আব্দুল্লাহ
নথিতে বিস্তারিত লিখে যেতে পারলো না ব্যাটারা...
১৫৫৯ এর কোন ঘটনায় এই বর্তমান গল্পরুপ পুরোপুরি পোক্ত হলো, তা অবশ্য বুঝতে পারলাম না।
তবে এইবারের পর্ব আগের বারের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে ভাইজান।
... চলুক আপনার সচল গ্লোব ট্রটারিং।
অনেক ধন্যবাদ, আসলে জার্মানে শহরটির নাম HAMELN, স্থানীয়রা উচ্চারন করে হামলন, ল আর ন একসাথে।, সেখান থেকেই হ্যামিলনটা নিলাম। তবে ছবির ব্যাপারটা ঠিক বুঝে উঠলাম না, এইবারও ৫টি ছবি আপলোড করলাম, নেটেও ৫টাই দেখাল পরে দেখি মাত্র একটা এসেছে ! সাজেশন !! ----- অণু
দিলেন তো কৌতুহল উস্কিয়ে। এক কাজ করেন। মূল গল্পটার উৎপত্তি আর পরিবর্তন কোন কোন ধাপে কিভাবে হয়েছে, সেটা নিয়ে যাকিছু জোগাড় করতে পারেন, জড় করে ভালোমতন একটা পোস্ট দেন। বিভিন্ন কালচারে প্রচলিত লোকগল্প আর উপকথাগুলো কিভাবে বিবর্তিত হয়, সেটা সম্পর্কে ভালো ধারণা পাওয়া যাবে।
দাবি জানায়ে গেলাম কিন্তু ভাই। এদাবি ছাড়বনা।![দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/4.gif)
সচলায়তনে স্বাগতম অণু ভাই। আপনার আগের লেখাগুলোও দেখেছি, মন্তব্য করার সময় করতে পারিনি।
লেখাটা ইন্টারেস্টিং... আচ্ছা, ১২৮৪ নাকি ১৩৮৪? শুরুতে একরকম আর নথির বর্ণনা দিতে গিয়ে আরেকটা লিখেছেন দেখলাম।
আসলে কী ঘটেছিল, সেটা কোথাও নাই?
ছবি আপ করার জন্যে একটা ভালো বুদ্ধি হলো, সব ছবি ফ্লিকারে আপ করা, সেখান থেকে লেখার ফাঁকে ফাঁকে লিংক দেয়া। ফরম্যাটিং নিয়ে এইরকম টুকিটাকি বেশ কিছু সাজেশন আছে বামদিকের প্যানেলের 'সাহায্য' সেকশনে।
একটু অফটপিক, লেখার শিরোনামে নিজের নাম না দিয়ে, লেখার ট্যাগে ব্যবহার করতে পারেন যতদিন না 'হাচল' হচ্ছেন, মানে 'অতিথি লেখক'এর পরিবর্তে নিজের নাম/নিকেই লেখা প্রকাশ করতে পারছেন। দেখতে ভালো লাগে। আর আপনার ঐ ট্যাগে ক্লিক করলেই তখন আপনার অন্য লেখাগুলো বেরুবে সহজে। 'হাচল' হয়ে গেলে আর প্রয়োজন পড়বে না এটা করার।
আর লেখায় প্যারা আরো বেশি দিলে পড়তে আরাম হয়।
চলুক লেখালেখি।![চলুক চলুক](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/yes.gif)
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আবারো সবাইকে। ঘটনাটি ১২৮৪ সালের, এই জন্যই ১৩৮৪ সালের পুঁথিতে লেখা আছে- আজি হতে শতবর্ষ আগে ! সুহান ভাই, ১৫৫৯ সালে সম্ভবত কোন কল্পনাপ্রবর ইদুরের ব্যাপারটি অন্তর্ভুক্ত করে, যেমন ইংল্যান্ডে কিং আর্থার নামে কারো অস্তিত্ব না থাকলেও স্রেফ এক ফ্যান্টাসী লেখকের কারণে তার নাম অমর হয়ে যায়, এখন বাস্তব আর মিথ কে আলাদা করা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় অসম্ভব। ধৈবত দা, চমৎকার কথা বলেছেন, দেখি- এমনটাও করা যেতে পারে এক মহাদেশের রূপকথা আরেক মহাদেশে যেতে যেতে কতটা পরিবর্তিত হয়, যেমন আলেকজান্ডার আমাদের অঞ্চলে হয়ে গেছে সেকান্দার !
লেখা ভালো লাগলো! আচ্ছা, "বংশীবাদনের মাতোয়ারা সুরে আনন্দিত তরঙ্গের মতো নাচতে নাচতে অন্তর্হিত হলো সকল বালক বালিকা, পিছু পড়ে রইল পঙ্গু কিম্বা অন্ধ কিম্বা বধির বালক এক"---এর কি কোন গূঢ়ার্থ আছে?
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
"বংশীবাদনের মাতোয়ারা সুরে আনন্দিত তরঙ্গের মতো নাচতে নাচতে অন্তর্হিত হলো সকল বালক বালিকা, পিছু পড়ে রইল পঙ্গু কিম্বা অন্ধ কিম্বা বধির বালক এক"---এর কি কোন গূঢ়ার্থ আছে?
তা তো থাকতেই পারে, প্রতীকী হবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশী, কিন্তু আসল মানে উদ্ধার করা মুস্কিল !-- অণু
এই লেখাটি পড়লাম আজ। পুরোন রূপকথা নতুন মনে হলো। আজ থেকে দশ কিংবা পনেরো বছর পরে আজকের অণুর লেখাটার বাক কোন দিকে যাবে সেটা ভাবতে চেষ্টা করলাম... ।
ভ্রমন কাহিনীরা কখন সাহিত্য হয় আর কখন তারা নিপাট একটা ব্যক্তিগত তথ্যবৃত্তান্ত হয়ে ওঠে সেটাও ভাবলাম...
দশ, পনের বছর!!
বাঁচব কি এতদিন কর্ণ দা!
অনেক বড় আশা করে ফেললেন আমার মত বাউন্ডুলের কাছে, দেখি! ভালো থাকুন সবসময়।
facebook
।।।(ডট)
কড়িকাঠুরে
এখনো ডট আসে না !
facebook
প্রতি গ্রীষ্মেই পিলান করি, যাই- দেখে আসি ছেলে বেলার পরিচিত শহরটা কেমন! কিন্তু শালার এতোগুলা বছরেও যাওয়া হয়ে উঠলো না। জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত প্রতি রবিবার বাঁশিওয়ালার সেই কাহিনি অবলম্বনে 'মিউজিক্যাল র্যাট' নামের একটা নাতিদীর্ঘ অনুষ্ঠান হয় শহরের উদ্যোগে। সেটাও দেখা হলো না এখনও। আপনার এই লেখাটা চোখে পড়ার পর মনে হলো আরেকটা গ্রীষ্ম তো এলো।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ, যাবেন নাকি!
এই সামারে অবশ্য আমার অন্য দিকে পিলান, ঘুরে আসেন, নাহলে পরের বার আমি টেনে নিয়ে যাব। হ্যামিলন থেকেই কিন্তু কাসেল গেছিলাম গতবার।
facebook
নতুন মন্তব্য করুন