একটা ছেলের নাম বলুন।
খোকন?
আচ্ছা, ঠিকাছে। এইবার একটা মেয়ের নাম বলুন।
সুমি?
ঠিকাছে। ঐ যে দেখুন, রিকশায় চড়ে বেড়াতে বেরিয়েছে এক যুগল। খোকন আর সুমি। ঐ যে বেগুনি গেঞ্জি, ধূসর জিন্সের প্যান্ট পরা, ও খোকন। আর ঐ যে হালকা কমলা শাড়ি আর গাঢ় কমলা ব্লাউজ পরা ...।
ও-ই সুমি। বুচ্ছি।
বাহ, খুব অবজারভ্যান্ট আপনি। নিশ্চয়ই ক্লাস ফাইভে বৃত্তি পেয়েছিলেন?
হ।
আপনাকে দেখেই বোঝা যায়। তো, খোকন আর সুমিকে দেখুন ভালোমতো।
এদের এই অবস্থা ক্যান?
কোন অবস্থার কথা বলছেন?
রিকশায় এতো জায়গা থাকার পরও দুইজনই শরীরের অর্ধেকটা বাইরে ঝুলিয়ে বসে আছে কেন?
বাহ, খুব অবজারভ্যান্ট আপনি।
আমি ক্লাস এইটেও বৃত্তি পেয়েছিলাম।
আপনাকে দেখেই বোঝা যায়।
কিন্তু ওরা এইভাবে বসে আছে কেন?
কত কারণই তো থাকতে পারে। হয়তো খোকনের মানিব্যাগে আজ অনেক টাকা। কিংবা টাকা অল্পই, কিন্তু সব দুই টাকার নোটে। মানিব্যাগের ওজনের কারণে হয়তো বেচারার একখানা নিতম্ব বাতাসে ভেসে আছে। সিম্পল লিভার অ্যাকশন।
দুই টাকার নোটের এত ওজন?
হতেই পারে।
সুমিও কি দুই টাকার নোটের বান্ডিল নিয়ে বের হয়েছে?
সুমির ক্ষেত্রে অবশ্য এই ব্যাখ্যাটা খাটে না। কারণ খোকনের সঙ্গে বের হলে সুমি সঙ্গে টাকা নেয় না। হয়তো সুমি রূপার বিছা পরে কোমরে।
রূপার বিছার এত ওজন?
রূপার স্পেসিফিক গ্র্যাভিটি ১০৪৯০ কেজি পার কিউবিক মিটার।
ও।
আমিও ক্লাস ফাইভে বৃত্তি পেয়েছিলাম।
আচ্ছা।
অবশ্য এ সবই হাইপোথিসিস। আসল কারণটা অন্য রকম হতে পারে।
তাই?
হ্যাঁ। ঐ দেখুন খোকন আর সুমি ফুচকা খেতে নেমেছে।
খোকন আর সুমি এইভাবে হাঁটে কেন?
হয়তো দুই টাকার নোটের বাণ্ডিল আর রূপার বিছার কারণে সেন্টার অফ গ্র্যাভিটি পাল্টে গেছে বেচারাদের।
দেখে তো মনে হচ্ছে ...।
আপনি এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ পেয়েছিলেন।
হ।
দেখেই বোঝা যায়। যাই হোক। এখন দেখেন খোকন আর সুমি কী করে।
ফুচকার অর্ডার দিলো মনে হচ্ছে।
হ্যাঁ। কিন্তু দেখুন, এতোগুলো খালি চেয়ার, কিন্তু ওরা বসছে না।
ফুচকা তো দাঁড়িয়েও খাওয়া যায়।
তা যায়। কিন্তু আশেপাশে দেখুন আরো যুগলেরা ফুচকা খেতে এসেছে। মনে করুন ঐ যে লাল শার্ট কালো প্যান্ট লোকমান আর নীল কামিজ সাদা সালোয়ার বদরুন্নেসা, ওরা কিন্তু বসেই খাচ্ছে।
বদরুন্নেসা তো মেশিনের মতো ফুচকা ওড়াচ্ছে ভাইডি।
হুঁ। তারপর দেখুন কালো শার্ট লাল প্যান্ট হরিপদ আর হলুদ শাড়ি হলুদ ব্লাউজ মহানন্দা, ওরাও বসে খাচ্ছে।
হরিপদের প্লেট থেকে ফুচকা ওড়াচ্ছে মহানন্দা।
আহা ভাই এমন করেন কেন। আসল কথা হচ্ছে ওরা বসে খাচ্ছে। কিন্তু খোকন আর সুমি দাঁড়িয়ে। এই যে দেখুন ফুচকাওয়ালা মামু অর্ডার সার্ভ করলো। কিন্তু ওরা দাঁড়িয়েই খাচ্ছে। এই ভারি কাচের প্লেট হাতে নিয়ে কেন ওরা দাঁড়িয়ে খাচ্ছে?
