এক একদিন প্রতিদিন-৮

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০৩/০৯/২০১৪ - ৯:০৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাসের শেষের মিটিং এ বসেছি ডায়ালাইসিস রুগীদের সাথে, এর নাম কেয়ার প্ল্যান মিটিং। যেসব রুগীদের ডায়ালাইসিস সংক্রান্ত বা অর্থনৈতিক বা সামাজিক সমস্যা থাকে, যেগুলো গড়পড়তা ভিজিটের সময় ঠিক সামলানো যায় না তাদের কে নিয়েই মাসের শেষে এই মিটিং। এটা কম্প্রিহেন্সিভ মিটিং, ডাক্তার, রুগী, রুগীর পরিবার, নার্স, ডায়ালাইসিস ক্লিনিক ম্যানেজার, ডায়েটিসিয়ান, এবং সোশ্যাল ওয়ার্কার সহ সবাই থাকে। এবারের মিটিং এ সবশেষ হলো, বিলি, এর সমস্যার অন্ত নেই। বেশির ভাগই সামাজিক সমস্যা যা মূলত ড্রাগ এডিকশন থেকে উদ্ভূত। বিলির সাথে আমার বেশ একটা ইতিহাস আছে, এখনও ক্লিনিকের সবাই মনে রেখেছে, আমি এবং বিলি তো বটেই। মনে পড়ে গেল আবার।

বছর তিনেক আগে যখন ৩২ বছরের বিলি ডায়ালাইসিস ক্লিনিকে আসে, সবার মুখে মুখে গুঞ্জন শোনা যায়, ও ড্রাগ ডিলিং করে এবং নিজেও এডিক্ত। হঠাৎ করেই অসম্ভব রকম হাই-ব্লাড প্রেশার নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে, জানা যায় কিডনি নষ্ট হয়ে আছে অনেকদিন, সম্ভবত অনেকদিনের অনিয়ন্ত্রিত ব্লাড-প্রেশার থেকেই। ওর জানা ছিলনা যে ব্লাড প্রেশার হাই ছিল কোনদিন, ডাক্তার দেখায় নি অনেক কাল। পুরোই বখে যাওয়া এক তরুণ। খাওয়া-দাওয়া, থাকা কোন কিছুরই ঠিক ছিলনা ওর আগে। সেই বিলির পক্ষে সপ্তাহে তিনদিন করে ডায়ালাইসিস-এ আসা-ই ছিল খুব কঠিন এক কাজ, সাথে আবার গাদা-গুচ্ছের ঔষধ গেলা। তাই প্রায়ই ডায়ালাইসিস আসত না, এলেও ব্লাড প্রেশার এতো হাই থাকতো যে ওকে ক্লিনিক থেকেই এ্যাম্বুলেন্স ডেকে আবার হাসপাতালে পাঠাতে হতো।

বিলিকে কিছু বলতে সবাই দুবার ভাবতো, তার অনেক কারণ। ওর ৬ ফুট ৫ ইঞ্চির বিশাল শরীর, তাতে কাল মুখে চোখ দুটো রক্তজবার মতো লাল, কথা বলে খুব কম, ডায়ালাইসিস এর চার ঘন্টা ইচ্ছেমত ঘুমায় চেয়ারে বসে, ডাক দিয়ে জাগালে এমন রক্তহিম করা চোখে তাকায় যে অন্তরাত্মা কেঁপে ওঠে। আমি প্রথম দিকে খুব সামান্য কথায় ওর সাথে শেষ করতাম, বুঝতাম ও একটুও পাত্তা দিচ্ছে না। আমি যা বলছি, এক কান দিয়েও শুনতো কিনা কে জানে। ব্লাড প্রেশার থেকে স্ট্রোক করার যত ভয় দেখাই না কেন, ও নির্বিকার, আমার কথার মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়ে। কাঁহাতক আর কত পারা যায়!

