কোলন ক্যান্সার- আমরা কি সচেতন?

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ২২/০৭/২০১২ - ২:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হুমায়ূন স্যার চলে গেছেন অন্যভুবনে গত পরশু। সমগ্র জাতি শোকাহত। আমাদের প্রাণপ্রিয় কথার জাদুকর আর তাঁর কথার জাদুতে কোটি কোটি ভক্তকে বিমোহিত করবেন না। হিমু পাগলামী করবে না, মিসির আলী রহস্য খুঁজবে না, আমরা তাঁর বই পড়ে বা ছবি দেখে চোখের জলে ভাসবো না। তাঁর কলম থেমে গেছে। কিন্তু আমাদের জীবন থামেনি। সামনে আমাদের এগিয়ে যেতেই হবে। তাঁর এই মৃত্যু শোকের সাগরে ভাসানোর সাথে সাথে আমাদেরকে একটু খানি সচেতন হবার কথাও বলে যায়। আমরা কি নিজেদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন?? যদি না হয়ে থাকি তাহলে নিচের কথা গুলো জেনে কি নিজেদের একটু সচেতন করে তুলতে পারি না?

বর্তমান বিশ্বে জীবনধারা ও খাদ্যাভাস পরিবর্তনের সাথে সাথে ক্যান্সারের প্রকোপ অনেক বেড়ে গেছে। ক্যান্সার অনেক ধরনের হয়, অনেক প্রকারের হয়। সবকিছু নিয়ে আলোচনা এখানে সম্ভব না। আসুন আমরা কেবল কোলন ক্যান্সার নিয়ে একটু খানি জানি।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমান বিশ্বে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যার হিসাবে কোলন ক্যান্সার ৪র্থ স্থান দখল করে আছে। রেটিং অনু্যায়ী এর আগে আছে শুধু ফুসফুস, পাকস্থলী আর লিভারের ক্যান্সার। সারাবিশ্বে প্রতিবছর ১০ লাখের ও বেশী মানুষ এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। যার মধ্যে অর্ধেকই বছর পেরুবার আগেই মৃত্যু বরণ করে। এর অন্যতম প্রধান কারণ ঠিক সময় মত রোগ নির্ণয়ে ব্যর্থতা। যদিও কোলন ক্যান্সারকে উন্নত বিশ্বের রোগ বলে ধরা হয় আজও তবে ইদানিং আমাদের দেশেও এর প্রকোপ বেশ ভালোই দেখা যাচ্ছে। সুতরাং সাবধান হওয়া খুব জরুরী। আসুন এবার একটু সাবধান হই।

একটু সংক্ষেপে বলে ফেলি কোলন ক্যান্সার বলতে কি বুঝায়। সাধারনভাবে আমরা জানি যে আমাদের পাকস্থলীর পরে খাদ্য পরিপাক, শোষণ ও বর্জ্য ত্যাগের জন্য আরও দুটি অঙ্গ আছে। একটি হলো ক্ষুদান্ত্র আর অন্যটি বৃহদান্ত্র। কোলন বৃহদান্ত্রের একটি অংশ। আপাতত এর থেকে বেশী পরিচয় জানাতে চাচ্ছিনা। কারণ এই লেখাটার উদ্দেশ্য এনাটমি শিখানো নয় বরং কিছু সচেতনতামূলক তথ্য দেওয়া। উৎসাহী পাঠক আরো জানতে চাইলে এই লিংকে যেয়ে জানতে পারেন। যেটা বলছিলাম। এখন কোলনে বা বৃহদান্ত্রের যেকোন অংশে ক্যান্সার বা এ জাতীয় কিছু হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন?? পাঠক এবার কষ্ট করে একটু বেশী মনযোগ দিতে হবে। পড়ার সাথে সাথে নিজের পরিচিত মানুষের মুখগুলোকে মনে করুন আর দেখুন সব ঠিকঠাক আছে কি না।

১ম কথা, আপনার বয়স। ৬০ বছরের উপরে কি??? অথবা আপনার পরিচিত কারো বয়স কি ৬০ এর উপরে? কেন বললাম?? কারণ হলো ৬০ বছরের বেশী বয়সের মানুষদের কোলন ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা বেশি। এর মানে কিন্তু এটা না যে ৬০ বছরের বেশি হলেই আপনার এই ক্যান্সার হবে। এর মানে হল যাদের কোলন ক্যান্সার হয় পরিসংখ্যান বলে তাদের বেশির ভাগের (৮০ভাগ) বয়স ৬০ এর উপরে। তার মানে বয়স একটা ব্যাপার হচ্ছে।

২য় কথা হলো, পারিবারিক ইতিহাস। কারো পরিবারে যদি এই রোগে আক্রান্ত হবার ঘটনা থেকে থাকে তাহলে তার সাবধানে থাকার দরকারটা অনেক বেড়ে গেলো।

৩য় যে ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ণ তা হল আপনার খাদ্যাভাস। কেন বলছি তার কারণ হল বর্তমানে আমরা শাকসব্জি খাওয়াটা অনেক কমিয়ে দিয়েছি। আমাদের অনেকের খাবার তালিকার নিত্যদিনের উপকরণ হল মাংস। এই যে অভ্যাস এটার সাথে কোলন ক্যান্সারের কেমন যেন একটা বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক আছে। অত্যধিক মাংস, অধিক চর্বিযুক্ত খাবার, জাঙ্ক ফুড খাওয়ার অভ্যাস কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় অনেকখানি। ব্যাপারটা এমন না যে আপনার বয়স ২৫ বছর, আপনি এখন এধরনের খাবার বেশি খাচ্ছেন আর আপনার এখনি ক্যান্সার হবে। সমস্যাটা শুরু হবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে। এবার আপনার দৃষ্টি আকর্ষন করছি আপনার খাবার প্লেটের দিকে। তাকিয়ে দেখুন অথবা ভেবে দেখুনতো তিনবেলা খাবারে তালিকায় কতটুকু ফাইবার আর ফল থাকল। যদি একেবারেই না থাকে তাহলে দয়া করে কাল থেকেই যোগ করা শুরু করুন। কারণ এগুলো কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে বলে কিছু কিছু গবেষনায় দেখা গেছে।

এখন ৪ নাম্বারে যা বলব তা দুনিয়ার সব মানুষ জানে। আপনিও জানেন। কিন্তু জেনে শুনেও ভুল করেন। আমার মনে হয় মানুষই একমাত্র প্রাণী যে জেনে শুনে ভুল করতে পছন্দ করে। আবার সেই ভুলটাও করে আনন্দচিত্তে। জ্বী, আপনি ঠিক ধরেছেন আমি সিগারেটের কথা বলছি। সিগারেটের সাথে কেন জানি না সব ধরনের ক্যান্সারের একটা গলায় গলায় ভাব আছে। তারপরও আমরা ধূমপান করি। সম্ভব হলে আজ থেকে- না আজ থেকে না, কাল থেকে ধূমপান ত্যাগ করুন। আজ রাতের সিগারেটটাই হোক আপনার শেষ সিগারেট।

৫ম কথা হল শারীরিক পরিশ্রম। প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে আমরা চরমভাবে অলস হয়ে যাচ্ছি। শারীরিক পরিশ্রম কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। এটা আমার কথা নয় জনাব- বিশেষজ্ঞ মতামত। সুতরাং একটু হাটার অভ্যাস করুন।
এতক্ষন যা বললাম এগুলা সব কোলন ক্যান্সার এর রিস্ক ফ্যাকটর। এবার আসেন কিছু লক্ষনের কথা বলি।

১. তলপেটে চাপা ব্যাথা। বিশেষ করে যেকোন একদিকে। ব্যাথার ইতিহাস দীর্ঘদিনের হলে ডাক্তার দেখান।

২. পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়া- এক্ষেত্রে বলবো পাইলসের কারণেও পায়খানার সাথে রক্ত যেতে পারে। তবে সেটাকেও অবহেলা করবেন না। কারণ পাইলসের কারণে কোলন ক্যান্সার না হলেও রেকটাল ক্যান্সার হতে পারে। আর এই পাইলসের ব্যাপারে আমাদের কেন যেন একটা লজ্জা বা দ্বিধা কাজ করে। বিশেষ করে মেয়েদের। আরে রোগ তো রোগই তাই না। আপনার জন্য বলবো- রোগের কাছে লজ্জার কোন স্থান নাই। আর একটি কথা। যদি দেখেন বেশ কিছুদিন যাবত ক্রমাগত কালো পায়খানা হচ্ছে (কোন মেডিসিন খাওয়া ছাড়া) তবে ধরে নেবেন ডাক্তারের সাথে কথা বলার সময় হয়েছে।

