একাত্তর নিয়ে পাকি লজ্জা এবং আমাদের সংকোচ

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৫/১২/২০১১ - ২:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পাকিস্তানিদেরও লজ্জা আছে। এটা কি একটা খবর? মোটেও না। আজ সকালে পাক সেনাবাহিনীর সাইটে তাদের প্রস্তুতকৃত ১৯৭১ সালের ইতিহাস পড়ছিলাম। পাক জানোয়ারেরা একাত্তরের গণহত্যাকে তাদের কোন তথ্য ভান্ডারে রাখবে না এটাই স্বাভাবিক। একাত্তর নিয়ে তাদের ইতিহাস নিষ্কলুষ রাখার চেষ্টা করা হবে তাতেও কোন সন্দেহ নেই।

একাত্তর পাকিস্তানীদের জীবনে নিকৃষ্টতম বছর। তাই পাকবাহিনীর একাত্তরের ইতিহাস পর্বের মূল ভাষ্য- রাজনীতিবিদদের দোষে বাংলাদেশের কিছু দুষ্টু ছেলেকে ইন্ডিয়া প্রশ্রয় দেয়াতে পূর্বপাকিস্তানে কয়মাস ব্যাপি যে মারামারি হয়েছিল সেটাই ১৯৭১। এতে ধরে নেয়া যায় বিশ্বের নৃশংসতম বাহিনীটারও লজ্জা আছে। কারণ একাত্তরের বর্বরতার ইতিহাসের লেশমাত্র প্রকাশ পেলেও পাকবাহিনীর ইজ্জত দুর্গন্ধে ভরে যায়।

তাদের লজ্জা নিয়ে আমার আপত্তির কিছু নাই। আমার আপত্তি একাত্তর নিয়ে আমাদের লজ্জা বিষয়ে।

পাকবাহিনীর সাইট বেড়িয়ে এসে আমাদের সেনাবাহিনীর সাইটে ঢুকলাম। সেখানে ইতিহাস অংশটুকু পড়ে আমি বিস্মিত।

১৯৭১ আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবের বছর। সেনাবাহিনীরতো বটেই। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যাত্রা শুরু ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমেই। যে সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ নিয়ে আমরা গর্ব করি তাদের সবাই প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য। অথচ তার কোন বর্ননা সেখানে নেই। বিন্দুমাত্রও নেই।

অতীব ভাসা ভাসা ইতিহাস বর্ননায় বোঝা মুশকিল আমাদের একটা সুসংগঠিত মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল ১৯৭১ সালে। সেই যুদ্ধে আমরা নয় মাস রক্ত ঝরিয়ে স্বাধীন হয়েছি। সেই যুদ্ধের সময়ই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যাত্রা শুরু করেছে। কিছুই নেই এসবের। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের বর্ননা এত ছাড়াছাড়াভাবে প্রকাশ করা হয়েছে যেন কেউ আঘাত না পায়, যেন কারো প্রাণে ব্যাথা না লাগে।

তথ্যের চেয়ে ভাবসমৃদ্ধ ইতিহাস অংশটুকু পড়ে আমার মনে হচ্ছিল এই ইতিহাস আমাদের কেউ লেখেনি। অন্য কোন গ্রহ থেকে অচিন কোন প্রাণী এসে লিখে গেছে। প্রায় তিন হাজার শব্দের ওই ইতিহাসে 'Pakistan' শব্দটা খুব তমিজের সাথে ব্যবহার করা হয়েছে। kill, death, rape, genocide শব্দগুলো একবারো আসেনি, freedom fighter শব্দটা মাত্র দুবার এসেছে কায়ক্লেশে। তথ্যের তো কোন বালাই নেই।

অথচ এমনকি পাকিস্তানী সেনাবাহিনীও তাদের সাইটে ১৯৭১ নিয়ে একটা আলাদা পর্ব করেছে। সেটার শুরুতে বলেছে, With 1971 commenced the most tragic year of our history. তারা যে কারণেই মর্মাহত হোক না কেন, কিন্তু উনিশশো একাত্তর যে একটা আর দশটা বছরের মতো স্বাভাবিক বছর না সেটা অন্ততঃ প্রকাশ পেয়েছে।

আর আমাদের সবচেয়ে গর্বের কান্নার রক্তের বছর হয়েও আমাদের সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে ১৯৭১ নিয়ে আলাদা কোন চ্যাপটারই নেই। সেনাবাহিনীতে কি একত্তারের তথ্য সমৃদ্ধ বইয়ের অভাব রয়েছে? নাকি এখনো কেউ কেউ ১৯৭১ কে বিশেষ গুরুত্ব দেয়াকে নিরপেক্ষতার লংঘন মনে করেন?