কাচের স্পেসিফিক গ্র্যাভিটি কত?
অনেক।
হুমমম। ফুচকার স্পেসিফিক গ্র্যাভিটি কত?
কম নয়।
হুমমম। হ, ভারিই হবে। হয়তো কাচের প্লেটে আটটা করে ফুচকা নিয়ে দাঁড়ালে ওদের সেন্টার অফ গ্র্যাভিটি আবার ঠিক হয়ে যায়?
হতেই পারে। কিন্তু না-ও হতে পারে।
হইছে কী সেইটা বলেন না কেন?
খোকন আর সুমি দুইজন দুইজনকে খুব ভালোবাসে আসলে। ওদের প্রেম অমর।
তো?
ওরা বাংলাদেশকেও খুব ভালোবাসে। মাঝেমধ্যে ওরা দেশের বিভিন্ন দর্শনীয় জায়গায় বেড়াতে যায়।
তো?
যেমন ধরেন ময়নামতি, সাভারের স্মৃতিসৌধ। পুরনো মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা। মহাস্থানগড়। পুরনো জমিদারবাড়ি। বৌদ্ধবিহার। এইসব জায়গায়।
তো?
স্থাপত্যের প্রতি ওদের একটা অপত্য স্নেহ আছে আর কি।
তো?
যেখানেই যায়, সেখানেই ওরা একটা দাগ রেখে আসতে চায়। এক ফোঁটা শিশির ফেলে আসতে চায়। ধরেন, যারা পরে সেখানে বেড়াতে যাবে, তারা যেন বুঝতে পারে, খোকন সুমিকে ভালোবাসে।
তো?
সেজন্য খোকন সঙ্গে করে একটা চকের বাক্স নেয়। আর সাইনপেন। আর স্প্রে পেইন্ট। বিভিন্ন রঙের। সাদা, কালো, লাল, নীল। মাঝে মাঝে হলুদ।
আচ্ছা।
তারপর যেখানেই যায় সেখানেই এক ফাঁকে দেয়ালে বড়বড় করে লেখে, খোকন + সুমি।
ইকুয়ালস টু হোয়াট?
সমীকরণের ঐ পাশটা ওরা এখনও ফাঁকা রেখেছে। ওরা দুজনই সচেতন। বাঁচতে হলে জানতে হবে।
ও।
কিন্তু মাঝেমধ্যে একটা হৃদয়চিহ্নও আঁকে খোকন। সেইটার ভিতরে লেখে খোকন। তার নিচে লেখে সুমি।
সুমির ওপর খোকন?
মাঝেমধ্যে উল্টোটাও লেখে। খোকনের ওপর সুমি। এ নিয়ে খোকনের মধ্যে কোনো গোঁড়ামি নেই।
আচ্ছা।
তো সেদিন তারা গিয়েছিলো এক পুরনো জমিদার বাড়িতে। বলদিয়ার জমিদার বাড়ি। ইরাদিয়া পরিবারের নাম শুনেছেন?
হ্যাঁ। চোর বাটপার দিয়ে ভর্তি। কী করেছে তারা?
তারা কিছু করেনি। ইরাদিয়া পরিবারের এস্টেটে সুন্দর দুইটা গোলঘর আছে। সেই বৃটিশ আমলে তৈরি। মার্বেল পাথরের। ছাদটা কাচের। জমিদার বুলন্দ হায়দার ইরাদিয়া ঐ গোলঘরে বসে বৃষ্টি দেখতেন। তারা দেখতেন।
দুইটা গোলঘর কেন?
