'এই চোরা নয় সহজ চোরা' ।। মুক্তিযুদ্ধের বই চুরি প্রসংগে আরো কিছু ভাবনা

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: বুধ, ১১/০২/২০০৯ - ৭:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

.

১।
বাংলা ব্লগিং শুরুর বহু আগেই মুজিব মেহদী লেখালেখির জগতে পরিচিত নাম । ধারনা করা অমুলক নয়-তাঁর সহলেখকরা ও রাজধানী ঢাকা কেন্দ্রিক লেখালেখি বৃত্তের এ সময়ের পুরোধা ।

অথচ রোকেয়া কবির ও মুজিব মেহদীর যৌথ সৃষ্টি ' মুক্তিযুদ্ধ ও নারী' গ্রন্থ নিয়ে যে ঘটনা/অপঘটনা ঘটলো মুলধারার সংবাদপত্রগুলোতে তা তেমন গুরত্বই পেলোনা ।
এমনকি ঢাকাকেন্দ্রিক সচেতন লেখকগোষ্ঠী ও এই চৌর্যবৃত্তির প্রতিবাদ জানিয়েছেন তেমন কোন সুসংবাদ শোনা যায়নি । মুলধারার লেখকেরা এতোটাই সংঘহীন হয়ে পড়েছেন?

তুলনায়-এই বিষয়টি যথেষ্ট আলোড়ন তুলেছে বাংলা ব্লগিং প্লাটফর্ম ও নেটমিডিয়ায় ।
বাংলা একাডেমী থেকে মুক্তিযুদ্ধের বই চুরি'র প্রতিবাদ জানাই- এ ফেসবুক গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ইতিমধ্যে পাঁচশতাধিক । প্রতিদিন আরো নতুন নতুন মানুষ জন যোগ দিচ্ছেন পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে, এই চৌর্যবৃত্তির প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা ।
ঢাকাবাসী সচলদের অংশগ্রহনে বইমেলায় মানববন্দন ও হয়েছে । অন্যান্য ব্লগে ও ব্লগাররা এ নিয়ে লিখছেন ।

ভাবছি, কথিত মুলধারার লেখক যারা সুযোগ পেলেই নেটের লেখালেখিকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেন, তাদের চেয়ে কি নেটমিডিয়ার লেখিয়েরা অনেক বেশী সংঘবদ্ধ ও প্রানবন্ত হয়ে উঠছে?


২।
মুজিব মেহেদী ফেসবুকে'র এক নোটে মেধাস্বত্ব চোর মেহেদী পলাশকে থুথু নিক্ষেপের যে আহবান জানিয়েছিলেন তার বিরুদ্ধাচারন করে ব্রাত্য রাইসু নামের একজন পালটা নোট লিখেছিলেন ।

ব্রাত্য যুক্তি দিয়ে বলতে চেয়েছেন- মেহেদী পলাশ বই চুরি করে যেমন আইন ভংগ করেছে, অপরাধীকে থুথু ছিটানোর আহবান জানিয়ে মুজিব মেহেদী ও একই অপরাধ করেছেন

কার্যকারনে আমার মনে পড়ে গিয়েছিলো অন্য ব্লগে ঘাতক কামারুজ্জামানের পুত্র ওয়ালী একবার যুক্তি দেখিয়ে বলেছিল- রাজাকাররা যুদ্ধাপরাধী হলে মুক্তিযোদ্ধারা ও যুদ্ধাপরাধী যেহেতু মুক্তিযোদ্ধারা ও যুদ্ধকালীন সময়ে মানুষ হত্যা করেছে ।

আরো মনে পড়লো-আল বদরের নেতা কামারুজ্জামানের আরেক পুত্র ওয়ামী মুক্তিযোদ্ধাদের কুকুর বলে গালি দিয়ে অন্য এক ব্লগে সাধারন ব্লগারদের আন্দোলনের মুখে ব্যান হলে ব্রাত্য রাইসু নামের ঐ ব্যক্তি তার অপযুক্তির হাতিয়ার নিয়ে ঘাতকপুত্রের সপক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন ।

এই নোট-পাল্টা নোটের ফাঁকে আরেকটি ফেসবুক নোট চোখে পড়লো
Why I want to Spit
এই নোটটি লিখেছেন আমাদেরই এক বন্ধু টিএম আহমেদ কায়সার । কবিতা নিয়ে ভীষন সিরিয়াস এই মানুষটি স্বেচ্ছায় সরে থাকছেন সবকিছু থেকে ।
ভালো লাগলো, এরকম একটা প্রসংগে কায়সারের উঠে দাঁড়ানোতে ।


৩।
কোন কোন আলোচনায় দেখলাম কেউ কেউ সমস্ত দোষ চোরা পলাশের উপর চাপিয়ে এমাজউদ্দিন, জসিমউদ্দীনদের রেহাই দিতে প্রানান্ত ।
প্রাথমিকভাবে হুবহু নকলের খবর পাওয়া গেলো ও পরে জানা গেলো কিছুটা সম্পাদনা(?) হয়েছে । স্বাধীনতার ঘোষনা ২৬ মার্চ এর বদলে ২৭ মার্চ হয়েছে, বঙ্গবন্ধু বদলে শেখ মুজিব হয়েছে, নারী বদলে মহিলা হয়েছে, শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে গুরুত্ব দেয়া টেক্সট বাদ গেছে ।
চোরা বইয়ের সম্পাদক এমাজুদ্দিন, জসিমুদ্দীন । তারা ভালোই সম্পাদনা(!) করেছেন ।
এদিকে পলাশ মুজিব মেহেদীকে দীর্ঘ মেইল করেছে । মেইলে সে জানিয়েছে পুরো ঘটনার কান্ডারী এমাজুদ্দিন, জসিমুদ্দিন । সে কেবল শিখন্ডী মাত্র!


৪।
প্রতিক্রিয়াশীল'রা নন-ইস্যুকে ও ইস্যু বানিয়ে তুলকালাম কান্ড ঘটায়(যেমন 'মোহাম্মদ বিড়াল') । আর বাংলাদেশের কুষ্মান্ড প্রগতিশীলরা হাতের কাছে ইস্যু পেয়ে ও ঝিমায় ।
মুজিব মেহেদীর পোষ্ট থেকে জানা গেছে আওয়ামী সরকারের আগের টার্মের শেষদিকে বাংলা একাডেমী মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ভিত্তিক ইতিহাস রচনার যে প্রকল্প গ্রহন করেছিল, জামাত-বিএনপি সরকারের সময় সেই প্রকল্পটি হস্তান্তরিত হয় মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয়ে । সেখান থেকেই সমস্ত মেকানিজম । এমাজুদ্দিন-জসিমুদ্দীনদের তথ্য-বিকৃতির সম্পাদনা ।
এই ইতিহাস-চোররা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে ভোটের রায়ে । এখন যদি এদের বিচার না হয় তাহলে আর কখন?

৫।
আধুনিক শিক্ষিতদের একটা অংশই এই জনপদকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়ার জন্য দারুনভাবে দায়ী ।
'৭৫ এর পরে জিয়া-এরশাদের সামরিক শাসনকে হালাল করেছে বাংলাদেশের বিচারপতিরা । সায়েম ,সাত্তার, আহসান...

১৪ ডিসেম্বর '৭১ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষকদের হত্যার জন্য আল-বদরদের হাতে তালিকা তুলে দিয়েছিল তাদের সহকর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাই ।
কবি ও সম্পাদক সেলিনা পারভীনের নাম সেই তালিকায় কে ঢুকিয়েছিলো? কি জানি , হয়তো ইর্ষাকাতর কোন কবি !

