ভাঙা কলসি এবং ছাত্র রাজনীতি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৬/১১/২০১২ - ১০:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কয়েকদিন আগে টেলভিশনের কোন চ্যানেলের একটা টক শো দেখছিলাম। সেখানে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের একটা কথা খুবই ভালো লেগেছিল। সেটা হলো, ভাঙা কলসিতে যতই পানি ঢালা হোক, কলসি কখনোই ভরবে না। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটের কথা বলতে গিয়েই এ কথা বলেছেন তিনি।
আসলেই আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন যেন ভাঙা কলসিতেই পরিণত হয়েছে। কোনোভাবেই পূর্ণ হচ্ছে না। হবে কিভাবে? চারপাশে রাজনীতির ছত্রছায়ায় যেভাবে লুটেরারা লুটপাট করছে, দুর্নীতির বীজ সেভাবে মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়ছে, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে লুঠপাটের শিরোমনি হচ্ছে ভাঙা কলসি কেন ভাল কলসিই পূর্ণ হওয়ার কেনো লক্ষণ নাই তাতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা যখন সংগঠনের দোহাই দিয়ে একে অন্যকে কুকুর বিড়ালের মতো মারে, রক্তাক্ত করে সত্যি বলতে এখন আর আমার খুব বেশি কোনো অনুভুতি হয় না। বোধশূন্য দৃষ্টিতে আমি টিভি চ্যানেল বা পত্রিকায় মারামারির দৃশ্যগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকি।
এইবারের আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মারামারির জের ধরে এক গ্রুপের ছাত্ররা যখন অন্য গ্রুপের ছাত্রদের মধ্যে কয়েকজনকে তিনতলার ছাদ থেকে নিচে ফেলে দিয়েছিল সেদিন থেকেই এই বোধশূন্য দশার মধ্যে আছি। কারণ একই বয়সী বা কাছাকাছি বয়সী, একই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র যাদেরকে জাতির ভবিষ্যত, মেধাবী প্রজন্ম হিসেবে গণনা করা হচ্ছে এটা তাদের কী রকম মেধাচর্চার বহিঃপ্রকাশ তাই-ই আমার কাছে বড় অদ্ভুত ঠেকেছিল। কত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মধ্য দিয়ে তাদেরকে যোগ্যতা প্রমাণ করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হতে হয়েছিল। অথচ এখন তারা ছাত্র নয়, ছাত্রদের আতংক। কী বিশ্রী একটা ব্যাপার।
যারা ছাত্র রাজনীতির নামে দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত হয়েছে তাদের কি একটুও বোধোদয় হয় না, তাদেরকে ব্যবহার করে কী জঘন্য খেলা খেলছে রাজনৈতিক দলগুলো। একই খেলাতে সরাসরি কোনো বড় রাজনৈতিক নেতার সন্তানরা কি অংশগ্রহণ করে? করে না। কারণ তারা লাাঠিয়াল বাহিনীর সদস্য হয় না। তারা লাঠিয়াল বাহিনী বানায়। লাঠিয়াল বাহিনীর উপদেষ্টা হয়।
ছাত্র রাজনীতি বন্ধের কথা উঠলে অনেকেই তখন বলেন, না, ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা যাবে না। ছাত্র রাজনীতি না থাকলে ছাত্রদের অধিকারের কথা কে বলবে? আর উদাহরণ হিসেবে ৫২’এর ভাষা আন্দোলন, ৬৯’ এর গণ অভ্যুত্থান, ৭১’ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সবখানেই ছাত্রদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং তাদের সঠিক জাগরণ এবং নেতৃত্বের কারণেই এসব আন্দোলন সফল হয়েছে বলে গলা ফাটায়। যখন এই আন্দোলনগুলোর সাফল্যের একটা বড় অংশ ছাত্রদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয় সত্যি বলতে তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হিসেবে সেই কৃতিত্বের অংশীদার আমিও হয়ে যাই। দারুণ একটা ভালোলাগার আবেশে বিভোর হয়ে থাকি কিছুক্ষণ। কিন্তু সেই বর্তমান প্রেক্ষাপট চোখের সামনে ভেসে আসে তখন মুহূর্তেই সব ভালোবাসা, ভালোলাগা উবে যায়।
