ঠিকানা পরি্বর্তন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০৯/০৭/২০১৩ - ১১:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“ঠিকানা লিখে দিলুম ভাই, বোনের খবর নিয়ো
কেমন আছে ফুলকলিরা ‘লিখে’ আমায় পত্র দিয়ো”

‘লিখে’ হবে না ‘দেখে’ হবে শব্দটি ভুলে গিয়েছি, কিছুতেই মনে করতে পারছিনা। পল্লীকবি জসীম উদ্দিন এর ঠিকানা কবিতার প্রথম দুটি লাইন। গুগল মামাকে জিজ্ঞেস করলে নিশ্চিত হয়া যেত কিন্তু কেন জানি না ইচ্ছে করছে না। সব কিছুই কেমন যেন বিষাদের সুরে গুনগুন করছে মনের মাঝে।
ঠিকানা। শব্দটি কিরকম লাগে শুনতে? যখন বেইলী রোডে ছিলাম, একটা দোকান থেকে নিয়মিত দই কিনতাম, স্টাফ বাস থেকে একটু আগেই নামতে হত দই কিনতে হলে। কিনে তারপর হেটেঁ হেটেঁ ঠিকানায় ফিরতাম। ঘরে ফিরতাম। বেইলি রোডে আমার ঠিকানায়। একদিন নেমে দেখি, দোকানের ঝাঁপি বন্ধ। ইতিউতি খুজেঁ দেখি হলুদ রঙের ব্যানার। ‘ঠিকানা পরিবর্তন’। নতুন ঠিকানা আর খুজেঁই পাইনি সেদিন।

বিসিএস এর ভাইভা দেবার আগে একটা ফরম পূরণ করতে হয়েছিল, ‘আবেদনকারী শেষ তিনটি জায়গায় অবস্থানের ঠিকানা’ খুব ভাবনায় পড়েছিলাম, শেষ তিন জায়গায় অবস্থান। আমি শুধু তো একজায়গায় এ থেকেছি। টুটপাড়া মেইন রোড, খুলনা। স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সব কিছুর ই সেই ঠিকানা। তিন জায়গা কোথায় পাবো?
২০০৮ এ জাতীয় পরিচয়পত্র করতে আবার সমস্যা। আমি চাইছিলাম ঠিকানা টুটপাড়া লিখতে। কিন্তু যিনি লিখছিলেন তিনি বেকেঁ বসলেন। আমাকে যে ঠিকানায় দেখছেন সেই ঠিকানা হতে হবে বর্তমান ঠিকানা। আমি বললাম, এটা তো ভাড়া বাসা আর আমার সকল সনদপত্রে টুটপাড়ার ঠিকানা দেয়া। তিনি মানলেন না। অগত্যা জাতীয় পরিচয়পত্রে ‘বর্তমান ঠিকানা’ সরকারপাড়া। মজার বিষয় হল, ৩/৪ মাস পরেই আমরা ওই বাসা ছেড়ে দিয়েছিলাম, কিন্তু পরিচয় পত্রে এখন ও সেই বাসা! ২০১৩ তে আমার নানার দেয়া অন্য জমিতে দালান তোলা হল, আমার মায়ের স্থায়ী ঠিকানা, আমার ও। মার্চ মাসে। বর্তমান ঠিকানা- প্রিয় বেইলী রোড। কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল। দুইমাস পরে আমি কল্যাণপুরের বাসিন্দা।
চাকরিতে যোগদান করলাম ২০০৮ এর ডিসেম্বরে, কাগজে-কলমে স্বায়ত্বশাসিত একটি প্রতিষ্ঠানে। বর্তমান ঠিকানা মিরপুর ট্রেনিং একাডেমী। ৬ মাসের জন্য। পুলিশ ভেরিফিকেশনে আটকে গেলাম, চাকরি স্থায়ী হতে হলে এই ভেরিফিকেশন লাগবে। ইন্সপ্পেক্টর বললে, ‘এটাতো মামা বাড়ির ঠিকানা, উনার (আমার) বাবার বাড়ি কোথায়, সেটাই হবে তার আসল ঠিকানা। তাকে যতই বোঝানো হল যে এখানেই আমরা থাকি, সে মানবে না। স্থায়ী ঠিকানায় সমস্যা আছে মর্মে লিখে দিবে বলল। অনেক সাধনায় তাকে নিবৃত করা হয়েছিল।