৩. হঠাৎ করে যদি দেখেন পায়খানা এই কষা আবার এই তরল হচ্ছে তাহলে গুরুত্ব দিন। বুঝাতে চাচ্ছি যে আপনার স্বাভাবিক পায়খানার যে অভ্যাস সেটা যদি হঠাৎ পরিবর্তন হয়ে যায় তাহলে ডাক্তার এর সাথে কথা বলেন। আর অবশ্যই মনে রাখবেন ক্রমাগত কষা পায়খানা কিন্তু পাইলস ও ক্যান্সারের জন্ম দিতে পারে আবার এর লক্ষন হিসাবেও প্রকাশ পেতে পারে।

৪. কোন কারণ ছাড়া ওজন হ্রাস পাওয়া। আবারো বলছি কোন কারণ ছাড়া ওজন হ্রাস পাওয়া। এটা আসলে সব ধরনের ক্যান্সারেরই একটা প্রাথমিক লক্ষন। দেরী না করে একবার নিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেই নিন না।

এতক্ষন যা বললাম, যে তথ্যগুলো দিলাম একটু মিলিয়ে দেখুন পরিচিত কারো মাঝে খুঁজে পান কিনা। যদি পান তাহলে আর দেরী না করে একবার ডাক্তারের কাছে যান। অবহেলা জিনিসটা আমরা খুব ভালো পারি (নিজেদের ক্ষেত্রে)। দয়া করে এব্যাপারে অবহেলা করবেন না।
চিকিৎসা কি হওয়া উচিত তা বলার সাহস করলাম না। কারণ এজন্য আমার চেয়ে অনেক ভালো এবং বিজ্ঞ ডাক্তাররা আছেন। তবে বিদেশে পড়ার অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছি যে আমরা জাতি হিসাবে নিজেদের অবহেলা করতে খুবই ভালোবাসি। আমরা ভুলে যাই যে জীবনযাত্রায় শুধুমাত্র সামান্য কিছু পরিবর্তন আমাদেরকে অনেক ভালো রাখতে পারে। হাজার হোক আমার সাথে আপনার সাথে আমাদের পরিবারের সুখ-দুঃখ যে নিবিড় ভাবে জড়িত।

সবাই ভালো থাকবেন এই দোয়া থাকল।

আলোকিত-মন


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমেরিকায় কোলন ক্যান্সার, ক্যান্সার জাতীয় রোগের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। ৬০ এর উপরে বয়স হলে কিংবা পরিবারে কারো কোলন ক্যান্সার থাকলে ৪৫ এর উপর বয়স হলেই কোলন ক্যান্সার পরীক্ষা করা উচিত। এছাড়া বাথরুমে রক্ত পড়লে পরীক্ষা করা দরকার।

অতিথি লেখক এর ছবি

জ্বী ভাইয়া, আমাদের দেশেও এই ক্যান্সার আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। সবার সচেতন হওয়া উচিত।

ধৈবত এর ছবি

মারাত্মক গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট।
স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখাগুলো আরও বেশি করে দেবেন প্লিজ।

ক্রেসিডা এর ছবি

ধন্যবাদ এরকম গুরুত্বপূর্ন একটা লেখার জন্যে। এরকম লেখা নিয়মিত আসুক।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিলে আরো ভালো হয়। সচেতনতা বাড়ানোই আমাদের উদ্দেশ্য হোক। আপনাকেও ধন্যবাদ।

আলোকিত-মন

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখায় একটি লিংক দেবার কথা ছিল। কিন্তু ভুলে লিংকটা দেয়া হয়নি। সেজন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। লিংকটা এখানে দিচ্ছি।

http://en.wikipedia.org/wiki/Colorectal_cancer

ধন্যবাদ।

আলোকিত-মন

মেঘা এর ছবি

মন খারাপ মন খারাপ মন খারাপ মনে রাখার চেষ্টা করতে হবে সব কিছু

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

অতিথি লেখক এর ছবি

মনে রাখুন এবং সবাইকে মনে রাখতে সাহায্য করুন। পরিচিত সবাইকে সচেতন করুন।

ধন্যবাদ।

রাগিব এর ছবি

বাংলা উইকিতে এই ব্যাপারে একটি নিবন্ধ শুরু করা হয়েছে। আগ্রহীরা উপরের ইংরেজি উইকির নিবন্ধ হতে অনুবাদ করে বাংলায় দিলে উপকৃত হবো।

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

খুবই সময়োপযোগী এবং সুলিখিত লেখাটির জন্য লেখককে ধন্যবাদ। অনেক সময় আমরা জেনেও পালন করি না। সেজন্য এরকম লেখা রিমাইন্ডার হিসেবে কাজ করে।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ।

অতিথি লেখক এর ছবি

খুবই সময়োপযোগী লেখা। চলুক আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সৌরভ কবীর

অতিথি লেখক এর ছবি

সময়োপযোগী এবং দরকারি পোস্ট চলুক

হিল্লোল

সৃষ্টিছাড়া এর ছবি

চলুক

সুমাদ্রী এর ছবি

খাদ্যে ভেজাল দেয়া এবং রাসায়নিক মেশানোর ব্যাপারটাও সমানভাবে কোলন ক্যান্সার এর জন্য দায়ী। আমরা হয়ত অনেকেই আঁশ জাতীয় খাবার (শাক-সব্জি, ফল, বীন ইত্যাদি) খাচ্ছি, কিন্তু খাবারগুলোই যদি বিষযুক্ত হয় তবে কিকরে আর সুস্থ থাকা যাবে? শহরের খেলার মাঠগুলো প্রতিদিন দখল হয়ে যাচ্ছে, হাঁটার উপযোগী পার্ক নেই, এমনকি যে পানিটা ঘরে বা বাইরে পান করতে হচ্ছে তাও বিশুদ্ধ কিনা সন্দেহ আছে। এতগুলো 'নেই' এর মাঝে আমরা যে এখনও বেঁচে আছি সেটাই আশ্চর্যের বিষয়।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অতিথি লেখক এর ছবি

কথা অতি সইত্য বলেছেন। ইহা বড়ই আশ্চর্য যে আমরা বাঁচিয়া আছি। হাততালি চিন্তিত

কড়িকাঠুরে এর ছবি

গুরুত্বপূর্ণ এবং অনেক প্রয়োজনীয়... চলুক

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

প্রয়োজনীয় লেখা। এরকম লেখা আরও লিখুন।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আমাদের অনেকের খাবার তালিকার নিত্যদিনের উপকরণ হল মাংস। এই যে অভ্যাস এটার সাথে কোলন ক্যান্সারের কেমন যেন একটা বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক আছে। অত্যধিক মাংস, অধিক চর্বিযুক্ত খাবার, জাঙ্ক ফুড খাওয়ার অভ্যাস কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় অনেকখানি।

এই প্রসঙ্গে আলোকিত করতে পারেন? ধরুন কোন গবেষণা প্রবন্ধের খবর দিয়ে? অত্যধিক মাংস খাওয়া বলতে কী বোঝানো হয়েছে? কতটুকু হলে সেটা অত্যাধিক/ক্ষতিকর? এবং সেটা কেন ক্ষতিকর হবে? বিশেষত কান্সারের মত রোগ সৃষ্টির প্রভাবক হিসেবে কাজ করে কীভাবে? কোন বিশেষ জাতি/গোষ্ঠীর খাদ্যাভ্যাসে কি ক্ষতিকর মাত্রায় মাংস থাকে?
এই গবেষণাটি কীভাবে করা হয়েছে বলতে পারেন?
একই প্রসঙ্গে চর্বি জাতীয় খাবার এবং জাঙ্কফুডের ক্ষেত্রে বিস্তারিত বললেও খুশি হব!

প্রয়োজনীয় বিষয়ে লেখা। লেখার উৎসাহ থাকুক।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

পল্লব এর ছবি

কয়েকদিন ধরে ডায়েট নিয়ে একটা ক্লাস করতেসি। আমি যা বুঝছি, সেটা হল, সমস্যাটা মাংস বেশি খাওয়া নিয়ে না, ফাইবার কমিয়ে দিয়ে মাংসের দিকে বেশি যাওয়া, যেটা এখন অনেক জায়গাতেই খুব বেশি হচ্ছে। খুব বেশি ডিটেইল বলতে পারব না। লেখকও মনে হয় এইরকম কিছু বোঝাতে চেয়েছেন।

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখার উৎসাহ দেবার জন্য প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এবার আপনার প্রশ্নের উত্তর দেবার চেষ্টা করছি।

প্রশ্ন ১। আপনি মাংসের সাথে কোলন ক্যান্সার এর সম্পর্ক জানতে চেয়েছেন গবেষনা প্রবন্ধের খবরের মাধ্যমে। আমি নিচে আপনাকে এরকম ২টা গবেষনা প্রবন্ধের লিংক দিচ্ছি।

Chan DS, Lau R, Aune D, Vieira R, Greenwood DC, Kampman E, et al. Red and processed meat and colorectal cancer incidence: meta-analysis of prospective studies. PLoS One 2011;6(6):e20456.

