'চুত-মা-রানী' ফুলের অঞ্জলী ও 'মহামান্য' আদালত বন্দনা

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৪/০৪/২০০৮ - ৭:১৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পুরনো গল্প নতুন করে মনে পড়ে,মনে পড়িয়ে দেন তাঁরা । তাঁদের অসীম দয়া ।

নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের ছোটরানী কাঁদতে কাঁদতে উষ্ঠাগত প্রানে গিয়ে রাজাকে নালিশ জানালেন-'মহারাজা আপনার সভার প্রধান ভাঁড় গোপাল আমাকে 'চুতমারানী' ডেকেছে ।
রাজা ক্ষেপে উঠে হুকুম দিতে যতো সময় নিলেন তাঁরসিপাই সান্ত্রী তারো আগে গোপালকে ধরে বেঁধে নিয়ে এলো রাজদরবারে ।
রাজা দিলেন হুকুম প্রানদণ্ডের । আদরের রানীকে এতো জঘন্য গালি! প্রানদন্ড তো তবু লঘু শাস্তি...

গোপাল কাঁচুমাচু হয়ে বলে -মহারাজ প্রানদণ্ড দেবেন দিন । আপনার দয়ার শরীর,একবার শুধু এই অভাগার কথা শুনুন'

মহারাজার দয়া হলে গোপাল ইনিয়ে বিনিয়ে বলে- 'যাচ্ছিলাম রাজবাড়ীর সামনে দিয়ে, হাতে ছিলো ফুল । ছোটরানী ডেকে বললেন-'গোপাল ফুলের নাম কি?' ফুলের নাম চুতফুল । রানী মাকে তাই উত্তর দিলাম 'চুত-মা-রানী'

গোপালের আদব লেহাজে মুগ্ধ হয়ে রাজামশাই তার প্রানদন্ড মওকুফ করলেন,রানীমাতা অজস্র স্বর্নমুদ্রা উপঢৌকন দিলেন,চারদিকে ধন্য ধন্য রব উঠলো ।

---
---

আমরা রাজামশাইদের ও বড় দয়ার শরীর ।
ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার স্বার্থে তারা আদালত নামে একখানা রংগশালা বজায় রেখেছেন যার নামের আগে 'মহামান্য ' যুক্ত করার হুকুম আছে ।
আমরা ও গোপালের মতো বশংবদ ভাঁড় । করিনাকো ফোঁসফাঁস,মারিনাকো ঢোসঢাস । রাজামশাই ও তাঁর সান্ত্রীগন চাইলেই আমাদেরকে পিটিয়ে চলেশ রিচিলের মতো লাশ বানিয়ে দিতে পারে, নিদেনপক্ষে আহমেদ নূরের মতো পিটিয়ে হাত পা তো ভেংগে দিতেই পারে ।
তবু মহারাজা দাসানুদাস ভাঁড়দের জন্য ও 'মহামান্য' আদালত রেখেছেন । সেই 'মহামান্য' আদালত আজ বড় চমৎকারা রায় দিলেন এক ।

জরুরী ক্ষমতা বিধিমালার আওতায় দায়ের হওয়া কোন মামলায় উচ্চ আদালতে ও জামিনের আবেদন করা যাবেনা ।

হাহ, যেহেতু এই রায় সর্ব্বোচ্চ আদালতের দেয়া তাই এর কোন সমালোচনা করা যাবেনা,সমালোচনা করা হলে তা হবে 'মহামান্য' আদালতকে অবমাননা ।
যাব্বাবা -ঠেলা সামলা ।

এ যে,জাতিসংঘ ঘোষিত সার্বজনীন মানবাধিকার আইনের ধারা ১১ এর স্পষ্ট লংঘন, 'মহামান্য' আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নাগরিক তা উচ্চারন করবেনা
'Every one has the right to be presumed innocent until proved guilty according to law'
[Article 11, Universal Declaration of Human Rights 1948]

শান্তিপ্রিয় নাগরিক শান্তি বিনষ্ট হবে এই আশংকায় বলবেনা যে, মানুষের বিচার চাওয়ার অধিকার কেউ রুদ্ধ করতে পারেনা । জামিন চাওয়ার সুযোগ বন্ধ করা মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী । মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী কোন অধ্যাদেশ এমনকি সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে ও গৃহীত হতে পারেনা ।

