আমার আপন আঁধার

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৩/১০/২০১৩ - ১:১৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রাতে আমার ঠিক নিচে সুমন ভাই ঘুমান। পাঠক পাঠিকারা উল্টা পাল্টা কিছু চিন্তা করার আগেই বেপারটা ক্লিয়ার করে নেই। আমরা যেই দোতালা খাটে ঘুমাই তার উপরে আমি,নিচে সুমন ভাই।ঘুম আসার আগ পর্যন্ত নানান বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়।ইতিহাস,রাজনীতি,সিনেমা,নারী। আলোচনার টপিক যখন থাকে নারী,তখন সুমন ভাই কে খুবই উৎসাহী হতে দেখা যায়। গার্লফ্রেন্ড না থাকার জন্যই বোধহয় চেহারায় একটা আহা আহা ভাব চলে আসে।রাত বারোটা একটা বাজলে,আমি যদি বলি অনেক হইছে ভাই,এখন ঘুমাই,কালকে ক্লাস আছে।উনি চোখ কপালে তুলে ফেলেন আর বলেন,বল কি, আলোচনা সবে তো শুরু। ঐ ইরানি মেয়েটার কথা কি যেন বললা।আচ্ছা,ইরানি মেয়েদের একটা বেপার কি খেয়াল করছ......।

সুমন ভাই হেংলা,পাতলা টাইপের মানুষ। শরীরের ছায়া পড়েনা,এমন অবস্থা। হাড্ডিসর্বস্ব শরীরে চামড়ার ফিনিশিং ভাল- এটা দেখলেই বুঝা যায়।উনাকে দেখলে যে কেউ ভাববে,ফিজিক্স, কেমিষ্টির সাথে পুষ্টিবিজ্ঞান সাবজেক্ট টার ও জীবনে বহুবিদ ব্যাবহার ও প্রয়োগ আছে।ইন্ডিয়া তে দুই মিনিটের একটা ঘটনাকে বিশ্রীভাবে টানাটানি করে বিশ পর্বের হাস্যকর সব সিরিয়াল বানায়।আমাদের দেশের মহিলারা সেইসব মারমার কাটকাট সিরিয়াল দেখে নিজেদের জীবন ধন্য করে ফেলেন।আমাদের সুমন ভাই ও সেইরকম আগ্রহ নিয়ে চাইনিজ সিরিয়াল দেখেন ও পড়েন।চারদিকে সিরিয়াল এর এত জয়জয়কার দেখে একদিন সাহস করে সিরিয়াল এর এক পর্ব দেখেই ফেললাম।খুব নজর দিয়ে দেখলাম যেন কোন কিছুই চোখ এড়িয়ে না যায়। ঘটনা কি ছিল তা বলতে চাচ্ছি না।তবে কানে ধরেছি আর এই পথে পা বাড়াব না।আমার এই অসহায় অবস্থা দেখে একজন এগিয়ে এলেন এবং খুব যত্ন নিয়ে বুঝাতে শুরু করলেন-কে কার ননদ,কে কার ভাসুর।আরেকজন বিরক্ত হয়ে বললেন পুলাপান রে এইসব বুঝিয়ে কোন লাভ নাই।ভাল ভাল জিনিষ তো দেখবে না,দেখবে সব আলতু-ফালতু জিনিশ।বলেই উনি দেখায় গভীর মনোযোগ দিলেন।আমিও মানে মানে কেটে পরলাম।নিজেকে এই বলে শান্তনা দিলাম সবাই সব কিছু বুঝে না,সবকিছুতে মজা ও পায় না।