মন্তব্য

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চলুক

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

অত্যন্ত প্রয়োজনীয় লেখা। ধন্যবাদ। আপনার প্রশ্নের সাথে আমি ও একমত। একই প্রশ্ন আমারও।

বুঙ্গা বুঙ্গা এর ছবি

এইসব কারণেই আমাদের জাতির আজ এই অবস্থা। আমরা সারা জীবন মুনোয় বুঙ্গা বুঙ্গাই খাইয়া যামু... মন খারাপ
পোস্টে হাততালি

সাঈদ  এর ছবি

সম্ভবত এটা ৪ দলীয় জোট সরকারের আমলে লেখা হয়েছিল তাই লজ্জা পাইছে ভাসুরের নাম মুখে নিতে।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

বাংলাদেশের আর্মিরটা সংকোচ নয়,

নির্লজ্জতা!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অন্যকেউ এর ছবি

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যাত্রা শুরু ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমেই। যে সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ নিয়ে আমরা গর্ব করি তাদের সবাই প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য। অথচ তার কোন বর্ননা সেখানে নেই। বিন্দুমাত্রও নেই।

আমরা ভেতর থেকে কতটা পঁচে যাচ্ছি! এই দেশের সেনাবাহিনী যদি মুক্তিযুদ্ধ বিস্মৃত হয়ে পড়ে, তাহলে আমরা দেশের নিরাপত্তার নাম দিয়ে কাদের পুষে চলেছি? এরা কীভাবে দেশের নিরাপত্তা দেবে? দেশ আর দেশের ইতিহাসই তো এরা চেনে না!

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

অরিত্র অরিত্র এর ছবি

চলুক

দুর্দান্ত এর ছবি

আমাদের সেনাবাহিনীর শুরুর দিকের নেত্রিত্ব শতভাগ পাকিস্তানে প্রশিক্ষিত, যেখানে তাদের <পাকিস্তানপ্রেম, ইসলাম, ভারত-বিদ্বএষ> এই তিন নীতিতে মগজ ধোলাই করা হয়েছে। শুধু সেনাবাহিনীই নয়, পাকিস্তানের ভুত এখনো জীবিত আছে আমাদের আমলাতন্ত্রে। পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিয়েও যাদের এই মগজ ধোলাই স্থায়ী হয়নি, তাদের বেশীরভাগই ম্ররিত বা সেনাবাহিনী ও সরকারের সাথে জড়ইত নেই।

এইসব 'কাকুল' ও 'সি এস এ - লাহোর' এ প্রশিক্ষিত প্রজন্ম ও তাদের নওজোয়ান অনুসারিদের পক্ষে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোন শব্দ খুঁজে পাওয়া কঠিন।

রু (অতিথি) এর ছবি

খুব বেশি অবাক হলাম। নিজে পড়ে দেখলাম, ভাসা ভাসা গদ্য আছে, তথ্য খুবই কম।

ঈগল এর ছবি

এইটুকু আমার নিজের চোখে দেখা | আমাদের একটা সেমিস্টারে প্রফেসর একবার আগারগাঁও এর এয়ারফোর্স বেজে নিয়ে গিয়েছিল | তো আমাদের একটা জন্য একটা স্লাইডশো দেখাচ্ছিল যেখানে ঐবিমান ঘাটির ইতিহাস আরো নানা কিছু ছিল | সেখানে কবে পাকিস্তান আমলে এইটাতে কি হইসিলো না হইসিলো সব ডিটেল ছিল কিন্তু ১৯৭১ এর সময় লেখাছিল কি সেইটা দেখে আমি পুরা থ | ভারতীয় বিমান বাহিনী এই ঘাটির কি কি ক্ষতি করসে তার বিবরণ | আমি যতদুর জানি যে ইন্ডিয়ান বিমান গুলা প্রথমেই রানওয়ে তে বম্বিং করে অকেজো করে দেয় যাতে পাকিস্তানি বিমান গুলো না উড়তে পারে | কিন্তু স্লাইড দেখে স্রেফ মনে হচ্ছিল যে পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর তরফ থেকে এই ইতিহাস লেখা | আমি হাসব না কাদব না লজ্জা পাব | এয়ারফোর্স এ কেউ কি ছিল না যে এইটা বদলে দিতে পারে | এইটাতো কমন প্রেজেন্টেশন | সবাইরে এইটাই দেখায় | এদের লজ্জা লাগে না | নিজের মায়ের সাথে বেইমানি করতে |