ছাত্র রাজনীতির নামে বর্তমানে যে মরামারি, বিশৃঙ্খলা, ক্যাম্পাস অচল করে রাখার প্রবণতা, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাসে অহেতুক অস্থিরতা তৈরি করা, পড়ালেখার পরিবেশ নষ্ট করে সেশনজট বাড়ানো, ছাত্র-ছাত্রীদের ভেতর হতাশা তৈরি করা এগুলো ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো করার, উপকার করার কোন নীতির মধ্যে পড়ে? যারা রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যায় সেসব ছাত্ররা সবাই যে খুব ভালো থাকে সেটাও কি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি?
বছর খানেক আগের কথা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিলাম একটা বিশেষ কাজে। ক্যাম্পাস ছেড়ে এসেছি হয়েছে ক’বছর। তাই হঠাৎ করে ক্যাম্পাসে যাওয়ার সুযোগ হলে মনটা কেমন নেচে ওঠে। মনটাকে পাখির মতো উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য শাটল ট্রেনে করেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। চবি ক্যাম্পস মানেই তো শাটল ট্রেন, কৃষ্ণচূড়া, জারুলতলা, ঝুপড়ি, মউয়ের দোকান, চাকসু, শামসুন্নাহার হল, প্রীতিলতা হল, গোলপুকুর পাড়, ঝর্ণার পাড়, কাটা পাহাড়ের রাস্তা, আর পাখির ডানা আরেকটু প্রসারিত করলে দোলা সরণী দিয়ে ফরেস্ট্রি কিংবা পুরাতন শামসুন্নাহার হলের সামনের সেই লেক কিংবা ল’ফ্যাকাল্টি। কত কিছু মনে পড়ে যায়!
ষোলশহরে শাটল ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম আর মনটাকে পাখির মতো উন্মুক্ত করে দিলাম। সে ঘুরে আসুক আপন ভুবন থেকে নিজের মতো করে। আমার সাথে অপেক্ষা করছিল আরও অনেকেই। একটা চায়ের দোকানের সামনে সাত আটটা ছেলে খুব জোর গলায় কি যেন কথা বলছিল। তাদের উঁচু গলার শব্দের কারণে আমার ভাবনার ছেদ পড়ে। আরও অনেকের মতো আমিও তাদের কথা শোনার জন্য কৌতূহলী হয়ে উঠি। তারা বলছিল আসন্ন দলীয় কমিটির কথা। ছাত্রদের নিয়ে তাদের দলের যে নতুন কমিটি হবে তা নিয়ে। তখন একটা ছেলে আরেকটা ছেলেকে বলল, তোর অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা কখন। সে ছেলে জবাব দিল, মাসখানেক পর। কিন্তু ভাবছি এবার পরীক্ষা দিব না।
তখন প্রশ্নকর্তা জিজ্ঞেস করল, কেন দিবি না?
সে ছেলেটি বলল, প্রথমত পড়ালেখা কিছু করি নাই। তারপর তখন আবার নতুন কমিটি হবে। যদি এখন পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাই তাহলে কমিটিতে পদ পাব না। কারণ এখন দলের অনেক কাজ। আর পড়ালেখা দিয়ে কি হবে? ক্যারিয়ারের জন্যই তো পড়ালেখা।পড়ালেখা ছাড়াই যদি ক্যারিয়ার হয় তাহলে পড়ালেখার দরকারটা কি?
আমি খুবই অবাক হলাম। যেই ছাত্রত্বের নাম নিয়ে ছাত্র রাজনীতি সেই রাজনীতির কারণে সে পড়ালেখাই ছেড়ে দিচ্ছে। পরীক্ষা দেবে না।পড়ালেখা ছাড়াই ক্যারিয়ার করার স্বপ্ন।
এই যদি হয় ছাত্র রাজনীতি তবে তা কি আদৌ থাকার কোনো প্রয়োজন আছে? অবশ্য প্রয়োজনটা যার যার নিজস্ব। কারণ এইসব ছাত্রনেতা বা ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছেলেরাই দেখি পরবর্তীতে দলীয় যোগ্যতা দিয়ে রাজনীতির লেবাস লাগিয়ে সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা বনে যাচ্ছে কোনো রকম মেধার যোগ্যতার প্রমাণ না দিয়েই।তখন সেই ছেলেটার কথাই সত্যি মনে হয়।পড়ালেখা ছাড়াই তো শুধু রাজনৈতিক পরিচয়ে এধরণের অযোগ্য ছেলেরা অনেক যোগ্যদের চেয়ে ভালো চাকরি পাচ্ছে।ভাল অবস্থান করতে পারছে অনেক সহজে। আর সে সুযোগেই দুর্নীতির হরিলুট উৎসব শুরু হয়। আর যেখানে একবার দুর্নীতির বীজ বপণ হয়ে সেখানে তো দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাঙা কলসির মতো হবেই। যতই পানি ঢালি কলসি আর ভরবে না।