Sandhu MS, White IR, McPherson K. Systematic review of the prospective cohort studies on meat consumption and colorectal cancer risk: a meta-analytical approach. Cancer Epidemiol Biomarkers Prev 2001;10(5):439-46.

প্রশ্ন ২ এবং ৩- অত্যধিক মাংস খাওয়া বলতে আমি বুঝাতে চেয়েছি যে খাদ্য উপাদানে মাংস এর আধিক্য অর্থাৎ তিনবেলা খাবারে যদি আপনি প্রতিদিন ২ বেলায় মাংস খান তাহলে সেটা খাবারের সুষম বন্টন বোঝায় না। এ বিষয়ে আরেকটু বিস্তারিত বললে বলতে হয় যে, প্রতিদিন ১০০/১২০ গ্রাম মাংস খাওয়া হলে কোলন ক্যান্সার এর রিস্ক ১৭-৩০ ভাগ বেড়ে যায়। আর যদি প্রতিদিন ২৫-৫০ গ্রাম প্রসেসড মিট খান তাহলে সে সম্ভাবনা ৯-৫০ ভাগ। এ বিষয়ে গবেষনা প্রবন্ধ পাবেন এই লিঙ্ক এ।
http://info.cancerresearchuk.org/cancerstats/types/bowel/riskfactors/bowel-cancer-risk-factors

প্রশ্ন ৪ ও ৫ কেন ক্ষতিকর হবে?? উত্তর হল - মাংস হিম কমপাউণ্ডের একটা বড় উৎস। এই হিম শরীরে ভেঙে যাবার সময় এন-নাইট্রোসো নামক একটি পদার্থ তৈরী করে যা কোষের ডিএনএ র ক্ষতি সাধন করে। সেই ক্ষতি পূরনের জন্য শরীর কোষ বিভাজনের হার বাড়িয়ে দেয়। ফলশ্রুতিতে নিয়ন্ত্রণহীন কোষ বিভাজন শুরু হয় যা একসময় ক্যান্সারে রূপ নেই।

প্রশ্ন ৬- বিশেষ জাতি এবং গোষ্ঠির ব্যাপারে বলতে গেলে নিজের অভিজ্ঞতা বলতে হবে। আমি ইউকে তে থেকে দেখছি যে এরা প্রচুর পরিমানে প্রসেসড মিট খায়। প্রসেসড মিট বলতে বুঝায় হিমায়িতকরণ ছাড়া অন্য উপায়ে যে মাংস সংরক্ষন বা খাবারের উপযোগী করা হয়। যেমন- হ্যাম, বেকন, সসেজ, টিনজাত মাংস ইত্যাদি। সেক্ষেত্রে এদের এই অভ্যাস কোলন ক্যান্সার এর ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পাবেন নিচের লিংকে
http://info.cancerresearchuk.org/cancerstats/types/bowel/riskfactors/bowel-cancer-risk-factors

প্রশ্ন-৭ চর্বি জাতীয় খাবার ও জাঙ্কফুডের ব্যাপারেও উপরের লিংকে তথ্য পাবেন।

আমি আসলে খুব বেশি বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনা করতে চাইনি কারণ মনে করেছি সচেতনতা সৃষ্টিতে এত গভীরে যাবার দরকার নেই। এতে অনেক পাঠকের পড়ার আগ্রহ নাও থাকতে পারে। চেষ্টা করেছি সহজ ভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করতে।

আশা করি আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে পেরেছি। আপনি ডাক্তার সেটাও বুঝতে পারছি।
ভালো থাকবেন ভাইয়া। শুভ কামনা থাকলো।

আলোকিত-মন

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আপনার জবাবের জন্য ধন্যবাদ। আমি ডাক্তার নই। জানার জন্য প্রশ্ন করছি। বলে রাখি, আমার প্রশ্ন/তর্কের উদ্দেশ্য আপনাকে আঘাত করা নয়, কেবল আলোচনা করা। প্রয়োজনীয় এই বিষয়ে লেখার জন্য আপনার অবশ্যই ধন্যবাদ প্রাপ্য।

আপনার দেয়া গবেষণাপ্রবন্ধ পড়লাম। এ দুটির সূত্র ধরে আরো কয়েকটিতে নজর বুলালাম। খুব দীর্ঘ পড়শোনা করেছি তা বলছি না। এই বিষয়ে আমি জানি সামান্যই। কিন্তু যা জানলাম সেটি হচ্ছে, এই গবেষণাগুলো বেশিরভাগই পরিসংখ্যান নির্ভর! এবং এই সংক্রান্ত 'সব' গবেষণা (লাল) মাংস খাওয়ার অভ্যাসের সঙ্গে ক্যান্সারের সম্পর্ক স্বীকার করে না। বেশীরভাগ পরিসংখ্যানেই সম্ভাব্য একটি সম্পর্ক দেখা যায়, কিন্তু সেগুলি কতটা মাংস বেশি খাওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত তা সন্দেহমুক্ত নয়!

একটি বিষয় নিশ্চয়ই আপনার নজর এড়িয়ে যায়নি, এই গবেষণাগুলিতে (পরিসংখ্যান বলাই শ্রেয়) "মেটা-এনালাইসিস" থেকে সিদ্ধান্তে আসা হয়েছে। এবং সেই সিদ্ধান্তগুলিও যে সন্দেহমুক্ত নয় তা (আমার পড়া) গবেষণাপত্রগুলিতে উল্লেখও রয়েছে! এই প্রসঙ্গে আমার নিজের সন্দেহপোষন করার প্রথম কারণটি হচ্ছে, লাল মাংস খাওয়া বিষয়টিকে আলাদা করে নিয়ে হিসেব করা সহজ নয়! এইখানে অন্য হাজারো প্রভাবক রয়েছে! নির্দিষ্ট সংখ্যক নমুনা'র উপর এই গবেষণা করাও সহজ নয়! আর তাছাড়া অ্যাতো দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব হিসেব করলে সে শক্ত হবেনা বলেই আমার স্বল্পজ্ঞানে আমি মনে করি। হাজারো প্রভাবককে এড়িয়ে গিয়ে স্বল্পসংখ্যক বুদ্ধিমান নমুনা'র উপর পরিসংখ্যানের ফলাফল থেকে আসা 'সম্ভাবনা'য় খুব সামান্যই বিজ্ঞান থাকে। এইটাকে শক্ত/অনড় বিজ্ঞান করে তোলা সহজ নয়! আশাকরি কী বলতে চাইছি তা বোঝাতে পেরেছি।

আপনার দেয়া প্রথম গবেষণাপত্রটিতে কী বলছে দেখুন: Indeed, a positive association has been suggested in most but not all epidemiologic studies, and in some well conducted prospective studies, the association between red and processed meat and colorectal cancer was attenuated after better adjustment for potential confounders!

এইরকম একটা মেটা এনালাইসিস পেপারের বক্তব্য কতটা গ্রহনযোগ্য বৈজ্ঞানিক 'সত্য (fact)' সেই প্রসঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করা যেতে পারে।

নির্দিষ্ট পরিমান মাংস খাদ্যতালিকায় যোগ করে কান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাব্যতা কীভাবে নির্ণয় করা হয়েছে সেই সন্দেহ আমার এখনো যায়নি! আপনি যে তথ্য দিয়েছেন সেটা দেখেছি। এই গবেষণা কীভাবে করা হয়েছে সে সম্পর্কে কিছু কি জানেন?

