চোখ ধরে আসে জলে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০১/১১/২০১২ - ৫:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চাকরিতে যোগ দিয়েছি বেশ কয়েক বছর হল। এর মাঝেই বগুড়া, বান্দরবন বিভিন্ন জায়গায় চাকরির খাতিরে যেতে হয়েছে। সবচেয়ে মজা পেয়েছি বগুড়ায় কারণ সংসার জীবনের সূচনা হয়েছিল এই জেলা থেকেই। আর নতুন ঘর আলোকিত করে আমার ছেলের আগমনও এই বগুড়াতেই। আজও ভয়ানক ভাবে মিস করি চার মাথার ল্যাংচা মিষ্টি, বিহারী কলোনির কাবাব আর চাপ, জলেশ্বরী তলার টাচ এন্ড টেক এর শপিং, আর আকবরিয়ার বিরিয়ানি তো আছেই। চাকরীর এই সুবাদে বেশ কিছু কলিগের দেখা পেয়েছি। পরিচয় ঘটেছে এইসব মানুষের নানাবিধ চিন্তার সাথে। এক একজনের চিন্তা আর চাকরীর স্থান পরিবর্তন নিয়ে যে মাথাব্যথা তা দেখে অনেক সময় বলবো বিরক্তই হয়েছি। কেন জানি সবাই খুব বেশী ঢাকায় যেতে চাই। এই জেলায় পোস্টিং এর জন্যে নানাবিধ লবিং ও হতে দেখেছি। বেশ কিছুদিন ধরেই আমার পোস্টিং এর একটা গন্ধ পাচ্ছিলাম। এই গন্ধ টের পাবার সাথে সাথেই কামনা করছিলাম যেন ঢাকা ছাড়া যে কোন জায়গাতে আমার পোস্টিং হয়। আমার এই কামনায় অনেককেই অবাক হতে দেখলাম। যাহোক শেষমেশ আমার পোস্টিং হয় ঢাকায়।

পোস্টিং আসার পর বাসা নিলাম বনানীতে। আমার ছেলের বয়স তখন তিন মাস। ঢাকায় আসতে না চাইলেও ঢাকার অনেক কিছুই আমার কেন জানি ভালো লাগে। এই যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টি এস সি চত্বর, নীল ক্ষেতের বইয়ের দোকান, নিউমার্কেটের দোতলা, ঢাকা কলেজের বিপরীতের হকারস মার্কেট। সব কেন জানি একই এলাকায় হয়ে গেল তাই না? আর সবচেয়ে খারাপ লাগা হল ঢাকার জ্যাম। সবচেয়ে আতংকের জায়গা হল বনানী রেল ক্রসিং।

ঢাকায় আসার পর কিভাবে যেন এক বছর পার হয়ে গেল। অফিসে কাজের চাপ এত বেশী ছিল যে সময় কিভাবে যাচ্ছিল তা একদম টেরই পাইনি। সেই সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে খুব তড়িৎ রেডি হয়ে কোনরকম কিছু মুখে দিয়েই অফিস মুখে রওনা হতাম। এই নিয়মিত রুটিনের ফাঁকে সবচেয়ে বেশী ভুল করতাম অফিস থেকে দেয়া পুরনো মডেলের করোনা প্রিমিয়োর চাবি নিতে। যেদিন খুব বেশী ব্যস্ত সেদিন এই ভুল মনে করে কেন জানি বেশী হত। প্রতিদিন এভাবে গাড়ী হাঁকিয়ে বনানী থেকে উত্তরা যাবার কথা মাথায় আসতেই কেমন জানি দিনের শুরুতেই গা গুলিয়ে আসতো। বাসা থেকে সোজা বের হয়ে মাছরাঙা টেলিভিশনের সামনের ইউ টার্ন নিয়ে সোজা সেই বনানী রেল ক্রসিংয়ের দিকে । এর মাঝে বেশ কয়েকবার নিজেকে নিজের সাথে বাজী ধরে নিতাম। আজ যদি ট্রেনের সিগন্যালটা না পায় তবে বাসায় উত্তরার কে এফ সি নিয়ে ফিরবো। এমনি ফাটা কপাল যে কে এফ সি খাবার সেই সৌভাগ্য খুব কমই হত। বাসা থেকে উত্তরা যাওয়া আসার সময় এই সিগন্যাল আমাকে বেশ ভোগাত। এই সুযোগে স্টিয়ারিং ধরে এফ এম শুনতে শুনতে সারাদিনের ক্লান্তিরা একটু ভালো করে সারা শরীর জুড়ে নিজেদের এলিয়ে দিত।