ট্রেইনিং শেষে থিতু হলাম ঢাকায়, বেইলী রোডে। অস্থায়ী ঠিকানা বেইলী রোড, স্থায়ী ঠিকানাঃ খুলনা। বিসিএস এর ফরম দ্বিতীয়বার পূরণ করতে যেয়ে বড়মামাকে ফোন দিলাম, ঠিকানা লেখার জন্য; (খুব মানসিক জোর ছিল, চাকরী হবেই; তাহলে আবার স্থায়ী ঠিকানা নিয়ে ঝামেলা পড়ব এই ভেবে)। বড়মামা বললেন, খুলনার ঠিকানাই তো আমার ঠিকানা, অন্য আর কী ঠিকানা দিব আমি? আর পুলিশ ভেরিফিকেশনে যত ঝামেলাই হোক না কেন, উনি সামাল দিবেন। ভেরিফিকেশন পর্যন্ত যেতে পারিনি, তাই দ্বিতীয় দফায় বড়মামাকে আর ঝামেলায় ফেলতে হল না।

বিয়ের পর বেইলী রোডের আবাস গুটিয়ে চলে এলাম কল্যানপুর। এখান থেকেই অফিস করছি। স্টাফ বাস ও পরিবর্তন করেছি। পুরানো রুটের একজনের সাথে দেখে হল, অফিস থেকে বের হতে, জানতে চাইলেন, বাসে অনুপস্থিত কেন। মৃদু হেসে বললাম, ‘ঠিকানা পরিবর্তন করেছি’। কী সহজে বলে ফেললাম! ঠিকানা পরিবর্তন করেছি। কত সহজ ! ছুটির আবেদন করব, ছুটিকালীন ঠিকানা লিখতে যেয়ে নিজেই থমকে গেলাম, এখন তো ছুটিতে খুলনায় যাচ্ছি না। অর্ধাঙ্গ কে ফোন দিয়ে ঠিকানা জেনে নিলাম, হোল্ডিং নাম্বার, রোড নাম্বার।
সাভারে একটি সরকারী অফিসে যেতে হয়েছিল গত সপ্তাহে, ফরম পূরন করতে যেয়ে দেখি আমার অর্ধাঙ্গ সব অংশই পূরণ করে রেখেছেন আমার জন্য, আমাকে শুধু স্বাক্ষর করতে হবে। আবার থমকে গেলাম, স্থায়ী ঠিকানা ভুল হয়েছে, নোয়াখালি নয়, খুলনা। সে খুব অবাক চোখে তাকিয়ে বল, ‘কেন, এখন তো আমার আর তোমার স্থায়ী ঠিকানা একই- নোয়াখালি’। বর্তমান ঠিকানা-কল্যানপুর।

কত সহজে আমার ঠিকানা পরিবর্তন হয়ে গেল এই ২০১৩ সালেই। সামনে কি আর ও পরিবর্তন হবে?
ঠিকানা কী? ঠিকানা রয়ে গেছে মনের মধ্যে। ছোট বেলায় টুটপাড়ার সেই বাসার সামনের মাঠে বিকেল বেলায় ফড়িং এর পেছনে ছোটা ছুটি। দুই ভাই-বোন হাত ছড়িয়ে প্লেন হয়ে উড়ে বেড়ানো। ব্যাঙ এর ডাক শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়া। রাতভোর বৃষ্টির পরে অকালে চোখ মেলে দেখা, উঠান পানিতে টইটম্বুর। রান্না বন্ধ উঠানের চুলাতে। বড়মামা বলাই মামার দোকান থেকে পরোটা আর ডাল নিয়ে আসা, অথবা কাধেঁ বসিয়ে নিয়ে যাওয়া বলাই মামার দোকানে যেখানে ছোট একটা সাইনবোর্ড আছে “রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ” । আমি আর ভাইয় ভাবতাম, এমন বৃষ্টি হলেই তো মজা। পুরানো জামগাছের গোড়ায় এক একদিন মহা বিষ্ময়ে দেখতাম অনেকগুলি ছাতা। ব্যাঙ এর ছাতা। কৌতুহলে উলটে দেখতাম কোন ছোট ব্যাঙ আছে কি না। কেউ থাকত না। ভাবতাম থাক, বেড়াতে গেছে মনে হয়। কষ্ট হত, আহারে ওদের ঘর নেই, এই ছাতার নিচেয় থাকতে হয় সবসময়। ঠিকানা নেই। খুব সখ ছিল, ব্যাঙ পালব। কিন্তু অদের কীখেতে দিব, এই জন্য আর হয়ে ওঠেনি।

