হিজাব বা নারীদের ইসলামিক আচ্ছাদন: পরাধীনতা না স্বাধীনতা?

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
লিখেছেন এস এম মাহবুব মুর্শেদ (তারিখ: রবি, ০৪/০৯/২০১১ - ১১:০১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলাদেশের মতো মুসলিম প্রধান রাষ্ট্রে হিজাব বা ইসলামিক আচ্ছাদন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যে দেশে জলবায়ু মূলত গরম এবং আর্দ্র সে দেশে প্রকৃতপক্ষে হিজাব পরার জন্য উপযুক্ত নয়। ৫০-৭০ দশকে এই হিজাব মূলতঃ এক্সট্রিম ইসলাম মনস্কদের মাঝে বিরাজ করলেও ৯০ এর দশক থেকে এই মনোভাবের পরিবর্তন আসতে শুরু করে। দেখা যায় খুব ইসলাম মনস্ক না হয়েও স্বেচ্ছায় একদল নারী হিজাবকে বেছে নিচ্ছে। হিজাব যদি পুরুষ শাসিত সমাজে নারীদের দমিয়ে রাখার একটা হাতিয়ার হয়ে থাকে তাহলে এই পরিবর্তিত দৃষ্টিভঙ্গীর ব্যাখ্যা কি? হিজাব কি পরাধীনতার প্রতীক নাকি স্বাধীনতার?

তাছাড়া একদল পুরুষ যখন মন চেয়েছে হিজাব পরিয়েছে নারীকে। যখন মন চেয়েছে হিজাব সরাতে বলেছে। নারীর বক্তব্য কি এ বিষয়ে? নারী নিজে কি চায়?

বিভিন্ন প্রকারের ইসলামিক আচ্ছাদন
প্রথমে বোর্কার এবং এই ধরনের 'ইসলামিক' পোশাকের একটা তালিকা দেয়া গুরুত্বপূর্ণ। পরিপূর্ণ তালিকা উইকিপিডিয়াতে পেলেও একটি চমৎকার বর্ণনা পাবেন হিজাবের স্বপক্ষে লেখা এই ব্লগটিতে ব্লগটি থেকে বিভিন্ন ধরনের হিজাবের একটা তালিকা নীচে দেয়া হোলো।

নীচের কার্টুনে সিরিয়ান হিজাবের তালিকা থেকে আরেকটি পূর্ণাঙ্গ অবয়ব ঢাকা পোশাক দেখা যাচ্ছে যার নাম ওয়াহাবি।

লক্ষণীয় পুরুষদের একই ধরনের পোশাকের মধ্যে কোনটিতেই মুখাবয়ব ঢাকতে দেখা যায় না।

দেখা যাচ্ছে নারীদের ইসলামিক আচ্ছাদন আট প্রকারের। নিকাব, হিজাব, জিলবাব, আল আমিরা, দুপাট্টা বা ওড়না, খিমার, চাদর আর বুর্কা। এদের মধ্যে নিকাব, খিমার এবং বুর্কা পরিপূর্ণভাবে মুখ ঢাকতে ব্যবহৃত হতে পারে। আমার লেখায় আমি মূলতঃ হিজাব বলতে সাধারণভাবে মুখাবয়ব ঢাকা এবং না ঢাকা আট রকমের পোশাকগুলোকে বুঝাবো। অন্যদিকে, মুখাবয়ব ঢাকা পোশাকটিগুলোকে (নিকাব, খিমার এবং বুর্কা) সাধারণভাবে বুর্কা বলে অভিহীত করবো।

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং বাংলাদেশ
অতীতে পূর্ব দিকের আসিরিয়ান রাজা রাজপ্রাসাদের নারীদের জন্য প্রথম হিজাবের প্রচলন করেন বলে জানা যায়। যদিও হারেমের নারী সেবা দাসীদের জন্য এই হিজাব নিষিদ্ধ থাকে। এছাড়া সেসময় গ্রীসে, বাইজেনটাইন, পারস্য এবং ইন্ডিয়া উঁচু বংশের রাজপূত নারীদের মধ্যে হিজাবের প্রচলন ছিলো বলে জানা যায়।

ইসলাম প্রচলনের প্রথম শতকে নারীদের হিজাবের বিষয়টি অতটা গুরুত্ব পায়নি। নবীর স্ত্রী আয়েশার বোনঝি বা ভাইঝি আইশা বিনতে তালহাকে তার স্বামী মুসাব তার চেহারা ঢাকতে বলেছিলো সে তখন জানায়, "যেহেতু সর্বশক্তিমান আমার চেহারায় সৌন্দর্য্য দিয়েছেন, আমি চাই যে লোকে এই সৌন্দর্য্য দেখুক এবং আমার উপর উপরওয়ালার দান চিনতে শিখুক। একারনে কোনো অবস্থাতেই আমি আমার চেহারা ঢাকবো না।" ইসলাম প্রচলনের দ্বিতীয় শতকে বিভিন্ন সমাজের সাথে মিশতে শুরু করার পর থেকে এবং কোরানের আয়াত, "তাদের বক্ষদেশ ঢাকতে বলো" - এর পুনুরুত্থানে হিজাবের প্রচলন বাড়তে দেখা যায়।

দশম শতকের আগে নিয়ম করে হিজাব চালু করার প্রচলন হয়নি। মধ্যযুগের এই সময়টা নারীদেরকে পুরুষদের তুলনায় পশ্চাৎপদ করে রাখতে ভূমিকা রাখে এরকম প্রচুর নিয়মের উদ্ভব হয়। বিশেষ করে মিশরের রাজা মামলুকের সময় নারীদের বাইরের কাজে অধীকার নেই এরকম নিয়মের পিঠে ভর করে হিজাবের প্রচলন করা হয়। ইবন আল হাজ নামের এক লেখক লেখেন যে, নতুন বৌয়ের মতোন সাজ নিয়ে নারীরা রাস্তায় গেলে পুরুষের মতিভ্রম হবে (এবং কাজের ক্ষতি হবে)। আরো বলেন যে, বাহু উন্মুক্ত করে কোন নারী কোনো দোকানে আসলে দোকানী তার দিকে পিঠ ফিরে থাকবে এবং নারী ক্রেতা চলে না যাওয়া পর্যন্ত যেন মুখ না দেখায়।

ঊনিশ শতকের শেষদিকে এসে একদল বুদ্ধিজীবি এবং মুক্তচিন্তাবিদ লক্ষ্য করলেন যে, যেসব কারনে পশ্চিমা নারীর তুলনায় মুসলিম বিশ্বের নারীদের অনেকখানি পিছয়ে আছে তার মধ্যে হিজাব অন্যতম। নারীদের অগ্রসর করতে চেয়ে তারা তাই এসমস্ত পশ্চাদপসর প্রথা সরাতে চাইলেন। এরপরে এবিষয়ে প্রথমে পুরুষ লেখক এবং পরে নারীরা লেখালেখি শুরু করেন। বিংশশতকের শুরু থেকে আস্তে আস্তে প্রচুর নারী হিজার প্রথা ভেঙ্গে বেরিয়ে আসতে শুরু করেন।

বিংশশতকের মাঝ থেকে আবার এই হিজাবে প্রচলন বাড়তে দেখা যায়। কিন্তু এবার অন্য দৃষ্টিভঙ্গী থেকে এর প্রচলন শুরু হয়। দেখা গেলো হিজাব এবং ইসলামের মূল ভিত্তি বিন্দুবাসিনীদের মধ্যে থেকে সরতে পারেনি। তাই যখনই এই পরিবর্তনের ঝাপটা গিয়ে লাগলো অন্দরমহলে, অন্দরমহলের নারীরা বরং উল্টো আঁকড়ে ধরলেন এই ইসলাম ধর্মকে। আর এর বর্হিপ্রকাশ হিসেবে আরো কনর্জাভেটিভ পোশাক পরতে শুরু করলেন তারা। উপরন্তু সেসময়ে ফরাসীদের বিরুদ্ধে আলজেরিয়ার আন্দোলন এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে মিশরের আন্দোলনের সময় নীরব প্রতিবাদ এবং আত্মপরিচয়ের চিহ্ন হিসেবে হিজাব আঁকড়ে ধরেন মুসলিম নারীরা।

নিজেদের জাতীয় পরিচয়ের অংশ হিসেবে এবং আগ্রাসী পশ্চিমা মূলবোধের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শনের মনোভাব থেকেও হিজাবের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। এরপরে হিজাবের প্রতি একটা বড়সড় আবেদন তৈরী হয় ৭০ দশকে ইরানে ইসলামিক রেভ্যুলিউশানের পর।

বর্তমানে ইসলামিক আন্দোলনের একটি অংশ হিসেবে মাঝারী মাত্রার মুখাবয়ব হিসেবে হিজাবের প্রচলন আছে। অবশ্য অনেক প্রোগ্রেসিভ নারী আন্দোলন নারীর উপর কোনো রকম ড্রেস কোড আরোপনের বিপক্ষে। তবে দেখা গেছে প্রচলিত পুরুষ শাসিত অনুন্নত সমাজে হিজাব পরে নারীরা তুলনামূলক ভাবে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছে। এই দৃষ্টিকোন থেকে অনেক নারী তাই হিজাব ব্যবহার শুরু করেন।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক হিজাবের এই প্যাটার্ণটাকেই লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু বর্হিবিশ্বের পরিবর্তনের ধাক্কাটা একটু বিলম্বিত হয়ে এসেছে বাংলাদেশে। উপরন্তু মুক্তিযুদ্ধ এবং পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের সংস্কৃতির একটা প্রভাব এতে যুক্ত হয়েছে। ৭১ এর আগে যেখানে ইসলামিক রাষ্ট্র হিসেবে তৎকালীন সমাজে হিজাবের প্রচলন ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল, স্বাধীনতার পরে তার থেকে বেরিয়ে এসে বাংলাদেশে নারীরা বিভিন্ন কাজে যুক্ত হতে শুরু করেন। ৯০ এর পরে দেখা যায় বৈশ্বিক পরিবর্তন এবং বাংলাদেশে ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতির ডালপালা গজাতে শুরু করলে প্রচুর নারী আবার হিজাব গ্রহণ করতে শুরু করেন। বর্তমানে পরিবারের শাসন, ধর্মীয় মূল্যবোধকে আঁকড়ে ধরা কিংবা পুরুষ শাসিত সমাজে স্বাধীনভাবে চলাফেরা এসমস্ত কারনে দোহাই দিয়ে বাংলাদেশের নারীরা হিজাব পরা শুরু করেছেন।

হিজাব স্বাধীনতার সর্মাথক নয়
সহজ হিসেবে হিজাব বা বুর্কা পরাটা এক ধরণের ডিস্ক্রিমিনেশন। নারী একটা ভোগ্য পণ্য এবং নারীর চেহারা তাই লুকিয়ে রাখতে হবে। এইরকম ধারনাকে প্রোমোট করে হিজাব বা বুর্কা । নারী একজন পূর্ণ মানুষ এবং একজন পুরুষের যদি চেহারা লুকিয়ে রাখতে না হয় তাহলে নারীকে কেনো হিজাব বা বুর্কা ব্যবহার করে চেহারার
আংশিক বা পূর্ণ অংশ লুকিয়ে রাখতে হবে? একই ধরণের পুরুষ পোশাকের কোনোটিতেই কিন্তু চেহারা ঢাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। হিজাব তাই পরিষ্কারভাবে নারীর প্রতি একটি ডিস্ক্রিমিনেশন।

অনেকে আইডেন্টিটির কথা বলেন। এটা সত্যি যে হিজাব বা বুর্কা মধ্যপ্রাচ্যের এবং অন্যান্য দেশের নারীদের একটা আইডেন্টিটির অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এর সুত্রপাত কোথায়? ছোটোবেলা থেকে ধর্মীয় আচারের একটা অংশ হিসেবে এদের অধিকাংশের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে হিজাব বা বুর্কা। আগলে রাখা হয়েছে অন্দরমহলে। ক্রমাগত মগজ ধোলাইয়ের ফলে এই হিজাব বা বুর্কা হয়ে দাঁড়িয়েছে একজন নারীর আইডেন্টটি।

এটা অস্বীকার করা যাবে না যে খুব অল্পসংখ্যক নারী নিজে থেকে হিজাব বা বুর্কা বেছে নেন। কিন্তু এর পিছনের কারন অনেক ক্ষেত্রেই হবু বা বর্তমান স্বামীর অভিরূচি। কিংবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে সমাজে মিশতে চাওয়ার প্রবনতা থেকে, বান্ধবীর অনুকরনে হিজাব ব্যবহার করতে দেখা যায়।

অনেকে হিজাব বা বুর্কা পরলে ফর্সা হওয়া যায় কিংবা স্কিন ভালো থাকে বলে দাবী করেন। প্রথমতঃ এতে গায়ের রংকে প্রাধান্য দেয় এরকম একটা ঘৃণ্য প্রথাকে প্রশয় দেয়। আমাদের সমাজ থেকে এধরণের বিশ্রী প্রথাগুলো যত দ্রুত সম্ভব বিদায় করতে হবে। দ্বিতীয়তঃ স্কিন ভালো থাকার বিষয়টি একটি মিথ। বরং ইন্টারনেট সার্চ করলে সূর্য্যের আলোর অভাবে স্কীন ক্যান্সার হবার অনেক উদাহরন পাওয়া যাবে।

দুষ্ট ছেলের চোখ কিংবা ঈভটিজিং এড়ানোর জন্য একটা ইফেক্টিভ মেকানিজম হিসেবে অনেকে দ্যাখেন হিজাবকে। কিন্তু এই আর্গুমেন্টগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রে অপ্রাসঙ্গিক এবং ঈভটিজিংয়ের মতো সমস্যাগুলোকে সমূলে বিনাশ করে না। সুতরাং হিজাব বা বুর্কার ব্যবহার কোন যৌক্তিক পদ্ধতি নয়। বরং এর ব্যবহার এই মেয়েগুলোকে আরো ভীরু, পশ্চাদপসর করে ফেলে।

শেষ কথা
দেখা যাচ্ছে হিজাবের প্রাথমিক প্রচলনে ইসলাম ধর্মের কোনো ভূমিকা ছিলো না। মধ্যযুগে নারীকে দমিয়ে রাখতে এবং পরে মুসলিম নারীদের একটা আইডেন্টিটি হিসেবে হিজাব এবং বুর্কার বিস্তার ঘটে।

নারীকে কোনোকালেও কেউ এই স্বাধীনতা দেয়নি হিজাব বেছে নেবার বা বর্জন করবার। একসময় একদল পুরুষ এসে বলেছে এটা ভালো, আরেক দল বলেছে খারাপ। কিন্তু সত্যিকারের নারীদের কি মতামত সেটা কেউ জানতে চায়নি।

আরো দেখা যাচ্ছে বর্তমানকালে হিজাবের প্রচলনের পিছনে মূলতঃ পুরুষশাসিত সমাজ দায়ী। শিশুকাল থেকে নারীদের ব্রেইন ওয়াশের ফলে এবং পরবর্তীতে স্বামী বা শ্বসুর বাড়ীর চাপে হিজাবের আশ্রয় নিতে বাধ্য হন নারীরা। হিজাব বা বুর্কা ব্যবহার করে স্কিন ভালো বা ফর্সার হবার ধারণাটিও ভুল এবং পরিত্যাজ্য। উপরন্তু অনেক ক্ষেত্রে ঈভটিজিংয়ের সমাধান হিসেবে হিজাব বা বুর্কা ব্যবহার করে থাকেন অনেকে। যদিও ঈভটিজিং নামক ব্যাধিটি তাতে আরোগ্য লাভ করে না।

এ পর্যায়ে এসে একটি বিষয় দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে বর্তমান সমাজে হিজাবের ব্যবহারে ধর্ম এবং পুরুষশাসিত সমাজের ভূমিকা মূখ্য। এদের চাপিয়ে দেয়া এই পরিধেয় বস্ত্রটি দীর্ঘদিন অভ্যাসের ফলে হয়ে ওঠে নারীর আইডেন্টিটি। ফলে পরিবারের শাসন থেকে বেরিয়ে এসেও এরা হিজাবকে আঁকড়ে ধরেন নিজেদের পরিচয়ের একটা অংশ হিসেবে।

পশ্চিমে বুর্কার প্রতি বিরূপ মনোভাব আংশিকভাবে গ্রহণযোগ্য। পর্দার আড়ালে মানুষকে ভয় পাওয়াটা মানুষের ন্যাচারাল প্রতিক্রিয়ার অংশ। তবে এ ব্যাপারে ফ্রান্সের মতো এক্সট্রিম পদক্ষেপ নিয়ে বুর্কা নিষিদ্ধ করাটা বাড়াবাড়ি। এতে করে এই সমস্যাটার সমাধাণ তো হবেই না বরং হিজাব পরিধাণ করা নারীরা আরো বিচ্ছিন্ন মনে করবেন সমাজ থেকে।

হিজাবের বিপরীতে পশ্চিমের নারীদের পণ্য হয়ে ওঠাও সমালোচনার বাইরে নয়। এসবই সেই পুরুষশাসিত সমাজের পুরুষদের মনোরঞ্জনের জন্য গড়ে ওঠা।

এ পর্যায়ে এসে নারীদের প্রতি তাই আমার অনুরোধ থাকবে হিজাব বা বুর্কা যদি আপনার আইডেন্টটির একটা অংশ হয়ে থাকে তাহলে আরেকবার ভেবে দেখুন। হিজাব আপনাকে কোনো প্রোটেকশন দেয় না উপরন্তু আপনাকে সামনে অগ্রসর হতে বাঁধা দেয়। এরপরও যদি আপনার আইডেন্টটি হিসেবে একে আঁকড়ে ধরে রাখতে চান তাহলে আপনাকে আমার শ্রদ্ধা থাকবে।

দ্বিতীয়তঃ আপনার শিশু মেয়েটিকে হিজাব বা বুর্কা বন্দী করবেন না। এমনিক মানসিকভাবে তাকে প্রস্তুত করবেন না যেনো বড় হলে হিজাব গ্রহণে বাধ্য হয়। বরং তাকে হিজাবের খারাপ দিক গুলো সর্ম্পকে জানান। প্রাপ্তবয়স্ক হবার পরও যদি আপনার কণ্যাসন্তান হিজাব বেছে নেয় তাহলে সেটা তার স্বাধীনতা। সে যদি হিজাব গ্রহণ না করতে চায় তাহলেও যেনো আপনার পরিপূর্ণ সাপোর্ট থাকে তার সাথে। আর শুধুমাত্র এভাবেই গড়ে উঠতে পারে নারী স্বাধীনতা।

পাদটীকা


মন্তব্য

অপছন্দনীয় এর ছবি

আমি আপনার সাথে পুরোই একমত। তবে ধর্মের নামে যা খাওয়ানো হোক তা-ই যাঁরা খান (ধর্মে সেটা থাকুক আর না-ই থাকুক) তাঁদের একমত হওয়ার কোন কারণ দেখছি না।

প্রথমত, এঁদের অনেকে দাবী করেন হিজাব নাকি সেক্সুয়াল অ্যাসাল্টের বিরুদ্ধে একটা মেকানিজম হিসেবে কাজ করে। সেটা যদি সত্যি হয়, তাহলে বাংলাদেশের মত বিশাল-অংশ-হিজাব-পরিহিত জনগোষ্ঠিতে নারীর উপরে অ্যাসাল্ট রেট কেন ইউরোপ বা আমেরিকার মত জায়গার চেয়ে বেশি হয় সেটার কোন ব্যাখ্যা তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া যায় না।

দ্বিতীয়ত, এনাদেরই একজন আমাকে বলেছেন ইসলামে নারীকে অসাধারণ সম্মান দেয়া হয়েছে। এবং তাই তিনি হিজাব না পরলে সেটার জন্য তার বাবা, ভাই, স্বামী এবং বড় ছেলেকে দায়ী করা হবে (কোন রেফারেন্স দেননি)। এদের ধারণায় নারীর অবস্থান এতটাই সম্মানজনক(!!!) যে তিনি এমনকি তাঁর ছেলেরও নির্দেশের অধীন! এই ধরনের চাপিয়ে দেয়া প্রথার সমর্থন ছাড়া এদের কাছ থেকে আর কী আশা করা যায়?

তৃতীয়ত, একবার এক মুখ ঢাকা বোরখা সমর্থক হুজুর বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে যাচ্ছিলো। তাকে বলেছিলাম যে "যে মুখ ঢাকা বোরখা সমর্থন করে, বিয়ের আগে পাত্রীর চেহারা দেখার কোন অধিকার তার নেই।" হুজুর আমাকে বোঝালো এটা ঠিক আছে (হুজুরদের অনেকেরই যেহেতু স্বভাব উদাহরণ দিয়ে কথা বলা), "না দেখে কোন জিনিস কেনা উচিত নয়"। এই ধরনের মধ্যযুগীয় মনোভাবের (সার্টিফিকেটধারী) অশিক্ষিত লোকজনের কাছ থেকেই বা আর কী আশা করবো?

চতুর্থত, খুব অদ্ভুতভাবেই দেখি ধর্মবিষয়ে কিছু ধার্মিক নিজে যা, বিরোধীদের উপরে ঠিক সেই বিশেষণই চাপিয়ে দিতে যায়! যেমন ধরা যাক নারীকে পণ্য বানানো - হিজাবের মাধ্যমে ঠিক এই জিনিসটাই এরা প্রচার করবে যে নারী হারেমে থাকার উপযোগী সম্পত্তিবিশেষ, ওদিকে দাবী করবে হিজাব না পরা মানেই নারীকে পণ্য বানানো! চূড়ান্ত অসম্মান করে দাবী করবে এটা সবচেয়ে বড় সম্মান, যা না তাই নোংরামী করে দাবী করবে এটা সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন! এদের মননশীলতা আসলেই অদ্ভুত লাগে।

----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমার কাছে ধর্মের সংজ্ঞা শুধুমাত্র একটা বই নয়। বরং সেই বই (যদি থাকে), তার ব্যাখ্যা (যদি থাকে), ধর্মবর্ণিত আচরণ, উৎসব এবং এমনকি যদি ওই ধর্মের লোকজনের কোন অভ্যাস সাধারণভাবে পালনীয় হয়ে ওঠে তাহলে সেটাও। সেই অর্থে ইসলাম (কোরান হোক বা না-ই হোক) অবশ্যই হিজাবের প্রমোটার। এবং এই প্রমোশন কোরানে বর্ণিত উপায়ে নারীকে "ইনফিরিয়র স্পেশিজ" হিসেবে বিবেচনা করা থেকেই উদ্ভুত। সেই অর্থে ইসলাম নিজে এর দায় এড়াতে পারে না।

আমি হিজাবের সমর্থক নই অনেকগুলো কারণে,
১। এটা ডিসক্রিমিনেশন।
২। এটা অবমাননাকর খালি না - রীতিমত নারী মাত্রেই "পুরুষের সম্পত্তি" এই ধরনের একটা ধারণার প্রমোটার।
৩। যাঁরা দাবী করেন হিজাব না করলে পুরুষের কামপ্রবৃত্তি জাগ্রত হয় তাঁরা সোজাসুজিভাবে আমাকে উদ্দেশ্য করেই একটা আপত্তিকর ইঙ্গিত করছেন - আমি যদি নিজের প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি তাহলে আমার সাথে রাস্তার কুকুরের কোন পার্থক্য থাকে না - তাঁদের তথাকথিত যুক্তির মাধ্যমে তাঁরা ওই পার্থক্যটা নেই বলেই দাবী করছেন।
৪। সাধারণভাবে কেউ নিজে কী করেন সেটা নিয়ে আমার কিছু বলার থাকার কথা না, কিন্তু কেউ যদি অন্যের প্রতি অবমাননা বা অবিচারের চিহ্ন শখ করেও ধারণ করেন - সেখানে আপত্তি করার অধিকার আমার আছে। সেই কারণেই হিজাবের মত একটা জিনিসকে আমি ব্যক্তিগত ব্যাপার বলে ছাড় দিতে রাজি নই।

ফাহিম হাসান এর ছবি

পছন্দনীয়ের সাথে সহমত চলুক

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

সাধারণভাবে একমত। তবে ৪ নম্বর পয়েন্টের ক্ষেত্রে নিয়ম করে বুর্কা পরা নিষিদ্ধ করায় আমার মত নেই। সেক্ষেত্রে এটা ব্যক্তি অধীকার খর্ব করে। এয়াপোর্টের মতো জায়গাগুলোতে এনিয়ম অবশ্য যৌক্তিক।

অপছন্দনীয় এর ছবি

আমি আইন করে নিষিদ্ধ করতে বলিনি।

কেউ যদি পুরোপুরি নিজের ইচ্ছায় পরেন, সেটা তিনি পরতেই পারেন। সেক্ষেত্রে আমি তাঁকে বাধা দেবো না বা জোর করবো না কিন্তু তাঁর কাজের প্রতিবাদ করবো কারণ তিনি একটা অবিচারের চিহ্ন ধারণ করে বেড়াচ্ছেন।

তবে, আজ পর্যন্ত কাউকে দেখিনি যিনি নিজের ইচ্ছায় হিজাব পরেছেন। অনেকেই দাবী করেন তাঁরা "সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায়" পরেছেন কিন্তু একটু খুঁজলেই দেখা যায় আসলে তিনি "স্বেচ্ছা"র গাছটা ধর্মের জমিতে পুঁতে তার ডগায় চড়ে বসে আছেন।

রু (অতিথি) এর ছবি

তবে, আজ পর্যন্ত কাউকে দেখিনি যিনি নিজের ইচ্ছায় হিজাব পরেছেন। অনেকেই দাবী করেন তাঁরা "সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায়" পরেছেন কিন্তু একটু খুঁজলেই দেখা যায় আসলে তিনি "স্বেচ্ছা"র গাছটা ধর্মের জমিতে পুঁতে তার ডগায় চড়ে বসে আছেন।

সবসময় না। আমি এ পর্যন্ত তিনজনের কাছে শুনেছি, তারা বড় হয়ে হিজাব পড়া ধরেছে এবং পরিবারের কোন রকম চাপ ছাড়া, এমনকি আল্লাহকে খুশী করার জন্যও না। উনাদের মতে উনারা কী পড়ছে, কীভাবে নিজেকে ঢেকে রাখছে সেটা অন্যদের মাথা ব্যাথা হবে কেন? তাদের কথা আর কাজটাই আসল এবং হিজাব কখনই তাদের কোন কাজে বাধা হয়ে দাঁড়ায় নাই। হিজাব যে তাদের চলার পথে অন্তরায় হয়নি, সেটা নিয়ে আমার কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু একটা প্রশ্ন মনে আসে যেটা কিনা সময়মত করতে পারিনি, তাদের কথা ও কাজ কী এতোটা শক্তিশালী না যে শারীরিক সৌন্দর্য ছাড়িয়ে যেতে পারবে?