চরম বাম ও চরম ডানরা শেষ পর্যন্ত এক কাতারে মিলে যায় । মিলে গিয়েছিলো তারা '৭১এ । '৭১ থেকে '৭৫ পর্যন্ত সময়ে ও এই দু চরমেরা পরস্পরকে বাঁচিয়ে রেখেছিলো ।

উত্তর-আধুনিকতার ভেক ধরে এসময়ের বুদ্ধিবৃত্তিক ঠিকাদারী যারা নিচ্ছেন, শেষপর্যন্ত তারা কাদের উদ্দেশ্য হাসিল করছেন- সেই শুলুকের সন্ধান হওয়া জরুরী ।
এক একটা ঘটে যাওয়া অপ-ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন বিবেচনা করে বিস্মৃত হয়ে যাওয়া ক'দিন পর- এই চর্চার বদল হওয়া দরকার ।
কেননা-'কিছুই সহজ নয়, কিছুই সহজ নেই আর'


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারি দলটিই এখন ক্ষমতায়; এবং দু:খের সাথে দেখতে হচ্ছে এখন পর্যন্ত এবিষয়ে কোন অগ্রগতি হয়নি। অগ্রগতি হবে তেমন লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

এটাই বলছিঃ

এই ইতিহাস-চোররা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে ভোটের রায়ে । এখন যদি এদের বিচার না হয় তাহলে আর কখন?

সবাই সবকিছু খুব হাল্কা আর বিচ্ছিন্নভাবে দেখছে ।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সত্যিই আমি খুব অবাক হচ্ছি। এতবড় একটা চুরি হয়ে গেল অথচ কিছুই হলোনা। এমন তো নয় যে চোর ধরা খুব কঠিন কাজ। তাহলে সমস্যাটা কোথায়? এটা এমন কোন বিষয়ও নয় যে জনবল নিয়োগ করতে হবে। মুজিব ভাই কতদূর এগুলেন সেটা জানা গেলে হয়তো বোঝা যেত আসলে কিছু হবে কী না।

আধুনিক শিক্ষিতদের একটা অংশই এই জনপদকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়ার জন্য দারুনভাবে দায়ী।
সত্য, নির্মম সত্য। এভাবে আর কতটা এগুনো যায়।

পলাশ দত্ত এর ছবি

এই লেখাটা স্টিকি করার অনুরোধ জানাচ্ছি।।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আরে নাহ । এইটা এমনে এমনেই লেখা
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

পলাশ দত্ত এর ছবি

ওই তো, এমনিএমনিই তো সিরিয়াস কথাগুলো বলে ফেললেন। এটা সেকেন্ড স্টিকি করার অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত হচ্ছে।।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

১। তথাকথিত মুলধারার চেয়ে অন্তর্জালে বিশেষত সচলায়্তনে সংঘবদ্ধতা ও প্রান বেশি -আমি নিজে সেটা উপলব্ধি করছি । আমার লেখাজো্খা শুরুর কালে ('৮৯ সাল ) যদি সচলায়তন আর মুক্তমনার দেখা পেতাম তবে এই আমি ইত্তেফাক, জনকন্ঠ ,যুগান্তর ইত্যাদিতে আদৌ লিখাতাম কিনা সন্দেহ । তথাকথিত মুলধারার লেখকরা যতই তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করুন আজ অনেকেই প্রিন্টেড পত্রিকা পড়েন না , অনলাইন পত্রিকায় একটু নজর দিয়ে সোজা ঢুকে পড়েন ব্লগ আর ই পত্রিকা/ম্যাগজিনে ।

২। "খাড়া হওয়া বিষয়ে নোট" লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু ।

৩। সম্পাদকদ্বয় কো্নভাবেই দায় এড়াতে পারেন না । পলাশের লেখার সাথে আমি যেমন পরিচিত তেমনি পরিচিত সম্পাদকদ্বয় । পলাশের হাত দিয়ে শহিদ জননী জাহানারা ইমাম নাম আসার কথা না , বংবন্ধুও না । সুতরাং পলাশ যে এই পান্ডুলিপি লেখেনি সেই বোধ শুরুতেই তাদের হবার কথা । যদি তাই হয় , তবে আমরা ধরে নিতে পারি যে, তারা জেনে বুঝেই অন্যের পান্ডুলিপি তথাকথিত এডিট করেছেন । তদন্ত -বিচারে দেখি কি হয় ?

৪। যতদুর মনে পড়ে জামাত-বিএনপি সরকারের সময় মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয় থেকে পলাশের আরো কিছু বই বের হয় , সেগুলি কার বই থেকে চুরি কে জানে !

৫। বক্তব্যের সাথে একমত ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ঘটনাটিকে "চুরি" বলাটা খুব বড় আন্ডার-স্টেটমেন্ট। এটা "ডাকাতি" কিংবা "ছিনতাই"।

এই বইটি মুজিব মেহদীর লেখা বই থেকে ছিনতাইকৃত দেখে এটি চোখের সামনে এসেছে। গত বছর পাঁচেক ধরে যে ইতিহাস-বিকৃতি হয়েছে, প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুল-কলেজে যে মিথ্যা বই গেছে, সেগুলোর কী হবে?

দল ক্ষমতায় যাওয়ার আগ পর্যন্ত দলের ছাত্র সংগঠনের কাজ দলের জন্য জনসমর্থন যোগাড়। ক্ষমতায় যাওয়ার পর এদের আর কোন ভূমিকা থাকা আইনত নিষিদ্ধ। এই সময়টায় সরকারী দলের ছাত্র সংগঠনের কাজ হওয়া উচিত আগের আমলের এই ধরণের অপকর্মগুলো সামাজিক ভাবে সংশোধন ও প্রতিহত করার কাজে নেতৃত্ব দেওয়া। শুধু হল দখল করে মামারা খালাশ।

"ডিজিটাল বাংলাদেশ" নিয়ে সবাই অনেক আস্ফালন করেন। প্রধান লক্ষ্যগুলোর একটি হওয়া উচিত দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির একটি আর্কাইভ তৈরি করা। তাহলে দূর থেকে বসেও আমরা ভুলগুলো সনাক্ত করে দিতে সাহায্য করতে পারতাম।

"সম্পাদনা"র কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিবর্গ যা করেছেন, তা এডিটিং কম, সার্জারি বেশি।

চরম বাম ও চরম ডান দু'টোই কেন ও কীভাবে পথভ্রষ্ট, তার ব্যাখ্যার সাথে একমত।

শহীদ জননীকে নিয়ে ভেবে, বলে, কেঁদে লাভ নেই। তাঁকে সব পক্ষের মানুষই অ্যাপেন্ডিসাইটিসের মত করে ট্রিট করেছেন। প্রতিক্রিয়াশীলরা তো বটেই, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের রাজনৈতিক শক্তিও তাঁকে সেভাবেই দেখেন। যতক্ষণ ব্যবহার করা গেছে, করেছে। এরপর তাঁকে একপাশে ফেলে পুনর্বার খৎনা করতে দৌঁড়েছে।

পলাশ সাহেবের ইমেইলের ভাষ্য জানতে খুব ইচ্ছুক।

প্রফাইল [অতিথি] এর ছবি

উত্তর-আধুনিকতার ভেক ধরে এসময়ের বুদ্ধিবৃত্তিক ঠিকাদারী যারা নিচ্ছেন, শেষপর্যন্ত তারা কাদের উদ্দেশ্য হাসিল করছেন- সেই শুলুকের সন্ধান হওয়া জরুরী

ঠিকাদারেরা ত' কর্মদাতার পক্ষই নেবেন, তিনি উত্তর-আধুনিক বা দক্ষিণ-আধুনিক যা-ই হোন না কেন। তবে ব্রাত্যর এহেন প্রতিক্রিয়ায় যারপরনাই নিরাশ হয়েছি, যেমনটা নিরাশ হয়েছিলাম আল মাহমুদের জামাত-টার্নিং দেখে।

স্নিগ্ধা এর ছবি

প্লেজারিযম নিয়ে অনেক সময় অনেক কিছু কানে আসে - কিন্তু মুজিব মেহেদির ক্ষেত্রে যেটা ঘটেছে সেটাও যে সম্ভব, তাও আবার ঢাকারই লেখালেখির জগতে যেখানে হয়তো সবাই সবার মোটামুটি চেনা - এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য!

