লাল পাহাড়ের দেশে

শিশিরকণা এর ছবি
লিখেছেন শিশিরকণা (তারিখ: সোম, ১৩/০৮/২০১২ - ৪:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ডিসক্লেইমারঃ এই পোস্টের কোন ছবি কোন রকম পোস্ট প্রসেসিং করা হয়নাই।


পায়ের তলায় সর্ষে অলা এক পর্যটকের ভয়ে আজকাল সচলে ভ্রমণ ব্লগ দিতে কলিজা লাগে, ডুপ্লিকেট পোস্ট হয়ে যায় কিনা এই আশংকায়। অনেকদিন ধরে নিবিড় পর্যবেক্ষণের পরে ধারণা হইল, উনার পাসপোর্টে সীল ছাপ্পরের বহর দেখে আম্রিকান সরকার নির্ঘাৎ তেনারে সন্ত্রাসী ঠাউরেছে, এখনো এই ভু-খন্ডে পা দিতে পারেন নাই। উনি পোস্ট দেবার সুযোগ পাবার আগেই তাই একখানা পোস্ট ঠুকে দেই এই বেলা ভেবে লেখার সাহস করলাম।

বর্ণনা শুরুর আগে একখানা গান দেখেন। যারা MI-2 দেখে কেবল নায়িকার দেহ বল্লরী স্মরণে রেখেছেন তাদের স্মৃতি পরিষ্কার হবে। নায়ক সাহেব সিনেমার শুরুতেই তার দুঃসাহস প্রমাণের জন্য প্রথমেই এক দুর্গম পাহাড়ের কানা ধরে ঝুলায়মান থেকে যে অপার্থিব দৃশ্য অবলোকন করেছিলেন, সেই দৃশ্যাবলীই আপনাদের দেখাবো, তবে কিনা অত উঁচু থেকে নয়, মাটির কাছাকাছি থেকে। গানটা ছেড়ে দিয়ে স্ক্রল ডাউন করতে থাকুন।

এম্বেডেড ভিডিও দেখা না গেলে এখানে ক্লিক

আম্রিকা দেশটা মেলা বড়, এক ধার থেকে আরেক ধার যাইতে যাইতে আকাশ বাতাস সময় সব পালটায় যায়। হলিউড মুভি দেখলে মনে হয় আম্রিকা মানে নিউ-ইয়র্ক যেইখানে নানান কিসিমের ভিলেইন এটাক করে, দালান কোঠা দিয়ে ভর্তি। কিন্তু প্রকৃতিক বৈচিত্র্যময় জায়গাও কম নাই, যেইখানে খান-দানী ভিলেইনদের আনাগোনা কম ( এইজন্যই নায়ক সাহেব শান্তিতে ছুটি কাটাইতে এইসব জায়গায় ঝুলাঝুলি করতে যান।) এই জায়গাটা হইল আম্রিকার উত্তর পশ্চিম দিকে চারটা রাজ্যব্যাপী। এরিজোনা, ইউটাহ,কলোরাডো আর নিউ মেক্সিকোর) চারটা কোনা এসে মিলেছে যে খানে সেই এলাকা জুড়ে এই আজব ভৌগলিক বিস্তার। যদিও আর্চেস ন্যাশনাল পার্ক নামে পরিচিত যে জায়গাটা সবচে বেশি দর্শনীয় সেটা ইউটাহ এর অংশ। লালপাথুরে মাটি সোজা আকাশ ফুড়ে উঠে গেছে। গাছপালাহীন ধু ধু লাল প্রান্তরের মাঝে মাথায় ডান্ডা মেরে অজ্ঞান করে কাউকে এনে ছেড়ে দিলে জ্ঞান ফিরে প্রথমেই মনে হবে বুঝি এলিয়েন এবডাকশন করে মঙ্গল গ্রহে এনে ফেলেছে। দুইন্যার এইসব জায়গায় আসলে মনে হয়, কেম্নে কী?