এভাবেই কেটে যাচ্ছে ঢাকার ব্যস্ত দিন। ব্যস্ততার মাত্রা এতই বেশী যে গিন্নীর সাথে প্রায়শই ঝগড়া হবার উপক্রম হত। বাসায় থাকিনা , একটু সময় দেয়না বাসায় এমন অভিযোগ অনেকটাই গা সয়ে গিয়েছিল। তবে এত ব্যস্ততার মাঝেও এক মুঠো শান্তির ছোঁয়া দিয়ে যেত আমার ছেলের টোলপড়া হাসি। পৃথিবীর সকল সুখ আর শান্তির কেন্দ্রবিন্দু যেন টোলপড়া ওই খাঁদের মাঝে। ওর সুস্থ থাকাই ছিল আমাদের দুজনার ভালো থাকা। ঠাণ্ডা লাগা, কাশি এগুলো মাঝে মাঝেই হত তবে তার স্থায়িত্ব খুব বেশী হত না। যাহোক সেইবার ছেলেটা একটু বেশীই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। সর্দী কাশি থেকে জ্বর। আমি রাতের বেলায় ওর মা কে বলে রেখেছিলাম যে কাল সকালে আমরা মাহদিন কে ( আমার ছেলে)ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো। প্রতিদিনের মত আমি খুব ঝটপট তৈরি হয়ে নিয়ে মাহদিন কে রেডি করতে বললাম। ওপাশ থেকে তার মা জানালো ‘যে মাহদিনের ঘুম থেকে উঠতে দেরি হচ্ছে তুমি একটু অপেক্ষা করো’। আমি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম কিন্তু সে আর উঠছেনা। মাহদিন এরকম কিন্তু ঘুমোয় না। আজ কেন জানি একটু ব্যতিক্রমই হল। আমি ওর কাঁচা ঘুম না ভাঙ্গিয়ে কাল ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো বলে গাড়িতে উঠে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।

সকাল নটা বাজে। ঢাকা শহরের জন্য একেবারে পিক আওয়ার। চারিদিক গাড়িতে একেবারে ঠাঁসা। রাস্তায় যে জ্যাম তা ছাড়তে আরও আধ ঘণ্টা লাগবে। কাজেই মাহদিন কে তো নিয়েই আসা যায়। বাসার সামনের রাস্তা দিয়ে গাড়ী ঘুরিয়ে বাসায় এলাম। কলিং বেল টিপে ঘরে ঢুঁকে দেখি মাহদিন তখনও ঘুম। যাহোক কাল নিয়ে যাবো ফাইনাল করে আবার মাছরাঙা টেলিভিশনের মোড়। সামনের ইউ টার্ন নেয়ার জন্যে আস্তে আস্তে ডান দিকে সরতে আরম্ভ করলাম। পিঁপড়ার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে লাইন দিয়ে চলা এক্স করলা, এফ প্রিমিয়ো আরও কত বাহারি নামের গাড়ী। গাড়িতে চলছে এফ এম। একটু বিরক্তি মাখা নিয়েই তা বসে বসে শুনছি। আজ অফিসে নির্ঘাত লেট। ভেতরে ভেতরে একটু শশব্যাস্ততা কাজ করছে। গাড়ী ইউ টার্ন নেয়া শুরু করেছি এমনি সময় কাকলীর মোড় থেকে খুব দ্রুত বেগে একটা সাদা রঙের প্রাইভেট কার আমার দিকে ছুটে আসতে দেখলাম। আমার কাছাকাছি আসতেই হার্ড ব্রেক করলাম। গাড়িটা একটু বা দিক চাপিয়ে সোজা চলে গেল। আমার হার্ট বিট প্রচণ্ড বেড়ে যাবার মত অবস্থা। খুব ভালো চালক আমি নই কিন্তু স্বেচ্ছায় কারো উপর চাপিয়ে দেয়ার মত অপরিপক্ব হাতও আমার না। প্রচণ্ড ভয় নিয়ে ইউ টার্ন শেষ করে রাস্তার বা দিক দিয়ে আস্তে আস্তে আসতেই বাম দিকের ডোর গ্লাস দিয়ে দুইজন পালসার মোটর সাইকেল আরোহীকে পিছনে পড়ে যেতে দেখলাম। সম্ভবত বায়ে চাপানোর সময় ওই প্রাইভেট কারটি একটু চাপিয়ে দিয়ে গেছে।