মোহছেনা ঝর্ণা


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

পুরো লেখা পড়ে মনে হচ্ছে এখন সবাই যদি ছাত্র রাজনীতি থেকে সরে আসে তাহলে দেশটা মোটামুটি বেহেশত হয়ে যাবে। তিন তলা ছাদ থেকে কাউকে পড়তে হবেনা বা কমিটির জন্য পরীক্ষা বাদ দিতে হবেনা। এই তো আপনার মনের কথা তাই না?

আপনি যা বলছেন, ঠিক সেই অবস্থাটাই কিন্তু এখন বিরাজ করছে। প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিক কত পার্সেন্ট শিক্ষার্থী রাজনীতি করছে? আঙ্গুলে গুনে গুনে দেখুন ১০% ও হবে না। এই ১০% রাজনীতি করছে স্রেফ স্বার্থসিদ্ধির জন্য (২/১ জন ব্যতিক্রম থাকতে পারে)। পুরো ক্যাম্পাস জিম্মি হয়ে আছে এই অল্পকটা মানুষের কাছে। আর এটাই স্বাভাবিক, যে এদের মধ্যে থেকেই অনেকেই ভবিষ্যতে মূল রাজনৈতিক দলের নেতা হবে। যারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য রাজনীতি করে ঐ পর্যায়ে যাবে, তাদের কাছে ভালো কিছু আশা করেন কিভাবে? রাজনৈতিক অঙ্গন কখনো ভ্যাকুয়াম থাকে না।

বরং একটু ভিন্ন ভাবে চিন্তা করুন। যেখানে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ রাজনৈতিক ভাবে সচেতন থাকবে। সকলকেই যে দলীয় রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকতে হবে, এমন কোন কথা নেই। কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে সচেতন হতে হবে।
নিজের অধিকার বিষয়ে যদি তারা সচেতন হয়, তাহলে কোন বখাটে তার সহপাঠির ওড়না ধরে টানলে সে দাঁড়িয়ে থাকবে না। কেউ ফাউ খেলে মাথা নিচু করে চলে যাবে না। ধর্মের কথা বলে রগকাটা শেখাতে আসলে বিগলিত হাঁসি দিয়ে হাতে হাত মেলাবে না। প্রশাসনিক ভাবে ভূল সিদ্ধান্ত চাপানোর চেষ্টা করা হলে ফেসবুক গান্ধা করবে না। তাহলে ঐ ১০% ধান্দাবাজ কি পাত্তা পাবে? পাবে না। ৭১-এ, ৬৯-এ কিন্তু সেটাই হয়েছে। সেজন্যই ঐ সময়গুলো নিয়ে আমরা গর্ব করি।

বিরাজনীতিকরন কোন সমাধান নয়। বিরাজনীতিকরনের আফিম যারা খাওয়াতে চায়, তারা পরোক্ষ ভাবে ঐ ১০% কে-ই সুবিধা দেয়। আমাদের রাজনীতি আমাদেরকেই করতে হবে। বিদেশ থেকে কনসাল্টেন্ট এনে কাজ হবে না। তথা কথিত "We hate politics" ওয়ালারা কিন্তু কোন কাজেই আসবে না।