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কি তথ্যও বিকৃত করা হয়েছে, নাকি শুধু চুরি করেই ক্ষ্যান্ত দেয়া হয়েছে?

আরিফ জেবতিক এর ছবি

টিএম আহমদ কায়সার সাহেব উনার মূল্যবান লেখাটি আপনার মতো কৃতী লেখকদের জন্য লিখিয়াছেন , অন্যদের সেটা পাঠ নিষেধ । আমাদের মতো অন্ত্যজরা তাই সেটা পড়তে পারলুম না ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আজকের "দ্য ডেইলি স্টার"-এর শেষের পাতায় খবরটা এসেছে দেখলাম।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

নজরে আনার জন্য ধন্যবাদ @ অতন্দ্র প্রহরী এখানে নিউজ কপি করে দিলাম -

2 former VCs in plagiarism debate
Book on Liberation War edited by Emajuddin and Jasim Uddin a copy
Pinaki Roy

Two former vice-chancellors of Dhaka University and Jahangirnagar University, and a journalist allegedly plagiarised a research work about the contribution of women in the country's liberation war, and published a book titled 'Women in the Liberation War'.

Original researchers Rokeya Kabir, executive director of women's rights organisation Nari Pragati Sangha, and Mujib Mehedi, a researcher and a poet, alleged that Dr Emajuddin Ahmed, former vice-chancellor of Dhaka University, Dr Jasim Uddin, former vice-chancellor of Jahangirnagar University, and Mehedi Hassan Palash, a senior sub-editor of a vernacular daily the Inqilab, plagiarised their research work.

Both vice-chancellors are known as pro-BNP while Jasim Uddin also has the reputation of having considerable affection for Jamaat.

Jasim Uddin was also awarded the highest state honour for excellence, the Ekushey Padak, by the immediate past BNP-Jamaat-led alliance government in 2006, and Dr Emajuddin Ahmed got the award from a BNP government in 1992.

Comparing the two books, The Daily Star found that the plagiarisers not only copied the original research work, but also conveniently dropped sections of the history of liberation war from it.

The Institute for Environment and Development (IED), published the original research work in 2006 under the title 'Muktijuddho O Nari' [Women and the Liberation War] while Asia Publications published the plagiarised version on the occasion of the internationally prestigious annual Ekushey Book Fair in 2008.

The prices of both books were fixed at Tk 200.

The plagiarised version edited by Dr Emajuddin and Dr Jasim Uddin, and 'written' by Mehedi Hassan Palash, claims that the country's liberation was proclaimed on March 27, 1971, while the real history is that it was proclaimed on March 26, 1971, correctly mentioned in the original book.

The plagiarisers also never mention Bangabandhu when they refer to Sheikh Mujibur Rahman, the supreme leader of the liberation war.

It was also found that from page 28 to page 188 of the plagiarised book was copied from the original one, albeit just conveniently dropping some sections. Even the content lists of the two books are the same, while Dr Emajuddin wrote an introduction for the plagiarised version.

Contributions of eminent women citizens like late Dr Nilima Ibrahim and late Jahanara Imam are missing from the plagiarised book, but present in the original one.

In a written statement Nari Pragati Sangha officially said, Bangla Academy under its 'Muktijuddher Dalil O Itihas Bishoyok Grontho Prokash Prokolpo', a project for publishing books on the liberation war, commissioned the original work to the two original authors in 1999.

Later the manuscript was transferred to the Ministry of Liberation Wars Affairs after the Bangla Academy project was suspended.

The researchers finally had to seek the help of IED for publishing the book, as the liberation war ministry also could not publish it due to a lack of fund. IED published the original book in 2006.

When contacted, Dr Emajuddin Ahmed said Abbas Ali Mia, the project director of the liberation war ministry, hired him and Dr Jasimuddin as editors for a project for chronicling the history of liberation war during the BNP-Jamat-led alliance regime.

Abbas Ali gave them the manuscript of the plagiarised book to edit, but did not tell them that it was not actually written by Mehedi Hassan Palash, Emajuddin claimed.

"We published 12 volumes of the history of liberation war. But there was no fund for that specific book. Later I found that Asia Publications published the book, and came to know that Mehedi Hassan Palash was not the actual writer," Emajuddin told The Daily Star adding, "It should be investigated properly."

Emajuddin also wrote an introduction for the plagiarised book without knowing it was already published two years ago, according to his claim.

Mehedi Hassan Palash however said he was contracted by the ministry of liberation war in 2004, and finished 'his work' in 2005.

"They gave me the manuscript and instructed me to change some of its content, which I did and got paid for it. They were not supposed to publish my name," Mehedi added.

He also said it was Dr Emajuddin who gave the plagiarised manuscript to publisher Ismail Hossain Bakul of Asia Publications. Mehedi got Tk 25,000 from the ministry for 'his work', he said.

He also said he already told the publisher to pullout the book from the market.

"The original researchers also worked for money, and the government basically bought the research," he snapped.

"They should not be upset if the government don't publish their names, since it bought the work," he added.

One of the original authors informed The Daily Star late last night that Palash emailed him and apologised.

The original authors are scheduled to make the allegation public today through a news conference.

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

রাগিব এর ছবি

স্টার এর খবরটি ইন্টারেস্টিং। সব ঠিক মতোই লিখেছে, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে পলাশ ও ভিসিদ্বয় একে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। আর তার সাথে পলাশ নতুন করে অভিযোগ করেছে, মুজিব মেহদী ভাই ও রোকেয়া কবীর বইটি বিক্রি করে দিয়েছেন। মুজিব ভাইয়ের আজকের সাংবাদিক সম্মেলনে কী হলো, জানার ইচ্ছা রইলো।

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

রেজওয়ান এর ছবি

"They should not be upset if the government don't publish their names, since it bought the work," he added.

এই ব্যাপারটি বুঝলাম না। একটি শিল্পকর্ম, ফটোগ্রাফি বা বইয়ের স্বত্ব আমি আইনত কিনে কি আমার নিজের নামে চালাতে পারি? এরকম ভাবনা আসে কেন মনে?

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

এনকিদু এর ছবি

আমিও এই পোস্টটা স্টিকি করার জন্য বিবেচনা করতে অনুরোধ করছি ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

আমিও।
হাত তুললাম।

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

রাগিব এর ছবি
সাইফুল আকবর খান এর ছবি

এদিকে পলাশ মুজিব মেহেদীকে দীর্ঘ মেইল করেছে । মেইলে সে জানিয়েছে পুরো ঘটনার কান্ডারী এমাজুদ্দিন, জসিমুদ্দিন । সে কেবল শিখন্ডী মাত্র!

ইস্! কী পদক্ষেপ নিছে সে! থু! ....

আর, আমাদের শহরের ওই ঠিকাদার রইছুদ্দিন (ব্রাত্য!)-এর যে সমস্যাটা আসলে কই! অয় চায় কী বিশ্বাস করে কী অয় কী জানে নিজে কিছু?! মন খারাপ অ্যাঁ সব জায়গায় গিয়া গিয়া একবার কইরা বামহাত ঢুকানের বুদ্ধিবৃত্তিক ঠিকাদারি-টা তারে দিলো কে?! মন খারাপ

খুব নিদারুণ ভালো লিখছেন মোরশেদ ভাই! আগুনে জ্বালানোর মতোই। কিন্তু আমগো কেরোসি-ও বুঝি ফুরায়া যাইতেছে একদিনের চে আরেকদিন ওইসব বুদ্ধি-জোচ্চোরগুলানের উত্তরোত্তর ডাকাতিতে!

একদমই বিচ্ছিন্ন না এইগুলার কোনোটাই। ভয়ঙ্করভাবে সংশ্লিষ্ট! নিঃসহায়ভাবে জড়িত! জানি না উত্তরণ কী, আদৌ আছে কি না! কষ্ট লাগে খুব বেশি।

তবু, এইবার এইটার একটা বিহিত করতে তো হইবো। সত্যিই, এখন না হইলে কখন?! মন খারাপ

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

কীর্তিনাশা এর ছবি

রাগ হয় ! প্রচন্ড রাগ হয় !!