Mekur এর ছবি

In the very beginning, I want to mention to the moderators about my writing limitation. As I dont know how to write in Bangla font, I have to comment in English.

Apocchondoniyo, if you dont have any objection wearing bikini, saree, salwar kamij, specially when women use those as attire of their personal choices, why do you have problem particularly with Hijab? In response to your point number 4, I would like to ask you how you can differtiate between a bikini and a hijab as sign of discrimination or insult to other( females). If bikini does not preclude a woman's personal choice, why should there be any objection regarding a hijab in case a woman wears it on her own self will.

The writer here focuses the issue of force which either compels or convinces a woman to wear hijab. But the writer has left space for those ladies who wear hijab self willingly. Do you mind a lady wearing a saree on her own will?

When people are arguing over the issue of Hijab/No Hijab and privilegeing one term over other, either way it involves force. If you say, Hijab is bad because it limits your freedom, you are privilegeing No Hijab. In the opposite manner, if you say, not using hijab is bad, you are disapproving outfit excluding hijab. On question of personal liking, be that eating habit, wearing cloths and marrying someone, the matter should be entirely on the choice of an individual. There should not be any criterion of making judgement.

অপছন্দনীয় এর ছবি

কেউ নিজের শার্টে কি প্রতীক আঁকবেন সেটা সম্পূর্ণভাবে তাঁর ব্যাপার। তিনি ছবি, জ্যামিতিক চিত্র, গাছপালা, পশুপাখি যা খুশি তাই আঁকতে পারেন - সেখানে সাধারণভাবে আমার আপত্তি করার কিছু নেই। কিন্তু তিনি যদি নাৎসীজমের প্রতীক এঁকে ঘুরে বেড়ান সেখানে আমার আপত্তি আছে। আপত্তি আছে কারণ সেটা অনেক মানুষের প্রতি অবিচার, নোংরামি, শয়তানিকে সমর্থন করে।

ঠিক একই কারণে কেউ হিজাব পরলে আমার আপত্তি আছে, কারণ হিজাব ধর্মীয়ভাবে ঘাড়ে চাপানো একটা ব্যাপার এবং ধর্ম সবক্ষেত্রেই নারীর প্রতি নিচু দৃষ্টিভঙ্গীর পরিচায়ক - হিজাবের উৎপত্তিও এই নিচু দৃষ্টিভঙ্গী থেকেই। শাড়ী বা সালোয়ার কামিজ কোনটাই ধর্মের হাত ধরে ঘাড়ে চড়ে বসেনি - কেউ কাউকে কোথাও বলেনি "শাড়ী পরতে হবে কারণ এটাই আদেশ"।

বিকিনি, শাড়ী, সালোয়ার কামিজ যদি ঘাড়ে চাপানো হয় আমি সেখানেও আপত্তি করবো। হিজাব কেউ নিজের ইচ্ছায় পরে না। যারা দাবী করে নিজের ইচ্ছায় পরে তাদের সাথে কিছুক্ষণ কথা বললেই দেখা যায় ইচ্ছার গোড়া ধর্মেই বসে আছে।

আরো সোজা ভাষায় বলি, নিজে যা ইচ্ছা তাই বলার বা পরার অধিকার আপনার আছে, কিন্তু সেটা করতে গিয়ে আমার মায়ের প্রতি কোন অপমানজনক ইঙ্গিত করার কোন অধিকার আপনার নেই। হিজাব ঠিক সেই কাজটাই করে এবং হিজাব ধারণ করতে গিয়ে যাঁরা ধারণ করেন তাঁরা ঠিক সেই কাজটাই করছেন।

সেই সাথে এটাও বলে রাখি - কেউ যদি সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় হিজাব পরেন, তাহলে তাঁর ইচ্ছাকে আমি সম্মান দেখাবো, যদিও আপত্তি করবো কারণ তিনি অন্যের প্রতি অবিচারের একটা চিহ্ন ধারণ করে চলেছেন। তবে "স্বেচ্ছায় অন্যের ইচ্ছামত" কাজ করাকে আমি স্বেচ্ছাকর্ম বলতে রাজি নই।

ফাহিম হাসানের এই পোস্টের মন্তব্যগুলো দেখুন দয়া করে। বিশেষ করে ৫৫ এবং ৫৭ নম্বর মন্তব্যে নিজের ইচ্ছায় হিজাব পরিধানকারীর মন্তব্যটা দেখুন।

Mekur এর ছবি

Apocchondoniyo, I dont think my tone sounded harsh in my previous comment.

When someone roams around wearing a nazi monogrammed t-shirt, it can be easily surmised his belief in that inhuman philosophy. Similarly, a red cross monogrammed t shirt can fully express one's benevolent attitude. What do you say , if a girl wears a hijab and a red cross t shirt at the same time?

As you have personalized your reply pulling your mother ( with my respect to her; I read some of your previous posts), let me turn around in your way. What would you say, if a hijabwali firefighter comes ahead and saves any of your dear ones? I dont think "humanity" is such a fragile concept that can be cracked with a cloth which, in your eyes is the sign of injustice and insult to females.

As per your suggestion, I went through the comments numbered 55 and 57. And after that I asked some persons who have experience with hijab. I asked them a simple question-"Why do they wear hijab? Is it out of love or out of fear from hellish punishment?" The answers that I got are--
1. It is just because of their habit. They have been habituated with hijab from their childhood. Now if they dont wear it, they will feel uncomfortable. Religion has no part in it.
2. Some are confused. They dont know why they are using it. As other members of the family are using it, they are merely following.
3. Because of religious instruction, some are using it.
About the hijab disciples of number 2 and 3 group, I have nothing to say here. I would rather disapprove them.

But the limited number of females that belong to number 1, I would say that for them hijab is not carrying any religious ordain, after world assistance or constraints on personal freedom. This is merely habit like we are habituated in saree and salwar kamij. You have said that the tradition of saree and salwar kamij is not originated from religion. But in Bangladesh when girls cross high school, they feel compelled to wear salwar kamij or saree; otherwise socially they feel uncomfortable. In that case both saree and salwar kamij are part of our tradition from social expectation, which in hegemonic diction can be said, persuasive force. You or me may not feel this pressure because we have been habituated with it. So if a girl, habituated in hijab is asked to take it off, she is expected not to feel comfortable.

I dont have any objection if someone does not wear a hijab. But I also dont find any logic to tag a hijabwali "essentially" the conveyor of insulting and degrading sign.

অপছন্দনীয় এর ছবি

When someone roams around wearing a nazi monogrammed t-shirt, it can be easily surmised his belief in that inhuman philosophy. Similarly, a red cross monogrammed t shirt can fully express one's benevolent attitude. What do you say , if a girl wears a hijab and a red cross t shirt at the same time?

১। কেউ যদি একটা রেড ক্রস টি-শার্ট আর হিজাব একসাথে পরে তাহলে আমি বলবো সে দুইটা ভিন্ন চিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছে। একটা মানবতার, আর আরেকটা মানবতাবিরোধীতার। একই সাথে যখন কেউ এই দুই চিহ্নই বয়ে বেড়ায়, তখন তার মানবতাবিরোধী মনোভাবটাই আমার কাছে বিবেচ্য - স্রেফ রেডক্রস আছে বলেই হিজাব জাস্টিফায়েড হয় না, ঠিক যে কারণে নাজিদের গায়ে রেডক্রস মারা থাকলেও তারা মানবতাবাদী হয় না সে কারণে। আমি যদি কোন বাংলাদেশীর টি শার্টে বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের চিহ্ন একসাথে দেখি, আমি তাকে পাকিস্তানের সমর্থক বলবো, বাংলাদেশের নয়।

As you have personalized your reply pulling your mother ( with my respect to her; I read some of your previous posts), let me turn around in your way.

২। ওটা ঠিক পার্সোনালাইজেশন নয়। "আমার মা" কথাটা উদাহরণের প্রয়োজনে বলা - সেটা ব্যক্তি হিসেবে তাঁকে নির্দেশ করছে না। এই কারণে আপনার কোনকিছু সামলেসুমলে বলার প্রয়োজন নেই।

What would you say, if a hijabwali firefighter comes ahead and saves any of your dear ones? I dont think "humanity" is such a fragile concept that can be cracked with a cloth which, in your eyes is the sign of injustice and insult to females.

৩। মাত্র নয় মাসের রাজাকার যদি গত চল্লিশ বছর ধরে জনসেবা করে বেড়ায় তাহলে তার রাজাকার পরিচয় মিথ্যে হয়ে যায় না। হিজাবওয়ালী ফায়ারফাইটার যদি আমার কোন প্রিয়জনকে বাঁচান তাহলে তাঁকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাবো ঠিকই, কিন্তু তাঁর হিজাবের বিরুদ্ধে আপত্তিটা একই থাকবে - কারণ তিনি একই সাথে আমার প্রিয়জনদের প্রতি অসম্মানও দেখাচ্ছেন। এই ক্ষেত্রে সব কিছুই ফ্র্যাজাইল কনসেপ্ট - কেউ একটা রেপ করে পরবর্তী পঞ্চাশ বছর জনসেবা করতে পারে, বা পঞ্চাশ বছর জনসেবা করে একটা রেপ করতে পারে - তার পরিচয় রেপিস্ট, জনসেবী নয়!

(হিজাবওয়ালী ফায়ারফাইটার কাকে বলে জানিনা অবশ্য - ফায়ারফাইটাররা ওই ধরনের পোশাক পরলে অন্যকে বাঁচানোর চেয়ে নিজের মরার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।)

But the limited number of females that belong to number 1, I would say that for them hijab is not carrying any religious ordain, after world assistance or constraints on personal freedom.

৪। আমেরিকার গৃহযুদ্ধে কনফেডারেট পক্ষে কিছু দাসও যুদ্ধ করেছিলো, মনিবের নির্দেশে এবং সেটা পালন করার আগে তারা আর কিছু চিন্তা করে নেয়নি কারণ সেটা তাদের অভ্যাস - তাদের কাছে ঐ যুদ্ধেরও কোন অর্থ ছিলো না। তাই বলে সেটা দাসপ্রথাকে বৈধ বানিয়ে দেয় না, তাদের যুদ্ধ করাকেও জাস্টিফাই করে না।

শিশিরকণা এর ছবি

প্রথমে বলি এই মন্তব্যটা ভালো লেগেছে এই জন্য যে, একজন বিপরীত মন্তব্য গুছিয়ে লিখেছেন এবং বাংলা না হওয়া সত্বেও মডুরা সেটা ছাড় করেছে। ২/১ টা এমন মন্তব্য মডারেশন পেরোতে দেয়া উচিত যাতে নীরব পাঠকেরা বাংলায় লেখা শেখার সময়টুকুতেও মিথস্ক্রিয়া চালিয়ে যেতে পারে। তবে ইংরেজি হরফে বাংলা পরিত্যাজ্য।

এবার পোস্টের বক্তব্যে বাংলাদেশী মেয়ে হিসেবে দু'কথা যোগ করি। বাংলাদেশে সব পোশাকই মেয়েদের উপর একরকম জোর করে চাপিয়ে দেয়া। ছোটবেলায় মা বড় বোনদের দেখে শাড়ি কামিজ পরতে ইচ্ছা হয়ত করত, তাই বলে দৈনন্দিন দৌড় ঝাপের জন্য আমি আমি এগুলা পছন্দ করি না, অতিরিক্ত ঝুল ঝুল কাপড় সামলানোর হ্যাপা ভালো লাগে না। যেহেতু বড় হয়েও আমার লাফ-ঝাপ করার ইচ্ছা মরে নাই ( বলা ভাল মেরে ফেলতে দেই নাই) আমি এখনো ফ্রক বা টি-শার্ট/শর্টস পরতে পারলে আরাম পেতাম। কিন্তু তাইলে তো সুশীল সমাজ আমারে ধর্ষনযোগ্যা তকমা লাগিয়ে দেবে ( ঐ আলোচনায় আর না যাই)।

মেয়েদের আসলে পোশাকের কোন স্বাধীনতাই নাই! এইটা দেশে বলেন আর বিদেশে।
ধরেন বিদেশে হয়ত আমি শর্টস পড়লাম, বিকিনি পড়লাম তাইলে আবার নানান টাইপ আনওয়ান্টেড হেয়ার ট্রিটমেন্ট করা থাকা লাগবে। ক্যান? আমি আরামের জন্য একটা পোশাক পড়লাম, গা দেখানোর জন্য তো না, তাইলে ক্যান আমাকে ঐসব করা লাগবে।

যেভাবেই দেখেন এই দুনিয়া মেয়েদেরকে এখনো পন্য হিসেবেই দেখে, একেক দেশে একেক রকম মোড়ক চলে আর কি! পন্যের নিজের ইচ্ছা/ অনিচ্ছার খুব একটা মূল্য নাই। খাপ খাওয়ায় নিতে মেয়েরা নিজেকে এক এক রকম বুঝ দেয়। কেউ সচেতনভাবে দেয়, কেউ অসচেতন ভাবে।
রেগে টং
দীর্ঘশ্বাস!

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

বিকিনির প্রসঙ্গটা এক্ষেত্রে রেড হেরিং। তদুপরি, এটাও এক ধরণের নারী-পণ্যকরন এবং পরিত্যাজ্য।

আমি স্বেচ্ছায় হিজাব পরাকে ব্যক্তি স্বাধীনতার খাতিরে ছাড় দিতে রাজি থাকলেও সম্ভবতঃ শতকরা ৯৯% ক্ষেত্রে হিজাব স্বেচ্ছায় পরে না। ধর্ম, পরিবার এই ধরণের গোঁড়ামীই তাদের উৎস।

পাঠক এর ছবি

প্রথমত, এঁদের অনেকে দাবী করেন হিজাব নাকি সেক্সুয়াল অ্যাসাল্টের বিরুদ্ধে একটা মেকানিজম হিসেবে কাজ করে। সেটা যদি সত্যি হয়, তাহলে বাংলাদেশের মত বিশাল-অংশ-হিজাব-পরিহিত জনগোষ্ঠিতে নারীর উপরে অ্যাসাল্ট রেট কেন ইউরোপ বা আমেরিকার মত জায়গার চেয়ে বেশি হয় সেটার কোন ব্যাখ্যা তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া যায় না।

কি কন এই সব?? এত দিন তো উল্টা জানতাম।

অপছন্দনীয় এর ছবি

জাকির নায়েক আপনাকে উল্টোটাই বলবে!

guesr_writer rajkonya এর ছবি

তৃতীয়ত, একবার এক মুখ ঢাকা বোরখা সমর্থক হুজুর বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে যাচ্ছিলো। তাকে বলেছিলাম যে "যে মুখ ঢাকা বোরখা সমর্থন করে, বিয়ের আগে পাত্রীর চেহারা দেখার কোন অধিকার তার নেই।" হুজুর আমাকে বোঝালো এটা ঠিক আছে (হুজুরদের অনেকেরই যেহেতু স্বভাব উদাহরণ দিয়ে কথা বলা), "না দেখে কোন জিনিস কেনা উচিত নয়"। এই ধরনের মধ্যযুগীয় মনোভাবের (সার্টিফিকেটধারী) অশিক্ষিত লোকজনের কাছ থেকেই বা আর কী আশা করবো?

কে বলেছে যে,

বিয়ের আগে পাত্রীর চেহারা দেখার কোন অধিকার তার নেই।

!!!! @অপছন্দনীয় ভাই, আপনি হয়ত জানেন না, বিয়ের আগে পাত্র চাইলে পাত্রীর কোমর পর্যন্ত দেখে নিতে পারেন!!! এ সংক্রান্ত রীতিমত একটা হাদিসও আছে। যেহেতু আমি জাকির নায়েক নই, তাই এত রেফারেন্স ঘাঁটাঘাঁটি না করে দিতে পারলাম না। আর মানুষটা অলস বলে ঘাঁটাঘাঁটি করলামও না। দুঃখিত।

অপছন্দনীয় এর ছবি

বলেন কী!!! যদি পরে খুঁজে পান, রেফারেন্সটা জানাবেন একটু দয়া করে?

guesr_writer rajkonya এর ছবি

বিয়ে, পরিবার ইত্যাদি সংক্রান্ত কোন ইসলামিক বই পড়লে আপনিও পেয়ে যেতে পারেন। আমার রেফারেন্স দেওয়া লাগবে না। হাসি

শিশিরকণা এর ছবি

হাদিস বলতে তো নবীজির বানী বুঝায়, তাই না? ইসলামিক বই গুলা তো হাদিস না। যাই হোক হাদিসটা নতুন শুনলাম।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

সাই দ এর ছবি

কোমর পর্যন্ত নিরাভরণভাবে দেখা যাবে আপনি কি এটা বোঝাতে চাচ্ছেন??

guesr_writer rajkonya এর ছবি

না, হাদীসটাতে নিরাবরণভাবে দেখার কথা ছিল না। সম্ভবত, কোমরের মাপটা কেমন ওটা জানার জন্য দেখার ইচ্ছা প্রকাশ পেয়েছে।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এই হাদীসটার উৎস জানা প্রয়োজন।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

থিসিস করার সময় উৎসগুলো এত জ্বালিয়েছে আমাকে। এরপর থেকে উৎসের নাম শুনলেই ক্লান্ত হয়ে যাই। অনেক সময় মন্তব্য করা থেকেও বিরত থাকি, উৎসের জন্য ঘাঁটাঘাঁটি করার উৎসাহ নেই বলে। অপছন্দনীয় ভাইএর মন্তব্যের প্রতিমন্তব্যে একটা বলে ফেলেছি।

এই হাদীসটার উৎস জানা প্রয়োজন।

মুর্শেদ ভাইয়ের এই মন্তব্য আমার থিসিসের সুপারভাইসারের মতই শোনালো। ইয়ে, মানে...

খায়রুন প্রকাশনীর মওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রহীম রচিত ‘’পরিবার ও পারিবারিক জীবন’’ বইটির (৯ম প্রকাশ) ২য় অধ্যায়ের ‘’বিয়ের প্রস্তাব’’ নামের উপ-অধ্যায়ের ১২৪-১২৫ নং পৃষ্ঠাতে আছে...

আর বরের নিজের পক্ষে যদি কনেকে দেখা আদৌ সম্ভব না হয়, তাহলেও অন্তত নির্ভরযোগ্য সূত্রে তার যাবতীয় বিষয়ে সম্যক খোঁজ-খবর লওয়া বরের পক্ষে একান্তই আবশ্যক। এ উদ্দেশ্যে আপন আত্নীয়া স্ত্রীলোককে পাঠানো যেতে পারে তাকে দেখার জন্য। হযরত আনাস (রা) বর্ণিত একটি হাদীস থেকে এ সম্পর্কে প্রমাণ পাওয়া যায়। নবী করিম (স) একটি মেয়েকে বিয়ে করার মনস্থ করেন। তখন তাকে দেখার জন্য অপর একটি স্ত্রীলোককে পাঠিয়ে দেন এবং তাকে বলে দেনঃ (অর্থ)
কনের মাড়ির দাঁত পরীক্ষা করবে এবং কোমরের উপরিভাগ পিছন দিক থেকে ভালকরে দেখবে।
বলা বাহুল্য, দেহের এ দুটো দিক একজন নারীর বিশেষ আকর্ষণীয় দিক। দাঁত দেখলে তার বুদ্ধিমত্তা ও জ্ঞান-প্রতিভা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা করা চলে। তার মুখের গন্ধ মিষ্টি না ঘৃণ্য তাও বোঝা যায়। আর পেছন দিক দিয়ে কোমরের উপরিভাগ একটি নারীর বিশেষ আকর্ষনীয় হয়ে থাকে।‘’

আমার পক্ষে এর বেশি লেখা সম্ভব নয়। আর পৃষ্ঠা ১২৩ এ ইমাম আওজায়ী, আবু দাউদ জাহেরী, ইবনে হাজম মনীষীদের যে উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে, তা কল্পণা করাটাও আমার জন্য একটা নির্মম শাস্তি। এইসব হুজুরগুলা কি সাধে এত বিকৃত রুচির হয়???

পল্লব এর ছবি

ইয়ে, মানে... এর সাথে কুরবানির গরু দেখার কি তফাৎ?!! আজিব!

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

অপছন্দনীয় এর ছবি

সহীহ তরীকা মোতাবেক নারীর সাথে গরু-মহিষ-উট-দুম্বার কী তফাৎ সেটা আগে খুঁজে বের করুন তো, তারপর নয় দেখাদেখির পার্থক্য নিয়ে মাথা ঘামাবেন!

চরম উদাস এর ছবি

আসলেই আজীব! কুরবানির গরুর সাথে আসলেই কোন তফাৎ পাচ্ছিনা।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

দাঁত দেখলে তার বুদ্ধিমত্তা ও জ্ঞান-প্রতিভা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা করা চলে।

কী আমার দন্ত বিশেষজ্ঞ রে!

অপছন্দনীয় এর ছবি

রাস্তার পাশের প্রতিটা মাদ্রাসার হুজুরেরাই এই ধরনের বই লেখে - সেগুলোকে গুরুত্ব দেয়ার কিছু নেই। তবে ওই বইতে যদি হাদীসগুলোর রেফারেন্স নম্বর দেয়া থাকে তাহলে সেটা বলতে পারেন হাসি

প্রজন্ম৮৬ এর ছবি

বিকৃত?

বিয়ের পর শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনকে কি স্বাভাবিক মনে করেন?

যদি করেন তাহলে বলুন। বিবাহপূর্ব দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনে ব্যার্থ কোন নর-নারী যদি বিয়ের পর দেখে সঙ্গীর কোমরে খুজলী আর দাঁতে পঁচা গন্ধ এবং সে খুজলী এবং পঁচা গন্ধ প্রেমিক নয় তখন সে কি করবে? হয় তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে সংসার করে যেতে হবে নইলে আইন-আদালতে যেয়ে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। এতে তার শারীরিক, মানসিক এবং আর্থিক ক্ষতি হবে। আর এত কাহিনী এড়িয়ে যাবার জন্য বিয়ের আগেই যদি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় পরিবার ও ব্যাক্তির সম্মতিতে তার দেহ সৌন্দর্য পরীক্ষা করে তাহলে কত সমস্যা এড়ানো যায়? আর সমস্যা এড়ানোর চেষ্টায় দোষটা কোথায়?

এবার বলুন, অদুর ভবিষ্যতের হতে পারে এমন সমস্যা সমাধানে আগেই সচেষ্ট হওয়া বিকৃত মানসিকতা নাকি সমস্যা হবার সুযোগ রেখে দেয়া স্বাভাবিক মানসিকতা?

কুরবানীর গরুর কথা বলবেন না, গরু শুনলেই একটু হাস্যরস তৈরী হয় বলেই পরীক্ষার কার্যকারীতা ভুলে যাওয়া চলবে না। আপনি যখনই নতুন কিছু গ্রহন করেন তখন সেটা পরীক্ষা করেই নেন। আর যদি যাচাই-বাছাই না করেই গ্রহন করতে প্রস্তুত হন তাহলে কিছু বলার ‌থাকে না।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

একই সুযোগ মেয়েদের দেয়া হয় না কেনো? নাতি "কোমরে খুজলী আর দাঁতে পঁচা গন্ধ" ওয়ালা জামাইয়ের সাথে সে ঘর করতে বাধ্য?

প্রজন্ম৮৬ এর ছবি

একই সুযোগ মেয়েদেরও প্রাপ্য। খুজলী এবং পঁচা গন্ধ তো সিম্বলিক। বিয়ে একটা আইনী চুক্তি এবং এবং দুটি পক্ষেরই একে অপরকে যাচাই করার স্বাধীনটা রয়েছে। যেকোন কারনেই হোক নর-নারী চায় না এমন ব্যাক্তির সাথে ঘর করতে সে অবশ্যই বাধ‌্য নয়।

চরম উদাস এর ছবি

এইতো দিলেন হিসাবে প্যাঁচ লাগায়ে। খুঁজলি কি আর কোমরে হয়?? খুঁজলি হয় গিয়া ধরেন আপনের গিরায় গিরায়, শিরায় শিরায়, চিপা চুপায় (আবার ভাইবেন না নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতেছি ... রেগে টং ) এখন তো খুঁজলি খুজতে গেলে মান ইজ্জত নিয়া টানাটানি লাগবে রে ভাই।

অপছন্দনীয় এর ছবি

আর আপনি যখন বাজারে গিয়ে পণ্য কেনার মত বউ কিনতে যান তখনো আসলে কিছু বলার থাকে না - এতটা বিকৃতি নিয়ে কেউ লেখার মত মানসিক স্থিরতা রাখতে পারে সেটা গ্রহণ করাটাই কষ্টকর।

উল্টোদিকে ব্যাপারটা কী? আপনাকে বিয়ে করার আগে যদি কেউ জামাকাপড় খুলে দেখে নিতে চায় আপনার সিফিলিস আছে কিনা রাজি হবেন? নাকি সহী তরীকা মোতাবেক আপনি "পুরুষ" বলে আপনার কিছু লাগে না?

প্রজন্ম৮৬ এর ছবি

কেন যেন আগেই মনে হয়েছিল অতি উৎসাহী আপনার এমন একটি মন্তব্য দেখতেই হবে। দেখলাম অনেককেই বুঝাচ্ছেন যে, ন্যুডিটি আর হিজাবের মাঝে কিছু রয়েছে। তাই বলি নিজেও বুঝুন না যে, হবু বর বা বধুর সম্পর্কে কিছু জানতে চাওয়া আর গাড়ি-ঘোড়া কেনার মধ্যে তফাৎ রয়েছে।

সভ্য মানুষজন একে অপরকে অপমান না করেই প্রয়োজনীয় তথ্য আদান-প্রদান করেই যেকোন প্রক্রিয়া সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করে আর অসভ্য সমাজ হলেই তিল'কে তাল এবং তাল'কে তিল বানানোর প্রবনতা দেখা যায়। বিয়ে তেমনই একটি প্রক্রিয়া এবং আইনী চুক্তি তাই সকলেই ইউটোপিয়ান টিনের চশমা চোখে দিয়ে এটি সম্পন্ন করবে বলে ভাববেন না।

অপছন্দনীয় এর ছবি

বেশ তো? দয়া করে আমার তিনটা প্রশ্নের উত্তর দিন, একটু বুঝি...