আমাদের একটা গরু ছিল-ফাল্গুনী। সে মাঝে মাঝে হারিয়ে যেত, দড়ি ছিড়ে। দুপুরে ভাত খাবার পর আম্মু যখন ঘুমাতে বলত, বলতাম ফাল্গুনী ফিরে আসলে ঘুমাই। ও যদি বাসা চিনতে না পারে, ও তো ঠিকানা পড়তে পারে না, আমি গেটের কাছে যেয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে চাইতাম। আম্মু নিশ্চয়তা দিত, আমি ঘুমালেই ফাল্গুনী ফিরে আসবে। বিকেলে ঘুম থেকে উঠে দেখতাম ফাল্গুনী গোয়ালঘরে জাবনা খাচ্ছে। খুব অবাক হতাম ওর ক্ষমতা দেখে, কী অদ্ভূত! একা একা বাড়ি ফিরে এসেছে, ঠিকানা না জেনেই।

“মনে কি পড়ে না পথিক, তুমি আসিয়াছ কত দূরে?”


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

লেখা ভালো লেগেছে। নিয়মিত আপনার লেকা দেখতে চাই। আপনার নামটা জানা হলোনা।

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

রাতের খাবারের আগে আনমনে মনের ভাবনাগুলো লিখছিলাম। সচলায়তন খোলা ছিল, কী মনে হল, অতিথি হিসেবে লগ ইন করলাম। লেখা সাবমিট করেই পিসি বন্ধ করে খেতে বসেছিলাম। ভয়ে আর চেক করিনি। ঘুমানোর আগে মনে পড়ল, হায় হায়! আমিতো নাম লিখিনি। এর আগেও একই কাজ করেছিলাম দুইটি লেখাতেই। আর ও ভয় লাগছিল, যদি এই কারনে কাটা পড়ি!

আজ সকালে ভয়ে ভয়ে দেখি সচলায়তনে আমার লেখা প্রকাশ হয়েছে !

কী আনন্দ!
প্রথম মন্তব্য আপনার করা ! হৃদয়তো একটা বিট মিস করল এইমাত্র। আনন্দে।

এর পর থেকে আর ভুল হবে না, নাম লিখতে।
অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

সুমাদ্রী এর ছবি

ঠিকানার কোন ঠিক থাকে না, পরিবর্তনই তার বৈশিষ্ট্য। যেমনঃ নারীর নাম।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

‘ঠিকানার ঠিক থাকেনা’- সহমত কিন্তু পরের অংশটা ঠিক বুঝিনি ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

তিথীডোর এর ছবি

চলুক

একটা মোটামুটি স্থায়ী ঠিকানার লোভে হাহুতাশ করি।

মন্তব্যে নামটা জানিয়ে দেবেন প্লিজ। লিখুন আরো। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

সচলায়তনে আমার নিবন্ধিত নাম ব্যাঙের ছাতা হাসি

ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য। আপনার লেখাগুলি আমি খুব ভালবেসে পড়ি। কী যে এক মায়াময় বিষন্নতা ছড়ানো থাকে আপনার লেখায় !

আয়নামতি এর ছবি

সচলে স্বাগতম হাসি ঝরঝরে লেখাটা পড়ে বেশ নস্টালজিক হয়ে গেলুম।
আরো লেখুন। তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা।

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

সব বিষাদ আর অনিচ্ছা ঝেড়ে এবার থেকে নিয়মিত লেখার চেষ্টা করব। আপনার ‘নিক’টা আমার দারুন পছন্দ।

তাসলিমা নাসরিনের একটা বইয়ের শিরোনাম আছে না, ‘নারীর কোনো দেশ নাই’ নামে। পড়া হয়নি বইটি কিন্তু শিরোনামটি মনে গেথেঁ আছে। শাহবাগে যতক্ষণ থাকতাম ততক্ষণ মনে হত এটাই আমার দেশ। আমার ঠিকানা।

