না ফোটা মুকুল কি ছড়ানো বাহার

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: শনি, ২০/০৯/২০০৮ - ২:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গোটাকয় বই হাতে যখন যুদ্ধফের্তা এমআর আখতার মুকুল শাড়ি বাজারে বসে পড়েন তখন বন্ধুরা হায় হায় করে উঠে তার বুদ্ধি নাশের আশংকায়- কাপড় কিনতে এসে বই ছুঁয়েও দেখবে কেউ?

বইয়ের ধুলো ঝাড়তে ঝাড়তে মুকুল হাসেন- দেখি না। শরীর গোছাতে আসা মানুষের হাতে মনের মসলাও উঠে কি না দুয়েকটা পাতা

মুকুলের সাহসে ভর করে বেইলি রোডে টিকে যায় সাগর পাবলিশার্স। বাড়ি ফিরবার পথে শাড়ি বাজারুরাও নিয়ে যেতে থাকে একটা দুটো বই। সেই ভরসায় বন্ধুদের হতবুদ্ধি করে দিয়ে আরো দুয়েকটা বইয়ের পসরা বসে যায় শাড়ি বাজারের উঠানের মুখে...

নব্বইর শুরুতে শাহবাগে ঝিমায় বাহার রহমান। কবিতা ও সাহিত্যের পরতে পরতে পড়া স্বপ্নহীনতার শ্যাওলা ঠেলে আজিজের তিন তলা থেকে দেখে পোশাকি নগরের চকচকে রং

বিধ্বস্ত বাহার ঝিমায় আর ভাবে। ভাবে আর ঝিমায়। ঝিমাতে ঝিমাতে ভাঙা সাহসের নিত্য প্রকাশে তালা তুলে দিয়ে নিত্য উপহার খুলে টিশার্টে মুক্তিযুদ্ধ- রবীন্দ্রনাথ- পৌষ কিংবা মানচিত্র আঁঁকে। আঁকে আর তলে তলে হাসে- বাড়িতে এখন কিছু দাম পাওয়া যায়...

বাহার হাসে আর আজিজের ভাঁজে ভাঁজে হাটে। বইয়ের দোকানগুলো টপাটপ টিশার্ট ফতুয়া পাঞ্জাবি শাড়িতে ভরে উঠা দেখে। দেখে আর মিটিমিটি হাসেÑ সামর্থ্যটাই বড়ো কিছু না। আইডিয়াটাই মূল...

নাগরিক মানুষের শরীরে উঠে আসে বাহারের রুচি- মানবতা কিংবা ইতিহাস। তবু ছাত্রীর বাধ্যতামূলক বিছানায় এখনও ভার্সিটি শিক্ষকের আদিম হওয়া দেখে কঁকিয়ে উঠেন চরমপত্রী মুকুল- শরীরে রং দিলি রে পোলাপান। মনে লাগতে দিলি না এক ফোটা রোদ... তাই রাজনীতির জমিন পিঁপড়ারে বন্দোবস্ত দিয়া রাস্তায় করা লাগে বিচির বিরুদ্ধে মিছিল...
২০০৮.০৯.১৯ শুক্রবার


মন্তব্য

আলমগীর এর ছবি

বোবা!

রাগিব এর ছবি

নিত্য উপহার কাপড় চোপড়ে যে বিশাল পরিবর্তন এনেছে, বলার বাইরে। বছর দশেক আগেও টি শার্ট বলতে পোলো মার্কা কিছু একটা বোঝানো হতো। কিন্তু বর্ণমালা, মুক্তিযুদ্ধ, কবিতা, আর রবীন্দ্রনাথের ছবি ওয়ালা কাপড় এখনকার তরুণ প্রজন্মের প্রিয় হয়ে উঠেছে, এটা একটা বড় অর্জন। (নিত্য উপহারের টিশার্ট অবশ্য কাটমোল্লাদের কুনজরে ... ঐ টিশার্ট পরে নামাজ হবে না এরকম ফতোয়াবাজি দেখেছি দু একবার।)

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বাহারের অর্জন নিঃসন্দেহে বিশাল
দেশীয় পোশাক শব্দটা পার হয়ে বাংলাদেশি পোশাক বলতে যা বোঝায় তা বোধহয় বাহারের নিত্য উপহারের হাত ধরেই বের হয়ে এসছে

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- নামাজ না হলে পড়বে না, অসুবিধা কী?
কাশ্মীরী পাঞ্জাবির আউটলেট তো আর কম নাই ঢাকায়। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

স্বপ্নাহত এর ছবি

গুরু গুরু

---------------------------------

বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

আকতার আহমেদ এর ছবি

তব্দা খায়া রইলাম ...