যাই হোক, এই রাজনৈতিক চর্চা কিন্তু হুট করে এক দিনে দেশ থেকে চলে যায়নি। সুপরিকল্পিত ভাবে ধীরে ধীরে একে সরানো হয়েছে। একে ফেরত আনতে গেলেও একদিনে করা যাবে না। যেদিন আপনি আপনার সন্তানকে "গ্যাঞ্জামের ভেতরে যাস না বাবা" বলার বদলে বলবেন "বেঁচে থাকতে কখনো কোন অনাচার মেনে নিবি না" সেদিন থেকেই সব কিছু পাল্টাতে শুরু করবে।

যাই হোক, ভালো থাকবেন।

-- সাদাচোখ

স্বপ্নহারা এর ছবি

চলুক

জিয়ার আমল থেকে আস্তে আস্তে এই ব্যাপারটা পুশ করা শুরু হয়েছে- "ছাত্রদের চিন্তাভাবনা করার দরকার নাই। রাজনীতি খারাপ- ছাত্ররাজনীতি আরও খারাপ। ঐসব দিকে ভালু ছেলেমেয়েরা যেতে হয় না।" এইভাবে আস্তে আস্তে জেনারেশনের পর জেনারেশনকে রাজনৈতিক ভাবে নিরক্ষর করে রাখা হয়েছে-এতে ধুঁয়া দিয়েছে সুশীল ইতর সমাজ। যার ফলশ্রুতিতে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল এইরকম অবস্থায় চলে এসেছে- যার সুযোগ নিয়েছে-নিচ্ছে শিবির। বামধারার বেশিরভাগ ছাত্ররাজনীতিই কিন্তু এর থেকে মুক্ত!

পরিকল্পিত ভাবে তৈরি করা এই অন্ধত্বের কারণে এখন ব্রেইনলেস লোকজন যা ইচ্ছা তা করে যাচ্ছে আর বাড়ছে ছাগলের পাল। এখন এদের মাথায়ই থাকেনা সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে যা ত্যাগ করে আসে সেই জিনিসটাও রাজনীতির ফলাফল- প্রতিদিন যা করে সবই রাজনৈতিক। এরা নিজের স্বার্থ ছাড়া-অন্ধত্ব ছাড়া-পরকালের পথ পরিষ্কার করার বাইরে দেশ-আদর্শ-সমাজ এগুলো নিয়ে ভাবতে পারে না-

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

ধন্যবাদ সাদাচোখ ।ধন্যবাদ লেখাটা পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
আমি বোধহয় বোঝাতে পারিনি যে আমি ছাত্র রাজনীতির নামে দলীয় লেজুড়বৃত্তির বিপক্ষে বলতে চেয়েছি।যে লেজুড়বৃত্তির কারণে ঐ১০% ই স্রেফ নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করে।আর এতে করে আমাদের ছাত্ররাজনীতির মূল ধারা হয় কলংকিত।ছাত্রদের হাতে অস্ত্র থাকবে কেন?কেন একজন ছাত্র আরেকজন ছাত্রকে স্রেফ দলীয় লাঠিয়াল বাহিনী হয়ে রক্তাক্ত করবে?
ছাত্র রাজনীতি বলতে আমি বুঝি সে রাজনীতি যেখানে ছাত্ররা নিজেদের অধিকারের কথা বলবে,দেশের মানুষের অধিকারের কথা বলবে,দল-মতের উর্দ্ধে উঠে যে কোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে ,দেশের উন্নয়নে সবাই এক হয়ে কাজ করবে।আমাদের দেশে বর্তমানে ছাত্র রাজনীতির যে ধারা চলছে তা কি আমাদের ঐতিহ্যময় ছাত্ররাজনীতির সাথে কোনোভাবে মিলে?
বিরাজনীতিকরনের কথা কোথাও বলা হয়নি।কারণ সচেতনতা ছাড়া কোনো সুন্দরই আশা করা যায় না।
আমি আমার সন্তানকে বলতে চাই,"বেঁচে থাকতে কখনো কোনো অনাচার মেনে নিবি না"।আর এ কথা বলতে চাই বলেই বর্তমানে ছাত্র রাজনীতির নামে যে অনাচার চলছে তার বিরোধিতা করছি।এবং আমি আশাবাদী মানুষ বলেই অনেক হতাশার পরও স্বপ্ন দেখি ছাত্র রাজনীতির সেই ঐতিহ্য এবং সুন্দর ,সুস্থ ধারা আবার ফিরে আসবে।
ভালো থাকবেন।

হিমু এর ছবি

লেখার শিরোনাম পাল্টে তাহলে ভাঙা কলসি ও দলীয় লেজুড়বৃত্তি লিখলেই পারতেন?