আয়না দিয়ে মনে হল একজন বেশ রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়ে আমার দিকে এগিয়ে আসছে। আমি তাকে দেখে গাড়িটার গতি আরও কমিয়ে ফেললাম। আমার মনে হল হয়তো তাদেরকে গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলবে অথবা অন্য কোন সাহায্য।

আমি তাকিয়ে আছি ২০-২১ বছর বয়সী ওই ছেলেটার দিকে। সে দৌড়ে আসছে আমার গাড়ীর দিকে। আমি এবার কড়া ব্রেক করে গাড়ী থামিয়ে দিলাম। আমার সকল দরজা লক করা, গ্লাস ছিল উঠানো। দৌড়ে আসা ছেলেটি আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার বাম পাশের ডোর গ্লাসে সজোরে লাথি দিল। প্রথম লাথিতে ভাঙেনি এরপর আরও দুই তিন লাথি মারার পর ডোর গ্লাসের সমস্ত কাঁচ ভেঙ্গে আমার গায়ের উপর ছিটকে পড়লো। এরপর পিছনের দরজার বা দিকের ডোর গ্লাসেও একই কাজ করলো। রাস্তার অপর পাশে জ্যামে দাড়িয়ে থাকা যাত্রীরা হা করে দেখতে থাকলো এই সার্কাস খেলা। মাছরাঙার মোড়ের ট্রাফিক আমার দিকে এগিয়ে আসার অবসর করে উঠতে পারল না। আমি হতবাক হয়ে গেলাম। কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। এরপর খুব তড়িৎ গাড়ী থেকে নেমে চিৎকার করে তার কাছে কাঁচ ভাঙ্গার কারণ জানতে চাইলাম। মুহূর্তেই সে সহ তার বন্ধুটি আমার দিকে তেড়ে এলো এবং কেন আমি তাদের মোটর সাইকেল ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলাম উল্টো সেই প্রশ্নের সম্মুখীন হলাম। আমি বোঝানোর চেষ্টা করলাম যে আমি না অন্য একটি সাদা প্রাইভেট কার তাদের ধাক্কা দিয়ে চলে গেছে যে আর একটু হলে আমাকেও চাঁপা দিতে যাচ্ছিলো। ইতোমধ্যেই চারপাশে লোক জড় হয়ে গেছে। আশেপাশের লোকজনও তাদের পক্ষ নিলো। ইস কতখানি কেটে গেছে, কি রক্ত বলে ওই দুজনের প্রতি সহানুভূতিও দেখাল বেশ কজন।

