The Constant Gardener অথবা শুয়োরের বাচচাদের জিতে যাওয়া

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: শুক্র, ২১/০৯/২০০৭ - ৭:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

.
জাস্টিন কোয়েল তরুন বৃটিশ ডিপ্লোমেট । তার স্ত্রী টেরেসা মানবাধিকার কর্মী । জাস্টিন যোগ দেয় নাইরোবীর বৃটিশ দুতাবাসে । চমৎকার প্রেমময় সময় কাটে জাস্টিন টেরেসা দম্পতির ।
জাস্টিন অবসর সময় কাটায় তার শখের বাগান নিয়ে,অপরদিকে টেরেসা ক্রমশঃ জড়িয়ে পড়ে কেনিয়ার কালো মানুষদের সাথে । টেরেসা এবং তার কালো বন্ধু আর্নল্ড কাজ করে এইডস আক্রান্তদের নিয়ে ।
এরকমই এক কাজে টেরেসা ও আর্নল্ড যায় দুর্গম লেক টুরকানা অঞ্চলে । পরদিন ধর্ষিতা টেরেসার মৃত শরীর উদ্ধার হয় সেখান থেকে, আর্নল্ড নিরুদ্দেশ । কেনিয়া পুলিশ,সংবাদপত্র ও বৃটিশ দুতাবাস একযোগে ঘোষনা করে কালো আর্নল্ডই টেরেসা'কে ধর্ষনের পর হত্যা করে পালিয়েছে ।

কিন্তু জাস্টিন কোয়েল এই সমাধান মেনে নেয়না । টেরেসা'র বলে যাওয়া কিছু কথা ও ইংগিত তার মনে সন্দেহ জাগায় । তার সন্দেহ আরো প্রবল হয় যখন টেরেসার কম্পিউটার,সিডি,চিঠিপত্র সব বাজেয়াপ্ত করা হয় । জাস্টিনকে লন্ডনে ডেকে পাঠানো হয় এবং এয়ারপোর্টেই তার কুটনৈতিক পাসপোর্ট কেড়ে নেয়া হয় ।
লন্ডনে এসে সে এক কিশোর হ্যাকারের সাহায্য নিয়ে টেরেসার মেইলবক্সের চিঠিগুলো উদ্ধার করে । এই চিঠিগুলোই তার সামনে খুলে এক ভয়াবহ গোপন কর্পোরেট হত্যাকান্ডের সুত্র ।

KDH নামের এক আমেরিকান ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানী Dypraxa নামের যক্ষার ঔষধ উৎপাদন করার পরিকল্পনা করে । KDH এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান three Bee আবার বৃটিশ ভেঞ্চার ।এ ছাড়া KDH এর প্লান্টে কাজ করে প্রায় ১৫,০০০ বৃটিশ ।
KDH এই ঔষধের কার্যকারীতা টেষ্ট করার জন্য ল্যবরেটরীর বদলে কেনিয়াকেই বেছে নেয়- স্রেফ টেস্টের খরচ কমিয়ে অধিক মুনাফা নিশ্চিত করার জন্য । বিভিন্ন সাহায্য সংস্থার মাধ্যমে এইডস আক্রান্ত রোগী ও অপুষ্টির শিকার শিশুদের বিনামুল্যে ঔষধ দেয়া হয়,সেই সাথে Dypraxa ও দিয়ে দেয়া হয় কাউকে কিছু না জানিয়েই । এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মারা যায় অনেকেই । কিন্তু টেস্ট বন্ধ হয়না । বৃটিশ দুতাবাসের প্রধান কর্মকর্তা(জাস্টিনের বস) সবকিছুই জানে কিন্তু তারা বৃটিশ আমেরিকান ব্যাবসায়িক স্বার্থ রক্ষা করে ডিপ্লোমেটিক প্রটোকলের আড়ালে ।

