যে চিঠি রওয়ানা হয়ে গেছে নরসিংদীর পথে
ওখানে আমার কিছু সংশোধনের ছিল...
যেইখানে বলার বিষয় কম সেইখানেই মূলত কথা হয় বেশি। বলার মতো কথা মাত্র একটা থাকলেই কেবল তারে বারবার অন্যভাবে বলতে ইচ্ছা করে; বারবার মনে হয় বাক্যটা সংশোধন করে দিলে বোধ হয় কথাটা আরেকটু ভালো হয়ে উঠবে। অন্যদিকে দরকারি কথাগুলা হয় বড়ো বেশি একবাক্যের; সংশোধন অযোগ্য...
জীবনে কোনো দরকারি চিঠি লেখা হয়নি আমার। অথচ প্রচুর চিঠি লিখতাম আমি। পেতামও প্রচুর। শুধুই হাবিজাবি; যেইসব চিঠির উত্তর আশা করে না কেউ; বরং আশা করে আরেকটা পাল্টা চিঠি। কোনো সময় একলাইনের চিঠির বিপরীতে এক দিস্তা কাগজভর্তি লেখা; আবার কখনো এক বান্ডিল লেখার বিপরীতে একটামাত্র অক্ষরহীন সুগন্ধি গোলাপি কাগজ...
একটা সময় চিঠিগুলো বিবর্ণ হয়। সুগন্ধ হারায়। তবু তেলাপোকার গন্ধ গায়ে নিয়ে তার মধ্য থেকে কিছু চিঠি উদ্বাস্তু জীবনের পিঠে আটকানো সর্বশেষ পোঁটলায় ঢুকে চলে আসে সাথে। ঢুকে যায় পরবর্তী গেরস্ত জীবনের খাটের তলায় কিংবা ধুলামাখা কোনো অন্ধকার কোনায়। কিন্তু যে চিঠিগুলোর পাল্টা চিঠি আর কোনোদিনও লেখা হবে না; সেগুলোকে কেন এই চূড়ান্ত অবহেলার মধ্যে রাখা?
কুচিগুলো ছোট করে তুলে দিলাম ময়লাওয়ালার ভ্যানে। আমাকে লেখা যে কথাগুলো আমিই আর পড়ব না কোনোদিন; তার একটা সম্পূর্ণ শব্দও যেন আর পড়তে পারে না কেউ...
২০১৫.০৭.০৭ মঙ্গলবার
কোটেশনটা ১৯৯৩ সালে নিজের লেখা ‘অন্য আলো’ কবিতার
বাড়ি বদলের গল্প ২: লিটল ম্যাগাজিন
বাড়ি বদলের গল্প ১: দখলদারি
মন্তব্য
একদম বিষন্ন-সুন্দর কবিতার মত লাগছে লেখাগুলি। অবশ্য একজন কবি তো এমন করেই গদ্য লিখবেন।
বাড়ি বদলের গল্প গুলি পড়ে কেমন এক বিষন্নতা ঘিরে ধরছে আমাকে। আমিও ইচ্ছে করে কতবার ফেলে দিয়েছি প্রিয় নুড়ি পাথর গুলি।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
হ। কিছু জিনিস ফালাইয়া দেওনই ভালো
কবি (অবঃ) লীলেন কোথায়?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
অবসর থাইকা রিটায়ার্ড করার অপেক্ষায়
এবারেরটা একটু শক্ত ঠেকতেছে লীলেনদা। তবে আপনি আবার লিখতেছেন এইটা আনন্দের কথা
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
এই জিনিস বেশি নরম করতে গেলে কোনটা কার চিঠি সেই বিষয়ে জবাবদিহি করতে হইত; তাই একটু শক্ত আর আধাসিদ্দ রাখলাম আর কি
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এই যুগে তো আর চিঠি কুচি কুচি করে ছেড়ার উপায় নাই। চিঠি জমা হয় ইনবক্সে। হাজার গিগাবাইট জায়গা পেয়েও ডিলিট করে দেয়া ইনবক্সের চিঠিগুলো মাঝে মধ্যে নেড়েচেড়ে দেখতে ইচ্ছে করে। মনে হয় ইন্টারনেটের এক কোনা কানি জায়গায় রেখে দিলে বিশেষ ক্ষতি ছিল না।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এমন লেখা আরো পড়তে চাই, মাহবুব লীলেন।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
কই পাব? সব তো ফালাইয়া দিলাম
ভালো কথা মনে করিয়ে দিলেন। চিঠি যা কিছু আছে - যা এসেছিল আর যা পাঠানো হয়নি তার সব, এবং যে লেখাগুলো আর কখনো পড়বো না তার সব অচিরেই অগ্নিদেবের চরণে নিবেদন করতে হবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অগ্নিদেবের চরণে দেওয়ার আগে সব স্ক্যান করে হার্ড্ড্রাইভে ভরে ফেলেন পান্ডবদা! অবসরে চোখ বুলাতে ইচ্ছে হলে ক্লিক।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
তাড়াতাড়ি বাকশো খালি করেন পাণ্ডব দা; নাইলে কোনদিন কোন উইকিলিস আইসা সব পাব্লিক কইরা দিব
উইকিলিকসের নজরে পড়ার মতো কুলীন আমি না। তবে দুনিয়ার বুকে জঞ্জাল পুষে রাখাটা পাপ। সেই পাপের বোঝা আর না বাড়াই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তারচেয়ে,
কারণ হয়ত,
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
অনেকদিন ধরে হারিয়ে বসে থাকা জিনিষ বাড়ি বদলের কারণে খুঁজে পাওয়া নিয়ে একটা কবিতা লিখে বন্ধুকে একটা চিঠি পাঠিয়েছিলাম একসময়। ই-মেইল চিঠিতে নরম-তারে লেখা। এখন দেখি সেই চিঠিটাও হারিয়ে গেছে, আপদ গেছে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ভালৈছে; থাকলেই ঝামেলা
অতিব সুন্দর। ছোট ছোট কথা কিন্তু সুন্দর।
ধন্যবাদ
জীবনের সবচেয়ে রুঢ় বাস্তবতা।
হ
কত চিঠি রয়ে গেছে এখানে সেখানে। থাক, খুব মন চাইলে গন্ধ শুঁকে দেখি।
দেবদ্যুতি
হ। সুযোগ থাকলে জিনিসটা ভালোই
খুব সুন্দর
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
দইন্যবাদ
চিঠি না ফালানোই ভালো। পড়তে সময় লাগে না। অ-নে-ক দিন পর পড়লে নেশার মতো লাগে। হয়তো ২০ বছর পর মন চাইবে পড়তে। স্কুল জীবনের লেখার খাতা ফেলে দিছিলাম অখাদ্য হাস্যকর বলে। এখন মনে হয়, আহা কী ভুলটাই না করছি!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
হ। তুমি তো কইবাই যে চিঠি না ফালানোই ভালো। মিয়া বিয়াশাদি করো নাই তো...
০২
ইস্কুলের খাতাতো নিরীহ জিনিস; বড়োজোর কোনো ম্যাডামরে নিয়া ছড়া কবিতা থাকতে পারে। এই জিনিসটা ফালাইয়া ভুলই করছ। বিয়ার আগে বৌরে খাতাটা দিয়া কইতে পারতা- তোমার আগে সেই ছোটবেলা খালি ম্যাডামরে নিয়া ভাবছি; এই দেখো প্রমাণ (এতে বৌ বিশ্বাস যাইলেও যাইতে পারত যে তুমি একটা সত্যবাদী মানুষ)
নতুন মন্তব্য করুন