এবার মুল ঘটনায় আসি।সুমন ভাই কিছুদিন হল ব্যাচেলর শেষ করে মাস্টার্স এ ভর্তি হয়েছেন।বলতে গেলে এখন মোটামুটি অবসর জীবন যাপন করছেন।সারাদিন কাজ শেষে ক্লান্তি বোধ করলে উনাকে নিয়ে সন্ধ্যায় হাটতে পার্ক এ যাই।এখানকার পার্কগুলা ও খুব সুন্দর।সাজানো-গোছানো।সবকিছু ঝকঝক তকতক করছে।সব মিলিয়ে অবসর বিনোদন উদযাপন করে মজা পাওয়া যায়। তো লাস্ট ফুলমুন এ হাটতে বেরিয়েছি।আকাশ পরিস্কার।হালকা বাতাস ও আছে।মন টাই ভাল হয়ে গেল।নানান বিষয়ে তুমুল আলোচনা হচ্ছে।শৈশব এবং স্কুল জীবন নিয়ে ব্যাপক কথাবার্তা হল। পৃথিবীটা বর্তমানে কোন দিকে যাচ্ছে এ বিষয় নিয়েও প্রচুর জ্ঞান বিনিময় হল।আফ্রিকান পুরুষ দের কেন সারা পৃথিবী তেই এত কদর এ বিষয়ে সামান্য নিষিদ্ধ জ্ঞান ও লাভ করলাম।হটাৎ,কথা নাই বার্তা নাই-সুমন ভাই আলোচনার মাঝখানে আমার পড়াশুনার বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলেন।এবং জানলেন অনেকদিন ধরেই ফিজিক্স এর কোন কুল কিনারা করতে পারছি না।তখন উনি বড় ভাই দের মত বললেন –এইসব জটিল কোন বিষয় না।প্রাত্তহিক জীবনের সাথে মিলিয়ে পড়লে আর কোন সমস্যা নাই।আমি আছি না।আজকে থেকে ফিজিক্স এর বেপারটা আমি দেখব।আমি উনার উনার ভরসায় আশ্বস্ত হলাম।

কিছুদিন যেতে না যেতেই বুঝলাম কার হাতে কি দায়িত্ব দিয়েছি।মিশন ইম্পসিবল সিরিজের সিনেমা গুলা সুমন ভাই এর খুবই প্রিয়।এই কারনেই বোধহয় ঘনঘন মিশন হাতে নিতে পছন্দ করেন।আমার ফিজিক্স এর বেপারটাকেও উনি মিশন হিসাবেই নিলেন।মিশন বললাম,কারন নিতান্ত অসময়ে উনি আমার সামনে এসে হাজির হন,এবং নানান বিষয়ে প্রশ্ন শুরু করেন।হয়ত আমি সারাদিন ক্ষুধার্ত থেকে সন্ধাবেলায় খাবারের টেবিল এ মুরগির রান হাতে নিয়েছি, কামড় দিতে যাব এমন সময় হাসিমুখে সুমন ভাই এর আগমন। প্রশ্ন করেন,কি,ফিজিক্সের কি অবস্থা ? প্রোজেক্টাইল মোশন কিভাবে কাজ করে আমাকে একটু বুঝিয়ে বল তো দেখি। নদীর পাড়ে হাটতে গেলে অথবা ভাল কোন সিনেমার জটিল অংশে জটিল আর অদ্ভুত সব প্রশ্ন নিয়ে উনি হাজির হন।আমার জীবন টা পুরা ভাজা ভাজা হয়ে গেল।অবস্থা এমন দাঁড়াল যে, মনে হয় নিউটন,আইনস্তাইন কে কাঁচা খেয়ে ফেলি।একদিন আবার স্বপ্ন ও দেখে ফেললাম।যথারীতি ফিজিক্স পরিক্ষা।রিটেন খুব ভাল হয়েছে।এখন খালি ভাইবা টা বাকি।হাই কনফিডেন্ট নিয়ে ভাইবা দিতে গেলাম।এবং সাথে সাথে কনফিডেন্ট লেভেল জিরো হয়ে গেল।সুমন ভাই ভাইবা বোর্ড এ বসা।চোখে চশমা।আমার দিকে তাকিয়ে গম্ভীর গলায় বললেন-বল তো নিউটনের গতির দ্বিতীয় সুত্র টা কি।আমি থতমত খেয়ে গেলাম।উনি আরও রাগি গলায় বললেন তৃতীয় সুত্র টা কি,বল। স্বপ্নের এই পর্যায়ে স্বয়ং নিউটন হাজির হলেন। খাটি বাংলায় বললেন –খুবই সহজ বেপার,বলে ফেল।আমি অনেক চিন্তা করে দেখলাম অন্য সবই পারি,শুধু গতির সুত্র তিন টাই মনে আসছে না।সুমন ভাই এবং নিউটন হতাশ চোখে আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন।আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল।