এন-নাইট্রোসো একটি পদার্থ নয়, এরা একটি গোষ্টী! দ্রুত লিখতে গিয়ে একটি লিখেছেন হয়ত! এদের অনেকেই "সম্ভাব্য" কারসিনোজেন/মিউটাজেন এই বক্তব্যটি এখন পর্যন্ত শক্ত এবং গ্রহনযোগ্য মনে হল! এপিডেমিওলোজিকাল স্টাডি বাদে ল্যাবরেটরিতে কোষের উপর এটার প্রভাব নিয়ে কী গবেষণা হয়েছে সেটা জানতে খুব ভালো লাগবে।

আমি আসলে খুব বেশি বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনা করতে চাইনি কারণ মনে করেছি সচেতনতা সৃষ্টিতে এত গভীরে যাবার দরকার নেই। এতে অনেক পাঠকের পড়ার আগ্রহ নাও থাকতে পারে। চেষ্টা করেছি সহজ ভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করতে।

নিশ্চয়ই। আপনি ঠিকই করেছেন। এবং লেখা দারুণ হয়েছে! আমি কেবল একটি প্রসঙ্গে আলোচনা করেছি। এইরকম লেখা আরো লিখুন। শুভেচ্ছা।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রথমেই আপনার আলোচনা করার ইচ্ছা পোষনের জন্য ধন্যবাদ। আমি কখনোই আপনার আলোচনার উদ্দেশ্য নিয়ে কোন প্রশ্ন তুলিনি। আর আমি প্রশ্ন তুলতেও পারিনা কারণ আমি শুধুমাত্র চিকিৎসাবিজ্ঞানের কিছু তথ্য সাধারনের সাথে শেয়ার করার জন্য লেখাটা লিখেছি। এই তথ্যগুলোর কোনটাই আমার নিজের আবিষ্কার নয়। হাসি এখনো সে পর্যায়ে যেতে পারিনি। যাইহোক আপনার প্রশ্ন গুলোর এবং মন্তব্যগুলোর উত্তর দেবার চেষ্টা করছি।

প্রথমত, আপনার কথা অবশ্যই ঠিক যে ক্যান্সার কোন একক কারণে হয় না। অনেক কারণের সমাহারে ক্যান্সার হয়ে থাকে। এ বিষয়ে আমি শুধু আপনাকে একটু স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে আমার লেখায় আমি কোথাও কোলন ক্যান্সারের কারণ হিসাবে রেড মিটের কথা উল্লেখ করিনি। আমি কোলন ক্যান্সারের কিছু রিস্ক ফ্যাকটরের বা ঝুঁকির কথা বলেছি। একটি উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। সিগারেট বা ধূমপান করলে ঠিক কত দিন পর ফুসফুসের ক্যান্সার হবে এটা কি নির্দিষ্ট করে বলা যাবে??? বা দিনে কয়টা সিগারেট খেলে ক্যান্সার হবে আর কতটা খেলে হবে না সে ব্যাপারে কি ইঞ্চি মেপে বিজ্ঞানীরা কোন কথা বলতে পারবেন? আবার মজা দেখেন কেউ বছরের বছর সিগারেট খাচ্ছে তার ক্যান্সার হচ্ছে না। আবার কেউ তার চেয়ে কম দিন ধূমপান করেও ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। তার মানে ধূমপান করলেই ক্যান্সার হবে এই গ্যারান্টি কেউ দিচ্ছে না। বিজ্ঞানীরা বলছেন ধূমপান ক্যান্সারের একটা রিস্ক ফ্যাকটর। সেভাবে রেড মিট কোলন ক্যান্সারের নিশ্চয়তা দেয় না। এটা একটা রিস্ক ফ্যাক্টর।

এবার একটু ক্যান্সার নিয়ে কথা না বললেই নয়। আপনি আপনার মন্তব্যে

আর তাছাড়া অ্যাতো দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব হিসেব করলে সে শক্ত হবেনা বলেই আমার স্বল্পজ্ঞানে আমি মনে করি। হাজারো প্রভাবককে এড়িয়ে গিয়ে স্বল্পসংখ্যক বুদ্ধিমান নমুনা'র উপর পরিসংখ্যানের ফলাফল থেকে আসা 'সম্ভাবনা'য় খুব সামান্যই বিজ্ঞান থাকে। এইটাকে শক্ত/অনড় বিজ্ঞান করে তোলা সহজ নয়! আশাকরি কী বলতে চাইছি তা বোঝাতে পেরেছি।

এই বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। সে ক্ষেত্রে বলবো ক্যান্সার হঠাৎ করে হয়ে যাবে এমন কোন রোগ নয়। ক্যান্সার একই সাথে বংশগত এবং পরিবেশ এ দুটো বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। এ ব্যাপারে কোষ পর্যায়ে বা মলিকিউওলার লেভেলে জানতে হলে আপনাকে একটা বই পড়ার সাজেশন দিতে পারি। সেটা হল রবিনস প্যাথলজিক বেসিস অব ডিজিস। এবার আসা যাক আপনার মন্তব্যে। হাজারো এবং লাখো প্রভাবক থাকলেও বিজ্ঞানীরা লাল মাংস নিয়ে কেন এত উঠেপড়ে লাগলেন তা আমারো চিন্তার বিষয়। চিন্তা করে যা পেলাম এবং যা বুঝলাম তা হল বিজ্ঞানীরা লাল মাংস বা মাংস জাতীয় খাবার নিয়ে সন্দিহান তাদের এন নাট্রোসো কম্পাউন্ড তৈরীর কারণে। আবার সিগারেটে ফিরে যাই। সিগারেট নিয়ে এত কথা কেন, এত সাবধানতা কেন?? কারণ নিকোটিন। যা সিগারেটের একটি উপাদান। তেমনি লাল মাংস নিয়ে এত কথা কারণ এন নাইট্রোসো কম্পাউইন্ড। এখন এই সত্য কিন্তু বিজ্ঞান। এখানে সামান্য বিজ্ঞান উপস্থিত নয়। বিজ্ঞান এখানে বেশ ভালো ভাবেই উপস্থিত। কারণ এন নাইট্রোসো কম্পাউন্ড একটি কারসিনোজেন। এটাও প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান।

মেটা এনালাইসিস বা রেট্রোগ্রেড স্ট্যাডি পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করে এবং পরিসংখ্যান এর মাধ্যমে বিজ্ঞানভিত্তিক কোন তথ্যকে যাচাই বাছাই করতে সহায়তা করে। এখন বিজ্ঞান কিন্তু মানুষের অবসারভেশন এবং বিজ্ঞান কে প্রমাণ করতে উপাত্ত বা পরিসংখ্যানের কোন বিকল্প নেই। উদাহরন দিচ্ছি। আপনি কোন নতুন বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রকাশ করতে চান, আপনাকে প্রথমেই ফলাফল বা রেসাল্টের উপর আলোকপাত করতে হবে। এবং সেটা শুধুমাত্র একটা বিচ্ছিন্ন ফলাফল হলে চলবে না। অনেক ফলাফলের উপাত্ত দেখিয়ে আপনাকে সেটা প্রমাণ করতে হবে। একটি ঘটনা একই কারণে অসংখ্যবার সংঘটিত হলে তখন সেটা নিয়ে গবেষনা করে সুত্র আবিষ্কার হয়।

আমি আপনাকে ২টা পেপার দিয়েছি তারমানে এই নয় যে আর কেউ এটা নিয়ে কাজ করেনি। এরকম আরো অনেক পেপার আছে। নিচে আরো কিছু দিচ্ছি।

http://www.ncbi.nlm.nih.gov/pubmed/7600541
http://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC2008919/

যে সাইট থেকে লিংক দিলাম সেটা আমেরিকা সরকারের বায়োলজিক্যাল গবেষনা পত্রের এক বিশাল ভান্ডার। এখানে এমন কোন কিছু প্রকাশ করা হয় না যেটার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি দূর্বল। আমার নিজের এই গবেষনা পত্র গুলোর সমালোচনা করার যোগ্যতা নাই। এর বেশি এ ব্যাপারে বলতে চাচ্ছি না।

এন নাইট্রোসো পদার্থ না গোষ্ঠি সে প্রশ্নটা এসেছে। এক্ষেত্রে বলবো আমার জানা মতে পৃথিবীতে দুই ধরনের জিনিস আছে। একটা পদার্থ আর একটা শক্তি। এখন এন নাইট্রোসো যেহেতু শক্তি না তাহলে এটা অবশ্যই পদার্থ। হাসি তবে গোষ্ঠি বলতে যা বুঝিয়েছেন তা বুঝতে পেরেছি। এরা একটা গ্রুপ অব কম্পাউন্ডস।

ল্যাবরেটরিতে কোষের উপর এর প্রভাব কি সেটা জানতে চেয়েছেন। আমি আর নিজের ভাষায় বলার রিস্কে না যেয়ে আপনাকে গবেষনা থেকে হুবহু তুলে দিচ্ছি লিঙ্ক সহ। আশা করি কোষের উপর এর প্রভাব বুঝতে পারবেন।

Alkylation of DNA and carcinogenicity of N-nitroso compounds.

The possible mode of action of two classes of highly organ- and species-specific carcinogenic N-nitroso compounds, namely the N-nitrosamines and N-nitrosamides, is outlined in this review. Chemical or enzymatic conversion of these agents into active alkylating species is a prerequisite for their biological activity. Although these species are capable of reacting with all cellular macromolecules, there is good evidence that their ability to attack DNA is related to their carcinogenicity. This paper reviews the reasons and experimental support for the hypothesis that it is specifically alkylation of DNA at the O6 position of guanine that initiates malignant transformation, an important factor being the presence of an enzyme system capable of eliminating O6-alkylguanine from DNA. No such repair reaction appears to exist for this or other alkylation products when they are present in RNA. The activity of this system is enhanced by chronic administration of alkylating agents, and the role that this may play in carcinogenesis is discussed

লিংক হলো - http://www.ncbi.nlm.nih.gov/pubmed/6162032

Role of N-nitroso compounds (NOC) and N-nitrosation in etiology of gastric, esophageal, nasopharyngeal and bladder cancer and contribution to cancer of known exposures to NOC.