জাস্টিনকে নজরবন্দী করা হয় লন্ডনে । কিন্তু সে পালিয়ে যায় জার্মান । তারপর ফ্রান্স হয়ে আবার ফিরে আসে কেনিয়ায় । গোপন অনুসন্ধানে সে জানতে পারে, টেরেসার কালো বন্ধু আর্নল্ড(ধর্ষন ও খুনের দায়ে যাকে অভিযুক্ত করেছে পুলিশ,মিডিয়া ও কুটনৈতিকরা) এর ভয়াবহ পরিনতি । তার জিহবা কেটে,চোখ তুলে ফেলে তারপর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছিল ।

অনেক পথ ঘুরে জাস্টিন গিয়ে হাজির হয় সেই দুর্গম লেক টুরকানায় যেখানে টেরেসাকে ধর্ষন ও হত্যা করা হয়েছিল । লেকের পাড়ে সে বসে থাকে দীর্ঘসময় । ভাড়াটে খুনীরা একই কায়দায় এগিয়ে আসে । এবার জাস্টিনের হাতে গুলীভরা পিস্তল । যেনো সে খুনীদের অপেক্ষাতেই বসে ছিল ।
কিন্তু অস্পষ্ট থেকে যায়,জাস্টিন তার পিস্তলের ট্রিগার টানবে কার দিকে? অসম যুদ্ধে পরাজয় নিশ্চিত-এই সত্য জেনে যাওয়া নিজের দিকে নাকি রক্তলোলুপ খুনীর দিকে?

*****
*****

Jhon Le Carre` এর এই উপন্যাস প্রিয় তালিকায় ঢুকেছিল বেশ আগেই । শুনেছিলাম সিনেমার কথা ও ।
দেখা হলো অতি সম্প্রতি The Constant Gardener

*****
*****

কে কার স্বার্থ রক্ষা করছে?কারা কারা আসলে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে ,কোন এজেন্ডা বাস্তবায়নে ২০০৭ এর এই বাংলাদেশে?
গনতন্ত্রের নামে,সমৃদ্ধির নামে,দুর্নীতিমুক্তির নামে এবং ধর্মানুভুতির নামে পুরো দেশকে বানিয়ে ফেলা হয়েছে Dypraxa টেস্টের এক বধ্যভুমি ।
নানা নামে শেষ পর্যন্ত শুয়োরের বাচচারাই জিতে যাচ্ছে ।

প্রতিরোধের কথা ছিলো যাদের,শক্তি আছে যাদের-চুরি ছ্যাচড়ামী করে তারা হারিয়েছে নিজেদের শৌর্য্য ও মনোবল ।

হায়, এই বধ্যভূমিতে কি একজন ও Constant Gardener নেই?


মন্তব্য

তারেক এর ছবি

ক্যান আছুন মোরশেদ ভাই? হাসি

খুঁজে দেখি ই-বুক পাই কিনা। রিভিউটা চমৎকার হইছে।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

আরিফ জেবতিক এর ছবি

ডিভিডিটা পাবে ইস্টার্ন প্লাজায়।
বইয়ের চেয়ে ডিভিডিটা বেশী ভালো লাগবে।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ওই পিচিচ টা কে রে? তারেক নাকি?
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

তারেক এর ছবি

এইটার নাম মোহাম্মদ পিচ্চি রাফিদ। মেজাপুর ছেলে। আমি এর মামু হই
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আদব লেহাজ ঠিক করো তারেক । বলতে হবে ' মোহাম্মদ মামু' হই । কার কি কোনদিকে আহত হয়,কিচ্ছু বলা যায়না
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

তারেক এর ছবি

আমি 'মোহাম্মদ মামু' হই। কবুল কবুল কবুল।

(খাইছে! আমি কমেন্ট দিয়ে পেজ রিফ্রেশ করতেই আপনার কমেন্ট। আমার লাইন এত্ত স্লো কেনো? খেলুম না মন খারাপ )

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

অমিত এর ছবি

মুভি এবং রিভিউটা অসাধারণ। সেই সংগে তুলনাটা ভয়ংকর।

______ ____________________
suspended animation...

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

আমি আশা হারাই খুব কম ,,, শেষ পর্যন্ত আশা ধরে রাখতে চাই ,,, তবে মনে হচ্ছে সেই 'শেষ পর্যন্ত' সময়টা চলে এসেছে ,,,

বলি! খতিব ওবায়েদকে কেন মিছিল আয়োজনের উস্কানীর জন্য ধরা হয়না?