এতকিছুর পর চিন্তা করলাম,আর না। এইবার সুমন ভাই এর সাথে একটা চুক্তি তে আসতে হবে।উনাকে গিয়ে বুঝিয়ে বললাম যে,একটা নির্দিষ্ট সময়েই শুধু আমরা পরাশুনা করব। অন্য সময় না।উনি আহত চোখে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলেন।এবং একটা ছাত্রের ছাত্রজীবন কেমন হতে হবে,সেই সম্মন্ধে একটা গভীর ধারনা দিলেন।আমি বিনা বাক্যব্যয়ে তা মেনে নিলাম।

পুনশ্চ:

ধারনা শুধু যে বড় ভাইরাই দেন,তা না।আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা ও জাতিকে নতুন নতুন ধারনা দিতে পছন্দ করেন।ভবনের পিলার ধরে টানাটানি করা ঠিক না,এতে পুরো ভবনই হেলে পরতে পারে,এই ধরনের ধারনা আমরা কিছুদিন আগেও পেয়েছি।।দেশের মূল্যবান তথ্য পাচার হয়ে যাবে-এই ধারনায় তাঁরা সাবমেরিন কেবলের সংযোগ নেয়া থেকে বিরত থাকেন।দেশের উন্নয়ন এর স্বার্থে হরতাল,অবরোধ দিয়ে অতি গুনগ্রাহী কিছু ভক্তদের নিয়ে তাঁরা সামান্য ভাংচুরও করেন ! I HAVE TO BE CRUEL ONLY TO BE KIND-শেক্সপিয়ের এর এই ধারণা তাদের একমাত্র মূলমন্ত্র। এজন্য তাঁরা মাঝেমধ্যে CRUEL হয়ে যান, তবে অবশ্যই তা দেশের মঙ্গলের জন্যই। দেশমাতাও এটা বুঝেন। আর বুঝেন বলেই চূপ করে থাকেন। দুষ্ট ছেলের সামান্য দুষ্টুমিতে উনি সচকিত হন না,বিরক্ত ও হন না।কারণ উনি জানেন,উনার কিছু দেশপ্রেমিক ছেলেও আছে। যাদের মধ্যে একবার জাগরণ ঘটলে কোন কিছু দিয়েই তাদেরকে আর ঠেকিয়ে রাখা যায় না।


মন্তব্য

তিথীডোর এর ছবি

নাম/নিকবিহীন লেখা।
কেন?

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নিহন আহসান এর ছবি

নতুন তো,ঠিক হয়ে যাবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখার স্টাইল ভাল লাগলো দেঁতো হাসি কিন্তু নাম বিহীন লেখা কেন?
ইসরাত

নিহন আহসান এর ছবি

ধন্যবাদ।এখন ও শিক্ষানবিশ তো, ঠিক হয়ে যাবে।

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

লেখকের নাম নেই। নিক বিহীন লেখা আসতে পারবে না বলে একটা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না?
দিনপঞ্জী লেখার ধরণটা ভালো লেগেছে। তবে পুনশ্চ: টা অপ্রাসঙ্গিক মনে হলো, শুধু "ধারনা" শব্দটা দিয়ে এটাকে ঘাড় ধরে টেনে আনা হয়েছে।

____________________________

নিহন আহসান এর ছবি

ঠিকই বলেছেন।রাজনিতিবিদ দের নিয়ে আমার সামান্য হতাশা আছে ত,এই জন্য সব জায়গায় হতাশাটুকু লুকাতে পারি না।আমার এই প্রগলভতার জন্য দুঃখিত।

আয়নামতি এর ছবি

সব দোষ মডুদের খাইছে

বান্ধবী এর ছবি

প্রবাস জীবনের ছোট ছোট ঘটনা একসাথে মিলিয়ে লিখতে চেষ্টা করেছেন মনে হয়। ধাপে ধাপে আরও লিখুন, আরেকটু গুছিয়ে। তাহলে পড়তে আরও ভালো লাগবে।
"আমার আপন আঁধার" - শিরোনামের সাথে লেখার বিষয়বস্তু মিলাতে পারলাম না কিন্তু হাসি

আপনার নাম কোথায়? দেঁতো হাসি

নিহন আহসান এর ছবি

জীবনেও পড়ালেখার উদ্দেশ্য ছাড়া কলম হাতে নেইনি ত,এই কারনে এ অবস্থা।লেখতে লেখতে ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা রাখছি।আমি নিজেও অবাক, নামটা গেল কই?