সেপ্টেম্বরের কোন এক মেঘলা ভোরে 'বুলা'কে নিয়ে রওনা হলাম ইউটাহ এর দিকে। মাঠ ঘাট, পাহাড় পর্বত কত কিছু পেরিয়ে সল্ট লেক সিটিতে পৌছলাম সেটার বর্ণনা না হয় আরেক পোস্ট হবে, দু'দিন এদিক সেদিক ঘুরে এই পথ ধরে এসে হাজির হলাম আর্চেস ন্যাশনাল পার্কে।

এরপর শুরু হলো পাহাড় গা বেয়ে একে বেকে উঠে যাওয়া পথে গাড়ি নিয়ে।

ঘাড় ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখতে দেখতে কখন যে চোয়াল ঝুলে পড়ে হুঁশ থাকে না। এদিকে তাকাতে গেলে আরেকদিকে কিছু একটা চোখের কোনা দিয়ে মিস হয়ে যায়। তাই এই জায়গাটা দেখে গাড়ি থামিয়ে নামতেই হলো।

এই জায়গাটার নাম দেয়া হয়েছে পার্ক এভেন্যু। মাঝ দিয়ে চলে গেছে একটা পায়ে চলা পথ। চাইলে ঐ পথে হেটে পার্ক এভেন্যু পার হওয়া যায়, অলস বাঙালি বলে ঐ পথে পা বাড়ানো হলো না, তাছাড়া ম্যাপ বলছে তখনো পার্কের সিকি ভাগও দেখা হয়নি।

এই খাড়া দেয়াল কোন মানুষের হাত ছাড়া প্রকৃতি বানিয়েছে বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। দুই দিকে স্কাই স্ক্র্যাপারের সমান উচ্চতায় মাথা তুলে থাকা এইসব প্রাকৃতিক স্থাপনা দেখলে মনে হতেই পারে যে বুঝি পার্ক অ্যাভেন্যু দিয়ে যাচ্ছি। সারদিন এক খানে বসে কাটিয়ে দিতে ইচ্ছে করলেও উঠে রওনা দিতেই দেখা হলো এক স্থানীয় বাসিন্দার সাথে।

একটু এগোতেই চোখে পড়ল ঝগড়ারত তিন কুটনী মহিলার উপর।

ঐ পাথর টা ঐ মাথায় গেলই বা কিভাবে আর ভারসাম্য বজায় রেখে আছেই বা কিভাবে? ওর পাশ দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যেতে যেতে সতর্ক চোখ রাখি কোনটা গড়িয়ে পড়ে কি না এই ভয়ে।

এইরকম কেবল একটা দুইটা না, যেদিকেই তাকিয়ে অবিশ্বাস্য সব ভারসাম্যের খেলা। পার্কের অন্যতম বিখ্যাত পাথরেরে নাম "ব্যালান্সড রক", প্রায় ৫৫ ফুট উচু এই পাথর কোনরকমে দাঁড়িয়ে আছে সরু একটা স্তম্ভের উপর।

একটু গুতা টুতা দিয়ে দেখলাম নড়ানো যায় কি না।

বেশি একটা লাভ হইলো না। মানুষের সাথে তুলনা করলে বুঝা যায় পাথরটা কত্ত বড়।

এইখানে খান কয় ছবি তুলার পর আবার আগানো শুরু হইল, উদ্দেশ্য ডাবল উইন্ডো নামের আর্চ দেখা। রাস্তা থেকেই দূরে তার নিশানা দেখা গেল।

কিন্তু ম্যাপ বললো কাছে গিয়ে দেখতে হলে হাটতে হবে মাইল দুয়েকের মতো। সময়ের অভাবে তাই লোভ সামলে ক্যামেরা জুম করে দুধের সাধ ঘোলে মেটাতে হলো।


এভাবেই দেখে নিলাম আরো কয়েকটা আর্চ।

আরো কত যে ভালো করে দেখা বাকি রয়ে গেল।

আফসোস ভুলে তাড়াতাড়ি চললাম, যেটা দেখতে এতদূর এসেছি সেই বিখ্যাত ডেলিকেট আর্চের দিকে। একদম পাহাড়ের কানায় কোন রকম সাপোর্ট ছাড়া একাকী দাঁড়িয়ে আছে এই আর্চ। যেখানে গাড়ি পার্ক করা যায় সেখান থেকে এক চিমটি দেখা গেল এইরকম।

কিন্তু এইটুকু তে কি আর মন ভরে, তাই ভর দুপুরের রোদ মাথায় করে পা বাড়লামা ১।৫ মাইলের হাইকিং ট্রেইলে। ট্রেইলের গোড়াতেই একটা ধ্বসে পড়া কেবিন, সাথে সাইনবোর্ডে লেখা "ওলফ র‍্যাঞ্চ", এই এলাকায় প্রথম বসতি স্থাপন করা পরিবার।

এই ঘোলা পানির উৎস ভরসা করে ছেলে পিলে নিয়ে বসতি গেড়েছিল এরা। মানুষের সাহস আর উদ্যম দেখে স্তম্ভিত হতে হয়।