খুবই খুবই মর্মান্তিক সত্য
"প্রতিরোধের কথা ছিলো যাদের,শক্তি আছে যাদের-চুরি ছ্যাচড়ামী করে তারা হারিয়েছে নিজেদের শৌর্য্য ও মনোবল ।"
দেখেলেন? একটা নেতাও একটু টুঁ শব্দও করছেনা ,,, এমনকি বাম নেতারাও না!!

জাহানারা ইমামই মনে হয় শেষ কনস্ট্যান্ট গার্ডেনার ছিলেন।

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

প্রতিরোধের কথা ছিলো যাদের,শক্তি আছে যাদের-চুরি ছ্যাচড়ামী করে তারা হারিয়েছে নিজেদের শৌর্য্য ও মনোবল ।

এই কথাটাই আজকের বাংলাদেশের বাস্তবতার জন্য সবচেয়ে বাস্তব কথা। কথাটা অনেকদিন ধরেই মাথার মধ্যে আসছিল, কিন্তু এত সুন্দর করে বলা হয়তো আমার পক্ষে সম্ভব হতনা কখনোই।

...............................
আমার লেখাগুলো আসে স্বপ্নের মাঝে; স্বপ্ন শেষে সেগুলো হারিয়ে যায়।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

মুভিটা অসাধারন। আফ্রিকা যেতে হবে একবার। বাস্তবের সাথে মিলটা ভয়ংকর।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

চমৎকার!!! লিংকটা ঠিক করে দিচ্ছি।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অরূপ এর ছবি

এই সিনেমাটা আমি কাউকে দেখতে বলি না।
এতো নগ্নভাবে সত্যকে তুলে ধরলে বড় অস্বস্তি লাগে, মন খারাপের অংশটা না হয় বাদই দিলাম।

অসাধারন ছবি, মন শক্ত না করে দেখতে বসা ঠিক না

পুনশ্চ: ডাইপ্রাক্সার মতো দানোদের টাকায় খাচ্ছি পড়ছি। প্রতিবাদ করি কিভাবে! আমরা সব দানোদের উকুন

------------------------------------
রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নিবোর্ধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!

শামীম এর ছবি

মারাত্নক!
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

ভাস্কর এর ছবি

একই ঘটনা, খালি উপস্থাপণটা পাল্টাইয়া যায়...আফঘানিস্থানেও একই কাহিনী চলতাছে...সদ্য আফঘান ফেরত এক বন্ধুর মুখে শুনলাম। আর আমাগো দেশ? নাইবা কইলাম...কি আসে যায়...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

পুতুল নাচের ইতিকথা।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

বিপ্লব রহমান এর ছবি

হায়, এই বধ্যভূমিতে কি একজন ও Constant Gardener নেই?


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

লেখাটা খুব ভাল হইছে ...

কিন্তু রিভিউটা নিয়া আমার কিঞ্চিত আপত্তি আছে ... স্পয়লার দিয়া দিছেন ... যারা দেখে নাই তাদের কথা চিন্তা কইরা আরও আগেই থামানো উচিৎ ছিল ...

আমি এখন মুভি দেখার আগেই জেনে ফেললাম লাস্টে কি দেখব ... এইটা কোনভাবেই ভাল রিভিউ হইল না ...

নো হার্ড ফিলিংস বস ... জাস্ট যারা মুভি নিয়া লেখেন তারা যাতে এই দিকে একটু খেয়াল রাখেন তাই বললাম আরকি ...