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

দলীয় লেজুড়বৃত্তি তো ছাত্র রাজনীতির নামেই হচ্ছে তাই শিরোনামটা পাল্টাতে পারিনি হিমু।

অতিথি লেখক এর ছবি

অবশ্যই আপনি বিরাজনীতিকরনের কথা বলেছেন। আপনি নিচে স্বপ্নহারা এর মন্তব্যের জবাবে বলেছেন --

আচ্ছা আপনিই বলেন,যে কাজটা আপনি করছেন তা যদি আপনার কিংবা আমার কিংবা আমাদের মতো মানুষদের ভালোর পরিবর্তে শুধু ক্ষতিই হয় তা আপনি কেন চলমান রাখবেন?

রাজনীতিকে আপনি একদল ধান্দাবাজের হাতে তুলে দিয়ে আশা করবেন যে তারা দেশটাকে ফুলে ফুলে ভরিয়ে দেবে, আর সেটা না হলে বলবেন ছাত্ররাজনীতি বন্ধ কর। এ কেমন কথা? ধান্দাবাজদের রাজনীতিকেই কেন আপনি ছাত্ররাজনীতি হিসেবে ধরে নিচ্ছেন?

--সাদাচোখ

সত্যপীর এর ছবি

চলুক ঠিক আছে।

..................................................................
#Banshibir.

তানিম এহসান এর ছবি

চলুক

স্বপ্নহারা এর ছবি

মনে করেন ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করে দেয়া হলো, এর পরে কি হবে? দেখি আপনার সুখ-কল্পনা কতদূর যায়।

শিক্ষাঙ্গণে সন্ত্রাস, দলীয় ক্যারিয়ার গড়া বন্ধ হয়ে যাবে?

সবাই পড়ালেখা করা শুরু করবে?

সরকারে যে থাকবে তাদের সমর্থকদের হল দখল-চাঁদাবাজি বন্ধ হয়ে যাবে?

শিক্ষক রাজনীতির কি হবে? দলীয় ভিসি-দলীয় শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ হবে?

এগুলোর উত্তর দিন, এরপর পরের লেভেলের প্রশ্নে আসছি। শুধু বলে যাই, আপনার মাথায় ক্যান্সার আছে, আপনি মাথাটা কেটে ফেলে দেন, চিকিৎসার চেয়ে কেটে ফেলাই ভাল হবে।

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

স্বপ্নহারা যদি এভাবে ক্ষেপে যায় তাহলে তো সর্বনাশ।
ছাত্ররাজনীতি যদি ছাত্রদেরই ক্ষতি করে তাহলে কেন সে ছাত্ররাজনীতি?
আচ্ছা আপনিই বলেন,যে কাজটা আপনি করছেন তা যদি আপনার কিংবা আমার কিংবা আমাদের মতো মানুষদের ভালোর পরিবর্তে শুধু ক্ষতিই হয় তা আপনি কেন চলমান রাখবেন?বর্তমানে ছাত্র রাজনীতির যে ধ্বংসাত্নক ধারা চলছে তাতে কতগুলো ছাত্র নির্মমভাবে খুন হয়েছে বলেন তো। এখানে বলে রাখছি আমি বর্তমান বলতে শুধু এই সরকারের কথাই বলছি না,গত ১০/১৫বছরের কিংবা এর ও আগের সময় থেকেই বলছি।
ছাত্ররাজনীতির নামে যে অনাচার চলছে আমি তার বিপক্ষে বলছি।
ক্যন্সার হলে চিকিৎসা নয়,সুচিকিৎসা জরুরি।কারণ ভুল চিকিৎসায় আরো ক্ষতির আশংকাই থেকে যায়।
ভালো থাকবেন।

স্বপ্নহারা এর ছবি

ক্ষেপি নাই ত! আপনি কি চাচ্ছেন সেটাই জানতে চাইছি। উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন। আপনি কীভাবে বর্তমান ধারাটা বন্ধ করতে চান সেটাও পরিষ্কার হচ্ছে না।

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

সিয়াম এর ছবি

একটা ব্যক্তিগত প্রশ্ন। আপনি বুয়েটে পড়ার সময় ছাত্র রাজনীতি করতেন? যদি না করে থাকেন তাহলে কেন করেন নি?