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

এইটা আমাদেরই ঠিক করতে হবে। নিজেদের পড়তে হবে, নিজেদেরই সেই ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।

উচ্ছলা এর ছবি

১৯৭১ আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবের বছর। সেনাবাহিনীরতো বটেই। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যাত্রা শুরু ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমেই। যে সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ নিয়ে আমরা গর্ব করি তাদের সবাই প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য। অথচ তার কোন বর্ননা সেখানে নেই। বিন্দুমাত্রও নেই।

গন্ড-মূর্খ!
একটা গুরুত্বপুর্ণ ওয়েবসাইটে কি কি তথ্য রাখতে হয়, সে ব্যাপারে এই ইডিয়েটগুলাকে একটা ক্রাশ কোর্স দিতে হবে দেখছি!

হিমু এর ছবি

জাতিসংঘ মিশনে অংশ নিয়ে সেনাবাহিনী যত গর্বিত, মুক্তিযুদ্ধ করে মনে হয় ততটা গর্বিত না।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আশা করি লেখাটি সেনাবাহিনীর নজরে আসবে এবং তদনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে।

দ্রোহী এর ছবি

হাসাইলেন বস। গড়াগড়ি দিয়া হাসি

তারেক অণু এর ছবি

আজব !

তারাপ কোয়াস এর ছবি

গত বছরের একটি ব্লগে কিছু তথ্য পেলাম, তার কিছু অংশ সরাসরি তুলে দিচ্ছি:

আব্দুল্লাহ হিল আমান আল আযমী : আমান আযমী ১৯৭৫ সালে সিলেট সরকারি অগ্রগামী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় বিভাগে এসএসসি, ঢাকা সেন্ট্রাল কলেজ থেকে তৃতীয় বিভাগে এইচএসসি পাস। এরপর ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন (সবার জন্য নির্ধারিত তারিখের একমাস পর তিনি মিলিটারি একাডেমীতে যোগদান করেন)। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণী পাওয়া একজন অতি সাধারণ ছাত্র জিয়ার সময় সেনাবাহিনীতে কিভাবে কমিশন পেলেন সে প্রশ্ন অনেকেরই। ২০০৯ সালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে কর্মরত অবস্থায় বরখাস্ত।

প্রশ্ন হলো সেনাবাহিনীর উচু পর্যায়ে এইরকম আরো কতজন জামাতী আছেন? নিঃসন্দেহে এই মাদাফা× চাইবেনা ভাসুরের ইজ্জ্বত যায় এমন কিছু করতে। সুতরাং সেনবাহিনীর সাইটে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস উপেক্ষিত, এটা কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা না বরং সুপরিকল্পিত বলেই মনে হয়।

লেখাটির জন্য নীড়'দাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।


love the life you live. live the life you love.

দ্রোহী এর ছবি

এ আর এমন কী? আমাদের সেনাবাহিনি যাদের হাতে তৈরি তারা পাকিস্তানের প্রতি প্রবল প্রেম অনুভব করে তাই এমনটাই হওয়াটা স্বাভাবিক। দেঁতো হাসি

সাফি এর ছবি

এদের কাছে বেশী কিছু আশা করিনা, তাই হতাশ হইনাই আরো অনেকের মতন। আমাদের সেনাবাহিনী নিয়ে আমি অনেক কেই বলি আমাদের সেনাবাহিনী এখনও পাকিস্তানের ভূত বয়ে চলেছে। কিন্তু এখনা দেখা যাচ্ছে ভূত না বরং বর্তমান।

হাসান এর ছবি

খুব বেশী চিলে কান নিলো হয়ে গেছে। পাকি ওয়েবসাইটটাতে বলা হয়েছে "১৯৭১ যু্দ্ধের ইতিহাস"(তাদের দৃষ্টিভঙ্গী থেকে)। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে "বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং তার বিভিন্ন শাখার ইতিহাস"....উপনিবেশিক আমল থেকে শুরু করে।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