'হয়না,হতে পারেনা'- তবু তাই হয়,তবু তাই হয়ে যায় এই রংগদেশে ।
মানুষ আদালতের বারান্দায় আসতে পারেনা,এমন বিধান কোন সভ্য সমাজে হতে পারেনা । তবু আমরা আদালতের রায়ে শ্রদ্ধাশীল ।

'মহামান্য' আদালত-১৫ কোটি নপুংসক ভাঁড়ের প্রণতি গ্রহন করুন, 'চুত' ফুলের অঞ্জলী নিয়ে আমাদের ধন্য করুন ।


মন্তব্য

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

তারেক এর ছবি

একটু আগে পড়লাম খবরটা। আজিব রঙ্গ! প্রথম আলুর নিউজ লিংক
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍কোনও কথা আসছে না মুখে। বা যা আসছে, তা ছাপার অযোগ্য... ছাপার অযোগ্য... ছাপার অযোগ্য... ছাপার অযোগ্য... ছাপার অযোগ্য...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি একগামী পুরুষ। একমাত্র নারীদের ভালোবাসি চোখ টিপি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আমার মুখে যা আসছে, তার সব কামরাঙা... কামরাঙা... কামরাঙা... কামরাঙা...

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍বলতে চাইছেন, আমার কামরাঙা সিরিজ ছাপার অযোগ্য? মন খারাপ

সিরিজটা তাহলে বন্ধ করে দিতেই হয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি একগামী পুরুষ। একমাত্র নারীদের ভালোবাসি চোখ টিপি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অতিথি লেখক এর ছবি

জরুরি বিধির মামলায় হাইকোটও জামিন দিতে পারবেন না,
এ রায়ের ফলে দেশের নিম্ন আদালত আর উচচ আদালতের অবস্থন এক হয়ে গেছে৷ কেউ জামিন পাবেন না
খবর : প্রথম আলো

যাক, এতদিনে তাহলে উচু নিচুর পার্থক্য ঘুচতে শুরু করলো..
ভালো !
লেখার জন্যে কৃতজ্ঞতা মোরশেদ ভাই

জনৈক "বেক্বল ছড়াকার"

ফকির ইলিয়াস এর ছবি

বিধিমালা নয় , এগুলো এখন বাঙালির নিধিমালা ।
মানলে মানুন, না হয় ফুটুন । আমরা তেমন তদারকিতেই
আছি !

সৌরভ এর ছবি

গোপালের মতোই গালি দিতে ইচ্ছে করছে।
কয়েকদিন আগে দেখলাম, জলপাই চাষের জন্যে আলাদা খামার বানানো হবে। (Bangladesh Univ of Professionals Ordinance)
আজ এই নিউজ!

কই যাই?


আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

ধুসর গোধূলি এর ছবি
শেখ জলিল এর ছবি

আদালতের এ অধ্যাদেশে আমি অতোটা হতাশাবাদী নই।
নয় বছর পরে নব্বই এসেছিলো। এবারকার ব্যাপারটা একটু ভিন্ন হলেও বাঙালি জাগবেই, এ দেয়াল ভাঙবেই, ভাঙবে।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

বিপ্লব রহমান এর ছবি

'মহামান্য' আদালত-১৫ কোটি নপুংসক ভাঁড়ের প্রণতি গ্রহন করুন, 'চুত' ফুলের অঞ্জলী নিয়ে আমাদের ধন্য করুন ।


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আমার কাছে রায়টা খুব ভালো লেগেছে ।
এই সব অভিনয় টভিনয় , ফাজলেমো করার কি আদৌ কোন দরকার আছে ?
সরকার এরা চাইতে এই বেশ ভালো করেছে । সব কিছু পরিষ্কার ।

বিচার টিচার নাই , এটা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে ।
এখন আমাদেরও সময় বাঁচবে , তাদেরও সময় বাঁচবে ।

-----------------------------
কালের ইতিহাসের পাতা
সবাইকে কি দেন বিধাতা?
আমি লিখি সত্য যা তা,
রাজার ভয়ে গীত ভনি না।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ঠিক ।

শামীম এর ছবি

আমাদের গালাগালির প্রতিভা বিকাশে হাইকোর্টের এরকম রায়গুলো যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