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ধন্যবাদ কিংকং । লেখাটাকে কি রিভিউ মনে হয়েছে? তাহলে আমি ধরা হাসি

মুভি কিংবা উপন্যাস কোনটারই রিভিউ লিখিনা আসলে । উপন্যাস পড়া ছিলো অনেক আগেই । সেদিন মুভিটা দেখলাম । মুভিটা দেখতে দেখতে প্রাসঙ্গিক কিংবা অপ্রাসংগিক ভাবে বাংলাদেশ মনে পড়ে গেলো ।

সম্পুর্ন ভিন্ন গল্প নিয়ে মুভি । ভিন্ন লোকেশন,ভিন্ন মানুষ । কিন্তু তবু মনে হল শেষ পর্যন্ত মিলে যায় ।

কি ঘটছে,কেনো ঘটছে,কিসের কেমোফ্লোজে আসলে কি ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে,মুল এজেন্ডা কি এসব যে বুঝা যায়না -তা তো নয় । আমরা অনেকেই বুঝতে পারছি । কিন্তু কিছু কি করতে পারছি?

লেক টুরকানার পাড়ে আমরাও নিঃসংগ বসে আছি । খুনী আসবে,তা ও জানি । খুনী আসছে,দেখছি । কি করছি? ঘুরে কি দাঁড়াবো নাকি নিজেকেই শেষ করে দেবো- এরকম একটা অনিশ্চয়তার মাঝে আমরা । ঠিক এই অনিশ্চয়তা মুভির শেষ দৃশ্যে । কোন সিদ্ধান্ত বা ফলাফল জানানো হচ্ছেনা, যেমন আমরা আসলেই জানিনা ।

এই আর কি ।

তবে ভরসা দিতে পারি,যতোটুকু বলেছি মুভিতে কিন্তু তার চেয়ে ও অনেক বেশী কিছু আছে । আছে ইরাক যুদ্ধ, আছে দারফুর- আরো অনেক কিছু ।

দেখা না থাকলে দেখে ফেলেন ঝটপট হাসি
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

প্রথমেই থ্যাংকস দিলাম রিপ্লাইয়ের জন্য ...

রিভিউ কথাটা মুখ ফস্কায়া বাইর হয়ে গেছে বস ... আমি বুঝছি আপনি কোন সেন্স থেকে এইটা লিখছেন ... এবং আমার কাছে খুব ভাল লাগছে লেখাটা সেটাও আগেই বলছি ...

তবে বাংলাদেশের সাথে মিল দেখাইতে গিয়া আপনে যে ছবির পুরা ডেসক্রিপশনটা দিয়া দিছেন সেইখানে হালকা একটু আপত্তি ছিল আরকি ... মনে হইছিল আরেকটু সংক্ষেপে সারলে আমার মত এখনো না দেখা কিন্তু আপনার লেখা পইড়া দেখার জন্য প্রচন্ড আগ্রহী হয়ে ওঠা দর্শকের জন্য ভাল হইত ...

তবে সেটা আপনার এই চমৎকার লেখাটার আবেদন অনেক কমায়ে দিত সেইটা ঠিক ... সেদিক থেকে চিন্তা করলে ঠিকই আছে ...

সো এইটা আসলে লেখকের ব্যপার ... হি ইজ দ্য বস ...

আইডিবি যাই না বেশ কিছুদিন ... নেক্সট গেলেই কিনব এই মুভিটা ...

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ওক্কে!
এটা একটা ভালো আইডিয়া হতে পারে । আপনি মুভিটা দেখলেন, আগে থেকে একটা আইডিয়া নিয়ে । দেখার পর আপনার সেই আইডিয়া বদলালো কি না?
এরকম একটা ফিরতি পোষ্ট দিতে পারেন,আপনার ভাবনা নিয়ে । অপেক্ষায় থাকলাম ।
---------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

মাশীদ এর ছবি

মুভিটা দেখেছিলাম। বইটার কথা আগে জেনে নয়, বরং অভিনেতা ralph fiennes এর ফ্যান হিসেবে। পরে কাহিনীটা ভাবিয়েছিল বেশ। কিন্তু ভাবনার একটা বড় পার্ট হিসেবে একটা নির্লিপ্ততাও ছিল। যেন 'এ আর নতুন কি! এত হরদম হচ্ছে!' ওদের দেশ বলে কেউ হয়তো সত্যিটা খুঁজে বের করে বা এরকম কোন ঘটনা তুলে ধরে বই লেখে বা সিনেমা বানায়। আমাদের তো সে উপায়ও নেই। চোর-ছ্যাচ্চোর-খুনী দিয়ে ভরা আমাদের দেশ যেন একটা লোভীদের গ্যালারি। পয়সা আর ব্যক্তিস্বার্থের লোভে নীতি আর দেশপ্রেম কেমন করে ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে একটা দেশের বর্তমান আর ভবিষ্যত নষ্ট করে ফেলা যায় - তার একটা রিয়াল টাইম মিউজিয়াম আমরা এখন। গ্যালারির চারদিকে খালি শোভা পায় নেতা আর মৌলবাদী নামের কিছু অমানুষেরা।

নাহ্, আমাদের বধ্যভূমিতে আর কে করবে চাষাবাদ!