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সুমন সুপান্থ এর ছবি

কিচ্ছু বলার নেই ! সেল্যুকাস ! তোরে ধন্যবাদ, দায় এড়ানোর সময়ে তুই দায় বোধ করলি, আমরা তো কেবল নিজেরই ঢোল বাজাচ্ছি সমানে ...!

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

তীরন্দাজ এর ছবি

বই চোর আর তাদের সহযোগীদের প্রতি ঘৃণা তো বটেই, তার তারচেয়ে বেশী ঘৃনা এই তথাকথিত কবি ব্রাত্য রাইসুর প্রতি। নিজেকে মনযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে আনার জন্যে কতো কিই না করে যাচ্ছেন এই কবি নামের (ভদ্রলোক?)!

যেখানে একজন লেখকের প্রতি তার সহর্মিতা কাম্য, যেখানে তিনি চোরের প্রতি সহানুভুতি দেখিয়ে তিরস্কার করেন মুজিব মেহদীকেই। এ ধরণের ভন্ডামো মগজে নিয়ে কবিতা কি করে আসে, বুঝি না। অথচ চুরিটি যে একেবারেই পুকুর চুবি, তাতে তো কারো সন্দেহ থাকার অবকাশ নেই। সেখানে কি মুজিব মেহেদীর যন্ত্রণা তাকে সামান্যও ছুয়ে যায়না?

অবশ্য ব্রাত্য সাহেবের কাছে এটা আশা করাই বৃথা। মৌলবাদীরা যখন ভাস্কর্য ভাংলো, তখন তিনি ভাস্কর্য তার পছন্দনীয় নয়, এই দোহাই তুলে সে সব মৌলবাদীদের প্রতিই সমর্থন জানিয়েছেন। ছি! এসব সুবিধাবাদী, তথাকথিত বুদ্ধিজীবি চরিত্রগুলোকে এভাবে ইতস্তত নড়াচড়া করতে দেখলে সাপের মতো মনে হয় আমার।

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

নিবিড় এর ছবি

আসলে এখন ব্যাপার দেখে মনে পড়ছে মানিক ভাইয়ের ট্যাগে দেওয়া মুজিব মেহেদী ভাইয়ের কবিতার অংশ বিশেষ-
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে
ঘৃণা রইল প্রতারনায় সহায়তাকারী জ্ঞানপাপী দুই শিক্ষকের প্রতি ।
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

হিমু এর ছবি

চোরের ছিঁচকে আড়কাঠির কি এই মনোযোগ প্রাপ্য?


হাঁটুপানির জলদস্যু

হাসান মোরশেদ এর ছবি

মনোযোগ আসলে দেয়া হচ্ছে একটা সংযোগের প্রতি ।
মহাচোর,বড়চোর,ছোট চোর, চোরের আড়কাঠি সবগুলো যে একই সুত্রবদ্ধ এই বিষয়টা নজরে আনতে চাচ্ছি ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

রণদীপম বসু এর ছবি

এইসব ভণ্ড শিক্ষক-লেখকদের ছিনতাই-রাহাজানীবাজীকে ঘৃণা তো অবশ্যই, সাথে সাথে এই আশঙ্কাটাও আজ তীব্র হয়ে উঠছে যে, আমরা যারা টুকটাক লেখালেখির সাথে জড়িত থেকে প্রিয় লেখাগুলোকে সীমাবদ্ধ সামর্থের কারণে প্রিণ্টিং-কভারে না এনে অন-লাইনে জমিয়ে রাখছি, সেগুলো কতোটা নিরাপদ থাকছে ? আড়ালে-অজ্ঞাতে মেধাসত্বগুলো যে চুরি হয়ে যাচ্ছে না, তা নিশ্চিৎ হই কী করে ?
তা নিরাপদ রাখার উপায় কী ?

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

রাফি এর ছবি

আজকে আটটার খবরে বিটিভি ঘটনাটার কাভারেজ দিয়েছে। আশা করছি দ্রুতই দোষীদের যথাযোগ্য শাস্তি হবে।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

সাধু এর ছবি

লেখাটি খুবই প্রতিবাদী হয়েছে, এটাকে স্টিকি করার দাবি রইল ।

শাহ্ আসাদুজ্জামান এর ছবি

সমর্থন।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভাবছি, কথিত মুলধারার লেখক যারা সুযোগ পেলেই নেটের লেখালেখিকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেন, তাদের চেয়ে কি নেটমিডিয়ার লেখিয়েরা অনেক বেশী সংঘবদ্ধ ও প্রানবন্ত হয়ে উঠছে?

হ্যাঁ বলেই ধারণা করি।

আর এই ইসু্তে ব্রাত্য রাইসুকে খুব মনোযোগ না দেওয়াটাই ভালো হবে। মূল কাজটাই এগিয়ে চলুক।

আজকে খুব ঝামেলায় ছিলাম, তাই সংবাদ সম্মেলনে থাকতে পারিনি বলে খারাপ লাগছে।

এর প্রচারণা বাড়ানো প্রয়োজন। মেলায় একটা ব্যাণার স্টিকি করে রাখা যায় না?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আর এই ইসু্তে ব্রাত্য রাইসুকে খুব মনোযোগ না দেওয়াটাই ভালো হবে। মূল কাজটাই এগিয়ে চলুক।

কোন একক ব্যক্তিকে মনোযোগ দেয়া উদ্দেশ্য নয় ।
মুল কাজটা এগিয়ে নেয়ার জন্য এই উপলব্ধিটা জরুরী যে- চোরা পলাশ একা নয়, পতিত বুদ্ধিজীবি উপাচার্য থেকে শুরু করে ভেকধারী কবি পর্যন্ত একটা সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী । চোরকে দিয়ে কেউ চুরি করায় আর ধরা পড়লে কেউ চোরকে বাঁচানোর গান গায় ।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

তুচ্ছ করেন, কারণ - অন্তর্জালে এসব চোরদের ধরাধরি নিয়ে ব্যাপক ঘটনা হয় ।

রাগিব এর ছবি

আজকের প্রথম আলোর ভিতরের পাতায় এসেছে
----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

হিমু এর ছবি

2009_02_12_13_14_b

ইমেজ সংস্করণ যুক্ত করলাম।

সবার কাছে অনুরোধ রইলো, প্রথম আলো পত্রিকার খবর যোগানোর জন্য লিঙ্কের পরিবর্তে ইমেজ ব্যবহার করুন। এ জন্যে www.e-prothom-alo.com ব্যবহার করতে পারেন। ইমেজটি সরাসরি লিঙ্ক করবেন না, সেইভ করে ফ্লিকারে আপলোড করে এমবেড করুন। একটু খাটনি হবে, কিন্তু সুফল পাবেন। কারণ লিঙ্ক কিছুদিন পর সমস্যা করে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ই-প্রথমালোতেও ভূতাছে। যেমন গত বছর জুলাই মাসে সচলায়তনের বিরুদ্ধে জনাব সুমন রহমানের বিষোদগারটির ইমেজ কপি সংরক্ষণ করতে গিয়ে দেখলাম ঐ বিশেষ তারিখে সেই পাতাই হাওয়া হয়ে গেছে হাসি । কাজেই কিছু ঘটলে সাথে সাথেই ইমেজ সংরক্ষণ করুন, দিন গড়ালে ভূতের প্রকোপ বাড়ে।

মেহেদী হাসান পলাশের চিঠিটি কি যোগ করা যায় পোস্টে?