স্বপ্নহারা এর ছবি

ছাত্ররাজনীতি মানে কি আগে সেটা বোঝান তোঁ।

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

সিয়াম এর ছবি

আপনে যা বোঝেন সেই অনুযায়ী উত্তর দিলেই হবে। উপরে তো অনেক ডায়ালগ দিলেন ছাত্র রাজনীতি নিয়ে। সেই ডায়লগ অনুযায়ী ছাত্র রাজনীতি যা সেটাকেই মান ধরে বলুন।

savage_mountain এর ছবি

স্বপ্নহারার রাজনীতি করা না করার উপরেতো কিছুই নির্ভর করছেনা। প্রশ্নটা হলো ছাত্রদের রাজনীতি করার অধিকার থাকা উচিত কি না।

আপনি হয়ত কোনদিনই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশগ্রহন করেননি এবং ভবিষ্যতেও করবেননা। এখন বাংলাদেশে যদি আইন করা হয় যে আপনি কোনদিনও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে পারবেননা, সেটা আপনি মেনে নিবেন?

স্বপ্নহারা এর ছবি

আমার জ্ঞান বুদ্ধি কম, আমার প্রশ্নগুলার উত্তর দেন আগে। তাইলে বুঝবো, আপনি কি চান। আপনার চাওয়াটা জানলে উত্তর দেয়া সহজ হইতো।

তার আগে বলেন তো, আমি কি করছি সেইটা কেন গুরুত্বপূর্ণ? আর আমি করি নাই, এইটা কেন আগেই ধরে নিলেন? সবাই তো ভাই আপনার মত বা তথাকথিত রাজনীতিমুক্ত নাও হইতে পারে!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

অতিথি লেখক এর ছবি

ক্যন্সার হলে চিকিৎসা নয়,সুচিকিৎসা জরুরি।

সুচিকিৎসাটা কিভাবে হবে বলবেন দয়া করে?

--সাদাচোখ

সিয়াম এর ছবি

আমেরিকাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নেই।
‌তাই বলে এখানেও কি ছাগলের পাল বেড়ে যাচ্ছে?
আমেরিকার কি চলছে না? এরা চলতে পারলে, গনতন্ত্রের চর্চা করতে পারলে আমরা পারব না কেন?

স্বপ্নহারা এর ছবি

আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলছেন যেখানে ছাত্র রাজনীতি নেই? আমিতো নর্থ-আমেরিকার সব ভার্সিটিতে স্টুডেন্ট ইউনিয়ন দেখি, গ্র্যাড স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন দেখি; রাজনীতিবিদ হওয়ার জন্য বেশিরভাগই উঠে আসে এগুলো ধরে-

ওবামা কেমনে জিতসে কন তো দেখি?

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

savage_mountain এর ছবি

আপনার মত আমিও সিয়াম নামের মন্তব্যকারীর বক্তব্যের সাথে একমত নই। উত্তর আমেরিকার বেশির ভাগ (হয়ত প্রতিটাতেই) বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংগঠন আছে। কিন্তু তাই বলে "আপনি শিবির" জাতীয় ইঙ্গিত করাটা ঠিক নয়। এটা অনেক মন্তব্যকারীর কাছে ভুল বার্তা পাঠাবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ঠিক।
আমি ঠিক এই কথাটাই বলতে চাইছিলাম। ধরে নিলাম নাই, তাতেইকি? ছাত্ররাজনীতি না থাকাটাই ঠিক? আরবের কথিত বসন্তের গুড় কেন চোরে নিচ্ছে জানেন, রাজনীতি ওখানে প্রথাসিদ্ধ নয়। দু একটািইসলামি দল ছাড়া কিছু ছিল না। ফলাফল আমরা দেখতেই পাচ্ছি? তরুনরা জাগলেও নেতৃত্ব না থাকায় কোথায় যাচ্ছে? আর বিষয় জড়িত যদিও এই পার্সপেক্টিভটা বিবেচনা করতে বলছি। ছাত্ররাজনীতি না থাকলে আমাদের দেশে কার সুবিধা বলেনতো?স্বপ্নহারার উত্তরগুলো দিতে চেষ্টা করুন? সাথে এই প্রশ্নটিরও। পরিষ্কার হয়ে যাবে।