১। প্রশ্নটা উপরে করা আছে, আপনি রাজি হবেন?
২। সেক্স স্লেভ কিনতে গেলে ঠিকঠাক যে জিনিসগুলো দেখা হতো, ঠিক সেই প্রক্রিয়ায় সেই জিনিসগুলোই যদি বিয়ে করার সময় "দেখে" নেয়া হয় - তাহলে কোন যুক্তিতে সেক্স স্লেভ কেনা আর বিয়ে করা আলাদা?
৩। "হবু বর বা বধূর সম্পর্কে কিছু জানতে চাওয়া" আর "হবু বধূর জামাকাপড় খুলে দেখা" - এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য আপনি বোঝেন তো? না বুঝলে দয়া করে সেটা বুঝে তারপরে "অতি উৎসাহী আমাকে" বোঝাতে আসুন।

প্রজন্ম৮৬ এর ছবি

১। তেমন পরিস্থিতিতে ( এ্যারেন্জড ম্যারেজ) আমাকে কেউ পরীক্ষা করতে চাইলে আমার সমস্যা থাকবে না। বরং আমি কমপ্লিট মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রদান করা উৎসাহিত করি। ( যাদের সিফিলিস নাই তাদের দেখাতে সমস্যাও নাই )।

২।স্লেভ ক্রয় করা সামাজিক এবং আইনগত উভয়ভাবেই অবৈধ আর বিয়ে করা বৈধ। পার্থক্যটা জটিল নয়।

৩। কাপড় খুলে যোনী বা শিশ্ন দর্শন করা আর শারীরিক সুস্থতা যাচাই করা বুঝবেন বলেই আশাকরি।

উৎসাহ ভাল কিন্তু অতিউৎসাহ ভাল নয় তাই আপনাকে বুঝানোর জন্য আমি আবার আসবো বলে ধারনা করে থাকবেন না।

অপছন্দনীয় এর ছবি

১। আমার প্রশ্ন ছিলো

আপনাকে বিয়ে করার আগে যদি কেউ জামাকাপড় খুলে দেখে নিতে চায় আপনার সিফিলিস আছে কিনা রাজি হবেন?

আর আপনি উত্তর দিলেন,

আমি কমপ্লিট মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রদান করা উৎসাহিত করি।

কমপ্লিট মেডিক্যাল সার্টিফিকেট আমিও উৎসাহিত করি, কিন্তু আপনি আমার প্রশ্নের উত্তর দেননি। প্রশ্নটার আন্ডারলাইনড অংশটা লক্ষ্য করুন।

২। এক্ষেত্রেও প্রশ্নটা এড়িয়ে গেছেন। আমি জানতে চেয়েছি আচরণের পার্থক্য কী, কোনটা আইনে সমর্থিত আর কোনটা নয় সেটা জানতে চাইনি। স্লেভ কেনা আইনত নিষিদ্ধ বলে অন্য নামে একই কাজ করা আইনত বৈধ হতেই পারে, আমি জানতে চাচ্ছি আচরণটার মধ্যে পার্থক্যটা কোথায়।

৩। পার্থক্যটা আমি বুঝি ঠিক মতই, কিন্তু উপরেই দেখুন, রাজকন্যার মন্তব্যের বিষয় কী ছিলো এবং তার উত্তরে আপনি কী ভাবে সেই বিষয়টিকেই সমর্থন করেছেন - আপনি পার্থক্যটা বোঝেন তো? এমনকি "পাত্রীর কাপড় খুলে দেখা" ব্যাপারটাকে বিকৃত বলায় আপনার উত্তর ছিলো, "বিকৃত?" এবং ওই একই প্রসঙ্গে আপনার বক্তব্য ছিলো, "অদুর ভবিষ্যতের হতে পারে এমন সমস্যা সমাধানে আগেই সচেষ্ট হওয়া বিকৃত মানসিকতা নাকি সমস্যা হবার সুযোগ রেখে দেয়া স্বাভাবিক মানসিকতা?" - এমনকি খুজলির উদাহরণ আমদানী করলেন যেটা ভেরিফাই করার উপায় কী সেটা ধারণা করতে পারি - আপনি জানেন হয়তো!

উৎসাহ ভাল কিন্তু অতিউৎসাহ ভাল নয় তাই আপনাকে বুঝানোর জন্য আমি আবার আসবো বলে ধারনা করে থাকবেন না।

অতিউৎসাহ টার্মটা আপনি আমদানী করেছেন, আমি নই - নিজের কথার দায়িত্ব নেয়ার সাহস যদি আপনার না থাকে সেটাও আপনার মেরুদন্ডের সমস্যা, আমার নয় - আমার মনে পড়ছে না কোথাও আমি আপনাকে অনুরোধ করেছি দয়া করে আমার উৎসাহে ধোঁয়া দিতে। আপনার উপরের ওই মন্তব্যটা পড়ে যদি আমি কোন টার্ম আমদানী করতে চাইতামই, সেটা হতো "পারভার্ট", অতি উৎসাহী নয়। আপনার কথার মধ্যে অবশ্য পরিচিত একটা প্যাটার্ন চোখে পড়ছে, নিজেই জামাকাপড় খুলে দেখাকে সমর্থন দিয়ে এবার আশা করছেন(!) আমি সেটার সাথে অন্য কিছুর পার্থক্য বুঝবো!

আপনার মেসেজের টোন পালটে গেছে মনে হলো। আমি মায়োপিক হলেও রঙ চিনি এখনো, সেটা পাল্টালে চোখেও পড়ে।

প্রজন্ম৮৬ এর ছবি

১। তেমন পরিস্থিতিতে আমার শারীরিক সুস্থতা যাচাই করতে চাইলে ব্যাক্তিগত কোন আপত্তি নেই। বরং বিয়ের আগে পূর্নাঙ্গ মেডিকেল চেক আপ সার্টিফিকেট আদান-প্রদান উৎসাহিত করি। ( সবার তো সিফিলিস নেই)

২। স্লেভ ক্রয় করা আইনত নিষিদ্ধ এবং বিয়ে করা আইনত বৈধ। ( পার্থক্য বুঝতে কষ্ট হবে না আশা করি)

৩। কাপড় খুলে যোনী বা শিশ্ন দর্শন আর শারীরিক সুস্থতা যাচাইয়ের পার্থক্য আপনি না বুঝলে আমার পক্ষে বুঝানো সম্ভব নয়।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

৩। কাপড় খুলে যোনী বা শিশ্ন দর্শন আর শারীরিক সুস্থতা যাচাইয়ের পার্থক্য আপনি না বুঝলে আমার পক্ষে বুঝানো সম্ভব নয়।

এখন তো আমাকে কিছু কথা বলতেই হয়। ঐ যে উৎসের কথা বললাম, সেখানে কয়েকজন মনীষীদের নাম উল্লেখ করেছি। তাঁরা মনে করেন, বিয়ের আগে কনের যৌনাংগও দেখে নেওয়া যাবে। তা তো বটেই, বিয়ে করবেন, ভাল মত দেখে শুনে করাই ভাল।

মূর্খ এর ছবি

বলেছেন- আপনি হয়ত জানেন না, বিয়ের আগে পাত্র চাইলে পাত্রীর কোমর পর্যন্ত দেখে নিতে পারেন!!!
প্রশ্নটা হল কোন দিক থেকে? মাথা থেকে কোমর নাকি পা থেকে কোমর? বিসয়টা খোলসা হওয়া দরকার।
খালি কি দেখাই যাবে? জমি তো, একটু খানি চাষবাস করে পরীক্ষা করা যাবে কি?

কল্যাণF এর ছবি

দিলেন আরো প্যাঁচ লাগাইয়া!

guesr_writer rajkonya এর ছবি

৩। যাঁরা দাবী করেন হিজাব না করলে পুরুষের কামপ্রবৃত্তি জাগ্রত হয় তাঁরা সোজাসুজিভাবে আমাকে উদ্দেশ্য করেই একটা আপত্তিকর ইঙ্গিত করছেন - আমি যদি নিজের প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি তাহলে আমার সাথে রাস্তার কুকুরের কোন পার্থক্য থাকে না - তাঁদের তথাকথিত যুক্তির মাধ্যমে তাঁরা ওই পার্থক্যটা নেই বলেই দাবী করছেন।

অপছন্দনীয় ভাই, আপনার এই কথাটার সাথেও যে আমি একমত হতে পারলাম না। রাস্তার কুকুরগুলোতে আমার অনেক ভদ্র মনে হয়। ওরা তো হিজাব দূরের কথা! একটা সুতাও পরে না! ওদেরকে অনেক ভদ্র বলেই আমার মনে হয়েছে।

তারেক অণু এর ছবি

একমত। অনেক যুগ ধরে ভুল কিছু চলতে থাকলে অনেক ক্ষেত্রেই কিছু মানুষ সেটাকেই ঠিক বা সংস্কৃতির অংশ বলে মনে করে, তারপরও সেটা ভুলই থাকে।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ধন্যবাদ।

guest_writer এর ছবি

খুবই গুরুত্ব পূর্ণ একটা বিষয়, বেলজিয়ামে পড়াশোনার সময় স্কুলে হিযাব নিষেধ নিয়ে আইন পাশ হয়, আমি সমর্থন করাতে বাংলাদেশি সমাজের তোপের পড়েছিলাম অথছ খোঁজ নিয়ে জেনেছি আইনটি পাশ হবার সময় কত্রিপক্ষ বিভিন্ন স্কুলে গিলে শিশুদের কাছে জানতে চেয়েছে হিযাব তোমরা নিজে ইচ্ছে করে পর নাকি পরিবারের চাপে? ৮৪ ভাগ উত্তর ছিল পরিবারের চাপে!
একই ভাবে বাংলাদেশে পরিসংখ্যান করেলেও আমি নিশ্চিত বলতে পারি ফলাফল একই হবে!
এবার ভিন্ন প্রসঙ্গ অন্তত ছিনতাই কারিদের উৎপাত কমাতে হলেও বাংলাদেশ হিযাব নিষেধ করা উচিৎ। আমার ছোট মামা বিদেশ থেকে ফেরার পথে দুই ছিনতাই কারি বুরখা পড়ে অতি সুনিপুন ভাবে সর্ব শান্ত করে দিয়েছে দেঁতো হাসি
মাহমুদ

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আমার তো ধারনা ৯৯% এর উত্তর হবে পরিবারের চাপে পড়ে বুর্কা পরে।

পাঠক এর ছবি

১% ও যদি নিজের ইচ্ছায় হিজাব পড়ে তাহলে তাদের প্রতি ভিন্ন মনোভাব পোষন করা বা আইন করে সেটা বন্ধ করে দেয়াটা তো তাদের ইচ্ছা ও অধিকারকে খর্ব করা বুঝায়।

পথভ্রষ্ট পথিক এর ছবি

বাংলাদেশে বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে যদি শিশুদের কাছে জানতে চাওয়া হয় পড়াশুনা তোমরা ইচ্ছা করে কর নাকি পরিবারের চাপে? তাহলে তো আমার বিশ্বাস শতকরা ৯৯.৯৯% বলবে পরিবারের চাপে। তাহলে কি আইন করে পড়াশুনা বন্ধ করে দেয়া উচিত?

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

না। কারন পড়াশোনা অগ্রসর হতে সাহায্য করে। আর হিজাব বা বুর্কা নারীদের পিছিয়ে রাখে।

এই ধরণের সিলি প্রশ্নের কর সময় নষ্ট করার কারন কি নিশ্চিত নই।

সুরঞ্জনা এর ছবি

এটা একটা ভুল তুলনা হলো। এ ধরণের তুলনাগুলো শুনতে ভালো শোনায়, কিন্তু সঠিক হয় না।

পড়াশোনার ভূমিকা আর হিজাব এর ভূমিকা মানুষের জীবনে এক না। আপনি একটা প্রয়োজনীয় সিস্টেমের সাথে একটা আরোপিত সিস্টেমের তুলনা করলেন।

পড়াশোনা জ্ঞান অর্জনের একটা পদ্ধতি। জ্ঞান অর্জন না করলে মানুষ যে মানুষ হিসেবে পরিণত হয় না, পূর্ণাঙ্গতা পায় না সেটা আমরা সবাই বুঝি।
অপরপক্ষে হিজাব করলে মানুষের জ্ঞান-বোধ-বুদ্ধি বিকশিত হয় এমন না। এটা সুরক্ষার একটা পদ্ধতি হিসেবে ধরা যায়। সুরক্ষার পদ্ধতি অনেক রকম হতে পারে।

আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করলে ৯৯.৯% ক্ষেত্রেই সম্ভাবনা আছে নিজেকে রক্ষা করতে পারার। তাই বলে সবাইকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরতে বাধ্য করা বেশি যুক্তিযুক্ত নাকি কেউ কারো ওপর হামলা করবে না, এই মনোভাব সৃষ্টি করা বেশি যুক্তিযুক্ত?

বলাই বাহুল্য আমার অ্যানালজিটাও উপযুক্ত না। এটাও একটা উদাহরণ যে তুলনা শুনতে একই রকম হলেই সঠিক হয় না।

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

পথভ্রষ্ট পথিক এর ছবি

নারীদের পোশাক নিয়ে আলোচনা তাদের উপরেই ছেড়ে দেয়া উচিত। তাদের পোশাকের পছন্দ সম্পূর্ণরূপে তাদের নিজেদের, তখনই সেটা পূর্ণ-স্বাধীনতা। তর্ক বিতর্ক করে হিজাব পরা উচিত কি উচিত না, সেটা স্বাধীনতার পরিপন্থী অথবা পরিচায়ক কিনা, এসব বিচার করা বাহুল্য এবং এধরনের আলোচনা তাদেরই স্বাধীনতাতেই আঘাত করে। আমার উদ্দেশ্য ছিল স্ট্যাটিস্টিক্স বা পরিসংখ্যান এর ভিত্তিতে আলোচনার ভুল তুলে ধরা। অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের কাছে ভাল মন্দের পার্থক্য খুব কমই ধরা পরে। এবং সেক্ষেত্রে পরিবারের কর্তাব্যক্তিদের মনষ্কতার ছাপ তাদের উপরে পরে যা তাদের কাছে ইচ্ছা বিরুদ্ধ মনে হওয়া স্বাভাবিক।

"পড়াশোনার ভূমিকা আর হিজাব এর ভূমিকা মানুষের জীবনে এক না।" আমি কিন্তু উল্লেখ করিনি দুটোর ভূমিকা এক।

"প্রয়োজনীয় সিস্টেমের সাথে একটা আরোপিত সিস্টেমের তুলনা করলেন।" এক্ষেত্রে বিভিন্ন স্কুল কলেজের আরোপিত পোশাক আইনের (Dress Code) এর ব্যাখ্যা আহবান করছি। স্কুলে যেতে হলে নির্দিষ্ট পোশাক (বিভিন্ন স্কুলের আলাদা পোশাক) পরতে হবে বা নির্দিষ্ট কিছু পোশাক (হিজাব) পড়া যাবে না তাহলে এগুলোর অস্তিত্ব থাকা উচিত না।

"আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করলে ৯৯.৯% ক্ষেত্রেই সম্ভাবনা আছে নিজেকে রক্ষা করতে পারার।" আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করলে ৯৯.৯৯% ক্ষেত্রেই নিজেকে রক্ষা করার সম্ভাবনা তখনই যখন আক্রমণকারীর থেকে আপনার আগ্নেয়াস্ত্র উন্নতমানের। হাসি

হিজাব নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে অতি অবধারিতভাবেই উঠে আসে মুসলমান নারীদের কথা। তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে হিজাব নিষিদ্ধ করাকেই সবাই স্বাধীনতার পরিচায়ক মনে করে থাকে। অথচ যখন খ্রিস্টান নান বা কঠোর খ্রিস্টান ধর্মানুসারী কোন মেয়ে হিজাব পরে বাইরে আসে তখন ব্যাপারটা তুলনামূলক-ভাবে অধিক সহনশীল।

হিজাবের সাথে সামাজিক পশ্চাতপদতার যতটা না সম্পর্ক মানুষজন খুঁজে বের করার চেষ্টা করে, ঠিক ততটাই তাদের অনীহা নারীদের মানসিকতার পরিবর্তনের মাধ্যমে তাদের উন্নতির পথ খুঁজে বের করতে। উদাহরণস্বরূপ, যে নারী পশ্চাতপসরিত, সে হিজাব পরলেও তাই, বিকিনি পড়লেও তাই।

অপছন্দনীয় এর ছবি

নারীদের পোশাক নিয়ে আলোচনা তাদের উপরেই ছেড়ে দেয়া উচিত। তাদের পোশাকের পছন্দ সম্পূর্ণরূপে তাদের নিজেদের, তখনই সেটা পূর্ণ-স্বাধীনতা।

সহমত - তবে "আমার ইচ্ছা আমি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করবো" এই কথাটা স্রেফ ভন্ডামি ছাড়া আর কিছু নয়।

যখন কোন প্রথা অন্যের প্রতি অবমাননাকর হয়ে দাঁড়ায় বা অন্যের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় তখন আর সেটা ব্যক্তিগত থাকে না। আপনি যদি আজকে বাংলাদেশী হয়ে পাকিস্তানের পতাকা হাতে নিয়ে ছোটেন তার মানে আপনি তাদের নোংরামির সমর্থক, এবং সেক্ষেত্রে আপনার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর অধিকার আমার আছে - এই ব্যাপারটা আপনার ব্যক্তিগত নয়।

হিজাবের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা তা-ই - ওই জিনিসের প্রচলন মানুষের অধিকারকে পায়ে মাড়ানোর জন্য। আজকে যদি কেউ স্বেচ্ছায়ও সেটা পরেন, তিনি ওই অধিকারকে পায়ে মাড়ানো সমর্থন করছেন। এবং সেটা শুধু নিজের অধিকার নয়, বরং আরো অনেকের অধিকার - সেই কারণেই হিজাবকে আমি ব্যক্তিগত বিষয় হিসেবে দেখতে রাজি নই।

guest_writer এর ছবি

আপনার নিকটা একদম পারফেক্ট!
আর কিছু বলে কাঁটা অলা গাছে পাছা চুল্কানর প্রয়োজন মনে করছিনা!
মাহমুদ

পথভ্রষ্ট পথিক এর ছবি

"আর কিছু বলে কাঁটা অলা গাছে পাছা চুল্কানর প্রয়োজন মনে করছিনা!"
সচলায়তনে এধরনের মন্তব্য আশা করিনি।

আমার বক্তব্য আমি আবারো পরিষ্কা করতে চাই, নারীদের পোশাকের ইচ্ছা বা মনমানসিকতা একান্তই তাদের, এ ব্যাপারে অন্য কারো বিধিনিষেধ নারীদের স্বাধীনতাতেই আঘাত করে।

রায়হান আবীর এর ছবি

হিজাব নিয়ে গত কয়েকবছরে বাঙালি থেকে অত্যাধিক মুসলমান হয়ে ওঠা জাতিটি খুবই উত্তেজিত। নারী ঘটিত সকল সমস্যার সমাধান, মেয়েদের হিজাব পরানো। মেয়েদের দেখলে এইসব অসভ্য মানুষগুলো নিজেকে সামলাতে পারেনাম, তাই এখন মেয়েটাকেই বস্তাবন্দি করতে হবে। অথচ নিজেদের এধরণের পশুপ্রবৃত্তি দমন করাটাই সভ্য হবার লক্ষণ! কেউ কেউ আসলে কখনই সভ্য হবেনা।

ছোটবেলা থেকে কনস্ট্যান্ট ব্রেইন ওয়াশের কারণে অনেক মেয়েরাই প্রচন্ড ভালোবেসে হিজাব পরিধান করে। অনেকেই বাধ্য হয়ে পরে। অনেকে আসলেই সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে ভেবে পড়ে।

সমস্যার এক মস্তভুল সমাধান নিয়ে আজকে সবার লাফানি দেখে খুবই বিরক্তি বোধ করি। ধর্মীয় আফিমে আসক্তি থেকে মুক্ত হলেই কেবল সত্যিকারের সমাধান খুঁজে পাওয়া যেতো। তা সেটা বোধকরি অচিরেই হচ্ছেনা মন খারাপ

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

একজাক্টলি।

শিশিরকণা এর ছবি

দুনিয়ার কোন ছেলে কোন মেয়েকে সমান চোখে দেখে না। কিছু ক্ষেত্রে বড় দেখে , বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছোট। আর মেয়েদেরও দোষ আছে। তারা নিজেরাই নিজেদের ছোট মনে করে। আমার পর্যবেক্ষণ মতে বুরকাওয়ালীরা হচ্ছে অলস। সমান তালে পা ফেলতে হলে যে পরিশ্রম বা চেষ্টা করতে হয় সেটা করার ইচ্ছা নাই বলে বুরকা/ হিজাবের দোহাই দিয়ে আলসেমি করে।

'আল্লাহ যা হেফাজতযোগ্য করে দিয়েছেন তা লোকচক্ষুর অন্তরালে হেফাজত করো' এই টাইপ বানীকে ঐশী ধরে নিয়ে কাম প্রবৃত্তি জাগ্রত করে এমন অঙ্গ কে ঢেকে রাখা যদি ফরজ হয়ে থাকে, তাহলে তো ম্যাথিউ ম্যাক-কনোহির বুরখা পরে জগিং করা উচিত।

আর বুরখা পরলেও যে লাভ হয় তা বলা যাবে না। প্রমান? নেন দেখেন।
http://www.youtube.com/watch?v=fYHMx6mhUQ0

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

দুনিয়ার কোন ছেলে কোন মেয়েকে সমান চোখে দেখে না।

এ ধরণের জেনারেলাইজেশনের উৎস কি?

অপছন্দনীয় এর ছবি

দুনিয়ার কোন ছেলে কোন মেয়েকে সমান চোখে দেখে না।

আপত্তি করলাম!

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

শেষ কথার দ্বিতীয় প্যারায় এই হিজাব বিষয়ক মূল কথাটা মাহবুব তুলে ধরেছেন। এর বাইরে আসলে আর কোনও কথা থাকেনা। আর আরোপিত বিষয় এক পর্য্যায়ে এসে অভ্যাসে পরিনত হয়।

আমি ব্যাক্তিগতভাবে হিজাব পছন্দ করিনা। আমার এবং শ্বশুরবাড়ির পরিবারের নারীরা সকলেই ধার্মিক এবং অনেকেই হজ্ব করে এসেছে। কিন্তু তাদের কেউই কোনও জন্মেও হিজাব পরার প্রয়োজন বোধ করেনি। এতে তাদের মুসলমানিত্ব ম্লান হয়ে যায়নি বা হ্রাস পায়নি। পরকালের পুরষ্কার বা শাস্তি সম্পর্কে তারা অনেকের থেকে বেশি ধারণা রাখে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

পুতুল এর ছবি

পরিবারের প্রথম সাক্ষর ব্যক্তি হিসাবে অনেক গুরু দায়ীত্বের ভেতর সব চেয়ে বড় দায়ীত্ব ছিল ছোটবোনটাকে ক্লাস সিক্সে ভর্তি করা। বলাই বাহুল্য কজটা ছিল সব চেয়ে কঠিনও। মেয়েরা চিঠিপত্র লিখতে পারলেই হয়। যে মেয়ে বিয়ের পরে স্বমীর বাড়ি চলে যাবে তাকে জর্জব্যারিষ্টার বানিয়ে কী লাভ!

আপাতত যেহেতু তার বিয়ের সমুহ সম্ভবনা নেই, তাহলে তাকে স্কুলে পাঠানোই ভাল। শিখুক না আর একটু পড়া লেখা। ক্ষতি কী! যুক্তি ছিল আমার।

সমস্যা হল পোষাক নিয়ে। গ্রামের পাঠশালায় হাফ প্যন্ট আর ফ্রকেই চলতো। বাড়িতে তো ঐ ফ্রক খুলে খালি হাফপ্যন্টেই পরে! এখন সেলোয়ার, কামিজ, ওড়না, আবার একটা স্কার্ফ (হিজাব) ও লাগবে। এত টাকা আমি দিতে পারব না। সাফ কথা বাবার। তাঁর কাছে সত্যিই অত টাকা ছিল না।

সমাজের নীচের দিকে হিজাব একটা আজাব। পড়ার কাপড় যোগার করাই যেখানে কঠিন, সেখানে অতিরিক্ত বাহুল্য হিসাবে হিজাবের আসলে কোন জায়গা নেই। অবশ্য তাদের আব্রু কখনো আলচ্য বিষয় ছিল না। এখন ও নেই।

সমাজের বিশেষ একটা শ্রেনী যখন যেমন তখন তেমন করে চলে। তাদের অবস্থা খুব সুখের এমনটা বলব না। কিন্তু সমাজে তাদের ভূমিকাটা খুব পাত্তা পায়। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে এই সুবিধাবাদী শ্রেনিটি যখন যেমন তখন তেমন করেই চলে।

এখন হিজাব মর্ডান। হিজাব পড়লে যে শ্রেনীটির অনুকম্পা পাওয়া যায়, কোন ক্রমে তাদের ক্ষমতা খর্ব হয়ে অপেক্ষাকৃত উদারপন্থীরা সমাজে প্রভাব বিস্তার করলে দেখা যাবে হিজাব সেকেলে হয়ে গেছে।
স্বাধীনতার পরে তাদের অনেকেই মুজিব কোর্ট পরেছে। ৭৫ এর পর আবার উল্টো। ইসলামী সমাজের বাসিন্দা সেজেছে তারা।

ব্যাপারটা শুরু হয় স্কুল থেকে। নির্ধারিত স্কুল পোষাকের সাথে কোন ব্যাতিক্রম ছাড়া সব স্কুলেই মেয়েদের হিজাবের বিধান রাখা হয়েছে। অভিবাবকদের কোন স্বাধীনতা রাখা হয়নি। আমার স্কুলে পড়লে তোমাকে হিজাব পড়ে আসতেই হবে। আমার বিবেচনায় ব্যপারটা মানবিক অধিকারের পরিপন্থি।

ইউরুপের যারা হিজাব পড়ছে সেটা আমার বিবেচনায় অনেকটাই প্রতিকী। বিশেষ করে মাইগ্রেট পরিবার গুলো বিশেষ করে ভাষাটি ভাল না জানার কারণে সঠিক সময়ে বাচ্চার জন্য ভাল কিণ্ডার গার্টেন স্কুল নির্বানে ব্যার্থ হন। অনেক সময় আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে ইচ্ছে থাকলেও সময় মতো ভাল স্কুলে দিতে পারেন না বাচ্চাকে।

অনেক পরিবারেই ইরোপ আমেরিকার বদলে নিজেদের ফেলে আসা দেশের ভাষাটাই চলে। মাইগ্রেট দেশের মাতৃ ভাষাভাষী বাচ্চাদের সাথে প্রতিযোগিতায় না পেরে কেবল আইনগত ভাবে অষ্টম শ্রেনী পাশ করেই শেষ হয় স্কুলের পালা।

ফ্রান্স, জার্মানের ক্ষমতাশীল দলগুলো ভোটে যেতে মাইগ্রেট পরিবার এবং শিশুদের উপর আরো আরো বুরোক্রেটির বোঝা চাপিয়ে। কোন কিছু নিষেধ না করেও কি করে কিছু কিছু সুবিধা অনেকের নাগালের বাইরে রাখা যায় সেটা একটা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে জর্মানরা।