পাহাড়ের ঢাল বেয়ে যে যেমন খুশি উঠে যাচ্ছে, তবে তার মাঝেও সহজ পথ চিনিয়ে দেয়ার জন্য পার্ক রেঞ্জাররা পাথর সাজিয়ে ট্রেইল চিহ্নিত করে রেখেছে।

সাইনবোর্ড বসিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশটা নষ্ট করেনি বলে ভালো লাগলো। এই পাথরের স্তূপকে যে "কেয়ার্ন" বলা হয় সেটাও জানলাম, যদিও এটা শোনার পর থেকে খালি নিউজি ল্যান্ডের হেঞ্ছাম ক্রিকেটার ক্রিস কেয়ার্নের কথা মনে পড়ছিলো খালি।

উঠার পথে আরেক স্থানীয় বাসিন্দার সঙ্গে দেখা হল। নাম ক্যাঙ্গারু র‍্যাট। কাঠবিড়ালি জাতের এই ইদুর পানি ছাড়াই বেচে থাকতে পারে এই উষর মরুতে। শিকড় বাকড় পাতা এসব অন্যান্য খাবার থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় পানি।


পথে উঠতে উঠতে আরও চোখে পড়লো পাহাড়ের গায়ে সৃষ্টি হওয়া কিছু গুহা। ওয়েস্টার্ন কাহিনীর বিখ্যাত বুচ ক্যাসিডী আর সান্ড্যান্স কিডের আস্তানা ছিলো এইসব গুহা। কাছে পিঠে ট্রেইন ডাকাতি করে এসে এই গুহায় একবার গা ঢাকা দিলে কোন শেরিফের বাপের সাধ্য এই ভুল ভুলাইয়া থাকে খুঁজে বের করে।

অবশেষে পা ফেললাম পাহাড়ের মাথায়। একটা বাঁক ঘুরতেই দেখা মিললো ডেলিকেট আর্চ নামের এই বিখ্যাত প্রাকৃতিক আশ্চর্যের উপর। মানুষ যতই কল্পনা করুক না কেন, প্রকৃতি সব সময়ই সেই কল্পনাকে ছাড়িয়ে যায়।

আর্চের ঠিক নিচেই নেমে গেছে খাড়া পাহাড়ের ঢাল। প্রতিনিয়ত ভাঙ্গা গড়ার খেলায় ব্যস্ত এই ভূ-স্বর্গে এখনো দাঁড়িয়ে থাকা এই তোরনটি আর ক'দিন থাকবে তা বলা যায় না। তবু প্রতি বছর তোরণের মাথার উপরের ঐ সমান্তরাল অংশের খাঁজে খাঁজে পাখিরা বাসা বাধে। পড়ন্ত বিকেলের আলোয় সমস্ত লালীমা গায়ে মেখে পর্যটকদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে ডেলিকেট আর্চ। ক্যামেরার লেন্স যে এখনো মানুষের চোখের সমান হতে পারেনি সেই উপলব্ধি থেকে একে একে পর্যটকেরা এই অপার্থিব সৌন্দর্যকে পিক্সেলে বন্দী করার আশা বাদ দেয়। মেঘ ফুড়ে আসা সূর্যের আলোয় বিছানো নীলচে সবুজ পাহাড়ের কোলে লাল পাথরের ভাস্কর্যের দিকে তাকিয়ে এই মানব জীবন নিয়ে গভীর ভাবনা হয়ত আচ্ছন্ন করে মনকে। হঠাৎই নীরবতা গ্রাস করে পাহাড়চূড়ায় জড় হওয়া মুখরিত মানুষগুলোকে।

বিশ্রামের ফাকে কেউ খুলে বসে খাবারের প্যাকেট, আর তাইতে গন্ধ শুকে হাজির হয় দু চারটে ক্যাঙ্গারু র‍্যাট।

ছটফটে আর অসম্ভব কিউট চেহারার প্রানীগুলোর কয়েকটা ছবি তুলে ফেলি চটপট। তারপর ফিরতি পথ ধরি।

