ভোখেনব্লাট - ১

হাসিব এর ছবি
লিখেছেন হাসিব (তারিখ: সোম, ২২/১০/২০০৭ - ২:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মঙ্গলবার, ১৬ অক্টোবর ২০০৭

উলমের বাসগুলোতে নতুন একটা ফিচার যোগ হয়েছে । এখানকার বাসগুলোতে আগে থেকেই সামনে ও পেছনে স্কৃনে দু'টো করে মোট চারটা এলসিডি স্কৃন লাগানো আছে । বাসেরই কোথাও একটা কম্পিউটার থেকে ওগুলোর ছবি আসে । প্রথম যখন এগুলো লাগানো হয় তখন বাদিকে স্কৃনে স্টপেজের নামগুলো আসতো । আর ডানদিকেরটাতে কোন না কোন বিজ্ঞাপন দেখাতো । সম্প্রতি এই বিজ্ঞাপনের সাথে যোগ হয়েছে নিউজ হেডলাইন দেখানো । জনপ্রিয় একটি জার্মান চ্যানেলের খবরের হেডলাইনগুলো দেখানো হয় সেখানে । আইডিয়া উদ্যোগ যেটাই বলি না কেন সেটা নিঃসন্দেহে চমকপ্রদ ।

আজ অফিস থেকে ফিরতে ফিরতে ওটার দিকে তাকিয়ে ছিলাম । ওখানে প্রথম হেডলাইনটা ছিলো জার্মান লেখক গুয়েন্টার গ্রাসের আশিতম জন্মদিন নিয়ে । গুয়েন্টার গ্রাসের লেখক জীবন নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই । বিশ্বসাহিত্যের এক গুরুত্বপূর্ন স্তম্ভ তিনি । সাহিত্য ছাড়াও জার্মান বাম রাজনীতিতে তিনি যুক্ত । পঞ্চাশের দশকে তার বিখ্যাত উপন্যাস টিন ড্রাম প্রকাশের কিছুদিন পরেই প্রকাশ্য উইলি ব্রান্ডট্-এর এসপিডির (সোশাল ডেমোক্র্যাটদের) সমর্থনে কাজ করতে থাকেন । সেই থেকে গুন্টার গ্রাস জার্মান বাম রাজনীতির একজন ব্রান্ড এ্যাম্বেসেডর ।

শুভ জন্মদিন প্রিয় লেখক গুয়েন্টার গ্রাস ।

জার্মানীতে গত বছর প্রকাশিত হয়েছে গুয়েন্টার গ্রাসের আত্মজীবনি । অগাস্ট মাসে সেটা বের হয় । আমার তিন বছরের জার্মানবাসে হ্যারি পটারের পর এটারেই সবচেয়ে সাড়াজাগানো বই চিহ্নিত করবো । এই সাড়া জাগানোর আরেকটা কারনও ছিলো । বই প্রকাশের কিছুদিন আগে গ্রাস এক সাক্ষাতকারে তার জীবনের এক কালো অধ্যায়ের কথা স্বীকার করেন । তিনি এই স্বীকারোক্তিতে তাঁর আত্মজীবনিতে লিখেছেন বলে সাক্ষাতকারে জানান । সেখানে তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভাফেন এসএস (Waffen SS)এর ট্যাংকবাহিনীর গানার ছিলেন । গ্রাসের এই স্বীকারোক্তি জার্মানীসহ পুরো বিশ্বের মুক্তবুদ্ধির চিন্তাভাবনায় একটা ধাক্কার মতো ছিলো । গভীর দুঃখবোধে আমিও আক্রান্ত হই । বিশ্বাসের জায়গাগুলো নড়বড়ে হয়ে গেলে বাকি সবার যেমন হয় । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এধরনের স্বীকারক্তি বা হঠাৎ করে কারো পুরনো ইতিহাস প্রকাশ হয়ে পড়া একেবারে নতুন ঘটনা না । তবে গ্রাসের ব্যাপারটা ভিন্ন ছিলো । গুয়েন্টার গ্রাস এতোশত দার্শনিকের জন্ম দেয়া জার্মানীর “মোরাল অথরিটি বা মোরাল ইনস্টিটিউশন বলা হতো । এরকম একজন ব্যক্তির দীর্ঘ ষাট বছর নিজের এই কলঙ্কিত ইতিহাস লুকিয়ে বেড়ানোটা কেউই সহজভাবে মেনে নিতে পারেননি ।

