ছাহিত্য গুবেছনা

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: মঙ্গল, ২০/১০/২০০৯ - ২:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যারা কিছু লিখতারে না তারা দাঁতাল হলে পলিটিক্স লেখে আর লুলাটুন্ডা নির্বিষ হলে রচনা করে রবীন্দ্রনাথের জীবনী। যেহেতু তিনি মরে ভূত হয়ে গেছেন সেহেতু রচনা শুরু করা লাগে তিনি বড়ো ভালো লোক ছিলেন বলে

রবীন্দ্রনাথ বড়ো ভালো লোক ছিলেন। ছোটবেলা তার মুখে দাড়ি না থাকলেও পরে তার কিছু ছোটছোট দাড়ি গজায়। দাড়িগুলা জন্মসূত্রে কালো হলেও ডেন্টিং পেন্টিং করে তিনি দাড়ির জাত মেরে সাদা বানিয়ে সার-গোবর পানিজল দিয়ে লম্বা করতে থাকেন। কিন্তু দাড়ির ফলন আশানুরূপ না হওয়ায় তিনি কায়দা করে দাড়ির সাথে গোঁফের কোয়ালিশন করে নিজেরে একজন দাড়িয়াল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন

তিনি ছোটবেলা লুচি আর বড়োবেলা তিতা চরতার রস ছাড়া অন্য কিছু খেতেন কি না জানা না থাকলেও অনুমান করা যায় মাঝেমাঝে তাকে ডালভাত খেতে হতো কিন্তু ডালভাত খাওার সময় তার গোঁফ দাড়িতে ডাল তরকারি লেপ্টে থাকতো কি না সে বিষয়ে অবশ্য কেউ বলতে পারে না কিছু

তিনি বড়ো ভালো লোক ছিলেন কিন্তু শুধু দাড়ি গোঁফ দিয়ে সুবিধা করতে না পেরে মার্কেটিংয়ের জন্য দর্জির দোকানে গিয়ে একটা জোব্বা বানিয়ে আনেন। এই জোব্বার নিচে তিনি লুঙ্গি পাজামা ধুতি হাফপ্যান্ট কিছু পরতেন কি না সেটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না হলেও কুত্তায় দৌড়ানি দিলে তিনি কীভাবে এই সিঙ্গেল-পিস জোব্বা কাছা মেরে দৌড় লাগাতেন সেটা এক বিস্ময়কর গবেষণার বিষয়

তিনি বড়োই ভালো মানুষ ছিলেন। নাকিস্বরে কথাবলা লোকদেরকে গায়ক- দলিললেখক সমিতিকে লেখক আর অপদার্থ পাবলিকদের সংস্কৃতিসেবী বানানোয় তার অপরীসীম অবদান থাকার পরেও তিনি চুল দাড়ি জোব্বা নিয়ে ফটো সেশন করেন যাতে পলিথিন ব্যবসায়ীরাও তার ছবি কাটিং পেস্টিং করে বিখ্যাত প্রচ্ছদ শিল্পী হয়ে যেতে পারে

তিনি আসোলেই বড়ো ভালো লোক ছিলেন
লিখতে লিখতে বাঁশ ঢুকিয়ে দিলেও মাইন্ড করেন না তিনি
২০০৯.১০.২০ মঙ্গলবার


মন্তব্য

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

নাকিস্বরে কথাবলা লোকদেরকে গায়ক- দলিললেখক সমিতিকে লেখক আর অপদার্থ পাবলিকদের সংস্কৃতিসেবী বানানোয় তার অপরীসীম অবদান থাকার পরেও তিনি চুল দাড়ি জোব্বা নিয়ে ফটো সেশন করেন যাতে পলিথিন ব্যবসায়ীরাও তার ছবি কাটিং পেস্টিং করে বিখ্যাত প্রচ্ছদ শিল্পী হয়ে যেতে পারে

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

সুজন চৌধুরী এর ছবি
দ্রোহী এর ছবি

হে হে হে হে!

অতিথি লেখক এর ছবি

হা হা হা হা হা ।।।
সেরম হইছে।

ভুতুম এর ছবি

ড়বিবাবু লুক্টা জানি ক্যামন!

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

রণদীপম বসু এর ছবি

হায় হায় ! বুদ্ধিজীবী লেখকে কয় বুদ্ধিজীবীগো পড়া নিছেদ ! এইডা কেমুন অইলো !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

বর্ষা এর ছবি

হি হি হি
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

সচেতন নাগরিক এর ছবি

কি লেখছেন মামু!! পইড়া মাথা-ই নষ্ট!!!