এই বঞ্চিত শিশুরাই কয়েক ব্ছর আগে ফ্রান্সে, তারপর এই দিন কয়েক আগে ইংল্যাণ্ডে ভাংচুর করে বিশ্ববাসীর নিন্দা কুড়িয়েছে।

বিশেষ করে জার্মানরা হিসাবে খুব পাকা। বার্লিনের একটা বিশেষ মাইগ্রেট অধ্যশিত এলাকায় নিয়মিত ভাংচুড় অগ্নিসংযোগের ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান কয় মিলিয়ন হল তা পাই পয়সা হিসাব করে দেখান। একজন অপরাধীকে একদিন (২৪ ঘন্টা) জেলে রাখতে খরচ হয় ৪৫০ ইউরো! শাস্তি দেতেই এত খরচ! (ইঙ্গিতে বোঝানোর চেষ্টা‍‌, এদের বরং ফেরৎ পাঠানোই ভাল, কিন্তু অপরাধীদের সবাই জর্মান পাসপোর্ট হল্ডার)। অথচ শিক্ষা দিতে মাসেও ৪৫০ ইউরো লাগে না। কিন্তু বিদেশীদের জার্মানদের সমান বা আপাত দৃষ্টিতে তার চেয়ে বেশী শিক্ষা দিক্ষায় উৎসাহিত করলে আখেরে জার্মানদেরই লাভ। এই যুবক তরুণদের অনেক কিছুই দেয়ার ছিল জর্মান দেশ এবং জাতিকে। এখন উল্টো র্জমানরা এদের পেছনে খর‌চ করছে সাজা দিতে। প্রোয়জনীয় যোগ্যতার অভাবে যারা কাজ পাচ্ছেনা তাদের বেকার ভাতা দিতে হচ্ছে।

বঞ্চনার শিকার হতে হতে ওরা নিজেদেরকে আর জার্মান বা ফরাসী সমাজের অংশ ভাবে না। যার ফলে এক্সট্রিম নাশকতার দিকে এগুয়। হিজাব তো একটা সাংঘাতিক সাধারণ প্রটেষ্টা। এদের অনেকে আফগানিস্তানেও গিয়েছে, তালেবান হতে।

ধারেণা করা হচ্ছে ২০৭০ সালে জার্মান জনসংখ্যা আজকের পর্যায়ে রাখতে আশি পার্শেন্ট মানুষ অন্যদেশ থেকে আমদানী করতে হবে। তবুও এই দেশ সরকারী ভাবে এখনো স্বীকারই করতে চায় না যে এদের মাইগ্রেট মানুষের প্রয়োজন আছে। বিভিন্ন কৌশলে স্বাস্থসেবা এবং হাইটেক ইন্ডাষ্ট্রিতে কিছু বিদেশী নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। তাও এত বুরোক্রেটি যে ছোট কম্পানীগুলো সাহসই করে না, কোন বিদেশীকে নিয়োগ দিতে।

এত কথা বললাম এই কারণে যে, ইউরোপের হিজাব ঠিক ধর্মীয় উম্মাদনা নয়, সেটা বোঝাতে।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

কৌস্তুভ এর ছবি

জার্মানিতে কি তাহলে জার্মান পাসপোর্ট হোল্ডার হলেও ইমিগ্র্যান্টদের সন্তানদের শিক্ষাব্যবস্থার সুযোগ দেওয়া হয় না? কীভাবে? তাদের উপর ঠিক কী রকম ব্যুরোক্রাসির বোঝা চাপানো হয়? বিস্তারিত জানতে চাই, কিছু লিঙ্ক দিন প্লিজ।

ইংল্যান্ডে তো জানি কেবল মাইগ্র্যান্টরা নয়, ব্রিটিশ সাদাচামড়ার লোকজনেরও ভাংচুরে ভূমিকা ছিল প্রচুর। "দা হোয়াইটস হ্যাভ বিকাম দা নিউ ব্ল্যাক' কথাটা তো সেই থেকেই বলা।

আমি যা পড়েছি-দেখেছি, তাতে মনে হয়েছে, প্রথম জেনারেশনের যাঁরা সরাসরি মাইগ্র্যান্ট লোকজন, তাঁরা নিজেদের সংস্কৃতি-ধর্মকে খুব কঠোর ভাবে আঁকড়ে ধরতে চান। তাই সে দেশের পাবলিক স্কুলগুলোয় দেওয়ার সুযোগ থাকলেও - ভারত, ইংল্যান্ডের মত বহু দেশে সরকারি স্কুল প্রায় ফ্রি, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের লোকেদের জন্য - তাঁরা নিজেদের দেশীয় স্কুলগুলোতে, যা প্রায় সবসময়েই ধর্মীয়, তাঁদের ছেলেপিলেদের ভর্তি করান। অতএব তারাও সেই দেশের প্রচলিত ভাষাটা কমই শেখে। বাবা-মা'র সেই দেশের ভাষায় সমস্যা ছিল, তাঁদের সন্তানদেরও তাই-ই করা হল, এইভাবেই ভিশাস সাইকেলটা চলতে থাকে। কারণ দেশে থাকতে তারা সমাজের সবার সঙ্গেই মিলেমিশে ছিল, এখানে একটা ছোট এথনিক গোষ্ঠীতে ক্লয়স্টারড হয়ে রইল।
তবে আমার ধারণা ভুলও হতে পারে। তাই আপনার কাছে রেফারেন্স চাইছি।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আপনি অনেক ব্রডার একটা বিষয় তুলে এনেছেন। ইউরোপে অভিবাসীদের সামাজিক ইন্টিগ্রেশন সমস্যাটা ভালোভাবে এসেছে আপনার মন্তব্যে। সাধারণভাবে এই সমস্যাটার একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হোলো অভিবাসীদের সামাজিক ইন্টিগ্রেশনে স্টেইটের কোনো ভূমিকা নেই। তাই এই বিশাল জনগোষ্ঠী সমাজের একটা অংশ না হয়ে নিজেদের একটা কোকুনের মধ্যে বাস করে। বেশী করে আঁকড়ে ধরে তাদের নেটিভ কালচার এবং ধর্ম।

যেহেতু এই বিষয়ের উপর এই লেখাটি নয় তাই আপাতত বিস্তারিত আলোচনা করলাম না। পরে কোনো একসময় আলোচনাটা করা যেতে পারে।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

সবার মন্তব্য পড়ার সময় নাই। কাল পড়ব। আজকে নিজের মন্তব্যটা জানিয়ে যাই,

আমি আমার আশেপাশে মুখঢাকা লোক দেখতে নারাজ। কেউ যদি বোরখা পরে এসে আমার পেটে ঘুষি দিয়ে দৌড়ে আরো তিনটা বোরখা পরা লোকের মাঝে মিশে যায়! আমি সেই ভয় পাই! স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সামাজিক মিথস্ক্রিয়ায় যে নিজের চেহারা/পরিচয় লুকাতে চায় তাকে আমি বদ মানষিকতার লোক বলে সন্দেহের চোখে দেখব। এবং নিজের নিরাপত্তার স্বার্থেই তাকে মুখ/চেহারা/পরিচিতি খোলা রাখতে বাধ্য করতে চেষ্টা করব।

এমনিতে কেউ হাফপ্যান্ট পরে আছে নাকি ফুলপ্যান্ট পরে আছে নাকি কিছু পরে নাই তাতে আমার কোনো মাথাব্যথা নাই। যার যা মন চায় পরুক। না চাইলে না পরুক। তবে অবশ্যই কেউ কাউকে ব্যক্তিগত/পারিবারিক/সামাজিক/ধর্মীয়/আধ্যাত্মিক/অলোকিক/কথ্য/অকথ্য সকল রকম চিন্তা করা যায় অথবা চিন্তা করা যায়না এমন কোনো কারণেই কোনোকিছু পরতে অথবা না পরতে বাধ্য করতে/চাপ দিতে/প্রভাবিত করতে পারেনা।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

কৌস্তুভ এর ছবি

দারুণ প্রবন্ধ। "হিজাব স্বাধীনতার সমার্থক নয়" অংশটার পয়েন্টগুলো বিশেষ করে।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ধন্যবাদ।

পাঠক এর ছবি

হিজাব পরাধীনতার সমার্থক

পাঠক এর ছবি

আমার বউ বোরখা পরে, কথা শুনে না। এত কই এট্টু মরডান হ, বুঝে না, ওবুঝ, কি যে করি। টান দিয়া ছিরা ফেল্ব নাকি?? লাভ হবে?? কি করা যায় ? এট্টূ বুদ্ধি দেন।http://www.sachalayatan.com/node/40927?nocache=1#

সজল এর ছবি

আপনার টোনে বুঝা যাচ্ছে, আপনার বউ "মরডান" না হতে চাওয়ায় আপনার গর্বের সীমা নেই। এই ছোট ছোট গর্ব, না পড়লে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কনটেম্পট, পরকালের নানান লোভ আর ভয় অনেক নারীকেই "স্বেচ্ছায়" বোরখা পড়তে অনুপ্রাণিত করে।
বোরখা ছিঁড়বেন কেন, কাঁটাবনের মোড়ের অ্যারাবিয়ান বোরখা ঘর থেকে ছহি আরবী বোরখা কিনে গিফট করুন।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

অপছন্দনীয় এর ছবি

এবং এই মন্তব্যগুলো সবসময় "পাঠক" এর কাছ থেকে আসে হাসি

নজমুল আলবাব এর ছবি

দেঁতো হাসি
হ, পাঠক এই টাইপ মন্তব্য করতেই আসে। আরেকটা চরিত্র আছে। আমি অনেককাল ধরেই তারে দেখছি। আপনিও দেখে থাকবেন। তার নাম হলো প্রমুখ, সে আওয়ামী লীগ, বিএনপি-জামাত সবার মিটিং এ যায় এবং বক্তব্য রাখে। পত্রিকায় দেখবেন বক্তাদের নামের তালিকার শেষ নামটা হলো এই প্রমুখ এর।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হা হা হা...

pathok (sam) এর ছবি

হাহাহাহা হা

লেখা আর মন্তব্য অনেক শিক্ষণীয় - ভাল লাগল

অপছন্দনীয় এর ছবি

দেঁতো হাসি

সজল এর ছবি

ঢাকা থেকে বাসে করে নিজের শহরে যাওয়ার পথে প্রায়ই বাধ্যতামূলক ভাবে নানা ওয়াজ শুনতে হতো, বিরক্তি কমানোর জন্য সেখান থেকে কাহিনী জানায় মন দিতাম। এমনি এক ওয়াজে শেষ নবীর মেয়ে ফাতিমার অভুক্ত অবস্থায় নবীর ঘরে ছুটে আসার পর, প্রথমেই পথে দৌঁড়ে আসার সময় ছেঁড়াফাটা বোরখার সুযোগে ফাতিমার শরীরের কোন অংশ বাইরের লোক দেখতে পেলো কিনা নিয়ে নবীর উৎকণ্ঠিত প্রশ্ন, দেখা গেলে নানা ধর্মীয় হুমকী সম্পর্কে শুনলাম। বলাই বাহুল্য, কোন রেফারেন্স দিতে পারছি না, ভুল হলে দুঃখিত। যদি এরকম কথা সত্য হয়, তাহলে ইসলামের প্রচলনের শুরু থেকেই বোরখা প্রথা চলে আসছে।

বোরখা যারা "স্বেচ্ছায়" পড়েন তাদের মাঝে যারা ধর্মীয় ভয় আর পুরস্কার, আশেপাশের মানুষের নীরব ভর্ৎসনা অথবা প্রশংসার জন্য পড়ে থাকেন, তাদের ক্ষেত্রে "স্বেচ্ছায়" শব্দ ব্যবহার করাটা একটা হিপোক্রেসি। তারপরও ব্যবহারিক সংজ্ঞায় কেউ যদি পারিপার্শ্বিক চাপ তুলে নেয়ার পরেও "স্বেচ্ছায়" বোরখা পড়তে চান, তাকে পড়তে দেয়াই উচিত, সিকিউরিটি প্রশ্নবিদ্ধ হয় এমন জায়গা বাদে।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

অপছন্দনীয় এর ছবি

বোরখা যারা "স্বেচ্ছায়" পড়েন তাদের মাঝে যারা ধর্মীয় ভয় আর পুরস্কার, আশেপাশের মানুষের নীরব ভর্ৎসনা অথবা প্রশংসার জন্য পড়ে থাকেন, তাদের ক্ষেত্রে "স্বেচ্ছায়" শব্দ ব্যবহার করাটা একটা হিপোক্রেসি।

এ পর্যন্ত স্বেচ্ছায় বোরখা পরাদের মধ্যে ওই হিপোক্রিট ছাড়া আর কাউকে পাইনি - আছে কিনা সন্দেহ আছে আমার।

কালো কাক এর ছবি

আরবের আবহাওয়ার কারণে মোটা বড় আচ্ছাদন নারীপুরুষ সবাই ব্যবহার করতেন। ঐ পোষাককেই এখন বোরখা বলে চালিয়ে দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে ছেলেদেরও মুখঢাকা পাগরির লেজ থাকা উচিত।

দিফিও-1 এর ছবি

চমৎকার লেখা, মোটামুটি একমত আপনার সব ভাবনার সাথেই। হিজাব নিয়ে বর্তমানের এই টানা-হ্যাঁচড়াটা খুব-সম্ভবত আরো বড় কোনো যুদ্ধের অংশমাত্র।

প্রথম বিশ্বের দেশগুলোয় "ইমিগ্রেশন/অভিবাসন" এখন একটা ক্রমবর্ধমান বাস্তবতা, আর গণ-অভিবাসনের ফলে তৈরী হওয়া সাংস্কৃতিক আর অর্থনৈতিক সংঘর্ষটাও "হিজাব-যুদ্ধের" বড় একটা কারণ, অন্তত ইউরোপে তো বটেই। ভবিষ্যতে এই সংঘর্ষ আরো বাড়ার কথা। এটা নিয়ে আরেকটু আলোচনা করা যেতে পারে।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

এখানে আমাদের দেশের নারীরা কী কারণে সাধারণত বোরখা বা হিজার পড়ে থাকেন তার অনেক গুলো কারণ তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও আরো কিছু কারণ আমার চোখে পড়েছে---
# বার বার ঘরের পোশাক পালটে বাইরে যাবার ঝামেলা থেকে রেহাই পেতে বোরখা বা হিজাব ব্যবহার করে কেউ কেউ। উপরে সুন্দর একটা হিজাব বা বোরখা, ভেতরে থাকুক না সদরঘাট!
# অনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা। ছিনতাইকারী, যৌনকর্মী, মৌলবাদী জংগী এরাও তাদের কাজ পরিচালনার জন্য এই পর্দার ভেতরে চলে যান।
# অনেক স্টাইলিশ মহিলা আছেন (আমার নিজের চোখে দেখা), যাদের সব রকম ফ্যাশন করা শেষ। বাকি রইল শুধু হিজাব বা বোরখা। তাদের দেখা যায় নানা রকম স্টাইলিশ বোরখা ব্যবহার করতে। এরকম কিছু উদাহরণ আপনার লেখার সাথে সংযুক্ত ছবির সাথে দেখতে পাচ্ছি।

খুবই ভাল লাগলো লেখাটা। অনেক তথ্য সমৃদ্ধ। হুম, হিজাব বা বোরখা নারী পড়বে কি পড়বে না, তা সব সময়ই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পুরুষ চাপিয়ে দিয়েছে। তবে যেটা বিষয়টা আমার সব সময়-ই খারাপ লাগে সেটা এবারও ঘটল। এত সুন্দর একটা লেখা একজন পুরুষ-ই (যদিও একজন লেখক শুধুই একজন লেখক, নারী-পুরুষ নয়) লিখলেন!

শ্রদ্ধা

অপছন্দনীয় এর ছবি

অনেক স্টাইলিশ মহিলা আছেন (আমার নিজের চোখে দেখা), যাদের সব রকম ফ্যাশন করা শেষ। বাকি রইল শুধু হিজাব বা বোরখা।

হো হো হো

সুরঞ্জনা এর ছবি

হাসি

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

অধমের কথা এর ছবি

ইসলাম প্রচারের শুরুর দিকে হিজাবের প্রচলন তেমন ছিলোনা

কিন্তু এতদিন ত যা শুনেছি তাত উল্টাই, মানে ছিল কিনা তা না, কোরআন আর হাদিসের রেফারেন্স আর মোল্লাদের বয়ান থেকে যতদূর জেনেছি, সেই নবীর আমল থেকাই মহিলাদের বাক্সবন্দীর নিয়ম বেশ ভালোভাবেই ছিল। আর পড়তে গেলেও ভিড়মি খাই, কোনডা ঠিক আর কোনট বেঠিক বুঝিনা। এত হাদিস, এত হিস্টরি এর মাঝে হারাইয়া যাই। জাকির নায়েক কয় "মুখ দেখাও ক্ষতি নাই" আর সাইদী কয় "মুখ দেখাইলে সব্বনাশ হয়ে যাইব" পারলে কেউ একটু জানান ত অধমকে আসল ঘটনা টা কি?? পারলে কিছু লিঙ্ক আশা করছি( নবির আমলে হিজাবের ইতিহাস আর সাইদী বনাম জাকির নায়েক নিয়া)

খুব ভালো পোস্ট, চলুক... উত্তম জাঝা!

............অধম

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আমার তথ্যের উৎস দেয়া আছে। আমার ধারণা ভুল প্রমানিত হলে বরং খুশীই হবো। আপনার তথ্যের রেফারেন্স যোগ করলে অসংখ্য ধন্যবাদ থাকবে আমার।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আবার উৎস! এ তো ভাই অভিজ্ঞতা আর পর্বেক্ষণের কথা বললাম! রেফারেন্স যদি বলেন তবে সেটা আমিই।

বন্দনা এর ছবি

লিখাটা খুবই চমৎকার লেগেছে, অসাধারনভাবে বিশ্লেষন করেছেন।
একটা ব্যাপারে একটু বলতে চাই।

"এ ব্যাপারে ফ্রান্সের মতো এক্সট্রিম পদক্ষেপ নিয়ে বুর্কা নিষিদ্ধ করাটা বাড়াবাড়ি। "

আমার মনে হয়েছে সৌদি আরব এবং ইরানের মত ইসলামীক দেশগুলো তাদের দেশে প্রবেশের সময় বিদেশী অমুসলিম নারীদেরকে হিজাব করতে বাধ্য করে আগেই তাদের এক্সট্রিম মনোভাব প্রদর্শন করে ফেলেছে। এবং এ জাতীয় মনোভাব ও পরবর্তীতে হিজাবকে নিষিদ্ধ করার ইন্ধন যুগিয়েছে। যেটা এখন ইউরোপের অনেক দেশ ই অনুসরন করছে।

অপছন্দনীয় এর ছবি

আমার মনে হয়েছে সৌদি আরব এবং ইরানের মত ইসলামীক দেশগুলো তাদের দেশে প্রবেশের সময় বিদেশী অমুসলিম নারীদেরকে হিজাব করতে বাধ্য করে আগেই তাদের এক্সট্রিম মনোভাব প্রদর্শন করে ফেলেছে। এবং এ জাতীয় মনোভাব ও পরবর্তীতে হিজাবকে নিষিদ্ধ করার ইন্ধন যুগিয়েছে।

সহমত। তবে ফ্রান্স হিজাব নিষিদ্ধ করেনি - সকল প্রকার ধর্মীয় চিহ্ন নিষিদ্ধ করেছে।

জনি এর ছবি

বুর্খা নারীর জন্য অপমান, তার মানসিকতাকে অর্ন্তমুখি করে রাখে। পশ্চিমের ওরা ব্রা পেন্টি পরে সমুদ্র বীচে ঘুরে স্বাধীনতা ভোগ করতে পারলে এদেশের মেয়েরা পারবেনা কেন। তাদের মেয়েরা ৮/১০ জনের সাথে শুয়ে একজনকে বিয়ে করতে পারলে আমরা পারবনা কেন। সৌন্দর্য ঢাকবে কেন? তা প্রকাশ পাক। বিবস্ত্র হওয়াতে স্বাধীনতা, প্রগতিশীলতা, উদারতা, এগিয়ে যাওয়া, সুতরাং খোল বোরখা, জীবনকে ভোগ কর। নারী, পশ্চিমের নারীরা সর্ট ড্রেস পরে স্বাধীন, এগিয়ে গিয়েছে অনেক। তাদের পুরুষরা কিন্তু সর্ট ড্রেস পরে না। বোরখা মন থেকে পরলে আপনি কনজার্বেটিভ। আপনি পিট খোলা ব্লাউজ পরুন, হাতা কাটা ব্লাউজ পরুন, বুক টাইট করে প্রদর্শ করুন, হিপ পেট প্রদর্শন করুন। পুরুষরা দেখতে দেখতে গা সয়ে গেলে এরপর ব্রা পেন্টি পরুন, এর পরও যদি স্বাধীনতা না আসে, নুড হারবালের মত পুরো বিবস্ত্র হোন ওটাই সন্মানের। আমরা পুরুষরা কিন্তু ঠিকই ডেকে ঢুকেই চলব। আর আমাদেরও যদি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হয় তবে আমরাও খুলে ফেলব। *** যে যে বিষয় স্টাডি করে সে সেই বিষয় জানে ভাল। কুরআন হাদিস পড়া লাগে না। একটা পড়লেই হল। ওটা পড়লে কনজার্বেটিভ হয়ে যাবেন। আতেল হোন জীবনকে উপভোগ করুন। আমার জানা নাই কোন ধর্ম গ্রন্থ বে-পর্দা হওয়ার কথা বলে কিনা। যখন, যার যার উপাসনা লয় মেয়েরা যায় তখন তো দেখি অহেতুক ঢেকে ঢুকে যায়। বুর্খা পরলে গবেষনা করা যায় না, বই পড়া যায়না, বিজ্ঞান অনুধাবন করা যায় না। গান শুনা যায় না। এক কথায় সব শেষ। মুসলিম নারী ওটা খোল তবে সব অটো মাথায় ঢুকে যাবে। বিবস্ত্র হও এটা তোমার জন্য অপমান নয় সন্মান। প্রভুরা বলেছে শীঘ্র খুলে ফেল। তুমি কোন দিন মরবেনা। তুমি অমর। তোমার বা আমার কোন বিচার হবে না। ও গুলো মিথ্যা। *** মুখ ঢাকার পক্ষে নই আমি, তবে শরীর ঢাকার পক্ষে। অবশ্যই নারী পুরুষ সবার জন্য তার ইজ্জতের হেফাজত করতে হবে নিজস্ব বোধ থেকে, আইন করে বুর্খা খোলার পিছনে একটাই উদ্দেশ্য, এবং তা পশ্চিমাদের একটা চক্রান্ত ***** আমি আমার বোধ থেকে দু শব্দ লিখলাম তবে আমার সাথে একমত হবার কোন আহ্বানই আমি করছি না। আমি ব্যক্তিগত ভাবে কোন বিশেষ দলের ভাবধারা বহন করিনা।

কৌস্তুভ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এই উজবুকের মন্তব্য ছাড়ছে কেডায়?

নজমুল আলবাব এর ছবি

হয়নাই, বলতে হবে- কোন উজবুকে এই উজবুকের মন্তব্য ছাড়লোরে???!!!

নজমুল আলবাব এর ছবি

বোরখা না পিন্দা আর নেংটা থাকা দুই বিষয়। এই দুইটার মাঝখানেও পোষাক আশাক আছে, এটা আপনারে দুনিয়ার কেউ বুঝাতে পারবে না। আমি নিশ্চিত।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

বোরখা না পিন্দা আর নেংটা থাকা দুই বিষয়। এই দুইটার মাঝখানেও পোষাক আশাক আছে, এটা আপনারে দুনিয়ার কেউ বুঝাতে পারবে না। আমি নিশ্চিত।

চলুক

চরম উদাস এর ছবি

কস্কি মমিন!

কল্যাণF এর ছবি

ধইরা ঠুয়া দিয়া দিমু...

দ্রোহী এর ছবি

আরি খাইছে!! এই মাস্টারপিস চোখ এড়ালো কীভাবে!!

যুমার এর ছবি

৩৩ নং কমেন্টের(রাজকন্যার) সাথে সহমত।এছাড়া ইদানীং অনেক বোরকাওয়ালীদের বিভিন্ন ঝোঁপে-ঝাড়ে প্রেম করতে দেখা যায়।একবার এক বাসে একজন হিজাবওয়ালীকে সবার সামনে তাবৎ ফেসিয়াল সাজগোজ,চুল আঁচড়ানো শেষে মুখের হুড লাগাতে দেখে অবাক হয়েছিলাম।
লেখাটা অবশ্যই প্রশংসার দাবীদার।লেখকের পর্যবেক্ষণ এবং ব্যাখ্যা খুবই ভালো লেগেছে।
নিজেদের আত্ন-উপলব্ধি ও যুক্তিগ্রাহ্যতাই নারীদের এ ধরণের মানসিক ও পুরুষতান্ত্রিক দাসত্ব থেকে মুক্তি দিতে পারে।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ধন‌্যবাদ।

অরফিয়াস এর ছবি

কোনো নারী যদি হিজাবে সাচ্ছন্দ বোধ করে তাহলে কোনো প্রশ্ন নেই, কিন্তু সমাজ কর্তৃক ধর্মের নামে জবরদস্তি একটা মানসিকতা তৈরী করে দাওয়াটা মেনে নাওয়া যায়না, আর পুরুষের দৃষ্টি থেকে বাঁচতে নারীকেই কেন ব্যাবস্থা নিতে হবে, পুরুষেরও সেরকম দৃষ্টি ঢাকার ব্যাবস্থা থাকা উচিত, নারীর ব্যাক্তিস্বাধীনতা কতটা নাজুক তা এই উন্নত বিশ্বেও দেখা যায়....