ভালো থাকবেন।

আয়নামতি এর ছবি

নিক পছন্দ করায় ধন্যবাদ হাসি অ্যাঁ আচানক ব্যাপার! তসলিমার লেখাটার ব্যাপারে জানতাম না,,,অবাক হচ্ছি এই ভেবে 'আমার কোন দেশ নাই' শিরোনামে একটা লেখা গতজন্মে সচলে লিখেছিলাম খাইছে
দেশ-কাল পাত্র ভেদে আসলে আমরা সবাই উদ্বাস্তু। শাহবাগ!!! আহা স্বপ্নে'র সবুজদ্বীপটার জন্য আমার মন কেমন করে! নতুন কিছু লিখলেন নাকি? দিয়ে দিন পড়ি হাসি

সত্যপীর এর ছবি

কি চমৎকার একটা লেখা. আরো অনেক লিখবেন.

..................................................................
#Banshibir.

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

আশাকরি লিখব। ধন্যবাদ সত্যপীর।
কিন্তু সমস্যা বাধেঁ অন্যখানে- ‍সচলায়তনে এত দারুন সব লেখা পড়ি সবসময়, যে লিখতে গেলে হাত কাপেঁ।
মান বজায় রাখতে পারব কিনা এই ভয়।
ওইযে, অর্জনের চাইতে ধরে রাখা কঠিন। হাসি
দোয়া দিয়েন একটু।

সত্যপীর এর ছবি

ধুনফুন বাদ্দিয়া ল্যাখেন। এতো হিসাবের কি আসে? আমরা আমরাই।

..................................................................
#Banshibir.

আয়নামতি এর ছবি

ক্যাচাল লাগলে কী কইবেন সত্যপীর? আমরা-তোমরা? শয়তানী হাসি

স্যাম এর ছবি

এই লেখাটা পড়ে কেন যেন প্রিয় লেখক হিমুর একটি কথা খুব মনে হল

সবচেয়ে সুন্দর শহরের নাম শৈশব। আমরা সবাই জীবনে তার উদ্বাস্তু।

লেখা ভাল লেগেছে, নিয়মিত পড়তে পারব আশা করি।

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

আপনারা সবাই আমাকে এত উৎসাহ দিচ্ছেন, ভরসা পাচ্ছি অনেক।

ধন্যবাদ।
আমিও আশাকরি হাসি

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

হ্যাঁ, অনেক অনেক লিখুন। চলুক

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

লিখব আশাকরি।
সবার মন্তব্য পড়ে অনুপ্রাণিত হচ্ছি। লিখব। সমস্যা হল, আমি শুধু আমার মনের ভাবনা গুলি ডায়েরি আকারে লিখে অভ্যস্ত।এত বড় প্ল্যাটফরমে লিখতে ভয় লাগে।

ধন্যবাদ পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন। অনেক অনেক ভালো থাকবেন।

তানিম এহসান এর ছবি

লেখা খুব ভাল লাগলো, আশা করি নিয়মিত লিখবেন।

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

কী বলব? আমি নিজে আপনার লেখার ভক্ত। মহা ভক্ত।
আপনি আমার এই লেখায় মন্তব্য করেছেন !
এবার আমিও আশা করছি, নিয়মিত লিখতে পারব, মন গুছিয়ে। হাসি

তানিম এহসান এর ছবি

আগেই সন্দেহ হয়েছিল এটা আপনার লিখা। লেখার ভেতর ব্যাঙের ছাতা এসেছে তাই খাইছে

বৃক্ষ নিয়ে বহু আগে আপনার একটা লেখা পড়েছি আমার মনে আছে, খুব ভাল লেগেছিল। নিয়মিত লিখতে থাকুন। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখা খুব ভাল লেগেছে। আরো লেখা পাওয়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
কিন্তু আপনার নাম কই?
- একলহমা

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

সচলায়তনে প্রকাশিত অন্যান্য লেখায় আপনার করা মন্তব্যগুলি অনেক চিন্তার খোরাক যোগায়।
ধন্যবাদ।
এখন থেকে নিয়মিত লেখার চেষ্টা করব।
সচলায়তনে আমার নিবন্ধিত নাম: ব্যাঙের ছাতা

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ভাল লাগলো চলুক আসলেই মেয়েদের ঠিকানা পাওয়া মুস্কিল, একই অভিজ্ঞতা আমারও। আরও লেখা পাবার অপেক্ষায়
ইসরাত