স্বয়ম

সিয়াম এর ছবি

এত লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী-বিএনপির মত ডেমোক্রাট-রিপাবলিকানদের শাখা দেখি নাই। আর যদি থেকেও থাকে তাইলে তাদের কোন কর্মকান্ড চোখে পড়ে নি। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের খবরের কাগজ প্রতিদিন পড়ি। কোনদিন কোন খবর দেখি নাই যে অমুদ-তমুক দলের ছাত্র সংগঠন এই-সেই করছে। আর এখানে আমেরিকার কথা বলছি। নর্থ আমেরিকা অন্য বস্তু।

স্বপ্নহারা এর ছবি

নর্থ আমেরিকা কী বস্তু একটু বুঝাননা ভাইডি?

ঠিকই ধরছিলাম, জীবনে প্রার্থনা সভায় যাওয়া ছাড়া ইউনিভার্সিটির কিছুর সাথে জড়িত না। পেপার পড়েই সব জ্ঞান আহরণ করেন! ভাল, বেশ ভাল! কৈঞ্চেন দেহি, ওবামা কেম্নে পেসিডেন হইছে?

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

হিমু এর ছবি

জার্মানিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি আছে। ওরা চলতে পারছে। গণতন্ত্রের চর্চাও করতে পারছে।

আমরা পারবো না কেন?

অতিথি লেখক এর ছবি

আজ ফিরতে ফিরতে ভাবছিলাম ছাত্র রাজনীতি এবং বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রদের অবস্থা নিয়ে একটা কোনও লেখা লিখব। সচলে ঢুকেই এই লেখা দেখেই তাই যথারীতি আগ্রহী হয়ে বসলাম। এবং আশাহত হলাম। গত ২০০৭ সাল থেকে বহুল প্রচারিত ছাত্র রাজনীতি বন্ধের যে প্রেসক্রিপশন তার পক্ষে বলা দেখে। লেখক হয়ত না বুঝেই ওখানে অবস্থান নিয়েছেন, যদিও নিশ্চিত নই। দেশ রাসাতলে যাচ্ছে এই দোহাই এ, ছাত্র রাজনীতিই কেন কাঠগড়ায়? একবার এই প্রশ্নটা কি করা জরুরী না? পশ্চিমা বিশ্বে ছাত্র রাজনীতি আছে কি নেই তা যেমন আমার দেশে ছাত্ররাজনীতি থাকবে কি থাকবে না তার মানদণ্ড হতে পারে না, তেমনি দেশের অরাজক বা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির দায় এক তরফা ছাত্র রাজনীতির উপরেই পড়তে পারে না। পশ্চিমা সমাজ কিছু ক্রম বিবর্তনের মধ্য দিয়ে এসেছে, তার সাথে আমার মিল খুঁজতে যাওয়াটা বোকামি।
ছাত্র রাজনীতির এই হালটা কি করে এখানে এল তা বিবেচনায় না এনে, আর আর প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ না করে, একতরফা ভাবে একে গালমন্দ করা কতটা ঠিক? জিয়া দিয়েছিলেন বিরাজনীতিকীকরনের দাওয়াই। এই ছলনায় একই শব্দ ও মনস্তত্ত্ব প্রচারের মাধ্যমে দেশে তৈরী করেছিলেন নেতৃত্বের সংকট যার ভার আমরা এখনও বহন করছি। তারপর এল বিশ্ববেহায়া। এসব অনেক কথা।
ছাত্ররা সেই গৌরবজনক রাজনীতি এখন করছে না। ভাল কথা। একটা ঘটনা বলি, আবু বকর মারা গেলে যখন প্রগতিশীল ছাত্ররা তাদের ছোট্ হয়ে আসা জনবল নিয়ে মিছিল করে তখন যারা রাজনীতি খারাপ বলে রাস্তার দু পাশে দাঁড়িয়ে এই মিছিল দেখে তখন কে ঘৃণিত হতে পারে? মিছিলের ছাত্ররা নাকি দূরের তারা। কে মূলত দলবৃত্তি, টেন্ডার, চাঁদাবজি করা তথাকথিত ছাত্ররাজনীতিকে পথ করে দিচ্ছে? তথাকথিত সাধারণ রা? মুখ গুঁজে পড়ে যাওয়া ভাল ভাল সুপুত্র আর সুকন্যারা? দেশে গ্যাস কি শুধূ প্রগতিশিীল ছাত্র বা মানুষরািই ব্যবহার করে? আর ওই ভাল রা করে না। কারণ তারাতো দূরেই থাকে, ও বাবা রাজনীতি-----------
আমার পাড়ায় বা থানায়, ছাত্রনেতা কি করে হয়, কানা, পিচ্চি, বা মুরগী বিশেষণযুক্ত কজন? কারণ কি রাজনীতি খারাপ এ কারণে? নাকি বর্তমান কর্নধারদের খারাপদের দরকার? আর ভালোদের মাথঅয় ঢুকে গেছে ওটা উচ্ছন্নে গেলে তবেই কেউ করে।
একবার ভাবুন, মেধাবিরা রাজনীতি করছে, দেখুন নেতৃত্বে ওরা যেতে পারে কিনা? পারবে না এটা নিশ্চিত।
আর শেষ একটা কথা বলতে চাই, রাজনীতি শব্দটা বোধ হয় বোঝা দরকার আগে। দল করা আর রাজনীতি করা এক? বরং দাবী তোলেন দলবাজি না করা। কই ডাকসু নিয়েতো একবারও বলা হচ্ছে না, যতবার বঅ হচ্ছে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের কথা?