এবার কিছু তথ্য।

নীল সবুজের এই পৃথিবীর মধ্যে এইরকম আজব মঙ্গল গ্রহ মার্কা জায়গা কিভাবে তৈরি হল? প্রায় ৩০ কোটি বছর আগে কলোরাডো নদীর অববাহিকায় এই জায়গা ছিল সমুদ্রের পানির নিচে। একসময় সমুদ্র সরে গেল, পানি শুকিয়ে গিয়ে পড়ে রইলো লবন আর বালির আস্তর। তারপর একসময় আবার সমুদ্র এগিয়ে এসে ডুবিয়ে দিল এই জায়গাটা, আবার সরে গেল। এইভাবে এক দু'বার নয় ঊনত্রিশবার সমুদ্রের আসা যাওয়া চললো, আর প্রতিবারে রেখে গেল, শুকনো লবনের আস্তরণ, হাজার হাজার ফুট গভীর। এরপর প্রায় পনের কোটি বছর আগে শেষবার সমুদ্র মিলিয়ে যাবার পর থেকে এখানে এসে জমা হতে লাগলো কলোরাডো নদীর বয়ে নিয়ে আসা পলি আর পাথর। একসময় পুরো জায়গাটাই ঢেকে গেলো লাল বেলেপাথরেরে নিচে। কিন্তু পাথরের চে যেহেতু লবনের ঘন্ত্ব অনেক কম, এই ভার নিতে পারলো না নিচের লবনের স্তর, ধ্বসে পড়লো জায়গায়। এভাবেই প্রায় পনের কোটি বছর আগে তৈরি হলো টিলা আর উপত্যকা আর মালভূমি গুলি আর উপরের পাথরের স্তর গুলো সময়ের সাথে তৈরি করলো এই অন্য দুনিয়া। লালা বেলে পাথরের কারনেই আজব সব আকার আকৃতিতে মাথা উচিয়ে ভুপ্রাকৃতিক গঠণগুলোকে মঙ্গল গ্রহের সাদৃশ্যিক মনে হয়।

লবনের স্তর ধ্বসে পড়ার পর এবার খেল দেখানো শুরু করলো বৃষ্টি আর বাতাস। যদিও এই এলাকায় বৃষ্টি হয় কালে-ভদ্রে, কিন্তু যখন হয় তখন শুকনো মাটি সাৎ করে শুষে নেয় সব পানি। ভু_গর্ভস্থ পানিতে ধীরে ধীরে গলে ক্ষয় হয়ে যায় নিচের লবনের স্তর। ফলে জায়গায় জায়গায় আবার ধ্বসে পড়ে বেলেপাথরের স্তূপ এবং পাখানার মতো সরু সরু শৈল শিরা উপশিরা তৈরি হয়। বাতাসে ক্ষয় হতে থাকে এই সব পাথরেরে দেয়ালের নিচের অংশগুলো, কোথাও কোথাঅ উপরে বীমের মতো অংশ আস্ত রেখেই নিচের পাথর আর বালি ধ্বসে পড়ে। এভাবেই তৈরি হয় এক একটি তোরণ বা আর্চ। ভিজিটর সেন্টারে দেখানো ভিডিওর যটটুকু মনে আছে তা থেকে লিখলাম। আরও ভালো ভাবে জানতে হলে দেখুন ডিস্কভারি চ্যানেলের তৈরি এই ডকুমেন্টারি টি।


Secrets od Red Rock

ইউটাহ স্টেটেরে মোঅ্যাব শহরেরে কাছাকাছি এই ন্যাশনাল পার্কে এমন তোরণের সংখ্যা ২০০০ এর উপরে। মানুষ গলে যাবার সমান ফোকড় না হলে তোরণ বলে ধরাই হয় না, কাজেই ছোটখাট তোরণ বা জানালা হিসেবে ধরলে সংখ্যা আরো অনেক বেশি হবে। যেটা মজার ব্যাপার আজকে যেটা ছোট জানালার ফোকড় মনে হচ্ছী, কাল কিন্তু সেটাই বিশাল তোরণে পরিণত হতে পারে। কখন যে পাথর বালি ধ্বসে পড়ে এই তোরণ তৈরি হবে, তা বলার কোন উপায় নেই, কারন এমনটা হর হামেশাই ঘটে এখানে। অনেক আর্চই মানুষের জানা সময়ের মধ্যে ভেঙ্গে পড়ে বিলীন হয়ে গেছে, তেমনি তৈরি হয়েছে নতুন আর্চ। এই ইউটিউবের যুগে একদল টুরিস্টের উপস্থিতিতে ভিডিও ক্যামেরার সামনেই ভেঙ্গে পড়ে বিখ্যাত ল্যান্ডস্কেপ আর্চের এক অংশ।