অনিন্দিতা এর ছবি

পড়লাম।

পুতুল এর ছবি

তাই রাজনীতির জমিন পিঁপড়ারে বন্দোবস্ত দিয়া রাস্তায় করা লাগে বিচির বিরুদ্ধে মিছিল...
কঠিন কথা গুরু।
পিপড়েগুলো ফুলেফেপে হাতির মত বিশাল। সুখের কথা এই যে; ডাইনোসার ও এক সময় নিশ্চিহ্ন হয়!
**********************
কাঁশ বনের বাঘ

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

"বইয়ের ধুলো ঝাড়তে ঝাড়তে মুকুল হাসেন- দেখি না। শরীর গোছাতে আসা মানুষের হাতে মনের মসলাও উঠে কি না দুয়েকটা পাতা"
এই প্রকাশভঙ্গিটা দারুণ লাগলো !

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

পরিবর্তনশীল এর ছবি

কোন দুর্ভাগ্যে যে এই লেখা পড়তে গেলাম।

"বইয়ের ধুলো ঝাড়তে ঝাড়তে মুকুল হাসেন- দেখি না। শরীর গোছাতে আসা মানুষের হাতে মনের মসলাও উঠে কি না দুয়েকটা পাতা"

এইগুলা সুন্দর কথা মানুষ ক্যান বলে?

চমৎকার লেখা।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

শিক্ষানবিস এর ছবি

দেখি না। শরীর গোছাতে আসা মানুষের হাতে মনের মসলাও উঠে কি না দুয়েকটা পাতা

এই লাইন পড়েই স্তব্ধ।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনার মধ্যে তো বিরাট হওনের সম্ভাবনা দেখি... এইটারে আজকাল হাবিজাবি বলতেছেন!!!

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বলা হয়নাই... শিরোনামটা জম্পেশেরও বেশি হইছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বলেন না স্যার
ভেতরে জ্বলে
সেদিন এক ফ্রেন্ড ইদের বাজার করে যাবার সময় আজিজের সামনে আমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে জিজ্ঞেস করে- তুমিও শপিং সেন্টারের সামানে আড্ডা দাও?

তার কথা শুনে মনে হলো আজিজ যে শপিং সেন্টার হয়ে গেছে তা চোখেই পড়েনি আমার...

আর তার পরের দিনই বাহার হঠাৎকরে আমাকে ধরে নিয়ে গিয়ে আজিজের সবগুলো কাপড়ের দোকান ঘুরে দেখতে দেখতে বলল- কোনদিন না বিজুও পাঠক সমাবেশে হ্যাঙ্গার দিয়ে ফতুয়া ঝুলিয়ে দেয়...

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

প্রিয় লীলেন, ব্লগের বাইরে আপনার 'নীম নাখারা' পড়ার পর খুব ইচ্ছে হয়েছিল এর বিস্তারিত আলোচনা লেখার এবং আপনাকে একটা অনুরোধ করার। আলোচনাটা লিখতে পারিনি বইটির প্রিন্টেড ভার্সান আমার কাছে নেই বলে। আমি আবার বইয়ের মার্জিনে পেন্সিলে পয়েন্ট না লিখে আলোচনা লিখতে পারি না। যাই হোক, এর জন্য আপনার কাছ থেকে যে অনুমতি চাইবো তাও করা হয়ে ওঠেনি। হয়তো একদিন সে অনুমতি চাইবার সময় হবে।