স্বয়ম

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

দুই হাজার চারশ' বছর আগে একজন বলে গিয়েছিলঃ "One of the penalties for refusing to participate in politics is that you end up being ruled by your inferiors"। এর পরেও নানা জন নানা কায়দায় আমাদের কেবল রাজনীতিমুক্ত ভালো ছেলে হয়ে থাকার উপদেশ দেয়। অবশ্য এ'সব কথা বললেই তারা বলতে শুরু করেন - আমি তো এই রাজনীতির কথা কই নাই, আমি ওই রাজনীতির কথা কইছিলাম।

আওয়ামী লীগ-বিএনপি (মানে রাজনীতি) যে কত্তো খারাপ সেইটা দেশের মানুষ বুঝলো না। ২০০৮-২০১০ সালে দেশে যে দুধ-মধুর নহর বয়ে গেছে সেটা কেউ মনেও রাখে না। দেশের মানুষ এত্তো নিমকহারাম!


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

ছাত্র রাজনীতিকে জাতীয় রাজনীতি থেকে আলাদা করে দেখার কোন সুযোগ নেই। কারণ আমাদের জাতীয় রাজনীতির যে সমস্যা ছাত্র বা শিক্ষক রাজনীতিতেও একই সমস্যা। একজন ছাত্র যদি আওয়ামী বা বিএনপি আদর্শে উদবুদ্ধ হয়ে সংগঠন করে, সেই দলের আদর্শকে প্রমোট করার চেষ্টা করে তাতে অসুবিধা কি? কোন অসুবিধা থাকার কথা না। অসুবিধা তখনই হয় যখন দলীয় পরিচয় দিয়ে অন্য অনেক অন্যায় সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। হলে সীট বাণিজ্য করা যায়, ক্যান্টিনে ফাউ খাওয়া যায়, টেন্ডার বাজিতে ঝাপিয়ে পড়া যায়। এখন দেখতে হবে এই সুবিধা গুলো কারা এবং কেন দেয়। ছাত্র রাজনীতি দূষিত করার দায় সম্পূর্ণ তাঁদের। তাঁরাই জাতীয় রাজনীতিকে কলুষিত করেছে। ছাত্র বা শিক্ষকরা যদি রাজনীতি করার পুরষ্কার হিসেবে এই অন্যায় সুবিধা পাওয়া বন্ধ হয়ে যায়, তাহলেই দেখা যাবে শুধু মাত্র সৎ, নির্লোভ, আর নিবেদিত প্রাণ ছাত্র ছাত্রীরা এগিয়ে আসছে।

রসিক সুজন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।