এই জায়গাটাকে ভিন গ্রহ মনে হবার আরেকটা কারণ হলো, এখানের মাটির রঙ। উচু পাহাড় গুলি লাল রঙের হলেও অনেক জায়গার মাটিই সবজে- নীল রঙের। কেন? সেই যে সমুদ্রের আসা যাওয়া চলেছিল এই মাটির উপর দিয়ে তখন এখানে তারা রেখে গিয়েছে সবুজ- নীল রঙের সায়ানো ব্যাক্টেরিয়া। এই অনুজীব গুলো মাটি কামড়ে পড়ে থেকে বংশ বিস্তার করে এই রুক্ষ এলাকায়। এই প্রজাতিটিকে রক্ষা করার জন্য পার্কে নির্ধারিত রাস্তা ছাড়া বাকি জায়গায় পা না ফেলতে অনুরোধ করা হয় পর্যটকদের। কারন একবার পায়ের নিচে পিষে গেলে প্রায় হাজার বছর লাগে ব্যকটেরিয়ার কলোনি পুনর্গঠন করতে। তবে এই কারনে এই ব্যাক্টেরিয়ার স্তরের মাঝে লেখা হয়ে যায় হাজার বছরের ইতিহাস।
অনেক জ্ঞান বিলানো হলো। এইবার মনের একটা গোপন শখের কথা বলি। একদিন আমিও এজেন্ট হান্টের মতন ঐরম লাল পাহাড় বেয়ে উইযে-উই পাহাড়ের মাথায় উঠতে চাই। খালি জানের মায়াটা ছাড়তে পারছি না মন খারাপ

সকল ছবির আলোকচিত্রীঃ আশরাফ ইসলাম (ইমন)।

শেষ একটা ছবি, "বুলা" র। আমাদের দুজনের নিরুদ্দেশ ঘুরাঘুরির সঙ্গী।

আরও ছবি ব্লগ আসতে পারে বুলার সৌজন্যে। স্টে টিউনড।


মন্তব্য

তারেক অণু এর ছবি

ছবি দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল বুলা থাকবে কিনা? দেখি আছে, বহাল তবিয়তেই! ওকে জিজ্ঞাসা করেন তো পিছনের সীটে কয়েকদিনের জন্য জায়গা দিবে নাকি পরের বার এমন জায়গায় গেলে?

খুব বেশী ছুয়ে গেল সেই কেবিন আর পানির উৎসটা, ওয়েস্টার্ন যুগের কাউবয় হবার চাইতে মনে হয় না জীবনে সুখের কিছু ছিল বা আছে।

ঐ সব সর্ষেআলা ঘূর্ণিবাজদের একেবারে পাত্তা দেবেন না, নিজে সর্ষের অভাবে সর্ষের তেল দিয়ে আলুভর্তা খেতে পারি না, আর ফাজিলের দল পায়ের তলায় নিয়ে ঘুরে , যত্তসব!

( গোপন কথা- ভিসার আর সমস্যা নেই, মার্কিন সরকার যথেচ্ছ যাতায়াতের সুযোগ দিয়েছে বাপ বাপ বলে, পরের সচলাড্ডাতেও আসতে পারি টাইমিং ঠিক হলে)

সত্যপীর এর ছবি

(গোপন পাশকথা - আপনের টাইমিং অনুযায়ী সচলাড্ডার ব্যবস্থা হৈবেক। চিন্তা নাই। আইসা পড়েন আমরা ড্যাগার শানাইতেসি)

..................................................................
#Banshibir.

শিশিরকণা এর ছবি

সচলাড্ডা কই হইবেক? তারেকাঊরে বান্ধার জন্য দড়ি দড়া সাপ্লাইএর টেন্ডার নিলাম।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

সত্যপীর এর ছবি

নিউ ইয়র্ক নিউ ইয়র্ক!!

..................................................................
#Banshibir.

শিশিরকণা এর ছবি

অবশ্যই জায়গা হবে। চলি আসেন। একটা ক্রস কান্ট্রি ট্রিপ দেয়া লাগবে।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

তারেক অণু এর ছবি

ম্যাকানাস গোল্ড-এর শুটিং তা যেন কোথায় হয়েছিল?

ক্রস কান্ট্রি ট্রিপের ভয়েই আমেরিকা আসা হয় না, এক সময় পড়ার জন্য সেই দেশে যাবার চেষ্টা করেছি সবচেয়ে বেশী, তখন ম্যাপ দেখে সব ভেজে ফেলেছিলাম মনে মনে ( এখন মনে হয়, ভাগ্যিস যায় নি!) , সবচেয়ে বেশী দেখার ইচ্ছে মন্টানা আর ওয়াইমিং, ডিসির জাদুঘরগুলো, কিছু বাছা বাছা ন্যাশনাল পার্ক যেগুলোতে ট্যুরিস্টের ঢল নামে না, পাখির আবাস জলা, ইউতাহ- অ্যারিজোনার মরু--- কয়েক মাস লেগে যাবে, কিন্তু একবারে করতে পারলে খুবই ভাল হত।