Günter Grass

সবার মধ্যেই কিছু অমিমাংসিত প্রশ্ন থাকে । এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আমাদের সারাজীবনই বিক্ষিপ্ত করতে থাকে । আমার মনেও এরকম একটা অমিমাংসিত প্রশ্ন আছে । প্রশ্নটা হলো একজন ব্যক্তিমানসকে আমরা আসলে কিভাবে বিচার করবো ? ব্যক্তির পুরো জীবনটা এ্যাজ-এ-হোল নাকি তার জীবনের প্রতিটি অর্জন ব্যর্থতা আলাদা আলাদাভাবে বিচার্য্য ? এর একটা সহজ সমাধান আমরা করি । ভালো মন্দের একটা তুলনা করে সেটার ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি একজন ব্যক্তি সম্পর্কে । সমাধানটার খুব শক্ত যৌক্তিক ভিত্তি নেই । কারন এই ধরনের দাড়িপাল্লা পদ্ধতিতে ওজনের কোন নির্দিষ্ট মানদন্ড নেই । সোজা কথায় ব্যক্তির এক একক খারাপ কাজ ইক্যুয়াল টু কত একক খারাপ কাজ এটা নির্ধারণ করার সর্বগ্রাহ্য কোন মানদন্ড নেই । একেকজন একেকভাবে বিষয়টা দেখবে । কেউ হয়তো আইনস্টাইনের সারাজীবনের বৈজ্ঞানিক অবদানকে তাঁর লেখা চারটি চিঠির থেকে বড় করে দেখবে । আবার কেউ হয়তো সে চারটি চিঠির জন্যই আইনস্টাইনকে তুলোধুনো করবে । গুয়েন্টার গ্রাসের স্বীকারোক্তিও আমাকে এই একই প্রশ্নের মুখোমুখি করেছিলো । গুয়েন্টার গ্রাসের সারাজীবনের ইন্টেলেকচুয়াল লিডারশিপ বড় নাকি তার কৈশোরত্তীর্ন বয়সের অপরাধ বড় ?

লিংক

আমেরিকান সেনাবাহিনীর কাছে রক্ষিত গুয়েন্টার গ্রাসের ভাফেন এসএস প্রিজনার অফ ওয়ার রেকর্ড ।

বুধবার, ১৭ অক্টোবর ২০০৭

আজকে বিডিনিউজ২৪-এ একটা ছোট হেডিঙে চোখ আটকালো । ভারত সরকারের প্রধানমন্ত্রি মহমোহন সিং বুশকে ভারত-আমেরিকা নিউক্লিয়ার ডিল বিষয়ে অভ্যন্তরীন চাপ সম্পর্কে অবহিত করেছেন । এই অভ্যন্তরিন চাপটা এসেছে মূলতঃ ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের অংশিদার পশ্চিমবঙ্গ বাম ফ্রন্টের কাছ থেকে । নন্দিগ্রাম ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গ বাম সরকারের ভূমিকায় ঠিক স্বস্তি পাচ্ছিলাম না । এর মধ্যে এই ছোট্ট খবরটা একটু আরাম দিলো ।

আমাদের দেশেও একশ্রেনীর বিজ্ঞানী আমলা রাজনীতিকরা দেশে নিউক্লিয়ার পাওয়ারপ্লান্ট বসানোর তোড়জোড় শুরু করেছেন । দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানী চাহিদা মেটানোর জন্য এটাই নাকি একমাত্র বুদ্ধি । এই নিউক্লিয়ার প্লান্ট বসানোর জন্য আনবিক শক্তি বিষয়ক আন্তর্জাতিক মোড়ল সংস্থার অনুমতিও পাওয়া গেছে । এবং এটার খরচের ৬০ ভাগ সরবরাহের জন্য দক্ষিন কোরিয়ার কাছ থেকে সম্মতিও নাকি পাওয়া গেছে । ২০১৫ সালের মধ্যে এই প্রজেক্ট কাজ শুরু করতে পারবে খবরে বলে জানলাম ।

এই ধরনের প্রজেক্টের নানা ধরনের সমস্যা রয়েছে । প্রথম সমস্যা স্বাস্থ্যগত । পৃথিবীতে এধরনের পাওয়ার প্লান্টের আশেপাশের এলাকায় অনেক ধরনের ব্যাখ্যাতিত (অথবা ব্যাখ্যাগুলো চেপে যাওয়া হয়) স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা যায় । দ্বিতীয় সমস্যা পারমানবিক বর্জ্য নিস্কাশন । এধরনের বর্জ্য দীর্ঘকাল ধরে তেজস্ক্রিয়তা নির্গমন করে । এটার কোন দিকনির্দেশনা বিশেষজ্ঞমহল বা আমলামহল কারো কাছ থেকেই এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি । তৃতীয়ত, এধরনের নিউক্লিয়ার প্রজেক্টের অন্য সব ধরনের প্রজেক্টের মতোই একটা ওয়োর্স্ট পসিবল ডাউনসাইড পটেনশিয়াল থাকে । সোভিয়েত ইউনিয়নের (বর্তমান ইউক্রেন) চেরনোবিল দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে আমরা এরকম একটা ডাউনসাইড পটেনশিয়াল দেখেছি । এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সেটার ক্ষয়ক্ষতি কতোটা মিনিমাইজ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে সেটার বিষয়ে নীতিনির্ধারক মহল কি চিন্তা করেছেন সেটা জানার আগ্রহ বোধ করি ।