একবার পর পর তিন সপ্তাহ এমন হাই ব্লাড প্রেশার নিয়ে ক্লিনিকে এলো যে প্রতিবার আমি ওকে ক্লিনিক থেকে এ্যাম্বুলেন্স ডাকিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিলাম। বিলি প্রচণ্ড বিরক্ত আমার উপরে ওকে ক্লিনিকে ডায়ালাইসিস না করতে দেয়ায়। এমনি একদিন রাউন্ডের সময় সে আমাকে ডেকে বললো,
-তুমি আমার সাথে এমন করতে পারো না। আমি বললাম,
-কি বলতে চাইছ? ও বলে,
-তুমি প্রতিবার আমাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিচ্ছ, যেটা ঠিক না। আমি বললাম,
-দেখো, আমি ক্লিনিক এর পলিসি ম্যানুয়াল দেখে এবং আমার প্রফেশনাল গাইডলাইন মেনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তুমি চ্যালেঞ্জ করলে আমি তোমাকে দেখিয়ে দিতে পারি।
ও একটু থমকে যায়, তারপর যথারীতি ওর রক্তজল করা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে, আমি ভয় পাই বেশ। ও কোকেন, মারিয়ুয়ানা সব খাবার অভ্যাস আছে, কে জানে কি আছে মনে! তবুও ভাবি, এই সুযোগ, এখনই সময় নেগোসিয়েশনের। বলি,
-আমি তোমার ব্যাপারে নমনীয় হতে পারি, যদি তুমি আমার কথা শোন। আমি আমার জন্য বলছি না, তোমার জন্য-ই বলছি। ও একটু চুপ থেকে বলে,
-তোমার প্রপোজাল শুনি আগে। আমি বললাম,
-তুমি যদি তোমার সিস্টোলিক ব্লাড প্রেশার ১৮০ মিমি মার্কারির নীচে নিয়ে ক্লিনিকে আসতে পারো, তাহলে আমি তোমাকে হাসপাতালে পাঠাবো না। তুমি কি করে সেটা করবে সেটা তোমার ব্যাপার, ড্রাগস বাদ দেবে নাকি ঔষধ খাবে ঠিক ঠাক মতো, সেটা-ও তোমার ব্যাপার। আমি প্রেশার ১৮০ এর নীচে দেখলেই হলো। বিলি একটুক্ষণ ভেবে তারপর বললো,
-ঠিক আছে, ডিল। বলে হাত বাড়িয়ে দিল, আমিও হাত বাড়িয়ে বললাম,
-ডিল।

বিলি সেদিনের পরে অনেক সময় কথা রেখেছে, কখনও কখনও পারেনি। আমি আমার কথামতো ওকে ডায়ালাইসিস করিয়েছি আবার কখনও ওকে হাসপাতালেই যেতে হয়েছে। প্রতিবার হাসপাতালে যাবার সময় ও বিরক্তি ভরে শ্রাগ করে আমার দিকে তাকিয়েছে, আমিও নিরুপায় ভাব দেখিয়ে শ্রাগ করে হেসেছি। তবে বিলি আস্তে আস্তে ঔষধ খাওয়ায় মন দিয়েছে। আমি গত প্রায় দুই বছর বাড়ী থেকে অনেক দূরের এই ক্লিনিকে রাউন্ড দেই নি, কিন্তু আমার অন্য দুই সহকর্মীর কাছে শুনেছি বিলি ডায়ালাইসিসে আগের চেয়ে অনেক বেশী নিয়মিত। মাঝখানে ছোট খাট একটা হার্ট এট্যাক হওয়ার পর ও কোকেন ছেড়ে দিয়েছে।

অগাস্ট মাসের শুরুতেই বিলিকে দেখলাম, ওজন কমে গেছে অনেক। ব্লাড প্রেশার অনেক কন্ট্রোলে। এখনও আগের মতোই কম কথা বলে আর পুরোটা সময় ঘুমায়। আমাকে দেখে খুশী কি অখুশি কিছু বুঝবার উপায় নেই ওর ভাবলেশহীন চেহারা দেখে। তবু একদিন রাউন্ডে জানালো, সরে যাওয়া লাম্বার ডিস্ক এর ব্যথায় বেশ কষ্ট পাচ্ছে। সেজন্য মাঝে মাঝে ব্লাড প্রেশার অনেক বেড়ে যায়, তখন ঔষধ খেলেও প্রেশার কমে না এবং সেদিন ও আর ডায়ালাইসিস এ আসে না, কারণ হাসপাতালে যেতে হবে এলেই; আমাদের সেই ডিল বহাল আছে এখনও। আমি ওকে ব্যথার জন্য কি ঔষধ খায় জানতে চাইলে ঘাড় ঘুরিয়ে বললো, তুমি জানতে চেও না, এখানে বলতে পারব না। আমি বুঝে নিলাম।