শিশিরকণা এর ছবি

উইকি বলছে কাহিনী তে যিয়ন পার্ক দেখানো হলেও শুটিং হয়েছে গ্লেন ক্যানিয়নে। রোসো, ঐটার ছবিও আসছে। তবে ঐখানে থেকে ক্যাম্পিং করতে হবে, এইবেলা কেবল ড্রাইভিং করে পার হয়েছি ঐ জায়গা।

ক্রস কান্ট্রি ট্রিপ দেয়ার আগে ঠিক করতে হবে হরাইজন্টাল ক্রস, না ভার্টিক্যাল, নাকি কোনাইচ্যা। গত বছর একটা দিছি পেট বরাবর রুট ৬৬ ধরে। আপনার উইশলিস্ট দেখে মনে হচ্ছ মেক্সিকোর বর্ডার থেকে শুরু করে উত্তর দিক বরাবর রওনা দিতে হবে।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

কাজি মামুন   এর ছবি

যতই পড়ছিলাম, অবাক হচ্ছিলাম আর নিজেকেই প্রশ্ন করছিলাম, কি করে, কি করে গড়ে উঠল এই অপার্থিব আর্চগুলো? ভেবেছিলাম লেখক শুধু ছবি দেখিয়েই দায়িত্ব সারতে চান, কিন্তু লেখাটার শেষভাগে এসে ভুল ভাঙ্গল। কারণ অসামান্য ছবিগুলোর সাথে লেখক উপহার দিয়েছেন এই প্রাকৃতিক আশ্চর্যের এক নাতিদীর্ঘ জন্ম-কথা।
তবে ঝগড়া-রত তিন কুটনি মহিলাকে ভাল করে দেখতে পাওয়া গেল না।
এছাড়া, ডেলিকেট আর্চ আর ব্যালান্সড রক সত্যিই অবাক করল। আর ক্যাঙ্গারু র‍্যাট তো পুষতে ইচ্ছা করছে!

অনেক আর্চই মানুষের জানা সময়ের মধ্যে ভেঙ্গে পড়ে বিলীন হয়ে গেছে।

মনটা খারাপ হয়ে গেল। ডেলিকেট আর্চেরও একই অবস্থা হবে? যেহেতু আর্চের ঠিক নীচেই নেমে গেছে খাড়া পাহাড়ের ঢাল? ল্যান্ডস্কেপ আর্চের ভেঙ্গে পড়ার ভিডিওটা দেয়া যেত মনে হয়।
সবশেষে, অনবদ্য লেখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ! (ও একটা কথা বলা হয়নি, বুলাকে আপনার সফরসঙ্গী ভেবেছিলাম আগেই, কিন্তু তবু শেষের লাইনটিতে এসে ধাক্কা খেলাম! হাসি )

শিশিরকণা এর ছবি

ঐ তিন মাথা অলা পাহাড়েরই নাম 3 Gossips.
ল্যান্ডস্কেপ আর্চের ভেঙ্গে পড়ার ভিডিওটা খুঁজে পেলাম না, তবে ডিস্কভারির ১৫ মিনিটের ভিডিওটার মাঝে ঐ ফুটেজ আছে।

বুলা সফরসঙ্গী তো বটেই, মন মেজাজ খারাপ হলে আমাকে অনেক জায়গায় বেড়াতে নিয়ে যায়।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

ইয়াসির এর ছবি

টারেকানু একনো যায়নি একানে? বেশ বেশ!

ছবি আর লেখায় উত্তম জাঝা!

শিশিরকণা এর ছবি

একটা ব্যানার নিয়ে যাওয়া উচিত ছিলো, " তারেকানু পদচিহ্ন বিহীন এলাকা", বেশিদিন এই সুযোগ পাওয়া যাবে মনে হচ্ছে না। মন খারাপ

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

সত্যপীর এর ছবি

নীড়পাতায় অলরেডি তারেকাণুর ইনকা মিনকা নিয়া ঘুরান্তি পোস্ট দেইখা ত্যাক্ত আসি, আপনেরাও এখন ঘুরান্তিস পোস্টাইলে ক্যামনে হবে? ধুর মন খারাপ

ঘোলাপানির পাড়ে র‍্যাঞ্চ কেবিন ভালু পাইসি। আচ্ছা এরা খাইতো কি? চাষবাস করতো না শিকার?

চলুক

..................................................................
#Banshibir.