হাঁটুপানির জলদস্যু

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সকলের আগ্রহে চোরা পলাশের চিঠিটি যুক্ত করা হলোঃ-
--------------------------------------------------------------

বরাবর
রোকেয়া কবীর
নির্বাহী পরিচালক
নারী প্রগতি সংঘ।

বিষয়: মুক্তিযুদ্ধে নারী বিষয়ক বইয়ে সাথে আমার সংশ্লিষ্টতা প্রসঙ্গ

জনাব
শুভেচ্ছা জানবেন।
গত কয়েকদিন আগে কয়েকটি জাতীয় পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারলাম রচয়িতা হিসাবে আমার নামে প্রকাশিত ও প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ ও প্রফেসর ড. জসীমউদ্দিন আহমদের সম্পাদিত ‘মুক্তিযুদ্ধে নারী’ বইটি আপনার ও মুজিব মেহেদীর রচিত ‘মুক্তিযুদ্ধ ও নারী’ বইটির হুবহু নকল। বিষয়টি জেনে আমি বিস্মিত হই এবং বইমেলা থেকে আপনাদের রচিত বইটি সংগ্রহ করি। বইটি পাঠের পর আমি বিস্ময়করভাবে মিল লক্ষ্য করে চরমভাবে লজ্জিত হই। একজন লেখকের জন্য এটি কতটা লজ্জার তা আমি বুঝতে পারছি এবং একই সাথে এই কাকতালীয় ঘটনার সাথে আমার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি আপনার কাছে খোলামেলাভাবে প্রকাশ করতে চাই।

আনুমানিক ২০০৪ সালে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে আমাকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদান বিষযে আমাকে একটি বই লেখার দায়িত্ব দেয়া হয় এবং সেই সাথে আমাকে প্রায় শতেক পৃষ্ঠা প্রিন্টেড ফটোকপি, অসংখ্য পেপার কাটিং ও কিছু প্রকাশিত বই সরবরাহ করা হয়। এ ফোর সাইজের প্রিন্টেড ফটোকপি কোনো বই আকারে ছিলো না। বা তাতে কারো কোনো নামও ছিল না।
প্রিন্টেড কপির ব্যাপারে আমি প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের কাছে জানতে চাইলে তারা আমাকে জানায়, এটি অনেক আগের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প থেকে তারা পেয়েছেন। কাজেই এটি কারা করেছে তা তারা জানেন না। তারা আমাকে এও জানায়, এর সাথে অনেক লোক যুক্ত ছিল। তারা আমাকে আরো বলে, যারাই করুক সরকার তাদের পয়সা দিয়ে দিয়েছে কাজেই এটি এখন সরকারী সম্পত্তি। আমি প্রিন্টেড ফটোকপিগুলো পড়ে সেটাকে বেশ সুসম্পাদিত মনে হয়। কাজেই আমি ঐ প্রিন্টেড ফটোকপিগুলোকে ভিত্তি ধরে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা মোতাবেক তাতে আরও অনেককিছু সংযোজন ও বিয়োজন করে ‘মুক্তিযুদ্ধে নারী’ নাম দিয়ে একটি পান্ডুলিপি মন্ত্রণালয়ে জমা দেই এবং আমার সম্মানী গ্রহণ করি।

যেহেতু প্রকল্পের সাথে আমার চুক্তি মোতাবেক মুক্তিযুদ্ধে নারী বইটি কোনো ব্যক্তির নামে প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল না সেকারণে আমি ঐ পান্ডুলিপিতে লেখক হিসাবে আমার নাম দিইনি ও দেয়ার সুযোগও ছিলনা। বলা হয়েছিল, যেহেতু অনেক লোক এর সাথে জড়িত কাজেই বইটি প্রকাশের সময় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যে ভূমিকা দেয়া হবে তাতে সংশ্লিষ্ট সবার নাম দেয়া হবে। এ বইয়ের রচয়িতা এখন প্রকল্প স্বয়ং। সম্ভবত ২০০৫ সালে জমা দেয়ার পর পান্ডুলিপিটি মূল্যায়ন কমিটিতে পাঠানো হয়। তখন মন্ত্রণালয়ে প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির সমন্বয়ে একটি মূল্যায়ন কমিটি করা হয়েছিল যাদের অন্যতম ছিলেন প্রফেসর ড. জসীমউদ্দীন আহমেদ। আমার প্রদত্ত পান্ডুলিপিটি কয়েক সেট ফটোকপি করে মূল্যায়ন কমিটির সবাইকে এক সেট করে দেয়া হয় মূল্যায়নের জন্য। প্রকল্প সূত্রে আমি জেনেছি, শুধুমাত্র কোনো একজন সদস্যের আপত্তির কারণে পান্ডুলিপিটি প্রকাশের উপোযোগী বলে বিবেচিত হয়নি। এরপর আমি প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের কাছে পান্ডুলিপির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা আমাকে জানায়, আপনি কাজ করেছেন ও সম্মানী পেয়েছেন। বাকি চিন্তুা আপনার এখতিয়ার বহির্ভূত। এর কিছুদিন পর প্রকল্পটি সরকার বাতিল ঘোষণা করে। আমারও এ বিষয়ে কোনো আগ্রহ ছিলো না আর।

এরপর ২০০৬ সাল ও ২০০৭ সাল চলে যায়। ২০০৮ সালের শুরুতে এশিয়া পাবলিকেশন্সের ইসমাইল হোসেন বকুল সাহেব আমার কাছে একটি ছবিসহ বায়োডাটা চান। আমি তার কাছে কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনাদের সম্পাদিত বইয়ের ফ্লাপে আপনার বায়োডাটা ছাপা হবে। আমি তাকে বলি, আমি তো আপনাকে কোনো পান্ডুলিপি দিইনি। উত্তরে তিনি বলেন, আপনি দেননি এমাজউদ্দিন স্যার দিয়েছেন। আমি তাকে আবার বলি কিন্তু আমি তো তাঁর সাথে কোনা বই সম্পাদনা করিনি। তখন তিনি বলেন, কেন আপনি এমাজউদ্দিন স্যার ও জসিমউদ্দিন স্যার মিলে মুক্তিযুদ্ধের উপর একটি বই সম্পাদনা করেননি? আমি বলি, নাতো। তখন বকুল বলেন, কেন এমাজউদ্দিন স্যারের বাসায় জসীমউদ্দিন স্যার আমাকে একটি বইয়ের পান্ডুলিপি দেয় এবং সেখানে তারা পান্ডুলিপিতে নিজ হাতে তাদের সাথে সম্পাদক হিসাবে আপনার নাম লিখে দিয়েছে। আমি জানতে চাইলাম কি বই? তখন বকুল বলে ‘মুক্তিযুদ্ধে নারী’। এসময় আমি পুরো বিষয়টি বুঝতে পারি এবং এ বইয়ের সাথে আমার পূর্বাপর সংশ্লিষ্টতার সকল ঘটনা তাকে খুলে বলি। এবং তাকে এও বলি যে, যেহেতু বইটি আমি একটি সরকারী প্রজেক্টে জমা দিয়েছিলাম কাজেই চুক্তি মোতাবেক বাইরে থেকে এ বই ছাপা হলে আইনগত ঝামেলা হতে পারে। তখন বকুল সাহেব আমাকে এমাজউদ্দিন স্যারের সাথে কথা বলতে বলেন এবং এও বলেন যে, তিনজন সম্পাদক কেমন দেখায়, একজন রচয়িতা হলে ভাল হয়। আপনিতো বইটির মূল কাজ করেছেন। আপনি বইটির রচয়িতা হন। উনারাতো শুধু কিছু কোট আনকোট তুলেছেন, আর তথ্যসূচী পেছনে নিয়ে গেছেন। আমি তাকে আবারো সরকারী প্রজেক্টের কথা বলে আইনগত ঝামেলার কথা জানিয়ে বইটি না প্রকাশ করার অনুরোধ জানালে তিনি বলেন, আমার প্রুফ দেখা ফাইনাল হয়ে গেছে, তাছাড়া বইটি তো আমি আপনার কাছ থেকে নিইনি। আপনার কিছু বলার থাকলে আপনি এমাজউদ্দিন স্যারের সাথে কথা বলেন।