অতিথি লেখক এর ছবি

ব্যাপক মজা পাইলাম। রবীন্দ্রনাথরে নিয়া এইরহম লেখা কেও লেখছে বইলা মনে হয় না। আপ্নারে হাসি মাখানো শুভেচ্ছা পাঠাইলাম।

মহসীন রেজা

দময়ন্তী এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
আহা "গুবেছক'দের কথা বললেন না? এই যে বর্ষে বর্ষে দলে দলে ওঁকে নিয়ে এম ফিল করে সব প্রফেসার হয়ে বসছে --- সেও তো এক ইন্ডাস্ট্রিসম৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

মাহবুব লীলেন এর ছবি


তিনি বড়ো ভালু লুক ছিলেন
তিনি বহুত কানাই মাস্টাররে থুতাঝুলা ড-যুক্ত অধ্যাপস বানাইয়াছেন

জি.এম.তানিম এর ছবি

আপনার লেখক থেকে গুবেছক অধঃপতনে তেব্র পেতিবাদ জানাই...

এমন থিসিস পেপার অপূর্ব!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

খেকশিয়াল এর ছবি

হাহাহাহাহাহা লীলেনদা পুরা বিলা!! হো হো হো

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

অতিথি লেখক এর ছবি

'ছাহিত্য গুবেছনা' কেমন জানি হইসে...কিন্তু মজা পাইসি। দেঁতো হাসি
/
ভণ্ড_মানব

সাইফ তাহসিন এর ছবি

লীলেনদা , পুরাই হাহাপগে, পেট ব্যাথা করতেছে

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

তুলিরেখা এর ছবি

হি হি হো হো হো
স্বয়ং রবিবাবু এ লেখা পড়লে হাসতে হাসতে মুচ্ছো যেতেন! হো হো হো
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

চ্রম মজা পাইলাম !
--------------------------------------------------------

--------------------------------------------------------

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

কবিতা মারাত্মক হইছে।
শুধু পরলোকগত কবির গুছেবনায় না, বাস্তব জীবনেও কারো সাতখুন মাফ, কারো পিট পিট করায়ই চক্ষু উৎপাটন

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

মামুন হক এর ছবি

স্যারের এই মূর্তিটারে আমি খুব ডর খাই, ক্ষেপে গেলে একেবারে জগৎসংসার কাঁপিয়ে দেন।

এনকিদু এর ছবি

গুবেছনায় বড় বড় ফাঁক আছে, কবিগুরুর জোব্বা দিয়াও ঢাকা যাচ্ছেনা ।

তিনি জীবনে অন্তত একবার সুপার ম্যানের মত বলশালী হইতে চাইছিলেন । কইছিলেন, "বল দাও মোরে বল দাও" । আপনি লিখেন নাই ।

তিনি সোনা খুব পছন্দ করতেন । সোনার তরী, সোনার বাংলা ইত্যাদি তার প্রমান । এইটাই আপনি লিখেন নাই ।

এগুলা তো ছোট খাট বিষয়, আসল কথাই তো লিখলেন না । রবীন্দ্রনাথ যে কত বড় কবি আমরা আগে বুঝতে পারি নাই কমা আছে তিনি নোবেল পুরষ্কার পাওয়ার পর বুঝলাম কমা আছে কমার উপর ফুটকি আছে ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আরেকখান কথা বাদ গেছে ভুলে
তিনার কোনো মেদভূড়ি ছিল কি না তা কিন্তু জোব্বার কারণে পরিষ্কার বোঝায় যায়নি

অতিথি লেখক এর ছবি

মজা পাইলাম! আপ্নারে সামনাসামনি তো এত রসিক লাগে না! যাই হোক, শুক্রবার ইন্সাল্লাহ কাজ করা যাবে একসাথে।

সংসপ্তক

মাহবুব লীলেন এর ছবি

ভাইজান
যারে যেইখানে যেইভাবে দেখেন সেইভাবেই হজম কইরেন
সব সময় কিন্তু খিচুড়ি ভালো খাবার না
সব সময় চাইলের সাথে ডাইল মিশাইতে গেলে কিন্তু গুবলেটও হইতারে

অতিথি লেখক এর ছবি

অতি সত্য কথা।

সংসপ্তক

মজনুভাই [অতিথি] এর ছবি

লেখা পইড়া মনটা খারাপ হইল।

ডক্টর ফক্টর হওনের লাইগ্গা রবীন্দ্রনাথ গবেষনা সুখের হইলেও শুদ্ধতা প্রমাণের লাইগ্গা এই রকম গবেষনা দুঃখের।

আমার মনে আছে কইছিলেন, 'মানুষরে দড়ি দিয়া বাইন্ধাও কথা বুঝান যায়না আর টেলিফোন'। হাহ্

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।