একটা বুলন্দ হায়দারের জন্য। আরেকটা তার কনিষ্ঠা ভার্যা গুলবদন ইরাদিয়ার জন্য। উনি ঐ গোলঘরে বসে বুলন্দ হায়দারের উপর নজরদারি করতেন। যাতে বুলন্দ হায়দার তারা দেখার নাম করে রাতের বেলা অতিরিক্ত শরবত পান বা বাঈজি সংসর্গ না করেন।
আচ্ছা।
তারাও একে অপরকে বড় ভালোবাসতেন। পয়সার অভাবে বুলন্দ হায়দার তাজমহল বানাতে পারেননি। দুইটা গোলঘর বানিয়েই ক্ষান্ত দিয়েছিলেন।
আচ্ছা।
তো সেই গোলঘরে অনেক পর্যটক যায়। খুব সুন্দর কারুকার্য করা স্থাপত্যকর্ম। ফরাসী নকশাকার এনে বানানো হয়েছিলো। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে। খানিকটা বারোক ছোঁয়া আছে যদিও।
আচ্ছা।
তো খোকন আর সুমি একদিন বাসে করে সেই গোলঘর দেখতে হাজির।
হুমমম।
শুনশান দুপুর। আশেপাশে কেউ নেই।
বটে?
খোকন আর সুমিই শুধু সেই গোলঘরে।
কোন গোলঘরে? বুলন্দেরটায় না গুলবদনেরটায়?
গুলবদনেরটায়।
আচ্ছা। তারপর?
তখন বসন্তকাল। মৃদুমন্দ সমীরণ চলছে। অ্যামবিয়েন্ট টেম্পারেচারও প্রেমবান্ধব। দূরে লাল নীল হলুদ ফুল ফুটে আছে। ভ্রমরার গুঞ্জন কানে শোনা যায়। গাছের ডালে একটা পরিযায়ী পাখি ডাকছে, কুকুকু।
খুব উসকানিমূলক আবহাওয়া।
হ। খোকন তখন সুমিকে একহাতে জড়িয়ে শক্ত করে বুকের কাছে টেনে নিলো।
ওহ নো। তারপর?
সুমিও খোকনের গায়ে হেলান দিয়ে চোখ বুঁজলো।
আরে বলেন কী?
খোকন তখন জিপার খুললো।
ছিছিছিছিছি। তারপর?
তারপর স্প্রে পেইন্টের কৌটাটা বের করলো ব্যাগ থেকে।
ওহ। ঐ জিপার। তারপর?
তারপর গুলবদনের গোলঘরের মার্বেল পাথরের ধবধবে সাদা অসূর্যম্পশ্য অনাঘ্রাত দেয়ালে টকটকে লাল স্প্রে পেইন্ট দিয়ে লিখলো "খোকন + সুমি"।
তারপর?
তারপর সুমিকে জড়িয়ে ধরে হাঁটতে হাঁটতে এগিয়ে গেলো বুলন্দ হায়দারের গোলঘরটার দিকে।
তারপর?
বাতাসে তখনও ভ্রমরা, পাখি, ফুল ইত্যাদির ঘনঘটা।
বুচ্ছি।
খোকন বুলন্দ হায়দারের গোলঘরের সামনে পৌঁছে সুমিকে আরেকটু কাছে টেনে নিলো।
বুচ্ছি।
সুমিও খোকনকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।
বুচ্ছি।
খোকন স্প্রে পেইন্টের ক্যানটা উঁচিয়ে যেই না গোলঘরের দেয়ালে একটা কিছু লিখতে যাবে, অমনি ঘটে গেলো এক আশ্চর্য ঘটনা।
কী?
গোলঘরের দেয়াল ফুঁড়ে বেরিয়ে এলো দুটো মার্বেলের হাত।
য়্যাঁ?
সেই হাতে ধরা একটা গনগনে লোহার শিক।
বলেন কী?
সেই হাত খোকন আর সুমিকে এক চটকানা মেরে মাটিতে ফেলে দিলো।
তারপর?
তারপর দুজনকেই উপুড় করে ঠেসে ধরলো মাটিতে।
ইয়া ক্ষুদা! তারপর?
তারপর খোকনের প্যান্ট আর সুমির সালোয়ার ইঞ্চি আষ্টেক নিচে নামালো টেনে।
ওহ নো! তারপর তারপর?
তারপর হাতে ধরা সেই গনগনে শিক দিয়ে খোকনের একখানা নিতম্বে লিখলো "বুলন্দ +", আর সুমির একখানা নিতম্বে লিখলো "গুলবদন"!
ব্যাপার না। লাভ কনকুয়ের্স অল ইনকনভেনিয়েন্সেস
হাহ হাহ অমানুষিক!!