আর যে অনুরোধটা তখন করবো ভেবেছিলাম তা এখন করি। প্রিয় লীলেন, দয়া করে আপনি বিশুদ্ধ সাহিত্য (আমার দৃষ্টিতে আপনার জন্য গল্প এবং উপন্যাস) ছাড়া আর কিছু লিখবেন না। কারন এতে আপনার সময় নষ্ট হবে এবং আমরা আরো কিছু অসাধারণ গল্প থেকে বঞ্চিত হব। পদ্যের কথা জানিনা, তবে নিশ্চিত ভাবেই জানি গদ্যের ভুবন আপনার জন্য। দোহাই, অপচয় করবেন না। রাজনীতি আর আরো দশটা বিষয়ে লেখার জন্য জায়গা আমার মতো অক্ষম মানুষদের জন্য ছেড়ে দিন। আপনি গল্পের ভুবন উজ্জ্বল করুন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আপনার সে ক্ষমতা পুরো মাত্রায় আছে।

কথাগুলো আপনাকে ব্যক্তিগত মেইল করে হয়তো বলা যেত। তবু অনুরোধটা পাবলিকলি করলাম এই ভেবে যে আপনার আরো কিছু গল্প-পাঠক আপনাকে এই অনুরোধ করবে।

বয়সে আমি সম্ভবতঃ আপনার চেয়ে বড় হব। তা বড় হই বা না হই আপনার পাঠক হিসেবে আমার এই দাবী জানানোর অধিকার আছে বলে মনে করি।

===============================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

কৃতজ্ঞতা পাণ্ডব আমার বইটা আলোচনার জন্য আপনার নজর কেড়েছে বলে
অনুমতির দরকার নেই
যারা সমালোচনা করে আমাকে প্রায় ছিঁড়ে ফেলে প্রকাশ্যে তাদের কাছেই আমি গিয়ে গিয়ে লেখার মন্তব্য চাই সেই বহুদিন থেকে
যদিও কষ্ট করে ভেতর থেকে দুর্বলতাগুলো বের করার মতো মানুষ দু তিনজনের বেশি আবিষ্কার করতে পারিনি এখনও আমি

০২

আপনি যে কথাগুলো বললেন মাত্র দুদিন আগে আমার এক ফ্রেন্ড একেবারে আচাছা বাংলায় আমাকে কথাগুলো বলেছে
উত্তরে কিছুই বলিনি আমি

লেখালেখির সেই শুরুর যুগে পৃথিবীর সব কিছুই লেখার চেষ্টা করতাম
কিন্তু পরে মূলত গল্প কবিতার বাইরে কিছুই লিখি না
কিন্তু প্রতিদিন হাবিজাবি বাক্যের পরে বাক্য তৈরি করি আর বছর শেষে চোখ বন্ধ করে ডিলিট করে ফেলে দেই
এই লেখাগুলো কোথাও ছাপার অক্ষরে দেখেনি কেউ
এগুলো কোথাও ছাপতে দেই না
কারণ ফেলে দেবার জন্যই এইগুলো লিখি আর তার মাঝখান থেকে দুয়েকটা বাক্য তৈরি করতে পারলে রেখে দেই গল্প কিংবা কবিতার জন্য

তবে ইদানীংকালে আমি বোধহয় এক ধরনের ট্রানজিশনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি
আমার লেখাগুলো দেখলে কেন যেন আমার ঘেন্না লাগে ইদানীং
বিশেষ করে কবিতা
প্রতিবারই মনে হচ্ছে এভাবে নয় অন্যকোনোভাবে লেখা উচিত কিন্তু কীভাবে লেখা উচিত তা ধরতে পারছি না কিংবা খুঁজে বের করতে পারছি না
গল্পের বিষয়টাও তাই
অসংখ্য গল্পের কাঠামো তৈরি করে রেখে দিয়েছি কিন্তু লিখছি না
পাতার পরে পাতা নোট করছি
কোনো কোনো সময় বিশ ত্রিশ পৃষ্ঠা লিখে আবার ফেলে দিচ্ছি

আর প্রতিদিন খুঁজে বেড়াচ্চি প্রকাশের ভঙ্গি
কবিতার- গল্পের

লেখালেখির শুরুতে বিষয় খুঁজে না পেলে আমি দৈনিক পত্রিকার কোনা নিউজকে কখনও ছড়া বানাতাম
কখনও কবিতায় সাজাতাম আবার কখনও সেগুলো থেকে দাঁড় করাতাম গল্প