জার্মানীর বামপন্থি গেরহার্ড শ্রোয়েডারের সরকার নিউক্লিয়ার পাওয়ারপ্লান্টের এসব নেতিবাচক দিক লক্ষ্য করে ২০২০ সালের মধ্যে জার্মানীর সকল নিউক্লিয়ার পাওয়ার জেনারেটর বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো । ডানপন্থি আঙ্গেলা মারকেল সরকারও সেটা স্পস্ট ভাষায় বহাল রাখার সিদ্ধান্ত জারি রেখেছে । রাশিয়ান পাওয়ার সাপ্লায়ারদের খামখেয়ালির মধ্যে তাদের এ সিদ্ধান্ত বেশ সাহসিকতার । অল্টারনেটিভ এনার্জির প্রযুক্তির জোরই হয়তো তাদের এই সাহসের কারন ।

আমাদের দেশের এরকম সাহস নেই । দেশের অনেকটা অংশেই কোন বিদ্যুৎ নেই । যেসব জায়গায় আছে সেখানের জনগন লোডশেডিঙে অতিস্ঠ । প্রায়ই আন্দোলন-ফান্দোলন করে প্রান খোয়াতে হয় আমাদের । বুকে একগাদা স্বপ্ন নিয়ে বাস করি বলে আমাদের অভাগা দেশটা সবসময় শর্টকাট খোঁজে । শর্টকাট কোন পদ্ধিতিতে সব-পেয়েছির-দেশ বানিয়ে ফেলতে চাই আমরা । শর্টকাট পদ্ধতির পাওয়ার জেনারেশনের পরিকল্পনা ওপর কি বিপদ ডেকে আনছে কে জানে !

শুক্রবার, ১৯ অক্টোবর, ২০০৭

আমি আগে থাকতাম উলম নামে একটি ছোট্ট শহরে । উলমের পাশ দিয়ে ডোনাউ (ইংরেজী নাম দানিউব) নদী বয়ে গেছে । এই ডোনাউ নদীর একপাশে বাডেন ঊর্টেমবার্গ প্রদেশ, আরেকপাশে বায়ার্ন (ইংরেজী নাম ব্যাভারিয়া, তিন গোয়েন্দার বোরিস ও রোভার ভ্রাতৃদয়, ও ফুটবল টিম বায়ার্ন ম্যুনশেনের এলাকা এটা) প্রদেশ । নদী পেরোলেই বায়ার্নের যে শহরটা পড়ে সেটাতেই আমি থাকি এখন । শহরের নাম নয়-উলম (ইংরেজীতে নিউ উলম) । এই শহরেরও শেষ প্রান্তে এক আমেরিকান সৈন্যদের পরিত্যক্ত এক ব্যারাকে আমার বাস । বাসে করে পাশের শহরে যেতে ২২ মিনিট লাগে । কাজের জায়গা, ইউনিভার্সিটিতে যেতে দিনের একটা বড় সময় নষ্ট হয় যাতায়াতে ।

পুরো নয়-উলম শহরটাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে । দেখতে বেশ লাগে কিছু জায়গা । মধ্যযুগীয় শহর উলম থেকে নিজেকে আলাদা করে তুলে ধরার প্রতিযোগিতায় নেমেছে যেন এরা । ইউরোপের সবচেয়ে ধনী দেশের সবচেয়ে ধনী স্টেট বলে কথা । আর্থিক দিক দিয়ে ধনী হবার পাশাপাশি স্রষ্টাও এদের দুহাত ভরে সম্পদ দিয়েছেন । পাহাড় নদী লেক কোনটারই কমতি নেই এই প্রদেশে ।

তো, এদের এতো কিছু থাকা সত্ত্বেও গোটা জার্মানীতে এরা একটু আলাদা হিসেবে বিবেচিত । বায়েরিশদের (বায়ার্নের অধিবাসী) গোয়ার স্বভাবই এর জন্য দায়ি মনে হয় । হিটলারের সবচেয়ে শক্ত ঘাটি হিসেবে বায়র্নেরই এক শহর ন্যুর্নব্যর্গ (ইংরেজী উচ্চারন নুরেমবার্গ) বিখ্যাত ছিলো । এই বায়ার্নেরই এক ছোট্ট শহর নয়-উলমে আজকে এক বুস হালটেস্টেলেতে (ইংরেজী, বাস স্টপেজ) বড় করে দুইটি স্বস্তিকা আকা দেখলাম । নিও নাৎসিদের কাজ এগুলো । দেখার সাথেই বুঝলাম উলমের রাস্তা ঘাটে রাতে ঘোরা ফেরা করার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে । আমি জানি আক্রান্ত হলে পুলিশে খবর দিলে ওরা বিদ্যুৎ গতিতে ব্যবস্থা নেবে । নিওনাৎসিটাইপ কাজকর্ম এরা খুব কঠোরহাতে দমন করে । তবুও ঠিক ভরসা আসে না । নিজের স্বার্থেই গুটিসুটি মেরে থাকতে হবে এখন থেকে । স্বস্তিকাচিহ্ণ নিয়ে আগামী সপ্তায় কম্প্লেইন দেবো ঠিক করেছি । ওরা হয়তো এটা মুছে ফেলবে তারপর । কিন্তু এভাবে চিহ্ণ মুছে এদের দমন করা যাবে না । সাউথে আমরা ভালোই শান্তিতে থাকি । নর্থের অবস্থা ভালোই খারাপ । অনেক এলাকায় ফরেইনারদের জন্য নো গো (No Go) এলাকা । ব্যর্লিনে এই সেদিনও জার্মানীতে কনফারেন্সে আসা এক বাঙ্গালী পিএইচডি ছাত্র নিওনাৎসিদের হুঙ্কার শুনে এসেছেন । তাঁর ভাগ্য ভালো তিনি কোনরকম হামলার শিকার হননি । কিছুদিন আগে এই রেসিজম নিয়ে কে যেন একটা পোস্ট করেছিলেন । আমি বলেছিলাম এর থেকেও খারাপ ঘটনা ঘটে । সেগুলো নিয়ে আরেকদিন হবে । আজ এ পর্যন্তই । শোয়েনেস ভোখেনেন্ডে ।