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

বন্দনা কবীর এর ছবি

মেয়েরা হিজাব পরবে কি পরবেনা এই বিষয়ে একটা ডিবেট আয়োজন করা যেতে পারে। এবং তাতে অবশ্যই কেবল মেয়েরাই অংশ গ্রহন করবে। তখনই বোঝা যাবে মেয়েরা আসলে কি কি কারনে হিজাব ব্যাবহার করে বা করেনা।

বেশ কিছুদিন আগে আমি নিজে কিছু হিজাবি মেয়েদের ইন্টারভিউ করেছিলাম। সেখানে বেশ বড় % মেয়েরাই নিজেকে লুকোতে (পরিচয় গোপন করা অর্থে) হিজাব পরে জানিয়েছে। বিউটি পার্লারে কাজ করে এমন কিছু বাঙ্গালি মেয়েকে প্রশ্ন করে জেনেছি, তারা রাতের বেলায় চলাফেরার সুবিধার জন্য আর পার্লারে যে পোষাক দেওয়া হয় (সাধারনতঃ শার্ট-প্যান্ট) সেই সব পোষাকগুলোকে খুলে অন্য পোষাক পরে যাওয়ার সময় বাঁচাতে পরিধানের উপরে বোর্কা চাপিয়েই বেরিয়ে যায় কর্মক্ষেত্র থেকে। এতে করে তাদের দুটি ফায়দা হয়, বোর্কা পরিহিত মেয়ে বলে পুরুষের কাছ থেকে তুলনামুলক সম্মান(!) পায় আর রাস্তায় নির্বিঘ্নে চলা যায়। একটু বেশি এগিয়ে গিয়েই তাদের প্রশ্ন করেছিলাম, বোর্কাটা কিসের জন্য পরেন? ধর্মিয় কারনে নাকি ফ্যামিলির প্রেশারে? অনেক মেয়েই হেসে জবাব দিয়েছিল, কোনোটাই নয়। বোর্কা পরে লোকের চোখকে যত সহজে ফাঁকি দেওয়া যায় ততটা অন্য কোনো উপায়ে সহজ হয় না।
এই কারনেই ডিবেটের কথাটি বললাম। হিজাব পরার কারন হিসেবে মেয়েদের প্রকৃত চিন্তাটা জানার পর একজন মেয়ে হয়েও তব্দা খেয়েছিলাম। তারপর থেকে হিজাব পরা না পরার বিতর্কে আগ্রহ নষ্ট হয়ে গেছে।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

একমত! পোশাকটা যেহেতু নারীদের তারাই ঠিক করুক না, কী পড়বে। যখন দেখি পুরুষেরা নারীদের কেন পর্দা করতে হবে বা বোরখা পরতে হবে জাতীয় পোস্ট দেয়, মেজাজটা এত্ত খারাপ হয়। ঠিক তেমনি খারাপ হয়, বোরখার বিপক্ষে কোন পুরুষের লেখা দেখলে। কেন না, লেখাগুলোতে তাদের পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবটাই শেষ পর্যন্ত উঠে আসে। তবে আজকের এই লেখাটি সেদিক দিয়ে ব্যতিক্রম। বিশেষ করে শেষ প্যারাটি!

মাহবুব  এর ছবি

১. হিজাবের সমর্থক পুরুষদের সমস্যা হচ্ছে তারা ধর্মে পুরুষদের দৃষ্টি ও আচরণ সংযত করা র যে সব বিধি নিষেধ বলা হয়েছে : সেইগুলা খুজেই পান না জানা আর মানা ত পরের কথা ( প্রথম বাংলা ব্লগ টির ইভ টিজিং রোধে পর্দার গুরুত্ব বিষয়ক পোস্টের সংখ্যা বিশ্ব কোষের পাতার সমান হবে । )

Namhin Gotrohin এর ছবি

I think there are some misconceptions about the banning of hijab in France. First of all, what was banned was the conspicuous display of religious symbolism in the public place; which means not only hijab, but also crucifix and the Jewish skull-cap were banned as well. So the Muslim attire was not being singled out.

Secondly, one has to keep in mind the history of the French Republic. One of the outcomes of the French Revolution was a rigid separation of the secular (state) from the divine (church) in public life. A founding ideal of the Republic is Equality. When a person decides to distinguish himself/herself by donning a particular dress with clear religious underpinning (especially in a secular setting), that action is a direct violation of one of the founding principles of the country. We should also remember that the French ban applies to dress code in public and secular contexts. A person is allowed to wear a religiously sanctioned dress when (s)he enters a place of worship. Similarly, one has perfect freedom to wear anything in private, behind closed doors. These rights are guaranteed by the French constitution. These are my two cents.

PS: Personally speaking, here are my main objections to the practice of hijab/niqab/burkha:

1. While modesty is required of Muslim men and women and men are asked to "lower their gazes", there is no injunction to hide the hair, and the verses on coverings have different interpretations. The Prophet's wives were veiled to stop harassers and supplicants. Saudis use big money to push their fanatically anti-woman Islam in this country. Each niqab is one more win in that assault on hearts and minds.

2. Iranian, Afghan, Saudi and other Muslim women are beaten and tortured for the smallest sartorial transgression. European Muslims donning the niqab are giving succour to the oppressors in those countries.

3. They say it stops molestation and is a mark of respect. Oh yeah? So tell me why there are appalling levels of rape and violence in Muslim lands. And by implication do we, European women who don't cover, therefore deserve molestation?

4. It is a form of female apartheid, of selected segregation tacitly saying non-veiled women are pollutants. There is such a thing as society and we connect with our faces. A veiled female withholds herself from that contact and reads our faces, thus gaining power over the rest of us.

5. "Choice" cannot be the only consideration. And anyway, there is no evidence that all the women are making rational, independent decisions. As with forced marriages, they can't refuse. Some are blackmailed and others obey because they are too scared to say what they really want. Some are convinced they will go to hell if they show themselves. Some bloody choice.

6. It sexualises girls and women in the same way as "erotic" garb does and is just as obscene.

7. When a woman is fully shrouded, how do we know if she is a victim of domestic violence?

8. God gave women femininity and individuality. Why should we bury those gifts? How grotesque to ask a women to parcel herself up and be opened up by only her husband.

9. What an insult this is to Muslim men – the accusation that they will jump any woman not protected with a cloth. Are we to assume that sexuality snakes around every male-female contact, even between a surgeon and patient, bank clerk and customer, teacher and pupil?

10. When on hajj in Mecca, men and unveiled women pray together. The Saudis want to change that.

11. The niqab is pre-Islamic, was worn byupper-class Byzantine women to keep away from riff-raff.

12. Muslim women in the 1920s and 1930s threw off these garments to claim freedom – my mother's generation. Their struggles are dishonoured by brainwashed females.

13. Veil supporters say they are going back to the original Islamic texts and lives. But they don't ride camels, and have mobile phones and computers. So they can embrace modernity but refuse to on this.

14. These women who fight for their rights to veil do not fight for the rights of those of us who won't.

15. They say it is free will, but in three private Muslim schools in Britain, girls have to wear niqab and are punished for not obeying. The same is true in many families and communities.

16. Most importantly, all these cloth casings accept that females are dangerous and evil, that their presence only creates inner and outer havoc in men and public spaces. All religions believe that to some extent. Humanists must fight these prejudices.

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ফ্রান্সের ব্যাপারটা ডিটেইলে বলার জন্য ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যটা সুচিন্তিত এবং বিস্তারিত। এজন্যও অসংখ্য ধন্যবাদ। কিন্তু ইংরেজীতে বলে হয়ত অনেকে পড়েনি বা জবাব দেয়নি। ভবিষ্যতে যদি বাংলায় মন্তব্য করেন তাহলে অনেক পাঠক অংশগ্রহণ করতে পারবে।

nupurkanti এর ছবি

লেখাটা ভীষণ প্রাসংগিক মনে হলো।
ধর্মগ্রন্থসমূহের এই যে দোহাই পাড়া হয়, সেসবে উল্লিখিত "বাণী"সমূহকে সাক্ষী মেনে তর্কটা শুরু করা হলে তো আর বলার কিছু থাকেনা।মোটাদাগে, নারী কি খাবে বা পরবে তা সমাজ নির্ধারণ করবে এটাই আসল কথা (তা বোর্খা হোক কি বিকিনি)।কে কবে জানতে চেয়েছে, নারীর ইচ্ছা বা অনিচ্ছার কথা?
এবং নানানভাবে এই চাপিয়ে দেয়াটাকেই মেনে নিয়েছে মেয়েরা যুগযুগ ধরে। কলকাতায় দেখেছি ট্রেনস্টেশনে শ্বশুর-শাশুড়িকে বিদায় জানিয়েই মহিলা ট্রেনেই বেশ শাড়ি পাল্টে জিন্স টিশার্ট পরে নিলেন। এখানে আলাদা করে মহিলাটির কাছে তাঁর মতামত জানতে চাইলে তিনি হয়তো কোন একটি নির্দিষ্ট পোষাককে বেছে নিতে পারবেননা, স্বস্তি (বা শান্তি)-র জন্য তাঁর পোষাক নির্বাচন বিভিন্ন হবে।অন্যদিকে আবাল্য হিজাব পড়ে বড় হওয়া কাউকে চট করে হিজাব পরতে মানা করলে সেটি তার জন্যে অবমাননার হতে পারে, এটা খুব সহজ কথা।ধর্মীয় বিধানকে যে বিনাপ্রশ্নে মেনে নিয়েছে তার নিজের চারপাশে এমন অধিকার/স্বস্তি/ধার্মিকতার নানান দেয়াল খাড়া করে দাঁড়িয়ে থাকলে কি করা যেতে পারে জানিনা।
এধরণের আলোচনা যত হয় মঙ্গল।আমাদের সমাজে নারী তার সিদ্ধান্ত নিজেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কোন প্রকার চাপ ছাড়াই- এমনদিনের প্রতীক্ষায় রইলাম।

অপছন্দনীয় এর ছবি

এ ধরনের পোস্টের মন্তব্যে কিছু মন্তব্যকারীর সবচেয়ে বিরক্তিকর দিকটি হচ্ছে তাঁদের মন্তব্য পড়লে মনে হয় হিজাবের বিরোধীতা যাঁরা করছেন তাঁরা পাবলিক ন্যুডিটি প্রমোট করছেন। হিজাব আর ন্যুডিটির মাঝখানে আরো অনেক কিছু আছে, এই সামান্য জিনিসটা বোঝার মত ক্ষমতা যাঁদের নেই তাঁরা কেন নিজেদের মূল্যবান(!) সময় নষ্ট করে এখানে মন্তব্য করতে আসেন কে জানে!

তারাপ কোয়াস এর ছবি

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক ভণ্ডামী হিজাবকে প্রমোট করতে যুক্ত হয়েছে। মোটা দাগে রাষ্ট্র নিজে বিশেষ এক ধর্মের প্রতি আস্থা এনেছে/আনা হয়েছে সুতরাং এর সুযোগ ধর্মব্যবসায়ীরা হাতছাড়া করবে না তা বলাই বাহুল্য।


love the life you live. live the life you love.

প্রজন্ম৮৬ এর ছবি

ভয়াবহ আলোচনা। হিজাব পরা নারী দেশের জনগণকে ঘুষি দিয়ে পালিয়ে যাবে, হিজাব পরে বোমাবাজী করবে, হিজাব পরে হেন তেন করবে বলে হিজাবের বিরোধীতা করছেন।

মন্তব‌্যে কেউ কেউ এবং মূল পোস্টেও বলছেন, হিজাব সেক্সুয়াল এ্যাসল্ট ‌থেকে রক্ষা করে না।

এটা ভুল, আপনারা ফ‌্যাক্ট হাজির করুন। বাংলাদেশে বা সারা বিশ্বে কয়জন হিজাবধারী নারী টিজিং বা ফিজিক্যাল এসল্টের শিকার হয়েছে? যারা বলছেন হিজাবের কারনে পরিস্থিতি ভাল না হবার প্রমান তাদের প্রতি করুনা কারন আপনারা বাস্তবতা অস্বীকার করছেন। হিজাব পরা নারীদের এখনো সমাজে বিশেষ সন্মান দেয়া হয় যা বুঝতে হলে শুধু চোখ খোলা রাখলেই চলে। আপনারা চোখ বন্ধ করে রাখছেন!

সবচেয়ে বড় কথা হলো, হিজাব একটি পোষাক। এটি গ্রহন বা বর্জন করার অধিকার একমাত্র নারীরাই রাখে। মোল্লাদের পাপ-পূণ্যের মত ব্যাক্তি স্বাধীনতার ধুয়া তুলে নারীদের নিজ নিজ মতবাদকে প্রভাবিত করে হিজাবের বিরোধ করা সুশীলতার আড়ালে ন্যাক্কারজনক কাজ, এটা বুঝতে চেষ্টা করুন।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

পোস্টে তো সেটাই বলা আছে। পূর্ণবয়স্ক নারীদের বেছে নিতে দিন এটা। শিশুদের ওপর চাপিয়ে দিবেন না এটা।

প্রজন্ম৮৬ এর ছবি

প্রতিটা পরিবারের অভিবাবক চায় তাদের নিজ নিজ আদর্শ অনুযায়ী সন্তান পালন করতে। মূল্যবোধ তৈরী হবারও একটি প্রক্রিয়া রয়েছে। যার জন্য শৈশব থেকেই প্রক্রিয়া শুরু হয়। এখানে শিশুদের উপর শারীরিক নির্যাতন করা যাবে না কিন্তু তার পোষাক নির্বাচনে পরিবারের ভূমিকা থাকতেই পারে।

অভিবাবকরা নিশ্চয়ই ছেলে সন্তানের ক্ষেত্রে ১৮ বছর পর্যন্ত খৎনা না করিয়ে তার অনুমুতির অপেক্ষা করবে না।

nupurkanti এর ছবি

বেশ! তা আপনিই ফ্যাক্ট হাজির করুন না হিজাব সেক্সুয়াল এ্যাসল্ট ‌থেকে রক্ষা করে?

এটি গ্রহন বা বর্জন করার অধিকার একমাত্র নারীরাই রাখে।
তাই-ই নাকি? নারীদের এতোটা অধিকার থাকলে তো এসব নিয়ে তর্ক ওঠানোর প্রয়োজন হতোনা।নারীদেরও প্রয়োজন হতোনা হিজাব পরে সমাকজের "বিশেষ" সম্মান পাবার।

আর ব্যক্তিস্বাধীনতা ব্যাপারটি আপনার বেশ নাপসন্দ মনে হচ্ছে! এর "ধুয়া" বা আলোবাতাস লেগে নারীরা প্রভাবিত হলে এত ভয় পাবার কি আছে?

guesr_writer rajkonya এর ছবি

@nupurkanti
চলুক

প্রজন্ম৮৬ এর ছবি

গোয়া বিচে আর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে কি পরিমানে ধর্ষন হয় সেটা একটু জেনে নিন। আপনার আশে পাশেও তাকান। দেখুন পার্থক্য। হিজাব করলেই সাইকোদের আক্রমন থেকে বেঁচে যাবে তা নয় কিন্তু তুলনামুলক বিচারটা করতে পারবেন।

নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলের পোষাকই সামাজিক কাস্টমস দ্বারা প্রভাবিত হয়। আপনি সময়-কাল বিচার না করে সমাজে নতুন কাস্টমস আমদানী করতে চাইলে সেটা প্রশ্নবিদ্ধ হবেই। যাই হোক, এখানে যেভাবে আয়োজন করে হিজাবকে ডেমোনাইজড করা হচ্ছে সেটাই আমার অভিযোগ।

এই সমাজে অধিকাংশ মানুষই ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করে বলেই তার প্রতিবাদ হচ্ছে আর যারা প্রতিবাদ করছে তারাও বাড়াবাড়ির পথে যাচ্ছে বলেই ভয়। ধর্মের নামে পোষাক চাপিয়ে দেয়া যেমন অন্যায় তেমনই প্রতিবাদের নামে পোষাক গ্রহনে বাধা দেয়াও অন্যায়।

অপছন্দনীয় এর ছবি

হিজাব না পরলেই যদি ধর্ষণের শিকার হতে হয় তাহলে এই সামারে আমার ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের অ্যাসাল্ট কাউন্ট কমপক্ষে দুই তিনশ' ছাড়িয়ে যেতো আর পুরো শহরে হয়ে যেতো হাজারের উপরে - কিন্তু গত এক বছরে একটাও ঘটেনি এখানে।

অবশ্য আপনার জামাকাপড় খুলে দেখে বউ পছন্দ করার সমর্থনে মন্তব্য দেখে আপনার মানুষের ভাষা বোঝার ক্ষমতা কতটুকু সেটা আন্দাজ করতেই পারছি।

nupurkanti এর ছবি

প্রজন্ম ৮৬:
আমার চোখ কান খোলা বলেই তো আপনাকে জিজ্ঞেস করলাম আপনার উপাত্তের কথা।তা না বলে বললেন আশেপাশে তাকাতে।আশেপাশে তাকালেই কি আর আপনি আমি একই উপসংহারে পৌঁছে যাবো, একদুবার নিজের দিকেও তাকালেই বুঝবেন। এবার একটি সোজাসাপ্টা জবাব দেবেন। ধর্ষণ থেকে বাঁচার জন্যেই তাহলে মেয়েদের ঢেকেঢুকে চলাফেরা করতে হবে? এটাই কি আপনার বক্তব্য? ধর্ষণ নামের বিপদটি যে মানুষগুলো থেকে আসছে তাদের ব্যাপারে আপনার কোনই বক্তব্য নাই? আরো কি বলতে চাইলেন মেয়েরা ধর্ষণের স্বীকার হচ্ছে মূলতঃ "শালীন" পোষাক না পরার কারণে?

আর ধর্মের নামে বাড়াবাড়ি তো হবেই, বাড়াবাড়ির পর্যায়ে না গিয়ে কোন ধর্ম থাকতে পেরেছে উদাহরণ দেবেন দয়া করে।ধর্মটাই বাড়াবাড়ি কি না এই প্রশ্ন করলে তো আর ধড়ে ঘাড়টি থাকেনা, তাই চেপে গেলাম।
এ লেখা পড়ে যেটা বুঝলাম পোষাক গ্রহণে বাধা কেউ দিচ্ছেনা। আপনিই খামাখা জুজুর ভয়ে বেশী ভীত হয়ে পড়েছেন বলে মনে হলো।

প্রজন্ম৮৬ এর ছবি

ধর্ষণ থেকে বাঁচার জন্যেই তাহলে মেয়েদের ঢেকেঢুকে চলাফেরা করতে হবে? এটাই কি আপনার বক্তব্য?

-জ্বী না। এটা আমার বক্তব্য নয়। ধর্ষন সংঘটিত হয় ধর্ষক দ্বারা।এখানে ধর্ষনের ভিক্টিমের পোষাকের কোন ভূমিকা নেই। শালীন পোষাক বা হিজাব পারবেনা ধর্ষকের হাত থেকে নারী বা পুরুষকে ধর্ষন থেকে বাঁচাতে।

ধর্ষকদের সম্পর্কে বক্তব্য অনেক বিশদ।সংক্ষেপে বললে, কঠোর শাস্তির আইন এবং সার্বিক নৈতিকতা শিক্ষার বিকল্প নেই। সেই সাথে , ধর্ষনের প্ররোচক উপাদানগুলোর দিকে নজর দিতে হবে, যেমন সাহিত্য-সংস্কৃতি।

ধর্ম,জাতীয়তা,আদর্শ এগুলো সবসময় তাদের নিজ দলীয় সমর্থকদের জন্য জীবনধারনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আর বিরোধীদের জন্য বাড়াবাড়ি বলেই গণ্য হয়।তাই এ বিষয়ে এখানে নাই বা বলি।আর এই পোস্টে এবং বিভিন্ন মন্তব্যে হিজাবকে অনগ্রসরতার প্রতীক এবং চাপিয়ে দেয়া আইডেন্টিটি বলে প্রচার করা হচ্ছে যা ধর্মব্যাবসায়ীদের ভাষার হিজাব উত্তম চরিত্র এবং সৎ আইডির মত আওয়াজ করছে।সেজন্যই এসব বলা।

nupurkanti এর ছবি

ধন্যবাদ প্রজন্ম ৮৬।
তবে ওই যে বললেন এই পোস্টে হিজাবকে অনগ্রসরতার প্রতীক বলে "চাপিয়ে" দেয়া হচ্ছে সেটা মানতে পারলামনা।
দেখুন একটা বিষয়ে মনে হয়না কেউ দ্বিমত পোষণ করবে যে স্বেচ্ছায়ও নারীরা হিজাব বেছে নিচ্ছেন। আমি সেটাতে কোন সমস্যা দেখিনা।
কিন্তু আপনার বক্তব্যের ধরণে মনে হচ্ছে হিজাব কাউকেই চাপিয়ে দেয়া হচ্ছেনা।
ধর্মের নামে পরিবার সমাজ যখন মেয়েদের হিজাব পরতে বাধ্য করছে সেক্ষেত্রে আপনার কি অবস্থান?

দ্রোহী এর ছবি

গোয়া বিচে আর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে কি পরিমানে ধর্ষন হয় সেটা একটু জেনে নিন।

গোয়া বিচে ধর্ষন হয়? আপনি ঠিক বলছেন? আরেকবার চিন্তা করে দেখেন! গড়াগড়ি দিয়া হাসি

তাপস শর্মা  এর ছবি

গোয়া বিচে আর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে কি পরিমানে ধর্ষন হয় সেটা একটু জেনে নিন।

খাইছে। হো হো হো হো হো হো হো হো হো ; এই খবর পাইলেন কোনথিক্কা, আমারে একটু খবরের সুত্রটা দিননা বস গড়াগড়ি দিয়া হাসি । অনেক দিন অইল এক্সক্লুছিব নিউজ পাইনা, বাজার মন্দা চলতাছে হে হে

নজমুল আলবাব এর ছবি

প্রজন্ম ৮৬... হু চিন্তিত

ঠিকই আছে, মোটাদাগের সমস্যা শুরু হইছে ৮০ পর থিকা।

পৃথ্বী এর ছবি

বাংলাদেশে বা সারা বিশ্বে কয়জন হিজাবধারী নারী টিজিং বা ফিজিক্যাল এসল্টের শিকার হয়েছে?

http://www.nytimes.com/2007/11/29/opinion/29iht-edeltahawy.1.8528543.htmlChromeHTML/Shell/Open/Command

মেয়েটা শুধু যে ধর্ষিত হয়েছে তা না, ধর্ষিত হওয়ার "অপরাধে" তাকে চাবকানোও হয়েছে। ঘটনা মিডিয়ায় প্রকাশ করার কারণে পরে তার শাস্তি ৯০ থেকে ২০০টা চাবুকের আঘাতে বাড়ানো হয়েছে, একই সাথে তার আইনজীবির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরকম বহু মেয়েই হিজাবী দুনিয়ায় ধর্ষিত হচ্ছে, ধর্ষণের বিচার চাইতে গেলে আবার আদালতের হাতে ধর্ষিত হওয়ার ভয়ে অনেকেই এসব ঘটনা চেপে যায়।

এটি গ্রহন বা বর্জন করার অধিকার একমাত্র নারীরাই রাখে।

তাই নাকি? সত্যি করে বলুন তো, কোন নারী হিজাব বর্জন করলে কি আপনার তার সিদ্ধান্তকে জাজ করা থেকে বিরত থাকবেন? এতই যখন মেয়েদের চয়েজকে সম্মান করেন তো পশ্চিমা নারীদের পোশাক নিয়ে এত চিন্তিত কেন আপনারা?

এই ফতোয়াটি দেখুন। মুসলিম মেয়েদের একা একা ঘোরাঘুরি করা নিষিদ্ধ দাবি করা হয়েছে। হিজাব পড়লেই যদি সব সমস্যার সমাধান হত, তবে কেন এই ইনজাংকশন?

দ্রোহী এর ছবি

পুরুষের কাম প্রবৃত্তির হাত থেকে রক্ষা করতে নারীদের কেন বস্তায় ভরতে হবে? নিজের শিশ্নের আগায় ইট না ঝুলিয়ে নারীদের কেন বস্তায় ভরতে হবে এইটা আগে কেউ আমাকে বুঝান দেখি!

নজমুল আলবাব এর ছবি

ইটা ঝুলানি...

মেম্বর বিষয়টার একটা দৃশ্যকল্প চিন্তা করেনতো। শয়তানী হাসি

দ্রোহী এর ছবি

ইট রাখার জন্য প্যান্টের দু'পায়ের ফাঁকে বাড়তি একটা পকেট চিন্তা করেন দেখি!

পৃথ্বী এর ছবি

মেয়েরা স্বেচ্ছায় বোরকা পড়ে- এই কথাটা অনেক শুনি। যেসব মেয়ে "স্বেচ্ছায়" বোরকা বা হিজাব পড়ে, একটু খোজ নিলেই দেখা যাবে তারা অত্যন্ত ধার্মিক পরিবারের সদস্য। ছোটবেলা থেকেই তাদের এই বলে মগজধোলাই দেওয়া হয় যে হিজাব করা মডেস্টির পরিচায়ক, হিজাব করলে কেউ তাকে ধর্ষণ করবে না। সাথে তাকে এও শুনিয়ে দেওয়া হয় যে ইসলামই তাকে স্বাধীনতা দিয়েছে। এরকম পরিবেশে বড় হওয়া একটা মেয়ে বাপ-মা আত্মীয়স্বজনের ভয়েই হিজাব করবে, যদিও তার মধ্যে একটা ডিল্যুশন কাজ করবে যে তার জীবনের উপর তার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আছে। বলাই বাহুল্য, তার যদি কখনও মনে হয় যে সে হিজাব করবে না, তার পরিবার ও তার স্বামী তাকে সেই সিদ্ধান্ত নিতে দিবে না। যে নিজে হিজাব ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, সে নিজে কিভাবে হিজাব পড়ার সিদ্ধান্ত নিবে এটা আমি কিছুতেই বুঝতে পারি না। স্বেচ্ছায় বোরকা পড়া বলতে মোল্লারা ঠিক এই ডিল্যুশনকেই বোঝায়। জাকির নায়েকের মত নিওমোল্লারা মৌলবাদের পাশাপাশি নারী স্বাধীনতাকে এভাবে মনের মাধুরী মিশিয়ে সংজ্ঞায়িত করে ধর্মের ক্ষতিকর উপাদানগুলো আড়াল করার চেষ্টা করছে।

কেউ যদি আসলেই স্বেচ্ছায় বোরকা পড়ে, তবে আমার কোন আপত্তি নাই। আজকাল তো ইসলাম গ্রহণ করা অনেক পশ্চিমা নারীর কথা শোনা যায় যারা চান্স পেলেই মিডিয়াতে হিজাব পড়ে তাদের "মডেস্টি" জাহির করে। এদের সাথে ইসলামী দুনিয়ার নারীদের পার্থক্য হল যে এই পশ্চিমা নারীদের চয়েজ আছে, তাদের স্বাধীনতা আছে বলেই তারা খ্রীষ্টান কিংবা ইহুদি ধর্ম ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে পেরেছে। এখন ওসব পশ্চিমা নারীদের যদি ইচ্ছা হয় যে তারা ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করবে কিংবা বোরকা খুলে ফেলবে, তবে তা তারা বিনা বাধায়ই করতে পারবে। মুসলিম দুনিয়ায় নারী তো দূরের কথা, পুরুষদেরও এরকম স্বাধীনতা নেই। যেদিন আমাদের সমাজে মেয়েরা চাইলেই বাপ-মার মতের বিরুদ্ধে গিয়ে বোরকা খুলে ফেলতে পারবে, সেদিনই কেবল আমি স্বীকার করব যে মেয়েরা আসলেই স্বেচ্ছায় হিজাব করতে পারে। এছাড়া এসব স্বেচ্ছায় বোরকা পড়ার কাহিনীগুলো ভাওতাবাজি ছাড়া কিছু না।

এই পিচ্চি স্বেচ্ছায় বোরকা পড়েছে বলে মনে হয় না।

সুরঞ্জনা এর ছবি

সহমত।
সুন্দর আর গোছানো এই মন্তব্যটার জন্য ধন্যবাদ।
চলুক

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

প্রজন্ম৮৬ এর ছবি

হিজাব করার পেছনে যেই ডিল্যুশনের কথা বললেন। সকল রকমের পোষাক নির্বাচনের পেছনেই এমন কিছু না কিছু বের করা সম্ভব। পশ্চিমের র্যাপাররা একধরনের পোষাক পড়ে, ইমোরা আরেকধরনের,ট‌্যুরিস্ট এবং কর্পোরেটদেরও ড্রেসকোড জেনারালাইজড করা যায়। কিন্তু এখন যদি সবাইকে কোড ফলো করা বা বর্জন করতে বলা হয় সেখানেই সমস্যা। এতে তার স্বাধীন নির্বাচনের ক্ষমতাকে অশ্রদ্ধা করা হয়।

হুজুররা গণহারে কোড ফলো করতে বলে আর আপনারা বলেন বর্জন করতে। এটাই সমস্যা। আপনি যেই ছবিটা দিয়েছেন, এটা নিশ্চিত একটা সেটআপ, কোন কিছুই প্রমান হয় না এর দ্বারা। তজবীহ এবং কুরআন সাথে নিয়ে এই শিশুটা বা এমন অনেক শিশুই হিজাব পড়ে ঘুরে বলে নিশ্চয় বলতে চাচ্ছেন না!