মাঝেমধ্যে উল্টোটাও লেখে। খোকনের ওপর সুমি। এ নিয়ে খোকনের মধ্যে কোনো গোঁড়ামি নেই।
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
ওরে হাসতে হাসতে প্যাটে খিল ধইরা গেল গিয়া।।। বুলন্দ আর গুলবদন-গুলবদন আর বুলন্দ।
--বেচারাথেরিয়াম
এই কারণেই তবে তারা আধা পুটু হাওয়ায় ভাসিয়ে রিকশা চড়ে বেড়াচ্ছে
সেম সাইড পুটু হলে অবশ্য সম্ভব হতো না।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
হতো - রিকশাতে সাইড চেঞ্জ করে বসতে হতো। তবে গল্প পড়ে বুঝলাম হিমুও গোল্ডেন এ-প্লাস পাওয়া
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
যাক,এই বিষয়ে খালি আমি একাই চিন্তিতো না।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
নাতো। ধরেন পুটু১ = Lr, পুটু২ = Lr (ক্যাপিটাল মানে যে সাইডে দাগা খেয়েছে)। তাইলে সম্ভাব্য কনফিগারেশন হবে, LrLr, তাইলে দেখা যাচ্ছে একটা L মাঝে পড়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে পুটু১ = lR, পুটু২ = lR হলে কনফিগারেশন হবে lRlR, এখানে একটা R মাঝে পড়ে যাচ্ছে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
অংকের মাধ্যমে পরিস্কার করার জন্য ধন্যবাদ। দেখা যাচ্ছে বলদিয়ার জমিদার বেশ রিকশা ফ্রেন্ডলি ছাপ মেরেছিলেন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
lRLr হওয়াটা সবচেয়ে লজিক্যাল, বামে আর ডানে মার্জিন হিসেবে একখানা করে রেখে। এরপর রিকশায় বসতে হবে LrlR করে, যাতে L আর R ভাসমান থাকে।
ইচ্ছা হলেই উপায় হয়। খালি গিয়ানজাম না করে "লাইনে আসুন"।
আইচ্ছা আপ্নের হাতদুইটা কি মার্বেলের তৈরী? মনে হচ্ছে ছ্যাঁকাটা আপনি-ই দিয়েছিলেন।
গোয়েন্দা ঝাকানাকাকে দরকার।
সমাধান করে দেখা গেল খোকন ডান পুটুতে আর সুমি বাম পুটুতে ছ্যাঁকা খেয়েছে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
হ, এইটা ভ্যালিড কনফিগারেশন। আলোচ্য গবেষণাটুকু তাসনিম ভাইয়ের "দুজনেই পুটুর একই পাশে দাগা খেলেও রিকশায় বসতে পারবে" প্রস্তাবনার বিপরীতে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
অনেক চিন্তাভাবনা করলাম ব্যাপারটা নিয়ে। কাল সারারাত প্রায় ঘুমই হয় নাই। আমার সময়ে এ প্লাস সিস্টেমই ছিল না, নাহলে আমার মতো প্রতিভাবান এর এ প্লাস কেউ ঠেকাতে পারার কথা না। সচলে সবার ব্রেন আমার মতন অত ভালো না, শিশুতোষ অনেকেই আছেন। তাই এতো অঙ্ক টঙ্ক না করে মনে হল ছবি একে বুঝিয়ে দেই। চিন্তা ভাবনা করে মনে হল অন্তত ১১ টা বিভিন্ন আসনে বিক্ষত পুটু হাওয়ায় ভাসিয়ে রিকশায় বসা সম্ভব। মাত্র তিনটার ছবি দিলাম, বাকিগুলা ধাঁধা হিসেবে থাকল। প্রথম আসনটি সহজ। তাদের খালি ডান বাম দিক বদলে বসতে হবে। দ্বিতীয়টিতে উভয়কেই উল্টামুখো হয়ে রিকশার পেছনদিনে পা ঝুলিয়ে বসতে হবে (এখানে পুটুকে ট্রান্সপারেন্ট ধরে সেটার মিরর ভিউ কেমন হবে বোঝান হয়েছে)। তৃতীয়টিতে গুলবদন ট্যাটু প্রাপ্ত সুমিতে উল্টা হয়ে বসতে হবে আর বুলন্দ+ ট্যাটু প্রাপ্ত খোকনকে মাথা রিকশার পাদানিতে আর পা আকাশে দিয়ে আপসাইড ডাউন হয়ে বসতে হবে (একটু কঠিন আসন তবে অসম্ভব নয়)।
ঠিকই তো আছে। আমাদের দেশে রিক্সায় উঠে তো মেয়েরা বামপন্থী হয়ে যায়, আর ছেলেরা হয় ডানপন্থী।