টিকাঃ
১. ভোখেনব্লাট – ভোখেন মানে সপ্তাহ, ব্লাট মানে পৃষ্ঠা
২. ভাফেন এসএস, ইংরেজী আর্মড এসএস । নাৎসি বাহিনীর এলিট ফোর্স এটি । হিটলারের দেহরক্ষি বাহিনী, কনসেনট্রেশন ক্যাম্প পরিচালনা এবং নিয়মিত সেনাবাহিনীর সাপোর্টের জন্য এলিট কমান্ডো ফোর্সের সৈন্য এই ভাফেন এসএস থেকেই আসতো ।
৩. শোয়েনেস ভোখেনেন্ডে উইকেন্ডের জন্য শুভেচ্ছা ।
৪. আমার ইচ্ছা আছে প্রতি উইকএন্ডে এরকম একটা ভোখেনব্লাট দেবার । দেখা যাক কতদুর নিয়ম রক্ষা করে চলা যায় ।


মন্তব্য

বরফ এর ছবি

নিয়মিত চলুক।

নিও নাজিদের ব্যাপারটা সম্প্রতি বেশ কবার এসেছে। আমার ধারণা ছিল, অার্থিক অবস্থা খারাপ থাকটা এদের তৎপড়তা বাড়ার একটা ভাল অনুঘটক। নর্থের দিকে অবস্থা খারাপ, ওখানে নিও নাজিদের অবস্থানটা সম্ভব। বায়ার্ন বা বাডেনউটেমবার্গের মত সচ্ছল স্টেটগুলোতে ওদের সমর্থন কেন? একটা কারণ হতে পারে, কাজের জন্য নর্থ থেকে অনেকেই সাউথে আসছে, সাথে নিয়ে আসছে নর্থের সেই ক্যান্সার।

আর বায়ার্নের সাথে হিটলারের বহু স্মৃতি, তবে সেইটা জার্মানীর কোন জায়গার সাথে নাই? বায়ার্নের মধ্যে ন্যুর্নবার্গ, দাখাউ বা ম্যুনসেন, এগুলা হিটলারের যতই ফেভারিট জায়গা হউক না কেন, সাউথে নিও নাজিজমের পক্ষের অনুঘটক বলে এগুলাকে আমার মনে হয় না।

হাসিব এর ছবি

অনুঘকটগুলো যে আসলে কি কি সেটা ঠিকঠাক বিশ্লেষণ করাটা তিন বছরের অভিজ্ঞতায় কঠিন । সোসাইটির অতটা ভেতরে ঢোকা এখানে সারাজীবন থাকলেও হবে না বোধহয় । জার্মানরা এই বিষয়ে আউসল্যায়েন্ডারদের সাথে আলাপ করতে আরাম পায় না । তয় কিছু অনুঘটক বোধহয় সোসাইটির বাইরে থেকেও টের পাওয়া যায় । অর্থনীতি একটা কারন হতে পারে, আউসল্যায়েন্ডারদের সংখ্যা বৃদ্ধি একটা কারন হতে পারে, অথবা যুবকসমাজের মানসিক সাস্থ্যের অবনতি একটা কারন হতে পারে, বা এর সবগুলোই এগুলোর পেছনের কারন হতে পারে । আমরা এখানে বোধহয় এরকম কিছু হাইপোথেসিসই দাড় করাতে পারি ।

অয়ন এর ছবি

নাজিরা প্রকাশ্যে রাজনীতি করতে পারে না এটা জানতাম তবে গত বিশ্বকাপের সময় একটা চরম ডানপন্থী দল প্রকাশ্যে ইরানকে সমর্থন করেছিল। নিও নাজিদের দমন করা হয় কিন্তু নাজিদের সমর্থনকারী এইসব চরম ডানপন্থী দলগুলো কিভাবে রাজনীতি করে?

হাসিব এর ছবি

নিও নাজিদের দমন করা হয় কিন্তু নাজিদের সমর্থনকারী এইসব চরম ডানপন্থী দলগুলো কিভাবে রাজনীতি করে?