ভাল আছি, ভাল থেকো।


ভাল আছি, ভাল থেকো।

হিমু এর ছবি

প্রসঙ্গত মনে পড়লো বিল হ্যামিলটনের কথা, সোশিওবায়োলজির গুরু। পঞ্চাশের দশকে আফ্রিকায় পোলিওর ওরাল টীকা খাওয়ানোর সাথে এইডসের বিস্তারের সম্পর্ক নিয়ে তিনি একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন, যা রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। এ প্রবন্ধ আরো মজবুত তথ্য দিয়ে প্রমাণের জন্য হ্যামিলটন আফ্রিকা যান, এবং ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুবরণ করেন।

জিএম শস্য, জিএম খাবার, ঔষধ ... সবকিছুর ল্যাবরেটরি হয়ে আছে কালো মানুষদের মহাদেশ। শিম্পাঞ্জির চেয়ে বেশি কিছু নয় তারা, বড়বড় ব্যবসায়ীদের চোখে। কোথায় যেন শুনেছিলাম, ডায়রিয়ার জীবাণু নাকি ল্যাবে নকশা করা, যুদ্ধক্ষেত্রে প্রতিপক্ষের সৈন্যদের ওপর প্রয়োগ করার জন্য, এবং এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য বেছে নেয়া হয়েছিলো পূর্ব পাকিস্তানকে। জানিনা এর মধ্যে সত্য কতটুকু।

সিনেমাটা দেখবো।


হাঁটুপানির জলদস্যু

সৌরভ এর ছবি

‌আম্মা জাহানারা ইমাম এর প্রয়াণের পর আমি কেঁদেছি।

মননের অভিভাবক হুমায়ুন আজাদের উপর কুকুরদের হামলার খবর আমি পেয়েছিলাম আমার জনকের অসহায় কণ্ঠে।
চোখের জল ফেলা ছাড়া আর কিছু করতে পারিনি।

আমাদের মানসিক আশ্রয় কবি শামসুর রাহমানকে যখন বিদায় জানাতে হলো, আমি এই পরবাসে সারাদিন ভেবেছি এরপরে আমরা কার কাছে আশ্রয় চাইবো?

এই অদ্ভূত সময়ে আমাদের কোন আশ্রয় নেই।
নেই।



আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

কনফুসিয়াস এর ছবি

সিনেমাটা দেখেছি। স্নায়ুর উপর সারাক্ষণ চাপ ফেলতে থাকে। এইরকম নির্মন সত্যগুলোকে মানতে কষ্ট হয়।

-যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

হযবরল এর ছবি

দূর্দান্ত একটা ছবি।
আমাদের দেশে ও শোনা যায় Shell এর বিনিয়োগে পরিবেশ রক্ষার নামে, নানাবিধ জীবাণু নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়।

নিঘাত তিথি এর ছবি

হুমম।

--তিথি

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

সবজান্তা এর ছবি

CONSTANT GARDENER এমন একটা সিনেমা, যেটা যে কাউকে ভাবতে বাধ্য করবে।

আফ্রিকানদের বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া অন্যায় এর বিরুদ্ধে নিস্পৃহ ভাব প্রদর্শনের সূচনা দেখেছিলাম Tears of the Sun এ। আর তারই একটি পরিণত রূপ এই CONSTANT GARDENER।

------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

সৌরভ এর ছবি

সবজান্তা কে?
চেনা চেনা লাগে মন্তব্যের ধরন।
কোন লেখা পেলাম না যদিও।



আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।