বিলি মিটিং এ এসেছে এমাসে কারণ ওর রক্তে প্রোটিন এর পরিমাণ কম এবং অর্থনৈতিক সমস্যায় আছে। সব সময় ঔষধ কিনতে পারছে না। মূলত ডায়েটিসিয়ান এবং সোশ্যাল ওয়ার্কারের সাথেই ওর দরকার। এ মাসে বিলি মাত্র দুটো ডায়ালাইসিস মিস করেছে, ওর প্রেশার অনেক ভাল ছিল, সব ল্যাব ওয়ার্ক-ও অনেক গ্রহণযোগ্য আগের তুলনায়। আমি ওকে উৎসাহ এবং ধন্যবাদ দিয়ে, অরুচি কারণ জিগ্যেস করতেই ও বললো,
-ডক, আমি স্মোক না করলে খিদে পায়না। আবার সবসময় স্মোক করতেও পারিনা, পাওয়া যায় না। আমি একটু অবাক হলাম,
-সিগারেট পাওয়া যায়না? তোমার অরুচির সাথে সিগারেট খাওয়া না খাওয়ার সম্পর্ক? বিলি একটু অসহায় ভাবে সোশ্যাল ওয়ার্কার হলি'র দিকে তাকায়। হলি ওকে উদ্ধারে এগিয়ে এসে বলে,
-ও মারিয়ুয়ানার কথা বলছে, সিগারেট না। ও পিঠের ব্যথার জন্য অনেক বছর ধরে মারিয়ুয়ানা খায়, এখন মারিয়ুয়ানা না খেলে ওর খিদে পায়না। বিলিও জানায় গত দুই দিন ও একটিও জয়েন্ট( মারিয়ুয়ানা ) খায় নি, তাই খাবারও কিছু খায় নি। প্রায়ই এমন হয়। বুঝলাম এ কারণেই ওর রক্তে প্রোটিন এর পরিমাণ কমে যাচ্ছে। ওকে বললাম,
-তোমাকে রুচি বাড়াতে কিছু ঔষধ লিখে দিতে পারি। ও জানতে চায়,
-সেটা কি আমার ব্যথার-ও উপশম দেবে। বললাম,
-না। বিলি বলে,
-তাহলে দরকার নেই, তুমি তো জানই আমি ঔষধ খেতে একদম পছন্দ করিনা, তারপরও প্রতিদিন এতোগুলো করে খাই। ঔষধের সংখ্যা আর দুটো বাড়াতে হবেনা। আমি আমার মারিয়ুয়ানা নিয়েই থাকি, ডক। তুমি ব্লাড প্রেশার আর ল্যাব ওয়ার্ক দিকেই নজর রাখো, কথা দিচ্ছি ওগুলো যতটুকু সম্ভব কন্ট্রোলে রাখতে চেষ্টা করবো। ডিল? বলে আবার হাত বাড়িয়ে দেয়। আমি একটু অনিচ্ছায় হলেও হাত বাড়িয়ে বলি,
-ডিল।

দু'বছর পরে আবার বিলির সাথে নতুন ডিল!

মিটিং শেষ হলে বিলি বেরিয়ে যাবার আগে, আমার দিকে তাকিয়ে হেসে বলে,
-আই লাইক ডিলিং উইথ ইউ ডক! আবার কবে ফিরবে? দু'বছর পর? বিলিকে বলি,
-নাহ। এবারে তাড়াতাড়িই ফিরব।

বিলি চলে যায়, হয়তো কোথাও স্বল্পমূল্যে মারিয়ুয়ানা খুঁজে খুঁজে কেটে যাবে ওর দিন। পেলে তারপর ওর ব্যথার উপশম এবং খাওয়া দাওয়া।

যদিও মারিয়ুয়ানা ততোটা নয়, তবু যে কোন ধরনের ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ডাক্তার হিসেবে এই প্রথম কাউকে মারিয়ুয়ানা না খাবার জন্য উপদেশ দিতে পারলাম না।

রীতু


মন্তব্য

মরুদ্যান এর ছবি

হুমমম। তাড়াহুড়া করে লিখেছেন নাকি?

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

অতিথি লেখক এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ, এমন মনে হলো কেন? অবশ্য এটাও ঠিক এই পশ্চিমা জীবনে সবকিছুতেই তাড়াহুড়ো করতেই হয়, এটাই নিয়ম হয়ে গেছে।

রীতু

'সেই যেখানে সারাজীবন বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে...
সেই যেখানে কেউ যায়না, কেউ যায় নি কোনদিনই...'