পৃথ্বী এর ছবি

হিজাব করার পেছনে যেই ডিল্যুশনের কথা বললেন। সকল রকমের পোষাক নির্বাচনের পেছনেই এমন কিছু না কিছু বের করা সম্ভব। পশ্চিমের র্যাপাররা একধরনের পোষাক পড়ে, ইমোরা আরেকধরনের,ট‌্যুরিস্ট এবং কর্পোরেটদেরও ড্রেসকোড জেনারালাইজড করা যায়। কিন্তু এখন যদি সবাইকে কোড ফলো করা বা বর্জন করতে বলা হয় সেখানেই সমস্যা। এতে তার স্বাধীন নির্বাচনের ক্ষমতাকে অশ্রদ্ধা করা হয়।

আপনি যাদের কথা বললেন, তারা কেউই "মডেস্টি" জাহির করার জন্য সেই ড্রেস পড়ে না, ইন ফ্যাক্ট, তাদের অনেকেই স্রেফ ফ্যাশন করার জন্য সেসব ড্রেস পড়ে। কর্পোরেটরা কোট-টাই না পড়লে তাদের ধর্ষিত হওয়া স্বাভাবিক বা গ্রহণযোগ্য হবে অথবা কর্পোরেটদের ইজ্জত রক্ষা করার জন্য তাদের সবসময় কোট-টাই পড়তে হবে এবং মাহরাম ব্যতিত অন্যসব সাধারণ মানুষের থেকে তাদের দূরে থাকতে হবে- এমন হাস্যকর দাবি আমি কাউকে করতে দেখিনি।

হুজুররা গণহারে কোড ফলো করতে বলে আর আপনারা বলেন বর্জন করতে। এটাই সমস্যা।

"আমরা" বর্জন করতে বলিনি, আমি আমার মন্তব্যে শুধু হিজাবের পেছনের যুক্তিটার সমালোচনা করেছি। কেউ যদি মনে করে যে মাথায় পট্টি বাধলেই তার মর্যাদা বেড়ে যাবে, তাহলে তাকে আমি করুণা করব কিন্তু তাকে পট্টি খুলে ফেলতে বাধ্য করব না- বস্তুত, তাকে কোন কিছু করতে বাধ্য করার ক্ষমতা বা দায় আমার আছে বলে আমার মনে হয় না। তবে মুখ ঢেকে রাখা নেকাব নিষিদ্ধ করার পেছনে যথেষ্ট কারণ আছে। সিকিউরিটি ব্রীচ হতে পারে এমন কোন জায়গায় নিনজাদের নিষিদ্ধ করা অপরাধ না, বরং এসব জায়গায় নিনজা সাজ নিয়ে যাওয়াটাই একটা অপরাধ।

আপনি যেই ছবিটা দিয়েছেন, এটা নিশ্চিত একটা সেটআপ, কোন কিছুই প্রমান হয় না এর দ্বারা। তজবীহ এবং কুরআন সাথে নিয়ে এই শিশুটা বা এমন অনেক শিশুই হিজাব পড়ে ঘুরে বলে নিশ্চয় বলতে চাচ্ছেন না!

এটা যে সেটাপ সেটা কি আপনি প্রমাণ করতে পারবেন? ইন ফ্যাক্ট, এটা সেটাপ হলেও কিছু যায় আসে না। নেটে এরকম বহু ছবি পাবেন যাদের আন্ডারলাইং মেসেজ হল বোরকা "ইনোসেন্স" এবং "মডেস্টি" এর প্রতীক এবং বাচ্চাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বোরকা পড়ানো শুরু করা উচিত। এই ছবিগুলো অনলাইন ফোরামে দেখে যারা বাহবা দেয় এবং ইসলামী নবজাগরণ ঘটানোর স্বপ্ন দেখে, তারাই আবার দাবি করে যে বোরকা পড়তে নাকি কাউকে বাধ্য করা হয় না।

তবে এই বয়সের শিশুরা হিজাব না পড়লেও আমি আট-নয় বছরের বাচ্চাদের হিজাব করাতে দেখেছি। আপনার কাছে এই তথ্যটা যদি অবিশ্বাস্য মনে হয়, তবে আমি বলব আপনি অনেক ভাগ্যবান যে আপনি আমার মত নূরানী পরিবার ও পরিবেশে বড় হননি।

সজল(লগ ইন করলাম না) এর ছবি

স্বেচ্ছায় পড়ছে কিনা বলা যাচ্ছে না, তবে হাসিমুখে যে পড়ছে তাতো বুঝাই যাচ্ছে চোখ টিপি

মশিউর মামা  এর ছবি

অনেক কিছুই তো আলোচনা হইলো কিন্তু হিজাব বা ইসলামী পোশাক পরার কারণে নারী কি কি করতে পারলনা আর না পরলে কি কি করতে পারত এইটাই তো কেউ ব্যাখ্যা করলনা | উদাহরণ সহ বললে ভালো লাগত | দেঁতো হাসি

চরম উদাস এর ছবি

মামু, অনেক কিছুই করতে পারলনা। আপাতত আপনার বিকশিত দন্তটি বন্ধ করতে পারলনা এইটা বলতে পারি।

সন্ধ্যাবাতি এর ছবি

১. niece এর বাংলা বোনপো/ভাইপো নয়, বোনঝি/ভাইঝি। পড়তে গিয়ে থমকাতে হচ্ছে।

২. আপনার হিজাব এর ইতিহাসের পুরাটুকুই একটা ওয়েবসাইট থেকে নেয়া, যেই ওয়েবসাইট এ ইন-টেক্সট রেফারেন্স নেই বলে বুঝতে পারছি না আসলে আয়শা বিনতে তালহার ঘটনাটা কি, তবে এতটুকু বুঝতে পারছি সেখানে বিতর্কের ইস্যু হিজাব (আপনার সংজ্ঞায়) না, বরং নিকাব। আয়শা মুখ ঢাকতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, মাথা, গলা, ঢাকতে না। মাথা গলা ঢাকার আগেই নিশ্চয়ই কারো স্বামী তাকে মুখ ঢাকতে চাপাচাপি করবে না!

তাছাড়া, ওয়েবসাইট এ লেখিকা বলছেন, তখন মেয়েদের 'ভেইলড এন্ড সেক্লুডেড' করা শুরু হয় নি, 'ভেইলড এন্ড সেক্লুডেড' কথাটা আমি আক্ষরিক ভাবে নিয়েছি, এবং এর আক্ষরিক অর্থের সাথে আমার দ্বিমত নেই।

অক্সফোর্ডের একজন স্কলারের বই 'আল মুহাদদিথ: উইমেন স্কলার অফ ইসলাম', বইটায় তিনি আট হাজার নারী হাদিসবিদদের বায়োগ্রাফী লিখেছেন, যারা নারী এবং পুরুষদের শিখিয়েছেন, পর্দার অন্তরাল থেকেই। তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই ভেইলড এবং সেক্লুশন সমার্থক ছিল না। সে জন্যই ভাবি, ভেইলড এবং সেক্লুডেডকে সমার্থক করাটা শুরু হয়েছে পরে।

৩. হিজাবপ্রথা ইসলাম এর আগেই নানা জায়গায় ছিল, এই যুক্তি দিয়ে মানুষ কি বুঝতে চায় আমি বুঝি না...
- শুকর খাওয়া ইসলাম আসার হাজার বছর আগে থেকে বনী ইসরাইলের জন্য নিষিদ্ধ ছিল। মুসলিমদের জন্য নতুন করে নিষিদ্ধ করা হলো, যেমন ভাবে হিজাবকে ফরজ করা হলো নতুন করে। এখনও খ্রীষ্টান নানরা চুল ঢাকে, এখনও কট্টর ইহুদীরা চুল ঢাকতে উইগ পরেন!

৪. কুরআন এবং হাদীস থেকে উদাহরণ:
“O Prophet, tell your wives and your daughters and the women of the believers to draw their cloaks close round them (when they go abroad). That will be better, so that they may be recognised and not annoyed. Allah is ever Forgiving, Merciful.” (Quran 33:59)

And say to the believing women that they should lower their gaze and guard their modesty; that they should not display their beauty and ornaments except what must ordinarily appear therof; that they should draw their veils over their bosoms and not display their beauty except to their ...” (Quran 24:31).

Volume 1, Book 8, Number 368: Narrated 'Aisha:

Allah's Messenger used to offer the Fajr prayer and some believing women covered with their veiling sheets used to attend the Fajr prayer with him and then they would return to their homes unrecognized.

৫. ২৪:৩১ এর আগের আয়াত, ২৪:৩০ - "Tell the believing men to lower of their gaze and guard their private parts. That is purer for them. Indeed, Allah is Acquainted with what they do."

পাথর ঝুলানোর নির্দেশ (গার্ড দেয়ার প্রাইভেট পার্টস) কুরআনে মেয়েদের হিজাবে ঢুকানোর আগে এসেছে। (শুধু পাথর ঝুলানোর কথা বলে, স্লাট ওয়াক () এর মত ধারণাগুলোকেও আমার অমানবিক অথবা/এবং অযৌক্তিক মনে হয়।)

তারও আগের ধাপ, দৃষ্টি সংবরণ না করা হলে এবং তারপর, নিজেদের সুবিধামত কোরানের কিছু অংশ নিয়ে কিছু অংশ বাদ দিলে নারীরা সব সময় সেই ভেইলড = সেক্লুডেডই (সমাজ থেকে, স্বাধীনতা থেকে, কল্যাণ থেকে) থাকবে।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

১। ধন্যবাদ। ঠিক করে নিচ্ছি।

২, ৩। ইসলামের আগে ছিলো না পরে ছিলো এই ব্যাপারটা হিজাব সমর্থকরা বেশী ব্যবহার করেন। যদি ইসলামে হিজাব করতে বলা না থাকে তাহলে হিজাব বিরোধীদের আর্গুমেন্ট অনেক কঠিন হয়। বেশ কিছু সার্চ করে বোঝা গেল যে যদিও হিজাব পরিধাণের পরিষ্কার স্টার্ট ডেইট নেই তবু এই বেনিফিট অফ ডাউট হিজাব অ্যাপোলজেটিকদের দিয়ে আমার লেখা শুরু করা যায়। তাই এই অর্ন্তভুক্তি।

৪, ৫। আপনার মতে ইসলামে তাহলে পরিষ্কার এ বিষয়ে বলা আছে। কিন্তু আমার আর্গুমেন্টগুলোর ব্যাপারে আপনার মত কি? কেনো পুরুষের ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য নয়?

সন্ধ্যাবাতি এর ছবি

২. "আরব" এ হিজাব ছিল না, সেটা হিজাব সমর্থকরা বলেন। সারা বিশ্বের কথা বলেন না, হিজাব এবং এর কাছাকাছি ধারণা আব্রাহামিক ধর্মগুলোতে সব সময় ছিল, সেটা কোরান পরলেই স্পষ্ট হয়।

৩. আপনার প্রশ্ন যদি হয়, ছেলেদের পর্দা নেই কেন, তাহলে আমার উত্তর হচ্ছে, ছেলেদের পর্দা আছে। ইসলামের শেষ নবী কখনো মানুষের সামনে বুকের জামা সরাতেন না, কোনো একটা কারণে এখন নারীদের পোশাক নিয়ে সবারই টানাটানি, ফাশন ডিজাইনার থেকে শুরু করে ধর্মীয় নেতাদের।

আর আপনার প্রশ্ন যদি হয়, ছেলেদের পর্দা মেয়েদের মত না কেন, তাহলে... সেটা সম্পূর্ণ ভিন্ন তর্ক, এবং বেশির ভাগ সময়ই অর্থহীন তর্ক। প্রশ্ন তো কতই করা যায়, শুধু ছেলেদেরই কেন দাড়ি রাখা সুন্নত/ওয়াজিব?

ইসলাম ইকুয়ালিটিতে বিশ্বাসী না, ইকুইটিতে বিশ্বাসী।

সে জন্যই একজন পতিতা একটা কুকুরকে পানি খাইয়ে এক জীবনের পাপ মুছে ফেলতে পারে , কিন্তু আমি নিশ্চিত মোবারক শুধু একটা কুকুরকে পানি খাওয়ালে একই ফল পাবে না!

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

প্রাক্তন ব্লগ থেকে দেখে এসেছি আপনি "বিটিং এরাউন্ড দ্যা বুশ" খুব পছন্দ করেন। আলোচ্য প্রসঙ্গের বাইরে বেরিয়ে গিয়ে, অন্যান্য বিষয় টেনে এনে আলোচ্য ইস্যুটাকে ইরেলেভেন্ট করে দেয়া একটা অপপ্রয়াস থাকে সব সময়। "ছেলেদের পর্দা মেয়েদের মত না কেন" সেটা আপনার কাছে "অর্থহীন তর্ক"! আর ধোঁয়াশা তৈরী করেন এটা বলে "শুধু ছেলেদেরই কেন দাড়ি রাখা সুন্নত/ওয়াজিব?"

"ইসলাম ইকুয়ালিটিতে বিশ্বাসী না, ইকুইটিতে বিশ্বাসী" এই ধরনের বক্তব্য দিয়ে ইসলাম গ্র্যান্ডার পার্সপেক্টিভ থেকে খুব ভালো, অন্য ধর্ম থেকে বেটার এই ধরনের একটা কিছু প্রমানের চেষ্টা করেন। কোনো কোনো ধর্ম হয়ত কোনো কোনোটার চেয়ে একটু ভালো কিংবা একটু খারাপ (এবং সবগুলোই পরিত্যাজ্য)। অথচ সেটা এখানকার আলোচ্য বিষয় না। হিজাব নারীকে স্বাধীন করে নাকি পরাধীন? পারলে এটাই আলোচনা করুন।

সন্ধ্যাবাতি এর ছবি

আচ্ছা, প্লেইন এন্ড সিম্পল করে বলি

জিমেইল এ কয়েকটা সার্চ দিলাম:
[url=http://www.google.com/search?q=casual+dress+women&rls=com.microsoft%3A*&...]casual dress women
[/url]
[url=http://www.google.com/search?q=casual+dress+men&rls=com.microsoft%3A*&oe...]casual dress men
[/url]
[url=http://www.google.com/search?q=formal+dress+women&rls=com.microsoft%3A*&...]formal dress women
[/url][url=http://www.google.com/search?q=formal+dress+men&rls=com.microsoft%3A*&oe...]formal dress men
[/url]

ছেলেদের ফর্মাল পোশাকের মধ্যে ১০০% এরই শুধু গলা, মাথা আর দুই হাতের শুধু কবজি থেকে নিচের অংশটুকু ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছে না।
মেয়েদের ফর্মাল পোশাকের মধ্যে ১০০% এরই বুকের বেশ খানিকটা বের করা, হাতের অনেকখানি দেখা যাচ্ছি, প্রায় প্রতিটাতেই হাটুর নিচের অংশটুকু খোলা, সবার চুলই পুরুষদের চেয়ে বড়, এবং, জামা ভীষণ গায়ে সাটানো।

কাজুয়াল পোশাকের দিকে আর যাচ্ছি না, নিজে দেখে নিন।

পৃথিবীর ১০০% দেশে পুরুষ আর নারীর পোশাক আলাদা, পোশাকের ধরনই আলাদা... হয় নারীরা অতিরিক্ত উম্মোচন করে চলে আর না হয় ঢেকে চলে।

কিন্তু এখানে ব্লগারদের লেখাতে কখনো মেয়েদের জন্য সমাজস্বীকৃত অতিরিক্ত উম্মোচনকারী এবং গা সাটানো পোশাকের কোনো আপত্তি শুনি নি। বরং, গ্রীষ্মের শুরুতে পুরুষ ব্লগারদের উল্লসিত জয়ধ্বনি শুনি। আমি বিটিং এরাউন্ড দা বুশ না করে সোজাসুজিই বলি, ইহাকে আমার দিমুখীপনা মনে হয়।

যেদিন হলফ করে বলতে পারবেন, আপনার কাছের নারীরা আপনার চাইতে বেশি উম্মোচন করে থাকলে আপনার মন ভালো লাগে না (উদাহরণ: শাড়ি পরে পেট পিঠ গলা... (আমি শাড়ি পড়তে ভালবাসি, শাড়ি এভাবে পরলেই
সুন্দর লাগে তা স্বীকার করি)), বেশি গায়ে সাটানো পোশাক পড়লে আপনি খুশি হন না, বরং আপনি যেমন শরীর থেকে ১০ ইঞ্চি ঢিলা পোশাক পরেন তারাও তাই পরে, সেদিন প্লিজ এই পোস্ট আবার করবেন।

তাই বলে যে মেয়েদের অতিরিক্ত উম্মোচনকারী পোশাক দেখতে ভালবাসা পুরুষেরা সবাই ধর্ষকামী তা বলছি না, এটাই স্বাভাবিক, পুরুষরা নারীদের দেখতে ভালবাসে। এর সাথে যৌনতার সম্পর্ক ও থাকে না সব সময়, মেয়েরাও জানে অন্য মেয়েদের উম্মোচন করা আর গা সাটানো পোশাকে বেশি 'মানায়'। সে জন্যই শুধু মেয়েদের উপস্থিতিতেও মেয়েরা উম্মোচিত আর গা সাটানো পোশাক পরে। এখানে কিন্তু কোনো যৌনতা নেই, এটা শুধু নারী আর পুরুষদের আলাদা হবার আর পোশাকের বেপারে তাদের আলাদা প্রয়োজনের/পছন্দের/মানানো-না-মানানোর প্রমান।

নারীরা পুরুষদের দেখতে ভালবাসে, কিন্তু এভাবে না, উম্মোচিত পোশাক পরে আর গা সাটানো পোশাক পরে খুব কম নারীরই মন ভুলানো যায়। এখানে যেসব পুরুষেরা কোনো নারীর সাথে অন্তরঙ্গ সম্পর্কে আছেন, তারা সবাই জানেন এই কথাটা।

ইসলাম আপনাকে আমাকে খুশি করার জন্য আসে নি, পলিটিকাল কারেক্টনেস নিয়েও আসে নি, ইসলাম বুঝতে হলে তর্কের খাতিরে তর্ক বাদ দিতে হয়, বিটিং এবাউট দা বুশ না করে, এটা হচ্ছে প্লেইন এন্ড সিম্পল ট্রুথ--নারী আর পুরুষের শরীরের ধরন আলাদা, তাই তাদের পোশাক আলাদা হওয়াটাই স্বাভাবিক।

না, শুধু অতিরিক্ত পোশাকে নারীদের মর্যাদা নিশ্চিত হয় না, এটাও প্লেইন এন্ড সিম্পল ট্রুথ।

তবে আপনি, আপনারা যদি মনে করেন ইসলামে শুধু নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা করতেই হিজাব পরানো হয়েছে, তাহলেও ভুল করবেন। আপনার যেসব আত্তীয় মহিলারা নামাজ পরেন, তারা ঘরের দরজা বন্ধ করে নামাজ পরার সময় কি পরে থাকেন? শুধু লুঙ্গি পরে নামাজ পরেন?

তা পরেন না, কারণ শুধু স্রষ্টার সামনে দাড়ানোর সময়ও নারী আর পুরুষদের পোশাক আলাদা।

এটা সব আব্রাহামিক ধর্মেই, সে জন্যই ইহুদি মহিলারা উইগ পরেন আর ক্রিষ্টান নানরা মাথা ঢাকেন।

ইসলামে পোশাক হচ্ছে 'ডিগনিটি', 'মর্যাদা'... নিজেকে লুকিয়ে রাখার জন্য না। সেরকম হলে সব চেয়ে কনফিডেন্ট মানুষদের গায়ে কোনো কাপড় থাকত না। ইসলামে পোশাকের অর্থ বুঝতে হলে ভাবুন কনভোকেশনে কেন গাউন পরেছিলেন, নিজেকে লুকানোর জন্য?

আমি বিশ্বাসের ক্ষেত্রে অন্ধ নই, কিন্তু একবার বিশ্বাস করে ফেলার পরে, নিজের ইচ্ছামত ধর্মের অনুশাসন বদলানোর পক্ষপাতিও আমি নই।

এখন যদি প্রশ্ন করেন স্রষ্টা তো পুরুষ না, তাহলে স্রষ্টার সামনে নারী আর পুরুষের পোশাক কেন আলাদা, তাহলে আমার উত্তর হচ্ছে আমি জানি না, এর উত্তর ধর্ম গ্রন্থে দেয়া হয় নি, কিন্তু আলাদা যে, এতে কোনো সন্দেহ নেই...

যারা ইসলামও মানবেন আবার নারীদের মাথা ঢাকাতে বিশ্বাসী না, তাদের মহিলা অত্তিয়ারাও স্রষ্টার সামনে আলাদা পোশাকে দাড়ান... মাথা আর গলা খোলা রাখেন না... কেন? সেই উত্তর আমি তাদের মুখে শুনতে আগ্রহী।

(বি:দ্র: জিমেইল এ লিখেছি, তাই বানান অনেক ভুল আছে, জানি)

দ্রোহী এর ছবি

আরর.......রে!!!!!!!!! মস্তইয়েকে সচলায়তনে স্বাগতম! দেঁতো হাসি

সাফি এর ছবি

এতদিনে মনির হোশেনের একটা গতি হল।

রানা মেহের এর ছবি

হিজাব এসাল্ট ত্থেকে রক্ষা করে এরকম দিবাসপ্ন যারা দেখেন, তারা কি বলবেন, এই রক্ষার রুপটা কী?
কোন মেয়ে যদি ঢাকার রাস্তায় রাত একটায় হিজাব পরে ঘোরাঘুরি করে, তবে কি সে নিরাপদ?
গ্রামে বেশিরভাগ মেয়ে কিন্তু বোরখা বা অন্তত মাথায় কাপড় দিয়ে চলাফেরা করে।
তবে তারা নির্যাতনের ভিক্টিম হয় কেন?

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

আলামিন এর ছবি

কোরআন ও সিহাহ সিত্তার হাদিস সমুহ পড়ে আমার মনে হয়েছে, স্বাভাবিক পোশাকের উপর অতিরিক্ত একটা চাঁদর কিংবা ভারী ওড়না দিয়ে বক্ষদেশ আবৃত করে চলা ফেরা করলে ইসলামের পর্দার আদেশ লংঘন হয় বলে প্রতীয়মান হয় না। তবে যারা তাকওয়ার উপরের স্তরে থাকতে চান তারা নিকাব পরিধান করতেই পারেন, এ নিয়ে কারো আপত্তি থাকা উচিত নয়।
আর যারা ইসলামের এই ন্যূনতম শালীনতাকে বোঝা মনে করে বিরুদ্ধাচারন করেন তারা কোরানে বিশ্বাসী কিনা আমি যথেষ্ট সন্দিহান। সেক্ষেত্রে রাখঢাক না করে সরাসরি বলে ফেল্লেই হয়।
কোরানে কোথাও নিকাব কিংবা সচরাচর হিজাব বলতে যা বুঝায় সেটার অস্তিত্ব পাও্যা যায় না। বরং আমরা যাকে ওড়না বলি সেটাই খুব স্পষ্ট করে ব্যবহারের তাগিদ দেয়া হয়েছে। আর কোরানের "চাদর/ওড়না" (সন্ধ্যাবাতি উল্লেখিত হাদিসের translation e "veil") এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা যে আপাদমস্তক আবৃতকরণ তা আমি কোনও হাদিসে খুজে পাইনি। যা কিছু আছে সেগুলো সাহাবিদের নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা ছাড়া আর কিছু নয়। আর তাঁদের মধ্যেও রয়েছে মতভেদ। সুরা বাকারায় গাভী বিষয়ক প্রশ্নোত্তর দেখে আমার মনে হয়েছে, কোরানের পর্দার আয়াতে যেটা সুস্পষ্ট করা হয়েছে সেখানে আরও প্রশ্ন করা অবান্তর।

সুমন তুরহান এর ছবি

...সেখানে আরও প্রশ্ন করা অবান্তর

প্রশ্ন করলে ধর্মীয় বিধানগুলো দেয় মূর্খতাপ্রসূত গোঁজামিলের উত্তর, আর তাতেও ব্যর্থ হলে তখন বলে - 'চুপ! প্রশ্ন করো না, চোখ বুজে বিশ্বাস করো'!

লক্ষ্য করছি 'প্রশ্ন' জিনিসটাই অন্ধবিশ্বাসীদের বেশ অপ্রিয় একটা ব্যাপার; বিশ্বাসের তাসের ঘর কেঁপে ওঠে প্রশ্নে।

যা কিছু আছে সেগুলো সাহাবিদের নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা ছাড়া আর কিছু নয়। আর তাঁদের মধ্যেও রয়েছে মতভেদ। সুরা বাকারায় গাভী বিষয়ক প্রশ্নোত্তর দেখে আমার মনে হয়েছে, কোরানের পর্দার আয়াতে যেটা সুস্পষ্ট করা হয়েছে সেখানে আরও প্রশ্ন করা অবান্তর।

তবে খুব ভালো লাগছে দেখে যে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ইসলাম এগিয়ে চলছে। একবিংশ শতাব্দীর আলামিনেরা সপ্তম শতকের সাহাবীদের চেয়ে কোরান ভালো বোঝে!