‘আরে ভাই কেটে গেছে বুঝলাম তাই বলে গাড়ীর কাঁচ ভাংতে হবে এভাবে’? নিজেকে নিজের কাছে প্রশ্ন করলাম। পরক্ষনেই ভাবলাম যেখানে কিছু হলেই গাড়ী পুড়িয়ে দেয়া হয় সেখানে তো আমার সামান্য কাঁচ ভেঙ্গেছে। এটাই নিয়ম। এবার ট্রাফিক ভাইকে দেখতে পেলাম। তিনি এসে পুরো ঘটনা শুনলেন । এরপর কাঁচ ভাঙ্গার অপরাধে তার বাইকের চাবি কুক্ষিগত করলেন। ক্ষতিপূরণের জন্য ছেলে দুটোর বিরুদ্ধে মামলা করতে বললেন। থানা পুলিশের হয়রানীর ভয়ে সেদিন আর ওদিকে পা বাড়ালাম না। কাঁচ গেছে তো কি হয়েছে গাড়ী তো পুড়ে যায়নি, কিছু টাকা খরচ হবে হোক। নিজেকে নিজের কাছ থেকে লুকিয়ে সেখান থেকে সেদিন চলে এলাম।

সেদিন সারাক্ষণ শুধু একটা কথা চিন্তা করে বুকের ভেতরটা ব্যথায় ভারী হয়ে আসছিলো। আজই তো মাহদিন কে নিয়ে এই গাড়িতে চড়েই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবার কথা ছিল। আমার বাম পাশে ওর মায়ের কোলে বসেই তো গাড়ী চড়ার কথা ছিল ওর। যদি ওরা আজ আমার গাড়িতে আসতোই তবে কাঁচের টুকরোগুলো ...... না আর ভাবতে পারছি না! কেমন যেন চোখ ধরে আসছে জলে! !

আমার অন্যান্য লেখা

১। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/45370

২। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/45149

৩। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/46538#comments

৪। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/45282#comments

৫। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/44244

৬। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/44468

৭। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/46068

৮। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/45000#comments

৯। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/44652

১০। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/44520

১১। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/44786

১২। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/44581

১৩। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/44739

১৪। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/44952

১৫। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/44899#comments

১৬। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/44326

আইভরি কোস্ট নিয়ে আমার লেখা

১৭। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/45222

১৮। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/45569

১৯। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/46302#comments

২০। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/45698#comments

২১। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/46490#comments

২২। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/45337#comment-532223

২৩। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/46626#comment-554805

২৪। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/44877

অমি_বন্যা


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

আপনি র‍্যাবে ছিলেন না এককালে?

অতিথি লেখক এর ছবি

হিমু ভাই , কিছু মনে না করলে আপনার এমন মন্তব্যের কারণ কি জানতে পারি?

অমি_বন্যা

হিমু এর ছবি

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পোস্ট তো, সেজন্য জানতে চাইলাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি

অমি_বন্যা

মেঘা এর ছবি

অমি ভাই এখনো হাচল হলো না! অবাক করা ব্যাপার। ইয়ে, মানে...

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

অতিথি লেখক এর ছবি

ইয়ে, মানে...

অমি_বন্যা

কানিজ ফাতেমা  এর ছবি

এত লেখা অথচ হাচল কেন হলো না!!!! সত্যি অবাক লাগছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

চিন্তিত হাসি

অমি_বন্যা

স্বপ্নহারা এর ছবি

ভাল লাগলো লেখাটা।

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ স্বপ্নহারা ।

অমি_বন্যা

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

লেখা চলুক। পড়ছি।

অতিথি লেখক এর ছবি

চালিয়ে যাচ্ছি প্রৌঢ় দা। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

অমি_বন্যা

নীলকান্ত এর ছবি

ঢাকা শহরের মোটর সাইকেল আরোহীদের অধিকাংশের আচরণ বেপরোয়া। অনেক ক্ষেত্রেরই দেখা যায় অল্প বয়স্ক, নানা কেরামতি করতে ব্যস্ত। আর কিছু হলেই অন্যের ঘাড়ে উঠতে সচেষ্ট।

লেখা চলুক।


অলস সময়

অতিথি লেখক এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ পলাশ দা। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অমি_বন্যা

রংতুলি এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অমি_বন্যা

অতিথি লেখক এর ছবি

[রূপাই ]
প্রথমে আপনার কষ্টের সাথে সহানুভূতি প্রকাশ করছি ।
আর কি বলবো আজ কালকের পোলা পাইনদের রাস্তাঘাটে বাইক চালানো দেখলে ইচ্ছে হয় নিজে লুকিয়ে যেতে ।