The questions of whether and how N-nitroso compounds (NOC) may be inducing cancer in humans are discussed. The principal subjects covered include nitrite-derived alkylating agents that are not NOC, reasons for the wide tissue specificity of carcinogenesis by NOC, the acute toxicity of nitrosamines in humans, mechanisms of in vivo formation of NOC by chemical and bacterial nitrosation in the stomach and via nitric oxide (NO) formation during inflammation, studies on nitrite esters, use of the nitrosoproline test to follow human gastric nitrosation, correlations of nitrate in food and water with in vivo nitrosation and the inhibition of gastric nitrosation by vitamin C and polyphenols. Evidence that specific cancers are caused by NOC is reviewed for cancer of the stomach, esophagus, nasopharynx, urinary bladder in bilharzia and colon. I review the occurrence of nitrosamines in tobacco products, nitrite-cured meat (which might be linked with childhood leukemia and brain cancer) and other foods, and in drugs and industrial situations. Finally, I discuss clues from mutations in ras and p53 genes in human tumors about whether NOC are etiologic agents and draw some general conclusions.

http://www.ncbi.nlm.nih.gov/pubmed/7600541

আমার কেন যেন মনে হচ্ছে আপনি মাংস খুব ভালবাসেন তাই এটাকে রিস্ক ফ্যাকটর হিসাবে মানতে মন চাইছে না হয়তো। আমি আবারো বলছি যে এটাকে কারণ হিসাবে আমি কোথাও বলিনি। বলেছি রিস্ক ফ্যাকটর। দুটার মাঝে পার্থক্য আছে তাই না???

ভালো থাকবেন।

পরমার্থ এর ছবি

আগে বলে নেই লেখাটা ভালো লেগেছে .. আপনার এই উত্তরে আমার মনে হয় যাচাইকৃত(peer reviewed) শব্দটি ব্যবহার করতে পারতেন .. সচলের উপর অনেক আশা থাকলেও এতে কিছু অদ্ভুত ধাচের মানুষ আছে .. আপনার সৌভাগ্য যে তারা আপনাকে লাথি দিতে চায়নি, আপনাকে গালি দেয়নি ..

অতিথি লেখক এর ছবি

গুরু গুরু হাসি গুরু গুরু হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনার সৌভাগ্য যে তারা আপনাকে লাথি দিতে চায়নি, আপনাকে গালি দেয়নি ..

এর মানে কী?

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হিমু এর ছবি

পরমার্থ একজন কলোসাল আবাল। উনি তার আবালপনার কারণে সচলে ইতিমধ্যে মৃদু পোঙামারা খেয়ে অভিমান করেছেন। উনি ভাবছেন সবাই ওনার মতো আবালপনা করে পোঙামারা খাবে। এই ভেবে আগাম টিস্যু এগিয়ে দিয়ে রাখা আর কি।

সত্যপীর এর ছবি

নজরুল ভাই এখানে ক্লিক করে পরমার্থ কি জিনিষ দেখে আসতে পারেন। উত্তম বিনোদনের গ্যারান্টি দিলাম।

..................................................................
#Banshibir.

মেঘা এর ছবি

আমি দেখে আসি খাইছে

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

পরামার্থ,
সচলের উপর আশা রাইখেন না! আপনার আশা অন্য কোথাও রাখেন। সচলের একাংশকে 'অদ্ভুত ধাঁচের লাথি-গালি দেয়া মানুষ বলে' মন্তব্য করতে আসলে সচল কারো আশার সমাদর করে তাকে কোলে তুলে নেয়না!

প্রসঙ্গত, সত্যবচনের যে অবিনশ্বর অদম্য স্পৃহা দেখা গেল আপনার বক্তব্যে, সেই স্পৃহার ঝাণ্ডা যেখানে কাউকে লাথি দেয়া হচ্ছে সেইখানে উড়িয়ে আর্তের কোমরের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে দিন! সত্যবচনের সাহস আর্তের কাজে না লেগে যদি নির্বিষ লেখায় চিমটি কাটার কাজে ব্যবহৃত হয় তাহলে কেম্নেকী! আর ঝাণ্ডা উড়াতে উপরে আপনাকে গুরু মানা সহমর্মীকেও নিয়ে যায়েন! বেচারা নিজের নামোচ্চারণের সাহস সঞ্চয় করতে করতে জীবনটা পার করে ফেলার শেষ পর্যায়ে এসে আপনার দেখ পেল! অন্তত কখন পালাতে হবে তা সে অভিজ্ঞতা থেকে বলে দিতে পারবে!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আলোকিত মন,
১. পদার্থ শক্তি বিষয়ক প্রশ্ন ছিলনা। বলতে চেয়েছিলাম এটি একটিমাত্র পদার্থ নয়! এটি অনেকগুলো যৌগের একটি গোষ্ঠীর নাম। আমি কী বলতে চেয়েছিলঅম আপনি বুঝতে পেরেছেন, কিন্তু বুঝেও আপনার পদার্থ-শক্তি বিষয়ক কথাবার্তা শ্লেষের মত শোনাল!

২. আপনার লেখার শুধু একটি প্রসঙ্গে বিস্তারিত কথা বলতে চেয়েছি। সেটি হচ্ছে, লাল মাংস বেশি খেয়ে যে মানুষের ক্যান্সার বেশি হচ্ছে সেটি নির্ণয়ের পদ্ধতি! মেটা-এনালাইসিসের ব্যাখ্যা শক্ত নয়, পরিসংখ্যান তখনই গ্রহনযোগ্য যখন সেটা করা হয় পরীক্ষণের ফলাফলের উপর! উদাহরণ দেই, যদি পরীক্ষণে প্রমাণিত হয় যে মাংস খেলে ক্যান্সার বেশি হয়(ক) তখন জরিপ করা যেতে পারে কোন নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর খাদ্যাতালিকায় মাংসের পরিমাণ বাড়লে তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে কিনা(খ)! 'ক' সত্যি হলেও 'খ' সত্যি হবে এমন কোন কারণ নেই! কিন্তু 'খ' সত্যি হলে 'ক' সত্যি হতেই হবে!

যদি পরীক্ষণের মাধ্যমে প্রমান না করেও/হলেও মাংস বেশি খাওয়ার সঙ্গে ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধির একটি সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করা হয় (মেটা এনালাইসিস ইত্যাদি পদ্ধতিতে) তাহলে সেই তথ্যকে আমার সহজে গ্রহনযোগ মনে হয়না! কফি খেলে ক্যান্সার কম হয়, চা খেলে দাম্পত্য সুখের হয়, বিবাহিতরা বেশিদিন বাঁচে ইত্যাদি জরিপের তথ্যকে বিজ্ঞান বলে চালিয়ে দেয়ার প্রবণতা যেমন পত্রিকাগুলোর মাঝে আছে তেমনি আছে এক শ্রেণীর গবেষকদের মাঝেও। তবে এই প্রসঙ্গে তর্ক করতে চাইনা।

আমি কেবল আগ্রহ দেখিয়েছিলাম, মাংসের এক বা একাধিক উপাদান অথবা মাংস পরিপাকের ফলে উৎপন্ন এক বা একাধিক উপাদান প্রক্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ক্যান্সারের জন্য দায়ী কিনা! যদি হয় তাহলে সেটি/সেগুলো পাকস্থলীর বিশেষ পরিবেশে কর্মক্ষম কিনা! স্তন্যপায়ী প্রাণিদের খাদ্যাভ্যাসে/পরিপাক প্রকৃয়ায় যে ব্যাপক মিল রয়েছে সেই হিসেবে মাংসাশী প্রাণিদের ক্যান্সারের ঝুঁকি কতটুকু? তারা কি কোন বিশেষ কারণে নিরাপদ?