নিহন আহসান এর ছবি

আমার প্রকৃত বয়স আর লেখার বয়স, দুটোই খুব কম।কেন লেখার শিরোনামে "আমার আপন আঁধার" লিখেছি তা সামনের পর্বগুলুতে লেখার ইচ্ছা ছিল।কিন্তু পাঠকদের মন্তব্য পড়ে শঙ্কিত বোধ করছি।

বান্ধবী  এর ছবি

শঙ্কিত বোধ করবেন না। লিখতে থাকুন। আর সবচেয়ে বেশী যেটা কাজে দেবে তা হল - সবার লেখা পড়ুন। একজন ভালো পাঠক হওয়া, ভালো লেখক হওয়ার অন্যতম পূর্বশর্ত।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ক্যাটেগরি: দিনপঞ্জি আত্মজীবনী চিন্তাভাবনা রম্যরচনা রেখাচিত্র স্মরণ স্মৃতিচারণ তা দেন সববয়সী

না ক্যাটেগরি বুঝলাম, না লেখাটা কিছু বুঝলাম, না লেখাটা কী করে প্রকাশিত হলো সেটা বুঝলাম!

কেউ যদি আমাকে এই লেখার ক্যাটেগরিতে দেয়া 'রেখাচিত্র', 'স্মরণ', 'তা', 'দেন'-এগুলোর মানে একটু বুঝিয়ে দিতেন তাহলে খুব উপকৃত হতাম।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নিহন আহসান এর ছবি

ভাই রে,বিরাট মিসটেক হয়ে গেছে । আবার যখন লেখব তখন ভালভাবে প্রস্তুত হয়ে প্রকাশযোগ্য করেই লেখব। মনে হয় দীর্ঘ ছুটি তে যেতে হবে।প্রথম লেখা,নবিন হিসাবে আমাকে ক্ষমার চোখে দেখতেই পারেন।

তিথীডোর এর ছবি

নাহ, নবিন হিসাবে আপনাকে ক্ষমার চোখে দেখতে পারা গেলো না। কারণ শব্দটা নবীন।
ট্যাগ, নিক/নাম আর বানানে মনোযোগ দিয়ে তারপর পরবর্তী লেখা দেবেন আশা করি। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

বয়স কম, আপনার এই উক্তিটা আপনার এই প্রতিমন্তব্যের সাথে বেশ মানিয়ে গেছে। হতাশ হবেন না একেবারেই, লিখতে থাকুন। তবে পড়ুন কমপক্ষে দশগুন বেশি

এস এম নিয়াজ মাওলা  এর ছবি

বানানে মনোযোগ দিয়েন ভাইয়া। বানান ভুল থাকলে পড়তে খুব বিরক্ত লাগে। লেখা ভালোই লাগছিলো। পুনশ্চটা এখানে অবশ্যই খাপ খায় না, এটা অবশ্য আমার মতামত।
ভালো থাকুন খুব এবং লেখা চলুক অবিরত।

-নিয়াজ

নিহন আহসান এর ছবি

ছোটবেলায় গানের শিক্ষক আমার গান শুনে বলেছিলেন- তোকে দিয়ে গান হবে না।তোর গানের গলা না,গালি গালাজের গলা। যা বাইরে গিয়ে গালা গালি করে আয়। এইবার লেখতে গিয়ে ও দেখি একই সমস্যা।মনে হয় খুব বেশি দূর যাওয়া যাবেনা । সচেতন পাঠকের নানান প্রশ্নবাণে আমি জর্জরিত। ক্ষমা জিনিসটাও বোধ হয় দুনিয়াতে আর নাই।একজন বলেও দিয়েছেন তিনি ক্ষমা করতে পারবেন না। সামনে আরও কি হয়- দেখার জন্য আগ্রহ নিয়ে বসে আছি।

কল্যাণ এর ছবি

প্রচুর বানান ভুল, দুর্বোধ্য ট্যাগ, বেশ অসংলগ্ন লেখা। যতিচিহ্নের পর স্পেস না থাকায় পড়তে যেয়ে আটকে যেতে হচ্ছে লাইনে লাইনে। 'লেখতে' না 'লিখতে' ?