জার্মানীতে যেকোন ধরনের নাৎসি তৎপরতা নিষিদ্ধ । এমনকি এখানে এবিষয়ে কোন ছবি, বই, ওয়েব ম্যাটেরিয়াল প্রকাশ করা যায় না । এখানে প্রকাশ্যে নাৎসিবাদ সমর্থন করে এরকম রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব আইনত অসম্ভব ।

তবে এখানে একটি রাজনীতিক দল আছে (ন্যাশনাল ডেমোক্রাটিক পার্টি - এনপিডি) যাদের কাজকর্ম এজেন্ডা অনেকটাই নাৎসিবাদের সাথে মেলে । একবার এদের নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো । তখন হঠাৎ করে ফাস হয়ে পড়ে এনপিডির নীতিনির্ধারকদের মধ্যে সরকারের গুপ্তচর হিসাবে বেশ কয়েকজন কাজ করেন । এটা ফাস হয়ে গেলে প্রশ্ন দেখা দেয় এনপিডি আসলেই এরকম নিওনাৎসি দল নাকি সরকারের চরেরা এটাকে ইচ্ছাকৃতভাবে এরকম একটা চেহারায় নিয়ে এসেছে । শুধুমাত্র এর কারনে এদের নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায়নি ।

নিওনাৎসিরা সাধারনত প্রকাশ্যে কোন পার্টির সমর্থন প্রকাশ করে না । এদের দেখে চেনার উপায় হলো টাক মাথা (স্কিন হেড), ট্রেঞ্চ কোট । কিছু পাঙ্কও আছে নিওনাৎসি ।

এই নিওনাৎসিদের পিছনে জার্মান বামপন্থিরা লেগে থাকে । এদের মধ্যে একটা গ্রুপ আছে যারা নিও নাৎসিদের যেকোন তৎপরতা ভায়োলেন্টলি রেসিস্ট করে । নিজেদের এনার্কিস্ট বলে এরা । এরাই গত জুনে রসটকে জি৮ সম্মেলনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মূল শক্তি ছিলো । এদেরও ড্রেস কোড আছে । কালো সোয়েট শার্ট অথবা পাঙ্ক । নাৎসি পাঙ্কদের সাথে এদের পার্থক্য হলো এদের অনেকের গায়ে স্বস্তিকা চিহ্ণওয়ালা একটা লোগো থাকে । এটাকে গেগেন নাৎসি (gegen nazi) লোগো বলে । এটাকে সম্প্রতি বৈধতা দেবার একটা কথা হচ্ছে । বোঝার সুবিধার জন্য লোগো দু'টোর ছবি দিচ্ছি ।

anarchist1
বাদিকে সোয়েট শার্ট পরা হুডেড এনারকিস্টরা গ্রাফিটি আকছেন । ডানদিকে এনার্কিস্ট লোগো ।

Gegen Nazi Logo

গেগেন নাৎসি লোগো । এটার মূল থিম এক রেখে কথাগুলো পরিবর্তিত আকারে দেখা যায় ।

উলম সিটি সেন্টার মূলত: এই বামপন্থিদের দখলে থাকে । আন্ডারপাসগুলোতে গেগেন নাৎসি/এনার্কিস্ট লোগো হরহামেশাই দেখা যায় । তবে নয় উলমে ওদের অবস্থা বোধহয় এতটা ভালো না ।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ইংল্যান্ডে আছে বিএনপি(বৃটিশ ন্যাশনালিষ্ট পার্টি) । নিষিদ্ধ সংগঠন নয়,নির্বাচন ও করে । কিন্তু সরকার এদেরকে দমিয়ে রাখে অন্য কৌশলে ।যেমন কোন হোটেলে এরা প্রোগ্রাম করলে,প্রোগ্রামে পুলিশ বাধা দেবেনা কিন্তু হোটেলওয়ালাকে পরে ভোগাবে । কোন শহরে প্রসেশন করতে চাইলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এদের বাধা দেবে।
এই বিএনপিওয়ালারাই স্কিনহেডেড ।
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

হাসিব এর ছবি

এই বিএনপিওয়ালাদের এজেন্ডা কি ? তারাও কি ইমিগ্রান্ট বিরোধী বা সাম্প্রদায়িক শক্তি ?

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সে আর বলতে ।
"committed to stemming and reversing the tide of non-white immigration and to restoring, by legal changes, negotiation and consent the overwhelmingly white makeup of the British population that existed in Britain prior to 1948."
এই হলো তাদের সংবিধান

গত নির্বাচনে এদের প্রাপ্ত ভোট ছিলো 0 .7%.
বিস্তারিত পাবেন
বিএনপি
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