এরপর আমি এমাজউদ্দিন স্যারকে ফোন করলে তিনি বলেন, বাপু তুমি একটু জসীমউদ্দিন সাহেবের সাথে কথা বলো, উনিই বইটি করার উদ্যোগ নিয়েছেন। তখন আমি প্রফেসর জসীমউদ্দিন স্যারের সাথে কথা বলি এবং তাকেও আইনগত ঝামেলার কথা জানায়। তিনি আমাকে জানান, যেহেতু প্রকল্প শেষ হয়ে গেছে কাজেই কোনো আইনগত ঝামেলা হবেনা। এরপর আমি তাকে প্রকাশকের মতামত জানালে তিনি বলেন, যেহেতু মূল পান্ডুলিপিটি আপনার করা কাজেই রচয়িতা হিসাবে আপনার নাম যেতেই পারে(আমার বিবেক ও মন বলছে পুরো প্রক্রিয়ার সাথে একই একটি অন্যায় আমি করেছি)। এর কয়েকদিন পর প্রকাশক বকুল সাহেব আমাকে টেলিফোনে জানায়, জসীম উদ্দিন স্যার তাকে ফোন করে রচয়িতা হিসাবে আমার নাম দিতে নির্দেশ করেছেন।

এরপর ২০০৮ সালের একুশে বইমেলায় বইটি ছাপা হলে মেলায় তার স্টলে গিয়ে আমি বইটি দেখতে পাই। দেখতে পায় রচয়িতা হিসাবে আমার নাম ছাপা হলেও তা বইয়ের কাভারে না দিয়ে ভেতরে অনুল্লেখ্যভাবে ছেপেছে। অথচ বইয়ের কভারে সম্পাদক হিসাবে প্রফেসর এমাজউদ্দীন স্যার ও জসীমউদ্দিন স্যারের নাম ছাপা হয়েছে। আবার রচয়িতা হিসাবে ফ্লাপে আমার পরিচিতিও ৩ নম্বরে খুব ছোটো আকারে ছাপা হয়েছে। অন্যদিকে বইয়ের পুটে সাধারণত লেখকের নাম ছাপা হলেও এ ক্ষেত্রে আমাকে বাদ দিয়ে এমাজউদ্দিন স্যার ও জসীমউদ্দিন স্যারের নাম ছাপা হয়েছে। বিষয়টি কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনার কাছ থেকেতো আমি বইটি পাইনি। এরপর স্টলে দাঁড়িয়ে আমি সৌজন্য সংখ্যা চাইলে তিনি আমাকে বলেন, কোনো সৌজন্য সংখ্যা দেয়া যাবে না। দুই স্যারকে দিতে দিতে ফতুর হয়ে গেলাম। পরে আমি নিজের টাকা দিয়ে এককপি বই ক্রয় করি। এরপর তার কাছে বহুবার সৌজন্য সংখ্যা চাইলে সে আমাকে বলে দুই স্যারকে ২৫ কপি করে লেখক সংখ্যা দিয়েছি ৫০ কপি, এর বেশী দিতে পারবোনা। কিছু কথার পরে বলে, এখন আর ছাপা নেই পরে ছাপলে দেবো। পরে আজ থেকে মাস ছয়েক আগে প্রকাশক আমার অফিসের ঠিকানায় ৫ কপি সৌজন্য সংখ্যা পাঠায়।

এ বিষয়ে আমি দৃঢ়তার সাথে কয়েকটি কথা বলতে চাই, তা হলো
১. এই বইটি প্রকাশের জন্য আমি কোনো প্রকার পান্ডুলিপি প্রকাশককে দিইনি। এবং
২. এ ব্যাপারে প্রকাশকের সাথে কোনো প্রকার চুক্তিবদ্ধও হয়নি(আপনারা প্রকাশকের কাছে চুক্তিবদ্ধের কপি দেখতে চাইতে পারেন)।
৩. তার কাছ থেকে ১ টাকাও লাভবান হয়নি(৫ কপি সৌজন্য সংখ্যা বাদে)।
৪. মন্ত্রণালয় থেকে প্রদত্ত ফটোকপিগুলো যে জনাবা রোকেয়া কবির ও মুজিব মাসুদের দেয়া পান্ডুলিপি তা আমি জানতাম না।
৫. মুক্তিযুদ্ধ ও নারী নামে হুবহু একই বই বাজারে ছাপা হয়েছে তাও জানতাম না।

তবু স্যারদ্বয়ের দেয়া সম্পাদক তালিকা থেকে রচয়িতা হিসাবে আমার নামে প্রদানে সম্মতিটুকু এই বইয়ের সাথে আমার সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ করেÑ যা সত্যিকার অর্থেই একটি ভুল। এরজন্য আমি চরমবাবে লজ্জিত ও দু:খিত। একজন লেখক হিসাবে আমি বুঝি এটা কতটা অবমাননাকর। যদিও পুরো বিষয়টির বেশিরভাগই আমার অজ্ঞাতে ও অনিচ্ছাতেই ঘটেছে। তবুও আমি পূণর্বার এর ঘটনার জন্য দু:খ ও লজ্জা প্রকাশ করছি এবং সেই সাথে বইটি থেকে রচয়িতা হিসাবে আমার নাম প্রত্যাহার করছি। এই চিঠির অনুলিপি প্রদানের মাধ্যমে আমি প্রকাশককে আমার নাম রচয়িতা হিসাবে বই থেকে বাদ দেয়ার অনুরোধ করছি এবং একই সাথে বইটি ছাপা, প্রদর্শন ও বিক্রয় বন্ধের অনুরোধ জানাচ্ছি। আশাকরি এ পত্রের মাধ্যমে উল্লিখিত বইটির সাথে আমি আমার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি পরিস্কার করতে পেরেছি এবং এ সাথে আমার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে সকল ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে এও আশা করছি।

ধন্যবাদান্তে
আপনার একান্ত

(মেহেদী হাসান পলাশ)

অনুলিপি
মহাপরিচালক, বাংলা একাডেমী।
জনাব, মুজিব মাসুদ, লেখক- মুক্তিযুদ্ধ ও নারী।
জনাব, ইসমাইল হোসেন বকুল, প্রকাশক, এশিয়া পাবলিকেশন্স
পলাশ সরকার, স্টাফ রিাের্টার যায়যায়দিন
বার্তা সম্পাদক, যায়যায়দিন।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- পলাশ সাহেবের বিশাল চিঠিটা আমার মতো আনাড়ির কাছেও শতভাগ খাঁটি মনে হয়নি।

তিনি এতো কিছু হয়ে যাবার পরে কেনো হঠাৎ বইটির প্রকাশ, প্রচার ও বিক্রি বন্ধে এতোটা কাতর হয়ে উঠলেন? তাঁর ভেতরের যে 'খারাপ লাগা'র কথা তিনি বললেন সেটা এতোদিন কোথায় ছিলো, জানতে বড়ই জানতে ইচ্ছে করে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

শাহ্ আসাদুজ্জামান এর ছবি

মহাচোর,বড়চোর,ছোট চোর, চোরের আড়কাঠি সবগুলো যে একই সুত্রবদ্ধ এই বিষয়টা নজরে আনতে চাচ্ছি ।

এটাই সবচে গুরুত্বপূর্ণ কথা। ব্যপারটা কেবলই বই চুরি নয়, আরো বড়, গভীর কিছু।
সবার মনোযোগ যখন বাড়বে, তখন বিষয়টাকে নিছক প্লেজারিজম বলে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলবে। মহাচোরেরা তো সবসময়েই মুখোশের আড়ালে থেকে যায়।

আশার কথা হল বড়চোর আর ছোটচোরে কাইজ্যা লেগেছে, ওটারে বাড়তে দেন, তাইলে সব ফাস হয়া যাবে। ছোটচোর বড়চোর সবাই কি বলে সেটা ছাপায়া দেন।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

প্রথম আলোর রিপোর্টে এমাজউদ্দীনের বক্তব্য আর চোরা পলাশের চিঠির বক্তব্য কিন্তু দু'রকম
কড়া তদন্ত হলে অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে এই ঘটনা থেকে

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

রাগিব এর ছবি

আর কোনো পত্রিকায় দেখলাম না এখনো। ডেইলি স্টারে কালকের আগেই এসেছে। কিন্তু আজকে আর কোথাও দেখছি না। কেউ খবরটা পেলে লিংক দিয়ে দিয়েন।

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- দাদা, ব্রাত্য রাইসুকে নিয়ে আসলে বলার কিছুই নাই। এই লোক ভয়ানক অশ্লীলভাবে হলেও লাইম লাইটে থাকতে চায় 'সামহাউ'।

কষ্ট হচ্ছে অধ্যাপক এমাজ উদ্দীন এবং ড. জসীম উদ্দীন সাহেবদ্বের জন্য। তাঁর আমাদের দেশের সবচেয়ে নামকরা দুটো উচ্চ বিদ্যাপিঠের কর্ণধার ছিলেন একটা সময় বেশ দাপটের সাথেই। তাঁদের মতো উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তিত্বরা যদি এরকম নীচু মানের চৌর্যবৃত্তিতে প্রকাশ্য ইন্ধন দেন তাহলে আমাদের যা অর্জন তা আসলে কোথায় গিয়ে নামে?