শিশিরকণা এর ছবি

কিঞ্চিৎ আলু পটল চাষ করতো মনে হয়। কিছু পাহাড়ী ছাগল আছে, ঐগুলা পুষেও পেট চালাতে পারে। আর স্ন্যাক্স হিসেবে হয়তো ক্যাঙ্গারু র‍্যাট এর রোস্ট। মন খারাপ

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

সত্যপীর এর ছবি

ক্যাঙ্গারু র‍্যাটের রোস্ট? মাবুদে ইলাহী

..................................................................
#Banshibir.

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ওই সায়ানোব্যাকটেরিয়াই ছিল যা দেখার মত! তাদের ছবি দেখলাম না! চোখ টিপি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

শিশিরকণা এর ছবি

ছবির মধ্যে নীল রঙ আসে নাই। মন খারাপ এইজন্য ছবি নাই।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

চরম উদাস এর ছবি

চলুক

ইউটাহকে অনেকেই আমেরিকার সবচেয়ে সুন্দর রাজ্য বলে। আমরা গতবছর Zion National Park পার্কে গেছিলাম। তবে ভুলটা হয়েছিল জুলাই মাসে গেছিলাম। গরমে ঘিলু বের হয়ে গেছে। তবে খুব সুন্দর জায়গা।
ওহ বলতে ভুলে গেছিলাম (আসলে ভুলি নাই, বার বার বলে যাচ্ছি সবাইকে বরং দেঁতো হাসি ), আর দুই সপ্তাহ পর Yellowstone যাচ্ছি। ওইটাই মনে হয় সবচেয়ে বড় আর বস পার্ক আম্রিকার। এই উপলক্ষে একটু নৃত্যকলা করে নেই এই ফাঁকে

শিশিরকণা এর ছবি

আমিও যাব। খাড়ান। ঐটা আরেকখান দুইন্যার বাইরেরে জায়গা, কেম্নে কী টাইপ! ছবি দিয়েন।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

ধুসর জলছবি এর ছবি

আপনি এরকম সাহস করে লিখতে থাকেন, আমরা আছি সাথে। চমৎকার লাগল ছবি ,লেখা সবই। চলুক

শিশিরকণা এর ছবি

হু! সাহস করছি। আরো কিছু ঘুরান্তিস পোস্ট রেডি আছে। চোখ টিপি

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

তাসনীম এর ছবি

চমৎকার লাগলো।

জায়ন ন্যাশানাল পার্কে গিয়েছিলাম একবার। এই জায়গাটাতে যাই নি।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

শিশিরকণা এর ছবি

সল্ট লেক যাওয়ার পথে যায়নের পাশ দিয়ে গেছি। ভিতরে ঢুকা হয়নাই। ঐ খানে এরকম বেশ কয়েকটা পার্ক আছে। সবগুলি মাথা ঘুরায় দেয়ার মতন সুন্দর।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

তিথীডোর এর ছবি

খাইসে! উত্তম জাঝা!
আহা.. কিস্যু দেখলাম না জীবনে। [মহা উদাস ভঙ্গিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে চোখ মোছার ইমো]

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

শিশিরকণা এর ছবি

আকাশ দেখো। এর থেকে সুন্দর কি আছে? আর কোন গ্রহে আছে এইরকম নীল আকাশ?!

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

স্যাম এর ছবি

দারুন! অণুর পর এবার কণা হাততালি

শিশিরকণা এর ছবি

আবার তারেকানুর মত হিংসা করেন না যেন।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

তানিম এহসান এর ছবি

দারুণ! চলুক।

শিশিরকণা এর ছবি

ঠিক হ্যায়! কোমর বেধে নামলাম।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

তানিম এহসান এর ছবি

অণু’র পর এবার কণা :০ দেঁতো হাসি

শিশিরকণা এর ছবি

সবাই তো অণুরে গুম করে দেয়ার পরিকল্পনা করে। ডরাইলাম। ইয়ে, মানে...

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

চলুক

লেখা আর ছবি দুটাই এনজয়েবল হয়েছে। দুর্ভাগ‌্যবশতঃ অ্যারিজোনা থাকতে যাওয়া হয়নি এখানে। মন খারাপ

শিশিরকণা এর ছবি

মক্কার লোকে হজ্ব পায় না যেমন। প্রায় ৪ বছর স্মোকি মাউন্টেইনের ২০ মেইল দূরত্বে থেকে কখনো কেবিনে থাকা হয়নি। এরিজোনায় চলে আসার পর আবার উড়ে গিয়ে ১ সপ্তাহ কেবিনে থেকে আসছি। কি আসে জীবনে, একবার ঢুঁ মেরে যান।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

নাশতারান এর ছবি

বড় হয়ে আম্রিকায় বিশাল ট্রিপ দিবো। তখন সব দেখে নিবো। সব!