এখন আর দৈনিক পত্রিকার সংবাদ দিয়ে সেই প্রাকটিসটা করি না
এখন যে কোনো একটা কিছু নিয়ে শুধু দেখি কতটুকু প্রকাশ করতে পারছি
বাক্যগুলো দাঁড়াচ্ছে কি না যেভাবে দাঁড় করানো যেতে পারে সেভাবে

সচলে যুক্ত হবার সুযোগে সেই হাবিজাবিগুলো মাঝেমাঝে সচলে দিয়ে দেই হাবিজাবি নামে

এগুলোর কোনোটারই মালিকানা কোনোদিন দাবি করব না আমি
কোনোটাই আমার কোনা বইয়ে জায়গা পাবে না কোনোদিন কিংবা কোথাও ছাপা হবে না আমার নামে
এই বিষয়ে আমি শতভাগ নিশ্চিত

বুঝে না বুঝে দেড় হালি বইয়ের মালিক হয়ে গেছি
তার বেশিরভাগ লেখাই দেখলে বমি আসে নিজের

নিজে দেখলে বিতৃষ্ণা আসে না
এমন দুয়েকটা লেখা যদি কোনোভাবে তৈরি করতে পারি
তাহলে হয়তো সামনে আমার আরো একটা দুটো বই বের হবে
না হলে ওইটুকুই শেষ

০৩

পাবলিকলি বলেই ভালো করেছেন কথাটা
এতে হয়তো আরো দুয়েকজন দুয়েকটা পয়েন্ট ধরিয়ে দেবেন আমাকে

০৪

ষষ্ঠ পাণ্ডব যদি কর্ণ হয়ে থাকে তবে তার জন্য বরাবরের মতোই আমার শ্রদ্ধা
আর পয়েন্টটা ধরিয়ে দেবার জন্য কৃতজ্ঞতা আবার

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

উন্মুক্ত অনুমতি দেবার জন্য কৃতজ্ঞতা। জানি না কবে আপনার দেয়া এই সুযোগকে সম্মান জানাতে পারবো।

আপনি যে পদ্ধতিতে লেখার চেষ্টা করেন তা সঠিক। নিয়মিত হোমওয়ার্ক না করে 'ধর তক্তা, মার পেরেক" জাতীয় পদ্ধতিতে আগালে আগাছাই জন্মাবে, সাহিত্য নয়। অনেক খ্যাতিমান চিত্রকর পর্যন্ত এমন ধাঁচের পদ্ধতি অনুসরণ করেন। আশাহত হবেন না, চেষ্টা চালিয়ে যান। আরো কিছু হয়তো বলা উচিত ছিল, তবে আমি গুছিয়ে লিখতে পারি না। যদি কোন দিন দেখা হয় সেদিন গুছিয়ে বলার চেষ্টা করব।

ষষ্ঠ পাণ্ডব কে তা কিছুটা বলার চেষ্টা করা হয়েছে এখানে , মনে হয়না তাতেও চিনতে পারবেন। অচ্ছ্যুৎ জন্মের পাণ্ডব না হয় অপরিচিতই থাকলো। আপনার শ্রদ্ধা প্রকাশের জন্য কৃতজ্ঞতা যদিও তা গ্রহনের যোগ্যতা আমার নেই।

===============================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অনিন্দিতা এর ছবি

ষষ্ঠ পান্ডব আর লীলেন এর আলোচনার সাথে আমি ও একটা বিষয়ে একমত।
আমি নিজে কখনো লিখি না শুধু মনের আনন্দে পড়ি। তাই সাধারণ পাঠক হিসেবে ভয়ে ভয়ে বলে ফেলি- @লীলেন আমার ও মনে হয় আপনি গল্প আর কবিতায় থাকলে আমরা খুব ভাল কিছু আপনার কাছ থেকে পাব। বাকী কিছু থাক।
এগুলো পরে ও করা যাবে। সব কিছু একসাথে করলে কোনটাই খুব ভাল কি হবে?আর সব না করলে ই বা কী?
লেখকরা নাকি মাঝে মাঝে লিখতে পারেন না। কখন ও এমন মনে হলে ও চিন্তার কিছু নাই। ঠিক হয়ে যাবে।
অযাচিত মন্তব্য হয়ে থাকলে মাফ করবেন॥