চুত ফুলের অর্ঘ্য আমাদের সবাইকে।

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

আমাদের দেশের চাকুরিজীবি আদালত, জনগণের চেয়ে দন্ড বেশি ভালবাসেন।
সব সামরিক শাসকের সিলমোহর হিসেবে কাজ করেছেন তারা। জাতির সংকটে কখনও ঠিক দায়িত্ব পালন করেননি।
হাসান মোরশেদ কে ধন্যবাদ সেখানে আলো ফেলায়।

গোপাল ভাঁড়ের গল্পটা একটু ভিন্নভাবে জানতাম। চুতফুল বলে কোনো ফুল আছে কি না তা জানি না। তবে আমার শোনা গল্পে গোপাল হাঁটছিলেন হাতে একটা আম নিয়ে। আমের একটা প্রতিশব্দ হচ্ছে চ্যুত। ফলে রাণীর প্রশ্নের জবাবে সে বলেছিল, চ্যুত-মা-রাণী।

তবে কিছুদিন আগে প্রধান বিচারপতি কোনো এক সেমিনারে বলেছেন যে, আদালতের রায়ের বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে আলোচনা করা যাবে, তাতে অবমাননা হবে না।
-----------------------------------------------
Those who write clearly have readers, those who write obscurely have commentators.--Albert Camus

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ধন্যবাদ শোহেইল ভাই ।
চাকুরীজীবি আদালত সেই শুরু থেকেই সামরিক শাসনকে হালাল করতে অগ্রনী ছিলো ।
'৭৫ এর পর থেকে প্রতিটি অবৈধ সরকারকে এরা স্বীকৃতি দিয়েছে । আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, আহসান,সাত্তার-সবশালা বিচারপতি ।

আর সমালোচনার অধিকার?
গতকালই 'মহামান্য' আদালত ব্যারিষ্টার রফিক-উল-হক কে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেনঃ- ' সমালোচনার অধিকার শর্তসাপেক্ষ । সমালোচনা বস্তুনিষ্ঠ ও আদালতকে হেয় প্রতিপন্ন না করতে করতে হয়'

xxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxx
...অথবা সময় ছিলো;আমারই অস্তিত্ব ছিলোনা

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

ধ্রুব হাসান এর ছবি

হাসান মোর্শেদ ধন্যবাদ আপনাকে বিষয়টিকে ব্ল্যাক কমেডির আঙ্গিকে উপস্থাপনের জন্য। তবে বাস্তবতার নিরিখে যদি আপনি দেখেন তো আমার মনে হয় এইটা তাদের ওয়ে আউটের বা নিজেদের বাচাঁনোর একটা কৌশলমাত্র! দেখুন যে কোন অভুত্থান বা ক্যু বা বিপ্লব পরবর্তী দু'টি কৌশল বেশ জনপ্রিয়, এক. শত্রু আর প্রতিবিপ্লবীদের হত্যা করা। দুই. গণহারে খুনের পরিবর্তে আইনী প্রক্রিয়ায় শত্রুর ক্ষমতা এমনভাবে নিঃশেষ করা যাতে সে ঘুরে দাড়াঁতে না পারে। যেহেতু বর্তমানের সেনা সমর্থিত সরকার প্রথম কাজটি করেনি নিজেদের বিশ্ব দরবারে হালাল করতে তাই তাদের কাছে দ্বিতীয় পথে যাওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নেই। দেখবেন দেশের সাধারন আইনের মাধ্যমে যখন তিনারা পুরোপুরি নিজেদের নিরাপদ ভাববেন তখনি জরুরী অবস্থাসহ অন্যান্য জরুরী এ্যাকশনও শিথিল হয়ে আসবে......আমার মনে হয় এভাবেই সিষ্টেমটা কাজ করছে......

স্নিগ্ধা এর ছবি

কথাটা আংশিক ভাবে সত্যি হয়তো, অন্তঃত এ পর্য্যন্ত তাই দেখা গেছে। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে যে ওয়ে আউট তো চাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না - যদি সেনা সমর্থিত সরকার সাধারণ আইন অনুযায়ী নিরাপদ বা বৈধ হয়েই যায় তাহলে তো ওয়ে আউট হলো না? এভাবে নীতিমালা/সংবিধান/আইন পরিবর্তন করতে করতে কোথায় গিয়ে যে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের 'এটা করা যায়' আর 'ওটা করা যাবে না' র মধ্যে সীমারেখাটা.........

আর যখন খতিবের কাছে নারী নীতি মালা পাঠানো হয় সংস্কারের জন্য তখনই বোঝা যায় এরপর আরো অনেক কিছুই আসবে, খালি সময়ের অপেক্ষা!