অতিথি লেখক এর ছবি

ফাহিমা,
সব ডাক্তার রাই কিন্তু কাটাকাটি করে না, সবাইকে ছাত্র অবস্থায় কিছুটা করতে হয় এই যা। আমার এই একটা লেখা দেখে ফাইনাল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললে ডাক্তারী পেশার প্রতি তীব্র অবিচার করা হবে। ভালো থেকো। হাসি

রীতু

'সেই যেখানে সারাজীবন বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে...
সেই যেখানে কেউ যায়না, কেউ যায় নি কোনদিনই...'

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখা ভালো লেগেছে রীতুদি চলুক । আমার মা চেয়েছিল আমি ডাক্তার হই কিন্তু আমার এইসব কাটাকাটি একদম পছন্দ না তাই আর ঐদিকে যাইনি। তোমার এই লেখা পড়ে এখন মনে হচ্ছে আমার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। ডাক্তার হয়েও রোগীর জন্য কিছু করতে না পেরে অসহায় অনুভব করার চেয়ে এই আমি ঢের ভালো আছি।

ফাহিমা দিলশাদ

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আয়নামতি এর ছবি

এই লুক এত পপকর্ণ খায় কেনু র‍্যা!

অতিথি লেখক এর ছবি

মুভি দেখতে গেলে মানুষ পপকরন খায় জানতাম, গল্প পড়ে ও যে খায় আজ তা জানলাম। হাসি

রীতু

'সেই যেখানে সারাজীবন বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে...
সেই যেখানে কেউ যায়না, কেউ যায় নি কোনদিনই...'

আয়নামতি এর ছবি

কত রকমের মানুষ আর তাদের সমস্যা দেখতে হয় না রিতুদি?
বিলি ভালো হয়ে উঠুক।

অতিথি লেখক এর ছবি

বিলি ভালোই থাকতে পারত যদি নিজের দিকে খেয়াল রাখত। শরীরের আর কি দোষ, তবে এখন চেষ্টা করছে। যদিও অনেকটাই দেরী হোয়ে গেছে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ, আয়নামতি।

রীতু

'সেই যেখানে সারাজীবন বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে...
সেই যেখানে কেউ যায়না, কেউ যায় নি কোনদিনই...'

এনকিদু এর ছবি

একজন চিকিৎসকের চোখে দেখে লেখা, ভাল লাগল।

ও কোকেন, মারিয়ুয়ানা সব খাবার অভ্যাস আছে, কে জানে কি আছে মনে!

মারিয়ুয়ানা কি খাওয়া হয় ?
মারিয়ুয়ানার বাংলা নেই ?


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

অতিথি লেখক এর ছবি

আমরা চা বা সিগারেট যেমন খাওয়া যেমন বলি, এটাও তেমন খাওয়া আরকি! মারিয়ুয়ানা বলতে বলে অভ্যাস হোয়ে গেছে, তবে বিলি গাঁজা টানে শুনতে ভালো লাগত কিনা ভাবছি। বিলির বদলে হলে গেদু গাঁজা টানে হলে মানিয়ে যেত।
ধন্যবাদ, এনকিদু।

রীতু

'সেই যেখানে সারাজীবন বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে...
সেই যেখানে কেউ যায়না, কেউ যায় নি কোনদিনই...'

এনকিদু এর ছবি

আপনার লেখায় বিলি 'মারিয়ুয়ানা খাবে' নাকি 'গাঁজা টানবে' সেটা ঠিক করার পূর্ন অধিকার এবং স্বাধীনতা আপনার আছে। পাঠক হিসেবে আমার খটকা লাগল তাই মন্তব্য দিলাম। আমার কাছে দিনের শেষে 'চোখের জল কিম্বা পানি নোনতাই থেকে যায়' তাই বিলি, গেদু, চ্যাং আরও অনেকে মিলে একসাথে গাঁজা টানে।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

ডাক্তারদের হ্যাপা ও ভাললাগার বিষয়টা আমি জানিগো আপা যদিও আমি নিজে ডাক্তার না।
ভাল লাগলো তোমার লেখা ও মানসিকতা। ভাল থেক। আনন্দে থেক।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।