এন নাইট্রোসো পদার্থগুলোর কয়েকটির সঙ্গে ক্যান্সারের সম্পর্ক বিষয়ে যে লিঙ্ক দিয়েছেন, পড়ে দেখব। ধন্যবাদ।

আপনি নিজের লেখাকে ডিফেন্ড করবেন না। আপনার লেখার ভুল ধরার বা সমালোচনা করার জন্য আমার মন্তব্য নয়! আমি কম জানলেও 'রিস্ক ফ্যাক্টর' আর 'কারণ' যে আলাদা বিষয় সেটি জানি। আমি আপনার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলিনি। মাংস আমার প্রিয় বলে তার পক্ষ নিচ্ছি এই ধরনের ছেলেমানুষি ধারণা না করলেই খুশি হব।

এই মন্তব্য আলোচনার জন্য। নির্মোহ আলোচনায় আপত্তি থাকলে মন্তব্য না-ও করতে পারেন।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

অনার্য ভাই,

১। পদার্থ-শক্তি বিষয়ে কথাটা লেখার পরে একটা হাসির ইমো ছিলো। আপনার সাথে আলোচনাটাকে আমি গুরু-গম্ভীর করতে চাইনি বলেই একটুখানি হালকা কথা বলেছিলাম। আমি বুঝিনি সচলে লিখতে হলে আমাকে ১০০ ভাগ পেশাদার লেখকের মন-মানসিকতা থাকতে হবে। এতে শ্লেষের কিছু ছিল না। যদি থাকতো তাহলে পরর্বতী লাইনে আমি আপনার কথা বুঝতে পেরেছি বলে বলতাম না।

২। আমি জানি না আপনি আমার লেখাটা ঠিক মত পড়েছেন কিনা। কারণ আপনি বারবার একটা কথায় বলে যাচ্ছেন আর সেটা হলো লাল মাংস বেশী খেলে ক্যান্সার হয় কিনা?? আপনার প্রশ্নের উত্তরে আমি বিস্তারিত ভাবে বলেছি যে লাল মাংসে একটা উপাদান আছে যেটা হল এন নাইট্রোসো কম্পাউন্ড- যা কারসিনোজেনিক। এখন আপনি কি বলতে চান যে কারসিনোগেনিক উপাদান বেশী গ্রহন করলে ক্যান্সার হবে না????? আমি আপনাকে লিঙ্ক দিয়েও বুঝিয়ে দিলাম যে কেন এন নাইট্রোসো কম্পাউন্ড কে কারসিনোজেনিক বলা হচ্ছে। তাহলে আপনার জিনিসটা মানতে সমস্যা কোথায় বুঝলাম না। নিকোটিন গ্রহন করতে কেন মানা করা হয়??? নাকি আপনি বলবেন সেটাও ভুল? কারসিনোজেনিক সব পদার্থকেই বর্জন করতে বলা হয় কারণ তাদের দ্বারা ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা প্রবল। এটা বৈজ্ঞানিক সত্য যা আমি প্রমাণ করিনি। আর এর প্রতিও যদি আপনার অবজেকশন থাকে তাহলে দয়া করে যারা এটা প্রমাণ করেছেন (কারা করেছেন সেই লিঙ্ক ও আপনাকে দেয়া হয়েছে) তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করেন। আপনি পাকস্থলীর বিশেষ পরিবেশ বলতে পাকস্থলীতে থাকা এসিডিক পরিবেশ কে বুঝিয়েছেন। আপনার জানার জন্য বলছি যে খাদ্যের ফাইনাল ডাইজেশন হয় ক্ষুদ্রান্তে। আর এন নাইট্রোসো যৌগ প্রোটিন ডাইজেশনের নয় বরং মেটাবলিসমের এন্ড প্রোডাক্ট। মেটাবলিসম সকল কোষের ভিতরেই হয়।

মাংসাশী প্রাণীদের কোন কথা আমি বলতে পারছি না কারণ ক্যান্সার মাংসাশী প্রাণীর হলেও আমার কিছু যায় আসেনা। তাদের নিয়ে এই গবেষনা হয়েছে কিনা জানা নেই।

আপনার ক এবং খ এর যুক্তি ধরে বলছি যে, রাগিব ভাই মঙ্গোলিয়ানদের খ্যাদাভাস নিয়ে একটা প্রশ্ন করেছিলেন যেখানে দেখা যাচ্ছে যে মঙ্গোলিয়ানরা অধিক হারে মাংস খেয়ে থাকে। উনাকে একটা লিঙ্ক দিয়েছিলাম যেখানে গবেষনা করা হয়েছিল মঙ্গোলিয়ানদের নিয়ে যে পৃথিবীতে তাদের মধ্যেই ক্যান্সার এর হার বেশী কেন? তাদের গড় আয়ু এত কম কেন ইত্যাদি। সেখানেও এটা প্রমাণিত হয়েছে যে অধিক হারে লাল মাংস খাওয়া এটার একটা প্রধান কারণ। এখন আপনার খ তো প্রমাণিত হয়ে গেল। তাহলে আপনার কথা অনুযায়ী ক- কেও সত্য বলে ধরতে হবে। লিঙ্ক প্রয়োজন হলে রাগিব ভাইয়ের উত্তরটা দেখে নেবেন।

আমি নিজের লেখাকে ডিফেন্ড করছি না। আমি একটি বৈজ্ঞানিক সত্য কে তুলে ধরার চেষ্টা করছি যেটা আপনি দূর্বল বিজ্ঞান হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা প্রথম থেকেই করে আসছেন। আমি খুব সামান্য জ্ঞান সম্পন্ন মানুষ। আমার চিকিৎসা বিজ্ঞান আমাকে যা শিখিয়েছে আমি সেটাই মানুষের সচেতনতার জন্য তুলে ধরেছি। আর এটা আমি না আমাদের দেশেও শুধু না সারা বিশ্বের ডাক্তাররা করে আসছে। এই ইউকে তেই এটা নিয়ে অনেক গবেষনা হয়েছে এবং হচ্ছে। এটা কে যদি চা খেলে বিবাহিত জীবন সুখের হয় টাইপ কোন ফালতু বিষয়ের মত ভেবে থাকেন তাহলে আমার হাসা ছাড়া আর কোন কিছুই করার নেই।

আপনি আমার দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুললেও চিকিৎসা বিজ্ঞানের কিছু আসবে যাবে না। আর শেষে মাংস আপনার প্রিয় বলে আমি আমার জবাবটাকে একটু বন্ধুত্বসুলভ করতে চেয়েছিলাম। এটার পিছনে ছেলেমানুষি অবশ্যই ছিল তবে তা অনেকটা বন্ধুর করা দুষ্টামির মতই। ব্যাপারটা আপনার খারাপ লেগে থাকলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

আর আলোচনায় আমার আপত্তি থাকলে আপনাকে এত উত্তর আমার না দিলেও চলতো। এত লিঙ্ক দেবারও কোন প্রয়োজন ছিল না। তবে আলোচনা গঠন মূলক হলে ভালো লাগে। একটা প্রতিষ্ঠিত সত্য কে নিয়ে এত টানাহেচড়া আসলে আলোচনা নয়। মেটাএনালাইসিস ভালো যুক্তি না খারাপ সেটা নিয়ে আমাদের আলোচনা, বা লাল মাংস খেলে আসলেই এমন সমস্যা হবার সম্ভাবনা আছে কিনা সেটা নিয়ে তর্কের মানে হল এই বিষয়টাকে মেনে না নিতে পারা। আপনার যদি এটা মেনে নিতে সমস্যা থাকে তাহলে আমার কোন অসুবিধা নাই। কে কবে কিভাবে এসব বের করেছে সেগুলো আসলে নিজে নিজে বের করে দেখতে হয়। আমি সাধারণ মানুষ। আমি যা জানি তার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেই। তবে সেটার ভিত্তি অবশ্যই বৈজ্ঞানিক।

তবে একটা কথা আপনাকে দিতে পারি আর তা হল এরপর মানুষের চিকিৎসা সঙ্ক্রান্ত কোন ব্যাপারে লেখার আগে অন্য প্রাণীদের বিষয়টাও মাথায় রাখবো।
ধন্যবাদ

আলোকিত মন

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

এই আলোচনা আবেগী হয়ে উঠছে।
আমার আলোচনার বিষয় এবং উদ্দেশ্য আপনাকে বোঝাতে পারিনি!
পরিস্থিতি বিবেচনায় থামলাম।

আমার মন্তব্য থেকে সচলে পরবর্তী লেখা বিষয়ক কোন সিদ্ধান্ত নেবেন না। আমি একজন সাধারণ পাঠক। সচলে আপনি কীভাবে/কী ভেবে লিখবেন সে নির্ধারণে আমার কোন ভূমিকা নেই!