হিমু এর ছবি

জার্মানীতে এখন নিউক্লিয় শক্তি আর বায়ু শক্তি ইনস্টলড ক্যাপাসিটির দিক থেকে প্রায় সমান। ব্যবহারের তীব্রতা বায়ুশক্তিতে কম, হয়তো বছরে সাকুল্যে সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার ঘন্টা চালানো যায়, যেখানে নিউক্লিয় শক্তিকেন্দ্রগুলি চালানো যায় বছরে সাড়ে সাত হাজার থেকে আট হাজার ঘন্টা। তবুও জার্মানি স্থির করেছে নিউক্লিয় শক্তি পুরোটা নবায়নযোগ্য শক্তি দিয়ে প্রতিস্থাপিত করার। যে চীন থেকে নিউক্লিয় শক্তির প্রযুক্তি কেনার কথা ভাবা হচ্ছিলো দেশে, তারা নিজেরা কী দ্রুত হারে সৌরতাপ আর বায়ুশক্তির ক্যাপাসিটি বাড়াচ্ছে তা কি দেশের মোড়লেরা জানেন? আমি তো নিশ্চিত, পুরনো একটা প্ল্যান্ট তিনগুণ দামে গছিয়ে দেয়া হবে। চুতমারানিরা একটা আশি মেগাওয়াটের পুরনো পাওয়ার প্ল্যান্ট নতুনের দামে কিনে চল্লিশ মিনিট টানা চালাতে পারেনি, সেটা মুখ থুবড়ে পড়ে আছে এখনো, আবার নিউক্লিয় প্ল্যান্ট বসাবে। নিউক্লিয় প্ল্যান্টের প্রবক্তাদের পাছার কাপড় তুলে বেতানো উচিত। যে দেশে প্রতি বর্গকিলোমিটারে দশ হাজার লোক বাস করে সে দেশে নিউক্লিয় প্ল্যান্ট বসানো কতটা আত্মঘাতী এরা কি বোঝে না? খালি প্রজেক্ট খুলে পয়সা মারলেই হলো? মাদারচোদের দল।

শুধু উত্তর আফ্রিকার উপকূলবর্তী অঞ্চলে সৌরতাপ শক্তিকেন্দ্র দিয়ে পৃথিবীর বর্তমান বিদ্যুৎচাহিদার একশো গুণ শক্তি সরবরাহ করা যায়। বাংলাদেশ তেইশ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশে আছে, সৌরতাপকেন্দ্র দিয়ে অনেকখানি চাহিদা মেটানো সম্ভব হতো (বছরে গড়ে দুইশো নব্বইটা সৌরোজ্জ্বল দিন ধরে), কিন্তু তাহলে দেশটাকে ঠিকমতো পোঙ্গামারা যাবে না। আনো নিউক্লিয় প্ল্যান্ট। ফরমালিন দিয়ে পোষাচ্ছে না, গামা রশ্মি লাগবে। জয় মাদারচোদের দল।


হাঁটুপানির জলদস্যু

হাসিব এর ছবি

হিমু, তোমার টেকনিকাল জ্ঞানের প্রয়োগসহ এই বিষয়ে একটা পোস্ট আশা কর‌ছি । আমি ননটেকনিকাল লোক বেশী দুর আগাতে পারবো না ।

বরফ এর ছবি

পরিবেশবান্ধব শক্তির উৎসগুলা নিয়ে আরো কিছু জানার ইচ্ছা থাকল। আলাদা পোস্ট দিলে ভালো হয়।

সৌরশক্তির সমস্যা থাকছে, শুধু দিনের বেলায় এটা কাজ করে, এমনকি সব দিনে নয়, শুধু রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে। সাথে যোগ করুন স্থাপনার উচ্চ খরচ।

আগে দরকার পর্যাপ্ত পরিমাণ তথ্য, আসলেই আমাদের চাহিদার কতটা সৌরশক্তি দিয়ে মেটানো সম্ভব, এবং সেটা কি পরিমাণ খরচে। গ্যাসের চাইতে বেশী খরচ পড়লে বাণিজ্যিকভাবে এটার ব্যবহারের আশা না করাই ভাল। শুধু পরিবেশ নিয়ে চিন্তা করার আগে আমাদের খরচ নিয়েও ভাবা উচিৎ, এবং সেটা নিজেদের টিকে থাকার স্বার্থেই।

হিমু এর ছবি

সৌরতাপ শক্তিকেন্দ্রগুলি দিয়ে শুধু দিনেই অনেকখানি লোড সামলানো সম্ভব, রাতে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র চলবে। কাপ্তাইয়ের জলবিদ্যুৎকেন্দ্রও তো বছরের সব দিন ঠিক লোডে অপারেট করা যায় না জলসীমার কারণে।

অবশ্য এখন নবায়নযোগ্য শক্তি প্রযুক্তিতে বিকল্প সংরক্ষণ ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয় (পাম্প কিংবা উচ্চ বায়ুচাপের মাধ্যমে), কিন্তু বাংলাদেশে তা-ও দরকার নেই। স্থাপনার খরচ বেশি, এ কথা যেমন সত্য, আবার অন্যদিকে রানিং ওভারহেড কম, সেটাও সত্য। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে মেগাওয়াট পিছু তিন কোটি টাকার মতো পড়ে স্থাপনা খরচ, কিন্তু সমস্ত ব্যবস্থা এরপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে জ্বালানি খরচ আর পার্টসের খরচের ওপর। সৌরতাপ শক্তিকেন্দ্রে অন্তত জ্বালানি খরচ বেঁচে যায় পুরোটাই।