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

একটা কৌতুক শুনেছিলাম- এক আমেরিকান, এক রাশান আর এক বঙ্গ সন্তান এক আড্ডায় যার যার দেশের বুজুরকীর বর্ণনা দিচ্ছিলেন। আমেরিকান বললেন -আমার দেশ এমন এক প্লেন বানিয়েছে য়া একেবারে আকাশ ছুঁয়ে যায়। অপর দুইজন অপার বিস্ময়ে বললেন, সত্যি? আমেরিকান বললেন-এই দুই আঙুল নিচ দিয়ে।
এমনি করে রাশান বললেন সমুদ্রের তলা ছুঁয়ে যাওয়া জাহাজের গর্প।এবং যথারীতি দুই আঙুল উপর দিয়ে যাওয়ার কথা।
বঙ্গ সন্তান শুনালেন নাক দিয়ে ভাত খাওয়ার কৃতিত্ব। যা আমেরিকান-রাশান এর সুত্রানুযায়ি দুই আঙুল নিচেই হবে সই।
এই কৌতুকটা অনেক পুরোনো। এখন আমরা সবাইকে আরো লেটেস্ট কিছু শেখাতে পারি। যেমন এই দেশে তৈরী খাঁটি সিভিল শাসন। শুধুমাত্র দুই আঙুল নিচে........!
বাঙালী এইবার সুপ্রিম কোর্টও দেখিলো।
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

বজলুর রহমান এর ছবি

সবার আল্মারীতেই নরকঙ্কাল আছে -- মঈন, মাসুদ, ফকর, ইয়াজ, ইউনুস, কামাল হোসেন, মতিয়া, এমনকি আপনাদের সবার প্রিয় মুহাম্মদ জাফর ইকবালেরও (অন্য রকম)।

প্রধান বিচারপতিকে সংস্থার লোকেরা বিনীতভাবে বল্লঃ স্যার, আমাদের এই কাগজে একটা লিস্ট আছে, মেহেরবানী করে যদি একটু পড়েন। কম্পমান হাতে তিনি কাগজ নিয়ে দেখলেন, মিথ্যা এফিডেভিট দিয়ে দ্বিতীয় প্লট নেওয়ার এবং আরো অন্যান্য অনিয়মের কিছু প্রমাণ। বললেনঃ আপনারা কি চান। তখন হাতে আরেকটা লিস্ট ধরিয়ে দেওয়া হলো।

এভাবে এক এক করে পুরো এ্যাপেলেট ডিভিসন ম্যানেজ হলো। ওপর থেকে নির্দেশ এলোঃ হাই কোর্ট ডিভিসনে যাওয়ার দরকার নেই, সবার ওপরের লোকই যখন হাতে পাওয়া গেছে। তাছাড়া এর পর এ্যাপেলেট ডিভিসনে যাওয়ার আর প্রধান বিচারপতি নিয়োগের নিয়ম বদলে ফেলা হবে।

বহু আগে এক সময় টিভিতে ইকুয়ালাইজার নামে একটা সিরিজ দেখাত। খুব প্রিয় ছিল সবার। ক্ষমতাবান/প্রভাবশালীকে তাদের অন্যায়ের জন্য শাস্তি দেন এক ব্যক্তি একক উদ্যোগে। মনে হতো - আহা এমন একজন যদি আসলেই থাকত। নেই। শুধুই রোমান্টিক কল্পনা।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ব্যাস... মামলা খতম...
জামিন আবার কিসের? জরুরী ক্ষমতা বইলা কথা!!!
হাহ্ জরুরী ক্ষমতা... এই ক্ষমতা যে সবসময় সক্ষম থাকে না... সেইটাই খালি ক্ষমতাবানরা ভুইল্যা যায়...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাধক শঙ্কু এর ছবি

মানবাধিকার? মানবের আবার অধিকার কিয়ের? এইসব রোম্যান্টিক কথা কইয়া উন্নয়ন পিছাইয়েন না।

পথের বাঁধা সরিয়ে দিন, মানুষকে এগুতে দিন


গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা

অমিত আহমেদ এর ছবি

এখন কিছুতেই বিস্মিত হই না। বরং একটা চাপা ভয় নিয়ে অপেক্ষা করি, সামনে না জানি আরও কি আসছে!


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।