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চমৎকার লেখা। আমরা সবাই হয়ত ঠিকানা খুঁজে ফিরি সবসময়, কিন্তু সেই ঠিকানাও যে পথের অংশ সেটা হয়ত অনেক সময়ই টের পাই না।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

আপনার এই মন্তব্যে চলুক
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য।

কল্যাণ এর ছবি

ভাল্লাগছে চলুক

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

nandita এর ছবি

আমাদের নতুন দালানবাড়ী তোলার পর পুরানো বাড়ীর কাঠামো টা উচ্ছেদ করা হলো। ওখানটায় এখন বড় গর্ত হয়ে বৃষ্টির পানি জমে একটা ডোবা মতো হয়েছে।ওটা এখন প্রিয় ব্যাঙেদের ঠিকানা। রাত দিন একসাথে মিলিয়ে তাদের ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ। ছোটরা সেটাকে ব্যাঙের বাসা না বলে বলছে ‌'ব্যাঙের শি' । সেদিন রাতে বাড়ীর বাইরে হাঁটছিলাম, হঠাৎ দেখি বিশাল পাখনা উড়িয়ে একটা সাদা মতো প্যাঁচা মাটি থেকে আমডালে বসে ফ্যাল ফ্যাল করে আমার দিকে চেয়ে থাকলো। ব্যাটা সাহস কম না , আমাদের ব্যাঙ শাবকগুলোকে নূতন ঠিকানা দিচ্ছিলো পেটে চালান দিয়ে! দীর্ঘদিন তেমন কোন কথা হয়না, সুযোগ পেয়ে জানালাম। আর হ্যাঁ, আমাদের গরুগুলোর ভেতরে কয়েকটার নাম ছিলো মা বুড়ী, বিশাখা, কালি, শিমু ।এদের এতো সুন্দর সুন্দর নাম কেনো কে জানে? তবে এদের বেড়াতে যাবার কোন জায়গা ছিলো না, এখন আমার যেমন! এই লেখকের এমন লেখা আরো বেশী বেশী পড়ার ইচ্ছা জাগিছে।

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

আপনার নামটি অনেক সুন্দর আপু।
আমার ও বেড়াতে যাবার কোনো জায়গা নেই এই শহরে। আসলে কোন শহরেই নেই।
ভালো থাকবেন।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

Joltorongo এর ছবি

আমার ঠকানা বিয়ের পরেও বদ্লাইনি। চোখ টিপি

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

হাসি

আশালতা এর ছবি

আরে! ব্যাঙের ছাতা বেশ লেখে দেখি! বাহ্‌, বেড়ে ! হাততালি

এই পপ্পন নিয়ে বসলাম। চটপট আরও লিখে ফেলুন । হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

লজ্জা পাইলাম লইজ্জা লাগে

আশালতা এর ছবি

ক্যান ?

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

আয়নামতি এর ছবি

লজ্জা ঈমানদারীর লক্ষণ তাই খাইছে

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

গাঁয়ে যে ঠিকানা আছে, সেটা আমার নিজেরই চেনা জানা নেই, যাওয়া হয় না। শহরের বাড়িটা বিক্রি হয়ে গেছে, পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য বিদেশে। আমি থাকি ভাড়াবাড়িতে। কোথাও স্থায়ী ঠিকানা লিখতে বললে আহাম্মকের মতো তাকিয়ে থাকি।
আমার ঠিকানা বাংলাদেশ...

সকালবেলা এমন চমৎকার একটা লেখা পড়লে দিনটা সুন্দর হয়ে যায়। আপনার লেখার ভক্ত হয়ে পরবর্তী লেখার অপেক্ষায় রইলাম। আপনার মনের ভাবনাগুলো ডায়রির মতো করেই লিখুন

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

”আমার ঠিকানা বাংলাদেশ ”--সহমত হাসি

ধন্যবাদ।

অনেক উৎসাহ পেলাম ভাইয়া, আপনার মন্তব্য পেয়ে।

মর্ম এর ছবি

বাড়ি কোথায় এই প্রশ্নটার উত্তর দেয়া এত কঠিন হয় কেন কে জানে! স্থায়ী ঠিকানা অস্থায়ী ঠিকানা। জন্ম বেড়ে ওতা স্থায়ী ঠিকানায় নয় আর স্থায়ী ঠিকানায় নামফলক ঝোলে কেবল!

লিখুন আরো অনেক। ভাল লেগেছিল, আলসেমী চাপায় তখন বলা হয়নি!

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।