শুভেচ্ছা।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাইয়া,

হয়তো এটা আপনার ব্যর্থতা না যে আপনি আমাকে বুঝাতে পারেননি। এটা আমার ব্যর্থতা যে আমি হয়তো বুঝতে পারিনি। আমি আসলে একটু আবেগপ্রবণ। কথা সত্য। তাই একটু দুষ্টামি, ছেলে মানুষি করেছি। তবে তার কোনোটাই আপনাকে শ্লেষ করে কিছু বলা নয়। এখানে কাউকে ছোট করা বা ছোট ভাবার কোন প্রচেষ্টাই আমার কোন লেখা বা মন্তব্যে ছিল না বলেই মনে করি। তারপরও যদি আমার কোন কথা আপনার খারাপ লেগে থাকে তবে আমি আবারো আপনার কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।

আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি মন থেকে কারণ আপনার প্রশ্নের উত্তর দেবার জন্য আমার পড়ার বাইরেও বেশ কিছু রেফারেন্স দেখতে হয়েছে। যা একটু হলেও আমার জানার পরিধি বাড়াতে সাহায্য করেছে।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভবিষ্যতে অবশ্যই আবার আপনার সাথে আলোচনা করার ইচ্ছা পোষন করছি। তবে তখন আর আবেগ দেখাবো না।

শুভেচ্ছা। অনেক ভালো থাকবেন। হাততালি হাসি

আলোকিত-মন

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

একটু অফ টপিক হতে পারে। তাই আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

অনার্য দার মত আমিও লক্ষ্য করেছি, মেডিকেল সায়েন্সের গবেষণার একটা বড় অংশ দাড়িয়ে থাকে সার্ভের উপর। শুধু যে লেখকের শেয়ার করা পেপার, তা নয়। নিয়মিত যে সব নিউজ আসে সেখানেও দেখতে পাই একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক দলের উপর সার্ভে চালিয়ে একটা ডিসিশন নেয়া হচ্ছে। তাই লেখকের কাছে আমার প্রশ্ন, মেডিকেল সায়েন্সের কোন ডিসিশন নেয়ার সময় কি আপনারা সাধারণত সার্ভের আউটকামের উপর নির্ভর করেন? নাকি এক্সপেরিমেন্টাল রেজাল্টও গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়?

(লেখার বিষয়ে নীচে মন্তব্য করেছি। এই মন্তব্যটাকে বিচ্ছিন্ন মন্তব্য হিসেবে ধরতে পারেন হাসি )

অতিথি লেখক এর ছবি

নিয়াজ ভাই,

মেডিকেল সায়েন্সটা আসলে অন্যসব বিষয়ের মত ঠিক সরাসরি গবেষনার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে পারেনা। একটা উদাহরণ দেই। কোন ড্রাগ কোন রোগের জন্য উপকারী কিনা এটা আমরা সরাসরি বুঝতে পারব ড্রাগটাকে রোগীর উপর প্রয়োগ করে। যদি বলেন রোগীর কোষের উপর কি এফেক্ট সেটা কেন বুঝতে পারেন না? তার উত্তর হচ্ছে, দেহ একটা বিচ্ছিন্ন কোষ নয়। আর বিছিন্ন কোষের উপর কোন ফলাফল নির্ভর করেনা। সামগ্রিকভাবেই সেটা আমাদেরকে বুঝতে হয়। আবার ধরেন ক্যান্সারের কথা যদি বলি, আপনি যেটাকে সার্ভে বলছেন সেটা আসলে রোগীদের নিয়ে কাজ করা। ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের তথ্য সংগ্রহ করে তারা একটা সিদ্ধান্তে এসেছে। এখন আমরা কিন্তু কোষের লেভেলে গিয়ে নিজে চোখে সব কিছু দেখে আসার সুযোগ এখনো পাচ্ছি না। আমাদেরকে পর্যবেক্ষন এবং তার ফলাফলের উপর নির্ভর করতে হয়। আমি এখন কাজ করছি মাইক্রো আর এন এ নিয়ে। আমি জীবনেও ওটা চোখে দেখিনি। কারণ তা চোখে দেখা সম্ভব না। আমি নির্ভর করছি আমার ফলাফল পর্যবেক্ষনের উপর।

অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

আলোকিত-মন

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লিখেছেন।।।।। পেলাস

জর্জিস

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

দুটো টেস্ট আছে যেটা রিস্কি ক্যাটেগরি: ৬০+ বয়স, পরিবারে কারো ক্যান্সার হয়েছে, কিংবা কোনো সিম্পটম আছে, এরা করতে পারেন। একটা হলো সিগময়ডোস্কপি: যেটাতে কোলনের শেষ এক তৃতীয়াংশ যাচাই করা হয়। দ্বিতীয় টেস্টটি হলো কোলোনস্কপি যেটাতে পুরো কোলনটা পর্যবেক্ষণ করা হয়। পর্যবেক্ষণের সময় কোনো পলিপ পাওয়া গেলে সেটাকে তখনই নির্মুল করা যেতে পারে।

অতিথি লেখক এর ছবি

মাহবুব ভাইকে অনেক ধন্যবাদ এই বিষয়টা তুলে ধরার জন্য। চলুক

আলোকিত-মন

উতপাখির হৃদয় এর ছবি

বেশি বেশি শাক - সবজি খেলে , রেড মিট এভয়েড করা গেলে কো ল ন ক্যান্সার এর হার অনেক কমে যায় । সম্ভব হলে এনিম্যাল প্রোটিনের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে । ভেজাল খাবার , তৈলাক্ত , ভাজা পোড়া কম খাওয়া ও জরুরি ।

উতপাখির হৃদয়

অমি_বন্যা এর ছবি

লেখাটি তথ্যবহুল ও সময়োপযোগী । অনেক কিছু জানা গেল । এরকম লেখা আরও আসুক। ভালো থাকবেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। চেষ্টা করবো এধরনের লেখা আরো লিখতে। আপনিও ভাল থাকবেন।

চিকেন_ফ্যান এর ছবি

রেড মীট তেমন খায় না, কিন্তু প্রচুর মুরগি খায়, এরকম ক্ষেত্রে কি হবে?

অতিথি লেখক এর ছবি

জনাব চিকেন_ফ্যান,

রেড মিটের সাথে ক্যান্সারের সম্পর্কটা ২১ নং কমেন্টে উল্লেখ করেছি। মুরগির মাংসেও ঐ উপাদানটা থাকে তবে সেটার পরিমান হয়তো কম। আসল কথা হলো খাবারে একটা ভারসাম্য বজায় রাখা।

আপনাকে ধন্যবাদ।

আলোকিত-মন

রাগিব এর ছবি

এখানে আসলে রেড মিট্খোর = ক্যান্সার রোগ অবধারিত, এই ব্যাপারটা সাদা কালো টাইপের না। অনেক গ্রে এরিয়া আছে।

মঙ্গোলিয়ার উদাহরণ দিতে পারি। আমার মঙ্গল সহপাঠীর সাথে কথা বলে জেনেছি, ওদের দেশের উষর ভূমিতে সবজি হয়না আদৌ (ঘাস হয় ঘোড়ার জন্য)। (রেফারেন্স ঘেঁটেও তাই দেখলাম)। কাজেই ওদের খাবার মানে এক্সক্লুসিভলি ঘোড়ার মাংস। কোলন ক্যান্সারের কারণ রেড মিট খাওয়া হলে তো মঙ্গোলিয়ার সবার পটল তোলার কথা।

কাজেই রেড মিট/সবজির অভাব, এটাই একমাত্র বা প্রধান কারণ হয়তো না।

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

অতিথি লেখক এর ছবি

রাগিব ভাই,

লেখাটাতে কোথাও বলা হয়নি রেড মিট খোর = কোলন ক্যান্সার। ২১নং কমেন্ট পড়লেই বুঝতে পারবেন রেড মিটের সাথে কোলন ক্যান্সারের সম্পর্ক কতটা। এই সম্পর্ক যখন গবেষনার মাধ্যমে প্রমাণিত তখন সেখানে দুনিয়ার সব ডাক্তাররাই সাদা-কালো রেখাটা দেখতে পান। সবাইকে খাবারে একটা ভারসাম্য বজায় রাখার কথা বলেন। এই লেখাটাতেও আমি সেই ভারসাম্যের উপর জোর দিয়েছি। কোথাও বলিনি জনগণ আপনারা রেড মিট খাবেন না। রেড মিট বিষ। সব্জির অভাবের ব্যাপারেও একই কথা প্রযোজ্য।

আপনি মঙ্গোলিয়ার কথা বলেছেন। আমি আপনার দেয়া রেফারেন্স দেখলাম। সেটা মঙ্গোলিয়ানদের খাবারের রেসিপি সংক্রান্ত। মানে তারা সাধারণত কি ধরনের খাবার খেয়ে থাকে। আমি আপনাকে নিচে যে রেফারেন্সটা দিচ্ছি সেটা পৃথিবীর সমস্ত ডাক্তার, বায়োলজিস্টদের বাইবেল। এই সাইটে আপনি চিকিৎসাবিজ্ঞান সংক্রান্ত সব ধরনের গবেষনা প্রবন্ধ পাবেন। সেখানে মঙ্গোলিয়ানদের কে নিয়ে নিচের গবেষনাটা করা হয়েছে। সময় হলে দেখে নিবেন। আপনার প্রশ্নের উত্তর নিজেই পেয়ে যাবেন।
http://www.ncbi.nlm.nih.gov/pubmed/20021377