মুজিব ভাইকে অনুরোধ করবো সংবাদ সম্মেলনের আপডেট জানানোর জন্য। এবং পাশাপাশি অনুরোধ করবো তিনি এবং তাঁর সহ-লেখিকা যেনো কোনো কিছুতেই আপোষ না করেন। এই বুদ্ধিভিত্তিক চৌর্যবৃত্তির মূলোৎপাটন এখনই করা উচিৎ, অনেক বেশি দেরী হয়ে যাওয়ার আগেই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

লালন থালে বলতেন, "এসব দেখি চোরার হাটবাজার"!!
উদ্দিন ভিসি'জ কে কোনভাবেই দায়মুক্তি দেয়া উচিত না।

প্রসঙ্গত আরেকটা তথ্য দিয়ে রাখি ... যদিও রাজনৈতিক কারণ এই তথ্যটার সাথে জড়িত হবার সম্ভাবনা নেই
বিডিনিউজ২৪ এর ব্লগে দেখলাম রেজাউল করিম সুমন নামক একজন ব্লগার জুলফিকার নিউটন নামের আরেকজনের মুখোশ একেবারে খুলে দিয়েছেন ... তাঁকে আবার মুখবন্ধ লিখে দিয়েছেন অধ্যাপক কবীর চৌধুরী!!!

আমার শুদুঃ মনে হলো, দেশের ভেতর এরকম কত চৌর্য্যবৃত্তি হচ্ছে কে জানে!!!
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

পলাশ যেহেতু মুজিব মেহেদীর কাছে ই-মেইলে স্বীকার করেছেই ব্যাপারটা, কাজেই একটা ভালো প্রমাণ হাতে রয়ে গেল।
এখন তাকে প্রস্তাব দেয়া যায় যে সে যাতে পত্রিকায় ক্ষমাপ্রার্থনা চেয়ে একটা নোট লিখে দেয়। বাজার থেকে চোরাই বইগুলো যাতে উঠিয়ে নেবার নির্দেশ দেয়া হয়।

তবে আইনি ক্ষেত্রে যে দুশ্চিন্তাটা থেকে যাচ্ছে, তা হলো, যদিও আসল লেখকদ্বয় মন্ত্রনালয়/একাডেমী থেকে প্রাপ্ত ফান্ড ফেরৎ দিয়ে পান্ডুলিপি ফিরে পাবার আবেদন করেছেন, তাও যেহেতু, বাংলাদেশের শুধু সরকারী না, বেসরকারী সংস্থাগুলোরও "চিঠি পাইনি" বলে মামলা ডিশমিশ করে দেবার একটা কড়া বাতিক আছে, তাই লেখকদের বিরুদ্ধে "মন্ত্রণালয়ের ফান্ড নিয়ে কাজ করে অন্য প্রকাশনা থেকে বই প্রকাশের দায়" চাপিয়ে দেবার একটা কূটনো খেলা হতে পারে ... সেক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়কে পাঠানো "টাকা ফেরৎ দিয়ে পান্ডুলিপি ফেরত পাবার দরখাস্তের" কপি অবশ্যই হাতের কাছে রাখতে হবে ...
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

মুজিব মেহদী এর ছবি

নোট : এখানে গতকালের সংবাদ সম্মেলনে প্রদত্ত বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীরের বক্তব্যের কপি দেয়া হলো। পাণ্ডুলিপির ক্রেডিট আমাদের দুজনেরই। তবু এ বক্তব্যে কারো মধ্যে কোনো প্রশ্ন তৈরি হলে দয়া করে দুবার ভাববেন। আশা করি জবাব পেয়ে যাবেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ‘মুক্তিযুদ্ধে নারী’ নামক পাণ্ডুলিপি চুরির কার্যকর তদন্ত, প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ, প্রফেসর জসীম উদ্দিন আহমদ, মেহেদী হাসান পলাশসহ জড়িত সকলের শাস্তি এবং এশিয়া পাবলিকেশনস প্রকাশিত নকল বইয়ের সকল কপি বাজেয়াপ্তকরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন

কনফারেন্স হল, জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা
১১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯

আয়োজনে
বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) ও ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি)

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুরা
আপনারা জানেন, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) নব্বইয়ের দশক থেকে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে নারীদের অংশগ্রহণ ও অবদান জনসমক্ষে তুলে ধরবার লক্ষ্যে একাধিক গবেষণাধর্মী ও তথ্যভিত্তিক গ্রন্থ প্রণয়ন করেছে, যে গ্রন্থগুলো বাঙালি কীর্তিমান নারীদের জীবন ও কর্ম সম্পর্কে কার্যোপযোগী ধারণা দেয়। রেফারেন্স বই হিসেবেও যেগুলো অনেকেই ব্যবহার করেন। বাংলা একাডেমীর ‘মুক্তিযুদ্ধের দলিল ও ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ প্রকাশ প্রকল্প’-এর আওতায় ১৯৯৯ সালে বিএনপিএস-এর নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীরের ‘মুক্তিযুদ্ধে নারী’ গ্রন্থের পাণ্ডুলিপি প্রণয়নের দায়িত্ব গ্রহণ এরই ধারাবাহিকতা।

প্রিয় সাংবাদিক বোন ও ভাইয়েরা
দীর্ঘ পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত পাণ্ডুলিপি আমি যথাসময়ে বাংলা একাডেমীর তৎকালীন পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সুকুমার বিশ্বাসের মাধ্যমে বাংলা একাডেমীকে হস্তান্তর করি। বিশেষজ্ঞ কমিটির দ্বারা পরীক্ষিত হবার পর পাণ্ডুলিপিতে যে সমস্ত সংশোধনের সুপারিশ আনা হয় তাও আমি যথাসময়ে সম্পাদন করে দেই।