এসব নিয়ে একটা পূর্ণাঙ্গ পোস্ট সিরিজ শুরু করবো ভাবছি।


হাঁটুপানির জলদস্যু

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ভোখেনব্লাট এর আইডিয়াটা চমৎকার । হাসিবের প্রায় দুর্ল্ভ লেখা পাঠের সুযোগ ও হলো আবার জার্মান জীবন ও জানা হলো ।
হয়তো মানুষটা গুন্টার গ্রাস বলেই তার সেই অন্ধকার স্বীকার করতে দ্বিধা করেননি । হ্যাঁ প্রশ্ন তো তোলা যায়ই,এতোদিন পরে কেনো?
জাজমেন্টের এই জায়গাটাতে আমার নিজস্ব একটা মুল্যায়ন আছে । সেই পুরাতন শামসুর রাহমান ও আল-মাহমুদ । বাংগালী জাতির সবচেয়ে সংকট্মুহুর্তে শামসুরের তুলনায় মাহুমুদের ভূমিকা অনেক অনেক বেশী উজ্জ্বল । কিন্তু অনেকবছর পর যখন প্রতিরোধের প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়নি তখন শামসুর রাহমান জিতে যান,তার বর্তমানের ভুমিকা তার অতীতকে ক্ষমা করে দেয় কিন্তু মাহমুদের ক্ষেত্রে বিপরীত । উজ্জ্বল অতীতের জন্য তার বন্দনা করতে গেলে আজকের প্রতিপক্ষ লাভবান হয় ।
গুন্টার গ্রাসের ক্ষেত্রে আমি তাঁর আজকের ভুমিকার জন্য সেই পুরনো ভুমিকাকে ছাড় দিতে রাজী ।
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

হাসিব এর ছবি

কিন্তু অনেকবছর পর যখন প্রতিরোধের প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়নি তখন শামসুর রাহমান জিতে যান,তার বর্তমানের ভুমিকা তার অতীতকে ক্ষমা করে দেয় কিন্তু মাহমুদের ক্ষেত্রে বিপরীত । উজ্জ্বল অতীতের জন্য তার বন্দনা করতে গেলে আজকের প্রতিপক্ষ লাভবান হয় ।

এটা একটা গুরুত্বপূর্ন পয়েন্ট । হয়তো একারনেই আমরা একটা পক্ষ সাবঅপটিমাল হলেও সেটার পক্ষ নেই । শেষবিচারে আমাদের সবাইকেই কোন না কোন পক্ষে দাড়াতেই হয় । হোক না সেটা সাবঅপটিমাল ।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সেটাই । ব্যক্তি অবস্থান পাল্টায়,কিন্তু আগ্রাসন ও তার প্রতিরোধ চলতে থাকে,নানা ফর্মেটে ।
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অয়ন এর ছবি

গুন্টার গ্রাসের ক্ষেত্রে আমি তাঁর আজকের ভুমিকার জন্য সেই পুরনো ভুমিকাকে ছাড় দিতে রাজী ।

ভূমিকার কোন মানদন্ড আছে বলে আমার জানা নেই যেমন মানদন্ড নেই বর্বরতার। এখন কথা হচ্ছে দেশের উন্নয়নে কতটুকু ভূমিকা রাখলে অতীত বর্বরতাকে ছাড় দেয়া সম্ভব? হাসান ভাই ব্যাপারটা এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ বর্তমানের সততার(?) দোহাই দিয়ে অনেকের অতীত কর্মকান্ডকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার এবং জাতিকে বিভক্ত না করার প্রস্তাব অনেক আগে থেকে হয়ে আসছে।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

অয়নের পয়েন্টটা সম্ভবতঃ আমি ধরতে পারছি ।
উদাহরন হিসেবে সেই শামসুর রাহমান কে টানছি । রাহমান কিন্তু ৭১ এ দালাল ছিলেননা,ঘাতক তো নয়ই তবে আল মাহমুদের মতো অস্ত্রহাতে যোদ্ধা ও ছিলেন না । তার ভুমিকা ছিলো নির্লিপ্ত ঘরানার । কিন্তু এই নির্লিপ্ততাকে ও প্রশ্ন করা যায় । যখন প্রতিরোধই একমাত্র পাথেয় ছিলো তখন নির্লিপ্ততা ও একটা অপরাধ ।
কিন্তু ৭৫ এর পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে ঘাতকদালাল বিরোধী যে জাগরন সেখানে কিন্তু রাহমান আর নির্লিপ্ত নয় । যৌবনে যে অপরাধ ( হ্যাঁ মুক্তিযুদ্ধে না যাওয়াকে আমি অপরাধই বলবো) রাহমান করেছিলেন,সেটার প্রায়শ্চিত্ত যেনো তিনি করেছেন বার্ধ্যকে । শারীরিকভাবে আক্রমনের শিকার হয়েছেন,রাষ্ট্রদ্রোহীতা মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন ।

গুন্টারগ্রাসের ক্ষেত্রে ও দেখুন, কৈশোর কিংবা তারুন্যে তিনি নাৎসী গানার কিন্তু এর পরের প্রায় সারাজীবন যুদ্ধবিরোধী সৈনিক । এই বদলটা কিন্তু কল্যানকর । কল্যানকর বলেই এই একজন রাহমান কিংবা গ্রাসের বদলকে স্বাগতঃ জানানো যায় ।