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

শিশিরকণা এর ছবি

প্ল্যানড ট্রিপে এমন জানি দৌড়ের উপর থাকা লাগে, উদাস মনে হারিয়ে যাওয়ার চে ভালো ঘুরাঘুরি আর নাই।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

অতিথি লেখক এর ছবি

ট্যাকা দ্যান, মার্কিন মুল্লুক যামু।

শিশিরকণা এর ছবি

আগে ভিসা জোগাড় করেন। তারপর সাতার দিয়ে চলে আসবেন না হয়।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

মন মাঝি এর ছবি

চলুক
দুর্দান্ত!

লেখা পরে পড়ব, আপাতত ছবিগুলি দেখলাম। মাসুদ রানার "লালপাহাড়" বইটা, আর হলিউডের ছবি "ম্যাক্‌কেনাস গোল্ড"-এর কথা মনে পড়ে গেল।

****************************************

শিশিরকণা এর ছবি

ছবিতে এই ভয়ঙ্কর সুন্দরের প্রতি সুবিচার করতে পারে নাই। ম্যাক্‌কেনাস গোল্ড দেখিনাই।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

নিরবতা এর ছবি

চলুক

শিশিরকণা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

কৌস্তুভ এর ছবি

আম্রিকায় সাড়ে তিন বছর থাকলাম তবুও ইয়েলোস্টোন গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন এসব কিছুই দেখা হল না

যাক পোস্ট অতি দুর্দান্ত হয়েছে, জলদি জলদি বাকিগুলোও দেন

শিশিরকণা এর ছবি

তাতে কি? এখন তো তারেকাণুর সঙ্গে ঘুরেন, আপনারে হিংসা।
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আরো ছবি আসিতেছে।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

তানভীর এর ছবি

ইউটাহ গেলে কখনো যেতে হবে এইখানে। আপাতত মরমন দেশে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি না মন খারাপ

শিশিরকণা এর ছবি

এইটা এরিজোনা ইউটাহ বর্ডারের কাছে। মরমন দেশ থেকে দূর আছে। অবশ্যই যাবেন। এইটা দেখার পর গ্রান্ড ক্যানিয়ন আর চোখে লাগে নাই।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

অতিথি লেখক এর ছবি

অসম্ভব সুন্দর ফটোগ্রাফী। ছবি গুলো চোখে প্রশান্তি এনে দেয়।

কামরুজ্জামান স্বাধীন

শিশিরকণা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

অরফিয়াস এর ছবি

ওয়েস্টার্ন সিরিজের কথা মনে পড়ে গেলো !! দেঁতো হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

শিশিরকণা এর ছবি

হেহে! মনে পড়তেই হবে, দাড়ান! একটা ওয়েস্টার্ন শহর নিয়ে পোস্ট দেই।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

অরফিয়াস এর ছবি

জলদি দেন, আর তার সাথে কাউবয় পোশাকে অভিযাত্রীদের ফটু !! দেঁতো হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ওডিন এর ছবি

রুট ৬৬!

আশা আছে নিল ইয়ং শুনতে শুনতে একদিন ওই রুট ধরে যামু! হাসি

বাইদ্যওয়ে- লেখা ছবি গাড়ির নামকরণ- সব দুর্ধর্ষ! হাসি

শিশিরকণা এর ছবি

রুট ৬৬ আসলেই সেইরাম। গাড়ির স্টিয়ারিং ধরে ধ্যান মগ্ন হয়ে যেতে হয়।

গাড়ির ভাল নাম- "বুলবুলি", আদরের নাম "বুলা", এর আগে যেটা চালাতাম তার নাম ছিল, টুনটুনি, আর তার আগেরটার নাম পুটুবিবি।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

দারুণ লাগলো, ছবি আর লেখা।

শিশিরকণা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

উচ্ছলা এর ছবি

ছবি অবশ্যই তুখোড় । লেখা মাশাআল্লাহ অতি উপাদেয় ।
চলুক উত্তম জাঝা!

শিশিরকণা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- বেড়াইতে আসো।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

শাব্দিক এর ছবি

ডিশটিং পোস্ট। চলুক

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

শিশিরকণা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- এতদিন পর এই লেখায় আসলেন কেম্নে?

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

শাব্দিক এর ছবি

আগে মিস হইল কেন এইটাই তো বুঝলাম না। ইয়ে, মানে...
দেরি করে পোস্ট পড়া আমার পুরানো অভ্যাস আপু।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।