মাহবুব লীলেন এর ছবি

জ্বি স্যার
আমিও একমত
এবং এটাও ঠিক যে গল্প আর কবিতার বাইরে আমি মাঝে মাঝে শব্দ নিয়ে কিছু নাড়াচাড়া করা ছাড়া কিছুই করি না
আর মাঝে মাঝে সেইগুলা সচলে দিয়ে দেই

কিন্তু এগুলো মূলত লেখার এক ধরনের প্রাকটিস
লেখা না

আর কবিতা ইচ্ছা করেই কম দেই ব্লগে
কারণ আমার মনে হয় ব্লগ বোধহয় কবিতা পড়ার জন্য তেমন উপযোগী না (আমি নিজে আরাম পাই না)

আর আমার গল্পগুলার সমস্যা হলো এগুলো একেবারেই ম্যারাথন টাইপ লেখা (ম্যারাথন মানে নাকি মৌরি। তথ্যসূত্র:হিমু। যদিও আমাদের দারোগা টাইপ মৌরি কথাটা শুনলে কতক্ষণ চিল্লাবে কে জানে)

আর মন্তব্য আযাচিত হয় কীভাবে স্যার?
এখানে লেখা দিলামইতো মন্তব্যের জন্য

অনিন্দিতা এর ছবি

আর মন্তব্য আযাচিত হয় কীভাবে স্যার?

কি জানি আজকাল মন্তব্য দিতে ভয় পাই।

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

চিন্তিত
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

জিফরান খালেদ এর ছবি

হুমম...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- নিত্য উপহার, কেনো জানি না তাদের জামার প্রতি অবাধ একটা আকর্ষণ বোধ করি। শরীরে প্রায় সবসময়ই সেঁটে থাকে তাদের পোষাক। আশায় আছি দেশে গেলে তাদের থেকে একটা 'ভূত মার্কা গেঞ্জি' কিনবো বলে! যদিও ব্যাপারটা বাচ্চাসুলভ কিন্তু অনেকদিনের শখ ঐ গেঞ্জিটা গায়ে সাঁটানোর।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মুশফিকা মুমু এর ছবি

এবার দেশে আসলে আপনার সাথে আজিজ মার্কেটে যাব, আপনার বই কিনব আর আপনার অটোগ্রাফ দিতেই হবে। হাসি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এখন তো চাকরি বাকরি করো
বেশি করে টাকা পয়সা নিয়ে এসো

তাহলে অটোগ্রাফ পাবে

শামীম আরেফিন এর ছবি

মাহবুব লীলেন,
সিরিয়াস লেখালেখি থেকে সরে যাবেন না ভাই । অমুক তমুক তাহারা মিলে আমাদের দেশে 'ফাতরা' সাহিত্যরে জনপ্রিয় করে ফেলেছে সত্যি কিন্তু কারো না কারো তো কিছু ক্লাসিক করতে হবে । আপনারাই করেন ।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমার ছোটখাট ঘাড়ে অত বড়ো দায়িত্ব ফেলে দিলে তো বিপদে পড়ে যাবো ভাইজান

অতিথি লেখক এর ছবি

লীলেন ভাই,
আবার এলাম। লেখা তো অনেক ভালোই হয়েছে- উল্লেখই বরং বেয়াদবীর পর্যায়ে পড়তে পারে। হাসি
শিরোণাম আমারও মন কেড়েছে পুরোপুরি।
কয়েকজনের সিন্সিয়ার পরামর্শ-দাবি পড়লাম এখানটায়, আপনার উদ্দেশ্যে। আমি আবার নীম নাখারা এক্সপেরিয়েন্স করা সত্ত্বেও এখানকার এই ছোট্ট-কুঁড়ি ধরনের মুকুলগুলোকেও মিস করার সায় পাই না। আমিও ভাবছি সিন্সিয়ারলিই, যে- শুধু গল্প আর কবিতা লিখলে, আপনি এই ছোট্ট সুন্দর লেখাটা তো লিখতেন না। আপনার বিবমিষা হয়তো হতেও পারে কিছুদিন পরে এটা দেখলেও! তবে আমাদের তো, এখন তো, ভালোই তো লাগছে। হাসি
আর, আপনার প্রস্তুতি বিষয়ে খোলা বয়ানটি জেনেও ভালো ফিল করছি।
ধন্যবাদ। ভালো থাকেন। হাসি