একদিন এইগুলা সংকলিত করে পুটুসূত্র লিখা হবে
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আপনি লুক্টা খুপ খ্রাপ
---------------------
আমার ফ্লিকার
সমীকরণের ঐ পাশটা ওরা এখনও ফাঁকা রেখেছে। ওরা দুজনই সচেতন। বাঁচতে হলে জানতে হবে।
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
এই পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ সহমত ব্যক্ত করলাম
গড়ানি দিয়ে হাসলাম। তারেকাণু ভাই হিস্টোরিক প্লেসে গ্রাফিতি না করার জন্য সতর্কবাণী হিসাবে এইটা পড়াতে পারেন লোককে।
(ইয়ে মানে স্পেসিফিক গ্রাভিটি আর ডেনসিটি একটু গুলিয়ে গেছে মনে হয়, স্পেসিফিক গ্রাভিটি একটা রেশিও, ওর একক নেই।)
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
তবে হিম্ভাই, গল্প শেষে কপোত/কপোতি'দের জন্য একটা শানে নযুল যদি দিয়ে দিতেন তাইলে পোয়াবারো হইত (সবাই কিন্তু বৃত্তি বা গোল্ডেন এ প্লাস পাই নাই)।
এক দম বাল ছাল লাগছে লেখাটা পইড়া। ভাবছিলাম বহু দিন পর লিখলেন, হয়ত ভাল কিছু পাব/ হইলাম চ্রম হতাশ।
আপনার স্যটায়ার কি ম্যটায়ার হয়ে যাচ্ছে, ভাই আম জনতা আপনার লিখা না বুঝলে, লাভ কি লিখা? নাকি এটা আসলে হুদাই বাল ছাল লিখা আছিল?
সরি, আপনার লিখার এভাবে মন্তব্য করার জন্য। কিন্তু আমার মনে হইছে, আপনার এই লিখাটা এই মৃদু গালিটা ডিজার্ভ করে।
ভোর বেলায় ঘুমাতে যাবার আগে ব্যপক হাসলাম, ধন্যবাদ হিম্ভাই।
সুমি তো কোনো দোষ করে নাই। ওর হয়ে এখন বদলা কে কীভাবে নিবে?
সকালবেলাটায় এত্ত হাসলাম ! এই সাইনপেন পার্টিগুলার আসলেই এমন কিছু শিক্ষা হলে ভালো হইত । প্রেমের ঘোষনা দেওয়ার জন্য টয়লেট থেকে পীরের মাজার , কোনো জায়গা বাদ রাখেনা ।
আমার প্রশ্ন হলো মাঝ খানের প্লাসটা লিখছে কোন জায়গায়?
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
গল্পটি সত্যি মজার। মানিব্যাগের ওজনে নিতম্ব ভাসা, স্পেসিফিক গ্রাভিটি, বৃত্তি, চকের বাক্স, সাইন পেন, স্প্রে পেইন্ট, বুলন্দ ও গুলবদন নাম সিলেকশন, 'স্থাপত্যের প্রতি অপত্য স্নেহ' ধরনের বাক্য ব্যবহার, ফুচকা ওড়ানো, এক ফোঁটা শিশির ফেলে আসতে চাওয়া ইত্যাদি খুব হাসিয়েছে। আর সবশেষে প্রাকৃতিক প্রতিশোধের ইঙ্গিত চমকপ্রদ সমাপ্তির দাবী মিটিয়েছে। গল্পটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল টান টান সংলাপগুলো। এত অনায়াস পড়ে ফেলা যায়!
তবে 'লেক্স ট্যালিওনিস' এর মত কঠিন নাম কি খুব জরুরি ছিল? অন্যদের কথা জানি না, আমাকে গুগল সার্চ দিতে হয়েছে। পাঠকের দাবী নিয়েই প্রশ্নটি করলাম।
নতুন জিনিস যে শেখা হয়েছে, সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই, হিমু ভাই। 'লেক্স ট্যালিওনিস' সম্পর্কে পড়তে যেয়ে জানা হল, 'আই ফর আই' এটা শুধু ইসলাম ধর্মের সম্পদ না, ইহুদি ধর্মেরও মালিকানা আছে তাতে। সঙ্গে বিচারব্যবস্থার ইতিকথাও কিঞ্চিৎ জানা হয়ে গেল।
যাহোক, আমার কথাটা কিন্তু ছিল অন্যরকম। যেমন, ধরুন, আপনার এই গল্পটি বই আকারে বা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। আর আমার কম্পিউটার নাই বা ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি নাই। সেক্ষেত্রে এই নামটি কি আমার পাঠে বিঘ্ন ঘটাবে না?