-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী

রু (অতিথি) এর ছবি

ভালো লাগাটা জানায় গেলাম।

নজমুল আলবাব এর ছবি

চিন্তা এবং মজা একসাথে পাওয়া বিরল। এই পোস্ট এর পাঠকরা সেই হিসাবে ভাগ্যবান বলা যায়।

নিত্যানন্দ রায় এর ছবি

সোজা কথা, নারীর পূর্ণ সাধীনতা থাকা উচিত সে কি পরবে

soptorshi এর ছবি

এখানে অনেক গুলি মন্তব্যে দেখতে পেলাম যে কোন নারী নিজ থেকে নাকি হিজাব পরেন না।
আমার আশে পাশে আমি সহ আরও অনেক ব্যতিক্রম আছে।
আমি আমার নিজের কথা বলছি, আমি আমার বয়সে আমার মা কে হিজাব পরতে দেখিনি, আমার বাবা তাকে এ ব্যাপারে উৎসাহ দেন নাই। আমি নিজ থেকে প্রাপ্ত বয়সে হিজাব পরা শুরু করি, আমার হাজবেন্ড আমার ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, উনি আমাকে এ ব্যাপারে উৎসাহ বা নিরুৎসাহ কোনটাই দেন নাই।
আমার শাশুড়ি এবং আমার হাজবেন্ড'র বোন রা কেউ কখনও হিজাব পরেনি।
আমি স্টুডেন্ট লাইফ থেকে নামাজ পড়ছি এবং ইসলামের মুল ভিত্তিগুলি মানার চেষ্টা করছি। ধর্মীয় বিশ্বাস মানুষের নীতিগত অধিকার।
আমি মাস্টারস এবং এম বি এ দুটি শেষ করে বহুজাতিক কমপানিতে ব্যবস্থাপক পদে কাজ করছি। হিজাবের জন্য আমার কর্ম ক্ষেত্রে কখন অসুবিধায় পরেছি বলে মনে পরছে না।
সচলায়তন আমার খুব পছন্দের ব্লগ, কিন্তু এতে কেন এন্টি ইসলাম কে প্রমোট করা হচ্ছে বুঝতে পারছি না।
কারন কুর আনে স্পষ্ট ভাবে পর্দার কথা বলা আছে সন্ধ্যা বাতির মন্তব্যে রেফারেন্স দেয়া তাই নতুন কোন রেফারেন্সে যাচ্ছি না।

ধর্ম মানুষকে ভাল পথই দেখায়। যে কোন ধর্ম কে নিরুৎসাহিত করার মধ্যে উন্নত চিন্তার বিকাশ ঘতে বলে আমি মনে করি না। আর সব ধর্মের নিয়ম এ নারী এবং পুরুষকে সংযত থাকতেই বলা হয়েছে।

nupurkanti এর ছবি

soptorshi:
আশা করছি এটুকু মানবেন যে বহু মেয়েদেরই হিজাব চাপিয়ে দেয়া হয়, আপনার ক্ষেত্রে ‌উল্টোটি হলেও।
ধর্মের যেটুকু বিকাশের পথ দেখায় তার চর্চা করা অতই উত্তম পন্থা, সন্দেহ নেই।
কিন্তু ধর্মেরই (বা অন্য যে কোনকিছুর) যেটুকু নিয়ে আমার মনে প্রশ্ন জাগছে তাকে "নিরুৎসাহিত" করাই বরং উন্নত চিন্তার বিরোধী।
মোটাদাগে সবধর্মের কথা বলে নারী-পুরুষকে "সংযত" থাকতে বলা আর কিছু স্পেসিফিক কোড কেবল একটি লিংগের জন্য নির্ধারণ করা এক জিনিস না।
আপনি হিজাব পরে অফিস করেন, আপনাকে পরতে মানা করলে আপনার ব্যক্তি অধিকার খর্ব হয়। যিনি পরছেননা, তাঁকে পরতে বাধ্য করলে (সামাজিক বা অন্য যে কোনভাবে) তখন কি অবিচার হয় বলে মনে করছেন কি না এটাই জিজ্ঞাস্য।
আরেকটি কথা: সাদারণভাবে যদি মনে করছেন চুল খুলে বা দেখিয়ে অফিস করলে অসংযত আচরণ করা হয় তাহলে তা স্পষ্টতই অনগ্রসর মানসিকতা।

অপছন্দনীয় এর ছবি

soptorshi

আপনি স্বেচ্ছায় হিজাব পরলে সেটাতে বাধা দেয়ার কিছু নেই, যদিও সমর্থন করবো না অন্য কারণে। তবে একই মন্তব্যে যখন আপনি লেখেন,

ইসলামের মুল ভিত্তিগুলি মানার চেষ্টা করছি।

কারন কুর আনে স্পষ্ট ভাবে পর্দার কথা বলা আছে

ধর্ম মানুষকে ভাল পথই দেখায়।

আর সব ধর্মের নিয়ম এ নারী এবং পুরুষকে সংযত থাকতেই বলা হয়েছে।

তখন মনে হয় যে আপনার "স্বেচ্ছা"র অর্থ আসলে "ধর্মে বলা হয়েছে তাই"। "ধর্মে বলা হয়েছে বলে আমি স্বেচ্ছায় পালন করি" কথাটা অনেকটা আমাদের রাজনীতিবিদদের "জনগণ চায় আমরা এই কাজটা করি" বলার মত। একটু উপরে তাকালে দেখবেন আমিই বলেছি যে যাঁরা দাবী করেন তাঁরা "স্বেচ্ছায়" হিজাব পরেন, একটু খুঁজলে দেখা যায় সেই "স্বেচ্ছা" আসলে ধর্মীয় "আদেশ" থেকেই আসে। আপনার মন্তব্য পড়ে আমার ধারণা পাল্টালো না বরং আরো শক্ত হলো, দুঃখিত। এবং আপনার আশপাশের অন্য উদাহরণগুলো খুঁজলেও আমার মনে হয়না আলাদা কিছু পাওয়া যাবে (অভিজ্ঞতা থেকে বলা, যে অভিজ্ঞতা আপনার মন্তব্যের মাধ্যমে কিছুটা হলেও সমৃদ্ধ হয়েছে)।

ব্যবস্থাপকের কাজ অথবা ডেস্ক জবই পৃথিবীতে একমাত্র কাজ নয়। হিজাব পরে কেউ ফায়ারফাইটারের কাজ করতে পারবেন না, পুলিশের কাজ ঠিকমত করতে পারবেন না, অ্যাথলেট হতে পারবেন না, কনস্ট্রাকশন ওয়র্কার হিসেবে কাজ করতে পারবেন না, কোন এঞ্জিনরুমে ডিউটি করতে পারবেন না, টেলিকম সাইট এঞ্জিনিয়ার হতে পারবেন না, পোল / টাওয়ার সম্পন্ন বেস ট্রান্সিভার স্টেশনে ইকুইপমেন্ট ইন্সটলার হতে পারবেন না - এগুলো অল্প কয়েকটা উদাহরণ। ধর্মীয় বিশ্বাস যেমন আপনার নীতিগত অধিকার, তেমনি একজন পুরুষের মতই এই পেশাগুলো বেছে নেয়াও একজন নারীর নীতিগত অধিকার - তবে ধর্ম সর্বক্ষেত্রেই এই অধিকার পায়ে মাড়িয়ে এসেছে, হিজাবের মত অস্ত্রগুলোর সাহায্যে।

আরেকটা কথা, "ইসলাম বলেছে তাই এটা ভালো, আর কোন কারণের প্রয়োজন নেই" ধারণা থেকে সরে আসলেই কেউ অ্যান্টি-ইসলামিক হয়ে যায় না। বিশ্বাস আর অন্ধবিশ্বাস আলাদা ব্যাপার।

soptorshi এর ছবি

অপছ্ন্দনীয়

ইসলাম কে আমি ধর্ম হিসাবে নিয়েছি সেটাই তো স্বেচ্ছায়। কোন মতবাদকে বিশ্বাস করা যে কারও নিজেস্ব স্বাধীনতা। সেটা রাজনৈতিক হতে পারে, ধর্মীয় হতে পারে বা অন্য যে কোন বিষয়ে। আপনার ধারনা পালটানো আমার উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু আমি মনে করি প্রত্যেকের নিজেস্ব মতামত যেমন জরুরী তেমনি অন্যের বিশ্বাস কে শ্রদ্ধা করাটা ও মুক্ত মনের পরিচয়, যতক্ষণ না আপনি তা দ্বারা ক্ষতি গ্রস্ত।

আপনার বোধ হয় বেবস্থাপক পদ সম্পর্কে সুস্পস্ট ধারনা নাই। প্রোডাকশানেও ম্যানেজার থাকে। আমাকে ফ্যাক্টরি তে যেতে হয় এবং সাইট ভিজিট করতে হয়। আমি পিওর সাইন্সের স্টুডেন্ট। শিক্ষা জীবনের অনেকটা কাটিয়েছি ল্যাবে। আমার মন্তব্য করার উদ্দেশ্য কারও মত পরিবর্তন নয়।
শুধু জানানো যে অনেক শিক্ষিত নারী এমন কি আমার পরিচিত অনেক উচ্চ শিক্ষিতা নারী আছেন যারা বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করছে তারাও স্ব ইচ্ছায় হিজাব করছেন। আমি একজন ইরানী বংশদ্ভুত নারী কে চিনি যে হিজাব পরে ওয়াইট হাউসে কাজ করেছেন। যদি সেখানে তা মেনে নেয়া যায় তাহলে আপনারা বাঙ্গালী হয়ে এতটুকু মুক্ত মনের পরিচয় দেবেন না কেন যে যার ধর্মীয় মতবাদ মেনে চলবে।

Nupurkanti

কারও ব্যক্তিগত স্বাধিনতা খর্ব করায় আমি বিশ্বাসী নই। কাউকে কোন কাজে বাধ্য করার পক্ষপাতি আমি নই।

শুধু মুসলিম নারী নয় সারা পৃথিবীর বহু নারী সমাজ নিগৃহীত। হুমায়ূন আজাদের "নারী" বইটি পড়তে পারেন। আর স্পেসিফিক কোডগুলি কিন্তু অন্য ধর্মে আরও বেশি হয় তো আপনার জানা নেই, আমি আমার দাদীর মুখে শুনেছি যে হিন্দুবাড়ি তে বউদের চেহারা নাকি শত চেষ্টা করেও দেখা যেত না। ইন্ডিয়ার কিছু গ্রামে আলট্রা সন করে মেয়ে দেখা গেলে ভ্রুন হত্যা করা হয়, এরা কিন্তু মুসলিম না। মুসলিম নারীরা পর্দা করেও কাজ করেন এবং আপনার সামনে অনুশাসন পালন করেন দেখে আপনি বলতে পারছেন। মিডিয়ার বাইরে এখন ও বহু সমাজ আছে যেখানে নারীদের অবস্থা ভয়াবহ।

অপছন্দনীয় এর ছবি

ইসলামকে আপনি স্বেচ্ছায় ধর্ম হিসেবে নিতেই পারেন (যদিও সেটা আসলে কতটা স্বেচ্ছা জানি না) - কিন্তু তার পরে যখন স্রেফ ইসলাম বলেছে বলে কিছু করবেন তখন আর সেই কাজটা "নিজের ইচ্ছা" থাকে না। আমি এটুকুই বোঝাতে চাইছি - আপনি স্বেচ্ছায় হিজাব বেছে নেননি, ইসলাম বলেছে বলে নিয়েছেন - এবং আমি প্রথম থেকেই "স্বেচ্ছায়" হিজাব ধারণকারীদের সম্পর্কে এই কথাটাই বলে আসছি, আপনি পরোক্ষে আমার কথাকে সমর্থনই করেছেন শুধু। আপনার পরিচিত উচ্চশিক্ষিত নারীরাও যদি "ইসলাম বলেছে হিজাব করতে সুতরাং আমি স্বেচ্ছায় হিজাব করেছি" মনোভাবের হয়ে থাকেন তাহলে তাঁদের ক্ষেত্রেও নতুন কিছু বলার নেই।

কিন্তু আমি মনে করি প্রত্যেকের নিজেস্ব মতামত যেমন জরুরী তেমনি অন্যের বিশ্বাস কে শ্রদ্ধা করাটা ও মুক্ত মনের পরিচয়, যতক্ষণ না আপনি তা দ্বারা ক্ষতি গ্রস্ত

যতক্ষণ না আমি বা অন্য কেউ তা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত - এবং এই কারণেই আমি হিজাবের সমর্থক নই। উপরের মন্তব্যগুলো দয়া করে দেখলে কারণটা পাবেন, বারবার সেটার পুনরাবৃত্তি করে আপনার এবং অন্যদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিতে চাই না। এই পোস্টের একদম প্রথম মন্তব্যটা দেখতে পারেন ইচ্ছে হলে।

ব্যবস্থাপক পদ সম্পর্কে আমার যথেষ্ট ভালো ধারণা আছে - পৃথিবীর প্রথম স্তরের কিছু মাল্টিন্যাশনালের এমপ্লয়ী হিসেবে বাংলাদেশ এবং বিদেশে কাজ করতে হয়েছে আমার - এবং সেখানে পার্থক্যটা খুব সুস্পষ্টভাবেই চোখে পড়েছে। ফ্যাক্টরী ভিজিট ডেস্ক জব হয়তোবা না, কিন্তু আমি যে ফিল্ড জবগুলোর কথা বলেছি তা-ও না। এঞ্জিনরুমের সাথে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ল্যাবরেটরীর তুলনা হয় না। এবং ফ্যাক্টরীতে কাজ করা আর সেটা ভিজিট করা সম্পূর্ণ আলাদা ব্যাপার। টেলিকম সাইট এঞ্জিনিয়ারের যখন তখন পঞ্চাশ মিটার থেকে একশ' দশ মিটার টাওয়ার বেয়ে উঠতে হয় এবং তাদের পোশাকে কোথাও আটকে যেতে পারে এরকম কিছু থাকা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ - পারবেন হিজাব আর বোরখা নিয়ে সেই কাজটা করতে?

হোয়াইট হাউস আমার দৃষ্টিভঙ্গী ঠিক করে দেয় না। আপনি যদি আমাকে হোয়াইট হাউসে হিজাবীর উদাহরণ দেখাতে পারেন, আমিও ফিরিয়ে আপনাকে প্রশ্ন করতে পারি হোয়াইট হাউসে অনেক নারী স্কার্ট পরে কাজ করেন, তাঁরা যদি ঐ পোশাক গ্রহণ করতে পারেন তাহলে আপনি করতে পারেন না কেন? আমি প্রশ্নটা করছি না কারণ এই ধরনের প্রশ্নের কোন অর্থ নেই। হোয়াইট হাউস এক সময়ে নাৎসীদেরকেও হয়তো ভেতরে ঢুকতে দিয়েছে, তাই বলে নাৎসীজম গ্রহণযোগ্য হয়ে যায় না।

কারো ধর্মীয়, রাজনৈতিক অথবা অন্য কোন মতামত যতক্ষণ আমাকে, আমার কাছের মানুষজনকে অথবা সাধারণভাবে কোন জনগোষ্ঠিকে আঘাত না করছে এবং কারো প্রতি কোন অবিচারকে সমর্থন না করছে ততক্ষণ আমি সেই মতবাদের প্রতি সম্মান দেখাতে রাজি আছি। কিন্তু ব্যক্তিগত ব্যাপারের নামে যখন আমার কাছের মানুষ অথবা পৃথিবীর সব নারীর অধিকারকে পায়ে মাড়ানো সমর্থন করা হবে তখন সেটার প্রতি সম্মান দেখানোর কোন প্রশ্ন আসে না।

আপনার মতামতকেও আমি পাল্টাতে চাচ্ছি না - সেটা সম্ভবও নয়। শুধু এটুকু বলতে পারি, "ব্যক্তিগতভাবে" আপনি যতদিন আমার প্রিয়জনদের অধিকারকে পায়ে মাড়ানোর সমর্থন দিয়ে যাবেন, আমিও ততদিন সেটার প্রতিবাদ করেই যাবো।

soptorshi এর ছবি

দেখুন আপনি যেসব কাজের কথা বলছেন ইসলাম নারী কে সেসব কাজে বাধা দেয় না, তা যদি কাজের প্রয়োজনে হয় সে অবশ্যই উপযুক্ত পোশাক পরতে পারবে এবং এ ধরনের পোশাক সাধারণত ক্যাপ বা টুপি যুক্ত হয়ে থাকে বলে জানি। তার পরেও ইসলামে যে কোন কাজের ফলাফল তার নিয়ত বা উদ্দেশ্যের উপর নির্ভরশীল, এটা স্পষ্ট হাদিস। মেয়েদের মডেলিং বা এক্সপোসড কোন পেশায় যেতে বারন করা হয়েছে, আর কোন নিষেধ নাই।কারন ইসলাম একটি কমপ্লিট লাইফস্টাইল, এতে এমন কঠিন কিছু নাই জা মানা অসম্ভব, যেহেতু এটা মানুষএর তৈরি নয়। হয়ত আমাদের মৌলবি রা আমার সাথে একমত হবে না।
মুসলিম রা নামাজ পরে কেন? অবশ্যই ইসলাম বলেছে তাই, আপাত দৃষ্টি তে আমি এর আর কোন প্রয়োজনীয়তা তো দেখছি না, তারপর ও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হাজার মসজিদে কোটি মুসলিম নামাজ পরে। হ্যাঁ আমি অবশ্যই হিজাব পরি কারন আমি ইসলাম প্রাক্টিস করি এবং স্বেচ্ছায় করি।

আর অফিসে কেউ শর্ট স্কারট পরলে আমি বাধা দিব না, তেমনি হিজাব পরলেও বাধা দিব না। অন্য কেউ পরেছে বলে তাকে ফলো করতে হবে কেন? এখানে স্কারট বলছি না কারন স্কারট পরেও অনেক রাশিয়ান নারী হিজাব পরেন, স্কারট প্রা যাবে না ইসলামে এমন ব্যাপার লেখা নাই।

আগে পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষই কোন না কোন ধর্মে বিশ্বাসী ছিল। প্রথা গুলো মানত এবং যার যার ধর্ম মানাটা স্বাভাবিক মনে করত। কিন্তু আধুনিক শিক্ষিত কিছু জনগোস্টি ধর্ম বিশ্বাসকে কুসংস্কার মনে করে, কোন ধর্ম মানছে না। আমার সাথে এক চাইনিজ বুদ্ধিস্ট এর পরিচয় ছিল যার মেয়ে নিজেকে খ্রিস্তান বলে। তার মানে এই নয় যে সে বাইবেল পড়ে বা মানে, শুধু মাত্র ক্রিসমাস পালন করার মধ্যেই তার ধর্ম মানা সীমাবদ্ধ। সেটা তাদের ব্যক্তি গত ব্যাপার, এতে আমার কিছু বলার নাই, কিন্তু কেউ যদি তার ধর্ম অনুসরণ করে তাকে বাঁধা দেয়াটা আমার কাছে সমীচীন নয়।

যাই হোক এই তর্কের কোন শেষ নেই, তাই এ পোস্টে মন্তব্য করতে চাই নি। শুধু এটা দেখে বিরক্ত লাগছিল বারবার সবাই বলছে যে নারী দের জোর করে হিজাব পরানো হয়, কারন আমি নিজেই এর ব্যতিক্রম।

কৌস্তুভ এর ছবি

হ্যাঁ, উল্টোপাল্টা ভ্রান্তযুক্তি গুঁজে দিয়ে তর্ক না বাড়ালেই পারতেন। আপনার 'ইচ্ছা' আপনি হিজাব পরবেন, তার মধ্যে "অন্যের বিশ্বাস কে শ্রদ্ধা করাটা ও মুক্ত মনের পরিচয়" টাইপের ভুলভাল কথাবার্তা না আনলেই পারতেন। এখন আমিও বলি, আমি যদি বিশ্বাস করি যে রোজ সকালে আমার কান থেকে একটা সোনার পাখি উড়ে বেরিয়ে আসে, আর আপনি যদি সেটাকে গাঁজাখুরি বলে মনে না করেন, তাহলেই বরং আপনার মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে হবে। আমি যদি বিশ্বাস করি, যে আপনার একটা ভাল্লুকের সাথে অ্যাফেয়ার আছে, আপনি সেটাকে বসে বসে শ্রদ্ধা করুন তো দেখি। তাই গাঁজাখুরি একশ'জনে বিশ্বাস করলেও গাঁজাখুরিই থাকে। সচলে যৌক্তিক ভিন্নমতকে সম্মান দেওয়া হয়, বলদার্গুকে নয়।

আর একটা কথা, আপনার বোধ হয় বাংলা বানান সম্পর্কে সুস্পস্ট ধারনা নাই। এটা ভালো কথা নয়। একটু চেস্টিত হন এ বিষয়ে।

যাচাই করা হয়নি এর ছবি

দাদা,

বানানটা কি "সুস্পষ্ট" হবে? আমি ঠিক জানিনা, মাইরি বলচি ।

কৌস্তুভ এর ছবি

হুম, ওই একটা বাক্যের মধ্যেই সুস্পষ্ট, ধারণা, ব্যবস্থাপক ইত্যাদি তিনখানা বানানভুল ঢুকে পড়েছে, আরো কত রয়েছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে...

অপছন্দনীয় এর ছবি

সাথে চেস্টিত-ও আছে মন খারাপ

কৌস্তুভ এর ছবি

নাহ, ওনার "আপনার বোধ হয় বেবস্থাপক পদ সম্পর্কে সুস্পস্ট ধারনা নাই" এর স্টাইলকে অনুরসরণ করে চেস্টিত-টা আমারই সৃষ্টি...

অপছন্দনীয় এর ছবি

১।

হ্যাঁ আমি অবশ্যই হিজাব পরি কারন আমি ইসলাম প্রাক্টিস করি এবং স্বেচ্ছায় করি।

এই আপনিই না বলেছেন-

আমি আমার নিজের কথা বলছি, আমি আমার বয়সে আমার মা কে হিজাব পরতে দেখিনি, আমার বাবা তাকে এ ব্যাপারে উৎসাহ দেন নাই। আমি নিজ থেকে প্রাপ্ত বয়সে হিজাব পরা শুরু করি, আমার হাজবেন্ড আমার ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, উনি আমাকে এ ব্যাপারে উৎসাহ বা নিরুৎসাহ কোনটাই দেন নাই।

?

কারণটা যখন ইসলাম, আপনার প্রতি অনুরোধ থাকলো হিজাবের ক্ষেত্রে "স্বেচ্ছা" টার্মটার অপব্যবহার না করার জন্য। পরস্পরবিরোধী কথা না বলে দয়া করে স্বেচ্ছা শব্দটা সঠিক অর্থে ব্যবহার করুন। এ পর্যন্ত আমি উপরে স্বেচ্ছা হিজাবধারীনীদের সম্পর্কে ঠিক যা বলেছি, আপনিও ক্রমাগত তা-ই বলে যাচ্ছেন - অথচ বলছেন কিনা আমার কথার উল্টোটা দাবী করেই!

ইসলাম নিয়েও বললে অনেক কিছুই বলা যায়, এড়িয়ে যাচ্ছি এই পোস্টের মূল ফোকাস ওইদিকে নয় বলে।

২।

অন্য কেউ পরেছে বলে তাকে ফলো করতে হবে কেন?

করতে হবে না। নিচের এই লাইনগুলো আপনারই লেখা - আমাকে অন্য কেউ কিছু মানে বলে সেটা মানার কথা না বললেই পারতেন। আপনি নিশ্চয়ই বলতে চান না যে অন্য কেউ করে বলে আপনি ফলো করতে বাধ্য নন কিন্তু অন্য কেউ করে বলেই আমার তাকে ফলো করা উচিত?