পরবর্তী সময়ে, ২০০১-এ সরকার পরিবর্তনের পর এই প্রকল্পের সমস্ত ডকুমেন্টস মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তরিত হয়। কিন্তু দীর্ঘ অপেক্ষার পরও পাণ্ডুলিপিটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত না-হওয়ায় আমরা ৩ নভেম্বর ২০০২ তারিখে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের আওতায় নবগঠিত পাণ্ডুলিপি প্রত্যয়ন কমিটির সভাপতি বরাবরে পাণ্ডুলিপিটি প্রত্যাহার করে নেবার আগ্রহের কথা জানাই এবং এ দায়িত্ব পালনের বিপরীতে বাংলা একাডেমী থেকে গৃহীত অর্থ ফেরত দেবার কথাও জানাই। কিন্তু দীর্ঘ ৩ বছরেও এ মর্মে কোনো সাড়া না-পেয়ে এবং মুক্তিযুদ্ধে নারীর অংশগ্রহণ বিষয়ে মানসম্পন্ন ইতিহাস বই প্রকাশিত হওয়া দরকার মনে করে ওই সময় পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা নারী বিষয়ে প্রাপ্ত তথ্য আমার সহকর্মী মুজিব মেহদীর সহায়তায় সন্নিবেশপূর্বক পাণ্ডুলিপিটি প্রকাশের জন্য ২০০৫-এ ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি)-কে অনুরোধ করলে আইইডি ২০০৬-এর ফেব্রুয়ারিতে তা গ্রন্থাকারে প্রকাশ করে, যার গ্রন্থকার রোকেয়া কবীর ও মুজিব মেহদী।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯-এ বাংলা একাডেমীর বইমেলায় অবস্থিত এশিয়া পাবলিকেশনসের স্টলে ঘটনাক্রমে ‘মুক্তিযুদ্ধে নারী’ নামে ওই প্রকাশনীর দ্বারা ২০০৮-এর বইমেলায় প্রকাশিত একটি বই আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, যেটিতে আমাদের প্রস্তুতকৃত ও বাংলা একাডেমীতে জমাকৃত মূল পাণ্ডুলিপিটিই কিছু তথ্য বর্জন ও বিকৃত করে হুবহু ব্যবহৃত হয়েছে (বর্জন ও বিকৃতির তথ্যের জন্য সংযুক্ত কাগজ দ্রষ্টব্য)। আমরা অত্যন্ত বিস্ময়ের সাথে লক্ষ করি, কভারে বইটির সম্পাদক হিসেবে যথাক্রমে প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ ও প্রফেসর জসীম উদ্দিন আহমদ-এর নাম শোভা পাচ্ছে। ভিতরের পৃষ্ঠায় রচয়িতা হিসেবে মেহেদী হাসান পলাশ নামে একজনের নাম ব্যবহৃত হয়েছে, ফ্ল্যাপভাষ্য অনুযায়ী যে ইনকিলাব পত্রিকার একজন সাংবাদিক।

বন্ধুরা
এই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের আরজি অতি সামান্য। আমরা চাই মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে পাণ্ডুলিপি চুরির মতো জঘন্য ঘটনা কী করে ঘটল তার সঠিক তদন্ত হবে, কারণ আমরা ধারণা করি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তরিত মুক্তিযুদ্ধের দলিল ও ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ প্রকাশ প্রকল্পের ৪১টি পাণ্ডুলিপিরই একই পরিণতি হয়ে থাকবে, যা কেবল আবিষ্কারের অপেক্ষায় আছে। এছাড়াও আমরা আশা করি, চুরি করা পাণ্ডুলিপির ভিত্তিতে ইতিহাস ও তথ্য বিকৃত করে ছাপা ‘মুক্তিযুদ্ধে নারী’ গ্রন্থের সম্পাদকদ্বয় ও লেখকসহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত হবে ও নকল বইয়ের সকল কপি বাজেয়াপ্ত করে প্রকাশ্যে ধ্বংস করা হবে।

আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, এই দাবিসমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রহিত হবে এবং সৃজনশীল লেখক-গবেষকদের পরিশ্রমসাধ্য মূল্যবান কাজের সুরক্ষা হবে, তাতে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো চৌর্যবৃত্তির হাত থেকে রক্ষা করবার দৃষ্টান্ত স্থাপিত হবে। আশা করি, এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মহলসমূহ এমন হীন ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দমনে সত্বর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

অংশগ্রহণের জন্য আপনাদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

আয়োজকদের পক্ষে

রোকেয়া কবীর
নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ

..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

মুজিব মেহদী এর ছবি

সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলা একাডেমীর তৎকালীন ডিজি সৈয়দ আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। তাঁর ভূমিকা খুব ইতিবাচক ছিল। সংবাদ সম্মেলনের কিছু ছবি বাংলা একাডেমী থেকে মুক্তিযুদ্ধের বই চুরির প্রতিবাদ জানাই গ্রুপে আপলোড করা হয়েছে।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

মুজিব মেহদী এর ছবি

আজকের নিউ এজ পত্রিকার দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় সংবাদটি এসেছে দেখলাম। লিংক:
http://www.newagebd.com/nat.html

Book on women in independence war plagiarised
Co-authors demand action against copyist
Staff Correspondent

Two researchers, who have co-authored a book on women in the 1971 war of independence, at a press conference on Wednesday demanded legal action against an alleged plagiarist who, they said, had copied their book.
They also demanded seizure of all copies of the plagiarised book.
Rokeya Kabir and Muzib Mehdy, the authors of Muktijuddha O Nari, said they were stunned when they saw a plagiarised copy of their title that mentions one Mehedi Hasan Palash as the writer and former Dhaka University vice-chancellor Emajuddin Ahmed and former Jahangirnagar University vice-chancellor Jasimuddin Ahmed as the editors of the book published by Asia Publications.
Rokey Kabir said they had submitted their manuscript to Bangla Academy in 1999 for its project for publishing books on history and documents of the war of independence and it was edited by the academy�s panel of editors which included Anisuzzaman, Ajay Roy, Muhammad Habibur Rahman and Nilima Ibrahim.
�After the political changeover in 2001 the project was brought under the ministry of liberation war affairs and even after long wait we did not see the book printed. We had written to the evaluation committee about our eagerness to withdraw the manuscript and return the money which the Bangla Academy had paid us as honorarium but there was no response from them. In such a situation we gave the manuscript to the Institute for Environment and Develop-ment which published the book in 2006,� she said.
�But on February 4 my co-author Muzib Mehdy found a book with the title Muktijuddhe Nari at the stall of Asia Publications at Amar Ekushey book fair. The book was edited by Emajuddin Ahmed and Jasimuddin Ahmed and written by one Mehedi Hasan Palash, a journalist working for a Bangla daily newspaper,� she said.
�We were stunned when we found that it was a slightly edited version of our book. The plagiarised book just omitted some major events of the war, dropped the word �Bangabandhu� and replaced the word �rape� with �molestation�, she said.
�Besides, from page 28 to page 188 of the �plagiarised� version was a word-to-word copy of our text. Even the lists of contents of the two books are the same, while Emajuddin Ahmed wrote an introduction for the plagiarised version,� Rokeya said.
�Materials on contributions of Nilima Ibrahim and Jahanara Imam, mentioned in our book, have also been dropped by the plagiarist,� she said.
Rokeya said Mehedi Hasan Palash had already sent them an e-mail claiming that the ministry of liberation war affairs hired him in 2004 to write a piece on women in the independence war and provided him with about a 100-page printed document and newspaper clippings.
When contacted, Emajuddin Ahmed said the liberation war ministry had hired him and Jasimuddin as editors for a project for documenting the history of the liberation war. �They gave us the manuscripts to edit and we did not know who had written it,� Emajuddin said.
�Eleven volumes of the history of the liberation war were published under the project which was closed later,� he said.
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

মুজিব মেহদী এর ছবি

নিউএজ ও প্রথম আলো ছাড়াও আজকের 'বাংলাদেশ টুডে', 'অবজারভার', 'সংবাদ', 'সমকাল', 'আমাদের সময়'-এর প্রিন্ট ভার্সনে গতকালের সাংবাদিক সম্মেলনের সংবাদটি ছাপা হয়েছে। কিন্তু এই পত্রিকাগুলোর ওয়েব সংস্করণে সংবাদগুলো যুক্ত হয় নি। এবারই প্রথম লক্ষ করলাম যে, পত্রিকাগুলোর ওয়েব ভার্সন ও প্রিন্ট ভার্সনে বিশেষ ফারাক থাকে। তবে এটা সব কাগজের চিত্র না-ও হতে পারে।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

হাল ছেড়ে দেয়া যাবে না। সংশ্লিষ্ট সব চোট্টার শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারলে কপিরাইট বিষয়ে কিছুটা হলেও সচেতনতা আসবে। এটার খুব দরকার আছে।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

তানবীরা এর ছবি

মুজিব ভাই সুবিচার পাক, দৃষ্টান্ত তৈরী হোক এই কামনা রইল অন্তর থেকে।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।