ভাইয়া, আমার উদ্দেশ্য কোন রেডমিট খোর কে মাংস খাওয়া থেকে বিরত রাখা না। আমার উদ্দেশ্য একটা সচেতনতা তৈরী করা যার ভিত্তি চিকিৎসাবিজ্ঞান দ্বারা প্রমানিত। আর চিকিৎসাবিজ্ঞানের একজন গবেষক হিসাবে এটা সমাজের প্রতি নিজের দায়িত্ব বলে মনে করছি। এই ব্যাপারটা অন্তত সাদা-কালো। এখানে বিন্দুমাত্র গ্রে এরিয়া নেই।

ধন্যবাদ

আলোকিত-মন

রাগিব এর ছবি

ধন্যবাদ। চিকিৎসাবিজ্ঞান আমার বিষয় নয়, তাই আপনার কাছে কৌতুহল মেটাতে এই প্রশ্নটি করেছিলাম। আপনার দেয়া লিংকটিতে আমার প্রশ্নের জবাব মিলেছে। এজন্য অনেক ধন্যবাদ। সময় পেলে বাংলা উইকির নিবন্ধটিকে সমৃদ্ধ করার জন্য একটু যদি কাজ করেন, আমরা সবাই উপকৃত হবো।

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আমি এখন থিসিস লেখার কাজ করছি। তারপরও সময় পেলে বাংলা উইকি নিয়ে বসব।
ভালো থাকবেন

আলোকিত-মন

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

@রাগিব ভাইয়াঃ একটা কাকতালিয় ব্যাপার শেয়ার করছি। আপনার মন্তব্য পড়ার আধ ঘন্টা আগে আমি উইকিতে কোন দেশে ক্যান্সার সবচেয়ে বেশি হয় দেখছিলাম। সেখানে যে ম্যাপটা দেয়া, ওটা বলছে সবচেয়ে বেশি ক্যান্সার হয় মঙ্গোলিয়াতে! (শুধু কোলন ক্যান্সার নয়, সব ধরনের ক্যান্সার)। এর অন্যতম কারণ কি তাহলে ঘোড়ার মাংস? বিষয়টা ইন্টারেস্টিং।

লেখকের মতামত কী এ বিষয়ে?

অতিথি লেখক এর ছবি

নিয়াজ ভাই,

এ ব্যাপারে আমার মতামত হল আমাদের খাদ্যাভাসের সাথে রোগের একটা বড় সম্পর্ক আছে। আমি রাগিব ভাইয়ার মন্তব্যের উত্তরে একটা লিংক দিয়েছি। ওখানে মঙ্গোলিয়ানদের উপর করা একটা গবেষনা প্রবন্ধ আছে। আপনার প্রশ্নের উত্তর আপনি ওখানে পেয়ে যাবেন।

ভালো থাকবেন

আলোকিত- মন

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

খুবই গুরূত্বপূর্ণ পোষ্ট।
অনেক কিছুই জানতে পারলাম। ধন্যবাদ।

স্বাস্থ্য বিষয়ক আরও পোষ্ট দিন।
অনুরোধ থাকল।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতে আরো কিছু লেখা দেবার ইচ্ছা আছে। ভালো থাকবেন।

আলোকিত-মন

অতিথি লেখক এর ছবি

গুরুত্বপূর্ন একটা লেখা। অনেক ধন্যবাদ! চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

মোদ্দা কথা হলো নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনই হলো সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি। এখানে কোলন ক্যান্সারের ঝুকি হ্রাসের উপায় হিসাবে যা বলা হলো যেন তা বহুদিন থেকেই জানা। এর কারণ হলো অসুখ বিসুখের মূল কারণগুলো মোটামুটি একই আর তা হলো শারীরিক পরিশ্রম না করা,যথেষ্ট পরিমাণ ফলমূল ও শাক সবজি না খাওয়া,শারিরীক ব্যবস্থার অনিয়মকে অবহেলা করা,অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার খাওয়া।।
আসলে শরীরটাকে বুঝতে হবে সে কি চায়। পৃথিবীর অসংখ্য প্রাণঘাতী রোগের কারণগুলো আলাদা আলাদা করে মনে রাখা কিছুটা কঠিন।। তবে কিছু সহজ সূত্র আমরা মেনে চললে এসব রোগ অনেকখানি প্রতারোধ করা সম্ভব।
ধন্যবাদ সময়োপযোগী একটি লেখার জন্য।

অতিথি লেখক এর ছবি

জ্বী, আপনি ঠিক বলেছেন। এগুলো অনেক আগে থেকেই আমরা জানি। কিন্তু যেহেতু এখন আবেগের একটা বিষয় চলে এসেছে তাই মনে হল সবাইকে একটু স্মরণ করিয়ে দেই। ধন্যবাদ।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

রিস্ক ফ্যাক্টর আর কজাল এসোসিয়েশন তো এক না। রেড মিট রিস্ক ফ্যাক্টর হতে পারে। লেখা পড়ে সেটাই বুঝলাম। মেটা এনালাইসিস এখন স্বীকৃত বিষয় (যদিও বিতর্ক আছে)। NIH গ্র্যান্টের প্রোপোজালে মেটা এনালাইসিস একটা অলিখিত দরকারি জিনিস।

অতিথি লেখক এর ছবি

জ্বী ভাইয়া এটাই বুঝাতে চেয়েছি লেখাতে। অনেক ধন্যবাদ বুঝার জন্য। হাসি

আলোকিত-মন

সাবেকা এর ছবি

এই ধরণের লেখা বেশী করে আসা উচিৎ । আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । শুধু খাওয়া দাওয়াই নয়, নিয়মিত এক্সারসাইজ করাটাও খুবই খুবই জরুরী ।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ। আর আপনি ঠিকই বলেছেন। ব্যায়াম এবং শারীরিক পরিশ্রম অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ভালো থাকবেন।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

চমৎকার একটা লেখা। আপনি সম্ভবত লেখাটা ফেইসবুকে নোট আকারেও দিয়েছেন। আমি সেখানেও একবার চোখ বুলিয়েছিলাম। এখন সচলায়তন থেকে পুরোটা মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। অন্যান্য ক্যানসারের বিষয়েও যদি ভবিষ্যতে লেখেন, তাহলে খুশি হবো। ক্যান্সার খুবই মারাত্মক একটা রোগ অথচ এ বিষয়ে আমরা অনেকেই খুব কমই জানি। তাছাড়া এর ডাইভার্সিটির (এইডস যেমন শুধু এইডস, কিন্তু ক্যান্সার তো হরেক রকম) কারণে সে একের ভেতর বহুরূপী।

ভবিষ্যতে সচলায়তনে আপনার আরো লেখা পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া লেখাটা পছন্দ করার জন্য। জ্বী আমি লেখাটা আমার ফেসবুক একাউন্টেও দিয়েছি। ভবিষ্যতে ইনশাল্লাহ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে নিজের মতামত সচলে তুলে ধরবো। তবে এখন আমি এখানে অতিথি। জানি না আর কতদিন অতিথি হয়েই থাকতে হবে। ওঁয়া ওঁয়া ওঁয়া ওঁয়া ইয়ে, মানে...

ভালো থাকবেন।

আলোকিত-মন

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

নিয়মিত এরকম পোস্ট দিতে থাকলে আশা করি আর বেশি দিন অতিথি থাকতে হবে না হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

গুরুত্বপূর্ণ লেখা... ধন্যবাদ
ভালো লাগলো

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নীড় সন্ধানী এর ছবি

খুবই জরুরী পোষ্ট। সময়োপযোগীতে বটেই। চলুক
লেখাটা ফেসবুকে শেয়ার করার অপশন গেল কই?

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

তানভীর এর ছবি

কাজের পোস্ট চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ। আপনার নাম দেখেই ভালো লাগলো। আমার নামও যে ওটাই। গড়াগড়ি দিয়া হাসি হাসি

ভালো থাকবেন।

আলোকিত-মন

আকামের আবদুল এর ছবি

বউ এমনিেতই মাংস কম খাইয়ে খাইয়ে মাংসে অরুচি এনে ফেলেছে, আপনার লেখা পড়ার পর বাকি টুকু নির্মূল হতে আর বেশীদিন লাগবে না।

সাইফুল ইসলাম এর ছবি

ভাল লাগল. তথ্যবহুল লেখা।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।