চিলে কার কান নিল?
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপনিবেশ আমল থেকে ইতিহাস লেখার গুরুত্বটাই অপ্রাসঙ্গিক। আমাদের সেনাবাহিনীর জন্ম হয়েছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে। যে কারণে সমস্ত বীরত্বের খেতাব অর্জন করেছে প্রতিরক্ষাবাহিনির সদস্যরাই। তারামন বিবি ছাড়া আর কোন সিভিলিয়ান এই পদক পেয়েছে বলে জানা নেই।

উপনিবেশ আমল থেকে ইতিহাস লেখা দেখে মনে হয়েছে, যেন আমার জীবনী লিখতে গিয়ে আমার দাদার জন্ম কাহিনী লিখলাম কিন্তু আমার বাপ-মার বিয়ের কথা ভুলে গেলাম।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

হিমু এর ছবি

বেসামরিক বীর উত্তম, বীর বিক্রম আর বীর প্রতীকও আছেন।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

কিন্তু সমানুপাতিক হারে নাই।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

নীড় সন্ধানী এর ছবি

পূর্ন তালিকাটা না দেখেই লিখেছিলাম। তালিকা দেখলাম এখন। একজন বীর উত্তম, আর কিছু সিভিলিয়ান আছে বীর বিক্রম আর প্রতীকে, কিন্তু সংখ্যানুপাতটা অনেক কম। নিহতের সংখ্যায় সাধারণ মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা অনেক অনেক বেশী। তাছাড়া পুরষ্কারের মূল টার্গেট হলো প্রতিরক্ষাবাহিনী। তবু তাদের ইতিহাসে যদি ১৯৭১ বিশেষ গুরুত্ব না পায়, সেই ব্যর্থতা লজ্জাজনক।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

হিমু এর ছবি

ঐ খেতাবের পুরো ব্যাপারটাই ওসমানীর খেয়ালখুশি মতো হয়েছে। মেজর আবু ওসমানকে ওসমানী অপছন্দ করতেন বলে তাকে কোনো খেতাব দেন নাই, এমনকি তার অধীনস্থ অনেক বীর যোদ্ধা (সামরিক ও বেসামরিক) খেতাববঞ্চিত হয়েছেন। ওদিকে অফিস ডিউটি করেও নূর চৌধুরী খেতাব পেয়েছে।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

বীরবিক্রম তালিকার উইকি এন্ট্রিতে একটা বিভ্রান্তি পেলাম। এটা শুদ্ধ করা দরকার কারো। দুজন আবদুল মান্নান আছে তালিকায়। একজন সেপাই আরেকজন কনষ্টেবল। কিন্তু দুজনেরই লিংক দেখাচ্ছে একটা। এবং সেটা বিএনপির মেজর মান্নানের জীবনী। এটা নিয়ে কেউ কাজ করতে পারবে একটু? রাগীবের নজরে আনা দরকার।

http://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%B0_%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AE

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

হাসান এর ছবি

দাদা না থাকলে বাবা কিভাবে আসলো তাওতো বুঝলামনা!! তবে উইকিপিডিয়া ঘাটতে যেয়ে পেলাম তারাও ইতিহাস শুরু করেছেন দাদার আমল থেকেইবাংলাদেশ সেনাবাহিনী।কিন্তু প্রসঙ্গ সেটা নয়,আপনার অনুভূতি আর আমার অনুভূতিতে খুব একটা পার্থক্য আছে বলে মনে হচ্ছেনা।আমি দৃষ্টি আকর্ষন করেছি তুলনার তারতম্যের দিকে।তাছাড়া খেতাব তুলনামূলক ভাবে কম হলেও বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যেও খেতাব প্রাপ্ত রয়েছেন।খুব সম্ভবত সেনাবাহিনী বেশ কয়েকটি খন্ডে মুক্তিযুদ্ধের এলাকাভিত্তিক ইতিহাসও প্রকাশ করেছে।শুধুমাত্র ওয়েবে প্রকাশিত 'সেনাবাহিনীর ইতিহাস(সংক্ষিপ্ত?)' দিয়ে তাদের চেতনা বিচার করাটা অতি সরলীকরণ হয়ে যাবে বলে মনে হয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।