_ সাইফুল আকবর খান

মাহবুব লীলেন এর ছবি

হ ভাইজান
দেখি কী করা যায়

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি

_ সাইফুল আকবর খান

সবজান্তা এর ছবি

০১

একটা বড় ধরণের অপরাধের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছি। বিগত কিছুদিন যাবৎ আজিজে জামার দোকান নিয়ে একটা লেখা দিবো ভাবছিলাম। ভাগ্যিস দেই নি !

০২

কয়েক সপ্তাহ আগেই মনে হয়, বেশ কিছুদিন পর আজিজের সামনে দিয়ে আসছিলাম। হঠাৎ আঁতকে উঠলাম। মার্কেটের সামনের সারিতে এরা কারা ? কে ক্র্যাফট সদম্ভে দাঁড়িয়ে আছে সদর দরজায়। রাস্তার ওপার থেকে দোতলায় তাকালে দেখতে পাই দেশালের একচ্ছত্র আধিপত্য। এদিকে ওদিকে শুধু বস্ত্র। বই এর দোকানগুলি আর কোথাও যেন নেই। হায়, এত বস্ত্রেও কেন তবু আমি এই লজ্জা ঢাকতে পারি না ?

০৩

ভবিষ্যত নিয়ে ভাবি না। হয়তো আজিজে আজ থেকে দু-বছর পরই কোন বই এর দোকানই থাকবে না, হয়তো থাকবে না কোন আড্ডা। তাতে কী ? রঙিন জামা গায়ে দিয়ে এই আমরা বেশ আছি হাসি


অলমিতি বিস্তারেণ

মাহবুব লীলেন এর ছবি

তখন আমরা বসুন্ধরা সিটির এসিতে গিয়ে সাহিত্যের আড্ডা দেবো প্রেম করতে আসা পোলাপানের সাথে

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দুর্দান্ত, লীলেন'দা! তবে আমি কিন্তু নিত্য উপহারের টি-শার্টের দারুন ভক্ত। এদের মাধ্যমে কিন্তু এখনকার পোশাক-আশাকে অনেক পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু এভাবে ব্যাঙের ছাতার মত সব কাপড়ের দোকান উঠে যাওয়াটা মোটেও মেনে নেওয়া যায় না!

দেখি না। শরীর গোছাতে আসা মানুষের হাতে মনের মসলাও উঠে কি না দুয়েকটা পাতা

অসাধারণ গুরু!
___________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?

মাহবুব লীলেন এর ছবি

খালি প্রসংশা করে না
মাঝে মাঝে ফাঁকগুলোও ধরিয়ে দিতে হয় স্যার

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

তবে সাহস করে বলি,গল্পটাকে হাতের মুঠোয় ধরো।

---------------------------------------------------------

আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

মাহবুব লীলেন এর ছবি

জ্বি স্যার
প্রকাশকরা যদি ছাপা পর্যন্ত লেখকেই কনফার্ম করার দায়িত্ব দিয়ে বসে থাকে তবে যে লেখকদের লেখালেখি থেকে ছাপাখানার খোজ খবরে সময় বেশি চলে যায়

সেটা কি একটু খেয়াল করবেন?

তানবীরা এর ছবি

লীলেনদা, অনেক কিছু চোখ খুলে তৈরী দেখেছি, কিন্তু তৈরীর পিছনের কারিগরদের ইতিহাস জানতে পারি আপনাদের কাছে, খুব ভালো লাগে।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমার ঘাড়ে আবার ইতিহাসের বোঝা চাপান কেন?
আমি নিজেই একটা ইতিহাসবিহীন পাবলিক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।