অতিথি লেখক এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

অমি_বন্যা

বন্দনা এর ছবি

কদিন আগেই ফেসবুকে কার যেন এমন একটা লেখা পড়লাম, গাড়ি থেকে বের করে মারধোর করেছে বাবার সামনেই, বাবাকে ও মেরেছে।এসব দেখলে খুব ভয় লাগে, মানুষ আজকাল কেমন যেন বড্ডো হিংস্র হয়ে যাচ্ছে।সাবধানে থাকুন ভাইয়া।

অতিথি লেখক এর ছবি

ফেসবুকে ঐ লেখাটা আমিও পড়েছি। খুব খারাপ লেগেছে ।
সাবধানেই আছি, বন্দনা। ভালো থাকবেন।

অমি_বন্যা

ঢাকা-বাসী এর ছবি

মোটর সাইকেল আরোহী দের দৌরাত্মের কথা চিন্তা করলে অল্পের উপর দিয়েই গেছে বলতে হয়!

সাবধানে থাকুন। শুভ কামনা। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকেও শুভেচ্ছা। ভালো থাকবেন আপনিও ।

অমি_বন্যা

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আমি দেশে থাকলে প্রত্যেকদিন উত্তরা থেকে বনানীতে কামলা খাটতে আসি। অধিকাংশ দিন বনানী কবরস্থান রোড দিয়ে ঢুকি তবে বনানী সিগন্যালে জ্যাম কম দেখলে সিগন্যাল পেরিয়ে ১১ নাম্বার রোড দিয়ে ঢুকি। কিছুদিন আগে যথেষ্ঠ আগে থেকে ড্রাইভার বা দিকের ইন্ডিকেটর দিয়ে ১১ নাম্বার রোডে ঢোকার চেষ্টা করছিলো। হঠাত করেই বাঁ দিক থেকে এক বাইকার গুলির বেগে আমার গাড়ির বাঁ দিকের লুকিং গ্লাসটিতে এক গুঁতো মেরে চলে গেলো। কিন্তু সামনে জ্যাম থাকায় ব্যাটাকে একটু দাঁড়াতে হয়েছিলো এবং আমি সাথে সাথে গাড়ি থেকে নেমে ব্যাটাকে ধরতে যাওয়ার আগেই ব্যাটা অন্য বড়ো গাড়ির ফাঁক দিয়ে টেনে ভেগে গেলো। ধরতে পারলে যা ছিলো কপালে কিছু একটা করতাম।

এগুলোই ঢাকার জীবনের অংশ, মেনে নিয়েই চলতে হচ্ছে। মোটর বাইকারদের নিয়ন্ত্রণে সরকারের কিছু করা উচিত। অধিকাংশ বাইকারের ভঙ্গী দেখলে মনে হয় আজ জীবনের শেষদিন রাস্তায় নেমেছে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অতিথি লেখক এর ছবি

অধিকাংশ বাইকারের ভঙ্গী দেখলে মনে হয় আজ জীবনের শেষদিন রাস্তায় নেমেছে।

কথাটা ঠিক। আমারও তাই মনে হয় মন খারাপ

অমি_বন্যা

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখা চলুক!

সাফিনাজ আরজু

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখা চালু আছে । ভালো থাকবেন।

অমি_বন্যা

অগ্নির এর ছবি

কিছু হইলেই সবার সব রাগ ক্যান জানি গাড়ির উপর পড়ে ! আমার ধারনা লোকে অন্যের গাড়ি ভাঙ্গার একটা ছুঁতা চায় ।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার ধারনা লোকে অন্যের গাড়ি ভাঙ্গার একটা ছুঁতা চায় ।
গাড়ী ভাঙ্গা তো আমাদের দেশে কোন ব্যাপার না। চাইলেই ভাঙ্গা যায়। ইয়ে, মানে...

অমি_বন্যা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।