কিন্তু বিপরীত উদাহরনগুলোকে অবশ্যই নয় ।
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

ভাস্কর এর ছবি

পইড়া আরাম পাইতেছি...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আলোচনায় আগ্রহী পাঠক।

বিপ্লব রহমান এর ছবি

গুয়েন্টার গ্রাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ফোকাস করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

...নিউ নাজিরা পুরো জার্মানীতে কতোটা ভয়ঙ্কর? তাদের সাংগঠনিক দৃঢ়তা কতটুকু? তাদের অর্থের উৎসই বা কী? এ বিষয়ে আপনার কাছে আলাদা পোস্ট আশা করছি।...


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

হাসিব এর ছবি

নিওনাজিরা একটা গ্রুপ হিসেবে তেমন ভয়ঙ্কর না । তবে এটা সমাজে মৌলবাদের অবস্থান নিশ্চিত করার একটা সূচক । ইওরোপের ধর্মবিশ্বাস ও সেটার প্রকাশ নিয়ে একটা সিরিজ লেখার জন্য পড়ালেখা করছি । পেয়ে যাবেন সময়মতো ।

সৌরভ এর ছবি

আনো নিউক্লিয় প্ল্যান্ট। ফরমালিন দিয়ে পোষাচ্ছে না, গামা রশ্মি লাগবে। জয় মাদারচোদের দল।

নিউক্লিয় শক্তির কথা প্রথম যে শালা আমলা তুলছে, তারে কয়েকদিন হালকা রেডিয়েশনের মধ্যে রাখা উচিত। মাত্র এক লক্ষ চুয়াল্লিশ হাজার স্কয়ার মিটার জায়গা, তার মধ্যে গিজগিজ করে মানুষ, সেইরকম বিরান জায়গা তো চোখেও পড়েনা।
তার মধ্যে এই প্লান্ট বানাইবো কোথায়, সেইটাই মাথায় ঢুকেনা। এক পানিবিদ্যুত এর প্লান্ট - সেইটা নিয়াই কতো ঝামেলা। বাংলাদেশে নিউক্লিয়ার প্লান্ট বানানো অসম্ভব, আয়তনগত আর ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতার কারণে - এইটা মেট্রিক পাস লোকেও বুঝবো।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

হাসিব এর ছবি

এইটা মেট্রিক পাস লোকেও বুঝবো।

মনে হয় না । বরঞ্চ আমি ধারনা করি এই প্রকল্প একটা বড় সমর্থন পাবে । ভারত পাকিস্তানে সেটাই দেখা গেছে ।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

থামে না যেন। বিশেষ ধন্যবাদ টীকার জন্য। হিমু ভাই, আপনিও কিছু টীকা দিয়েন এরকম। নয়তো হারিয়ে যাই জার্মান ভাষায়। ছোট ভাইকে ফোন করে অর্থ জানতে হয়!!

হাসিব এর ছবি

ধন্যবাদ । আপনার ছোট ভাই জার্মানী থাকে নাকি ?

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

না, হাইস্কুলে জার্মান নিয়েছিল। স্প্যানিশ-ফ্রেঞ্চের ভিড়ে জার্মান একটু অবহেলিতই ছিল, তাই নিজের চেষ্টা দিতে হয়েছে এখন। জার্মান শুনলে এমনিই মনে হয় ধমক দিচ্ছে,তার উপর এখন উনি রেগে গেলে জার্মান ভাষায় বিড়বিড় করেন!! ওর ইচ্ছা পরের সামারের দিকে জার্মানিতে কিছু সময় কাটানো।

হাসিব এর ছবি

চেষ্টা করবো । কিন্তু সমস্যা হইলো লেখতে বসলেই সেইটা মাইলব্যাপি লম্বা লেখা হয়ে যায় ।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

হাসিবের উচিত নিয়মিত লেখা ।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

হাসিব ভাইকে বেগতিকে ফেলে দেওয়া দরকার, তাহলেই দৌঁড়ে দৌঁড়ে লেখা বের হবে! চোখ টিপি

হাসিব এর ছবি

এরা দুদকের লুক নাকি চিন্তিত

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

দুঃখিত যে লেখাটা পড়লাম দেরিতে। ভালো লাগলো। কিন্তু পরের পর্ব কোথায়?

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

হাসিব এর ছবি

রবিবার রাতে দেবার প্লান ভোখেনব্লাট পর্বগুলো । সে হিসেবে আজ রাতে দ্বিতীয় পর্ব মুক্তি পাবে ।

অমিত আহমেদ এর ছবি

দূর্দান্ত লেখা!
কমেন্টে আলোচনাও খুব মন দিয়ে পড়লাম ও উপভোগ করলাম।


ভালবাসি, ভালবাসি, ভালবাসি তোমায়!
ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

অতিথি লেখক এর ছবি

দেরিতে পড়লাম…ভালো লাগলো লেখা আর কমেন্ট গুলো…না পড়লে অনেক কিছুই মিস করতাম।
~

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।