মামুন ভাই@ আমার কিন্তু মনে হয়, সেক্ষেত্রে আগ্রহটা আরো বৃদ্ধি পাবে; "কম্পিউটার নাই বা ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি নাই" এটা অযুহাত হিসেবে দাড়াবে না, যদি না পাঠক শব্দটার মানে সত্যি জানতে আগ্রহী হয়; সে কোন একটা উপায়ে সেটা বের করেই নেবে - এবং সেটা করতে অবশ্যই মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হবে না মনে হয়।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
সে কোন একটা উপায়ে সেটা বের করেই নেবে - এবং সেটা করতে অবশ্যই মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হবে না মনে হয়।
একমত। ভেবে দেখলাম, সেক্ষেত্রে পাঠে সাময়িক বিঘ্ন ঘটালেও শব্দদ্বয় কিন্তু আমার মাথায় ভালমতই চেপে বসত। বন্ধু, কলিগ বা শিক্ষক যে কারো কাছ থেকে আমি জানার চেষ্টা করতামই। মনে পড়ছে, বিভূতিভূষণের 'অশনি সংকেত', সুবোধ ঘোষের 'জতুগৃহ' বা মৈত্রেয়ী দেবীর 'ন হন্যতে' শিরোনামগুলো আমাকে তাড়া করে ফিরত। অর্থ উদ্ধারের জন্য।
আপনে মিয়া এত ফাউল যে বাংলাদেশের সবচাইতে ফাউল তিনটা লোকের নাম নিয়ে লিস্ট বানাইলে আপনার নাম সবসময় সেই লিস্টে থাকবে।
বুলন্দ + গুলবদন!!
কাশ! এইটাইপ ছিল মারা হাত দেশের সব হিস্টোরিক প্লেসে অটো সক্রিয় থাকত, আর খোকন সু্মি ছাড়াও মূত্র বিসর্জনওয়ালারা, গাঞ্জাখোর, ময়লা আবর্জনা ফেলনেওয়ালারাও যথাক্রমে একখান কইরা ছিল খাইয়া আসতো, তাইলে ব্যাপারটা কতই না মনোরম হইতো!
ব্যাপক আমোদিত হইলাম
হিল্লোল
মজাপাইচিরে।।।।।।।
খোদাই কর্মের সাথে সাথে ঐ কৌটোর মুখটাও সীলগালা করে বন্ধ করে দিলে মন্দ হোত না! দুর্দান্ত!
নির্ঝর অলয়
খোদার কসম! হাসতে হাসতে আমার প্যান্টের হুক খুইলা গেছে। আপনে আসলেই দুই নাম্বার ফাউল আর প্রথমটা হইল যিনি ছবি আইকা শিখাইলো, এমুন টীচার পাইলে আগেই পারমুটেশান শিক্ষা ফেলতাম। এহন ও হাসতাছি। (স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিসট)
খেকজ।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
মন্তব্য
মাথারুপ্রেকুনহান্দিয়াজানিগেলোগা
শেষটা এককথায় চরম।
পেম দিয়ে তারা পিথিবি জয় করতে চেয়েছিল! আফসুস!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমি ভাবছিলাম, পরশু রাতের রোজাটিভির চোখ তোলাতুলির সাথে সম্পর্কিত।
রোজাটিভি??
ফালুর মেয়ে রোজার নাম অনুসারেই আর-টিভি।
আরেকটা অপশন ছিল খা-টিভি। নানান দিক দিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হতো নামটা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
রোজা না রোজ?
রোজ নাকি? আমি কোথায় যেন পড়ছিলাম "রোজা"।
রোজ।
আরও বেশ কিছুদিন ওরা ফুচকা দাড়িয়েই খেতে থাকবে
অমর প্রেম কাহানি।
খোকন সুমী মনোয় বৃত্তিমিত্তি পায় নাই। বুদ্দিনাই।
..................................................................
#Banshibir.
হিমুদা আপনে এত্তো খ্রাপ !!!!
ভালোবাসার শত্রু আপনে !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ক্ষুধিত পাষাণ
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
খোকন-সুমি লিখল দেয়ালে আর বুলন্দ-গুলবদন লিখল পাছায় - এটা কি লেক্স ট্যালিওনিস হল?
![quote খোকনের একখানা নিতম্বে লিখলো "বুলন্দ +", আর সুমির একখানা নিতম্বে লিখলো "গুলবদন"!]
হাহাহা...হিমু দা আপনি এত বেরসিক কেনু?
দিবাকর