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

আয়নামতি এর ছবি

আপনার গানের শিক্ষকের মন্তব্যটি অত্যন্ত অরুচিকর! তাঁর কথামত আপনি নিশ্চয়ই সেকাজে ঝাপিয়ে পড়েননি? তবে? আমাদের সবার সমালোচনায় এতটা মুষড়ে পড়বেন কেন? এতে আখেরে আপনারই লাভ কিন্তু! একটা কাজ করুন, সচলে লিখবার নিয়মনীতি নিয়ে একটা খুউব মজারু লেখা আছে ওটা পড়ুন। দুম করে একদিনেই আপনি-আমি যেমন হাঁটতে শিখিনি তেমন করে একদিনই লেখক হয়ে যাবো ভাবনাটা বোকামি নয় বলুন? লেখা শেষ হতেই পটাং করে প্রকাশ বানটে ক্লিক না করে বার কয়েক পড়ুন। এতে দেখবেন অনেক ভুল চোখে পড়বে। অতিথি লেখকদের পোস্টে ভুল শোধরানোর সুযোগ থাকে না বলেই কথাটা বলা। আমরা মজা করে 'দুষ' 'তুমার' 'বেপার' 'দুকান' ইত্যাদি বলে থাকি। আপনি মজা করেই তেমনটা লিখেছেন কিনা সেটা খুব স্পষ্ট না। পড়ুন, লেখুন মোটকথা সচল থাকুন হাসি

সচলের প্রতিও অনুরোধ থাকলো এমন লেখা প্রকাশ না করলে কী হয়? লেখাটা যখন প্রকাশিত হবে না তখনই তো লেখকের কাছে ম্যাসেজ চলে যায়, 'কিছুই হয়নি বাপু! আরো চেষ্টাও' তা না করে লেখাটা প্রকাশ করে এভাবে তুলোধুনা করার ব্যাপারটা খুব পীড়াদায়ক মনে হয় আমার। তাই এমন লেখার সাথে সাথে সচলমডুদেরও দায়িত্ব সহকারে খানিকটা অন্দমন্দ শোনার। ঘাড়ে একটাই মাথা, সেটা স্মরণে রেখেই কথাগুলো বলে গেলাম দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

গঠনমূলক সমালোচনাকে সহজ করে নিতে হয়, তাহলে নিজের ভূলগুলো শুধরানো যায়।
সচলে ইদানিং অনেক লিখা আসছে যাকে সচলের জন্য ঠিক মানাসই মনে হয় না আমার। যাই হোক সে তর্কে যাচ্ছি না, আশা করবো মানের দিক দিয়ে আরেকটু সচেতন হবেন মডারেটরা।
অসংখ্য প্রশ্ন করা যায় এই লিখা নিয়ে। ক্যাটাগরির বিষয় নিয়ে ষষ্ঠ পান্ডব ভাইয়ের সাথে আমিও একমত। আমিও ঠিক বুঝলাম না এটা কোন ক্যাটাগরির লিখা? শিরোনামের সাথে লিখার বক্তব্য কোন মিল পেলাম না। কেন আপন আধাঁর হলো ? একটু ব্যাখা করবেন?

মাসুদ সজীব

আশরাফ শামীম এর ছবি

ভাবনাগুলোয় অনেক অনেক পোড় খাওয়া চিন্তার ফানুস ওড়ানো হয়েছে, পড়ুন পড়তে পড়তেই একদিন সত্যি ভালো লেখাই আমাদের জন্য লিখবেন আশা করছি, ততদিনের অপেক্ষায় রইলাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

আগামাথা বুঝলাম না মন খারাপ

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটি পড়ে শিবরাম চক্রবতীর কথা মেন পড়ে গেল। তিনি সহজ ভাষায় প্রতিদিনের হাস্য রেসর কথাই লিখতেন। আরও মেন পড়ে ‌‌'গড্ডলিকা' । সরস লেখাটিতে পরীক্ষা নিরীক্ষা নেই, সেটা হতে সময়ের দরকার। তবে মনে হয় চেষ্টা চালালে লেখক ভাল করবেন। বিশেষ করে পুনশ্চ অংশের সাথে মিলিয়ে একটা ভাল রম্য রচনা হতে পারত। ব্স্তবতায় করুণ রস এত বেশি যে সেখান থেকে রম্য রস নিষ্কাষণ করা কঠিন।
রেফ গুলো নিয়ে হয়েছে এক বিপদ!

চারবাক সুমন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।