আমি একজন ইরানী বংশদ্ভুত নারী কে চিনি যে হিজাব পরে ওয়াইট হাউসে কাজ করেছেন। যদি সেখানে তা মেনে নেয়া যায় তাহলে আপনারা বাঙ্গালী হয়ে এতটুকু মুক্ত মনের পরিচয় দেবেন না কেন যে যার ধর্মীয় মতবাদ মেনে চলবে।

৩। শর্ট ড্রেস পরা যাবে না এরকম কথা লেখা আছে। ওটা গ্রহণ করলে পুরো তথাকথিত পর্দার বিপক্ষে চলে যায়।

৪।

মেয়েদের মডেলিং বা এক্সপোসড কোন পেশায় যেতে বারন করা হয়েছে, আর কোন নিষেধ নাই।

হ্যাঁ, তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে এক্সপোজড পেশার নিষেধ নেই। এটাকেই ডিসক্রিমিনেশন বলে। প্লাস মেয়েদের ক্ষেত্রে এই হিজাব নামক অপ্রেশন চাপিয়ে দিয়ে অনেক পেশাই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে - সেগুলোর আংশিক একটা লিস্ট উপরে দিয়েছি, চাইলে আরেকবার দেখে নিতে পারেন। ওই পেশাগুলোর কয়েকটাতে ক্যাপ বা হেলমেট থাকলেও তাতে সম্পুর্ণ চুল ঢাকা পড়ে না এবং কয়েকটাতে আঁটো পোশাক পরার প্রয়োজন পড়ে - সমর্থন করবে আপনার ধর্ম? "নারীর জন্য পুরুষের সব পেশা গ্রহণ করার অনুমতি আছে, কিন্তু হিজাব করতে হবে" আর "পুরুষের মতই নারীর সব খাবার খাওয়ার অনুমতি আছে, কিন্তু নিরামিষাশী হতে হবে" একই কথা - এবং দুইটাই পরিষ্কার ভন্ডামি।

৫।

কারন ইসলাম একটি কমপ্লিট লাইফস্টাইল, এতে এমন কঠিন কিছু নাই জা মানা অসম্ভব, যেহেতু এটা মানুষএর তৈরি নয়।

তা ঠিক। এমনকি পুরুষদের মাঝে যারা লুচ্চা, তাদের জীবন সহজ করার জন্য চারখানা বিয়ে করা, দাসীর সাথে যৌনসম্পর্ক, বউকে বিছানায় তুলতে না পারলে ধরে পেটানো - এগুলোও কমপ্লিট শুদ্ধ লাইফস্টাইলেরই অংশ। এগুলো মানা অসম্ভব তো নয়ই, বরং অত্যন্ত সহজে সম্ভব।

(জেনারেল ইসলাম সম্পর্কিত কথা এড়াতে চাচ্ছিলাম, পারা গেলো না।)

৬।

মুসলিম রা নামাজ পরে কেন? অবশ্যই ইসলাম বলেছে তাই, আপাত দৃষ্টি তে আমি এর আর কোন প্রয়োজনীয়তা তো দেখছি না, তারপর ও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হাজার মসজিদে কোটি মুসলিম নামাজ পরে।

অন্ধবিশ্বাসীদের কাছে অন্য কোন প্রয়োজন থাকার দরকার পড়ে না - তবে যাঁরা অন্ধবিশ্বাসী নন তাঁরা বোধহয় নামাজের কিছু প্র্যাক্টিক্যাল ইউটিলিটি বলে থাকেন। এরকমই কোটি অন্ধবিশ্বাসী একদিন নাজি চিহ্ন হাতে জড়িয়ে রাস্তায় হেঁটেছে, আরো কোটি মানুষকে খুন করেছে - সবই বিশ্বাসের জন্য, যুক্তির জন্য নয়।

৭।

কিন্তু কেউ যদি তার ধর্ম অনুসরণ করে তাকে বাঁধা দেয়াটা আমার কাছে সমীচীন নয়।

সমীচীন নয় যতক্ষণ আপনার ধর্ম কারো কোন ক্ষতি না করছে। আপনার ঈশ্বরের নামে আপনি অন্যকে আঘাত করবেন, আর তারপরে আশা করবেন আপনার ধর্মবিশ্বাসের প্রতি অন্যেরা সম্মান দেখিয়ে আপনাকে পালটা আঘাত করা থেকে বিরত থাকবে, এতটা চাওয়া একটু বেশি হয়ে গেলো।

উপরে বলা একটা কথার আবার পুনরাবৃত্তি করি। সাধারণক্ষেত্রে আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। কিন্তু হিজাবের প্রচলন একটা ডিসক্রিমিনেটরি সাইন হিসেবে - এবং হিজাব যিনি পরেন, তিনি সেই ডিসক্রিমিনেশনকে সমর্থন করেন। "ব্যক্তিগত"র মোড়কে পুরে আপনি যতদিন আমার প্রিয়জনদের অবমাননা করতে আসবেন, ততদিন পর্যন্ত আমার কাছে থেকে পালটা আঘাত আপনার সহ্য করতে হবে। করতে হবে কারণ আমি কাপুরুষ নই - ঈশ্বর বা অন্য কারো সন্তুষ্টির জন্য নিজের মা, বোন বা স্ত্রীর সম্মান বিসর্জন দেয়া অতিধার্মিকের পক্ষে সম্ভব, আমার পক্ষে নয়। আপনি হিজাব পরে আমার প্রিয়জনদের অবমাননাকে সমর্থন করছেন - ঠিক যেভাবে আপনি পাকিস্তানী পতাকা নিয়ে ঘুরলে একাত্তরের সব অবিচারের সমর্থন করবেন বা নাজি চিহ্ন "ব্যক্তিগতভাবে" ব্যবহার করলে অনেক অনেক মানুষের প্রতি অবিচারের সমর্থন করবেন তেমনি।

রু (অতিথি) এর ছবি

মুসলিম রা নামাজ পরে কেন? অবশ্যই ইসলাম বলেছে তাই, আপাত দৃষ্টি তে আমি এর আর কোন প্রয়োজনীয়তা তো দেখছি না, তারপর ও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হাজার মসজিদে কোটি মুসলিম নামাজ পরে। হ্যাঁ আমি অবশ্যই হিজাব পরি কারন আমি ইসলাম প্রাক্টিস করি এবং স্বেচ্ছায় করি।

সপ্তর্ষী, কথা বাড়ানোর জন্য না, আপনার একটা কথা একটু চোখে লাগলো তাই লিখছি। নামাজ পড়া ফরয, কিন্তু হিজাব পড়া ফরয বা সুন্নত কোন ক্যাটাগরিতেই পড়ে না। বরং নিজেকে ঢেকেঢুকে রাখার সাথে একজনের ঈমানের সমানুপাতিক সম্পর্ক তৈরি করার কোন যুক্তি আমি দেখি না। যে নিজেকে (দুঃখজনকভাবে শুধু মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য) যত বেশি ঢেকে রাখবে, তাঁর ঈমান তত বেশি মজবুত, এরকম ধারণার কারন কী?

আমি নিজেও কিন্তু যথাসাধ্য ইসলাম প্র্যাক্টিস করি, প্লিজ ধরে নিবেন না যে আপনার বিরোধিতা করার জন্যই লিখছি।

soptorshi এর ছবি

রু আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনি ইসলাম প্র্যাকটিস করেন বলেছেন বলেই বলছি মুসলিম নারীদের জন্য মাথা ঢাকা ফরয, বিস্তারিত নিচের লিংকটিতে দেখতে পারেন।

http://www.questionsonislam.com/question/wearing-headscarf-fard-islam

nupurkanti এর ছবি

soptorshi:
আপনার মন্তব্যের প্রথম বাক্যের জন্য ধন্যবাদ।
দ্বিতীয় প্যারায় যা বললেন তা অপ্রাসংগিক। আমি কিন্তু কোনভাবেই বলতে চাইনি যে শুধু মুসলিম নারীরাই নিগ্রহের স্বীকার।ভুল বুঝলেন ও বিপরীতে হিন্দু সমাজের উদাহরণ টেনে এনে কি বোঝাতে চাইলেন, মুসলিম নারীরা তুলনামূলকভাবে ভালো আছে?
আপনি হয়তো কাউকে বাধ্য করার পক্ষপাতী নন, কিন্তু ধর্মের নামে সমাজ যখন তা করছে তখন আপনার অবস্থান কি? আপনি কি প্রতিবাদ জানাবেন?

soptorshi এর ছবি

আমি ও কিন্তু বলতে চাইনি মুসলিম নারীরা ভাল আছে, আপনি আমার পোস্টের উদ্দেশ্যেই বুঝতে করলেন।
কোন সমাজে এবং কখনই কাউকে বাধ্য করার পক্ষপাতী আমি নই। বিশেষত পুরুষদের দ্বারা নারীদের শোষণ, যেটা মুসলিম সমাজে অবশ্যই হয়। এখানেই অধিকাংশ (সম্ভবত) মুসলিম পুরুষরা বলেই যাচ্ছেন, কিন্তু ক'জন নারী মাত্র লিখছেন তারা হিজাব চান কি চান না?

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

সুলিখিত পোস্ট, নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি। চলুক

ব্যক্তিগত কিছু কথা বলিঃ
বোরকা একটা যন্ত্রণাদায়ক পোশাক মেয়েদের জন্য। আমি তো চিন্তাই করতে পারি না একটা মানুষ কীভাবে এমন বস্তার মত কাপড় দিয়ে সারা শরীর ঢেকে রাখে, গরমে সিদ্ধ হয়ে যেয়েও এই অত্যাচার সহ্য করে!!! নিজের শরীরের উপর এই রকম অত্যাচার-নির্যাতন করার কোন মানেই হয় না!!!

যদিও একজন নারী তার ইচ্ছাধীন যে কোন পোশাকই পড়তে পারে, তবু আমি বোরকা বা পাবলিকলি ন্যুডিটি কোনটিকেই সমর্থন করি না। পোশাক হবে ভদ্র, কমফর্টেবল।

আসলে সুশিক্ষাই এইসব বোরকা টাইপ প্রিজুডিস দূর করতে পারবে!!! নারীকে সুশিক্ষিত করে তুলতে হবে!!!


_____________________
Give Her Freedom!

guesr_writer rajkonya এর ছবি

নিজের শরীরের উপর এই রকম অত্যাচার-নির্যাতন করার কোন মানেই হয় না!!!

এটার উত্তর হলো, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নিজেকে তো কিছু কষ্ট করতেই হবে। এখানে আমার প্রশ্ন, আল্লাহর সন্তষ্টি কি শুধু নারীদেরই অর্জন করতে হবে? পুরুষদের জন্য তো বিধি নিষেধ আছে! কই তারা তো দৃষ্টি সংযত রাখার প্র্যাক্টিস করেন না! (আমি সব পুরুষকে এখানে টেনে আনছি না)। তাদের সন্তুষ্টি অর্জনের কী হবে? এই প্রশ্নের উত্তর হলো, পুরুষদের জন্য দৃষ্টি সংযত রাখাটা খুবই কষ্টকর, এত সহজ নয়। আবার প্রশ্ন- বোরখা পড়াটাও তো খুবই কষ্টকর, এত সহজ নয়? উত্তর রেডি-- পুরুষেরা সন্তষ্টি অর্জন করার চেষ্টা করবে না বলে কি নারীরাও করবে না নাকি?

অর্থাৎ, কথা পরিষ্কার। যত নিয়ম কানুন আছে, সব শুধু নারীকেই পালন করতে হবে। ইচ্ছা থাকুক বা না থাকুক। পুরুষেরা নিয়ম পালন করবে কি, করবে না, সেটা সম্পূর্ণ তাদের ইচ্ছা।

পোশাক হবে ভদ্র, কমফর্টেবল।

চলুক

মৃত্যুময় ঈষৎ(Offline) এর ছবি

কেন যেন বুঝলামই না, কী বোঝাতে চাইলেন!!!

নিজের বিবেক-বিচার-বুদ্ধি-বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ উত্তম। আর কিছু না বলি।

অপছন্দনীয় এর ছবি

আসলে সুশিক্ষাই এইসব বোরকা টাইপ প্রিজুডিস দূর করতে পারবে!!! নারীকে সুশিক্ষিত করে তুলতে হবে!!!

হ্যাঁ তবে সুশিক্ষা স্রেফ সু-সার্টিফিকেটে রূপ নিলে (নারী পুরুষ উভয় ক্ষেত্রেই) "আমি "স্বেচ্ছায়" হিজাব পরি কারণ ইসলাম পরতে নির্দেশ দিয়েছে" জাতীয় কিম্ভুত খিচুড়ির সৃষ্টি হয়। সমস্যাটা সেখানেই।

মৃত্যুময় ঈষৎ(Offline) এর ছবি

পছন্দনীয়দা, এজন্যই শিক্ষার আগে একটা 'সু' যোগ করেছিলাম। শিক্ষা না পারলেও সুশিক্ষা মনে হয় মন থেকে সংস্কার দূর করতে পারে।

জনি এর ছবি

কেহ বিদেশে অর্থাৎ ইউরোপ বা আমেরিকাতে থাকে তথা উন্নতদেশ গুলিতে থাকে তারা সেইসব দেশে থেকে সেই সব দেশের কালচারে চিন্তা চেতনায় অভ্যন্ত হয়েছে, বিদেশের মাটিতে বসে বা দেশে বসে বিদেশিদের চিন্তা চেতনা ধারন করা খারাপ কোন কাজ নয়, তবে ভাল মন্দ বুঝার ক্ষমতা সবারই কম বেশি আছে, আমি বুদ্ধিজীবি সেজে আমার মত প্রকাশ করতে পারি, কিন্তু ভিন্ন মতের উপর চাপ প্রয়োগ করা নিজের দন্যতারই বহিঃপ্রকাশ। নিজে সম্যক জ্ঞান না নিয়ে অন্যকে চাপ প্রয়োগ আর একটি গুয়ার্তুমি মনে করি। যে নিজেকে বাম বা উদার মনে করে সে ডান চিন্তাধারার বাহকে বলবে ভুল পথে গিয়ে জীবন শেষ করছে, আবার ডান পন্থী বলবে, ওর সাথে কথা বলে কি হবে ও তো নাস্তিক। আমি মনে করি কোন কিছুই চরম হওয়া ঠিক নয়। আইন করে বোরখা পরা নিষিদ্ধ করা ঠিক যেমন চরম ধর্মবিদ্বেষি কাজ, তেমনি যে সব বোরখা মুখ, চোখ, হাত, পা ডেকে দেয় তাও চরম পন্থা বলে মনে করি। মুখমন্ডল, হাত কবজি অবধি, পা গিরা অবধি মুক্ত থাকা মনে হয় নিষেধ নাই। তবে বোরখা পরুক বা না পরুক, শালীন পোশাক যা উগ্রতা বা আবেদনময়ীতা প্রকাশ করেনা তা পরলেও মনে হয় সমস্যা নেই। তা পুরুষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। গিরার উপরে, হাটুর নিচে, এবং উর্ধাঙ্গ ঢাকা। তবে, সার্বিক শিক্ষার উন্নয়ন না করে, শুধু বোরখা খুলে বা বোরখা পরে স্বাধীনতা আসবেনা। সার্বিক শিক্ষার উন্নয়ন বলতে, অন্যান্য সব শিক্ষার পাশাপাশি ধর্ম শিক্ষারও প্রয়োজন আছে। যা ব্যাক্তি জীবন ও সামাজিক শৃঙ্খলার জন্য জরুরি। অবশ্য নিজে নিজে উদার ধর্ম সৃষ্টিকারিরা এর সাথে একমত না। তারা যে কিসে শান্তি পাবে তা নিজেরাও জানে না। বোরখা পারলেই কট্টরপন্থি, না পরলে ( শালীন পোষাক পরলেও) দোযগবাসী তা মনে হয় না। সেই সাথে বোরখা পরলে যে নারী মুক্তি হবে না তাও মনে করিনা। সবার আগে সার্বজনীন শিক্ষার ব্যবস্থা, এরপর নারী ঠিক করবে কিসে তার মুক্তি। তা বলে উশৃঙ্খলাকেও বাহবা দেয়া যায় না। উন্নত রাষ্ট্রে তুলনামূলক পারিবারিক বন্ধন, আমি মনে করি দুর্বল ( বিদেশীদের মাঝে)। বোরখা কেবল একটা পোশাক। এটা জ্ঞান বিজ্ঞানের অন্তরায় হবার কথা না।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আপনার এই লেখাটা আমার খুব কাজে লাগেব
সাম্প্রতিককালে আমি এই বিষয়গুলোর উপর নোট সংগ্রহ করছি একটা কিছু লেখার জন্য
সাধারণ চোখে আমার কাছে হঠাৎ করেই বাঙালিদের অতিমুসলিম হওয়ার প্রবণতাটা বেশ প্রকটভাবে চোখে পড়ছে

০২

নিজেকে লুকানোর জন্যও শহুরে অনেক তরুণী হিজাব স্বেচ্ছায় হিজাব পরেন'
বিশেষত যাদের চলাচলের উপর আশেপাশে নিষেধাজ্ঞা দেবার মতো কিংবা তাদেরকে চোখে চোখে রাখার মতো লোক বেশি তারা... (স্বাধীনতা উপভোগের বিকল্প উপায়?)

হিজাব ব‌্যবহার করা কয়েকজনের সাথে আলাপ করে এই কারণটাকেও আমি একটা কারণ হিসেবে পেয়েছি

পাঠক এর ছবি

জ্বী, অনেক সেলিব্রেটিরাও রোরখার আড়ালে নিজেকে ভক্রদের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখেন বলে শুনেছি।

দুর্দান্ত এর ছবি

১। হিজাব হল মিনিস্কার্ট, দুই-টুকরা বিকিনির মত আরেকটি অফ দা পুরুষ, ফর দা পুরুষ (চোখের সুখ), বাই দা পুরুষ - পোষাক। এগুলোতে অন্যান্য পোষাকের চাইতে আলাদা করে নারীর কোন সুবিধা হয়, তার কোন প্রমান আমার জানা নেই।

২। নারী যা ইচ্ছা তাই পরিধান করুন। তাকে তার মাতের বিরুদ্ধে কেউ যদি কোন পোষাক পরিধানে বাধ্য করে, তাহলে সেই মানুষটির বিচার হওয়া উচিত। ফ্রান্সের হিজাব আইনে এইরকম পুরুষকে লক্ষ করেই।

৩। একজন নারী নানান কারনে নিজেকে ঢেকে রাখতে আগ্রহী হতে পারেন। তার শরীর তিনি কিভাবে প্রদর্শন করবেন, বা করবেন না সেটা তার ইচ্ছা। কিন্তু ধর্মের অনুশাসন বা পুরুষের লোলুপ দৃষ্টি - এই দুটোর কোনটিই পরিচয় গোপন করার মত চেহারা ঢাকার জন্য যথেষ্ট কারন হতে পারেনা।

রিশাদ_ ময়ূখ এর ছবি

জোর করে চাপিয়ে দেওয়াটা অবশ্যই পরাধীনতা, এতে বিন্দুমাত্র কনফিউশন নেই, কিছু নেই। কেউ যদি নিজ থেকে পড়তে চায়, সেটা ভিন্ন কথা

অপছন্দনীয় এর ছবি

উপরের মন্তব্যগুলোর দিকে তাকালে নিজ থেকে কথাটার একটা অল্টারনেট ডেফিনিশন পাবেন।

সন্ধ্যাবাতি এর ছবি

না বলে পারলাম না, আপনি দুই টা বেপার গুলিয়ে ফেলছেন।

ধরুন আপনার রাতে দেরী করে বাসায় ফিরতে ভালো লাগে, কিন্তু আপনার মা পছন্দ করেন আপনি রাতে দশটার মধ্যেই বাড়ি ফিরেন।

মাকে খুশি করার সিদ্ধান্তটা 'সেচ্ছায়' নিয়ে ফেলার পর একজন প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে বাড়ি আগে ফিরলে কাজটাকে সেচ্ছায় করা বলে।

(বানান ভুল = জিমেইল ফোনেটিক্স)

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

পাগল নাকি আপনি!? কাউকে খুশী করার জন্য কিছু করা হচ্ছে কমপ্লায়েন্স বা কম্প্রোমাইজ। নিজের খুশী মতো কিছু করা হচ্ছে স্বাধীনতা।

অপছন্দনীয় এর ছবি

আপনাকে একটা কাউন্টার এগজ্যাম্পল দেই, ধরুন আমি সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় কোন দেশের নাগরিকত্ব নিলাম। এর পরপরই ওই দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লো আর সরকার নির্দেশ দিলো সকল সক্ষম নাগরিককে সেনাবাহিনীতে নাম লেখাতে হবে - আপনার কি মনে হয়? এই সেনাবাহিনীতে ঢোকাটা আমার নিজের ইচ্ছা? (উত্তরটাও দেই, না- এটা নিজের ইচ্ছা নয়, এটা রাষ্ট্রের নির্দেশ, যদিও ওই রাষ্ট্রের অনুগত হওয়াটা স্বেচ্ছায় ছিলো)

এবার আপনার উদাহরণ, মা পছন্দ করেন রাত দশটায় ফিরবো সেই জন্য বন্ধুদের পার্টি ছেড়ে চলে এলাম। আমার কি পার্টিতে থাকতে ইচ্ছে করেনি? যদি ইচ্ছে না করে থাকে, তাহলে মায়ের জন্য পার্টি ছেড়ে এলাম কথাটা অর্থহীন। আর যদি ইচ্ছে করে তারপরেও জোর করে চলে আসি, সেটাকে স্বেচ্ছায় আসা বলে না (কারণ আমার ইচ্ছে করছিলো ওখানে থাকতে), বরং মায়ের জন্য কম্প্রোমাইজ বলে।

একটা অনুরোধ করি, যুক্তি নিয়ে যদি লড়তে চান, যে কোন সময় আপনি স্বাগত। উল্টোপাল্টা ফালতু উদাহরণ টেনে এনে দয়া করে নিজের এবং অন্যদের বিরক্তি না বাড়ালেই ভালো হয়।

G-Force এর ছবি

খুবই ভাল লাগলো লেখাটা এবং তারসাথে কমেন্টগুলোও।

ধন্যবাদ এস এম মাহবুব মুর্শেদ ভাইকে।

তারসাথে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই Nupurkanti, অপছন্দনীয় , পৃথ্বী, কৌস্তুভকে তাদের চমৎকার কমেন্টগুলোর জন্য... আপনাদের মত মানুষ আছে বলেই পৃথিবীটা এখনো সুন্দর...

উচ্ছলা এর ছবি

আপনার হিজাবের 'প্রকারভেদ'-এর ফটোগুলো দেখে আমি হাসতে হাসতে শেষ দেঁতো হাসি

সম্প্রতি সব পোশাকের সাথে মাথায় বড় ওড়না পরি। লক্ষ্য করেছি, এতে বিশেষত বঙালী ব্যাটাদের কূদৃষ্টি এড়ানো যায় অনায়াসে দেঁতো হাসি
আর মাথার চুলগুলোও প্রখর সূর্যালো এবং ধূলাবালি থেকে রক্ষা পায় দেঁতো হাসি

চিন্তায় থাকি  এর ছবি

এই চমৎকার লেখাটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ হাসি

ভোর এর ছবি

পর্দা প্রথা মানার কারনে মুসলিম প্রথান দেশগুলোতে পুজিবাদিরা বছরে বিলিওন ডলারের ব্যাবসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যেমনঃ বিভিন্ন রঙ ফর্সা করার ক্রিম, লোমনাশক, গহনা ইত্যাদি ইত্যাদি। ব্যাবসায়ীদের লাভ এই প্রথা বিলুপ্তিতে। সেটা আসুক নারী স্বাধীনতা বা অন্য কোনো উপায়ে।

হিমু এর ছবি

শুধু কি তাই? মুসলমান পুরুষরা দাড়ি রাখে, শেভটেভ করে না, রেজার-শেভিংফোম-আফটারশেভলোশন ইন্ডাস্ট্রিতেও মার খাচ্ছে পশ্চিমা পাজিগুলো। দেখবেন এর পরে এই তাগুতি বদমাশদের চক্রান্ত হবে পুরুষ মুসলিমদের ধরে ধরে শেভ করানো।

ভোর এর ছবি

তা যা বলেছেন দাদা। সেটাও ভেবে দেখলাম। আসলে দাড়ি তে ব্যাবসা কম। হিজাব পড়া নারীর পুরুষ সঙ্গীর দাড়ি নাও থাকতে পারে, অন্যদিকে দাড়ি ওয়ালা পুরুষের(মুসলিম) নারী সঙ্গীর হিজাব পড়ার চান্স অনেক বেশি।

আর আমি ‘পুঁজিবাদ’ বলেছি, আমার পোস্টের কথাও আপনার মত ‘পশ্চিমা’ বলিনি।

পন্য হিসেবে নারীর শরীরের চাহীদা সবসময়ই ছিলো। চাহীদা ছিলো পুরুষের কাছে, অন্য মেয়ের কাছে কিন্তূ না। সম্পদের বড় অংশ পুরুষের কাছে আছে। এই সম্পদ এরা কোনো হিজাব পরা মেয়ের পিছনে ব্যয় করবে না।

হিজাব পরিহিত নারী যে সমাজে আছে। সেই সমাজে কোনো গতি নেই। স্থির সমাজে খাবার আর ঔষধের মত কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস ছাড়া অন্যকিছু বিক্রি করা যায় না।

বাড়াতে হবে বিক্রি, আনতে হবে অনেক গতি। এমন তো নয় যে এই গতিহীন সমাজকে গতিশীল করার কোনো উপকরণ নেই। আছে, আর তাই এই পোস্ট...

ডিস্ক্লেইমারঃ আমি এখানে বাস্তবতা বলার চেস্টা করেছি শুধু। কাউকে শরীর ঢেকে রাখতে বলিনি।

দ্রোহী এর ছবি

স্থির সমাজে গতি আনার স্বার্থেই তো ৪টা পর্যন্ত বিবি রাখার বিধান করা হয়েছে। ৪ বিবিতে না পোষালে ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড হিসাবে মুতা বিয়ের উপায় আছে। এ ছাড়া দাস-দাসীদের তো সবময়ই হালাল করে রাখা হইছে।

খালি আলতা-সুনু-পাউডার দিয়েই কি ব‌্যাবসা হয়? বুদ্ধি থাকলে ধান-চাল বেচেও আলতা-সুনু-পাউডারের পয়সা তোলা যায়।

ডিসক্লেইমার: আমি কিন্তু এখানে বাস্তবতাটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছি। কাউকে নেংটো হতে বলিনি।

কল্যাণF এর ছবি

গুরু গুরু

বান্ধবী এর ছবি

আমি জানি না আপনি কোন মুসলিম প্রধান দেশের কথা বলছেন, ধরে নিচ্ছি সেটা মধ্যপ্রাচ্য। সেখানকার নারীসমাজ অসম্ভব দামী প্রসাধন সামগ্রী, গহনা ব্যবহার করে, দাম শুনলে আমাদের মাথা ঘুরে যাবে। ব্যক্তিগত একটা অভিজ্ঞতা বলি – আমার পরিচিত একজন $৫০০ দিয়ে শুধু বোরখাতে আটকানোর পিন কিনেছে এবং এধরনের দামী জিনিস সে নিয়মিত ব্যবহার করে। মেয়েটি বাঙালি, কিন্তু ছোটবেলা থেকেই মধ্যপ্রাচ্য এর একটি দেশে বড়ো হয়েছে, এখনও সেখানেই থাকে। প্রসাধন সামগ্রী, গহনা, পোশাকের পেছনে তার বাৎসরিক খরচ কতো হতে পারে সেটা আন্দাজ করুন। আর অন্যান্য আরব, ধনী পরিবারের মেয়েদের কথা বাদই দিলাম।

আপনি যদি ভেবে থাকেন যে পর্দা প্রথার সঙ্গে প্রসাধন সামগ্রীর বাণিজ্যের কোন সম্পর্ক আছে, তাহলে আমি বলবো – ঘুম থেকে জেগে উঠুন।

পদ্মজা এর ছবি

একটা মজার জিনিষ মনে পড়লো, যারা পর্দার পক্ষে এই যুক্তি দিতে ভাল্বাসেন যে এটা বদ লোকের কুচিন্তা উদ্রেককারক নয়, তাই নারীর জন্য নিরাপদ - তাদের বলি, আরবে আমি নিজে দেখেছি মেয়েদের হাত থেকে রিনিঝিনি রেশ্মি (সোনার নয়, কাঁচের) চুরি খুলে নিতে।
কেন? কারন রেশমি চুরির রিনিঝিনিতে পুরুষের উত্তেজনা হবে। যে ব্যাটার মসজিদের ভেতর চুড়ির শব্দে উত্তেজনা হবে, তারেই তো থাপ্পর লাগানো উচিৎ আমার মতে।
আমাদের দেশে কিন্তু এই প্রথা নেই। বরং বিবাহিত (মুসলিম / অমুসলিম) নারীরা দুহাতে চুড়ি পড়েন, স্বামীর মঙ্গলের লক্ষে। প্রশ্ন হল, সে জন্যেই কি আমাদের মোল্লারা চুড়ি পড়া নিষেধ করেননা?

দ্রোহী এর ছবি

কী কন? চুড়ি পরা তো হিন্দুয়ানি ব্যাপার। মুমিন মুসলমান হইতে গেলে চুড়ি পরা নাযায়েজ। বিশ্বাস না হলে আলেমদের জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন। চোখ টিপি

দুর্দান্ত এর ছবি

"বরং বিবাহিত (মুসলিম / অমুসলিম) নারীরা দুহাতে চুড়ি পড়েন, স্বামীর মঙ্গলের লক্ষে। প্রশ্ন হল, সে জন্যেই কি আমাদের মোল্লারা চুড়ি পড়া নিষেধ করেননা?"

একজন মানুষ হাত চুড়ি পড়লে আরেকজন মানুষের (অ) মঙ্গল কেমন করে হয়, একটু বুঝিয়ে বলুন, আপনার প্লিজ লাগে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।